আগস্ট মাস, ১৬৫৯। দিল্লী।
নাজিরের কথাঃ
জিনিসটা ধরে আমি মুখ কুঁচকে বললাম, এহ দুনিয়ার রক্ত। এইটা দেখে কিছু বুঝার উপায় আছে নাকি?
আছে, মোতালিব ঘাড় নেড়ে বলল, যে চেনার সে ঠিকই চিনবে। সময় অল্প, বাহাসের সময় নাই। ধুয়ে পরিষ্কার করি আয়। বাইরে পানি আছে না?
কামরায় বাকি দুইজনও সায় দিল। বাইরে পানি আছে। চারজনে মিলে বাইরে গেলাম ধুতে।
………………………………………………
কুতুব আলির কথাঃ
ঘরের দাওয়ায় দাঁড়িয়েই শুনতে পেলাম বাইরে হইহল্লা। কথা সত্য তাহলে, মতিউল্লা ভুল বলেনি। দীর্ঘশ্বাস ফেলে পিরানটা গায়ে দিলাম, কাজে যেতে হবে। ডাইনে ঘুরতেই দেখি ছোট ছেলে আতর আলি পাঁই পাঁই করে ছুটছে দরজার দিকে। আমি নিষেধ করে জোরে ডেকে উঠলাম, আতর আলি। আতর আলি। ঘরে আয় বাপ বাইরে হারায় যাবি যে।
কে শোনে কার কথা। আতর আলি এক ঝলক পিছন ফিরে তাকিয়েই আবার যে কে সেই ছুট। আমাকেও তাই পিছু নিতে হল।
বাইরে লোকে লোকারণ্য। কেউ কেউ মাতম করছে। কেউ দাঁত বের করে হাসছে। কেউ এমনিই দাঁড়িয়ে আছে। ফিসফিস করে কথা কইছে কেউ কেউ। রাস্তার দুইপাশে মানুষ আর মানুষ। আমি এগিয়ে গিয়ে আতর আলির হাত ধরলাম। সে বলল, আব্বা ঐ যে হাতি। ছুট তাই না? বাট্টু হাতি।
হ্যাঁ বাট্টু হাতিই বটে। খর্বকায়। গায়ে ঝালর নেই, কাদামাটি মাখা। আতর আলি আমার হাত ধরে টান দিল, আব্বা হাতি এত ময়লা ক্যান? গেল বচ্ছর মনে আছে এক শাহজাদায় হাতি কইরা বেড়াইতেছিল আর পয়সা ফিক্যা মারতেছিল, কত বড় হাতি আসমানের সমান উঁচা তাই না আব্বা?
আমি মাথা নেড়ে বললাম হ বেটা খেয়াল আছে। এইটা অন্যরকম শাহজাদা। বদ নসিব। এর পয়সা নাই আর।
আতর আলি ঝট করে আবার ক্রমশ এগিয়ে আসা বাট্টু হাতির দিকে তাকাল ভালো করে। বলল, শাহজাদা? শাহজাদা কই দেখলা আব্বা? কেউ নাই তো!
তারপরেই সে আচমকা বুঝতে পারল একটা দেহ আড়াআড়ি করে বাঁধা সেই হাতির পিঠে। দূর থেকে ঠাহর হয়না। সে উত্তেজনায় বলল, আরে তাইতো। আব্বা ওরে বানছে ক্যান? কি করছে ওরে বানছে ক্যান?
আমি আতর আলির হাত ধরে চুপ করে রইলাম। পাশে লোকে ঠেলাঠেলি করছে, আতর আলি আমার দিকে ঘেঁষে দাঁড়ালো একটু। হাতি একবারে আমাদের সামনে তখন।
আতর আলি ভালো করে হাতির পিঠে বাঁধা দেহ খুঁটিয়ে দেখে চিৎকার করে বলল, আব্বা! মাথা কই? আব্বা মাথা নাই তো মাথা কই? এর মাথা কই আব্বা?
………………………………………………
নাজিরের কথাঃ
রূপার কাজ করা থালায় সাবধানে জিনিসটা রাখলাম বাদশার সামনে। ধুয়ে পরিষ্কার করা, এক ছিটা রক্ত লেগে নাই আর। পরিষ্কার চেনা যাচ্ছে।
হিন্দুস্তানের মহান বাদশা আলমগীর মুহুর্তের জন্য তসবী জপা থামিয়ে সামনে থালায় রাখা বড়ভাই দারা শুকোর কাটা মাথা দেখে দাঁতে দাঁত চেপে গালি দিয়ে বললেন, বদ বখত।
মন্তব্য
If the ends could ever justify any means at all ...
"দারা শুকোর ধড় দেখে" কি "দারা শুকোর মুন্ডু দেখে" হবে
তাই তো! দুঃখিত, ঠিক করে দিলাম। অশেষ ধন্যবাদ।
..................................................................
#Banshibir.
আমি মানসচক্ষে দেখতে পাচ্ছি আপনার হাত দিয়ে বাংলাভাষার সবচেয়ে অসাম, ঐতিহাসিক উপন্যাসটা বেরিয়ে আসছে!
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বড়কলেবরে ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখেন শাহিন আখতার, তার "সখী রঙ্গমালা", বা এবারে বেরুনো "ময়ূর সিংহাসন" কি পড়েছেন?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
পড়ি নাই ভাই। খুবই লজ্জার ব্যাপার আজকাল বই পড়া হয়না আর তেমন, কাগজের বই। যা পড়ি সবই বৈদ্যুতিক বইপত্র। দেখি জোগাড় করা যায় কিনা শাহিন আখতারের বই।
..................................................................
#Banshibir.
শাহীন আক্তারের তালাশ পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। বাকী দুটো পড়া হয়নি, আপনি কি পড়েছেন? কেমন হয়েছে?
মাসুদ সজীব
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বই লিখ্যা ফালান পীরসাহেব।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
হ্যাঁ, জনগনের দাবি তাই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
হ্যাঁ ভাবতেছি মোটা মোটা কয়টা বই লিখুম, খাটের পায়া ভাঙলে কাজে আসব অনেক। যত মোটা ততই সুবিধা।
..................................................................
#Banshibir.
দুর্দান্ত হয়েছে লেখা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
কৈতেছেন?
..................................................................
#Banshibir.
অপকুর্স। তিথীডোর ম্যাডামরে বইয়ের নাম ভি দিয়া দিসি স্ক্রল কইরা দেইখা আসেন
..................................................................
#Banshibir.
হ্যাঁ, বদ বখত-ই বটে। গোটা উপমহাদেশের ভাগ্য-ই হয়ত অন্যরকম হত এ জঘণ্য হত্যাকান্ড না ঘটলে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হ্যাঁ সেরকমই কথা শুনা যায় যে দেশটা পালটায় যাইতো দারা গদিতে আসলে ইত্যাদি। আমার মনে হয় তেমন ইতরবিশেষ হইত না, মোগল বাদশা মোগল বাদশাই।
..................................................................
#Banshibir.
শুধু মোগল বাদশাদের দোষ দিয়ে কি লাভ, বরং বলা যেতে পারে বাদশা বাদশাই। তবে আওরংজেবের নীতিমালায় এমন কিছু হয়ত ছিল যা মোগল সাম্রাজ্যের ধ্বংস অনিবার্য করে তুলেছিল। দাক্ষিনাত্য দখল করতে গিয়ে বরং সে অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করে মারাঠা উত্থানে অবদান রাখা, শিখ শক্তি নির্মুল করতে গিয়ে বরং অভূতপূর্ব শিখ উত্থানে ভূমিকা রাখা, বহুদিনের পরীক্ষিত মিত্র রাজপুতদের আস্থা হারানো, এসবের মাশুল মোগল রাজবংশকে এবং ভারতীয় উপমহাদেশকে চরমভাবে গুনতে হয়েছিল।
আওরঙ্গজেব কি কি বদমাইশি করে গেছে সেইটা আমাদের জানা আছে, যা জানা নাই তা হোল দারা বেঁচে থাকলে ঠিক কি কি বজ্জাতি করত। সে যে এইগুলা বা এর চেয়েও খারাপ কিছু করতোনা তার গ্যারান্টি কি? সেইটাই বলছিলাম। দারা লোকটা ভালো এইটা মিশনারিরা বলা শুরু করেছিল, আওরঙ্গজেব তাদের বাঁশের উপর রাখত আর দারা ডেকে চা বিস্কিট দিত। সে গদিতে গেলে মানুষের কোন লাভ হইত না। ইওরোপীয়দের হইত।
..................................................................
