ছবির গল্পঃ পাণ্ডবছাউনিতে ভয়াল রাত

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৩/২০১৬ - ৮:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আর ছিল দশবন্ত, পাল্কিবেয়ারার ছেলে। কারখানায় কাজ করত আর তার দেয়ালে নানান ছবি এঁকে রাখত মনের খেয়ালে। হঠাৎ একদিন মহাদর্শী বাদশার নজরে আসে এই দেয়ালের ছবি। তিনি খাজা (আব্দুস সামাদ) এর কাছে একে ছবির কাজ শিখতে পাঠান। দুদিন না যেতেই দশবন্ত তার সময়ের সবচাইতে দুর্দান্ত এবং অতুলনীয় চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠে, কিন্তু মস্তিষ্কবিকৃতির করাল গ্রাস অসাধারন মানুষটিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আত্মহত্যা। কিছু অসামান্য প্রভুখন্ড সে রেখে গেছে বৈকি।

আবুল ফযল, আইন ই আকবরি।

আকবর বাদশা যুইত করে গদিতে বসার আঠেরো বছর পরের কথা। ১৫৭৪। তার বয়েস তখন একত্রিশ/বত্রিশ। পুলাউ কুর্মা খেতে খেতে পাত্রমিত্রসভাসদের সাথে দুইটা রসের আলাপ করার সময় কেউ তাকে রামায়ন মহাভারতের গল্প স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল সম্ভবত। তখন তিনি মাথা ঝাঁকিয়ে কইলেন কথা সত্য। এই ভারতের নানাবিধ গল্প পুরাটা শোনা যাক ফার্সিতে। তিনি আদেশ দিয়ে এক মক্তবখানা খাড়া করিয়ে ফেললেন ফতেপুর সিক্রিতে, সেইখানে টাকার গন্ধে ব্যাপক পড়াশুনাওলা লোকজন জড়ো হয়ে গেল। মিশনঃ তর্জমার মায়েরে বাপ। জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিবান্ধব দাড়ি চুমরে বিসমিল্লা কি ইয়া কালী বলে নেমে পড়ল দুই বৃহৎ ভারতীয় বই রাজতরঙ্গীনি (কাশ্মীরের রাজাদের গল্প) এবং রামায়ন তর্জমা করতে। তুতিনামা (তোতাপাখির গল্প) বলে আরেকটা বইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল আগেই। আকবর তার দাদা বাবুর বাদশার চুগতাই তুর্কী বইয়ের ফার্সি তর্জমা করার হুকুম ও দিলেন। ভারতের এলিট সমাজের বাইরে সাধারন কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে ফার্সি জনপ্রিয় করে তোলা এই মিশনের একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে।

যাহোক, ১৫৮২ সালে আকবর তাকিয়া হেলান দিয়ে কইলেন হে মক্তবখানা। মহাভারত তোমরা কেন তর্জমা করনা? হোয়াই? সাথে সাথে মহাভারত তর্জমা প্রজেক্টের প্রায়োরিটি বাড়িয়ে তোলা হল। পি জিরো। সেই প্রজেক্টের ফলাফল রযমনামা, যুদ্ধের গল্প। বুক অফ ওয়ারস।

রযমনামা নিয়ে লেখা এইটা না অবশ্য। রযমনামার একটা ছবি নিয়ে আজকের গল্প। শিল্পী দশবন্ত, যিনি চব্বিশ বছর বয়েসে নিজের পেটে নিজে ছুরি বসিয়ে আত্মহত্যা করে মারা যান। আকবর বাদশার নিজ হাতে বাছাই করা তরুণ এই শিল্পীর কাজের ভূয়সী প্রশংসা বইপুস্তকে পাওয়া যায়, কিন্তু আর যে জিনিসটা সবকিছু ছাপিয়ে ফুটে ওঠে তা এক প্রায় উন্মাদ, অসহিষ্ণু, অবিবেচক মানুষের কথা। দশবন্তের অল্প যে কটি ছবি খাঁটি বলে প্রমাণ পাওয়া যায় সেই ছবিগুলোও প্রচণ্ড রকম অন্ধকার এবং নৃশংস। পাণ্ডব ছাউনিতে ভয়াল রাত ছবিটি দেখুনঃ

ছবিটি একা দশবন্তের কাজ নয়, রযমনামা শেষ হবার আগেই তার মৃত্যু ঘটে। উপরের ছবিটি দশবন্তের আঁকা ছবি অনুসারে। ভারতীয় তান্ত্রিক চরিত্রের আদলে এক ভয়াল চরিত্র বাটি থেকে চুমুক দিয়ে রক্ত খাচ্ছে, তার গলায় সদ্য কাটা নানান কল্লার মাথা, পরনে পশুর সদ্য ছাড়ানো চামড়া। মাথাসুদ্ধা। চতুর্দিকে লুটোপুটি খাচ্ছে লাশ আর লাশ। রক্ত। তীর। মৃত্যু। কালো ধোঁয়া। ধ্বংস আর ধ্বংস।

তৎকালীন ছবির তুলনায় আরেকটা জিনিস উল্লেখ করার মত। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড। আস্ত ছবিতে মাটি আকাশ দূর কাছ ইত্যাদি সহজ জিনিস সনাক্ত করা শক্ত, ছবিটি দেখলে হঠাৎ মনে হয় দুঃস্বপ্ন বুঝি। তুখোড় শিল্পী দশবন্ত এক টানে আপনাকে বাস্তব জগতের বাইরে এক অস্বাভাবিক অলৌকিক অশুভ এবং দানবীয় পৃথিবীতে নিয়ে যেতে চেয়েছেন, এবং এখানেই এই ছবির সার্থকতা।

সাদা কালো ছবির জন্য দুঃখিত। ছবিটি যতদূর দেখলাম জয়পুর রাজপ্রাসাদে রক্ষিত আছে এবং জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত নয়।

সূত্রঃ
মাইলো ক্লিভল্যান্ড বীচ, মুঘল অ্যান্ড রাজপুত পেইন্টিং
মাইলো ক্লিভল্যান্ড বীচ, দ্য মুঘল পেইন্টার দাসওয়ান্ত http://www.jstor.org/stable/4629314
ইয়েল রাইস, এ পার্সিয়ান মহাভারতঃ দ্য ১৫৯৮ - ১৫৯৯ রযমনামা


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

রিয়োনোসুকে আকুতাগাওয়া ১৯২৭ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে গাদাখানেক বার্বিচুরেট খেয়ে আত্মহত্যা করার আগে প্রধানত ছোট গল্প লিখে গেছেন। মাত্র ১৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে তিনি যা ছোট গল্প লিখে গেছেন তাতেই তাঁকে জাপানী ছোট গল্পের জনক বলা হয়। ‘জাপানী ছোট গল্প’ কী জিনিস সেটা তাঁর দুয়েকটা গল্প পড়লে অ-জাপানী পাঠকের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। যাদের আকুতাগাওয়ার ছোট গল্প খুঁজে পড়ার ধৈর্য্য নাই তারা তাঁর গল্পের ওপর ভিত্তি করে আকিরা কুরোসাওয়ার বানানো ‘রাশোমন’ মুভিটা দেখে নিতে পারেন। দশওয়ান্তকে নিয়ে লেখা পোস্টে খামাখা আকুতাগাওয়াকে টানলাম কেন? কারণ, দশওয়ান্তের আঁকা ছবিটা দেখে আকুতাগাওয়ার লেখা ছোট গল্প ‘জিগোকুহেন’ বা ‘নরকের চিত্র’র কথা মনে পড়ে গেল। সেই গল্পে বলা শিল্পীর ইয়োশিহিদে’র আঁকা নরকের চিত্রের ভয়াবহতার অনুরূপ যেন দশওয়ান্তের এই চিত্রকর্মেও ফুটে উঠেছে। কি আশ্চর্য! ১৫৮৪ সালে ২৪ বছর বয়সে দশওয়ান্ত অনেক জাপানীর মতো পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেন!

পালকির বেহারা থেকে দশওয়ান্তের শিল্পীর মর্যাদা লাভের ব্যাপারটা উঁচু জাতের অনেকেরই পছন্দ হয়নি, যেমন সুবাদার মুনীম খান আন্দিজানী। তবে মূল রেষারেষিটা ছিল বাসাওয়ানের সাথে। জাতের ব্যাপারটি ছাড়া তাঁরা দুজনেই ফ্রেসকো আঁকতে ভালোবাসতেন। ঠোকাঠুকিটা এখান থেকেও হতে পারে। তবে অতি অল্প বয়সে অতি দ্রুত পোর্ট্রেট, দৃশ্যকল্পসহ তৎকালীন জনপ্রিয় সব বিভাগে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে দশওয়ান্তের আকবরের সুনজরে পড়াটাই কাল হয়েছিল। এতে দশওয়ান্ত শুধু বাসাওয়ানই নয় আরও অনেক শিল্পীরই বিরাগভাজন হন। সুতরাং দশওয়ান্তের আত্মহত্যা (আত্মহত্যা কি?) ঠিক কী কারণে সেটা মনে হয় অজানা থেকে যাবে।

রযমনামা’র কাজ শুরু হয়েছিল ১৫৮৩ সালে আর শেষ হয়েছিল ১৫৮৮ সালে। এর মানে রযমনামার চার খণ্ডের ১৬৮টা মিনিয়েচারের মধ্যে দশওয়ান্তের কাজ খুব বেশি কিছু থাকার কথা না। তবে আরও আগে শুরু হওয়া রামায়ণ প্রজেক্টের ১৭৬টা মিনিয়েচারে তাঁর আরও বেশি কাজ থাকার কথা। তবে রযমনামা প্রজেক্টে দশওয়ান্তের নাম হবার কারণ ভিন্ন। মুঘল মিনিয়েচার আর্টের মূল প্রতিষ্ঠাতাদের একজন হচ্ছেন ইরানের খাজা আবদ-আল-সামাদ। ১৫৫০ থেকে ১৫৯৫ পর্যন্ত মুঘল দরবারে মিনিয়েচার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি সামাদ মুঘল মিনিয়েচার আর্টে পার্সিয়ান মিনিয়েচার আর্টের মালমশলা, ধারনা-ধারা যোগ করেন। তিনি তাঁর পেয়ারের শিষ্য বাসাওয়ান, দশওয়ান্ত আর লাল’কে রযমনামা’র মূল দায়িত্ব দেন। সাথে কমপক্ষে আরও ৫০ জন্য শিল্পী যুক্ত ছিলেন। কে আর শ্রীনিবাস আয়েঙ্গারের ‘এশিয়ান ভ্যারিয়েশনস ইন রামায়ন’ বইয়ে রযমনামার ২৯৫টি কাজের যে তালিকা পাওয়া যায় (তালিকা নিচে দেয়া হল) তাতে দশওয়ান্তের নাম নেই। এর একটা কারণ হতে পারে এই জন্য যে, মুঘল মিনিয়েচারগুলো প্রধানত দুইজন শিল্পী মিলে করতেন। একজন আউটলাইন বা ‘তরাহ্‌’ দিতেন এবং আরেকজন রঙ বা ‘আমল’ দিতেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফিনিশড্‌ ছবির কৃতিত্ব দেয়া হতো তরাহ্‌কার’কে। রযমনামায় দশওয়ান্ত যে অল্প সময় কাজ করেছিলেন তাতে তিনি যদি মূলত আমলকারের কাজ করে থাকেন তাহলে তাঁর নাম কম আসারই কথা। এই তালিকায় অবশ্য আরেক মাস্টার আর্টিস্ট মুহাম্মাদ শরীফের নামও নেই। সুতরাং রযমনামায় দশওয়ান্তের মোট কাজ কয়টি সেটা বলা মুশকিল।

রযমনামার মিনিয়েচারের তালিকাঃ বাসাওয়ান – ১৪, বনওয়ারী – ৩, বনওয়ারী কালান – ৫, বনওয়ারী খুর্দ – ২, ভগবান – ৬, ভবানী – ৭, ভবানী কালান – ২, ভাউড়া – ৮, চতুর – ১, চতুরমুনী – ৬, চতুর্ভূজী – ৩, চৈতী – ১, দেবজী গুজারাতী – ২, ধাওয়ান – ১, ধানু – ৮, ধর্ম্মদাস – ৩, গুলাম আলী – ২, হুসাইন নাক্কাস – ২, ইব্রাহিম – ১, ঈসার – ২, জগন – ১৩, জগজ্জীবন – ৬, কেশব – ১২, কেশব কালান – ২৪, কেশব খুর্দ – ১২, কেশব গুজারাতী – ৩, কান্‌হা – ৫, করম চাঁদ – ২, খেমকরণ – ১, লাল – ৩৭, মাধব কালান – ৭, মাধব খুর্দ – ১, মাধব চেলা – ১, মান্ডু – ৪, মান্ডু ফিরিঙ্গী – ২, মান্ডু কালান – ২, মণি – ২, মহেশ – ৮, মেঘ – ১, মেঘজী গুজারাতী – ১, মুকুন্দ – ৫, মিস্‌কিনা – ১৪, নন্দ – ২, নন্দ গোয়ালিয়রী – ১, নামা – ১, নান্‌হা – ১, নারায়ণ – ৪, পরশ – ৬, পরমজিউ গুজারাতী – ১, রামদাস – ৬, শংকর – ৪, সানওয়ালী – ২, সারওয়ান – ৩, সুরজী গুজারাতী – ৫, তারা – ৩, তারা কালান – ১, তুলসী – ৪, তুলসী কালান – ৭, তুলসী খুর্দ – ২। এই তালিকায় নামের শেষে উল্লেখিত ‘কালান’ মানে ‘সিনিয়র’ আর ‘খুর্দ’ মানে ‘জুনিয়র’। এইখানে ৫৯ জন শিল্পীর নাম পাওয়া গেলেও তাঁদের প্রকৃত সংখ্যা ৫৯ নাও হতে পারে। কারণ মেঘ আর মেঘজী গুজারাতী এক ব্যক্তি হতে পারেন বা নন্দ আর নন্দ গোয়ালিয়রী এক ব্যক্তি হতে পারেন।

গল্পে নরকের ছবি আঁকতে গিয়ে শিল্প ইয়োশিহিদ যেমন কল্পনাতীত দৃশ্যকল্প এঁকেছেন বাস্তবে দশওয়ান্ত তেমন দুঃস্বপ্নের মতো ভয়ঙ্কর, অবাস্তব জগতের ছবি এঁকেছেন। আকুতাগাওয়ার কল্পনা এবং তার প্রায় সাড়ে তিনশ’ বছর আগের এক ভারতীয় শিল্পীর কল্পনা আর তার জীবনে কী গুরুত্বপূর্ণ মিল!

আচ্ছা, ‘হামযানামা’ আর ‘তিমুরনামা’ কোথায়? সেখানেও তো দশওয়ান্তের কাজ আছে।

(মাইলো ক্লিভল্যান্ডের বইটা পাবার উপায় কী?)

সত্যপীর এর ছবি

হামযানামা আব্দুস সামাদের প্রডাকশন, তাই দশবন্তের কাজ তো থাকারই কথা। খাবলা খাবলা হামযানামা বিবিধ জায়গায় আছে দেখলাম। সবচাইতে বড় কালেকশন মিউজিয়াম অফ অ্যাপ্লাইড আর্টস, ভিয়েনাতে। ১৮৭৩ সালে তাদের কোন কুতুব এসে হামযানামার ৬০ পৃষ্ঠা কিনে নিয়ে যায়। এছাড়া ভিক্টোরিয়া অ্যালবার্ট মিউজিয়ামের কুতুব ক্যাস্পার ক্লার্ক সায়েব কিনে নেন ২৫টা না কয়টা পাতা, সেইখানে আছে এখন।

তিমুরনামায় দশবন্তের কাজ বলে ধরা হয় যে কয়টা ছবি তার মধ্যে একটা দেখেন নিচে। দ্য চাইল্ডহুড অফ তিমুর। এইটা আছে পাটনার খুদাবক্স পাবলিক লাইব্রেরিতে।

তবে মূল রেষারেষিটা ছিল বাসাওয়ানের সাথে। জাতের ব্যাপারটি ছাড়া তাঁরা দুজনেই ফ্রেসকো আঁকতে ভালোবাসতেন। ঠোকাঠুকিটা এখান থেকেও হতে পারে। তবে অতি অল্প বয়সে অতি দ্রুত পোর্ট্রেট, দৃশ্যকল্পসহ তৎকালীন জনপ্রিয় সব বিভাগে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে দশওয়ান্তের আকবরের সুনজরে পড়াটাই কাল হয়েছিল। এতে দশওয়ান্ত শুধু বাসাওয়ানই নয় আরও অনেক শিল্পীরই বিরাগভাজন হন।

বাসবন উঁচুদরের প্রতিভাবান শিল্পী, তবে বাসবন তথা বাকি মোগল শিল্পীরা সম্ভবত চেষ্টা করে ফাটিয়ে ফেললেও দশবন্তের মত সুররিয়াল ডার্ক ছবি আঁকতে পারতেন না। যার যে স্টাইল। বাসবন গং হয়ত এইরকম র ছবিকে টেকনিকালি ভালো বলে মানতে নারাজও হয়ে থাকবেন। কিন্তু পাল্কিবেয়ারার ছেলে দশবন্তের খোঁজ রাখতেন স্বয়ং মহাদর্শী বাদশা। শেষমেষ তাকে পাগল উন্মাদ বলে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল কিনা সেইটা জানার রাস্তা মনে হয় আর নাই।

কী চমৎকার সব গল্প আর চলচ্চিত্র হয় এইসব প্লট নিয়ে।

রযমনামা থেকে আরেকটা বোনাস ছবি দিলাম, জয়পুর মিউজিয়ামের। ক্লাসিক দশবন্ত। কীচক ভাইদের কিলায়া কাঁঠাল পাকাইতেছেন ভীম।

..................................................................
#Banshibir.

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এইটা উত্তরাধুনিক আলোচনা হইছে

সত্যপীর এর ছবি

উত্তরাধুনিকতা উপকারি জিনিস।

..................................................................
#Banshibir.

জীবনযুদ্ধ এর ছবি
সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

টাইটেল দেইখা ডরাইছিলাম। এখন দেখি এই পাণ্ডব সেই পাণ্ডব না! ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

পাণ্ডব দেখলেই ডর লাগে?

..................................................................
#Banshibir.

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পরোটাখোর পাণ্ডবদারে না, ল-তে লীলেন্দা ঐ আসছে তেড়ে। ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

মোগল আমলের চিত্রশিল্প নিয়ে জানিনা কিছুই, আপনার লেখা পড়তে পড়তে আরো জানতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু এই জানাটা ভালো হয় আপনার কাছ থেকে জানতে পারলে। আপনার কোন বই কি আছে এ বিষয়ে, না থাকলে লিখে ফেলেন। খুব রসিয়ে লিখতে পারেন আপনি, আপনার লেখা দেখলে না পড়ে এড়িয়ে যাওয়াই মুশকিল। এই লেখাটা কয়েকদিন আগেই পড়েছি, সময়ের অভাবে মন্তব্য লিখতে পারছিলামনা, আজ আবার পড়লাম।

সোহেল ইমাম

সত্যপীর এর ছবি

এই বিষয়ে আমার কোন বই নাই। অন্য কোন বিষয়েও আমার কোন বই নাই। আমার অবস্থা ফিউচারামার ফ্রাইয়ের মত। তার প্যান্ট চুরি হওয়ার পরে সে হায় হায় কইরা কইল মাই লাকি প্যান্টস! অলসো, দে আর মাই ওনলি প্যান্টস। আমার হইসে ঐ অবস্থা, এই বিষয়ে কোন বই নাই কারণ কোন বিষয়েই কোন বই নাই।

কয়টা গপ আধা ফিনিশ বইসা আছে। ওইগুলা শেষ করব না নতুন একটা আধা ফিনিশ গল্পে হাত দিব ভাবতেছি। দোয়া খায়ের কইরেন।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

কয়টা গপ আধা ফিনিশ বইসা আছে। ওইগুলা শেষ করব না নতুন একটা আধা ফিনিশ গল্পে হাত দিব ভাবতেছি। দোয়া খায়ের কইরেন।

আধা ফিনিশগুলোই আগে শেষ করেন। অপেক্ষায় আছি। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

এক লহমা এর ছবি

এইভাবে আমার জ্ঞান লাভ চলিতে থাকুক। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।