নটে গাছটি মুড়োলঃ পণ্ডিতের বিপদ

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০১/২০১৪ - ৪:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উইলিয়াম ম্যাকালক সম্পাদিত ১৯১২ সালে প্রকাশিত Bengali Household Tales অবলম্বনে আজকের গপ্পো পণ্ডিতের বিপদ।
…........................................................................

এক গাঁয়ে থাকত এক পণ্ডিত, সে ছিল বেজায় বুদ্ধু। তবে সারা গাঁয়ে সে এমন ভাব নিয়ে চলত যে সকলেই সেখানে মনে করত নাহ এই লোক কিছু জানে। গ্রামের লোক ছিল মূলত জেলে সম্প্রদায়ের লোক, পণ্ডিত ছিল তাদের গুরু। জেলেদের যখনই জানার দরকার ছিল যে সেইদিন চান্দ্রমাসের কয় তারিখ বা সপ্তাহের কোন দিন, তারা পণ্ডিতের কাছে যেত জানতে। গাড়ল পণ্ডিত কি আর এত হিসাব জানে, সে করত কি পূর্ণচন্দ্রের পরদিন সকাল থেকে প্রতিদিন ভোরে ঘরের চিপায় একটা করে নুড়ি রাখত। এরকম পূর্ণচন্দ্র থেকে নতুন চাঁদ পর্যন্ত তার পনেরোটা নুড়ি হত। নতুন চাঁদ থেকে পূর্ণচন্দ্রও সে ঠিক একই কাজ করত। এভাবে কেউ তারিখ জানতে চাইলে ঘরে ঢুকে নুড়ি গুণে পণ্ডিত বলে দিত কয় তারিখ।

ভালই যাচ্ছিল দিন এরকম। তবে এক সকালে হল কি, পাশের বাড়ির দুই বিড়াল ক্যাঁওম্যাঁও করে মারামারি করতে করতে পণ্ডিতের ঘরে ঢুকে সব নুড়ি এলোমেলো করে দিল। পণ্ডিত ঘরে এসে দেখে সাড়ে সব্বোনাশ, সব নুড়ি একবারে ঘোঁট পাকিয়ে আছে, বুঝার উপায় নাই কিচ্ছু। আর এমনই কপাল, তখন দুই জেলে এসে বলল ও বামুনঠাকুর, আজ কি বার কও দিকিনি।

পণ্ডিতের তো চক্ষুস্থির, কি বার তা কি করে কই? সে একটু মাথা চুল্কে নিল, তারপর বাইরে বের হয়ে গম্ভীর হয়ে বলল, হে জনগণ, আজ ঘোঁটমঙ্গল দিবস।

ঘোঁটমঙ্গল দিবস? এ আবার কি, এ নাম তো কখনো শুনিনি। জেলেরা ভারি অপ্রস্তুত হয়ে গেল।

মৃদু হেসে পণ্ডিত বলল, হ্যাঁ অতি অল্প লোকেই তার কথা জানে বটে। বস্তুত বহু পণ্ডিত লোকেও এর খবর রাখে না। তাই বলে তো ঘোঁটমঙ্গল দিবস নাই হয়ে যায়না তাই না?

অবিশ্যি অবিশ্যি, ঘাড় নেড়ে জেলেরা বলল, ঘোঁটমঙ্গল নাই হয়ে যাবে তা হয় নাকি! আচ্ছা ঠাকুর এই ঘোঁটমঙ্গল দিবসের কিরকম বিধান?

হ্যাঁ ঘোঁটমঙ্গল বড় সহজ দিবস নয়। বিরাট মণ্ডপে পূজা দিতে হবে, তাতে লাগবে আটানব্বই সের ঘি আর আটচল্লিশ সের আতপ চাল।। পূজার ঠাকুরকে দিতে হবে দুইটা লাল গাই, ছয় জোড়া ধুতি আর সুগন্ধী কাঠের খড়ম। তারপরে হতে হবে ব্রাহ্মণভোজন, কমপক্ষে বাহাত্তরজন তো লাগবেই। ঘোঁটমঙ্গল দেবীর বাসনা এই দিনে বিরাট মেলার আয়োজন করা চাই বটতলায়।

আচ্ছা আচ্ছা। ঘোঁটমঙ্গল দেবী কিরকম?

হ্যাঁ ঘোঁটমঙ্গল দেবী। আহা। ভক্তের কাছে উনি ধরা দেন বিড়ালের রূপে। গাঁয়ের প্রত্যেকের ঘরে দুইটা মাটির বিড়ালরূপী মূর্তিপূজার আয়োজন কর।

জেলেরা নাচতে নাচতে ঘরে ফিরে গিয়ে ঘোঁটমঙ্গল দিবসের আয়োজন শুরু করল। দেখতে দেখতে সারা গাঁয়ে রাষ্ট্র হয়ে গেল ঘোঁটমঙ্গল দিবসের কথা। বটতলায় বসল তুমুল মেলা। ঢ্যাঙ্কুচুকুর ঢ্যাঙ্কুচুকুর ঢাকের বাড়িতে কান পাতা দায় হল বটতলার মাঠে। দূর দূর থেকে লোকে ছুটে এসে বিরাট গীতবাদ্য বসিয়ে দিল। গাঁয়ের লোকের মুখে হাসি আর ধরে না, ঘোঁটমঙ্গল দিবস বলে কথা।

এই সময় গাঁয়ের পথে পাল্কিতে যাচ্ছিলেন এক রাজার সভাপণ্ডিত। হাউকাউ দেখে পাল্কি থামিয়ে তিনি শুধালেন ওহে জনতা, কি ঘটনা হে? এক গ্রামবাসী অবজ্ঞাভরে বলল, আহা তাও জানোনা বুঝি। আজ ঘোঁটমঙ্গল দিবসের মেলা।

ঘোঁটমঙ্গল দিবসের মেলা? জন্মেও শুনিনি বাপু।

হ্যাঁ মস্ত পণ্ডিতেরাই এর কথা জানেন শুধু। যেমন আমাদের গাঁয়ের পুরুতঠাকুর। তার কোন কিছুই অজানা নেইকো। বিড়ালরূপী ঘোঁটমঙ্গল দেবী স্বয়ং তাকে দর্শন দিয়েছিলেন সদ্য।

বিড়ালরূপী ঘোঁটমঙ্গল দেবী? বল কি হে? সাতান্ন বছর শাস্ত্র অধ্যয়ন করলাম এই বিড়ালরূপী দেবীর কথা তো কোত্থাও পেলাম না। যাও হে তোমাদের পুরুতকে খবর দিয়ে নিয়ে এস। তার সাথে আমার দুইচার বিষয়ে তর্ক করার বাসনা।

গাঁয়ের লোকে গিয়ে ব্রাহ্মণকে খবর দিল যে এক টিকিওলা পণ্ডিত তাকে তর্কে আহ্বান করছে ঘোঁটমঙ্গল দেবীকে নিয়ে। পণ্ডিত মনে মনে ভাবল ধুরো, এ কি নূতন বিপদ বাবা। সে গম্ভীর হয়ে বলল, সে ডাকলেই আমায় যেতে হবে নাকি? তার দরকার সে নিজেই আসুক আমার ঘরে।

গাঁয়ের লোক গিয়ে রাজার পণ্ডিতকে বলল উঁহু এইখানে নয়, চল আমাদের পুরুত ঠাকুরের ঘর। সেইখানে মজমা বসবে। মৃদু হেসে পণ্ডিত বললেন আচ্ছা ঠিক আছে। এক কাজ করি বরং, মাঝামাঝি কোথাও বসি। তিনিও কিছুদূর আসুন আমিও কিছুদূর যাই।

মাথা নেড়ে গাঁয়ের লোক ভাবল নাহ এ বেশ ন্যায্য প্রস্তাব। তারা গিয়ে পুরুতকে তাই বলল। তখন পুরুত বলল সে আসবে কিভাবে? সকলে উত্তর দিল পণ্ডিত আসছে পাল্কিতে। দাঁতমুখ খিঁচিয়ে সে বলল বটে, সে আসবে পাল্কিতে আর আমি যাব পায়দল? কক্ষনো নয়।

গাঁয়ের লোক ভাবল তাই তো। এ তো বড় অন্যায্য বিচার। তারা গিয়ে পণ্ডিতকে একথা বলতেই তিনি বিরক্ত হয়ে বললেন তা পাল্কি নেই তো তোমরা তাকে ঘাড়ে করে নিয়ে আসতে পারো না? তাহলেই তো গোল মিটে যায়।

এইবার গাঁয়ের ঠাকুর পড়ল বিষম গোলে। গেলেও ইজ্জত যাবে না গেলেও রক্ষা নাই। মহাযন্ত্রনা। বিরস মুখে তিনি যাবার আয়োজন করতে লাগলেন। কপালে চন্দনের তিলক, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। দুই মুশকো জোয়ানের ঘাড়ে চড়ে তিনি চললেন মাঠের দিকে।

কাছাকাছি আসতেই রাজার পণ্ডিত উঠে দাঁড়ালেন, আর মৃদু হেসে সংস্কৃতে বললেন আগচ্ছ আগচ্ছ, অর্থাৎ কিনা আসতে আজ্ঞা হোক। গাঁয়ের পণ্ডিত কি আর সংস্কৃত বোঝে, সে মুখ বিকৃত করে তেড়ে গিয়ে বলল তুই আগচ্ছ ব্যাটা কাউয়ার বাচ্চা।

এই শুনে রাজার পণ্ডিত ভারি থতমত খেয়ে গেলেন। হাত তুলে তিনি সংস্কৃতে বললেন তিষ্ঠ, তিষ্ঠ। অর্থাৎ খাড়াও খাড়াও। শুনে গাঁয়ের পণ্ডিত বলল তুই তিষ্ঠ। তোর বাপ ছিল তিষ্ঠ। তোর গুষ্টিসুদ্ধ সবগুলি একেকটা তিষ্ঠ। বুঝছিস?

রাজার পণ্ডিতের তো কথা আটকে গেল। একি যন্ত্রণা বাপু। তিনি আবার হাত তুলে বললেন, স্থিরো ভব, স্থিরো ভব। অর্থাৎ কিনা শান্ত হউন। গাঁয়ের পণ্ডিত আবার তেড়ে গিয়ে বলল তুই আরো বড় স্থিরো ভব ব্যাটা ভাম কোথাকার। ভাগ এখান থেকে।

গাঁয়ের লোক এরকম দেখে ভাবল তর্কে তাদের পণ্ডিতই জয়ী হয়েছেন, রাজার পণ্ডিতের তো মুখে কথাই নাই! তারা উল্লাসে চিৎকার করে উঠল পণ্ডিতজি কি জয়! হরি হরি! পণ্ডিতজি কি জয়!

রাজার পণ্ডিত মনে মনে ভাবলেন এ তো বড় আবালের কারখানায় এসে পড়া গেল। এদের বুঝানো আমার কম্ম নয়। যাই বলি এরা বুঝবেই না ছাতা কিছু। যাকগে, করুক এরা বিড়ালের পূজা। আমার কি। তবে এই পণ্ডিতটিকে একটা শিক্ষা না দিলে চলছে না।

তিনি করলেন কি, মাটি থেকে গাঁয়ের পণ্ডিতের মুখ থেকে খসে পড়া একটা দাড়ির চুল সাবধানে তুলে হাতে নিলেন আর পাল্কির দিকে হাঁটা ধরলেন। সকলে তো অবাক, পণ্ডিত তাদের ঠাকুরের দাড়ি নিল কেন? তারা দৌড়ে গিয়ে শুধাল ওহে পণ্ডিত, দাড়ি কিরকম?

পণ্ডিত হেসে বলল, তাও জানোনা বুঝি? তোমাদের পুরুত সত্যই মহাপণ্ডিত, তবে গূঢ় তত্ত্ব হল তার সকল পাণ্ডিত্য আসলে দাড়িতে। কেউ যদি তার দাড়ির অধিকারী হয় তবে সে ঠিক ঠাকুরের মতই মহাপণ্ডিত হবে। তাই আমি নিলাম একখানা।

এই কথা শুনে সকলে ছুটে গিয়ে পুরুতকে ধরল। দাড়ি চাই দিতে হবে। পুরুতঠাকুর ভারি বিরক্ত হয়ে বললেন ধুরো যা সর, দাড়ির মধ্যে বুদ্ধি আবার কার কবে থাকে? ভাগ সব।

কে শোনে কার কথা। আপসে দাড়ি না পেয়ে জনতা ঠাকুরকে পেড়ে ফেলে পটাপট দাড়ি উপড়ে নিতে শুরু করল, আর পণ্ডিত তো চিৎকার করে অস্থির বাপরে মারে ছেড়ে দেরে ওরে নারে একিরে গেলরে। এমন সময় আবার দূর থেকে রাজার পণ্ডিতের গলা শোনা গেল। তিনি বললেন, হে জনতা। তোমাদের কি বলেছি যে পণ্ডিতের গোঁফের ভেতর দাড়ির তিন ডবল বুদ্ধি পোরা আছে? যারা দাড়ি পাওনি তারা গোঁফ চেষ্টা করে দেখতে পারো।

জনতার তুমুল উল্লাসে ঢাকা পড়ে গেল গাঁয়ের ব্রাহ্মণের আর্তনাদ। আর দাঁত বের করে হেসে সেই সুমধুর শব্দ শুনতে শুনতে রাজার পণ্ডিত তার পথ ধরলেন।


মন্তব্য

মন মাঝি এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

থিবো কই?

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

ইটা মারেন ক্যা?

থিবো নিয়া একটু ভেজালে আছি একটা তথ্য খুঁজে পাচ্ছিনা ঠিক। পেলেই নামিয়ে দিব পরের পর্ব।

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

কি তথ্য চান আমারে কন কানে কানে। থিবোরে আবার ইশ্‌টার্ট দেয়ার স্বার্থে, অর্থাৎ জনস্বার্থে, আপনার তথ্য খুঁজার কাজে আমিও হাত লাগাই নাহয়?

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

বই ডাকে আসতিছে ভয় নাই। ধৈজ্জ ধরেন এই বছরের মধ্যেই পরের পর্ব দিতেছি।

..................................................................
#Banshibir.

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

হ , থিবো কই? তাত্তাড়ি নামান মিয়া, নাইলে আপনার দাড়ি আর গোঁফে যে বুদ্ধির জাহাজ পোরা আছে সেটা প্রকাশ করে দিবো কইলাম!

____________________________

সত্যপীর এর ছবি

ইয়াল্লা আপনে তো ডেঞ্জারাস লোক ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

এক লহমা এর ছবি

সেই ত কথা। বড় ধান্দাবাজদের টক্কর নিতে গেলে ছোট ধান্দাবাজদের চুল-দাড়ি উপড়ে যায়।
কি করে যে এত ঝরঝরে লেখা লেখেন! গত পরশুই একজনের সাথে কথা হচ্ছিল আপনার আর এক অনুবাদ নিয়ে - ছাগল আর সিংহের গল্প।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সত্যপীর এর ছবি

খিক খিক, ঐ গল্পটা মজার ছিল দেঁতো হাসি

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

এ তো ভারি অন্যায্য হলো! গাঁয়ের পন্ডিতের পান্ডিত্যের পুরস্কার যদি হয় দাড়ি গোঁফের বিসর্জন, তাহলে রাজার পন্ডিতের মূর্খতার খেসারতও তো কিছু একটা হওয়া দরকার ছিল। নিদেনপক্ষে তার অন্ততঃ একটা যৌনকেশ উৎপাটন করা দরকার ছিল, যাতে সে বলতে না পারে যে আমার বাল্টাও কেউ ছিড়তে পারে নাই।

সত্যপীর এর ছবি

আপনে পাষাণ।

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কিন্তু মতি ভাইয়ার দাড়ি নাই তো ওঁয়া ওঁয়া থাকলে আমিও দুই-তিন গুন জ্ঞানার্জন করতুম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

এতো গিয়ান দিয়া হইব কি?

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

তাইলে কি উপ্রে প্রোফেসর সায়েবের লগে লাইনে আসুম? শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

আপনার গল্প যে ভালো লাগে সেটা তো আগেই বলেছি। আপনার অনুবাদও দারুণ (যদিও মুল গল্প পড়া নেই!)।

সত্যপীর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভালোই লাগল অনুবাদ পীরসাহেব। তবে এইরকম কাহিনী আগেও কোথাও পড়ছি মনে কচ্ছে।

আছেন কেমুন? ভাতিজি ভাল আছে? সবাইরে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সত্যপীর এর ছবি

লোককথা এদিক সেদিক পড়া থাকতেই পারে, সেইটাই মজা। আমি কয়দিন পরপর একটা দুইটা ফান গল্প দেওয়ার ভাও করি।

ভাতিজি আছে চমেৎকার। আমার চশমা তার হাতে চরম নিগৃহীত হয় ইদানিং।

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বাঙ্গালির হাসির গল্প/জসীমউদদীন এ পড়ে থাকতে পারেন
ওখানে প্রায় কাছাকাছি একটা গল্প আছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
মজা পাইলাম ভাইজান। হাসি
আপনার লেখা সবসময়ই ভাল লাগে।

সত্যপীর এর ছবি

আমিও খুব মজা পাইছি লিখ্যা দেঁতো হাসি

আছেন ভালো?

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

স্থির 'ভব' হবে না?

সত্যপীর এর ছবি

আমি কি জানি ভব না ভাব, আমি তো ঐ গাঁয়ের ঠাকুরের মতই সংস্কৃতে উস্তাদ খাইছে

আপনে শিওর হইলে বলেন পালটায় দেই।

..................................................................
#Banshibir.

এক লহমা এর ছবি

স্থিরো ভব - এই রকম শুনেছিলাম। এর মধ্যে স্থিরো অংশটি বানানের কারণে না উচ্চারণ-এর কারণে সেটা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে আছি। কিন্তু 'ভব' নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সত্যপীর এর ছবি

পাল্টায় দিলাম বস। ধইন্যবাদ আপনাকেও হিমুভাইকেও।

..................................................................
#Banshibir.

এক লহমা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

স্যাম এর ছবি

গল্পের গ্রামটা বাংলাদেশের অনেক জায়গায় আছে - সাঈদীরে চাঁদে দেখার পর বোঝা গিয়েছিল।

সত্যপীর এর ছবি

হ পুরাই।

..................................................................
#Banshibir.

খেকশিয়াল এর ছবি

অমা হেইয়া দেহি চানভুদাইগো কারবার খাইছে

দারুণ লাগলো চলুক

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সত্যপীর এর ছবি

দিকে দিকে চানভুদাই।

..................................................................
#Banshibir.

আনু-আল হক এর ছবি

হো হো হো

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

সত্যপীর এর ছবি

কাল রাইত থেকে দেখতেসি হাসতেছেন, এলা থামেন। মাইনষে পাগল কইব তো ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

কল্যাণ এর ছবি

হো হো হো

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।