#Banshibir.
আওরংজেব কিন্তু প্রশাসক হিসেবে খুবই দক্ষ ছিল, এমনকি তার প্রশাসনিক সততাও অন্যদের চেয়ে শ্রেয়তর ছিল। কিন্তু জাতীয় সংহতিটা সে ধ্বংস করে দিয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় মোগল সাম্রাজ্য এবং ভারতের বিপর্যয় ঘটে। দারা ক্ষমতায় গেলেও তাই করতো কি না, সেটা কল্পনা করে আর কি লাভ ! আমরা এখন শুধু আওরংজেব এর ব্যর্থতার মূল্যায়নই করতে পারি।
সেটাই। হিটলার সেই তিরিশ দশকে ধূমপান বিরোধী ক্যাম্পেইন চালিয়েছে অটো-বান এর মত দূরদর্শী প্রজেক্ট শক্তভাবে দাঁড় করিয়েছে, কিন্তু এইগুলান সবই চাপা পড়ে যাবে কারন সে কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্পে ঠাণ্ডা মাথায় প্ল্যান করে মানুষের পর মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। হিটলারের মতই আওরঙ্গজেবের দুই একটা ভালো দিক থাকলেই কি, সে যে মানুষ হিসাবে একটা নিকৃষ্ট শ্রেণীর ইতর সেইটাই আসল কথা।
..................................................................
#Banshibir.
গল্পটা একটু বেশী রকমের ছোট হয়ে গেছে, তৃষ্ণা মিটলো না।
হ্যাঁ সাইজ ছোট ঠিক। গল্পটা লেখার আমার একটা নিজস্ব কারণ আছে, এরকম প্যারালাল গল্প আমি আগে লিখি নাই। দেখলাম পারি কিনা।
..................................................................
#Banshibir.
একমত। যতটা বলা হয় তার বিন্দুমাত্র ঘটত বলে মনে হয়না। সেই সময়ে কোন সম্রাটই ঠিকঠাক বিজ্ঞান বা রেনেসাঁর ভাবধারা বুঝত না। সুতরাং ঔপনিবেশিকতা আমাদের ভাগ্যে লেখাই ছিল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এখনও কি বুঝে?
****************************************
এই হত্যাকাণ্ডটা নিয়ে যত হা-হুতাশ করা হয় ঠিক ততটাই চেপে যাওয়া হয় দারা'র নৃশংসতার ঘটনাগুলো। মুঘল রাজবংশে তো বটেই, যে কোন রাজবংশে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, পরিবারের সদস্যদের খুন অতি স্বাভাবিক ঘটনা। আওরঙ্গযেব দারাকে খুন না করলে দারা আওরঙ্গযেবকে খুন করতো। ক্ষমতার লড়াইয়ের খেলাটা এমনই।
আকবর এবং দারা দুইজন ওভার রেটেড মুঘল। দারা থাকলে ভারতের এমন বিশেষ কোন উন্নতি হতো না। বরং মুঘলদের বিদায় ঘন্টা আরো আগে বাজতো এবং ইউরোপীয়রা বাংলা বা দক্ষিণ দিয়ে নয়, পশ্চিম ও উত্তর ভারত দিয়ে তাদের ঔপনিবেশিকতা শুরু করতো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
"দারা'র নৃশংসতার ঘটনাগুলো" পড়া নেই। এই নিয়ে আমার কিছু জানা নেই বলেই এই ধারণাটা হয়ে আছে যে দারা লোকটা ভাল ছিল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সাধারণ্যে দারাকে নিয়ে এই হা-হুতাশের কারন হয়তো এই যে- দারার যে সকল নৃশংসতা, সেসব বিভিন্ন রাজবংশে একটি সাধারন ব্যাপার। কিন্তু রাজ ক্ষমতার জন্য পিতাকে বন্দী করা, তার কাছে প্রিয় পুত্রের ছিন্ন মস্তক প্রেরন করা, এই জাতিয় অসহনীয় ক্রুরতা অন্য কারো মাঝে তারা দেখতে পায় নি।
ঐসময়ে ইউরোপীয়রা ভারতীয়দের তুলনায় এতটাই এগিয়ে ছিল যে ভারতে কোন রাজনৈতিক পরিবর্তন দেশে প্রভাব আনত বলে মনে হয় না। মুঘল আমলের রাজাদের মধ্যে আমার পছন্দের হল শেরশাহ - সে আবার মুঘল নয়, পাঠান।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
জুলিয়ান ক্যালেন্ডার ধরলে অগাস্টের ৩০, গ্রেগরিয়ান ধরলে সেপ্টেম্বরের ৯।
খুনীর দলে মোট চারজন নয়, নাজিরসহ পাঁচজন হবার কথা (যদি বার্নিয়েরকে সঠিক মানি)।
বার্নিয়েরকে সত্য মানলে এটাও মানতে হবে যে, হাতির প্যারেডের সময় দারার মাথাটা দেহের সাথেই যুক্ত ছিল। এবং জেলখানায় শিরচ্ছেদ করার পর তার মাথাটা না ধুয়েই আওরঙ্গযেবের কাছে আনা হয়েছিল। আওরঙ্গযেবই রাখার জন্য থালা আর ধোওয়ার জন্য পানি আনতে বলেছিল। তার সামনেই ধোয়া হয়েছিল যাতে সে নিশ্চিত হতে পারে এটা দারার মস্তক। নিশ্চিত হবার পর হয়েছিল নাটকটা। কান্তে কান্তে আওরঙ্গযেব বলে, "হায় বদ বখত (হতভাগা)! আমার চোখ এই হৃদয় বিদারক দৃশ্য আর সহ্য করতে পারছে না। এই মস্তক নিয়ে যাও আর হুমায়ূনের সমাধিতে সমাহিত কর"।
কেউ কেউ অবশ্য বলেন যে, মাথাটা গিফটবক্সে ঢুকিয়ে আওরঙ্গযেব তার বাপের কাছে পাঠিয়েছিল। কিন্তু এই গল্পের পক্ষে জোরালো এভিডেন্স নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারাকে ধরে আনার পরে প্যারেড করে লালকেল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঠিকই। কয়টা জায়গায় (যেমন খুশবন্ত সিং এর বই) আছে এরপরের দিন সকালে বাদশার আদেশে কল্লাবিহীন বডি আবার দিল্লীর রাস্তায় প্যারেড হয়।
পাঁচজনের ব্যাপারটা ঠিক ধরছেন। বার্নিয়েরের তথ্যমতে তিনজনে দারাকে চেপে শুইয়ে রাখে আর একজন কল্লা নামিয়ে দেয়। সুতরাং চারজন। পঞ্চম ভাইজান ঘরের কোণায় দারার ছেলেকে ধরে রেখেছিল। দারার ছেলের কথা চেপে যেতে চেয়েছিলাম এই গল্পের শুরুতে, এইটা যে দারার হত্যাকাণ্ড তা প্রথমেই বলে দিলে সাছপেঞ্ছটাই মাটি
আওরঙ্গজেবের চোখের জল হৃদয় বিদারক দৃশ্য ইত্যাদি সংলাপ সম্ভবত আজাইরা ভুয়া কথা।
মাথা ফেডেক্স কইরা বাপ শাজাহানের কাছে পাঠানোর গল্পটা শুনছি, একটা পেইন্টিংও দেখছিলাম অনলাইনে। বাক্স খুলার আগে ও পরে। এই দেখেনঃ
শাজাহানের খাটিয়ার পাশে বদনাটা পছন্দ হইছে। মোগলাই বদনা।
..................................................................
#Banshibir.
দুর্দান্ত।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
..................................................................
#Banshibir.
দারুণ !
হ্যাঁ, একটা কথা, সৈয়দ মুজতবা আলী সম্ভবত নামটা 'দারা শিকূহ্' লিখতেন ।
دارا شكوه = দা'রা শুকোহ্ হবার কথা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ প্রৌঢ় ভাবনা।
আলী সাহেব ভাষাবিদ লোক, আমি কি আর অত জানি। আমি যেরকম শুনি তাই লিখি।
..................................................................
#Banshibir.
ইতা কিতা? আমরার থিবুর তিস্রা কিস্তি কৈ রে বা?
****************************************
থিবোর গল্পে ক থেকে খ তে যাওয়ার জন্য গ সত্য হওয়া জরুরি ছিল। গ এ গরমিল। ফাটা জোড়া দেওয়ার চেষ্টা দিতেছি, সবুর করেন।
..................................................................
#Banshibir.
এটা কী বড় আকারে আসবে? মানে পুরো ঐ সময় নিয়ে?
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আমার লেখায় ঘুরায় ফিরায় মোগল আসে। এইটাও আবার আসতে পারে। তবে বড় কিছু করার এই মুহুর্তে কোন প্ল্যান নাই। সুযোগও নাই
..................................................................
#Banshibir.
নেক্সট মেলায় বই বের করেন, বুঝলেন? উদাস, অণু.. এরপরই তো পীরসাহেবের দিন।
উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়..।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হ্যাঁ ব্যাপক বই লিখব ঠিক করসি। চরম উদাসের মোড়ক অণু উন্মোচন করছে সুতরাং আমার মোড়ক উদাসকে দিয়েই উন্মোচন করা হইবে। হ্যাঁ ভাই। বইয়ের ভিতরে কি যাবে ঠিক করিনাই তবে নাম ফাইনাল। বইয়ের নাম "মহান বাবা সত্যপীর প্রণীত মর্যাদা/মর্তবা, ফাযায়েল/ফযিলত, হাক্কানি/দুররানী, কায়েমে চেহেলসুতুন/নায়েবে আফলাতুন এবং অন্যান্য গল্প"।
..................................................................
#Banshibir.
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
..................................................................
#Banshibir.
অনেক দিন পর লিখলেন ভাইয়া। নবাবনামা দিয়ে একটা আলাদা ট্যাগ করে দিয়েন কখনো পারলেন প্লীজ, মোঘল শাসনের সাবসেট। আপনার নবাবনামা সিরিজটা খুব অন্যরকম ছিল। শাসকদের চেহারার খুব চমৎকার এনালাইসিস করা যায় তখনি, যখন তথ্য "পারফেক্ট" হয়, অন্তত "প্রায়"। আরও আসুক - নিশিতা
প্রচুর লেখা হাফ ডান পড়ে আছে। সময় বড় কম। মাথায় নানান জিনিষ কিলবিল করে লিখার সময় হয়না। দরজা বন্ধ করে এবিসি রেডিও ৮৯.২ লো ভল্যুমে ছেড়ে টানা দশ ঘন্টা লেখতে পারতাম তো একটু শান্তি হইত। খাবলা খাবলা লিখে কন্সেন্ট্রেশন থাকেনা।
আছেন ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
এই তো চলে ভাই। আমি এম্নিতেই অলস, আরও নিজের রিসার্চের ঠেলায় পিথিমীর অন্য কিছু করতে পারিনা - নিশিতা
লেখায় ৫ তারা!
এই গল্প পড়ার পর এখন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেলোড্রামাটিক "শাহজাদা দারাশুকো" উপন্যাসটা পড়তে ইচ্ছা করছে। কিন্তু বই আছে সুদুর ঢাকায়!
Emran
উপন্যাসটার ডিটেলের কাজ খুব ভালো। আমার কাছে স্লো এবং অতি নাটুকে লেগেছে বটে কয়েকটা অংশ, কিন্তু ওভারল এইরকম উপন্যাস লিখতে অনেক খাটুনি গেছে নিঃসন্দেহে। এইটা তারিফ করার মতন ব্যাপার।
..................................................................
#Banshibir.
এর মধ্যেই শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের বইটা পইড়া ফালাইসেন? কিছুদিন আগে একটা লিস্টি দিসিলাম আপনারে, তখনও তো পড়েন নাই মনে হয়। আর কি কি পড়সেন এর মধ্যে? 'প্রদোষে প্রাকৃতজন', 'আঁধারমানিক', আর 'মৈত্রেয়ী জাতক' পড়েন পারলে। বিশীরও আরও বই আছে মনে হয়। আমারও অবস্থা অনেকটা আপনার মত। কাগজের বই অনেককাল পড়ি না। সে পিচ্চিকালে পড়া বইগুলা নিয়াই জাবর কাটি এখন। আপনি বই বাইর করলে তখন আবার পড়ব। তাড়াতাড়ি বই বাইর করেন!
****************************************
মৈত্রেয়ী জাতকও পড়সি, বেশ ভালো। ভাষা অনেক খটমটে
..................................................................
#Banshibir.
কড়িকাঠুরে
..................................................................
#Banshibir.
ক্ষমতায় থাকার জন্য কত্তকিছু!
পীর সাবরে নগণ্য নাজরানা
[মেঘলা মানুষ]
নজরানার জন্য ধন্যবাদ ও দু'আ।
এইবার সত্য কইরা কন তো, যেই টাকা উড়াইতেছেন সেইটাই কি আবার কুড়ায় ফিক্যা মারতেছেন না প্রতিবার নতুন টাকা ছুঁইড়া মারতেছেন? বুঝার চেষ্টা করতেছি
..................................................................
#Banshibir.
এত ছোটর মধ্যে অসাধারণ ধাক্কা দেয়া একটা লেখা। মিয়া জলদি জলদি আপনার এইসব ঐতিহাসিক গল্প নিয়ে একটা সংকলন বের করেন।
হ ধাক্কা দেওয়া বই লিখুম একটা। বইয়ের নাম "বাতেনি ধাক্কা"। সেই বই মানুষ হাতে নিলেই প্রচ্ছদ থিকা ইস্প্রিং এর দুইটা মুষ্টি বাইরায় দিব রাম ধাক্কা। পাব্লিক তখন বুঝব বইয়ের নাম ভালোমত না পইড়া বই হাতে নেওয়া কত বড় বুকামি
..................................................................
#Banshibir.
হ, সংকলন বাইর না করলে তার আগেই পাব্লিকে আপনারে কি করে দেখেন নিচে --
তাই সাবধান কইরা দিতাছি, এইসব বুমেরাং-বুদ্ধি বাদ্দিয়া তরাত্তরি সংকলন বাইর করেন। তা নইলে, কম্পিউটারের সামনে জীবনে আর বসতেই পারবেন না। বসলেই উপ্রের অবস্থা হপে!
****************************************
কাগজের বই বের করার সুযোগ, সময় বা কারণ কোনটাই নাই অদূর ভবিষ্যতে। সচলে পঞ্চাশ একশোটা গল্প হইলে পরে ইবই করবোনে, একত্রে থাকল তাইলে সব। স্যাম্ভাইরে দুইটা কলিজার সিঙ্গাড়া খাওয়ায়া একটা জম্পেশ পচ্ছদ করাইতে হইব। আর মনে করেন চল্লিশ বচ্ছর পরে বয়স যখন পঞ্চান্ন হইব তখন একটা কাগজের বইয়ে হাত দিমু
..................................................................
#Banshibir.
অসাধারণ ভাবে অনুগল্পের মত সরল ভাষায় ইতিহাস বর্ণনা ৷ ছোটকালে আপনার লেখা পড়তে পারলে ইতিহাসে ভালই আগ্রহ জন্মাতো ৷
আজকের গল্প কালকের ইতিহাস। সবই গল্প রে ভাই। ইতিহাস হইল ইচা মাছের মত, শুদা রানলে মজা লাগে না কিন্তু ঠিকমত টমেটো দিয়া ভুনা করলে আর ছাড়ান কাটান নাই!
..................................................................
#Banshibir.
ছুটুবেলায় কেপ্টেন প্লানেট দেখেন নাই?
উনি আমারে ছুটুবেলা থেকে শিখাইছেন রি-সাইকেল করতে।
টাকা নিচে ফেইলা নষ্ট করবো ক্যান? আর, নোটের বান্ডিল দেখেন, virtua cop এর রিভলবারের মত রিলোড খাইতেছে
..................................................................
#Banshibir.
জবর লাগল! এইভাবে চালাইলে গল্প সংকলন কিন্তু আপনি বের করতেই পারেন!
হ্যাঁ একটা গল্প সংকলন বের করব, তারপরে একটা কবিতার বই
..................................................................
#Banshibir.
জটিল গল্প। আরোও ছাড়েন তাত্তাড়ি।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন