বেশ ক’দিন ধরেই আগেকার মত চিঠি লিখতে ইচ্ছে করছে, ইমেইল-জিমেইল টাইপ না, সরাসরি ‘’চিঠি লিখুন ইহা স্থায়ী’’ টাইপ চিঠি। আজ দুপুরে কাগজ কলম নিয়ে বসলাম; তার পরই একটা নিষ্ঠুর সত্য আবিষ্কার করলাম-আমার চিঠি লেখার কেউ নেই!
তার পরও যদি ইচ্ছা বা জেদের বসে কাউকে লিখেই ফেলি হয় প্রাপক ধরেই নিবে সাংঘাতিক কিছু ঘটে গিয়েছে অথবা আমার অন্য কোন মতলব আছে!
প্রযুক্তি দিয়েছে অনেক, কিন্তু এসব ছোট-ছোট খুব আপন জিনিসগুলো থেকে আমাকে সরিয়ে নিয়েছে। ইমেইল যেন আমার খুব কাছের-ব্যাক্তিগত আপন কিছু না কেমন যেন বেশি মাত্রায় ‘ডিজিটাল’। আগে ছবি তুলে অপেক্ষা করতাম ডেভেলপ হয়ে আসবে তারপর দেখব, সেই উত্তেজনাটুকু যেমন শেষ করে দিয়েছে ডিজিটাল ক্যামেরা, অনেকটা সেই রকম।
তাও আজকের মত মাঝে মাঝে চিঠি লিখতে চাই, কাকে লিখবো?
মন্তব্য
সম্পাদকরে চিঠি লিখেন নাই?
আবার লিখেন...
আপনারাই হা পিত্যেশ করার শেষ মানব... পরের ওরা ডিজিটাল লাইফ লয়া দুঃখ করবো... কইবো, আহা, আধুনিক জীবন ডিজিটাল জীবনের যে আবেগ, ঐটা লয়া গেসে...
এমনি তো সভ্যতা...
জীবনের উপাচার, উপকরণ প্রয়োজন অনুযায়ী বদলায়। আধুনিক হয়। পুরাতন জিনিসের ঠাঁই হয় মালখানায়। যেমন কলেরগান বিদ্যুৎ ছাড়াই চলতো। অথচ যেখানে বিদ্যুৎ নাই সেখানেও তার কদর নাই। শেষ চিঠিটিও একদিন যাদুঘরের সম্পদ হবে।
যেখানে ইমেইলের কদর কমেযাচ্ছে- ভবিষ্যতে আপনজনের কোনো চলমান বায়বীয় কাঠামোর সঙ্গেই মানুষ কথা বলবে। দেখা কথা দুই হবে। মেইল বা চিঠি! হায়!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
- পুরাতন কোনো প্রেমিকারে খুঁজে বের করেন। তারপর আল্লার নাম নিয়া তারে চিঠিখানা লিখে ফেলেন।
আল্লাহ আপনের মঙ্গল করুন। আমিন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সরকারী কলেজ থেকে কে যেনো ছড়া পেরিয়ে এমসি কলেজে আসতো কারে দেখতে।
ষোল বছর আগের গল্প ।
সেটা রোমন্থন করেও একটা চিঠি লিখে ফেলা যেতে পারে ।
আমি সেইদিন ফেসবুকে হঠাৎ করেই সে সময়ের একজনকে খুঁজে পেলাম । কবিতা লিখা হয়েছিল, মনে রাখা হয়নি ।
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
লিখেন সেই পুরাতন সময়ের কাছে, আকাশের ঠিকানায়...।।
---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আপনার অনুভূতিটা ছুঁয়ে গেলো ভীষনভাবে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কবুতর দিয়ে চিঠি পাঠানোর সেই উত্তেজনা কি কেউ এখন পাবে? তেমনি কাগজের চিঠিও পুরোনো হয়ে গেছে। একদিন ইমেইল/জিমেইল ও পুরোনো হয়ে যাবে।
১৯৯৫ সালে একবার এক নানার বাড়িতে বসে রাতে খাবার সময় ব্র্যাকে কর্মরতা আমার খালা বলছিলেন, "আজকে আমাদের একটা ইমেইল এসেছে।"
তেরো বছরের মাথায় এখন পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, ইমেইল ছাড়া একটি ঘন্টা জেগে কাটানোর মতো অবস্থা-ও আর নেই। কাগুজে চিঠি মানেই ফ্যাসাদ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
hi, kemon acho?? ei lekhata pore mon ta kharap holo aro. ami tomar chithi lekha nashto korechi.please maaf chaibo na. jano, amar josh ekta bondhu-jamai ache. ok tomar katha bolte ...puro ghatona boltei ..o amake blame korlo.please chithi likho.ekhn dhaka thaki...
নতুন মন্তব্য করুন