ওয়ারিশ - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: মঙ্গল, ২০/০৫/২০১৪ - ২:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গ্রীষ্মকাল, ১৭০৫ সাল। ফিরোজগড় দূর্গ।

গুদামঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে বাবুর্চি নাজিমুদ্দিন জামার খুঁট দিয়ে কপাল মুছল একটু। ঘটনা কি সে ধরতে পারছে না ঠিক, সকাল সকাল খানসালার তাকে ডাকবেন কেন? সে তো প্রতিদিনকার মতই ভোরে পাকশালায় বাসন মাজতে লেগে গিয়েছিল, এমন সময় খবর এল খানাসালার মুস্তাকিম উস্তাদ তাকে ডেকেছেন। কিন্তু ডাকার কারণ? সে মনে করতে চেষ্টা করল গতকাল সে কী রেঁধেছিল, কারো পেট খারাপ করল নাকি?

ডাইনে বাঁয়ে তাকিয়ে নাজিমুদ্দিন ঢোঁক গিলল একটু, এই সময় বিপুল ভুঁড়ি দুলিয়ে গুদামঘর থেকে বেরিয়ে এলেন দূর্গের পাকশালার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক খানসালার মুস্তাকিম। তার পাশে ভাণ্ডারী নজরউদ্দিন। বেরিয়ে এসে বাবুর্চি নাজিমউদ্দিনকে হাতছানি দিয়ে ডাকলেন খানসালার।

তুই নাজিম?

ভয়ে ভয়ে নাজিমউদ্দিন ঘাড় হেলিয়ে বলল, হুজুর।

বাড়ি কাশ্মীর?

ন-না হুজুর, একটু থতমত খেয়ে গেল নাজিমউদ্দিন, বাড়ি কাশ্মীর না। তবে কাশ্মীরে উস্তাদ দৌলত মুন্সির কাছে কাজ শিখতে গেছিলাম। আট-নয় বচ্ছর ছিলাম।

আচ্ছা। শুনলাম তুই মুসাম্মান রাঁধতে পারিস?

একটু অবাক হয়ে নাজিমউদ্দিন খানসালারের দিকে চেয়ে রইল এক মুহুর্ত। মুসাম্মান খুবই চিকন তরিকায় পাখির মাংস রান্না, গলা দিয়ে পক্ষীর ভেতরের হাড় বের করে আস্ত পাখি রাঁধতে হয়। দৌলত মুন্সি বাবুর্চি হাত ধরে তাকে শিখিয়েছিলেন, কিন্তু এখানে আসার পর তাকে মোরগ মুর্গি বুনোপাখি কিছুই রাঁধতে দেয়া হয়নি। আজ তাকে একবারে মুসাম্মান রাঁধতে দেয়া হবে? ইয়া আল্লা!

উত্তেজিত নাজিম জোরে মাথা নেড়ে বলল জ্বী হুজুর। হুজুর। মুসাম্মান রানতে পারি তো।

ভুরু কুঁচকে নাজিমের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে খানসালার মুস্তাকিম ভুরু সোজা করলেন। তারপর আরেকদিক তাকিয়ে উদাস গলায় বললেন, আচ্ছা দেখি তুই কেমন মুসাম্মান রাঁধিস। আরজ বাবুর্চিকে ছুটি দিয়ে দিয়েছি, কালকে দেখি মোরগের ঠ্যাং একটা জামার তলে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হারামজাদা চোরের বাচ্চাকে আমার দরকার নাই। নতুন পক্ষীবাবুর্চি খুঁজছি। যা কসাইখানায় গিয়ে চারটে পক্ষী নিয়ে আয়, দুপুরে রাঁধবি। মনপসন্দ হলে তোকেই পক্ষীবাবুর্চি রেখে দেব যা।

চোখ চকচক করে উঠল নাজিমের। স্বপ্ন এখছে নাকি সে? দ্রুত মাথা নেড়ে বারবার বলল, হুজুর। হুজুর। অবশ্যই হুজুর। দৌলত মুন্সি কারিগর আমারে নিজ হাতে পক্ষী রান্না শিখাইছেন। একবারে ইস্ফাহানের তরীকা মতে রান্না পক্ষী। হুজুরের পসন্দ হইবই। হ। এক্ষন যাইতেছি হুজুর। হুজুর বড় মেহেরবান হুজুর। আসতেছি হুজুর। হুজুর।

খানসালার মুস্তাকিম আর ভাণ্ডারী নজরউদ্দিনকে সেলাম ঠুকে নাজিমউদ্দিন দিল কসাইখানায় ছুট। আজ তার বড় ইমতিহানের দিন।

খানসালার পুনরায় গুদামঘরে ঢুকে পড়লেন। সেখানে তার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন আমীর শাহাদাৎ। তাকে দেখেই বললেন, সালাম আলিকুম মুস্তাকিম উস্তাদ। সব ঠিকঠাক?

তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসে খানসালার মুস্তাকিম হাসলেন একটু। বললেন, বড় মজার কথা শুনালেন সওদাগর। সব ঠিকঠাক কিনা আপনিই বলে দিন। দেওজিরা চাউল কোথায়?

মাথা নাড়লেন আমীর শাহাদাৎ, আর দেওজিরা চাউল। গোয়ালিয়রের পথে যে কি সমস্যা চলছে জানেনই তো। বড় ডাকাতের উৎপাত ঐদিকে ইদানিং, আমার মাল দুই দুইবার লুট হয়েছে। দেওজিরা চাউল আনাবো কিভাবে বুঝতে পারছি না।

তাই বললে হবে? গোয়ালিয়রে যাবার পথ কি একটা? এক পথে লুট হলে আরেক পথে আনান, দরকারে হুজুরের সাথে কথা বলে মনসবদার ধার করেন কয়েকজন। সিপাই সান্ত্রী নিয়ে যান চাউল আনতে, দুইবার লুট হয়েছে বলে আর সেই পথই মাড়াবেন না এ কেমন ধারা সওদাগর গো আপনি? চুড়ি পরে বসে সুজির হালুয়া ভাজলেই পারেন।

অপমানে দাঁত কিড়মিড় করে উঠলেন আমীর শাহাদাৎ। তবে কন্ঠ স্থির রেখে বললেন, অস্থির হবেন না খানসালার। চাউলের ব্যবস্থা অবশ্যই হবে। আপনি যেমনটা বললেন, এক পথে না হলে আরেক পথ দিয়ে।

হ্যাঁ ঠিক কথা, স্থির চোখে তাকিয়ে খানসালার বললেন, কোন পথ দিয়ে তা আপনিই ঠিক করুন। দরকারে কবুতরের পায়ে বস্তা বেঁধে উড়িয়ে নিয়ে আসুন হা হা হা হা হা!

ফ্যাকাসে হাসলেন আমীর শাহাদাৎ। মুখে কিছু বললেন না। খানসালার মুস্তাকিম আবার বললেন, ভাণ্ডারীর সাথে কথা বলে এইবারে কী কী লাগবে বুঝে নিন। মুগ ডাল কিন্তু নিমলার চাই। আর সামজিরা চাউল কোথা থেকে আনান?

চাকর দুই পাত্রে পেস্তার শরবৎ দিয়ে গেল। তাইতে চুমুক দিয়ে দুইজনে আরো কিছু কাজের কথা কইতে লাগলেন।

এদিকে অদূরে পাকশালার ভেতর পানিতে ডাল ধুচ্ছিল মকবুল। তার পাশেই দরজা, এমন গরম বাইরে যে মনে হচ্ছে আগুনের হলকা আসছে পাকশালার ভিতর সেই দরজা দিয়ে। পাকশালার আগুন ভিতরে না বাইরে বলা মুস্কিল। দরজার দিকে পাছা ফিরে বসে ছিল মকবুল, তাকে প্রায় ধাক্কা দিয়ে পাকশালায় ঢুকল বাবুর্চি নাজিমউদ্দিন। তার হাতে চারটে জবে করা পাখি। মাটিতে বসে চাটাই বিছিয়ে সে দ্রুত পালক বাছতে মন দিল। মকবুল জিজ্ঞেস করল, পাখি কি করেন?

কাজ করতে করতে নাজিম উত্তর দিল, পাক করুম রে মকবুল। খানসালার নিজে আমারে ডাইকা হুকুম দিছেন পাখি পাক করতে। মুসাম্মান রানতেছি।

কি রানতেছেন?

মুসাম্মান। আস্তা পক্ষী। খুবোই শক্ত তরিকার রান্না।

কিন্তু আপনে পক্ষী রানতেছেন, আরজ উস্তাদ কো?

তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে নাজিম কি একটা বলতে নিল, আর তখনই পাকশালার আরেক কোণে হায় হায় ধর ধর রব উঠল। উঠে দাঁড়িয়ে নাজিম আর মকবুল বুঝার চেষ্টা করল কি ঘটনা। কোণে অনেকগুলি বিরাট হাঁড়ি, কোনটায় পাক হচ্ছে কোন কোনটা এমনেই পড়ে আছে। কিছু একটা হচ্ছে ঐদিকে। নাজিম একটু ইতস্তত করে পাখিগুলো নামিয়ে রেখে সেইদিকে রওনা হল কি ব্যাপার দেখতে। বেশ একটা জটলা, সেইখানে মিঠাইওলা তারিককে গুঁতা দিয়ে নাজিম বলল, এই কি অইছে রে?

তারিক বলল, কিডা জানি একটা পুঁটলা ছুঁইড়া ফালায় পলাইছে। উই হাঁড়ির ভিতর।

নাজিম তাকিয়ে দেখল বিরাট হাঁড়িতে পানি ফুটছে, সেই হাঁড়ির ভিতর পুঁটলা ফেলবে কেন? আশ্চর্য কাণ্ড।

বড় একটা পুলাউ ঘুটা দেবার লাঠি দিয়ে একজন উঠানোর চেষ্টা করল পুঁটলিটা। হালকা উপরে উঠার পরে সবাই হঠাৎ করে বুঝতে পারল, পুঁটলি নয়। পুঁটলি অবশ্যই নয়।

মকবুল রিনরিনে গলায় চিৎকার করে উঠল, ও মা গো পুঁটলা না তো বাচ্চা তো! বাচ্চা তো!

সকলকে সরিয়ে হুড়মুড় করে সামনে এগিয়ে এলেন খানসালার মুস্তাকিম স্বয়ং। পিছনে ভাণ্ডারী নজরউদ্দিন। শিশুর দেহ গরম পানির ভাণ্ডে ফেলবে কে এত বড় পাষণ্ড? বাচ্চাটাই বা কে?

হাঁড়ির পানিতে ভাসছিল একটা ছোট সোনালি কিছু, বড় কাঠের খুন্তি দিয়ে কেউ একজন সেইটা ধরে তুলে খানসালারের হাতে দিয়ে বলল, আংটি হুজুর। সুনার আংটি।

হাতে নিয়ে ভালো করে আংটিটা দেখে চমকে উঠলেন খানসালার মুস্তাকিম। এ আংটি যে তার বড় পরিচিত। হতবিহবল চোখে তিনি পাশে দাঁড়ানো ভাণ্ডারী নজরউদ্দিনের দিকে তাকালেন। নজরউদ্দিনও অবিশ্বাসভরে চোখ বড় বড় করে তখন আংটিটার দিকে তাকিয়ে।

ফিরোজগড় দূর্গের সর্বাধিনায়ক সুলতান মহব্বত জং এর তিন মাস বয়েসি পুত্র সন্তান মীর্জা সাদাতের আংটি।

(চলবে)


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

দিলেন তো জায়গা মতো এসে শেষ করে, আপনার বিচার হওয়া উচিত হাসি । দারুন হয়েছে বরাবরের মতোই, পরের পর্বটি তাড়াতাড়ি দিয়েন ভাই।

মুসাম্মান

নামটা বেশ দারুন হয়েছে, তবে নরম অনুভূতিওয়ালাদের আবার অনুভূতিতে আঘাত খায় কিনা সন্দেহ আছে গুল্লি

গলা দিয়ে পক্ষীর ভেতরের হাড় বের করে আস্ত পাখি রাঁধতে হয়

চিকল গলা দিয়ে কি করে পক্ষীর ভেতরের হাড় বের করে?

মাসুদ সজীব

সত্যপীর এর ছবি

এইটা একটা জব্বর প্রশ্ন। হাড় বের করে এইটাই আছে সবজায়গায়, ঠিক কিভাবে বাইর করে তার বর্ণনা পাইনাই।

..................................................................
#Banshibir.

ধুসর গোধূলি এর ছবি

উপায় তো নিশ্চয়ই আছে। কাঁটাহীন গোটা মাছ বেক করে ক্যামনে! তারপর পল্টনে কস্তুরী রেস্তোরাঁতে যে দেখতাম আস্তা খাসি ঝুলায়া রাখছে কাবাবের চুলার উপরে, সেইটাই বা ক্যামনে!

এক লহমা এর ছবি

গল্পে এইরকম আঁৎকা বিরেক মারলে এখন থিকা মন্তব্যেও আঁ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সত্যপীর এর ছবি

হো হো হো

পরের পর্বে মন্তব্যে বাকিটুক দিতে ভুইলেন না।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আপনার লেখা সব পর্ব শেষ হলে তবে পড়ি। আজ ভুল করে পড়ে ফেলেছি।
অসুবিধা নাই। ভেবে নেবো ৯০এর দশকের বিটিভি'র ধারাবাহিক নাটক দেখছি। যে নাটক এর এক একটি পর্ব ১৫ দিন পরপর প্রচার হতো।
আপনি ১৫ দিন পার না করলেই হয়।

জবর হইছে সত্যপীর।
শেষ করেন, তাড়াতাড়ি।

ভালো থাকুন, শুভকামনা।

-------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

সত্যপীর এর ছবি

নাহ ১৫ দিন লাগবে না। দ্বিতীয় পর্ব অচিরেই ঢাকাসহ সারাদেশে শুভমুক্তি।

..................................................................
#Banshibir.

মেঘলা মানুষ এর ছবি

একি!!! এতো হিন্দি সিরিয়ালের মত শেষ করে ফেললেন এই পর্বটা!
কিভাবে এই দুর্গে এল এই আংটি? মীর্জা সাদাত কোথায়? সে কি বেঁচে আছে? থাকলে সে এখন কার কাছে? কার কাছে ছিল এই আংটি? সে কেন ছুঁড়ে মারল আংটিটা? আর, ছঁড়বেই যখন, তখন হাড়িতে ছুঁড়ল কেন? কেন?? কেন??? কেন ????

পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভেচ্ছা হাসি

সত্যপীর এর ছবি

আমি হিন্দি সিরিয়ালই লিখি। পাতায় পাতায় শিহরণ!

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

জব্বর। কিন্ত আংটি কি পানিতে ভাসার কথা?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সত্যপীর এর ছবি

ছুটো আংটি, হাঁড়িতে বলক দিয়া পানি ফুটতেছে। মোশনের ভিতরে থাকার কথা, উঠে নামে উঠে নামে...

আংটিতে খাদও থাকতারে খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পানি ফুটাইয়া জাল দিয়া দেখি দাঁড়ান। কিন্তু আংটি পামু কই?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সত্যপীর এর ছবি

দোকানে গিয়া আংটি কিনেন একটা ছোট, তারপরে টেস্ট করেন। টেস্টের পরে আংটিটা ভালো করে মুইছে আমারে পাঠান গল্পের নজরানা হিসাবে। দরবারী আমলে গল্প বলার পরে রাজা মহারাজা সভাসদেরা গলার মালা হাতের বালা নানাবিধ আংটি খুইলা লেখককে দিত খুশী হইয়া, আর আপনে সামান্য আংটি দিতে পারবেন না এইটা কোন কথা?

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

লন আমি আপনারে একটা ভিডিও নজরানা দিলাম, এইটা দেখেন - http://www.bbc.com/news/world-us-canada-27428819 । এইটা আধুনিক স্টাইল। আর নেহাৎ যদি দরবারী স্টাইলই পছন্দ করেন, তাইলে এইখান থিকা যেটা ইচ্ছা যত ইচ্ছা নিয়ে মুফ্‌তে নিয়ে ন্যান।

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

আংটিসহ সুন্দরী দুইজনরে নজরানাস্বরুপ নিলাম। আল্লা আপনার মঙ্গল করুক।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার হয়েছে। ভাল লাগল। পরের পর্বের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকব।

প্রশ্ন, বাচ্চাটাকে কি ফুটন্ত পানি থেকে তোলা হয়েছিল? সিওর হতে পারলাম না। শুধু দেখলাম অল্প কিছুটা তোলার পর সবাই বুঝতে পারল একটা বাচ্চা। তারপর কি বাচ্চাকে পুনরায় ফুটন্ত পানিতে ফেলে দিয়ে সবাই স্বর্ণের আংটি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পরল?

আমি একটু গাধা কিসিমের। বুঝাইয়া দিলে পুলকিত হব।

সোহেল লেহস

সত্যপীর এর ছবি

এখনো খোলাসা কইরা বলা যাইতেছে না। বাচ্চার বডি আর মীর্জা সাদাতের আংটি, দুইয়ে দুইয়ে বাইশ মিলায় মনে হইতেছে সাদাত ইজ নো মোর মন খারাপ

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ জমেছে । পরের পর্বটি তাড়াতাড়ি আসবে আশাকরি!

-আনন্দময়ী মজুমদার

সত্যপীর এর ছবি

লিচ্চয় লিচ্চয়।

..................................................................
#Banshibir.

বন্দনা এর ছবি

এটা কিতা হল? এইখানে থাম্লেন কেনু কেনু কেনু?

সত্যপীর এর ছবি

টানা লিখলে ঘুম আসে ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

গোঁসাইবাবু

সত্যপীর এর ছবি

আমিও ভাই।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

দিলেন তো ভাই! এক্কেবারে লোকাল বাসের মতো যেখানে ইচ্ছা সেখানে ব্রেরেক! পিপাসায় কেমন যেন লাগছে। পরবর্তী অংশ প্রকাশ করে দ্রুত পিয়াস মিটান। অপেক্ষায় রইলাম।
-এ এস এম আশিকুর রহমান অমিত

সত্যপীর এর ছবি

হ দিতেছি খাড়ান।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

সত্যিই! খুবই ভালো লাগলো কবিতা। আর মুসম্মান হবে হয়তো শব্দ টা। মনে হয় চট্টগ্রামের লোকেরা এটির সাথে বেশি পরিচিত। আর রান্নাটি খুবই সুস্বাদু। -সাখাওয়াৎ

সত্যপীর এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো কবিতা

কনকি?! অ্যাঁ

চট্টগ্রামে এরম আস্ত পাখি রান্না করে? রেসিপি দিতে পারবেন বস? একবারে মোগলাই কেতায় হাড্ডি বাইর করে রান্ধে?

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া ভুলে গল্পের জায়গায় কবিতা লিখেফেলেছি। আর চট্টগ্রামে মুরগির মুচম্মান করে। পাখির করে কিনা জানি না। ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য। সাখাওয়াৎ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি একটা অমানুষ রেগে টং , এইরকম জায়গায় বেরেক মারে।।।।।।।।।।।।।।।। তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন।
ইসরাত

সত্যপীর এর ছবি

এতো ত্বরা দিলে চলব? সবুর করেন। মহামতি ইংরেজ আসতেছে পরের পর্বে শুনলাম।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি
সত্যপীর এর ছবি

অইছে পপ্পন বাদ্দেন।

..................................................................
#Banshibir.

শিশিরকণা এর ছবি

উফফ! এমন ব্রেক কষছেন, বুকের খাঁচা থেকে হৃৎপিন্ড বের হয়ে মুখে এসে পড়ছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সত্যপীর এর ছবি

কপাৎ কইরা গিলা ফেলান খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

সময়মত ব্রেক কষে ভালই করেছেন, কারন যে রকম নিষ্ঠুর কাহিনীর অবতারনা করেছেন, তা হজম করার জন্য একটু প্রিপারেশন দরকার ছিল।

সত্যপীর এর ছবি

এই গল্পটা একটু প্যাঁচানোর চেষ্টা করছি, দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্বের পরে ব্যাপক গিট্টু লেগে যাওয়া উচিৎ। সেই গিট্টু পরে ছুটাইতে পারব কিনা সেইটা অবশ্য একটা ব্যাপার।

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

প্যাঁচাপেচির জন্য দরকার হলে চরম উদাসের পরামর্শ নেন।

সত্যপীর এর ছবি

সে আরো গিট্টু পেঁচায় দিব।

..................................................................
#Banshibir.

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বাল্মিকী যেমনে কইছিলো, রামচন্দ্র আর রামায়নের ইতিহাস সেই মোতাবেকই ঘটিত হইছিলো। এখন পীর বাহাদুর যেমনে ইতিহাস লেখতাছে, সেই মোতাবেক যদি মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস পুনর্লিখন হয়, তাইলে খবরই আছে।

রামায়নের ঘটনা থেকে মনে পড়লো। হনুমানদের কাছে পিয়াজের মতো একটা গদা ছিলো না? যেটা দিয়ে রাবনের আর্মির সাথে বাইরাবাইরি করছে! ঐরকম একটা গদার দরকার। লেখার জাগা, বেজাগা, অজাগা আর কুজাগায় ব্রেক কষলেই লেখককে আচ্ছাকরে একটু আদর করে দেয়া যাবে।

সত্যপীর এর ছবি

পিঁয়াজি গদা নামায় রাখেন বস। আপনেই না কইতেন চাপা মারা চলিবে কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক? তইলে আমি এখন গল্পে নানাবিধ চাপা মারলে পিঁয়াজি গদা দিয়া চাপায় মারার ডর দেখান ক্যা ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

জীবনে একখানা হিন্দি সিরিয়াল খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতে শুরু করেছিলাম। "ঝাঁসি কি রাণী" । সবটা দেখে শেষ করতে পারিনি, রাজা গঙ্গাধরের অকাল মৃত্যু হলো আর আমারো আগ্রহ নিভে গেলো।

তুমি এক কাজ করো, "ঝাঁসি কি রানী" দেখা শুরু করে দাও। তোমার এই অতি সুস্বাদু প্রথম শ্রেণীর মাল-মশল্লা আর "ঝাঁসি কি রানী" এর রেসিপি দুইটা একসাথে মিলিয়ে খুব ভালো করে ব্লেন্ড করো। তারপর কম করে হলেও ২৫০ ভাগ করো। এবার এক এক ভাগের সাথে কুটনামি, ফাজলামি, ফটকামি, আতলামি ছেবলামি ইত্যাদির সাথে তোমার মনের মাধুরী মিশিয়ে জব্বেস করে একটা বাংলা সিরিয়াল বানিয়ে ছেড়ে দাও। বাংলাদেশের মহিলারা যদি হিন্দি সিরিয়াল বর্জন করে তোমার লেখা সিরিয়াল দেখা শুরু না করে তো আমার নামে তুমি একটা বেড়াল পুষো।

তোমার লেখা সবসময় পড়ি তবে "আলসেমির" জন্য মন্তব্য লেখা হয়ে ওঠেনা ।

--------------------------------------------------------------------------------

সত্যপীর এর ছবি

কথা ভালো বলছেন ভাবি। চিন্তা করে দেখলাম ঝাঁসি কি রাণীর মত গল্প লিখতে পারি বাংলা কি গুলাম । প্লট হইল, বাংলা এলাকা থেকে একদল জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় দাস হিসাবে। তারপরে পিপলি বন্দরে তাদের মেশিন খালাস করা হতে থাকে খোজা করার উদ্দেশ্যে, কিন্তু মাস ম্যানুফ্যাকচারিং এ মার্জিন অফ এরর থাকবেই, তাই একজনের মেশিন ভুলে আর খালাস করা হয়না। সে অক্ষতই থাকে।

এরপর তাকে এক হেরেমে গার্ড হিসাবে পোস্টিং দেওয়ার পরে ভিতরের নারীরা মেশিনের খবরে পাগল ও মাতোয়ারা হয়ে যায় (এইখানে কিছু খাঁটি সিরিয়ালমার্কা সুড়সুড়ি দৃশ্য হবে আলুথালু বসনে স্বপ্নদৃশ্যে সুন্দরী নায়িকা ও তার বান্ধবীগণের প্রেমময় আহ্বান ইত্যাদি), তারপরে বাকি খোজারা হয় চিন্তিত, চমকিত ও ঈর্ষান্বিত। তারা খুন খারাবির প্ল্যান করে। বাঁচাতে আসে এক কোমল অথচ কঠোর নায়িকা। নায়ক তাকে চায় কিন্তু পায় না। নায়ক বাকিদের পায় কিন্তু চায় না। এদিকে একাধিক হেরেমবাসিনী বাচ্চা কোলে এসে দাবী করে এই বাচ্চা তারই, তারপরে...

২৫০ পর্ব কুনো ঘটনাই না ভাবি।

..................................................................
#Banshibir.

মরুদ্যান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তুলিরেখা এর ছবি

আরে এর পরে কী হইল? পরের পর্ব কই? টেনশনে জান গেল যে!

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম...

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ।
গলা দিয়ে পক্ষীর ভেতরের হাড় বের করে আস্ত পাখি রাঁধতে হয়...নতুন পক্ষীবাবুর্চি খুঁজছি। যা কসাইখানায় গিয়ে চারটে পক্ষী নিয়ে আয়, দুপুরে রাঁধবি। মনপসন্দ হলে তোকেই পক্ষীবাবুর্চি রেখে দেব যা...
সেই সময় টাকে বোঝানোর জন্য কি গল্পের প্রকাশভঙ্গী এমন? সাধারণ ভাবে এখন যে ভাষায় আমরা লিখি বা পড়ি সে ভাষায় লিখলে কল্পদৃশ্য গুলো কি দুর্বল হয়ে যেত? আমার মনেহয় প্রাচীনতা তুলে আনতে যেয়ে সবাই এরকম ভাষার ব্যবহার নিয়ে আসে, তবে অন্য কিছু চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে; নতুনত্ব আসবে। নিশাচর জিব।

কল্যাণ এর ছবি

গুল্লি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।