অম্বর নদীর তীরে সুলতান মহব্বত জং এর তাঁবু। মধ্য দুপুর।
তাঁবুর বাইরে দাঁড়িয়ে পত্রবাহক ফরহাদজান ফতেপুরী জামার খুঁটে কপালের ঘাম মুছে নিল একটু। খবর ভালো নয়। একেবারেই ভালো নয়। খবর শুনে সুলতান রেগেমেগে তার কল্লা নামিয়ে দেবার সমূহ সম্ভাবনা।
তাঁবুর ভেতরে তখন বসা সুলতান মহব্বত আর তার ফৌজের লোকজন। রাতে সুলতানের ঘুম হয়নি ভালো, কি একটা নাম না জানা মাছভাজা খেয়ে রাতে পেট নেমে গিয়েছিল ভয়ানক। মুখটা তিতা হয়ে আছে এখন। পত্রবাহকের দিকে তাকিয়ে তিনি ভুরু কুঁচকে বললেন, মহাবীরের বাচ্চা কি বলল?
রাজা মহাবীরের রাজ্য দখল করতেই সুলতান অভিযানে এসেছেন, অম্বর নদীর ঐপারেই মহাবীরের রাজ্য শুরু। গতকালকে ফরহাদজানকে পাঠানো হয়েছিল সুলতানের পত্র সহকারে, সেইখানে পরিষ্কার বলা হয়েছিল রাজা মহাবীর যেন আত্মসমর্পণ করেন এবং ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হয়ে যান। অন্যথায় কঠিন আযাব অপেক্ষা করছে মহাবীর ও তার পরিবারের জন্য।
জামার ভিতর থেকে দ্বিধাভরে একটা কাগজ বের করল পত্রবাহক ফরহাদজান। সুলতান বললেন, সে পাল্টি চিঠি দিয়েছে? আচ্ছা। দে আমার কাছে চিঠি।
ফরহাদজান ঢোঁক গিলল একটু। তারপর নিচু স্বরে বলল, পাল্টি চিঠি না হুজুর।
সুলতান ধমকে বললেন, তো তোর হাতে কী?
ভয়ে তোতলাতে তোতলাতে ফরহাদজান বলল, আমি...আম-আমার হাতে...হুজুর হাতে...চিঠি হুজুর ভিজা হুজুর ভি-ভিজা। ভিজা।
সুলতানের গোলন্দাজ বাহিনীর প্রধান আমীর নসরৎউল্লা উঠে ঠাস করে একটা চড় কষালেন ফরহাদজানকে। বললেন, হারামজাদা মস্করা করস? ভিজা চিঠি মানে কি?
এই বলে তিনি সেই ভিজা চিঠি হাতে নিলেন। নিয়েই মুখ কুঁচকে বললেন, এহ গন্ধ কিসের?
ভয়ে কম্পিত স্বরে ফরহাদজান বলল, এইটা...এইটা সুলতান বাহাদুরের চিঠিটাই হুজুর। রাজা মহাবীর এর উপর পিশাব কইরা ফিরত পাঠাইছেন।
অসহ্য রাগে সুলতান মুহব্বত জং এর ফর্সা মুখ টকটকে লাল হয়ে গেল। দাঁত কিড়মিড় করে তিনি হুঙ্কার দিয়ে বললেন, শুয়ারের বাচ্ছা। আমার নামের উপর পিশাব করে কত্ত বড় সাহস হারামীর বাচ্চা…
ভয়ে ফরহাদজান পিছিয়ে গেল দুই কদম। আমীর নসরৎউল্লা তাকে দ্রুত তাঁবু থেকে বের করে দিয়ে সুলতানের দিকে তাকিয়ে বললেন হুজুর শান্ত হৌন। রাজা মহাবীরের দিন শেষ। আসেন মাথা ঠাণ্ডা করে নকশার কাজটা শেষ করে ফেলি।
এই বলে তিনি কামরার মাঝে পাতা মানচিত্রের দিকে এগুলেন। অম্বর নদীর অন্যপারে বিশাল জঙ্গল, তারপরে মাঠ। সেইখানেই যুদ্ধ হবে। সুলতান পাশে রাখা পাত্র থেকে পানি দিয়ে মুখ একটু ধুয়ে মানচিত্রের দিকে ঝুঁকে বললেন, মহাবীরের সিপাই কতজন?
সত্তুর হাজার, পাশ থেকে উত্তর দিলেন সওয়ার বাহিনীর প্রধান ফরিদ হাশমত, তার আদ্ধেক তীরন্দাজ। এদের তীরগুলা অন্যরকম হুজুর, লম্বা। আগাটা ভার, আমাদের পুরাতন ফৌজি ঢাল ফুটা করে দিবে। আজমল কারিগরের তৈরি যে ঢালগুলা আমাদের আছে, সেইগুলা ফুটা হবে না সম্ভবত।
এই বলে তিনি পাশে উপবিষ্ট সেনাপতি মোহর খাঁকে বললেন, আজমল কারিগরের ঢাল আমাদের কয়টা আছে?
গলা খাঁকারি দিয়ে মোহর খাঁ বললেন, সাড়ে এগারো হাজার।
ফরিদ হাশমত আবার কথা শুরু করলেন, সাড়ে এগারো হাজার। সুতরাং কাতারের একবারে সামনে রাখা যাক গোলন্দাজের কামান, তারপরে আজমলের ঢালওলা সাড়ে এগারো হাজার সিপাই। পিছনে থাকবে অন্য ঢালের সিপাই। এবং তীরন্দাজ দুই পাশে। এরা সবাই মিলে হল্লা মাচায় মহাবীরের কাতার ভেঙ্গে ষোল টুকরা করার পরে আমার ঘোড়সওয়ারের দল গিয়ে মাঠের দখল নিবে।
মাথা নিচু করে চিন্তা করতে লাগলেন সুলতান মহব্বত জং। তারপরে মুখ তুলে বললেন, হাতি?
ফরিদ হাশমত কী একটা বলতে গেলেন, এমন সময় হুড়মুড় করে তাঁবুতে ঢুকলেন বৃদ্ধ উজির আবদুল মালিক। স্থিরকন্ঠে তিনি বললেন, সুলতান, আপনার সাথে আমার এই মুহুর্তে কথা বলা জরুরী।
বিরক্ত হয়ে সুলতান বললেন, উজিরসায়েব আমরা ব্যস্ত আছি। দুপুরের খানার পরে হবে।
ভয়ানক জোরে মাথা নেড়ে উজির বললেন, না হুজুর। এখনই বলতে হবে আমাকে। ফিরোজগড় থেকে খবর এসেছে।
কি খবর?
কী একটা বলতে গিয়ে থেমে গেলেন বৃদ্ধ উজির। তারপরে বললেন, হুজুরের সাথে কি একলা কথা বলতে পারি?
ধুরো কি আপদ, অধৈর্য্য কন্ঠে সুলতান বললেন, কি বলবেন বলেন উজির সায়েব। খামোকা সময় নষ্ট করবেন না এখন, কাজের মধ্যে আছি।
ছোট করে শ্বাস ফেললেন উজির মালিক। তারপরে বললেন, মীর্জা সাদাতকে পাওয়া যাচ্ছে না হুজুর।
এক মুহুর্তের জন্য সুলতান মহব্বত জং এর মনে হল তিনি দম নিতে পারছেন না। মীর্জা সাদাত তার একমাত্র শিশুপুত্র, বড় কষ্টের সন্তান। আট বছরে ছয় বিবি তাকে খালি মেয়েই দিয়ে গিয়েছে, অবশেষে এসেছে মীর্জা সাদাত। সে জন্মানোর পরে তিনমাসে সুলতানের এই প্রথম সফর।
হাত মুঠি করে অনেক কষ্টে তিনি বললেন, পাওয়া যাচ্ছে না মানে?
এই মাত্র খবর এসেছে তাকে বিছানা থেকে কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে। নিয়ে…
বলতে বলতে থেমে গেলেন উজির মালিক। তাঁবুর ভিতর নেমে এল এক অস্বস্তিকর নীরবতা। স্থির চোখে সুলতান জিজ্ঞাসা করলেন, নিয়ে কি মালিক সায়েব? মেরে ফেলেছে?
মাথা নিচু করে উজির বললেন, হ্যাঁ। পাকের হাঁড়ির ফুটন্ত পানির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
অবিশ্বাস ভরা চোখে তাঁবুর ভিতরের কয়েকজন মানুষ উজির মালিকের দিকে চেয়ে রইল।
………………………………………………………
শেষ বিকেল।
অম্বর নদীর তীরে বসে থাকা সুলতান মহব্বত জং এর কাছে গিয়ে বসলেন উজির আবদুল মালিক আর সেনাপতি মোহর খাঁ। অশ্রুভেজা চোখে সুলতান তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, আমার বয়েস যখন চৌদ্দ তখন আমাকে একবার আব্বাজান তরবারি তৈরির কারখানায় নিয়ে যান। গরম লোহা পিটে পিটে তলোয়ার বানানো আমি আগে কখনো দেখি নাই।
কী বলবেন বুঝতে না পেরে উজির আর সেনাপতি চুপ করে রইলেন। সুলতান আবার শুরু করলেন, সেই কারখানায় এক কোণে গলানো লোহা বেয়ে বেয়ে পড়ছে। উফ সে কি গরম চিন্তাই করা যায় না মালিক সায়েব। সেই গরম সইতে না পেরে আমি এক দৌড়ে বের হয়ে চলে এসেছিলাম।
বলে একটু থামলেন সুলতান। তারপর বললেন, আর আমার ছেলেটাকে ওরা গরম পানির মধ্যে ফেলে দিল? ফুটন্ত পানির মধ্যে? আল্লা কি সত্যই আছেন মালিক সায়েব?
কাছে এসে উজির মালিক সুলতানের দিকে চোখ রেখে বললেন, ফিরোজগড় ফিরে চলুন হুজুর। এ সবই সম্ভবত আপনার দ্বিতীয় বিবি আর তার ভাইয়ের কাণ্ড। চলুন হুজুর এখনই, রাজা মহাবীরকে পরে দেখে নেওয়া যাবে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে সুলতান বললেন, হুঁ।
এই সময় আমীর নসরৎউল্লা হন্তদন্ত হয়ে এসে বড় একটা সেলাম ঠুকলেন সুলতানকে। তারপরে বললেন, হুজুর এক দুবাশ এসেছে।
কে এসেছে?
দুবাশ বলছে নিজেকে। ফিরিঙ্গির চিঠি নিয়ে এসেছে। সে নাকি ফিরিঙ্গির ভাষা পড়তে পারে।
উজির মালিক বললেন, দুবাশ মানে দোভাষ আর কি। ফিরিঙ্গির ভাষা জানে তাই। কিন্তু কোথাকার ফিরিঙ্গির দোভাষ কে জানে। গিয়ে দেখা যাক। মহাবীরের যুদ্ধ নিয়ে কিছু হলে কাটিয়ে দিতে হবে। এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমাদের নাই এখন।
সকলে তাঁবুর দিকে রওনা দিলেন। ভিতরে তখন কাটা ফল পরিবেশিত হয়েছে দস্তরখানে। সুলতান তাকিয়ায় হেলান দিয়ে দোভাষকে ডাক দিলেন। ঘরে প্রবেশ করল পাথরশোভিত পাগড়িপরা এক মধ্যবয়েসি ব্যক্তি। মাথা নুইয়ে কুর্নিশ ঠুকে সে জামা থেকে এক গোল করা কাগজ বের করল। তারপর বলল, সেলাম হুজুর। অধমের নাম সুজা হাফিজ, আমি এক নগণ্য দুবাশ। আমি আসছি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মেজর অ্যাপলটনের পত্র নিয়ে, ইংরাজি ভাষায় লিখা পত্র। আপনি অনুমতি দিলে সেই পত্র তর্জমা করতে চাই।
মাথা নেড়ে সম্মতি দিলেন সুলতান মহব্বত জং। গলা খাঁকারি দিয়ে পড়তে আরম্ভ করল সুজা হাফিজঃ
“সম্মানিত সুলতান মহাশয়,
আজ এগারোই জুলাই সেইন্ট প্যাট্রিক দুর্গ হইতে আপনার উদ্দেশ্যে পত্র লিখিয়া ধন্য বোধ করিতেছি আমি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অনুগত কর্মকর্তা মেজর জেমস অ্যাপলটন। আমরা সম্পূর্ণ অবগত আছি আপনার সাম্প্রতিক পারিবারিক দুর্যোগ বিষয়ে এবং এই দুঃখজনক ঘটনায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সকল সেবক গভীরভাবে মর্মাহত।
ফিরোজগড়ের অভ্যন্তরে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের এই বিশ্বাস যে, আপনার পুত্র সন্তানকে গুম করা হইয়াছে হত্যা নয়। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ফুটন্ত পানির ভিতর হইতে উদ্ধারপ্রাপ্ত হতভাগ্য শিশুটির মাথা ঘন কেশসম্পন্ন যদিও আমরা অবগত আছি আপনার পুত্রের মাথার কেশ ছিল অতি স্বল্প। আপনার পুত্রসন্তানকে জিম্মি করিয়া এক গভীর ষড়যন্ত্রে ফিরোজগড়ের কতিপয় খল ব্যক্তি মত্ত, যাহাদের অধিকাংশ আপনার রক্তসম্পর্কিত আত্মীয়ভুক্ত। আপনি এই মুহুর্তে ক্রুদ্ধ হইয়া ফিরোজগড় ফিরিয়া যান এই তাহাদের অভিপ্রায়, কেননা তাহারা সম্পুর্ণই প্রস্তুত আপনাকে মোকাবিলা করিতে।
হে সম্মানিত সুলতান, আমি দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলিতে চাই এই গভীর ষড়যন্ত্রের পিছনে রহিয়াছে দুর্মতি ফরাসীর কালো হাত। আমাদের নিকট পাকা খবর আসিয়াছে যে আপনার ভ্রাতা আকবর খাঁ হাত মিলাইয়াছে ফরাসী কোম্পানির ক্যাপ্টেন গি তেত্রো এর সহিত। ফিরোজগড় দূর্গ বর্তমানে আপনার বান্ধববিহীন, তবে আপনি শুনিয়া প্রীত হইবেন ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আপনার সেবায় নিয়োজিত হইতে বদ্ধপরিকর।
আশা করি সম্মানিত সুলতান আমাদের এই বন্ধুত্বের আহ্বানে সাড়া দিবেন।হাতে সময় অত্যল্প, আমাদের সকলের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আপনার গুম হইয়া যাওয়া পুত্রসন্তানের মুক্তি।
নিবেদনে
আপনার একান্ত অনুগত এবং বিশ্বস্ত সেবক
মেজর জেমস আর্থার অ্যাপলটন
ফোর্ট সেইন্ট প্যাট্রিক, বোম্বাই।"
চিঠি পড়া শেষে থামল সুজা হাফিজ। সুলতান মহব্বত জং পাশে রাখা পাত্র তুলে পানি খেলেন এক ঢোঁক, তারপরে উজির আবদুল মালিকের দিকে তাকিয়ে বললেন, হাঁড়ির ভিতর পাওয়া বাচ্চার মাথায় চুল সত্যই ছিল কিনা খবর আনার ব্যবস্থা করেন।
(চলবে)
মন্তব্য
উফ্, আপনের গপ্পটা যা জমসে না...এক্কেবারে ফুল স্টীমে রান্না হইতেছে যেন!
****************************************
কড়া গিট্টুমারা গল্প লিখার ভাও করতেছি কড়াপাকের সন্দেশের মতন! হিসাব ঠিক থাকলে পরের পর্বে গুলাবারুদের শব্দে কান পাতা মুস্কিল হয়ে যাওয়ার কথা.
..................................................................
#Banshibir.
এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম! খুবই ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা আপনার জন্য। ----সাখাওয়াৎ।
ধন্যবাদ।
..................................................................
#Banshibir.
বাহ, বেজায় জমে উঠেছে দেখছি, গিটঠুও ভালই লাগছে দেখা যায়। অপেক্ষায় রইলাম।
কড়া গিট্টু।
..................................................................
#Banshibir.
এই ধরণের গল্প এক নিংশ্বাসে পড়তে না পারলে কেমন যেন হাসপাস লাগে। এভাবেই ব্রেক না করলেই কি নয় সত্যপীর ভাই।
-এ এস এম আশিকুর রহমান অমিত
চা-পানি খাওয়ার জন্য একটু থামলাম আর কি।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার গল্পের দৃশ্যায়ন খুব ভালো হয়। ভেজা চিঠির ব্যাপারটায় মুগ্ধ হলাম!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হ কত্ত বড় অপমান ভাইবা দেখেন!
..................................................................
#Banshibir.
জমে বরফ।
গোঁসাইবাবু
..................................................................
#Banshibir.
দারুন
ইসরাত
কইছিলাম না মহামতি ইংরেজ আসতেছে? কুনো একটা মতলব আছে তাদের।
..................................................................
#Banshibir.
গল্পে অনেক সাসপেন্স জমা করেছেন,সুতরাং আপনি সফল| কারণ, আমরা পরবর্তী ঘটনা জানার আগ্রহ বোধ করছি| অসাধারণ কিছুর অপেক্ষায় রইলাম| সিরিজটি চালিয়ে যান শেষ পর্যন্ত| -মোঃ জাকির হোসেন
অসংখ্য ধন্যবাদ জাকির হোসেন। ব্যাপক যুদ্ধমুদ্ধ লাগায় দেওয়ার ধান্দায় আছি বটে।
..................................................................
#Banshibir.
এই পর্ব এক্কেবারে জবরদস্ত হৈচ্চে! নিয়া না বৈসা পারা গেল না। জলদি জলদি পরের পর্ব ছাড়েন!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সাপ্তাখানেক বাইরে নানাবিধ ঘুরাঘুরি, পরের পর্ব আসতে হাল্কা দেরি হইব। ফিরোজগড় দূর্গের বাইরে ব্যাপক গুলাগুলি হইব পরের পর্বে, ভল্যুম কমায় পইড়েন
..................................................................
#Banshibir.
দমবন্ধ করা কাহিনী!
মীর্জা সাদাত কোথায়? সে বেঁচে থাকলে কার জিম্মায় আছে? ইংরেজরা কিভাবে জানলো সে বেঁচে আছে? ইংরেজদের কোন কৌশল না তো এটা? সত্যিই কি মীর্জা সাদাত তার বাবার কোলে ফিরতে পারবে? -এসব প্রশ্নের জবাব চাইলে, পড়তে থাকুন, সাথে থাকুন আর পীরের দোয়া নিন
হ্যাঁ ভাই! এই সেই সামাজিক অ্যাকশনধর্মী ছবি, পরিবারের সকলকে নিয়ে দেখার মত একটি পরিচ্ছন্ন ছবি ওয়ারিশ - রিশ - রিশ - রিশ (একো ফেইড আউট এফেক্ট এইখানে)...
..................................................................
#Banshibir.
সেইরকম টানটান গল্প! প্রথম পর্বে মন্তব্য করা হয়নি অবশ্য।
পরের কিস্তি জলদি দেন দেখি, বড়সড় সাইজে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পরের পর্ব দিতে হাল্কা দেরি হইব বইনডি, বেছতোতা দেয়না অবসর। কিন্তু তাই বলে ভাইবেননা স্বার্থপর। বেপক ধুন্দুমার গুলাগুলি দিয়া দেরি পুষায় দিব পরের পর্বে
..................................................................
#Banshibir.
আপানার লেখার ব্যাপক ভক্ত হয়ে গেছি সত্যপীর ভাই। সিডনীতে বেড়াতে আসেন, কিল্লা-কল্লা এখানে তেমুন নাই, কিন্তুক মুল্লুক খারাপ না।
কিল্লা নাই তো বুঝলাম, কিন্তু কল্লাও নাই?!
..................................................................
#Banshibir.
কল্লা আছে সব ঘাড়ের উপরে, আপনার গল্পে যেমন তলওয়ারের কোপে মাটিতে গড়াগড়ি খায়, সেই রকম নাই
-পিয়াল
এই রকম আর সয় না। পানির পিপাসা পাইছে এক কলসির কিন্তু আপনে যদি এখন চা চামচে কইরা পানি খাওয়ান তাইলে কেমনডা লাগে? চিন্তা করতেছি আপনার এই রকম বেহুদা যায়গায় ব্রেক মারা পর্ব আর পড়ব না। গল্পের ফাইনাল পর্ব যেদিন দিবেন সেই দিন এক সাথে সব পড়ে ফেলব।
সোহেল লেহস
সবুরে টেশটি মেওয়া ফলে।
..................................................................
#Banshibir.
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
..................................................................
#Banshibir.
পীর সাহেবের গল্প পড়তে বসলে একুশ শতকের মাথাটা কয়েকশো বছর পেছনে নিয়ে যেতে হয়। প্রথম পর্বে আতকা ব্রেক কষছিলেন বলে মন্তব্য করা হয় নাই। এখন দ্বিতীয় পর্বে এসে একটু থিতু হয়ে বসা গেল। আপনি চা খেয়ে জলদি ফিরে আসেন গুলিগোলা নিয়ে।
কিন্তু একটা কৌতুহল। ওই সময় ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কি বোম্বে স্টেশান ছিল? কোলকাতা স্থানান্তরিত হবার আগে মাদ্রাজে না হেডকোয়ার্টার ছিল?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হেডকোয়ার্টার থেকেই এই অপারেশন মেজর অ্যাপলটন চালাইতেছেন তা নাও হইতে পারে। যে সময়ের কথা হইতেছে তখন বোম্বে সুরাট ইত্যাদি জায়গায় কুঠি ছিল ইংরেজদের। ফোর্ট সেইন্ট প্যাট্রিক ছিলনা, ঐটা আমার বানানো। কিন্তু ওইরকম ফোর্ট ছিল ঠিকই। নানাবিধ মেজরের আনাগোনাও ছিল।
ধইরা নেন মাদ্রাজের ইংরেজ ফৌজ এই মুহুর্তে পন্ডিচেরির ফরাসীদের সাথে গেঞ্জামে ব্যস্ত, তাতে হুড়া দিতেছে বদমাইশ গোয়ার পর্তুগীজ। তাই ওনারা বিজি আছেন, আর বোম্বে চালাইতেছে এই অপারেশন। মাদ্রাজ পন্ডিচেরি গোয়ার ঢিসটিং ঢিসটিং নিয়া গপ আরেকদিন
..................................................................
#Banshibir.
সবগুলোতে ইটা রাইখা যাইতাসি - আগে শ্যাস করেন, তারপরে সবগুলান একবারে পড়ুম নে।
____________________________
কিন্তু ইটা রাখার দরকার কি যখন পড়বেন তখন কমেন্ট করলেই হয়?
..................................................................
#Banshibir.
রাজা মহাবীর নিজেই পিশাব করছিলেন নাকি কোন খানসামা দিয়া করাইছেন । তাত্তারি পরের পর্ব দেন, ব্যাপুক টেনশনে আছি।
খানসামা কিন্তু খুব বড় পোস্ট। আবাল ইংরেজ আইসা খানসামারে চাকর বানাইছে। প্রথম পর্বের খানসালার মুস্তাকিমরে মনে আছে? সে হইল খানসালার বা খান-ই-সালার, অর্থ কিচেনের হেড। বিরাট পোস্ট। এইরকম মূল যে খাদ্যগুদাম ছিল, মোগলাই গুদাম, তার হেড ছিলেন্ খান-ই-সামান বা খানসামা। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, কুটি কুটি টাকার মালের দেখভাল করতেন খানসামা। হেতের পিশাবরে রাজার পিশাবের চেয়ে কিছু কম ভাইবেননা
..................................................................
#Banshibir.
বাবুর্চি নাজিমুদ্দিন কি ইংরেজদের চর নাকি
উজির মালিক কি মহাবীরের সাথে হাতে হাত___
আরও নানা চিন্তায় মস্তিষ্ক জর্জরিত। পরের পর্ব ছাড়েন তাড়াতাড়ি ।
- ছায়াবৃত্ত
ছাড়ান দেন। চিন্তা আমি করতেছি, আপনেরা সিট ব্যাক রিল্যাক্স অ্যান্ড এনজয়।
..................................................................
#Banshibir.
আহ, এসেছে দ্বিতীয় পর্ব। টেনশনে চুরচুর ছিলাম।
দারুণ কাহিনীর গতি, এখন পরের পর্বের অপেক্ষা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
টেনশনে মুড়ি চানাচুর হওয়া খুব খ্রাপ বিষয়। বাদ্দেন। আছেন ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
টেনশনের চোটে চা আর মুড়ি-চানাচুর খাই।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ওরে, দারুণ! চলুক!
ধন্যবাদ বস।
..................................................................
#Banshibir.
চা শেষ করেন, ত্তাতাড়ি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আরেক কাপ চা নিয়া জুইত হইয়া বসছি। সুমায় লাগব একটু বস, খুবৈ ভায়োলেন্ট যুদ্ধের আঞ্জাম করব ভাবতেছি
..................................................................
#Banshibir.
****************************************
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ওহ্ দারুণ।
খুবই স্বাদু হইছে এই পর্ব।
রয়েসয়ে দ্যান পরেরটা। বইসা আছি জুত কইরা। অসুবিধা নাই।
ভালো থাইকেন সত্যপীর।
আপনারে ভালো পাই।
--------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
ভালৈ থাকি বস। হাবিজাবি লিখি আপনেরা সময় কইরা পড়েন আবার কমেন্ট ও রাইখা যান। ধইন্যবাদ অশেষ।
..................................................................
#Banshibir.
পড়ে খুবই ভাল লাগছে? গল্পের বর্ণনায় গতি এসছে। এ ধরণের একটানা না পড়তে পারলে ভাল লাগেনা। আশা করব, দ্রুত শেষ করে দিবেন বা লেখার অংশ গুলো আরো বড় হবে। সবচে’ ভাল হয় যদি পুরোটা একসাথে পড়া যেত। নিশাচর জিব।
দিয়ে দিছি তিন নম্বর। পড়ি লান।
..................................................................
#Banshibir.
ফাটাফাটি!!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন