রাজা চমন সিং আমার দিকে তাকিয়ে কৌতুকের স্বরে বললেন, তোমার নাম কবুতর ফারুক?
আমি ঘাড় নাড়লাম। আমিই কবুতর ফারুক।
দামড়া পুরুষমানুষ পায়রা কবুতর নাম নিয়া ঘুরো তোমার লজ্জা নাই?
অপমানটা আমি হজম করলাম। পরে দেখা যাবে। জিব কেটে বললাম, জ্বী হুজুর। কি যে বলেন হুজুর। এইটা বড় সম্মানের তকমা, রাজা চোগান সিং কবুতরের খেল দেখে খুশী হয়ে নাম পালটে দিছিলেন যে!
চোগান সিং এর নামে ভাতিজা চমন সিং এর চোয়াল শক্ত হয়ে উঠল। হিসহিস করে তিনি বললেন, কুত্তার পোলা চোগান সিং এর নাম আমার সামনে তুলবি না।
তুমি থেকে তুইয়ে নেমে গেলাম দেখি। দরবারের মাঝখানে চড়থাপ্পড় একটা দিয়ে বসলে বড় মুস্কিল হবে। ইজ্জতের ব্যাপার। আমি সাবধানে গলা খাঁকারি দিয়ে বললাম, অবশ্যই হুজুর। বিরাট কুত্তার পোলা ছিলেন চোগান সিং। এরকম কুত্তার পোলা সচরাচর দেখা যায়না।
মস্করা করবি না। তুই চোগান সিং এর পুরান চ্যালা। চোগান সিং কোথায় তুই ঠিকই জানিস।
আমি চোখ কপালে তুলে বললাম, চোগান সিং এর চেহারাই আমার মনে নাই হুজুর। আমি দুই বচ্ছর এদিক মাড়াই নাই হুজুর কসম আল্লার কসম।
ভুরু কুঁচকে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন রাজা চমন সিং। তারপর পাশে রাখা আরকে এক চুমুক দিয়ে বললেন, চোগান সিং কে পাচ্ছি না। সে এলাকা ছাড়ে নাই, আমার লোকে খবর পেত। সে আছে কোথাও ঠিকই, চোরের মত গা ঢাকা দিয়ে।
খুবই লজ্জার কথা, আমি মাথা নেড়ে বললাম, ডরপুক!
পাশে বসা আমীর খুররম গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, ফারুক। শান বাহাদুর কিল্লায় গিয়েছিলে শুনলাম?
জ্বী, আমি বললাম, সেখান থেকেই আসছি। খুব গোলমাল ওদিকে।
মিষ্টি হেসে খুররম বললেন, হ্যাঁ বড্ড গোলমাল। কিল্লার ফটকে আজিমের কল্লা ঝুলিয়ে দিয়েছে খবর পেলাম। কি ঘটনা কিছু জানো নাকি?
না জানি না হুজুর। বড় সুন্দর কিল্লা ছিল। কবুতরের খেল দেখাইতে গেছিলাম।
কবে?
ষোলদিন হয়।
ষোলদিন, গম্ভীরভাবে চমন সিং বললেন, ষোলদিন। আচ্ছা। কিল্লা পুড়ল চোদ্দদিন হয়। কপালটা ভালোই তোমার ফারুক।
তুই থেকে আবার তুমিতে উঠেছি দেখে ভালো লাগল। আমি সায় দিয়ে বললাম, জ্বী হুজুর। বড় বাঁচা বাঁচছি।
…………………………………………………………………………
বিকাল।
সেলিম এক টুকরা রুটি চিবাতে চিবাতে বলল, এইটা নয়া কবুতর?
আমি ফিরোজাকে একদানা খুদ দিয়ে হাত বুলিয়ে আদর করে বললাম, হ্যাঁ। ফিরোজাকে তুই দ্যাখস নাই। খুব তেজী কবুতর এইটা, ঝড়বাদলের রাতে একদিন সারারাইত উইড়া আসছিল।
রাতটা গাছে জিরায় সকালে আসলেই হইত, সেলিম বলল, বেকুব কবুতর।
উঁহু, আমি ঘাড় নেড়ে বললাম, রাতের কাম রাইতেই সারতে হয়। ভোরের আলোয় রাতের কাম হয়না। বুঝবি তুই একদিন।
সেলিম মনোযোগ না দিয়ে পাশের বরই গাছ মন দিয়ে দেখতে লাগল। আমিও ফিরোজার পায়ের আংটায় কাগজ বেঁধে উড়িয়ে দিয়ে উঠে পড়লাম। পাশে বড় মাঠের মত খোলা জায়গা, তার ওপারে নানান লোকের হাউকাউ। কিছু একটা হচ্ছে ঐদিকে। কারখানা কোন রকমের? দেখে আসি বরং।
গিয়ে দেখি বিরাট আয়োজন, জনা পঞ্চাশ লোক কাজে ব্যস্ত। একধারে লাঠি হাতে এক গোঁফওলা লোক দুইটা হাড় জিরজিরে কামলাকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছে। ঘটনা কি জানা দরকার। এক কোণায় বুড়ামত এক লোক কি একটা গালিচার মত জিনিস গুটলি পাকাচ্ছে, আমি তাকে গিয়ে ধরলাম।
এই বুড়া মিয়া, বললাম আমি, এইটা কি জায়গা? কারখানা?
গালিচায় গুটলি পাকাতে পাকাতে সে বলল, ফরাসখানা।
ফরাসখানা। আচ্ছা আচ্ছা। ফরাসখানা কারখানাই একরকম। গালিচা যুদ্ধের তাম্বু হেরেমের পর্দা কাঠের আসবাব এইগুলা মেরামতির জায়গা। আগে রাজা চোগান সিং এর আমলে যখন এসেছিলাম তখন এইখানে ফরাসখানা ছিলনা। সত্য বলতে কি এরকম আলাদা পেল্লায় ফরাসখানা ওনার আদৌ ছিলনা সম্ভবত। এইটা নূতন।
এমন সময় কে জানি লাঠি দিয়ে পিঠে দিল গুঁতা। তাকিয়ে দেখি সেই গোঁফওলা চৌকিদার। আমায় বলে, তুই কে রে?
খামোকা তুই তোকারিতে আমি একটু বিরক্ত হলাম। বললাম, আমি কবুতর ফারুক। রাজার মেহমান। গুঁতায়েন না পেটে।
গোঁফওলা একটু থতমত খেল। তারপরে বলল, মেহমান তো ফরাসখানায় কি? এদিক কাজ চলতেছে, আপনে যান।
যাইতেছি ঠিক আছে, আমি উঠলাম। তারপরে দেখি ঘরের মাঝে সাত পালোয়ানে হুই হুই শব্দ করতে করতে কি একটা দাঁড় করাচ্ছে। চারটা ডাণ্ডা ধরে আছে চারজন, পাশে দুইজনে এক নকশাকাটা গালিচা ধরে তোলার চেষ্টায় আছে। আমি সেইদিক আঙুল তুলে বললাম, এরা কি দাঁড় করায়? নামগিরা?
তারিফের দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকাল গোঁফওলা, হ নামগিরা। একটা ডাণ্ডা ব্যাঁকা একটু, সময় লাগে।
আমি মনে মনে একটু হিসাব করলাম। নামগিরা রাজাবাদশার তাকিয়া হেলান দিয়ে বসার জায়গা, বাইরে বসায়। এখন বিষ্টি বাদলার দিন, বাগানের জন্য নামগিরা নিশ্চয়ই তৈয়ার করছেন না চমন সিং। তাহলে কি ওনার যুদ্ধে যাবার মতলব এখন? আশপাশে দেখলাম তাম্বুর কাজও চলছে। রাজা কি সফরে যাওয়ার ভাও করছেন না যুদ্ধে?
হিসাব এই মুহুর্তে মিলবে না। মেলার দরকারও নাই। মাথায় রাখলাম খালি জিনিষটা। নামগিরার কাজ চলছে। বিষ্টির মৌসুম।
ঘরে ফিরে দেখি ফিরোজা ফিরে এসেছে। আমি একদানা খুদ খাইয়ে পায়ের আংটা থেকে কাগজ খুলে নিয়ে ঘরে ঢুকলাম।
কাগজে দেখলাম একটা হাতে আঁকা কিল্লার পাতালঘরের নকশা। আর নিচে আমার পরিচিত হাতে লেখাঃ
“পাগড়ির ভেতর। সুড়ং দুই। বাম দিকে পাঁচ। বাম দিকে সাত। বাম দিকে এগারো। তিন তিন চার। শেষমাথা ডাইনে বাগে বুলবুল। ফাঁসিঘর তিন তিন তিন।
ভালো আছেন?”
আমি হাসলাম একটু। ভালো আছি।
…………………………………………………………………
মাঝরাত। বা তার কিছু পরে।
আমি ভাবছি পাগড়ির কথা। পাগড়ির ভেতর। এইটা কি বুদ্ধিমানের মত কাজ করলেন রাজা চোগান? পাগড়ি তো খুলে রাখবেই চমন সিং। সরিয়ে ফেললে মুস্কিল। এছাড়া পাগড়ি জিনিসটা হাত করাও কঠিন। যেকোন রাজা বাদশাই পাগড়ি মাথার পাশে নিয়ে ঘুমাবে। তার মানে রাজার কল্লা নিতে হতে পারে।
দীর্ঘশ্বাস ফেললাম আমি একটা। খুন খারাপি বাজে ব্যাপার। তবে চমন সিং একটা নর্দমার কীট এইটা ঠিক, মারতে হলে এরকম কীট মারাই ভালো। শুনেছি রাজা চোগান সিং গা ঢাকা দেওয়ার পরে তার চারটে পছন্দের সুন্দরী দাসী উত্তর ফটকে ধরা পড়ে, চমন সিং তাদের দেওয়ালের উপর নাঙ্গা করে আধাবেলা দাঁড় করিয়ে রেখেছিল মেরে ফেলার আগে।
হারামজাদা মরলেই ভালো।
নিঃশব্দে আমি বেরিয়ে পড়লাম। এই কিল্লা আমি হাতের তালুর মত চিনি, আর পাতালঘরের নকশাও মুখস্ত করেছি সকালে। বাগানের পাশে ভাঙ্গা ঘরের পাশ দিয়ে ঢুকলাম আমি নকশামত। সুড়ং দুই দেখলাম ব্যাপক চিপা। পাশ ফিরে আস্তে আস্তে এগুতে হয়। একটা পোকা ইজেরের ভিতর ঢুকে পড়েছে, কামড়ে না দিলেই হয়। যন্ত্রণা।
বাম দিকে পাঁচ ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালাম। টোকা দিলাম তিনবার, তিনবার, চারবার। কেউ দরজা খুলে দিল না, তবে ভেতরে লোকজনের হঠাৎ পায়ের আওয়াজ পেলাম ঠিকই। এরা রাজা চোগান সিং এর লোক। আমি ভেবেছিলাম টোকা দিলে আমার সাথে বেরুবে, অন্যদিক দিয়ে গেল দেখলাম। যাক আমার কি, জায়গামত গিয়ে চমন সিং এর পেয়াদার কল্লা নামিয়ে দিলেই হল।
একই ঘটনা পরবর্তী কক্ষে। টোকা দেবার পরে পায়ের আওয়াজ, তারপর দীর্ঘ নীরবতা। এগারোতম কক্ষে টোকা দিতেই খট করে আওয়াজ হল একটা। আর কোন সাড়াশব্দ নাই।
আমার বুকের ধুকপুকানি বাড়ছে। ঘটনা কোনদিকে এগুচ্ছে জানার উপায় নাই এখন আর। আল্লা ভরসা।
শেষমাথায় গিয়ে ডাইনে দেখলাম দরজা। আমি কোমরে ছুরি শক্ত করে ধরে আস্তে করে দরজা নাড়িয়ে ঘরে ঢুকলাম। অন্ধকার সিঁড়ি। বেয়ে বেয়ে উপরে উঠার সময় হঠাৎ বুঝলাম কেউ দাঁড়িয়ে আছে নিঃশব্দে।
মুগুরের মত কিছু একটা দিয়ে মাথার পেছনে বাড়ি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম আমি।
………………………………………………………………………
চোখ খুলে দেখি দুই হাত বাঁধা আমার। গোল একটা কক্ষ। উপরে কাঠের ভারি তক্তা আড়াআড়িভাবে ঝুলানো, সেটাতেই আমার হাত বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা।
তলায় কি? গর্ত? আমি ভালোভাবে মাথা নিচু করে তাকালাম। গর্তই। গভীর কুয়া একটা।
বিদ্যুচ্চমকের মত আমি বুঝলাম আমি ফাঁসিঘরে। এই ঘরে আমার এমনিতেই আসার কথা ছিল, তবে এইভাবে আপ্যায়ন করে আনা হবে বুঝি নাই। ঝামেলা হল।
দরজা খুলে একজন ঢুকলেন। তার পিছনে এক পেয়াদা। আমি চিনলাম, আমীর খুররম। তিনি আমার চোখে চোখ রেখে কটমট করে চেয়ে রইলেন, চোখে আগুন। আমি ফ্যাকাসে হাসলাম।
এমন সময় ঝড়ের বেগে আসলেন রাজা চমন সিং। একেবারে আমার সামনে এসে বললেন, শুয়োরের বাচ্ছা!
আমি ঠোঁট চাটলাম একটু। তারপরে বললাম, পানি খাব।
তিনি বললেন, পানি তোর পিছন দিয়ে ঢুকিয়ে দিব শুয়োরের বাচ্ছা। কুত্তার ছাও। চোগান সিং এর চর আজ তোর শেষ দিন।
এই সময় আমীর খুররম এগিয়ে এলেন। বললেন, উপরে মহলে আর চৌকিখানায় চোগান সিং এর লোক তরবারি নিয়ে ঢুকেছে শুনলাম। চোগান সিং কোথায়? সে ই কি তোকে পাঠিয়েছে? ঠিক করে বললে ছেড়ে দেব তোকে বল।
মহলে তরবারি? আমার মাথায় টংটং ঘন্টা বেজে উঠল। সর্বনাশ। মহলে তো তারাবাঈ। সে কি পালাতে পেরেছে?
বল কুত্তার বাচ্চা, চিৎকার করে উঠলেন রাজা চমন সিং, চোগান সিং কোথায়?
আমি আবার ঠোঁট চাটলাম। বললাম, আরক আছে নাকি হুজুর?
চোখ লাল করে রাজা পেয়াদাকে ইশারা দিলেন। সে এসে আমার পিছনে এসে দাঁড়াল।
আমি চট করে মাথা কয়টা গুণলাম। পেয়াদা দুইটা, আর লোক দুইটা। দুয়ে দুয়ে চার। চার বিয়োগ চার শুণ্য।
পেয়াদা রশি ঝুলাল একটা উপরের খাম্বায়। তারপর আমার গলায় রশির মাথায় ফাঁসটা ঢুকিয়ে দিল। আমি চিৎকার করে কেঁদে উঠলাম, মারবেন না হুজুর। আমি জানি চোগান সিং কোথায়। আমায় ছেড়ে দিন।
হাত তুলে থামার ইশারা দিলেন রাজা চমন সিং। তারপরে বললেন, কোথায়?
আমি বললাম, উপরে খোলা জানলা মত দেখি। আমি দুই আঙ্গুলে শিষ দিলে কবুতর ফিরোজা আসবে, তার কাছে খবর আছে চোগান সিং কোথায়।
রাজা আর আমীর খুররমকে একটু বিভ্রান্ত দেখাল। তারপরে ইশারা দিতে আমার নামিয়ে আনা হল আর হাতের বাঁধন খুলে দিতে বলা হল। আমি মাটিতে বসে পড়লাম ক্লান্তিতে। হাতে প্রচণ্ড ব্যথা। হাতকে বিশ্রাম দিতে হবে যতদূর সম্ভব। হাত আমার দরকার। একটু পরেই।
পাছায় দড়াম করে লাথি খেয়ে আবার উঠতে হল। বললাম, শিষ দিচ্ছি হুজুর।
কানি চোখ দিয়ে চেয়ে দেখি পেয়াদা আমার ঠিক পাশে। আমার হাতের দুরত্বেই তার বিচি। সর্বশক্তি দিয়ে ডান হাত দিয়ে তার বিচিতে দিলাম একটা বাড়ি। আঁউক শব্দ করে পিছিয়ে গেল সে এক কদম, সঙ্গে সঙ্গে তার তলোয়ার পাকড়ে নিয়ে ঢুকিয়ে দিলাম তার পেটে।
দিতে দিতেই বুঝলাম অন্য পেয়াদা তেড়ে আসছে। দ্রুত সরে এসে ঘাড়ের পিছনে ডান হাত দিলাম। সেখানে উলটো করে রাখা একটা ধারালো ছুরি, ফলাটা উপর দিকে। বিদ্যুৎগতিতে ফলা ধরে পেয়াদার চোখ বরাবর ছুঁড়ে মারলাম, সরাসরি মগজে গিয়ে গেঁথে গেল।
দুই পেয়াদা খতম।
এইবার আমীর খুররম দিলেন উল্টাদিক দৌড়, তার পিছনে রাজা চমন সিং। আমি দ্রুত দৌড়ে ঝাঁপ দিয়ে পেড়ে ফেললাম চমন সিংকে, থরথর করে কাঁপছেন তিনি তখন। আমি তার কোমর থেকেই ধারালো ছোরা বের করে গলায় গভীর পোঁচ দিলাম। কি একটা বলতে গিয়েও বলতে পারলেননা রাজা চমন সিং।
অবৈধ রাজা চমন সিং। এইবার প্রকৃত রাজা চোগান সিং এর কাছে যাবার পালা। আমি চমন সিং এর পাগড়ি খুলে নিলাম, এই পাগড়ির ভিতরেই লুকিয়ে রাখা আছে জামুর্দ আংটি। সবুজ পান্না জামুর্দ, প্রথা অনুসারে এই জামুর্দ যার কাছে থাকে সে ই তখতের দাবীদার। চমন সিং এর চোগান সিং কে দরকার ছিল এই আংটির জন্যই, সে জানত ও না কত সাবধানে সেই জামুর্দ লুকিয়ে ছিল তার মাথাতেই এতদিন।
আমি পাগড়ি খুলে নিয়ে ফাঁসিঘরের কোণায় দাঁড়ালাম। তিনবার টোকা দিলাম। আরো তিনবার। আরো তিনবার।
গোপন কক্ষ থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসলেন বৃদ্ধ রাজা চোগান সিং।
……………………………………………………………
পরদিন সকাল।
লড়াই থেমে গেছে, চমন সিং এর লোকজনের দেহ পড়ে আছে এদিক ওদিক। মহলে নাকি দুর্দান্ত লড়াই হয়েছে, কিন্তু কেউই সঠিক করে বলতে পারছেনা ঘটনা। হেরেমের ভেতরে গিয়ে খোঁজ নেওয়াও সম্ভব নয়। মুস্কিল।
এমন সময় ঝটপট করে উড়ে আমার কাছে এসে বসল এক নীলচে ছাই রঙের কবুতর। আমি খেয়াল করলাম তার পায়ের আংটায় বাঁধা কাগজ। দ্রুত খুলে নিয়ে পড়লাম। সেই পরিচিত হাতের লেখা, “ঠিক আছি”।
ঠিক আছি। আচ্ছা। ঠিক আছে।
(শেষ)
মন্তব্য
এইবারে পুরা দিল খুশ! এইরকম মারামারিতে আপত্তি নাই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
গতবারে কিল্লার লোকের দুঃখে মাতোয়ারা হইছিলেন, আর এখন আরেক কিল্লায় ফাইটিং দেইখা আপনে বলেন দিল খুশ। আপনে সিলেক্টিভ পাষাণ
..................................................................
#Banshibir.
এইটা জব্বর হইছে পীর সাব।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
বহুৎ তো পাইপ টানলেন এইবার ক্ষ্যামা দেন। বাজে অব্যাস।
..................................................................
#Banshibir.
নাহ, এবার 'হিরু' মরে নাই।
আর, কায়দাটা অনেকটা জেমস বন্ড স্টাইলেই হয়েছে, ফাঁসির মুখ থেকে বেঁচে কি দুর্দান্ত ফাইটিং!
শুভেচ্ছা, পীরকে
পুরা হিন্দি ফিলিম!
..................................................................
#Banshibir.
খারাপ বলেন নি, কয়েকটা গান আর আইটেম সং যোগ করলে পুরো একটা হিন্দি সিনেমা বানিয়ে ফেলা যায়।
সাথে কেল্লার ফাইটিং দৃশ্যটা একটু জমজমাট করতে হবে।
যশরাজ ফিল্মে কাজ করেন এমন কোন পাঠক আছেন নাকি?
হ আইটেম সং যাইব রিমিক্স ভার্সন অফ কাবুতর যা যা যা, পেহেলি পিয়ার কি পেহেলি চিটঠি... হেরেমভর্তি ধুমসি নাচব তালে তালে। মার্মার্কাটকাট!
..................................................................
#Banshibir.
____________________________
ওহ্ দারুণ।
মধুরেণ সমাপয়েৎ।
সত্যপীর, অভিবাদন।
ভালো থাকবেন।
-------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
ভালোই থাকি ভাই। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আছেন ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
চক্রবুহ্য থেকে বাইর হওয়ার উপায় কী?
..................................................................
#Banshibir.
গল্প দারুণ জমেছে
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
পুরা ফ্রোজেন!
..................................................................
#Banshibir.
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
মোবাইল দিয়ে পড়ে ফেলেছিলাম আগেই। এখন ভালো লাগা জানাতে এলাম
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
অনেক ধন্যবাদ
..................................................................
#Banshibir.
থিবোর হইল টা কি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
থিবো এক্সপায়ার করছে। তিনি আর আমাদের মাঝে নাই, তারে মাডার করা হইছে। তবে তার দৌলতখানা আছে, সেইটার খোঁজ পাইলে দিতেছি।
..................................................................
#Banshibir.
[বাচ্চা ভয়ংকরের খবর কি?]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সে আছে অতি সুখে। জুতা কামড়াইতে যায় ইদানিং
..................................................................
#Banshibir.
তাহলে লাইনেই আছে, এই বয়সে তাই করার কথা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
উফ্, যা জমসে না -- এক্কেবারে ফাটাফাটি!! দিল এত খুশ, এত মজা পাইসি, যে খুশির চোটে একটা পাক দিয়ে সত্যপীরের থানে কিছু একটা ভেট দিতে ইচ্ছা করতেসে। কিন্তু কি যে দিব বুঝতেসি না.... লন দুইটা গান শুনেন বরংঃ
****************************************
দেখিনা কিছু, সব ফকফকা। লগিন করতে হয় নাকি? এই স্ক্রিন দেখতেছিঃ
..................................................................
#Banshibir.
মেরামত করেছি। এখন দেখা যাবে আশা করি।
****************************************
হাহাহাহাহা। জব্বর। বানাইসেন ক্যামনে?
..................................................................
#Banshibir.
আরে না না, ভিড্যুগুলি আমার বানানো না। ইট্যুব থেকে এম্বেড করা। আমি শুধু একাধিক ভিড্যু পছন্দমত পরপর লোড করার ব্যবস্থা করেছি মাত্র।
কবুতর নিয়া আপনার গল্পটা পড়ার পর মোগলদের কবুতরবাজি নিয়া একটু গুগুল মারছিলাম। হঠাৎ করেই এই দুইটা ভিড্যু আইসা হাজির। আপনার গল্পের রেশ কাটার আগেই এই ভিড্যু দুইটা দেইখা আমারও হাসতে হাসতে জান শেষ। ভাবলাম শেয়ার করি। এইতো।
****************************************
কবুতরবাজি মুর্গবাজি চৌগান খেলা (পোলোর মোগলাই নানাভাই) জটিল জিনিস। আমার লেখায় ঘুরায় ফিরায় এইসব জিনিস পচুর আসবে বস, দোয়া খায়ের কাম্য।
মুর্গনামা খুঁজতেছি, মোরগের লড়াই এর উপর বই। ইংরেজি কপি একখান বলে আছে কোলকাতার লাইবিরিতে, আর কেউ হদিস দিবার পারে না। পাইলে জানায়েন আমারে। মুর্গনামা নিয়া বিশেষ প্ল্যান আছে।
..................................................................
#Banshibir.
দুর্দান্ত লেখা।
আপনি এত চমৎকার করে ইতিহাসের গল্পগুলো লিখেন, শুধু মুগ্ধতা নিয়ে পড়ি।
কিভাবে এত সুন্দর করে গল্প লিখেন জানতে ইচ্ছে হয়।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
স্বপ্নে পাই এইগুলি। পীর মানুষ বুঝেনই তো
..................................................................
#Banshibir.
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এইটা খুব চমৎকার গল্প । খুব ভালো লাগলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধইন্যবাদ ধইন্যবাদ। শুনে আমারো খুব ভালো লাগল!
..................................................................
#Banshibir.
আচ্ছা! আপনিই তাহলে কবুতর ফারুক? যাই, RAB-3 তে খবরটা দিয়া আসি ।
নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপিত একটা স্পাই থ্রিলার, অসাধারন লাগলো, এই আঙ্গিকটা ধরে রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
অবশ্যই। কবুতর ফারুকের জবানে আরো গল্প আসতেছে।
সেই সাথে আসতেছে তারাবাঈয়ের গল্প। সে মহলের তহসীলদার। হেরেমের ভিতরে নানান কাণ্ড ঘটছে শুনতে পাই।
..................................................................
#Banshibir.
বেশ তো ! এটা কি চরিত্রভিত্তিক সিরিজ?
সময়কাল কত এবং লোকেশন কোথায়?
জ্বী বস। চরিত্রভিত্তিক সিরিজ করতেছি। দোয়া খায়ের কাম্য।
সময়কাল মধ্যযুগ। লোকেশন ভারতবর্ষ।
..................................................................
#Banshibir.
দারুণ!
..................................................................
#Banshibir.
তোফা! তোফা!
আপনিই বাংলার আর আর মার্টিন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নাম পাল্টায় মার্টিনপীর রাখব ভাবতেছি
..................................................................
#Banshibir.
চোস্ত।
শুক্রিয়া!
..................................................................
#Banshibir.
পীর ছাহেব কাঁপাইছেন!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
..................................................................
#Banshibir.
ভাই পীর সাহেব, খুব ভালো হয়েছে।
ভালো থাকুন আর লেখা চালিয়ে যান।
-ভাবুক পাঠক
ধন্যবাদ ভাই ভাবুক পাঠক। লিচ্চয় চালিয়ে যাব।
..................................................................
#Banshibir.
বাহ্! কবুতর ফারুকের প্রতি আপনার কৃপাদৃষ্টি অব্যাহত থাকুক
কড়িকাঠুরে
হা হা হা। ওরে মারুম না আপাতত ছিন্তা নাই। তবে যেকোন সময় মরণাপন্ন হইতে পারে, ভাইসাহেব নানান ফিকিরে থাকে কিনা।
..................................................................
#Banshibir.
কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না। নাহ জটিল হয়েছে আসলেই
ও বুঝছি।
..................................................................
#Banshibir.
অসাধারন
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন