উইলিয়াম ম্যাকালক সম্পাদিত ১৯১২ সালে প্রকাশিত Bengali Household Tales অবলম্বনে আজকের গপ্পো রাজপুত্র কোটালপুত্র।
…........................................................................
এক দেশে থাকত এক রাজপুত্র আর এক কোটালপুত্র। দুইজনে ছিল বিরাট দোস্ত। তারা একত্রে থাকত, খেত, ঘুরত ফিরত। একদিন কোটালপুত্র এসে রাজপুত্রকে বলল, হে পিয়ারা ভাই আমার। এক কাজ করি চল। আমাদের নিজ নিজ শ্বশুরবাড়ি একটা ঘুরান দিয়ে আসা যাক। প্রথমে আমার শ্বশুর বাড়ি চল, আমি আমার শ্বশুরের সাথে তোমার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। পরে তুমিও না হয় তাই করলে তোমার শ্বশুরবাড়িতে।
রাজপুত্র ভারি খুশি হয়ে বলল, উত্তম প্রস্তাব! কেন নয়?
তারা দুইজনে জমকালো পাগড়ি টাগড়ি পরে রওনা দিল কোটালপুত্রের শ্বশুরবাড়ি। সেখানে পৌঁছে কোটালপুত্র রাজপুত্রকে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে বলল, এইখানে খাড়িয়ে থাক। আমি ঘরে গিয়ে সবার সাথে কথা টথা বলে তোমাকে নিতে লোক পাঠাচ্ছি।
এই বলে কোটালপুত্র ঘরে ঢুকে গেল। তাকে দেখে তার শ্বশুর তো আহ্লাদে আটখানা। ভয়ঙ্কর জামাই আদর শুরু হয়ে গেল ঘর জুড়ে, সারাঘরে হই হই রব উঠল। তারপরে কোটালপুত্রকে মিষ্টি খেতে দিয়ে পাখা দিয়ে বাতাস করতে করতে লোকে জিজ্ঞেস করল, ও বাইরে দাঁড়িয়ে আছে কে গো জামাইবাবু?
তিনটা লাড্ডু আর সাতটা কালোজাম খেয়ে ঘড়াৎ শব্দে ঢেঁকুর তুলে কোটালপুত্র বলল, ও আমার একরকম চাকর হয়। ছোকরাকে বেশী পাত্তা দেওয়ার কিছু নাই, দুবেলা ডালভাত খেতে দিও কেউ। ঘোড়ার ডাল হলেও চলবে।
রাজপুত্র বাইরে দাঁড়িয়ে সবই শুনল, আর দাঁত কিড়মিড় করে বলল %&$#?@! %৳*&%%৳#!!!
এইরকম খানিক গালিগালাজ করে তারপরে ক্লান্ত হয়ে রাজপুত্র একটা গাছে নিচে গিয়ে বসল, ঘরে ফিরে গেল না। পানি কতদূর গড়ায় দেখা যাক, ভাবল সে।
কিছুক্ষণ পরে ঘরের লোকে কোটালপুত্রকে দুপুরের খানায় ডাকল। দুই হাতে আস্ত মাছের মুড়া খেতে খেতে সে বলল, বড় চমৎকার! পাচকঠাকুরের হাত সোনা দিয়ে বাঁধানো বটে! কিন্তু আমি একলা মজা করে খাচ্ছি সে তো বড় অন্যায় কথা। যার সাথে এলাম তার জন্যেও উত্তম আহারের ব্যবস্থা করা হোক।
শ্বশুর বলল নিচ্চয় নিচ্চয়। তোমার চাকরের জন্য এখুনি খানা দিতে বলছি।
বিরক্ত হয়ে কোটালপুত্র বলল আরে দ্যুৎ! চাকরের কথা কে বলছে। আমার ঘোড়াটাকে ভাল খাবার দিয়ে আসুক কেউ।
ঘরের চাকর ঘাড় চুল্কে বলল ইয়ে ঘাস নেই তো। কেটে আনতে হবে মাঠ থেকে।
এক চুমুকে আস্ত পাত্র ঘোল খেয়ে কোটালপুত্র ঘড়াৎ করে ঢেঁকুর তুলে বলল, বেশ। আমার চাকরটাকে কাস্তে দিয়ে দাও সে ই কেটে আনতে পারবে।
রাজপুত্র বাইরে গাছতলে চোখের উপর পাগড়ি দিয়ে ঘুম যাচ্ছিল। ঘরের চাকর তার পাছায় লাথি দিয়ে উঠিয়ে বলল, এই ফাঁকিবাজ, উঠ! এই নে কাস্তে, যা জামাইবাবাজির ঘোড়ার ঘাস কেটে নিয়ে যায়। ঐ হোথা মাঠ। যা।
লাথি খাওয়া পাছায় হাত বুলাতে বুলাতে রাজপুত্র আস্তে আস্তে মাঠের দিক হাঁটা ধরল। একবার ভাবল, ধুর সব ছেড়ে ঘরে চলে যাই। কিন্তু পরক্ষণে মনে হল নাহ, এর শেষ দেখে নেয়া জরুরি। সে মাঠে গিয়ে কাস্তে দিয়ে সপাং সপাং করে ঘাস কাটতে শুরু করল। কিন্তু তার অভ্যেস নেই, একটু পরেই তার হাত কাস্তের ধারে এদিকওদিক কেটেছড়ে গেল আর ভারি রক্ত পড়তে থাকল। সে মাঠের মাঝখানে কাস্তে ফেলে রেখে “মা ও মা ব্যতা কচ্ছে ব্যতাতো ব্যতা কচ্ছে মা” বলে চিৎকার করে জুড়ে দিল কান্না।
সেই সময় মাঠে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভগবতী আর শিব। কান্না শুনে ভগবতী স্বামীকে বললেন, ওগো ভালোবাসার কণা। কে কাঁদছে ঐ শুনতে পাচ্ছো?
শিব বিরক্ত হয়ে বললেন, উফ তোমাকে নিয়ে এই এক যন্ত্রণা। সব তোমায় জানতে হবে। একটা দিন নাই যে একটু আরামে হাঁটতে পারব। খালি নানান প্রশ্ন, কে কাঁদে কেন কাঁদে নাম কী বাপ কোথায়...বাদ দেও তো। বাদ দেও। কাঁদুক যত খুশি।
আরে না না, বললেন ভগবতী, তাই কি হয়? খামোকা কাঁদবে কেন? কে কাঁদছে বল।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে মহাদেব ঘটনা খুলে বললেন। তখন ভগবতী বললেন, আচ্ছা চল যাই রাজপুত্রের কাছে।
ত্যক্ত শিব আর কথা না বাড়িয়ে চললেন রাজপুত্রের দিকে। সে তখনো ব্যতা ব্যতা করে কাঁদছে। তাদেরকে দেখে সে কান্না থামিয়ে জিজ্ঞেস করল, আরে আপনারা কারা?
দেবী অভয় দিয়ে বললেন, ভয় পেয়োনা। ব্যথা করছে অনেক? যে আঙুল ছড়ে গেছে তা অন্য হাত দিয়ে ধরে এই মন্ত্র বলঃ
“শিবের আদেশ দুগগার আদেশ, দুম ফট!
গায়ে গায়ে লেগে যা চটপট।“
রাজপুত্র তাই করল, আর সব ক্ষত নিমেষে ভাল হয়ে গেল। তাই দেখে রাজপুত্র ভারি খুশি হয়ে মাথা নেড়ে বলল, পেন্নাম দেবী আপনারা কত ভাল লোক আহা! কত ভাল লোক! আর ব্যথা নেইকো।
বর দিয়ে শিব ভগবতী আবার রাস্তা ধরলেন। আর রাজপুত্র কিছু ঘাস কেটে ঘরে ফিরল।
কেটে গেল কয়দিন। রাজপুত্র চড়থাপ্পড় খেয়ে দাঁতে দাঁত চেপে রইলেন তক্কে তক্কে। এক রাত্রে কোটালপুত্র তার ঘরে ঢুকার পর রাজপুত্র কৌশলে জানালার বাইরে দিয়ে উঁকি মারল। দেখল কোটালপুত্র তখন ধূমপান করার ভাও করছে। হাতে হুক্কা নিয়ে যেই না সে মুখে দিয়েছে অমনি রাজপুত্র মন্ত্র পড়লঃ
“শিবের আদেশ দুগগার আদেশ, দুম ফট!
গায়ে গায়ে লেগে যা চটপট।“
পটাং করে কোটালপুত্রের দুই ঠোঁট গায়ে গায়ে লেগে গেল শক্ত করে, আর হাতে আটকে গেল হুক্কা। তার বউ লাফ দিয়ে উঠে “ওগো হল কী হল কী” বলতে বলতে হাত থেকে হুক্কা ছুটানোর চেষ্টা করল, আর সেই সময় রাজপুত্র মন্ত্র আওড়ালঃ
“শিবের আদেশ দুগগার আদেশ, দুম ফট!
গায়ে গায়ে লেগে যা চটপট।“
ব্যস এইবার বউয়ের চাঁপার কলির মত আঙুলগুলোও হুক্কায় লেপ্টে গেল। বউ তখন দিল আড়াইশো ডেসিবেলের চিক্কুর, সে এক হই হই কাণ্ড। ঘরের তাবৎ লোক ছুটে এল সেই চিৎকারে, ভাবল কি রে বাবা ডাকাত পড়ল না সাপে কাটল! তারপরে এই অবস্থা দেখে সকলে এসে হাত লাগিয়ে তাদের ছুটানোর চেষ্টা করতে থাকল। আর বাইরে থেকে রাজপুত্র যে ই হাত দেয় তখন ই মন্ত্র পড়ে গেল। আস্তে আস্তে ঘরের সকলেই একে অপরের সাথে আটকে গেল, আত্মীয় সম্পর্কিত মানুষগুলো এবার নিজেদের মধ্যে দৈহিকভাবেও সম্পর্কিত হয়ে গেল। তাতে অবশ্য কাউকেই তেমন উল্লসিত হতে দেখা গেল না, সকলে বরং ভয়ঙ্কর চেঁচামেচি জুড়ে দিল।
চেঁচানি অল্প থামার পরে সকলে দেখল একমাত্র ঐ কোটালপুত্রের চাকর বাদ আছে। তাকে ডেকে আনা হল, আর শ্বশুর বলল এই জলদি যা, পুরুতমশাইকে ডেকে নিয়ে আয়। তিনিই আমাদের বাঁচাতে পারবেন এই অশৈলি কাণ্ড থেকে।
রাজপুত্র গিয়ে পুরোহিতকে দিল ডাক। সে ঘুমাচ্ছিল, ডাক শুনে ধড়মড় করে উঠে বলল আরে এই মাঝরাত্তিরে কি বাপু? সকালে হবে’খন।
রাজপুত্র বলল উঁহু এখনই যাবার অনুরোধ আছে বটে। চলুন আমার সাথে।
কথা শুনে পুরোহিত মুখে একটু পানি দিয়ে গায়ে জামা চড়িয়ে রওনা দিলেন, তখন তার বউ বায়না ধরল সেও যাবে। পুরোহিত বলল আরে না কিসের জন্য, আমি যাই গিয়ে দেখে আসি। তুমি থাক।
কিন্তু বউ নাছোড়বান্দা। তার মনে তখন বদ্ধমূল ধারণা খুব বড় জমকালো কিছু হচ্ছে, নইলে মাঝরাতে পুরুত ডাকা কেন? হয়ত বিয়েই হচ্ছে একটা চুপিচুপি! কে জানে। উপহার পাওয়া যেতে পারে, উত্তেজিত হয়ে ভাবল বউ।
এদিকে না ঘুমিয়ে ক্লান্ত পুরোহিত ঝগড়া না করে বলল, আচ্ছা চল তবে। তারা রওনা দিল। পথে পড়ল এক খাল, তার সাঁকো গেছে ভেঙে। রাজপুত্র বলল, আমি এই পানি এইমাত্র পার হয়ে এলাম ঠাকুরমশাই। একদম গভীর নয়। কোমরপানি মনে করুন। এক কাজ করুন, আপনি ঠাকুরানীকে ঘাড়ে নিয়ে পার করে দিন। আমিও আসছি।
পুরোহিত রাজি হয়ে গেল। তার বউ ঘাড়ে চড়ে পানি পার হচ্ছিল যখন, তখন রাজপুত্র মন্ত্র আওড়ালঃ
“শিবের আদেশ দুগগার আদেশ, দুম ফট!
গায়ে গায়ে লেগে যা চটপট।”
সাথে সাথে পুরুতঠাকুরের অর্ধাঙ্গিনী একেবারে তার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত হয়ে গেল। খালের ওপার গিয়ে পুরুত যতই বলে নামো নামো, বউ তো আর নামতে পারেনা! পরে রাগারাগি হট্টগোল সে এক বিশ্রী অবস্থা! রাজপুত্র কাতর অনুনয় বিনয় করে তাদের কোনমতে ঘর পর্যন্ত নিয়ে এল। দরজায় তখন গায়ে গায়ে লেপ্টে থাকা আস্ত পরিবার হাঁ করে বসে আছে পথ চেয়ে, তারা পুরোহিতকে জিজ্ঞাসা করল ও ঠাকুর কাঁধে বউ কেন? নামিয়ে রাখুন পিঁড়ি দিচ্ছি।
প্রচণ্ড কাঁধের ব্যথায় পুরোহিত চিঁ চিঁ করে বলল, ও সে নামছে না গো। নামছে না। কত করে বল্লুম খালপার শেষ এইবারটি নাম, সে কি আর কথা শোনে। গলা জাবড়ে ধরেই আছে। একে তো বাচাল তার উপর এরকম অবাধ্য ও গোঁয়ার মেয়েমানুষ। এদের জন্য কঠিন পরিণাম অপেক্ষা করছে বলে শাস্ত্রে আছে বটে।
এই নির্মম কথা শুনে ঠাকুরের বউ ভ্যাঁ করে কেঁদে দিল, আর ভারি একটা অস্বস্তিকর অবস্থা হল। কাঁদতে কাঁদতে বউ বলল, নামতে পারছিনে আমি সেই কখন থেকে বলছি, মিনসে কেবল শাস্ত্রের ভয় দেখাচ্ছে। আমি তো কখনই নামতে চেয়েছিলাম, পারলাম কই?
সকলে তখন হাঁ হাঁ করে বলল, আরে তাই তো। আমরাও তো ছুটতে পারছিনা। আপনাদের দেখি আমাদের মতই অবস্থা। হায় হায় কে তবে আমাদের বাঁচাবে?
পুরোহিত তখন রাজপুত্রকে ডেকে পাঠাল। তাকে জিজ্ঞাসা করল, একমাত্র তুমিই এখনো একলা আছো। ঘটনা কী হে? এই আঠা বিষয়ে তুমি কী জান?
রাজপুত্র অবাক হবার ভান করে বলল, ওমা আমি এক সামান্য চাকর। ঘোড়ার ঘাস কাটি। আমি আঠার কি ছাতা জানি?
সকলে তখন ভয়ানক পীড়াপীড়ি করতে লাগল। কিছুক্ষণ পর হেসে রাজপুত্র বলল এ সবই তোমাদের জামাইবাবুর দোষ। সে ই শুরু করেছে। এই পাপীষ্ঠ আমাকে দিয়ে ঘাস না কাটালে এসব কিছু হত না। আচ্ছা যাক, দেখি কি করা যায়।
সে তখন মন্ত্র পড়ে বললঃ
“শিবের আদেশ দুগগার আদেশ, ঝন ঝন
গায়ে গা ছুটে যা এক্ষণ।”১
সাথে সাথে সকলের আঠা গেল ছুটে, আর তারা সকলে মহা সমারোহে রাজপুত্রকে মিঠাই মণ্ডা দিয়ে আপ্যায়ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আর কোটালপুত্রও খুব মাপটাপ চাইল, আর তাদের দুজনে আবার আগের মত ভাবভালবাসা হয়ে গেল।
মন্তব্য
হুম, ঘটনা পুরা Sticky Situation
এক্কেবারে।
..................................................................
#Banshibir.
ইতিহাস বাদ দিয়ে এবার রূপকথায় গেলেন নাকি?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এরপরে রূপকথা বাদ দিয়ে কবিতা। ডাইভার্স পোর্টফোলিও।
..................................................................
#Banshibir.
দু একটা টক শো করুন, বক্তৃতা-টক্তৃতার টেপ ছাড়ুন -পোর্টফোলিও ডাইভার্স তো ভালো -ফুলেফেঁপে উঠবে
আর, কোন ধারাবাহিক লেখার এক পর্বের পরে পরের পর্ব তাড়াতাড়ি আনার জন্য আমরা পাঠকরা কোন মন্ত্র পড়ব সেটা একটু বাতলে দিয়ে যাবেন।
কলিকালের মন্ত্র টাকা, শিব দুগগার বেইল নাই। পেপ্যালদেবীর চরণে আমার নামে কিছু টেকা ছাড়েন দেখবেন কি সুন্দর কাজ হয়।
..................................................................
#Banshibir.
এই গল্প পরিবেশনের কোন আলাদা মাজেজা আছে নাকি? নাকি শুধুই একটি রসাল গল্পের অবতারণা?
যাই হোক, আমি রাজপুত্র হলে বজ্জাত কোটালপুত্রকে শায়েস্তা করার জন্য মন্ত্রটা আরেকটু পরে পড়তাম, মানে শয্যা গ্রহনের পর প্রেমপর্বের উথালপাতাল লগ্নে।
কোন মাজেজা নাই, কয়দিন পরপর আবজাব লিখে হাত চালু রাখি।
আপনার প্ল্যান শুইনা ডরাইলাম।
..................................................................
#Banshibir.
বিশ্বাসে মিলায় মন্ত্র তর্কে বহুদূর
কইলেই হইল?
..................................................................
#Banshibir.
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
সবই তো বুঝলেন।
..................................................................
#Banshibir.
আমি আমার মেয়েকে গল্পটা বলেছি, খুব মজা পেয়েছে আর সারাদিন এখন বাসায় মন্ত্র পড়ে
মাঝে মাঝে এরকম রূপকথা পোস্ট করলে বাচ্চাদের খুব সুবিধা হয়।
ইসরাত
হা হা হা হা! খুবই মজার কথা শুনালেন, ভাবতেই মজা লাগছে একটা বাচ্চা মেয়ে গম্ভীর মুখে আঠামন্ত্র পড়ে ঘরের সবার জীবন হালুয়া করে দেবার পাঁয়তারা করছে
নটে গাছটি মুড়োল অনুবাদ সিরিজ আমি কিছুদিন অন্তর অন্তর লিখি। রূপকথা আরো নিশ্চয়ই আসবে ভবিষ্যতে। ততদিন পিচ্চি মন্ত্র পড়ুক, আর ভালোমতন পড়ালেখা করুক। আরেকটু বড় হলে আবজাব লিখতে উৎসাহ দেবেন, এখানে পোস্ট করাও শিখিয়ে দেবেন কিশোর বয়সে। পরের জেনারেশন ফুলস্পিডে লিখালিখি শুরু করলে আমরা একটু আয়েশ করে চা চু খাইতে যাইতে পারি...
..................................................................
#Banshibir.
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
মজা হইছে
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সাব্বাস!
..................................................................
#Banshibir.
আবজাব লেখাও লেখনীর গুণে রূপময় হয়ে ওঠে। শুভকামনা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধইন্যবাদ ধইন্যবাদ।
..................................................................
#Banshibir.
আপনার বিরতি দীর্ঘ হলে ভাববো আপনি রাজপুত্র, তারপর
খামোকা পৎস্যদেশে লাথি মারা কেনু হোয়াই?
..................................................................
#Banshibir.
নতুন মন্তব্য করুন