কবুতর ফারুক

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ০৯/০৩/২০১৪ - ১২:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছেলেটি ডান হাতের তর্জনি দিয়ে নাক খুঁটতে খুঁটতে আমাকে জিজ্ঞেস করল, আপনের নাম কবুতর ফারুক?

আমি খেয়াল করলাম নাকের ময়লা সে তার পিরানে মুছল। ভেজাল। আমি উত্তর না দিয়ে বললাম, পাকশালায় তোর কি কাম?

ছেলেটি বলল, আমি ময়দা মাখি। নান রুটির ময়দা।

মুখটা তিতা হয়ে গেল আমার একটু। নানরুটি আমার অতি পছন্দের খাবার। কালকে রাতেও খেয়েছি পাঁচটা। সাথে যে পেটে এই ছেলের নাকের হিঙের তবারক গেছে এইটা এখন বুঝলাম। নাহ শান বাহাদুর কিল্লায় আর নান খাওয়া যাবেনা।

ছেলেটি আবার জিজ্ঞেস করল, আপনের নাম কবুতর ফারুক ক্যান? আপনে কি কবুতর রান্ধেন?

হা হা করে হেসে উঠলাম আমি। পাশে একটা ইটের টুকরা রাখা, সেইটাতে উবু হয়ে বসে বললাম, কবুতর রান্ধি না রে বুরবক। কবুতরের খেল দেখাই আমি। কবুতরের খেল দেখছস কখনো?

ছেলেটির চোখ জ্বলে উঠল উত্তেজনায়, দেখি নাই কবুতরের খেল। আমারে দেখাইবেন?

নবাব সায়েবরে দেখামু বিকালে। উই মাঠে। আহিছ।

দাঁত দেখিয়ে হাসল ছেলেটি, বলল বিকালেই যামু। আইচ্ছা কবুতরের খেল দেখাইলে নাম পাল্টায় কবুতর রাখতে হয়? আপনের নাম কবুতর ক্যান?

আমি গম্ভীর হয়ে মাথা নাড়লাম, এইটা হইল সম্মানের ব্যাপার। রাজা চোগান সিং রে আমি কবুতরের খেল দেখাইছিলাম যখন আমার বয়েস পনেরো। সেই খেল দেইখা খুশী হইয়া রাজা আমার নাম ফারুক থেইকা কবুতর ফারুক বানায় দিছে। এরম তকমা যারে তারে মানুষ দেয় না রে। তোর নাম কি?

সেলিম।

সেলিম। আচ্ছা। সেলিম মনে কর তুই এত ভালো ময়দা মাখা শুরু করলি যে শান বাহাদুর কিল্লার সবাই তোরে ময়দা সেলিম নামে ডাকতে থাকল। দারুণ হইব না জিনিষটা?

ছেলেটি মুখ শুকনা করে বলল, ময়দা সেলিম?

ময়দা সেলিম। কারণ তুই দুনিয়ার সেরা নান রুটির ময়দা মাখাস। সেইরকম ব্যাপার।

ময়দা সেলিম নামটা ভালো হয়নাই, ছেলেটি মাথা নেড়ে বলল, তকমা দিলে দেন বাঘা সেলিম। মাইনসে ভয় পাইব শুনলে।

আমি আবারও হা হা করে হেসে দিলাম। মজার আছে ছোকরা। একেই সাথে রাখা যাক। মাত্র দুইদিন আগে কিল্লায় এসেছি, কালকের মধ্যেই কাজ সমাধা করে দ্রুত সটকে পড়তে হবে। কিল্লার ভিতরে একটা লোক দরকার। আমি সেলিমকে বললাম, কিল্লার উইদিক কি আছে জানোস?

হ। ঢাল।

ঢাল? আচ্ছা। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ঢাল দেখে আসা জরুরি। সামনের দিক মোটামুটি মাথায় আছে, এঁকে ফেলা যাবে। পিছন দিকটা দেখা হয়নি এখনো। আমি উঠে সেলিমকে বললাম, দেখি কেমন বাঘা সেলিম হইছস। আমারে কিল্লাটা ঘুরায় দেখা চল।

আমরা দুইজন হাঁটতে হাঁটতে এগোতে থাকলাম। ভারি চমৎকার বাতাস দিচ্ছে, বাগানের ঘাসে পানি দিতে ব্যস্ত মালির দল। একটু দূরে তেলের ভাণ্ড সামনে রেখে দুই উড়ে ব্যাপক ঝগড়া করছে। বিশেষত্বহীন এক দুপুর। পরশুদিনই সব ফানা ফানা হয়ে যাবে, ভেবে আমি একটু শ্বাস ফেললাম। সেলিম জিজ্ঞেস করল, আপনের কবুতর কয়টা?

তিনটা। গুলজার, পেয়ারিজাদ আর আলমাস। আরো কবুতর আছে, আনিনাই ঐগুলি।

আলমাস আবার কেমন নাম?

আলমাস খুব ভালো নাম। আলমাস মানে হীরা। হীরার টুকরা কবুতর একটা। এক টানে দশ চক্কর আর দুই কুড়ি বাজি দিতে পারে আলমাস।

দশ চক্কর আর দুই কুড়ি বাজি মানে কি?

ততক্ষণে আমরা কিল্লার পিছন দিক চলে এসেছি। আমি উত্তর না দিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম। ঢালই বটে। বেশ গভীর খাদ। তারপরে উঁচা পাঁচিল। এক কোণায় একসারি ঘর। মালিদের ঘর হয়তো। কোন চৌকিখানা দেখা যাচ্ছে না। খাদের কিনারে এক দেহাতি দেখলাম বদনা হাতে যাচ্ছে হাগতে। আচ্ছা। সুতরাং শুধু গভীর খাদই নয় গু ভরা খাদ। বেশ বেশ।

আমি সেলিমকে জিজ্ঞাসা করলাম, পাইক লস্করের ঘর বুঝি ওগুলি?

না, মাথা নেড়ে সেলিম বলল, পাইক থাকে উইদিকে। গোলাঘরের পাশে।

এইদিক পাইক পাহারা দেয় না?

না। মাঝে মাঝে খালি পিশাব করতে আসে। উইদিক ভাঙ্গা দেওয়ালে।

ভাঙ্গা দেওয়াল? আমি মাথা ঘুরিয়ে সেলিমের দিকে তাকালাম সে কোনদিকে ইশারা করছে দেখতে, কোনদিকে ভাঙ্গা দেওয়াল?

উই বাড়ির পিছে। সবাই পিশাব করতে যায়, পিশাব বাইয়া বাইয়া পাহাড় দিয়ে নাইমা যায়। গন্দো!

আমি মনে মনে টুকে নিলাম সকল তথ্য। মন্দ নয়।

…………………………………………………………………………

বিকেল।

খোপ থেকে তিন কবুতর বের করে পিঁজরায় ঢুকিয়ে আমি এগুতে থাকি মাঠের দিকে। খেলা দেখানোর সময়। কোণায় দেখলাম মেলা লোক, আমাকে দেখে সকলে সসম্মানে জায়গা করে দিল। দেখলাম জাজিম পাতা গাছের তলায়। দুইপাশে চালের বস্তার মত ঢাউস তাকিয়া। তাইতে হেলান দিয়ে তরুণ নবাব আজিমুশশান রূপার পাত্রে শরাব গিলছেন। চোখ লাল। আমাকে দেখে হলদে দাঁত বের করে হেসে বললেন, এই যে কবুতর ফারুক। সেই সক্কাল থেকে বসে আছি ইশকবাজি দেখার জন্যে। দেখাও দেখাও জলদি দেখাও কেমন তোমার তেলেসমাতি।

ইশকবাজি নামটা আকবর বাদশার চালু করা। ভালোবাসাবাসি। আমি পিঁজরা থেকে পেয়ারিজাদকে বের করলাম। হাতের উপর রেখে কইলাম হুজুর, এই আমার পয়লা কবুতর। এর নাম পেয়ারিজাদ। বলখ এলাকার পক্ষী এইটা, কিসমিসি রঙ। এর বয়স দেড় বচ্ছর। আজকে এ আপনাদের চক্কর বাজির খেল দেখাবে। হুজুর কি হাতে নিয়ে দেখবেন?

নবাব আজিমুশশান হাত বাড়িয়ে দিলেন। আমি সাবধানে একটা চামড়ার টুকরা তালুর উপর বেঁধে সেখানে পেয়ারিজাদকে বসালাম। পেয়ারিজাদের নখ তেমন লম্বা নয়, বিঁধার কথা না। কিন্তু এই নবাব রাজা মহারাজাগুলা সাধারণত মেয়েলি স্বভাবের হয়, একটু ব্যথাতেই খনখন করে ওঠে। ঝুঁকি নিয়ে লাভ নেই তাই চামড়ার উপরেই বসালাম।

নবাব হাতে নিয়ে আদর করতে করতে বললেন, ভারি নরম পালক তো।

নরম লাগে বটে, কিন্তু খুব শক্ত এদের পালক হুজুর। বাজির খেল দেখানোর সময় এদের মাথা উলটা করে পাক দিতে হয়, নরম পালকে ঐ হয় না।

আচ্ছা বেশ, হাত বাড়িয়ে পাখি ফেরত দিলেন আমাকে নবাব, দেখাও কেমন বাজির খেল পারে পেয়ারিজাদ।

আমি কবুতরের মুখ একদানা খুদ দিয়ে বিশেষ সঙ্কেত দিয়ে উড়িয়ে দিলাম। পেয়ারিজাদ শুরু করল খেল। উড়তে উড়তে আবার ফিরে আসে, মাঝ আসমানে হঠাৎ চক্কর দেয় ডাইন থেকে বামে। আমি সাঙ্কেতিক শিষ দিলাম, শুনে পেয়ারিজাদ এগুতে এগুতে হঠাৎ মাথা নিচে পা উপরে দিয়ে আবার নেমে আসে স্বাভাবিকভাবে। সেই দেখে জনতার সে কি হই হুল্লোড়। হাততালি দিয়ে ওঠেন নবাব, বলেন বহোৎখুব পেয়ারিজাদ, বহোৎখুব! এই বুঝি বাজির খেল?

আমি মাথা নাড়লাম। এই ই বাজির খেল।

আরো সতেরোটা চক্কর আর সাতটা বাজি দেখিয়ে নেমে আসে পেয়ারিজাদ আমার হাতে। আদর করে আরেকটা খুদ খাইয়ে দিলাম তাকে। নবাব কইলেন, অন্য কবুতরের খেল দেখাবে না ফারুক?

আমি পিঁজরা থেকে আলমাসকে বের করে আনলাম।

……………………………………………………………………

রাত।

রঙিন পুলাউ দিয়ে মাখামাখি কাবাবের তরকারি খেয়ে পেট এক্কেবারে ভরা। বাইরে দাওয়ায় বসলাম একটু হাওয়া খেতে। চাঁদের আলো আছে অল্প। বৃষ্টি হবে বুঝি, কেমন ভেজা বাতাস। ভারি আরাম।

পাশে এসে কেউ দাঁড়ালো, কি হে কবুতর ফারুক, খানাদানা হল?

আমি তাকিয়ে দেখি নবাবের দেওয়ান গোলাম হোসেন। শশব্যস্তে উঠে দাঁড়ালাম, জ্বী হুজুর। খানা শেষ।

বসো বসো। ভারি চমৎকার তোমার কবুতর, পেয়ারিজাদ আর আলমাস। লা জওয়াব। যা চক্করবাজির খেল দেখালো আমি তো মুগ্ধ। তবে পেয়ারিজাদ কয়টা কাতিফ দিয়েছিল কিন্তু, চক্কর হয়নি।

আমার মাথায় টংটং ঘন্টা বেজে উঠলো। এই লোক কাতিফ চেনে? আমি তো ভেবেছি নবাবের গুষ্টিসুদ্ধা মহামুর্খ। কাতিফ মানে হল কাঁধ। কবুতরের চক্কর যখন পুরো হয়না, মাঝপথে বৃত্ত ভেঙে যায়, তাকে বলে কাতিফ। পেয়ারিজাদ দুইটা কাতিফ দিয়েছিল ঠিকই। আমি শুকনা মুখে বললাম, কই না তো। সবগুলিই পুরা চক্কর দিয়েছে তো। মাঠে কত লোক দেখল চক্করবাজি কেউ তো কাতিফ কইল না।

হ্যাঁ তা বটে, মাথা নেড়ে দেওয়ান বললেন, আমার দেখার ভুল হতে পারে। এত দ্রুত ওড়ে তোমার পেয়ারি। আচ্ছা যাক, বাদ দাও। তা বলো দেখি ফারুক, তিন নম্বর কবুতর খেলা দেখালো না যে?

আমি একটু চিন্তা করে বললাম, গুলজারের বুখার হুজুর। খেল আজকে হত না।

ওহোহো, বুখার তো বড় খারাপ জিনিস। ভালো যত্ন নাও তোমার গুলজারের। আমাকে জানিও কিছু লাগলে।

বলে তিনি উঠে পড়লেন। তারপর পিছন ফিরে হঠাৎ মনে পড়েছে এইভাবে বললেন, আচ্ছা গুলজার তো রথ কবুতর তাইনা?

আমার বুক ধড়াস ধড়াস করতে লাগল। আস্তে করে আমি বললাম, জ্বী হুজুর।

হেসে ফেরার পথ ধরলেন দেওয়ান। আমি স্পষ্ট দেখলাম তার চোখ হাসছিল না।

সর্বনাশ!

……………………………………………………………………

পরদিন ভোর।

সারারাত ঘুমাইনি। এই লোক কতদূর বুঝেছে? দ্রুত কাজ সারতে হবে, সময় নেই। ভেবেছিলাম সারাদিন সময় আছে, আস্তেধীরে নকশা আঁকা যাবে। সেইটা আর বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কাজ সারতে হবে এখনই। কাগজ আর কাঠকয়লা নিয়ে বসি বরং।

তাড়াহুড়োয় কিল্লার নকশা আঁকতে আরো বেশী সময় লাগল মনে হচ্ছে। যাকগে কি আর করা। কাজ শেষ সেটাই আসল কথা। কাগজ চোদ্দ ভাঁজ করে বাম হাতের মুঠোর মধ্যে নিয়ে বেরুলাম দাওয়ায়। খোপের ভিতর গুলজার একদৃষ্টে চেয়ে আছে আমার দিকে। আমি হাতে নিয়ে একদানা খাবার দিলাম। হিন্দুস্তানের সেরা রথ পায়রা গুলজার। এর রঙ ফিকে নীল, গলার দিকটা সাদা। ঠাস করে দেখলে পত্রবাহক রথ জাতের কবুতর বুঝতে পারার কথা নয়। দেওয়ানের চোখ আছে বলতে হবে।

পায়ের আংটায় চিটঠি বেঁধে উড়িয়ে দিলাম গুলজারকে। ডানা ঝাপটে উড়ে চলে গেল গুলজার। আমি দাওয়ায় বসে রইলাম।

…………………………………………………………………………

বিকেল।

সেলিম পেয়ারা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করল, পাখিরে খেল কেমনে শিখাইছেন? পাখি ডিগবাজি শিখল কেমনে?

মাথার ভেতর একশটা জিনিস ঘুরছে। এই সময় এরকম বোকার মতন প্রশ্নে আমার বেশ আরাম লাগল। গুষ্টি মারি চিন্তাভাবনার, যা হয় হবে। বসে বসে সেলিমের সাথে গপ করি। আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম, খেল শিখাইতে হয় ছুটোকালে। আধাবেলা একবেলা খাওয়াইতে হয় পয়লা মাস, পেটে খিদা থাকলে কথা শুনে। মাসখানেক বয়স যখন তখন এরে হাওয়ায় উড়াই। চক্কর বাজি কিসসু পারেনা তখন, খালি এদিক ওদিক বেতাল উড়ে। তারপরে হাঁপায় গিয়া পরে আর উড়তে পারেনা।

কন কি?

হুমম। তখন গুইণা দেখতে হয় পালক সবডি আছে কিনা। আট/নয়টা পালক পইড়া গেলে তখন আবার খাঁচায় রাইখা মাস দুয়েক দুইবেলা খাওয়াই। এরপরে পালক আবার নতুন কইরা গজায়। এই পালক হইল শক্ত পালক। তখন ডিগবাজি শিখাইতে হয়।

এমন সময় ডানা ঝাপটে গুলজার এসে হাজির হয় আর আমার পায়ের কাছে এসে বসে। সেলিম হাততালি দিয়ে ওঠে, এই যে ফিরত আইছে। আমি তো ভাবছি হারায় গেছেগা। সেই সকালবেলায় উড়াইছিলেন।

আমি গম্ভীর হয়ে গুলজারকে হাতে নিলাম। পায়ের আংটায় কিছু বাঁধা নেই। আজ রাতেই তাহলে সরদার দোস্ত মোহাম্মদ হামলা করবে শান বাহাদুর কিল্লা। দ্রুত সরে পড়তে হবে। খুব দ্রুত। কিন্তু দিনের আলোয় নয়, রাত ঘনালে পরেই। দেওয়ানের লোক ক্যাঁক করে ধরবে এখন গাট্টিবোঁচকা নিয়ে বের হলে।

এই কবুতরের নাম গুলজার ক্যান?

সেলিমের প্রশ্নে আমি ঘুরে তাকালাম। কালকে এই সময় এই ছেলের লাশ হয়তো ঝুলবে ডাবগাছের ডগায়। খারাপই লাগছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সেলিম তুই কার লগে থাকছ? তোর বাপ কি করে?

বাপ মা নাই। ভাই একটা ছিল গত বছর মইরা গেছে। বাবুর্চি জলিল আমার বাপেরে চিনত। হে কইছে আমার বাপজানে নাকি কাবুল থাকে। কাবুল চিনেন?

কাবুল। হ চিনি। খুব ঠাণ্ডা। শীতকালে বিষ্টির মত বরফ পড়ে আকাশ থিকা।

চোখ গোল গোল হয়ে গেল সেলিমের, সত্য? এতো ঠাণ্ডা? মাইনষে কি লেপ মুড়ি দিয়া হাঁটে রাস্তায়?

হা হা করে হেসে উঠলাম আমি। তারপরে নিজেকেই আশ্চর্য করে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আমি কাবুলের দিকেই যাইতেছি। লম্বা রাস্তা। যাবি আমার লগে?

কেন এই কাজ করলাম আমি ঠিক নিশ্চিত নই। একা থাকি, একাই তো ভালো। নতুন যন্ত্রণার কোন দরকার ছিলনা। হুট করে এই কাজ করা মনে হয় ঠিক হয়নাই। আবার আরেকদিকে চিন্তা করলে মনে হয় যাক কবুতর গুলি দেখাশুনা করার মত একটা পিচ্চি থাকলে ভালোই হয়। এই ছেলে কিল্লায় থাকলে মারা যাবে খুব সম্ভব, তার চেয়ে নিয়ে যাই পরে ভাগায় দেওয়া যাবে।

সেলিম দাঁত বের করে হেসে বলল, যামু!

…………………………………………………

রাত।

কিল্লার পশ্চিম দিকের ছোট দরজার বাইরে গাছের তলায় দাঁড়িয়ে আছি কিছুক্ষন হয়। কবুতরগুলি আওয়াজ করছে, দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপদ না। আমি অন্ধকারে আরেকটু ঘেঁষে দাঁড়ালাম। আস্তে করে হৈ হৈ শব্দ শুনা গেল কি?

ভালো মত তাকিয়ে দেখলাম দূরে আলো দেখা যাচ্ছে একঝাড়। মশাল হাতে হামলা করতে আসছে দোস্ত মোহাম্মদের বাহিনী। আমার কাজ শেষ, এইবার জান নিয়ে পালানো যাক। কিন্তু সেলিম ছোকরা কই?

দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে দেখি কিল্লার। আচ্ছা, আর অপেক্ষা করে ফায়দা নাই। যাই হাঁটা ধরি। বহুদূর পথ পাড়ি দিতে হবে, এক রাতের হাঁটা নয়। দেরি করে লাভ নাই।

এগুতে নিয়েছি, এমন সময় শুনি পিছনে কেউ আসছে। আমি কোমরবন্ধে রাখা ছুরিতে হাত দিয়ে নিঃশব্দে ঘুরে তাকালাম।

সেলিম।

হাঁপাতে হাঁপাতে সে বলল, আমগোরে মারতে আসতেছে। লন পলাই। পলায় কাবুল যাই। পুরা রাইত হাঁটলে সকালবেলা কাবুল গিয়া পৌঁছাইতাম না?

আমি অন্ধকারে দাঁত বের করে হেসে দিলাম।


মন্তব্য

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

লেখা জটিলস্য জটিল হইছে।
অসাধারণ লাগল!
সামনের বইমেলায় আপনার বই দেখার আবারও জোর দাবি জানিয়ে গেলাম......। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
আর এইবেলা নতুন বাবা হবার শুভেচ্ছা। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সত্যপীর এর ছবি

সবই আপনাদের দু'আ ও ভালোবাসা।

..................................................................
#Banshibir.

স্পর্শ এর ছবি

ফাটাফাটি! গুল্লি

পুরাই নার্ভাস হয়ে গেছিলাম। আপনার যা খুন খারাবির অভ্যাস। ভাগ্যিস, অন্তত দুইজন বেঁচে গেল।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সত্যপীর এর ছবি

মারতে পারিনাই। এদের দুইটারেই আমার জীবিত প্রয়োজন চিন্তিত

..................................................................
#Banshibir.

স্পর্শ এর ছবি

আরো গল্পের আভাস পাচ্ছি! হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

বন্দনা এর ছবি

প্রথম প্যারা পইড়া কালকে যে নান খাইছিলাম উহা উগড়ায়ে দিতে মন চাইছিল। তবে গল্প ভালা হইছে তাই আপ্নারে মাফ কইরা দিলাম পীরসাহেব।

সত্যপীর এর ছবি

এত ভাবলে জীবনে বাঁচতে পারতেন্না। বাদ দেন। খায়া ঘুম যান।

..................................................................
#Banshibir.

রিসালাত বারী এর ছবি

বড়সড় উপন্যাস লেখেন। ছোট লেখায় আর পুষায় না গুরু গুরু

সত্যপীর এর ছবি

বেশী লিখলে ঘুম আসে ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

সেই রকম গপ্পো ফাঁদছেন পীস্সাব হাসি জটিলস্য!


_____________________
Give Her Freedom!

সত্যপীর এর ছবি

ধইন্যবাদ মিয়াভাই।

..................................................................
#Banshibir.

মুদ্রা সংগ্রাহক  এর ছবি

বরাবরের মতই দারূণ। থিবো সায়েবের কি খবর?

সত্যপীর এর ছবি

থিবোতে আটকায় গেছি ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

হা হা হা!

****************************************

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

নেশা ধরিয়ে দিয়ে নেশা কাটান দেন মশাই - বারীর সাথে সুর মিলিয়ে বলি উপন্যাস দেন, না হলেও অন্তত: থিবো বা ফাঁসুড়ের মত বড় গল্প দেন। তবে পর্ব দিতে দেরী করবেন না।

____________________________

সত্যপীর এর ছবি

টানা লিখলে ঘুম আসে মন খারাপ

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এহ প্লট যেমুন জমছিল, আরেট্টু মারামারি, আরেট্টু জমজমাট, আর আরেট্টু খোলাসা আশা করছিলাম। সেরম জইমাও কেমন জানি হুট কইরা শেষ হইল বইলা মনে হইল আমার কাছে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আশা করেছিলাম টুইস্ট

----ইমরান ওয়াহিদ

সত্যপীর এর ছবি

আমিও।

..................................................................
#Banshibir.

সত্যপীর এর ছবি

হ্যাঁ প্লট বিস্তৃত। চাইলে আরেকটু আগে থেকে শুরু করা যেত। দোস্ত মোহাম্মদ কেন নবাবরে দেখতে পারেনা, কবুতর ফারুকরে সে কই পাইল, মারামারি কুন্দিক দিয়া হইল কেই বা জিতল, গোলাম হোসেন মামু কবুতর এক্সপার্ট কেন ও কিভাবে ইত্যাদি। এগুলি করা যেত। সমস্যা হল আমার তাল কেটে যেত। আমি কবুতরের খেলা নিয়ে একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম, যেরকম প্ল্যান আছে মোরগ লড়াই নিয়ে গল্প লেখার। আর চেয়েছিলাম একটা ক্যারেক্টার তৈরি করতে যাকে আমি পরে আবার অন্য কোন গল্পে আনব। তাই এইটা লিখলাম। বিস্তারিত উপন্যাস লেখার মত সময় বা সাধ্য আমার নাই মন খারাপ

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বিস্তারিত উপন্যাস লেখার মত সাধ্য আপনের আছে। সুমায় এট্টু কষ্ট কইরা বাইর করেন আমাদের জন্য।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সত্যপীর এর ছবি

টুকটাক নেট প্র্যাকটিস করতেছি। বড় হইলে মোগল বাদশাহী নিয়া একটা জম্পেশ উপন্যাস লিখতে চেষ্টা দিমু ঠিকই। হাত পাইকা ঝুনা হউক।

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পটা পড়তে অনেক মজা লাগতেসিল কিন্তু হঠাত করে রাত হয়ে গেল কেন? মজাটা জমার আগেই শেষ হয়ে গেল। নবাবের দেওয়ান গোলাম হোসেনের সাথে পূর্ণ সুবিচার করা হল না মন খারাপ

ওয়াইফাই ক্যানসার

সত্যপীর এর ছবি

কথা সত্য।

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

নাকের হিং পেটে গেলে কোন অসুবিধা নাই, ফুসফুসে গেলে অসুবিধা হতে পারে(কপিরাইটঃ অনার্য সংগীত)। গল্পের শেষে তো "ক্রমশঃ" দেখলাম না(উদ্বিগ্ন হওয়ার ইমো হবে)!

সত্যপীর এর ছবি

ক্রমশঃ নাই বস। ক্রমশঃ থাকলে পাঠকের প্রতি একটা অবলিগেশন থাকে, থিবোতে যেরকম আটকায় গেছি ওইরকম। কবুতর ফারুক আর বাঘা সেলিমরে হিল্লি দিল্লী পাঠানোর প্ল্যান। তারা হয়তো আরাকান গিয়া মগে মোগলে ফাইটের মাঝখানে পড়বে, বা সুরাট গিয়া সাহেবদের সাথে চা খাবে। বা অন্যরকম কিছু। ঠিক করিনাই এখনো। তবে স্ট্যান্ডএলোন গল্প হবে ওগুলি, ধারাবাহিক নয়।

..................................................................
#Banshibir.

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

আপনার গল্প পড়তে ভালো লাগে। এবারেরটাও ব্যাতিক্রম না। দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভাই।

..................................................................
#Banshibir.

আয়নামতি এর ছবি

উত্তম জাঝা!
রাজা চোগান সিং আপনার ঠিক কোন কেরামতির গুণে 'সত্যপীর' নামখান দিলেন জান্তে ইচ্ছা করে।
তারেও কী এমন চমকদার গপ বলেছিলেন নাকি?
ছোডুকালে একবার বাইনো তাক করে একটা সিঙ্গারা আলুপুরী/ডালপুরীর দোকানে বেসম্ভব বেপার দেখার ঘটনা মনে আসলো শয়তানী হাসি গপটা হুট করেই শেষ করলেন যেন। আরেট্টু শাশপেনশে টানতেন পাঠকরে। দুই একটা পাঠকের দম আটকে মরার দশা না হইলে কেম্নে হয় শয়তানী হাসি বাপ্রে আপনার দেখি টাইপো করার সৎগুনটা নাই প্রায়। আজব! অন্নেক খুঁজে এইটা

চিটঠি

পাইছি দেঁতো হাসি আপনাদের সন্তান প্রাপ্তির অভিন্দন শুভেচ্ছা থাকলো ভাইয়া।

সত্যপীর এর ছবি

চিটঠি কিন্তু ইচ্ছা কইরাই দিছি, কানে লাগতেছে?

..................................................................
#Banshibir.

আয়নামতি এর ছবি

কানে লাগেনি আমি বুরবক ভেবেছি ওটা টাইপো খাইছে

সত্যপীর এর ছবি

কুনু ব্যাপার না। দেখায়েন বানান ভুল থাকলে। আমি গুগল ডকসে লিখি, পরে সচলে পাব্লিশ করার আগে একবার রিভিউ দেই। বানান ভুল থাকা অস্বাভাবিক না।

আলুপুরি ডালপুরি দোকানের বেসম্ভব ব্যাপারটা কি ময়দা সেলিমের কাছাকাছি ঘটনা?

..................................................................
#Banshibir.

আয়নামতি এর ছবি

আমার নিজের বানানই অপুষ্টিতে ভোগে ভাইয়া ইয়ে, মানে... আলুপুরী/ডালপুরীর বেসম্ভব কাহিনি আপনার বাঘা সেলিমের কাছে নস্য। থাক ওটা গুপুন। নইলে উদাস ভাইয়ার বদরুল বাহিনি না খায়া মরবে। সাথে সাথে আরো অনেকেই। মোঘলদের নিয়ে উপন্যাসটা জলদি জলদি শুরু করেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

চিটঠী তো উর্দ্দু, টাইপো না।

----ইমরান ওয়াহিদ

সত্যপীর এর ছবি

হ।

..................................................................
#Banshibir.

মেঘলা মানুষ এর ছবি

দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল সাসপেন্সে!
প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত কবুতর দিয়েই কোন খুন-খারাবি করিয়ে ফেলবেন ড্রোন হামলার মত
আপনি পারেনও বটে।

শুভেচ্ছা হাসি

সত্যপীর এর ছবি

জীবন আচানক। কখন কি হয় কে ই বা বলতে পারে কন চিন্তিত

তবে বুদ্ধিটা খারাপ না। কবুতর না হইলেও বাজপক্ষী দিয়া খুন খারাপীর অ্যাটেম্পট নেওয়া যাইত।

..................................................................
#Banshibir.

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ধরেন, কবুতরের ঠ্যাংয়ে একটা ছুরি ধরা থাকে, মালিকের ইশারামত কবুতর জায়গামত ছুরি ড্রপ করে দেয় -এমন একটা কিছু কি হতে পারে না চিন্তিত

সত্যপীর এর ছবি

আস্তা ছুরি নিয়া কবুতর উড়তে পারব না আরাম কইরা, ছোট পলকা ছুরি লাগব। পলকা ছুরিতে মানুষ মরার সম্ভাবনা কম। কবুতর দিয়া এই স্টাইলে খতম করতে হইলে বিষ মাখানো সুঁই টাইপ কিছু দিয়া কাজ হইতে পারে চিন্তিত

..................................................................
#Banshibir.

মেঘলা মানুষ এর ছবি

খাইছে, আপনি তো দেখি মানুষ মারার বিষয়ে বিশাল ওস্তাদ।
আপনার থেকে ১০০ হাত দূরে থাকতে হবে
অ্যাঁ

সত্যপীর এর ছবি

গপ্পো লেখা সহজ নয় খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বিষ মাখানো সুঁই টাইপ কিছু দিয়া কাজ হইতে পারে

হৈতে পারে, তবে তার আগে কবুতরকে মানুষ চেনার একটা বিশেষ কোর্স করতে হবে। তা না হলে কার না কার ঘাড়ের উপর সুঁই বর্ষণ করবে কে জানে।

সত্যপীর এর ছবি

গুড পয়েন্ট। কবুতরকে শিখানো যায় বিশেষ সঙ্কেত, যেমন বিশেষ কালারের পাগড়ি দেখলেই ড্রপ দা বম্ব। অথবা কোন নির্জন রাস্তায় কেউ হেঁটে গেলে তার উপর। ইত্যাদি।

তবে বাজপক্ষীই আসলে দরকার, কবুতর না। ছাগল দিয়া হালচাষে ব্যাপক অসুবিধা খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

সুরঞ্জনা এর ছবি

বাহ! হাসি
কিন্তু এর পরের গল্পে এমন ফাঁকি দিয়ে শেষ করবেন না খবরদার! একদম এক কেজি উষ্টা পাঠিয়ে দেবো। ম্যাঁও

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

সত্যপীর এর ছবি

পাঠান এক কেজি উষ্টা। পিঁয়াজ দিয়া ভুনা কইরা দেখি কেমন লাগে খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

সাফি এর ছবি

সাংঘাতিক হয়েছে পীরবাবা

সত্যপীর এর ছবি

খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

কৌস্তুভ এর ছবি

ইটি কোন কেল্লার কাহিনী?

সত্যপীর এর ছবি

নবাব আজিমুশশানের নবনির্মিত শান বাহাদুর কিল্লা। স্থান কাল অজ্ঞাত (মনগড়া আর কি দেঁতো হাসি )

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

মচৎকার হইছে।

কড়িকাঠুরে

সত্যপীর এর ছবি

বইন্যধাদ।

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

চলুক দারুন!

তবে গল্পটা ছোটগল্প সাইজের হলে কি হবে, পড়া শেষে স্বাদ বা অনুভূতিটা কিন্তু অণুগল্প টাইপের হয়ে গেল। এইটা কেমন যেন ভাল লাগে নাই। এন্ডিংটায় আরেকটু জটিলতাযুক্ত করলে ভাল হত।

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

হ এন্ডিং এ বকা খাইতেছি। পরের বার কাঁপানি এন্ডিং দিমু চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার গল্প। গল্পের প্লট অনেক আগের সময়কে তুলে ধরলেও আধুনিকতায় পরিপূর্ণ।

আপনার সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় হওয়ার ইচ্ছাটা আরো তীব্র হল।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

সত্যপীর এর ছবি

হ পুরান দিনের গল্প মজা আসে।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

জটিল!! ভালো লেগেছে।

রু

সত্যপীর এর ছবি

ধন্যবাদ অশেষ।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্যপীর দা,

আপনার বর্ণনাই বলে দিচ্ছে আপনি খুটিয়ে খুটিয়ে মানুষকে পরখ করে দেখেন। চোখের একটা চশমা থাকলে অবাক হবোনা। এক কথায় চমৎকার হাসি

শাহ্‌ ওয়ায়েজ( shah waez)

সত্যপীর এর ছবি

হ চশমা ছাড়া কিছু দেখিনা ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

তিথীডোর এর ছবি

গল্প সেইরকম জমেছিল! শেষটা আরেকটু জমাটি হলে মডুকে চিটঠি লিখে ছয় তারা দাগাতুম। চাল্লু
পরেরটা ছাড়ুন জলদি।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সত্যপীর এর ছবি

যাক মডুরাম বাঁইচা গেল এই যাত্রা।

পরের গল্প কিল্লা মুবারক মোটামুটি শেষ। সামনের সপ্তায় নাইলে পরের সপ্তায় ঢাকাসহ সারাদেশে শুভমুক্তি।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

মজা পাইছি। শেষ টুকুর কথা সবাই কইল দেইখা আমি কিছু কইলাম না। খাইছে

সুবোধ অবোধ

সত্যপীর এর ছবি

ঠিক আছে।

..................................................................
#Banshibir.

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চমৎকার লাগলো গপটা। সচলের নীড়পাতার গল্পগুলো পড়ে যাচ্ছি টানা। এইটা সবচেয়ে ভালো লাগলো হাসি
আপনি গল্প সংকলন প্রকাশের কথা ভাবতে পারেন।

সত্যপীর এর ছবি

অতিথি লেখক তানভীর রাব্বানির লেখা "বিলাতি কুত্তা" গল্পটা দারুণ লেগেছে আমার কাছে।

আরো কয়টা গল্প হউক ইবুক করার কথা ভাবা যাবে বস। তাড়া কি।

..................................................................
#Banshibir.

স্যাম এর ছবি

সুহান দার মন্তব্যে ভোট দিলাম !
তবে ভাবাভাবি নাই পীরসায়েবের বই চাই!

খুব, খুব ভাল লেগেছে সত্যপীর।

সত্যপীর এর ছবি

দুইটা কলিজার সিঙ্গাড়া খাওয়ান, ভাইবা দেখি বইয়ের কথা।

..................................................................
#Banshibir.

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সত্যপীর এর ছবি

আরে ধুগোদা যে। আদাব ও ছালাম। এই লন আপনের জন্য হিঙের তবারক বিহীন নানরুটিঃ

..................................................................
#Banshibir.

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অনেকদিন পর আপনার আরেকটা ব্র্যাণ্ড গল্প পড়লাম। পুরোনো দিন আমাকে টানে বলে আপনার গল্পগুলোর মধ্যে নস্টালজিয়ার স্বাদ পাই। এই গল্পটার একটা বিশেষত্ব হলো, যেন ছোটখাট একটা সিনেমা দেখে ফেললাম পড়তে পড়তে। মোগলযুগের শব্দচয়ন চমৎকার লেগেছে। এই শব্দগুলো কোথা থেকে যোগাড় হয় সেই গুপ্তবিদ্যা নিশ্চয়ই প্রকাশ করার মতো না? হলে জানতে চাইতাম খাইছে

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সত্যপীর এর ছবি

হা হা গুপ্তবিদ্যার কি আছে। এই গল্পের রসদ আমি মূলতঃ নিয়েছি ফযল মামুর আইন ই আকবরি আর ওয়ালি মুসাভি'র কবুতরনামা থেকে। কবুতরনামা আসল বইটা পাইনাই অবশ্য, আরেকখান বইতে এই বই থেকে তথ্য আছে সেইখান থেকে পাইছি। ওয়ালি মুসাভি কামেল ব্যক্তি, তিনি কক ফাইট নিয়া মুর্গনামা ও লিখা গেছেন। বর্তমানে সেই বইয়ের সন্ধানে মমিন।

..................................................................
#Banshibir.

এক লহমা এর ছবি

নেট প্র্যাকটিস চালায় যান, আমরা পড়তে থাকি। হাসি
এই পর্বের প্রধান চরিত্র দুইটা বাঁচায় দিছেন সত্য, কিন্তু কিল্লাখানার সর্বনাশ হৈয়া গেল গা! পীরবাবার গপ্পে খুনাখুনির ছাড়ান নাই! শয়তানী হাসি
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সত্যপীর এর ছবি

নবাবের কিল্লা পুড়লে আপনের কি? কিল্লা থাকলেই কি আর আপনারে ডাইকা রুপার পাত্রে শরাব পিলাইত? গেছে ভালো হইছে চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

এক লহমা এর ছবি

হ কিল্লা পুড়লে আমার কি? কিন্তু কিল্লার নিরীহ মানুষগুলা, পশুপক্ষীগুলা পুইড়া গেল, এই আর কি! মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ফাহিম হাসান এর ছবি

চমৎকার লেগেছে। রীতিমত নিঃশ্বাস বন্ধ করে একটানে পড়ে ফেললাম।

সত্যপীর এর ছবি

ধন্যবাদ বস।

..................................................................
#Banshibir.

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ভাগ্য ভালো যে গল্পটা বেশি লম্বা না, তা না শ্বাস বন্ধ হয়ে মরেই যেতেন

চরম উদাস এর ছবি

অনেক দেরীতে পড়লাম। জটিল হাততালি

সত্যপীর এর ছবি

আপনে রিপিট অফেন্ডার। আগেও কুন এক লেখা পরে পইড়া পাঁচ টেকা জরিমানা গুনছিলেন। আপনের কি টেকার মায়া নাই?

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম... বরাবরের মতই চমেতকার... বইয়ের দাবিতে আমিও ভূটাইলাম হাসি

(থিবো কোনে গো?)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

থিবো সাহেব দৌলতের কাছে আছে আপাতত, থাকতে দেন। সাহেব সুবোদের কাণ্ডকারখানা নিয়ে এত প্রশ্ন করলে চলপে! রেগে টং

সত্যপীর এর ছবি

বড় হইয়া থিবো লিখুম।

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া
নাদেরালী, আমি আর কত বড় হব???

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

নাদেরালী এই পশ্নের জওয়াব দিতে দিতে ক্লান্ত।

..................................................................
#Banshibir.

তানিম এহসান এর ছবি

বহুদিন পর সচলে এসে এই গল্প, পড়তে দারুণ লাগলো। আপনি লিখতে থাকুন নিজের মত করে।

সত্যপীর এর ছবি

ধন্যবাদ বস। আসেন ভালো?

..................................................................
#Banshibir.

রানা মেহের এর ছবি

কী চমৎকার লিখেছেন।
এত ডিটেইল পেলেন কোথায়?
দেওয়ানের চরিত্রটা আরো একটু মনোযোগ দাবী করে

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সত্যপীর এর ছবি

হ্যাঁ দেওয়ান গোলাম হোসেন চালু ব্যক্তি। আশা করি সে কিল্লার আগুনে পুড়ে মারা গেছে, না হলে ভবিষ্যতে ভাইসাহেব কবুতর ফারুকের কল্লার খোঁজে বের হতেও পারে চিন্তিত

তথ্য আমি নিয়েছি মূলতঃ আবুল ফযলের আইন ই আকবরি আর ওয়ালি মুসাভির কবুতরনামা থেকে। খুবই চমকপ্রদ দুইটা বই।

..................................................................
#Banshibir.

কল্যাণ এর ছবি

পুলা দুইডা বাইচা গেল যে!

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সত্যপীর এর ছবি

কাল্কা মারুম।

..................................................................
#Banshibir.

কল্যাণ এর ছবি

মরে না কেলা পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।