বন্দুকচি তকীউল্লার ট্যাঁকঘড়ি - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৭/২০১৪ - ১১:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একগাল মুড়ি মুখে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেলিম গম্ভীর গলায় বলল, বন্দুকচি কি তবলচির মতন?

আমি একটু চিন্তা করে বললাম, হ কাছাকাছিই। দুইজনেই আওয়াজ বাইর করে। তবলচি তবলা বাজায় আওয়াজ করে আর বন্দুকচি মনে কর যুদ্ধেমুদ্ধে বন্দুক ফুটায় আওয়াজ করে।

বন্দুক ফুটায়? সেলিম আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল, তইলে এক হইল কেমনে? আমাগো তবলচি আলী নকী তো কাউরে মারত না।

আমি হেসে বললাম, বন্দুকচিও কাউরে মারে না রে ব্যাটা। আওয়াজই বাইরায় খালি। হাতিঘোড়া ভয় খায় এই আর কি।

সূর্য একবারে মাথার উপরে। ঘেমে পাছার কাপড় লেপ্টে গেছে, কোথাও বসে জিরানো দরকার। তবে পথও মেলা দূর এইটাই সমস্যা, হাঁটা বন্ধ করলে দেরি হয়ে যাবে ভারি। পরের সরাইখানা আরো বেশ দূর, সেইখানে গিয়ে খেয়ে আবার হাঁটা দিতে হবে। হিসাবে আগামীকাল বিকালে পৌঁছানোর কথা, আশা করি তখনও জায়গাটা শান্ত থাকবে।

সেলিম আবার জিজ্ঞেস করল, তো এই বন্দুকচি আপনের দোস্ত আছিল?

আমি জামার খুঁট দিয়ে কপালের ঘাম মুছে বললাম, হ। তারে আমি ছুটোকাল থিকা চিনি। আমারে বন্দুক আর তীর ছুঁড়া শিখাইছিল।

আপনে বন্দুক ফুটাইতে পারেন?

হুমম। পারি তো। শিখায় দিলে তুইও পারবি। আওয়াজটাই মাইরালায় খালি। কান কটকট করে বন্দুক ফুটাইলে। রাইতে ঘুমাইতে গেলে আঁতকা মনে হয় বন্দুক ফুটতেছে কানের পাশে।

কানের ব্যথাতেই কি আপনের বন্দুকচি দোস্ত মইরা গেছে?

আমি ফ্যাকাশে হেসে বললাম, না। তকীউল্লা ভাইয়ের বয়স হইছিল।

ও বুইড়া?

একবারে বুইড়া না, তয় বয়েস হইছিল। দেইখা বুঝা যাইত না অবশ্য, খুব পালোয়ান আছিল। ঘন দাড়ি। কথা কইলে লোকে ভয় খাইত।

আপনেও ভয় খাইতেন?

আমিও ভয় খাইতাম। তকীউল্লা ভাই ফৌজের মীরদাদা আছিলেন। মীরদাদার কাজ খালি বন্দুক ফুটানি না, আরো দশ বন্দুকচি তারে হুজুর মানত। সেই বন্দুকচিরা যুদ্ধের জন্য তৈয়ার কিনা, তাদের বন্দুকের হালৎ কি, গুলি চামেচিকনে বেইচা দিতেছে কিনা এগুলান খেয়াল রাখতেন মীরদাদা। তকীউল্লা ভাইয়ের থাপ্পড় খায়া বহু ছুটোখাটো সিপাই বন্দুকচির দাঁত পইড়া গেছে।

হি হি।

হ। কড়া লোক আছিলেন তকীউল্লা ভাই, কিন্তু মাথাগরম না। আমি ভালো তীর ছুঁড়তাম তাই আমারে খুব ভালো পাইতেন তকীউল্লা ভাই।

খিদা লাগছে।

আমি একটু থতমত খেয়ে বললাম, হ আমারও। একটা সরাই পড়ব একটু পরে, ঐখানে গিয়া পেট ভইরা খামু। মুড়ি আছে আরেক মুঠি, খাবি?

মাথা হেলিয়ে সেলিম বলল, খামু।

আমি একটা গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে মুড়ি দিলাম সেলিমকে। সে চাবাতে চাবাতে বলল, বন্দুকচি তকীউল্লার পুলার ঘরে যাইতেছি আমরা?

আমি আবার আস্তে আস্তে হাঁটা আরম্ভ করে বললাম, সেই রকমই। তার আগে একটা কাজ আছে একটু বুরহানপুরে। এক কালা বন্দুকচি থাকে ঐখানে, আব্দুল্লা। তার সাথে কথা আছে।

কালা বন্দুকচি, মানে দেখতে কালা?

আমি হেসে বললাম, হ দেখতে কালা। হাবশি। বিরাট পালোয়ান। আবার সে কানেও কালা, কিসু শুনেনা। কইতেও পারেনা কিসু।

সেলিমকে বিভ্রান্ত দেখাল, কথা কইতেও পারেনা শুনতেও পারেনা, তার সাথে কথা কইবেন কী?

বেশী কথা নাই তার সাথে, আমি উদাস গলায় বললাম, কথা অল্পই। হারামজাদা কালার বাচ্চা তকীউল্লা ভাইয়ের একটা জিনিস নিয়া পলাইছে, সেইটা ফিরত নিয়া তারে একটু প্যাঁদামু।

কন কি?

হ। বিরাট বদ এই কালা বন্দুকচি। তকীউল্লা ভাই কইছে হারামজাদারে দুইটা থাপ্পড় দিয়া জিনিসটা ফিরত নিয়া গিয়া তৈয়বরে দিয়া আসতে। তৈয়ব তকীউল্লা ভাইয়ের একমাত্র পোলা, হিসাবে জিনিসটা তারই।

কি জিনিস? সুনার মোহর?

এই সময় দেখা গেল ধূলা উড়িয়ে একটা গরুর গাড়ি আসছে, আমাদের দেখে গতি কমিয়ে থামাল একটু। ভেতরে জোব্বাপরা এক লোক বসা। সে মাথা বের করে বলল, সালাম আলিকুম। যান কোথা?

আমি সালামের উত্তর দিয়ে বললাম, বুরহানপুর। সরাই কতদূর জানেন নাকি?

লোকটি চোখ গোল গোল করে বলল, বুরহানপুর? সেইখানে তো গণ্ডগোল হইতেছে খুব, ঐদিক ক্যান?

আমি চিন্তিত স্বরে বললাম, গণ্ডগোল আরম্ভ হইয়া গেছে? আচ্ছা।

হ্যাঁ। পথের সরাইও খালি, রাজার ফৌজ লুটে নিয়ে গেছে সব। ঐদিক যায়েন না।

আমি একটু মাথা চুল্কালাম।

………………………………………………………………

বিকাল।

বাজার একটা পাওয়া গেছে। সেইখানে আমি আর সেলিম রুটি ভাজি খেতে বসলাম। বাজারটা ঠিক বুরহানপুরের পথে না, তবে এদিক দিয়েও বুরহানপুর যাওয়া যায়। আমি খেতে খেতে আশপাশে তাকিয়ে দেখলাম একটু। ছোট বাজার, লোক তেমন নাই।এক বুড়া একটু দূরে গাছতলায় বসে ঘুমাচ্ছে।

সেলিম এক ঢোঁক পানি খেয়ে মুখ মুছে বলল, বুরহানপুরে মারামারি লাগছে?

মনে হয়। গিয়া দেখতে হইব।

কালা বন্দুকচি আব্দুল্লা কই থাকে জানেন?

খুঁইজা পাওয়া যাইব। সমস্যা নাই। সে হইল হাতি বন্দুকচি।

হাতি বন্দুকচি?

হ। হাতির পিঠে চইড়া বন্দুক ফুটায়। হাতিশালের পাশেই তারে পাওয়া যাইব দেখিস।

ক্লান্ত সেলিম হাত জামায় মুছে সটান মাটিতে শুয়ে পড়ল। তারপরে বলল, আচ্ছা আব্দুল্লা কি জিনিস চুরি করছে?

ট্যাঁকঘড়ি।

অ্যাঁ?

আমি হাসলাম একটু। বললাম, এক রকম ঘড়ি।

ঘড়ি?

আমি একটু ভাবলাম। ঘড়ি জিনিসটা কি আমার নিজেরও ধারণা ভাসাভাসা। তকীউল্লা ভাই বুঝায় বলার সময় পুরা বুঝিনাই। আমি সেলিমকে বললাম, ট্যাঁকঘড়ি ফিরিঙ্গিদের কল। তকীউল্লা ভাইয়ের যখন জুয়ান বয়স তখন ফৌজের এক ফিরিঙ্গির সাথে তার খাতির হয়। পাদ্রী মানুয়েলরে মনে আছে? ঐযে গোয়া নিয়া রাইখা আসছিলাম?

হ। বদমাইশ বুইড়া।

আমি হাসলাম, কথা সত্য। এই ফিরিঙ্গি অবশ্য অত বদমাইশ আছিল না, তবে খুবই ডাকাবুকা। সে আছিল পাদ্রী মানুয়েলের দেশের লোক। পর্তুগীজ। আগে জাহাজ লুট করত, পরে নবাবসায়েবের কামান দাগার কাজে লাগে। গুলাগুলিতে খুবই পাকা লোক মনে কর। তো ঝিল্লিনগরের কাছে জঙ্গলে এই ফিরিঙ্গির সাপে কাটে, ব্যাটা মইরাই গেছিল প্রায়।

কন কি?

হ। তকীউল্লা ভাই তারে বাঁচায় তুলে। তারপরে দুইজনের খুব দোস্তি হয়। ফিরিঙ্গি খুশি হইয়া তকীউল্লা ভাইরে ঘড়ি উপহার দেয়। ট্যাঁকঘড়ি। খুব দামী জিনিস, ফিরিঙ্গি এক জাহাজলুটে পাইছিল। জামার ভিতরে রাখা যায় ট্যাঁকঘড়িটা, ভার বেশি না বুলে।

ট্যাঁকঘড়ি কি?

ট্যাঁকঘড়ি মনে কর সময় দেখে। শান বাহাদুর কিল্লায় প্রত্যেক প্রহরে ঘন্টা বাজাইত স্মরণ আছে?

হ হ।

যে বাজায় তারে ডাকে ঘড়িয়াল। তার কাজ জটিল। সে সময়ের হিসাব রাখে। দিনে প্রহর চাইরটা, আর রাতে চাইরটা। প্রত্যেক প্রহরে ষাইটটা ঘড়ি। তবে ট্যাঁকঘড়ি সেই ঘড়ি না। এইটা অন্য জিনিস। এইটাতে আসতেছি। প্রহর আর ঘড়ির হিসাব বুঝছস?

দিনে চাইরটা আর রাতে চাইরটা। বুঝছি।

আমি বললাম, ঠিক। আবার প্রত্যেক প্রহরে ষাইট ঘড়ি। এই ঘড়ি মাপে পানি দিয়া।

পানি দিয়া?

পানি দিয়া। পানিতে মনে কর একটা বাটি, তার তলায় ফুটা। খুব কারিকুরি করা বাটি। ফুটা দিয়া পানি উঠে, আর ঠিক এক ঘড়ি হয় যখন তখন বাটি ডুইবা যায়। তখন ঘড়িয়াল বুঝে এক ঘড়ি হইছে। একটা একটা কইরা ঘড়ি গুইণা হিসাব রাখে। হিসাবে ষাইটটার পরে এক প্রহর হয় যখন তখন দুমদুম কইরা বাজায় আর সবাই বুঝে এক প্রহর হইছে।

ও বুঝছি।

এখন শুন ট্যাঁকঘড়ি কি। তকীউল্লা ভাই কইছে, এইটা দেইখাই নাকি বইলা দেওয়া যায় কয় প্রহর কয় ঘড়ি কয় পল বাজে, ঘড়িয়ালের ঘন্টার জন্য বইসা থাকতে হয়না।

আশ্চর্য হয়ে সেলিম বলল, কন কি? ট্যাঁকঘড়ির ভিত্রে পানি আছে?

আমি একটু দ্বিধান্বিত হয়ে বলি, বলতে পারিনা ঠিক। দেখি নাই আমি। দেইখা কইতে হইব। ল উঠ, হাঁটা ধরি। পথ এহনো মেলা দূর।

সেলিম উঠে আমার সাথে হাঁটতে থাকল। কিছুদূর গিয়ে বলল, আচ্ছা কইলেন যে ঘড়িয়াল দেখে বাটি ডুবল কিনা, সে যদি দেখতে দেখতে ঘুমায় যায়? তখন মাইনষে বুঝব ক্যামনে কয় প্রহর হইছে?

আমি গম্ভীর হয়ে বললাম, কথা মিছা না। সরদার দোস্ত মোহাম্মদ একবার তার ঘড়িয়ালের নাক কাইটা দিছিলেন ঘুমায় গেছিল দেইখা।

…………………………………………………………………………

পরদিন বিকাল। পথে এক গ্রামবাসীকে ধরে জিজ্ঞেস করলাম, এই চাচা বুরহানপুর কত দূর?

সে ধান চিবাতে চিবাতে বলল, দূর না। যাইতে থাকেন এদিক দিয়া। বুরহানপুর কই যাইবেন?

হাতিশাল।

ধান চিবানো থামিয়ে সে আমার দিকে ভালো করে তাকিয়ে বলল, হাতিশাল যায়েন না গো। ফৌজ রওনা দিতেছে, খুব গ্যাঞ্জাম ঐদিক। হাতিশাল যায়েন না। হাতিশালে কি কাম?

আমি মাথা চুল্কে বললাম, আমার ভাই থাকে ঐদিক। যাওয়া দরকার। ত্বরা কইরা যাই কি বলেন?

মাথা নেড়ে লোকটি বলল, হ যান তইলে। সাবধানে থাইকেন।

আমি মাথা নেড়ে রওনা দিলাম। রাত থাকতে থাকতে পৌঁছানো জরুরী। তকীউল্লা ভাই বলে দিয়েছেন আব্দুল্লা দেখতে কেমন আর কোন চিপায় থাকে। শান্তির সময় আব্দুল্লার কাছ থেকে ট্যাঁকঘড়িটা হাপিস করা কোন ঘটনাই ছিল না, যুদ্ধ বেজে হয়েছে সমস্যা। দ্রুত যুদ্ধ শুরু হবার আগেই কাজ শেষ করতে হবে, একবার আব্দুল্লা যুদ্ধক্ষেত্রে চলে গেলে কোথায় চলে যায় কি মরেই যায় আর অন্য কারো হাতে ট্যাঁকঘড়িটা চলে যায় কে জানে। ট্যাঁকঘড়ি তৈয়বের কাছে পৌঁছে দেওয়া জরুরী।

আমি হাঁটতে হাঁটতে সেলিমকে বললাম, হাতিশাল গিয়া পৌঁছাইলে একবারে চুপ খায়া থাকবি। যা করার আমি করুম। আমার সাথে সাথে থাকবি। আর কেউ আমারে পিটাইতে আসছে দেখলে খিঁচ্যা দিবি দৌড়। বুঝছস?

মাথা হেলিয়ে সেলিম বলল, আচ্ছা।

আমরা দুইজন দ্রুত হাঁটতে থাকলাম।

……………………………………………………………………………

রাত।

মশালের আলোয় দূর থেকে আমি আব্দুল্লাকে দেখতে থাকলাম। দেড় মানুষ সমান আকার, একে ঢিঁট করতে ঝামেলা হবে।

পানি দিয়ে কুলকুচা করে আব্দুল্লা হেলেদুলে এক তাম্বুর ভেতর ঢুকে গেল। ছোট তাম্বু, আমি পিছন দিকে গেলাম। জায়গাটা অন্ধকার। আমি নিচু হয়ে বসলাম, তারপর ছুরি দিয়ে তাম্বু একটু ছ্যাঁদা করলাম। দেখি ভিতরে আব্দুল্লা আর আরেক পালোয়ান বসে। আব্দুল্লা তার মাথার ধাতব শিরস্ত্রাণ ঘষে ঘষে সাফ করছে, আর অন্য পালোয়ান হেলান দিয়ে চোখ বুঁজে বিচি চুল্কাচ্ছে।

ঠিক আছে।

আমি একটু সরে তাম্বুর সামনের দিকে তাকালাম। সেইখানে দাঁড়িয়ে সেলিম। আমি তাকে হাত তুলে ইশারা দিলাম, সে চট করে দেখে সরে পড়ল।

অল্প সময় পরে ধুপ করে একটা আওয়াজ হল আর জায়গাটার আলো কমে এল একটু। সেলিম মশালের খুঁটি নড়িয়ে দিয়েছে আর সেটা পড়ে গিয়েছে। আচমকা এই কাণ্ডে একটা হৈ হৈ রব উঠল, সিপাইরা আচমকা মনে করল শত্রুপক্ষ আক্রমণ করল বুঝি। তারা তলোয়ার বের করে মশালের দিকে দিল দৌড়, আর শব্দে তাম্বুর ভিতরের পালোয়ান উঠে দিল সেইদিকে ছুট। বধির হাবশি বন্দুকচি আব্দুল্লা কিছু শুনতে পায়নি, সে তাম্বুর ভেতর একমনে কাজ করতে থাকল।

এ ই সময়।

আমি দ্রুত তাম্বুতে ঢুকে পেছন থেকে কাঠের চ্যালা দিয়ে আব্দুল্লার ঘাড়ে এবং মাথায় শক্ত বাড়ি দিলাম। যে কোন সাধারণ মানুষ এই বাড়িতে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যেত। আব্দুল্লা ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে একটা আওয়াজ করল, তারপর চ্যালাসুদ্ধা আমার হাতটা খপ করে ধরে টান দিল। হারামজাদার গায়ে মোষের জোর।

আমি লাফ দিয়ে সরে গেলাম, তারপরে তার হাঁটুর পিছনে কাঠ দিয়ে আবার মারলাম। হাঁটু ভেঙে পড়ে গেল আব্দুল্লা ব্যথায়, তার হাতের কাছে তখন ধাতব শিরস্ত্রাণটা। সেইটা সে আমার মাথা সই করে মারল।

বাড়ি খেয়ে মনে হল আমার চোখের সামনে সহস্র মশাল দপ করে জ্বলে উঠল। মাথাটাও ঝিননন করে উঠল, তাল হারিয়ে পড়ে গেলাম আমি। কোনমতে চোখ খুলে দেখি আব্দুল্লা আমার দিকেই এগিয়ে আসছে ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে। হাতে একটা পাথরের টুকরা।

আমি ডানদিকে একটা লাফ দিয়ে শিরস্ত্রাণটা তুলে নিয়ে আব্দুল্লার মাথায় এবং হাতে একটানা মেরে যেতে থাকলাম। ব্যথায় পড়ে গেলেও খপ করে আমার গলাটা ধরে আব্দুল্লা নখগুলা বসিয়ে দিল। বাতাসের অভাবে আমার মাথা আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে আসছিল যখন তখনই আমি ঝট করে সরে লাফ দিয়ে আব্দুল্লার মাথায় ঠাস ঠাস করে আবার শিরস্ত্রাণের বাড়ি দিলাম তিনটা। তারপরে আবার তিনটা।

অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল হাবশি বন্দুকচি আব্দুল্লা।

আমি হাঁফাতে হাঁফাতে তার জামার ভিতরে হাত ঢুকালাম। কোমরের কাছে উঁচা হয়ে আছে, কাপড় সরিয়ে দেখি সিলাই করা। কোমর থেকে ছুরি বের করে সিলাই কেটে বের করে নিয়ে আসলাম ধাতব একটা গোলাকার জিনিস। রংচটা সোনালি রঙের।

এই তবে ট্যাঁকঘড়ি। মন্দ নয়। আমি একটু ঝাঁকিয়ে দেখলাম পানি পড়ে কিনা, পড়ল না। শুকনাই তো।

কোমরের কাপড় তুলে ভিতরে ঢুকিয়ে ভালো করে বেঁধে নিলাম ট্যাঁকঘড়িটা। সময় ফুরিয়ে আসছে, যেকোন সময় কেউ তাম্বুতে ফিরত আসতে পারে। বাইরে বেরিয়ে এলাম তাড়াতাড়ি, দেখি দূরে মশালের কাছে তখনো লোকের জটলা। আমি কাছে গিয়ে দেখতেই কে একজন ভয়ানক জোরে চিৎকার দিয়ে বলল, এই তুই কেরে?

চমকে উঠে আমি সরে গেলাম, তাই দেখে আরো তিন চারজন মশাল নিয়ে এসে আমাকে ঘিরে ফেলল। ভালো করে আমাকে দেখে তারা বলল, এই হারামজাদা চর মনে হয়। আগে দেখিনাই। এই শালাকেও বান।

আমি কিছু বলার আগেই একজন আমার মুখ রুমাল দিয়ে বেঁধে ফেলল, আর হাত পা বাঁধার আঞ্জাম করতে থাকল। আমি নড়াচড়ার চেষ্টা করে ক্ষ্যান্ত দিলাম, মুখ খুলে দিলে দেখা যাবে। এক সিপাই পিছন থেকে আমার চুল ধরে জোরে জোরে টান দিয়ে খ্যা খ্যা করে হাসতে থাকল, আর সেই ব্যথা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতে করতে আমি ভাবলাম, বাঁধার আগে বলেছে “এই শালাকেও বান”। মানে আমিই প্রথম নই, আমার আগে কাউকে বাঁধা হয়েছে। সেলিমও ধরা খেয়েছে।

মুস্কিল হল।

(পরের পর্বে সমাপ্য)


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি! ভাবছিলাম আপনি বই যোগাড় করেবেন, তারপর কিছু একটা লিখবেন, তার আগেই লেখা চলে আসলো।
কি কেরামতি পীর সায়েবের!

ঐদিকে কবুতর ফারুকের আজ কি হবে? সেলিম ধরা পড়ল কি করে? সেলিমের ভাগ্যেই বা কি আছে? আব্দুল্লা কি জ্ঞান ফিরে পেয়ে ফারুককে ধোলাই দেবে? এই ট্যাঁকঘড়ির রহস্য কি? ট্যাঁকঘড়ির মালিক শেষ পর্যন্ত কে হবে???
-এসব প্রশ্নের জবাব পেতে চোখ রাখুন পীর সায়েবের আয়নায় ব্লগে!

সত্যপীর এর ছবি

বইখান পুরা দরকার অন্য একটা কাজে, গুগল বুকসে খাবলা খাবলা জায়গা নাইক্যা।

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইটা রাইখ্যা গেলাম... পরের পর্ব আসুক... একলগে পড়ুম নি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্যাম এর ছবি

খেলার বিরতিটা দারুণ কাটল পীরসাহেব! পরের পর্ব বিশ্বকাপ থাকতে থাক্তেই পড়তে চাই।
সচলায়তনের জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

সত্যপীর এর ছবি

ফুটবল না হইলেও কিকেট বিশ্বকাপের বিরতিতে অবিশ্যি পাইবেন।

..................................................................
#Banshibir.

এক লহমা এর ছবি

পড়লাম এবং পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সত্যপীর এর ছবি

কিন্তু কেন?

..................................................................
#Banshibir.

এক লহমা এর ছবি

চিন্তিত কোনটা কেন - পড়লাম কেন না অপেক্ষায় থাকলাম কেন?

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মন মাঝি এর ছবি

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

লোড হইছে কিন্তু ইউট্যুব ভিডিও গুলা কয় আপলোডার ডিড নট মেক দিস ভিডিও এভেলেবল ইন ইয়োর কান্ট্রি। অফিস থিকা দেখতেছি এইজন্য মনোয়। বাসায় গিয়া দেখতে হইব।

নজরানার জন্য ধইন্যবাদ। আপনেরে মনসবদারি না দিলে আর চলতেছে না। (কিঞ্চিৎ অফ টপিক, মনসবদার ঘোড়সওয়ার তীরন্দাজ পায়দল সিপাই হাবিজাবি মোগলাই ফৌজ স্ট্রাকচার নিয়া ভিডিও ব্লগ করার মতলব আঁটছি) ।

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

দেইখেন। ফাটাফাটি!

মনসবদারি লাগবো না জাঁহাপনা। একটা বাউল-ফকির-মকির বানায়া দেন বরং।

আপনি যে মতলবের পীর, তা আমি বহুৎ আগেই বুজছি! খাইছে দেঁতো হাসি চলুক
এইরকম নিত্যনতুন, সৃষ্টিশীল, চমকপ্রদ বা অভিনব সব মতলব আপনার মাথার ভিতর দিয়া হাজারে-হাজারে লাখে-লাখে কিলবিল করে ঘুরে বেড়াক, বাস্তব দুনিয়ায় বাইরায়া আসার জন্য আপনাকে নিরন্তর জ্বালাযন্ত্রণা দিক, এই দোয়া করি মনেপ্রাণে। হাসি

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

মতলবের পীর খাইছে

বাউল হইতে যখন চাইলেনই তখন গান শুনেন। ট্র্যাপের আজব রঙ্গীলা। ♪♫ ...কে বা কারে রাখে মনে দুখের ও দিনে রে হায় সুখের তরী দিলো পাড়ি বলো ক’জনায়..আমি কেন দয়াল হইলাম না রে বন্ধু আমি কেন বাউল হইলাম না

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

চলছে ভালোই গতিতে।পরবর্তী ট্রেনের অপেক্ষায়...... --আনান ইবনাত

সত্যপীর এর ছবি

ট্রেনের গল্পও আসতেছে বস। ইন্ডিয়ান পেনিনসুলা রেলওয়ে নিয়া কিছু নামানো যায় কিনা সেই চিন্তা করতেছি।

..................................................................
#Banshibir.

তাহসিন রেজা এর ছবি

তকীউল্লাহর ট্যাকঘড়ি চমৎকার লাগছে । পরের পর্বের জন্য অধীর অপেক্ষা ................ পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

সত্যপীর এর ছবি

পপ্পনে পেট খারাপ হয়। পাউরুটি খান।

..................................................................
#Banshibir.

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্যাচ লাগায় দিলেন তো!! দুইজনই ধরা পড়লো, এখন উপায় কি? পরের পর্ব জলদি রান্না করেন। টেনশানে ফালায় দিলেন শয়তানী হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সত্যপীর এর ছবি

আমিও বেপক টেনশনান্বিত।

..................................................................
#Banshibir.

রংতুলি এর ছবি

ট্যাঁকঘড়ির কিচ্ছা পড়ে তো মাথা ঘুরায়, পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই!

সত্যপীর এর ছবি

পিচ্চি আছে কেমন?

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার ধরনটা খুব ভাললাগল। অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের জন্য।

aliahasan

সত্যপীর এর ছবি

ধইন্যবাদ মিয়াভাই।

..................................................................
#Banshibir.

মুস্তাফিজ এর ছবি

গল্প ভালো লেগেছে।
বাটি-পানির ঘড়ি কি আসলেই ছিলো কোন সময়?

...........................
Every Picture Tells a Story

সত্যপীর এর ছবি

ছিল তো বস। ওয়াটার ক্লক ভারতে মধ্যযুগে প্রচুর ব্যবহৃত হইত। সূর্যঘড়িও চলত কিন্তু বিষ্টিবাদলায় কাজ হইতোনা। একটা পুরান পার্সিয়ান ওয়াটার ক্লক দেখেনঃ

বাবুর যখন ভারতে সেটল করেন তখন তার বাপের দেশে ইরানী টাইম সিস্টেম চলত। সেই হিসাবে দিন রাইত মিলায় ২৪ ঘন্টা, প্রত্যেক ঘন্টা আবার ৬০ ভাগে ভাগ করা। আমাদের মিনিট ঘন্টার মতই। ভারতে তখন অন্য হিসাব। এইখানে দিন রাইত মিলায় আট প্রহর, এক প্রহরে ষাট ঘড়ি, এক ঘড়িতে ষাট পল। প্রহর আবার সবগুলি সমান না, কারণ দিন আর রাত সিজন অনুযায়ী ছোটবড় হয় কিন্তু প্রহরের সংখ্যা ফিক্সড। দিনে চাইরটা রাতে চাইরটা প্রহর। গ্যাঞ্জাইম্যা সিস্টেম। এই প্রহর ঘড়ি পলের হিসাব ভারতীয় জ্যোতির্বিদের করা। পরবর্তী মোগল বাদশারা (আকবর মনে হয়, বা জাহাঙ্গীর) এই দুই সিস্টেম মিলায় স্ট্যান্ডার্ড বানায়। পার্সিয়ান ওয়াটার ক্লক দিয়া ঘড়ি পল প্রহর মাপা হইতে থাকে।

..................................................................
#Banshibir.

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমি আসলেই বোকা ছিলাম। প্রহরের ব্যাপারটা জানতাম, ভেনিসে চালু সূর্য ঘড়িও দেখেছি, কিন্তু ওয়াটার ক্লক আমার কাছে একদম নুতন।

আর এজন্যেই পাঁচ তারা।
ধন্যবাদ।

...........................
Every Picture Tells a Story

তিথীডোর এর ছবি

এ উইকেন্ডের মধ্যেই পরের পর্ব ছাড়বেন। নইলে বদদুয়া দিমু। চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সত্যপীর এর ছবি

ডরাইলাম।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

পইড়া ব্যাপক আনন্দ পাইলাম। পরের পর্ব দিতে দিরং না হয় যাতে হাসি

সোহেল লেহস

সত্যপীর এর ছবি

টেকাটুকা ছাড়েন কাল্কাই পর্ব পাইবেন।

..................................................................
#Banshibir.

তানিম এহসান এর ছবি

পরের পর্ব দেন তাড়াতাড়ি, নাইলে গুল্লি দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

এই বিলাই বন্দুকচি পাইছেন কো চিন্তিত

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

-কবুতর ফারুক কি ফাইরবে কালা আব্দুলার কাছ থেকে ট্যাঁকঘড়ি ক্যাক করতে? চিন্তিত

-হ- ফাইরবে, ফাইরবে। দেঁতো হাসি

কড়িকাঠুরে

সত্যপীর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস একটা অভিশাপ।

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

বন্দুকচি যদি ছিল, তাহলে কামানচিও নিশ্চয় ছিল? কামানে বারুদ ভরার জন্য বারুদচি, বারুদ ভরা কামানে আগুন দেওয়ার জন্য আগুনচিও? চিন্তিত

সত্যপীর এর ছবি

কামানচি বারুদচি আগুনচি টার্মগুলা দেখিনাই কোথাও, কইতে পারলাম না বস। বন্দুকচি দেখছি, bunduqchi দিয়া খুঁজলে পাইবেন। কামান যে ছুঁড়ে তার এগজ্যাক্ট নাম কইতে পারলাম না, খুঁজতে হইব। ধুমধাড়াক্কা নামই কিছু একটা হইব। আস্তা গোলন্দাজ ব্যাটালিয়ন যেই সিনিয়র অফিসার নিয়ন্ত্রন করতেন তার টাইটেল আছিল মীর ই আতিশ (কিম্বা দারোগা ই তোপখানা)। জবরদস্ত নাম। আমরা যে কই "আতশবাজি", এইটা হইল সেই আতশ। বুমা। একটা হ্যান্ড গ্রেনেড মার্কা বুমার নাম আছিল হুক্কা ই আতিশ চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

হুক্কা ই আতিশ

হুম! ছোটবেলায় নানাবাড়ীতে গেলে হুক্কার প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ বোধ করতাম। বিভিন্ন জন যখন গুটুর গুটুর করে হুক্কায় টান দিত, তখন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখতাম, নিজেও দু'চার বার কোশেশ করেছি। জিনিষটার হুক্কা নামকরনের কারন নিয়ে আগে মাথা ঘামাই নি, এখন খানিকটা বোঝা গেল। চোখ টিপি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আজ খেলা নেই, তাই একটু সচলে, এসেই আপনার বন্দুকচি পেলাম আর ঘড়ি নিয়ে কিছু তথ্য, দুই-ই ভাল লাগল। অপেক্ষায় রইলাম। হাসি

সত্যপীর এর ছবি

হ বেশী তথ্যমূলক হয়া গেছে এই পর্ব। পরের পর্বে তথ্যের খেতা পুরি... খালি গুলাগুলি চলব চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

আগের মতোই, গল্প বলার ঢং টায় অন্যরকম ছন্দ আছে। পড়ে ভাল লাগল। পরের পর্বের আশায় থাকলাম। নিশাচর জীব।

সত্যপীর এর ছবি

ধন্যবাদ বস। পরের পর্বে লড়াই একটা লাগতে যাইতেছে।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

চালান গুলাগুলি।
লগে আছি। লাইনে খাড়াই আছি।
ভুল কইরা পইড়া ফালাইছি এই পর্ব। ত্বরা কইরা দেন।

ভালো থাকুন পীরসাহেব।
আপনার জন্য শুভকামনা।

------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

সত্যপীর এর ছবি

এত বড় সবুজ হরফে "প্রথম পর্ব" লিখা দিলাম তাও এই ভুল? এইটা কোন কথা হইল!

..................................................................
#Banshibir.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পরের পর্ব কই?

সত্যপীর এর ছবি

লেখতেছি। যুদ্ধের ময়দানে আছে কবুতর ফারুক, হাতির পিঠে। খুবৈ গুলাগুলি। একটা হেস্তনেস্ত হইলে নীড়পাতায় আসতেছে কাল পরশু।

..................................................................
#Banshibir.

কল্যাণ এর ছবি

গুল্লি লেখা -গুড়- হয়েছে গুরু গুরু

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

আয়নামতি এর ছবি

বেশ টানটান একটা অবস্হায় আছে দেখি ঘটনা! ফারুক লুক্টা ব্যাপক ঠিকই ফাঁকগলে বেরিয়ে আসবে তাই বেশি চিন্তা হচ্ছে না দেঁতো হাসি
আচ্ছা একটা কথা বলি? গল্পের ভাষাটা ঠিক কোন অঞ্চলের? যদিও আমি অঞ্চলভেদে ভাষার তফাৎ তেমন বুঝি না বিশেষ কিছু বাদে। এই গল্পে কথক আর সেলিমের মধ্যে কথা হচ্ছে হইয়া মইয়া করে। সেখানে

জামার ভিতরে রাখা যায় ট্যাঁকঘড়ি ,ভার বেশি না বুলে

কেমন এট্টু শোনাচ্ছে না? নাকি আমিই বেশি বুঝি চিন্তিত পরের পর্ব পড়বো ইফতারির পরে সে পর্যন্ত শান্তি শান্তি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সত্যপীর এর ছবি

"ভিৎরে" পড়েন "ভিতোরে" না পড়ে, তাইলেই সব ঠিক।

..................................................................
#Banshibir.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।