নভেম্বর, ১৫৫৬। উত্তর ভারতবর্ষ।
টানা কাটাকাটিতে ক্লান্ত মকবুল একটু জিরিয়ে মাথার পাগড়িটা ঠিক করে নিল। বাতাস দিচ্ছে, ঠাণ্ডা তেমন নাই যদিও। সূর্য একবারে মাথার উপরে।
পাশেই হাত চালিয়ে কাজ করতে থাকা আলী তাড়া দিল, এই উঠ। খালি কাম ফাঁকি। সবমিলায় দুইশো বত্তিরিশখান লাগব।
বাপ রে, মকবুল বলে, দুইশো কয়টা?
দুইশো বত্তিরিশ। দুইশো মনে কর দশ কুড়ি। এর পরে আরেক কুড়ি। তারপরে বারোডা।
আলীর কথা শুনে মকবুলের মাথা ঘুরায়। বলে, দশ কুড়ির পরে আবার কুড়ি? তারপরে বারোখান? এতগুলি?
হ, আলী মাথা নাড়ে, এতগুলি। খালি এইটাতেই। এরপরে আরো কাটা লাগব। এহন কামে লাগ।
বিনা বাক্যব্যয়ে মকবুল আবার কাজে বসে যায়। কাটতে কাটতে দেখে পাশেই গরুর গাড়িতে বোঝাই করে বর্শা নিয়ে এসে থামে সিপাই মহব্বত। তাই দেখে থামে সকলে একটু, তাকায়। মহব্বত হাঁক দেয়, খুউউউউব সাবধান! বল্লম কমতির দিকে, খেয়াল কইরা লাগাবি। ভাঙ্গে না যেন্। ভাঙলে আঙ্গুল কাইটা কানে ঝুলায় দিমু।
কেউ একজন পিছন থেকে বলে উঠে, কার কানে?
খি খি করে চাপা হাসির রোল পড়ে যায়। ভয়ংকর রেগে সিপাই মহব্বত ধমকে উঠে, চুপ হারামজাদার দল। জিব কাইটা দিমু আরেকটা আওয়াজ শুনলে। কামে লাগ!
আবার যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। মকবুল তরবারিতে শান দেবার সময় তার পিছনে এসে দাঁড়ায় কিশোর রহমতউল্লা। ফিসফিস করে বলে, মকবুল চাচা। মকবুল চাচা।
সিপাই মহব্বত তখনও সরেনি। গরুর গাড়ি থেকে বর্শা নামানো তদারক করছে। মকবুল আর রহমতউল্লার কানাকানি দেখলে সে আঙ্গুল কেটে কানে ঝুলানো ইত্যাদি করতেও পারে কোন ঠিক নাই। সাবধানে শরীর দিয়ে রহমতউল্লাকে আড়াল করে মকবুল কাজের ভান করতে করতে বলল, কি অইছে?
মুঠিবদ্ধ ডান হাত সামনে নিয়ে রহমত বলল, সুনার হার পাইছি। মুটা। উই ব্যাটার গায়ে আছিল কেউ খিয়াল করেনাই। দেখেন?
মকবুল ভারি ব্যস্ত হয়ে তার হাত ঝট করে নামিয়ে নিচু গলায় ধমকে উঠল, হারামজাদা বলদ। মাঠের মাঝখানে ক্যান? লেংটির তলে লুকায় রাখ। কামে যা। আইতেছি আমি।
বুঝদারের মতন মাথা নেড়ে সরে পড়ল রহমতউল্লা।
আলী তখন বর্শাগুলার কাছে। ডাক দেয়, হুই মকবুল। নাজির। বদরুল। কামরান। আয়। বল্লম লাগাই।
মাথা কাটা শেষ তাহলে? বাঁচা গেল, ভাবে মকবুল। একটানা মড়ার দেহ থেকে একটা একটা করে মাথা কাটতে কাটতে ক্লান্ত লাগছিল। জ্যাতা মানুষের মাথা কাটা এক কথা, মড়ার মাথা কাটা মহা বিরক্তিকর।
পাশেই কামলার দল ইট আর কাদা মাটি দিয়ে মিনার দাঁড় করানোর কাজ করছিল। সেই কাজ শেষ। স্তুপ করা শয়ে শয়ে মৃতদেহ থেকে মাথা আলাদা করাও সম্পন্ন। মিনারে সার বেঁধে ফুটো করা পাশাপাশি, আলী আর তার দল দ্রুত কাটা মাথা বল্লমে বিঁধিয়ে সেগুলি মিনারে ঢুকিয়ে দিতে থাকল পটাপট। মাথার দিকটা বাইরে। ধীরে ধীরে দাঁড়িয়ে যেতে থাকল পরাজিত শত্রুপক্ষের লোকের কাটা মাথা শোভিত মিনার।
সেই সময় বেশ একটু দূরে পাশাপাশি দুইটি অত্যুত্তম আরবি ঘোড়া এসে দাঁড়াল। একটা ঘোড়ায় বসা সেনাপতি বৈরাম খাঁ পাশের ঘোড়ায় চৌদ্দ বছর বয়েসি কিশোর ছেলেটিকে সারি সারি মিনার দেখিয়ে বললেন, চলুন তবে জাঁহাপনা দিল্লীর পথ ধরি। বিজয় মিনার দাঁড়িয়ে গেছে সব দেখেছেন কি? কাফিরের দল এইবার বুঝবে বাদশাহ মানে কি!
পাশের ঘোড়ায় উপবিষ্ট হিন্দুস্তানের কিশোর বাদশাহ জালালউদ্দিন মুহম্মদ আকবর দাঁত বের হেসে বললেন, চমৎকার!
মন্তব্য
১৫৫৬ দেইখেই মনে হইসিল এইটা পানিপতের ২য় যুদ্ধ নিয়ে কোন গল্প
Emran
আপনে কামেল ব্যক্তি। সন তারিখ আমার কোনকালেই মনে থাকে না
দুই নম্বর পানিপতের ট্যাকটিক্সের বিশদ বিবরণ খুঁজতেছি, মতলব আছে। পাইলে ১৫৫৬ আবার আসবে ভবিষ্যতে
..................................................................
#Banshibir.
Philosophies of war অথবা War philosophies নামে একটা বইয়ে পানিপতের ২য় যুদ্ধের ট্যাকটিকস নিয়ে কিছু কথাবার্তা পড়ছিলাম বইলে মনে পড়ে। যে জিনিষগুলি এখনও মাথায় আছে, সেইগুলা হইলঃ
১। বৈরাম খান আর আকবর - কেউই মূল যুদ্ধক্ষেত্রে হাজির ছিলেন না। যুদ্ধ চালাইছিল আসলে তাদের কমান্ডারেরা।
২। হিমুর বাহিনির মূল শক্তি ছিল হাতি, এবং হাতি সে রাখসিল তার বাহিনির কেন্দ্রে (নিজেও বইসা ছিল এক হাতির উপর)। এইজন্য মোগলেরা সরাসরি সেন্টার দিয়া অ্যাটাক না কইরা উইং দিয়ে আক্রমণ করসিল।
৩। এক মোগল শার্পশুটার হিমুর চোখ দিয়া তীর ঢুকায় দিসিল, আর তাতেই হিমু অক্কা পায়। তার যেহেতু কোন ডেজিগনেটেড ডেপুটি ছিল না, সেই কারনে সে মরার পর তার আর্মি দিশা হারায় ফেলে। আর এই সুযোগে মোগলরা তাদের...বাকি গল্পতো আপনেই লেখলেন।
Emran
তিরিশ বচ্ছর আগে এক নম্বর পানিপতেও লোদীর হাতি কোন কাজে আসেনাই, বরং বাবুরের কামানের গর্জনে তারা নিজেরদের লোকেরেই পাড়ায় নাশ কইরা ফেলছে। হাতি বুদ্ধিমানের মত যুদ্ধে ব্যবহার করছিলেন আকবর। গায়ের জোরে শত্রুর উপর হাতি না উঠায় দিয়া তিনি হাতিরে প্রশিক্ষণ দিছিলেন। প্রশিক্ষণের অংশ হিসাবে মাঠের মাঝখানে ধুম ধাম কামান ফাটত আর তার মধ্যে দিয়া হাতিরে হাঁটানো হইত, যেন যুদ্ধক্ষেত্রে সে শব্দে ভয় না পায়।
উনি কিভাবে ধীরে ধীরে কষ্ট দিয়া বন্দী মারতে হয় সেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করছিলেন, আকবরের হাতিশালে পাল পাল হাতি ছিল যাদের একমাত্র ফাংশন ছিল ময়দানে খেল দেখায় মানুষ মারা।
..................................................................
#Banshibir.
যদ্দুর মনে পড়ে সেই বইতে লেখসিল হিমুর হাতিরা ছিল ট্রেইনড; যুদ্ধে জিতার পর হাতির পাল (ট্রেনার সহ) আকবর দখল করেন।
Emran
আকবরের হাতি নিয়া যেরম দিস্তা দিস্তা কাগজ লেখা হইছে তার ধারেকাছ দিয়াও হিমুর হাতি নিয়া নাই। হিমুর ৫০০ আলিশান হাতি আছিল এইটাই খালি পাইতেছি। কোথাও কোথাও লেখা ট্রেইন্ড, তবে ট্রেনিং ঠিক কিরকম সেইটা নাই।
আপ্নের বইটা গুগল সার্চ দিয়া পাইলাম না, লেখকের নাম মনে পড়লে জানায়েন তো বস। জানিবার ইচ্ছা জিগীষা।
..................................................................
#Banshibir.
এই যে বই, বস!
Coetzee, Daniel & Eysturlid Lee W. (editors). 2013.
Philosophers of war: The evolution of history’s greatest military thinkers (2 vols). Santa Barbara, CA: Praeger.
হিমুর হাতির ট্রেনিং নিয়া এইখানেও খুব বেশী কথাবার্তা নাই; একটা কারণ হইতে পারে হিমু হঠাৎ কইরে যেমন জ্বলছিল, তেমনি হঠাৎ কইরে নিভেও গেছে। অন্যদিকে মোগল সাম্রাজ্যটারে তো বানাইলই মূলতঃ আকবর বাদশা!
Emran
পাইছি। অশেষ ধন্যবাদ, জটিল বই মনে হইতেছে। রসায় রসায় পড়তে হইব মে/জুন মাসে।
..................................................................
#Banshibir.
আমি শিওর না ঠিক যুদ্ধের বর্ণনা কদ্দুর পাবেন এইখানে; এইটা মনে হয় যুদ্ধ নিয়ে যারা কথাবার্তা বলছে, তাদের নিয়ে বই। পড়া শেষ হইলে পরে জানায়েন কেমন লাগলো।:p
Emran
আসমান শুঁকো-র কথা মনে পড়ল
গল্পটা স্মরণ করার জন্য ধন্যবাদ। মোগল আমলের স্ন্যাপশট নিয়ে আমার পয়লা গল্প ছিল ঐটা
..................................................................
#Banshibir.
তুঘলকাবাদের যুদ্ধে হেমু যে কৌশলে মুঘলদেরকে হারিয়েছিল পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধে হেমু ঠিক একই কৌশল নিয়েছিল। হেমুও দুই উইং দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছিল - বামে তার ভাগ্নে রামাইয়্যা আর ডানে সাদী খান কাক্কর। এবং সে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও গিয়েছিল। তার চোখে তীর লাগাটা একটা দুর্ঘটনামাত্র। বৈরাম খাঁ আর আকবর যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আট মাইল দূরে ছিল অবস্থা বেগতিক দেখলে কাবুল পালানোর ধান্দায়। তীর খেয়ে হেমুর মারা যাবার ব্যাপারটা কনফার্ম না। আকবরকে গ্লোরিফাই করার জন্য কেউ কেউ বলেন, আকবর মরা হেমুর মাথা কেটে 'গাজী' উপাধী নিতে অস্বীকৃতি জানালে বৈরাম খাঁ হেমুর মাথা কাটে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ঠিক; হিমু মোগলদের লাইন ভেঙ্গে ফেলেছিল।
Emran
তীর খাওয়াটা তো কনফার্ম? আমি এক জায়গায় দেখলাম সে তীর খায়া সেইটা র্যাম্বোর মতন আবার নিজের হাত দিয়া বাইর কইরা রুমাল দিয়া চোখ বাইন্ধা হাতির পিঠেই বইসা ছিল, দলের মনোবল ঠিক রাখার জন্য। এই র্যাম্বো কাহিনী সত্য নাকি?
হ আজাইরা কথা। আকবরই কাটছিল অচেতন (মৃত?) হিমুর কল্লা। কাফির নিধনকারী "গাজী" দরকারী টাইটেল।
..................................................................
#Banshibir.
উ:, কী কাহিনী!
সাংঘাতিক ইতিহাস।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুউউব সাংঘাতিক৷ এ তো গেল কাটা মাথার গল্প, এরপরে একদিন বলতে হবে আকবরের হেরেমবাজির গল্প৷ এত এত কাটা মাথার লোকের বউ কন্যার কি হইল সেইটাও সাংঘাতিক বটে!
..................................................................
#Banshibir.
সবই "কাটা মাথা"র খেইল গো, কাটা মাথার খেইল।
---ইমরান ওয়াহিদ
সেই! সাম্রাজ্যের গৌরব-গাথা পড়ানোর সময় এই সব নৃশংস বর্বরতার কাহিনীগুলোকে যত্নসহকারে লেপ-চাপা দিয়ে রেখে দেওয়া হয়। আপনি লেপে আগুন ধরায়ে সব বার করে আনার পণ করেছেন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অপকুর্স৷ সত্য হল লেপচাপা আগুন!
..................................................................
#Banshibir.
কাটা মাথার মিনারগুলি আর অবশিষ্ট নাই (ল্যাংড়া তৈমুরও দিল্লী দখলের পরে এইরকম বিজয় মিনার বানাইসিল), কিন্তু গৌরবগাঁথা (তাজমহল, লালকেল্লা, মুঘল-ই-আজম, আনারকলির মত ছবি ইত্যাদি) তো এখনও অবশিষ্ট আছে। এইজন্যই ওইগুলা চোখে পরে বেশী কইরে।
জাহাঙ্গীর বাদশা তাঁর বড় ছেলে খসরুর চোখ অন্ধ কইরে কেল্লার ডানজনে ফালায় রাখসিল, কারণ খসরু তার বাপের চেয়ারের দিকে বদনজর দিসিল। আর আমার-আপ্নার মত লোকেরা তো ছিল সেই সময় ম্যাঙ্গ-পাব্লিক!
Emran
কী ভয়ঙ্কর!!
পুরাই।
..................................................................
#Banshibir.
মানুষ এখনো এই ভাবেই মরে। বিজয় মিনারের বদলে ক্লাস্টার বোমা খেয়ে জমিতে সার হয়ে যায়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বিজয় মিনার বহু পুরানো মোগল তাতার প্র্যাকটিস। খুব এফেক্টিভ ও বটে, মানুষ ভয়ে কাঁপে। মোগলের পরে ইংরেজ ঠিক টাওয়ার বানায় নাই কিন্তু বিশাল গাছে বিদ্রোহীদের প্রকাশ্যে ফাঁস দিয়া ঝুলায় রাখছে। কারণ ঐ একই।
..................................................................
#Banshibir.
কুল।
এইবার আমার ছোটোবেলার সুপারহিরো বৈরাম খানরে নিয়া একটা গপ্পো নামান !!
আমার ছুডুবেলার হিরু আকবর। কচি মনে দুঃখ পাইছিলাম পরে নানান কাহিনী দেইখা। কি আর করা।
বৈরাম খাঁ লিচ্চয় আরো আসবে বস।
..................................................................
#Banshibir.
বৈরাম খানের বিবি সলীমা সুলতানা বেগমের সাথে আপনার হিরু'র লটরপটর নিয়া কিস্সা নামান।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গল্প নিয়ে একটা পরামর্শ দেই। আকবরের আমল নিয়ে যখন ভাবছেন তখন একটু দাক্ষিণাত্যের সালতানাতগুলোর দিকেও নজর দিন। বিজাপুর, বিদার, বেরার, গোলকুণ্ডা আর আহমেদনগরের সাথে মুঘলদের ঠোকাঠুকিতে প্রচুর গল্প আছে। সলীমা'র দুই পুত্র মুরাদ মীর্জা আর ড্যানিয়েল মীর্জার দিকেও একটু নজর দিন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কথা সত্য। আমি খালি আকবর না আগে পিছে পুরা মোগল আর ঔপনিবেশিক আমল নিয়াই আগ্রহী। সেইদিন পড়তেছিলাম হেকিম মুকাররব খাঁ এর গল্প। বাদশার পেয়ারা হেকিম আবার সুরাট টুরাটের গভর্নর, একবার পর্তুগীজরে দৌড়ের উপরে রাখে আবার কখনো জাহাঙ্গীরের কাছে ইংরেজের ভেট পাঠানো আটকায় দেয়। ব্যাপক পলিটিক্স। কত গল্প উপন্যাস নাটক সিনেমা হয় এইসব জিওপলিটিক্স নিয়া।
সলীমার দুই পুত্রের দিকে নজর দিতেছি খাড়ান। তবে আমার অতি বদ নজর এই হইল মুস্কিল
..................................................................
#Banshibir.
"বে আমার অতি বদ নজর এই হইল মুস্কিল "
অতি বদ নজর আপ্নের, যারে কয় শনির দৃষ্টি, কারো উফ্রে পড়ল কি গেল - কল্লা নাইমা গেল তার, মুন্ডুখান মৃত্তিকায় ফুটবল-গড়াগড়ি। তবে আপ্নে যা দেখাইতেসেন, মোগল-ই সেই যুগের শনি আসিল!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সত্য বই মিথ্যা বলি নাহ। ট্রুথ বুক লাই আই সে নট।
..................................................................
#Banshibir.
খি খি!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বাদশা নামদার পড়ে দেখতে পারেন, বৈরামের গল্প আছে ঐটাতে।
বাদশা নামদার পড়তে আরামদায়ক। তবে ঐটুকুই, তার বেশি কিছু নাই
তা ঠিক বলেছেন, ঐ আরামটার জন্যই ঐ বইটা পড়া।
ভয়ঙ্কর!!!!!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
আরে নাহ।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার বলার ধরনে মুগ্ধ হয়েছি বরাবর, এবারও।
গোঁসাইবাবু
অনেক ধন্যবাদ গোঁসাইবাবু। পরেরগুলো পড়বারও আমন্ত্রন রইল।
..................................................................
#Banshibir.
নৃশংস!
হ
..................................................................
#Banshibir.
বরাবরের মতই (Y)। নৃশংসতায় নেশা আছে।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি খারাপ লোক একেকটি চমৎকার গল্পের ক্যারেক্টার।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি এত সব ইন্টারেস্টিং টপিক পান কোথায়?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
স্বপ্নে পাই গো ভাই।
..................................................................
#Banshibir.
ভয়াবহ!
পরের পর্ব হেরেম নিয়ে দিয়েন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পরে আর পর্ব নাইক্যা।
তবে হেরেম আসতিছে নিকট অথবা দূর ভবিষ্যতে।
..................................................................
#Banshibir.
আপনে দ্য গ্রেইট আকবরের লুঙ্গি নিয়া টানাটানি করেন ক্যা?! দুষ্টু পীর!!!!
লেখনী তে :DX
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
মসলিনের লুঙ্গি। আমার টান দিতে হয়না চাইলেই সব দেখা যায়
..................................................................
#Banshibir.
মসলিনের লুঙ্গি
প্রথমে ভাবছিলাম যে, মুঘল আমল যেহেতু মোগলাই খানা পাকানোর জন্য গরু-খাসী কাটা হইতাছে।
শেষে কিনা - মাথা? তা-ও আবার মানুষের!
আপনি পারেনও বস্।
আগামী সাতদিন মোগলাই খানা রুচবে না বোধহয় মুখে। মাথা কাটার দৃশ্য মাথায় গেঁথে গ্যাছে।
ভালো থাকবেন সত্যপীর।
আপনার জন্য শুভকামনা।
-----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
সাতদিনের মোগলাই খানা আমারে পাঠায় দেন। খানাপিনা আমার আটকায় নাহ।
..................................................................
#Banshibir.
দারুন!
****************************************
ব্যাপক ডরাইলাম। পানি খায়া আসি।
..................................................................
#Banshibir.
খুব ভালো লেখা। খাসা।
হ নামান!
..................................................................
#Banshibir.
আকবরকে যারা নৃশংস বলতে চায় তারা নাস্তেক।
দীন-ই-ইলাহী ইত্যাদির কারনে কট্টর আস্তেকরাও আকবরকে নাস্তেকই বলে। আকবরের প্রতি তাদের কোন পিরিতি নাই।
****************************************
দীন-ই-ইলাহীর ব্যাপারটা আসলে আলোচনা হওয়া দরকার। আকবরপ্রেমিকরা তাকে গ্লোরিফাই করার জন্য এই ব্যাপারটারও উল্লেখ করে। কিন্তু ব্যাপারটা তো তা নয়। আর আকবর নিজেকে তো আস্তিক বা নাস্তিক ভাবতো না, সে নিজেকে ঈশ্বর বলেই ভাবতো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনি ভুল বুঝেছেন। দীন-ই-ইলাহী আসলে কি বা এর সঠিক ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ কি, আকবর-প্রেমিকরা এর সম্পর্কে বা আকবর সম্পর্কে কি বলে না বলে, তাকে গ্লোরিফাই করতে চায় কি চায় না, বা আকবর নিজেকে আস্তিক নাকি নাস্তিক মনে করতেন - সেসব সম্পর্কে আমি কিছুই বলিনি। আমার জ্ঞানও এ ব্যাপারে ইশকুল লেভেলের পাঠ্যবই পর্যন্তই সীমিত। আমি শুধু বলছি যে অনেক মৌলবাদীদের পার্সেপশনে (এখানে 'পার্সেপশন' শব্দটা লক্ষণীয়) আকবর "বিধর্মী"-দের প্রতি অতিরিক্ত সহনশীল ছিলেন, তাঁদের সাথে অতিরিক্ত মাখামাখি করতেন, অনেক 'বেদাত' ও 'অনৈস্লামিক' আচরণ প্রশ্রয় দিয়েছেন বা উৎসাহিত করেছেন বা ইসলামে আমদানি করতে চেয়েছেন, সর্বোপরি না-না ধর্মের জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ইসলামের কিছু মৌলিক ও অলঙ্ঘণীয় নীতি লঙ্ঘন করেছেন। "নতুন ধর্মের" প্রচলন করার চেষ্টা করেছেন। ফলে তিনি মুরতাদ হয়ে গেছেন। তাছাড়া মৌলবাদীরাও বুঝে বা মনে করে তিনি আসলে কোনটাতেই বিশ্বাস করতেন না (অতএব নাস্তিক!), স্রেফ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্ম নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন। এটাই অনেকের পার্সেপশন। স্কুলে থাকতে আমার এক প্রোপাকি মৌল ইতিহাসের শিক্ষক এরকমই ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন আমাদের। পরেও অনেক ধর্মবাদীর মুখে শুনেছি। কিছুদিন আগে বাংলা নববর্ষ পালন বিষয়ে একটা টকশোতেও হেফাজতের এক নেতার মুখে মনে হয় প্রায় এরকমই কিছু একটা শুনলাম। তাই তাদের দৃষ্টিকোন থেকে ইদানিংকালে বিশেষভাবে জনপ্রিয় ব্ল্যাঙ্কেট লেবেলিং অনুসারে হয়তো বলা যায় আকবর আসলে "নাস্তিক মুরতাদ' ছিলেন
আমি কিছু কট্টরাস্তিক বা মৌলবাদীদের যেনারেল 'পার্সেপশনের' কথা বলেছি যা আমি তাদেরই কারও কারও মুখে শুনেছি। সঠিক টার্মিনোলজি বা বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ এখানে আসলে অপ্রাসঙ্গিক। সচল কৌস্তুভ কৌতুক করে যে মন্তব্যটি করেছেন তার ইমপ্লাইড বা অন্তর্নিহিত অর্থে হচ্ছে (আমার কাছে যেমনটা মনে হয়েছে আর কি) আকবর আস্তেকদের হিরু। আর আস্তেকদের হিরুর যারা সমালোচনা করে, আস্তেকদের চোখে তারা অবধারিত ভাবে জিরু। অর্থাৎ নাস্তেক। সুতরাং আকবরকে যারা 'নৃশংস' বলে তারাও 'নাস্তেক'। এক্ষেত্রে যে ব্যাপারটা ঠিক সেরকম নাও হতে পারে সেটুকুই বলেছি।
****************************************
আকবর চালু ব্যক্তি। তিনি যৌবনে কাফির হিন্দুর উপরে খড়্গহস্ত হলেও পরবর্তীতে সম্ভবত টের পান যে সমানে হিন্দু কতল করলে দেশ চালাইতে অসুবিধা। দেশটা হাতে রাখা চাই। তাই যৌবনের বেতাবি বেচেয়নি পায়জামার তলে ঢুকায়া তিনি আবুল ফজলরে সম্ভবত হুকুম দিছিলেন তার ধর্মনিরপেক্ষ একটা চেহারা দাঁড় করানোর জন্য। যেকোন সাধারণ হিসাবে আকবর একজন অনৈতিক নারীলোভী বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তি। এবং উঁচুদরের বুদ্ধিমানও বটে। তাকে মহামতি বলা চলে যদি আমরা তাকে অন্যান্য মোগল বাদশার সাথে তুলনা করি তবেই। বাকিটা প্রপাগান্ডা এ ফজল।
..................................................................
#Banshibir.
আচ্ছা, আকবরের সবচেয়ে নির্মোহ জীবনী কোনটি? নিঃসন্দেহে আবুল ফজল নন!
কিছু রেফারেন্স এর উল্লেখ করুন। আকবরকে তো সহিষ্ণুতার প্রতিভূ বলা হয়। কিন্তু ইতিহাস দাবী করে অনুপুঙ্খ বীক্ষণের।
আকবরের একক নির্মোহ জীবনী নেই। মুঘলদের কেউই 'সহিষ্ণুতার প্রতিভূ' নয়। প্রত্যেকে তার নিজস্ব প্রকারে নৃশংস শয়তান।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মোল্লা বাদাউনি-র "মুন্তাখাব-উত-তাওয়ারিখ" পড়ে দেখতে পারেন; যদিও সেটাও খুব একটা নির্মোহ না। কট্টর সুন্নি হিসেবে বাদাউনি ছিলেন আকবরের ধর্ম সংস্কারের কড়া সমালোচক।
Emran
____________________________
ভয়াবহ, ভয়াবহ, ভয়াবহ
ইসরাত
বাদ্দেন। আছেন ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
ঘটনা সত্যি?? সাংঘাতিক!
ভাইসাহেব পরে এই কাণ্ড আরো করছিলেন।
..................................................................
#Banshibir.
এক্কারে হাডালাইছেন!
আকবর দেখি ছুডু থিকাই হারামি। বাপ দাদার নাম রৌশন করছে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন