বাড়িতে আরও কতগুলি মেয়ে ছিল, তবু ফাতেমাই ছিল সেরা, আর এ নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ দেখায়নি কেউ! তাই যখন এক দুবাই-ফেরত ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে হুট করে বিয়ে হয়ে গেল, ভ্রু-টা পর্যন্ত কোঁচকালো না কেউ! বরং ঈদ-পার্বণ সামনে রেখে ফাতু যখন সোনায়-দানায় থলথল হয়ে বাড়ি আসতো, তখন মেয়ের উপচানো সুখে সবারই চোখ জুড়িয়ে যেত, শোকর-গুজরানও চলত পাল্লা দিয়ে, “হইব না? আল্লাহ্র নিজের হাতের জিনিস যে!”
আর ফাতেমারও গুণপনার অন্ত ছিল না! নিজ ঘরে না জিরিয়েই বেড়িয়ে পড়ত পাড়ায়, কাতান ও গহনার ভর-পেট শরীরখানা নিয়েই ঢুকে যেত ঘরে ঘরে, সুটকেস থেকে একখানা গোলাপি পাড়ের সাদা শাড়ি এবং একটি ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি বের করে গদগদ কণ্ঠে বলত: চাচি, আমার কিন্তু খেয়ালই ছিল না, তোমার জামাই জোর করল...
পাড়ায় ফাতেমা আগে থেকেই ছিল আলোচিত, রূপে-গুনে-জ্ঞানে এমন মেয়ে হয়? সে-ই বিয়ের পর হয়ে উঠলে স্বর্গের দেবী!
তাই যখন ফাতেমারই পিঠাপিঠি চাচাতো বোন সালেহার বিয়ের সম্বন্ধ এলো, সালেহার মুরব্বীগণ একটিবারের জন্য ফাতুর মত নেবার ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন।
সব শুনতে হল না, ছেলের নাম উচ্চারিত হতেই ফাতেমা থামিয়ে দিলে: “থাক থাক, হইছে, আতাউলের বিষয়-আশয় আর খুইলা কওনের দরকার নাই। আমি হেরে ভাল কইরাই চিনি, কিন্তু আপনেরা কি কইরা পারলেন, এমন জায়গায় সম্বন্ধ ঠিক করতে, কন তো?”
সালেহার আব্বা মুখ কালো করে বলল, “কেন মা, কি হইছে? এ তামাত কারো মুখে পুলারে নিয়া একটা খারাপ কথাও তো হুনি নাই!”
“হুনেন নাই যহন, আর কি! সোনার পোলা! যত তাড়াতাড়ি পারেন, মাইয়ারে তার হাতে তুইল্যা দেন!”
“এইয়া কি কও, মা! পুলার খারাপ কোন দিক থাকলে, খুইল্যা কও আমাগো। তোমার না বইন? তোমার দায়িত্ব কি কম?”
“বইন দেইখাই তো কইতেছি! আতাউল বিদাশ কইরা অনেক টাকাপয়সা কামাইছে হুনছি! কিন্তু ওর চরিত্র সুবিধার না, চাচা! হুনছি, বিদেশ যাওনের আগে বিয়াও করছিল একটা, অবশ্য সংসার করতে পারে নাই, বাড়ির মানুষ তিনদিনের মাথায় ছাড়ায় আনছিল!”
মুরব্বীরা আর কোন কথা পাড়ল না, শুধু মুখে এক আকাশ অন্ধকার মেখে ফিরে গেল গাঁয়ে।
দিন কতেক বাদে ফাতেমা মধ্য-দুপুরে নিজের ঘরে বসে মোবাইল কানে রেখে এমন আর্ত-চিৎকার করল যে, রাস্তা থেকেও শোনা গেল, “কি কও মা! পালাইছে? হায়রে পোড়ামুখি! একটুও সুখ পাবি না! আতাউলের পিছে পিছে ঘুরবি কেবল, নাগাল পাবি না! ”
আতাউলের বিদেশি বউ আছে, ৫ বছরের একটা ছেলে আছে, সেই বউ কখনোই বাংলাদেশে আসবে না, শুধুমাত্র বাবা-মা-মুরব্বিদের পিড়াপিড়িতে ও সমাজের দিকে তাকিয়ে এই বিয়েটি করছে আতাউল, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বা পেপার সাইন পর্যন্তই, সত্যিকারের কোন বৈবাহিক সম্পর্ক রাখবে না- এরকম হাজার কথাবার্তা হাওয়ায় ভেসে বেরিয়েছে এ কদিন, পরিবারের মুরব্বীরা ভণ্ড ও দুশ্চরিত্র আতাউলের কাছে মেয়ে তুলে না দিতে বজ্র কঠোর শপথ নিয়েছে।
তবু সেই কবে একদিন যখন আঁধারির আবির মাখতে শুরু করেছে আকাশ, আস্তে আস্তে মুছে যাচ্ছে আলোর শেষ রেখাটুকু, তারাগুলি ফুটতে শুরু করেছে, আতাউলের সাথে একবারই কথা হয়েছিল!
কি পাগলের মত কথাবার্তা! তবু তা-ই ঢেউয়ের পর ঢেউ তুলে ভেঙ্গেচুরে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল সালেকে! আচ্ছা, এমন ছেলে আর পাবে সে? একবার একটা ফটো দেখেছিল। নায়ক আলমগীরের মত চেহারা! শোনা যায়, এক কোটি টাকার ক্যাশ আছে বিভিন্ন ব্যাংকে! ম্যাট্রিক না দিয়েই সেই যে উড়াল দিছে! ১২ টা বছর!
সালেহাকে কঠিন সিদ্ধান্তটি নিতেই হয়েছিল! তবে বেশীদিন পালিয়ে থাকতে হয়নি, সপ্তাহ-খানেকের মধ্যেই শ্বশুর-শাশুড়ি বরণ করে নেন একমাত্র পুতের বউকে! এক সময় সালেহার মা-বাবাও আর সংবরণ করতে পারেন না, কেঁদেকেটে জড়িয়ে ধরেন বুকে! আতাউলের কথাই ঠিক হয়, ‘মাত্র তিনডা মাস, সালু, তারপর সব ঠিক হইয়া যাইব!”
সত্যি সব ঠিক হয়, ফাতেমা পর্যন্ত আর অভিমান ধরে রাখতে পারে না, পরের শীতে বোনটিকে এক নজর দেখার জন্য তার শ্বশুর বাড়িতে হাজির হয়। কিন্ত একি! সালের এ কি চেহারা হইছে!! দূর থেকে এক পলক তাকিয়েই ফাতেমার চোখ ভিজে যায়, ভণ্ড আতাউল নিশ্চয়ই বৈদেশে বইসা বইসা রঙ্গ করতাছে, আর এইহানে সালেহা অভাগিনীর সোনার অঙ্গ কয়লা হইতেছে! ফাতেমা উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বলে, “হ্যাঁরে, সালে, সারা বাড়ির কাজ তরে দিয়াই করায় ওরা?”
সালেহা ফাতে-বুর উদ্বেগে খুশি হতে পারে না বিশেষ, বলে, “ মাইয়া হইয়া জন্মাইছি, কাম তো করনই লাগব! ”
ফাতেমার চোখ আবার ছলছল করে উঠে, হায়রে পোড়ামুখি! স্বামীর সুখ তর কপালে নাই! বাইন্দালি কইরাই জীবন যাইব!
এরপর যদিও সালের সংসার তরতর করে বেয়ে চলে, এমনকি ছেলে-মেয়ে দিয়ে উঠে ফুলে-ফেঁপে, সেই থেকে আর অনেকটা বছর তার সাথে দেখা বা কথা হয় না ফাতের। তাই একদিন যখন মায়ের কাছে খবর পায়, সালেহার বিদেশ যাওয়া ফাইনাল, তখন প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারে না, “না মা, এইটা আতাউলের আর একটা ফন্দি! ও আর দেশেই আইব না, তাই ছেমরিরে ভুলায়-ভালায় রাখতেছে!”
“না রে, ডেইটও ঠিক হইয়া গেছে! সামনের মাসের ৪ তারিখ।”
“হুম, বুঝছি, হারামজাদা তাইলে ছেমরিরে লেবারের কাম করাইতে নিতেছে। তোমাগো জামাইয়ের কাছে হুনছি, মহিলা লেবারের খুব কদর ঐ দেশে! ”
“তয় সালে কইল, পোলাপাইন মানুষ করার লাইগাই বিদেশ নিতাছে! এই দেশে পড়াইতে ভয় পায় আতাউল, কয় বলে গুণ্ডা-বদমাশ হইব!”
“হারামজাদা কইল, আর তোমরা বিশ্বাস করলা? ঐ দেশে থাকাখাওয়ার খরচ জানো? ভাত জুটে কিনা সন্দেহ, কয় পুলাপাইনের লেখাপড়া করাইব!”
এরপর আবার অনেকগুলি বছর সালেহার বিষয়াদি চাপা পড়ে থাকার পর পুজোর ছুটিতে বাড়ি গেলে আশ্চর্যজনকভাবে দেখা হয়ে যায় সালে-ফাতের। তাজ্জব ব্যাপার, সালেহাকে চেনাই যায় না! শরীর-ভর্তি গহনার মেদ, ঝুলে ঝুলে পড়ছে সুখ, একেবারে সাদা মেমদের মত হয়ে গিয়েছে সালে!
কোনমতে সামলে নিয়ে ফাতেমা বললে, “কি রে, টিকতে পারলি না, সালে? এত তাত্তারি দেশে ফিইরা আইতে হইল?”
“দ্যাশে ফিইরা আসার ইচ্ছা আছে, তয় অহন না, বুবু, পুলাপাইনের লেখাপড়া শেষ হইলে পরে পাকাপাকিভাবে দ্যাশে চইলা আমু! অহন আইছি বারি বানানোর লাইগা, মাস তিনেক থাকতে হইব মনে হয়!”
দূর থেকে হেঁটে আসছিল এক রাজপুত্র ও রাজকন্যা! ছেলেমেয়ে-দুটি নিজেদের মধ্যে বিদেশী ভাষায় কথা বলছিল, আর মিটিমিটি হাসছিল!
‘তর পুলা-মাইয়া বুঝি? ওগোও কি কামে লাগাইয়া দিছস?” – ফাতেমার কণ্ঠে মমতা ও উদ্বেগের অদ্ভুত যৌগ।
“কি যে কও! আতাউল ওগোরে ঐখানকার নামকরা স্কুলে ভর্তি করায় দিছে যাওনের লগে লগেই! বিদেশী মাস্টারগো লগে ছবি আছে ওগো, দেখবা? ”
ফাতেমা নিরাসক্ত গলায় বলে, “না রে, অত ছবি দেহনের শখ নাই আমার! তয় একদিন হয়ত এই ছবি দেইখ্যাই কাটাইতে হইব তর, বিদাশী পড়ালেখা পুলাপাইনরে পর কইরা দেয়, একটু ডাঙর হইতে না হইতে উড়াল দিব, হাজার চেষ্টা কইরাও আর ধইরা রাখতে পারবি না!”
সালেহা অনাগত শংকাকে খুব একটা পাত্তা দেয় না, “ধুর, বুবু, তোমার মুখে খালি আ-কথা, কু-কথা!”
এরপর অনেক অনেক বছর! সালেহারা বিদেশের পাঠ চুকিয়ে সত্যি সত্যি দেশে ফিরে এসেছে! সালেহার ছেলে জয়েন করেছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে! ডাক্তার হিসেবে খুব সুনাম কুড়িয়েছে অল্পদিনেই! অবশ্য মেয়েটি রয়ে গেছে বিদেশে, পোস্ট গ্রাজুয়েশন হয়ে গেলে তারও দেশে ফিরে আসার কথা!
সেই সালেহার ছেলের বিয়েতে একদিন জ্বলে উঠে সাত মহলা, নিশীথের বুকে বিদীর্ণ করে। গল্প-গুজবে তেতে উঠে বহুদিন বাদে মিলিত হওয়া কাছের ও দূরের বোন, ভাবী, ভাগ্নি, ভাতিজি! এতদিন বাদেও ফাতেমা রানীই রয়ে গেছে, অভ্যাগতদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে সে-ই।
‘বাঁদি থেকে রানি’র এক জমাটি কাহিনীর সাথে যোগ হওয়া ফাতেমার নাটুকে ভঙ্গি, সবার অখণ্ড মনোযোগ ধরে রাখে “সালু যে সংগ্রাম করছে, তা কিচ্ছারেও হার মানায়! কি করে নাই, ছেমরি? বিদেশের মাটিতে বাইন্দালি পর্যন্ত করছে দেউলিয়া স্বামীরে বাঁচাইতে, হাড়মাংস কয়লা করছে পুলাপাইন মানুষ করতে গিয়া! কে জানে, ছেমরির কপালে সামনে কি আছে! আজকাইলকার পুলাপাইন......” বলতে বলতেই ফাতের সমব্যথী চোখ হঠাৎ স্থির হয় অতিথি পরিবেষ্টিতা সালেহার উপর!
পুতের বউকে শক্তভাবে বেষ্টন করে আছে আকণ্ঠ হাসিতে উদ্ভাসিত সালেহা, অতিথিদের চাপ থেকে আগলে রাখার সব দায়িত্ব যেন তার, ছেলের বউয়ের শাড়ি বা সাজে এতটুকু আঁচড় লাগতে দিতে রাজী নয় সালেহা!
নাহ্, ছেমরির রক্তেই বাইন্দালি! হারা জীবন লম্পট স্বামীর বাইন্দালি কইরা গেছে, অহন শেষ জীবনডাও কাটবো পুতের বউয়ের বাইন্দালি কইরা!
গা গুলিয়ে আসে ফাতেমার! রানী-সুলভ শীতলতা ফুটে উঠে তার আয়ত নেত্রে। অবয়ব জুড়ে চাপ ও তাপের অসংখ্য কোণ!
মন্তব্য
৫ তারা
কাজের মধ্যে আছি, পরে আসছি আরো কথা নিয়ে
*** *** ***
অবশেষে, বাড়ি এসে বসা গেল!
আপনার আগের গল্প থেকে একটা কথা বলার প্রতীক্ষায় ছিলাম, এবার সেটা বলে ফেলি - বাঃ!
গল্প টান টান ভাবে শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রথম বাক্যটি থেকেই। আর সেই সাথেই শুরু হয়ে গিয়েছিল চিন্তাটা - ঠিক থাকবে ত শেষ পর্যন্ত! দেখা গেল চিন্তার দরকার ছিল না। গল্প টান টান থেকে গেছে একেবারে শেষ বাক্যটি পর্যন্ত। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে গল্পের মধ্যে প্রায় কোনই মোচড়ের চেষ্টা করা হয়নি। সমস্তটাই এগিয়েছে নিতান্তই স্বাভাবিক ভাবে। আর সেখানেই এ গল্পটির জোর, কোথাও কোন জোর করা নেই। মানুষের মনের অন্ধকার কোণে আলো ফেলা হয়েছে, আলো বাড়ানো হয়েছে, তারপর আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর কিছুই না। এবং সমস্তটা করা হয়েছে যেভাবে অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে আসন-প্রদর্শক আলো জ্বেলে আসন দেখিয়ে তারপর আলো নিভিয়ে চলে যায় ঠিক সেইভাবে। নির্মোহ, নির্ভার।
পরের গল্পর জন্য প্রতীক্ষায় থাকলাম, দীনুদা (এ ডাকটা কিন্তু বন্ধুত্বের, বিব্রত করার জন্য নয়)।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনার মন্তব্যটা খুব পছন্দ হয়েছে একলহমা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ, তিথীদিদি!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
জানি না, টুইস্ট আপনার কথিত 'মোচড়'-এর বাংলা কিনা, তবে ছোটগল্প টুইস্ট না থাকলে জমে না, আর এখানেই ছিল ভয়, কারণ গল্পটিতে টুইস্ট ছিল না মোটেই, মানে, চেষ্টা করেও কোন টুইস্ট সৃষ্টি করতে পারিনি, অনেক ভেবেচি, কোনমতে একটা টুইস্ট ঢুকিয়ে দেয়া যায় কিনা, কিন্তু যেই না টুইস্ট ঢোকাতে গিয়েচি, আমার দেখাগুলি কিম্ভুত আকার ধারণ করেছে, তাই শেষ পর্যন্ত টুইস্ট ছাড়াই শেষ করতে হয়েছে এই শ্রীহীন গল্প!
এইসব কারণেই গল্পটি নিয়ে এটুকুও আশাবাদী ছিলাম না, মডুভাইয়েরা না ছাপলে হয়ত কষ্ট পেতাম, অভিমান করতাম না মোটেই, তাই আপনার মন্তব্য আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে এখনো, শুধুই ভাবছি, কি করে?
আমি রীতিমত ঘোরের মধ্যে আছি, লহমাদা!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
ভালই হয়েছে ছোটগল্পটা.......এক নি:শ্বাসে পড়ে ফেললাম
ভালো লাগল পড়তে।
শুভেচ্ছা
চাচাত বোন সালেহার সাফল্যে ফাতেমার অন্তর্নিহিত ঈর্ষা শেষে এসে প্রকাশ পেল। ভাল লেগেছে।
সোহেল লেহস
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
মাসুদ সজীব
অসাধারণ। এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। চালিয়ে যান।
নির্ঝরা শ্রাবণ
আমি ভেবেছিলাম যে, সালেহার সাথে আতাউল এর বিয়েতে রাজী না হওয়ার পেছনে ফাতেমার 'অন্য প্রেমের' গল্প আছে।
প্রথমবার দেখা হওয়ার পরে ফাতেমার এই অভিব্যক্তিটুকু অন্যভাবে এলে ভালো লাগতো আমার কাছে।
তবে, গল্পের শেষলাইনটা মারাত্বক লিখেছেন। আমি যেন ফাতেমাকে চোখের সামনে দেখতে পেলাম।
সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। প্রমাণ করলেন যে, প্রাণীজগতে একমাত্র মানুষই অন্যের উন্নতি দেখে জ্বলে পুড়ে মরে যায়।
ভালো থাকবেন দীনুদাদা (একলহমা দাদা ডেকেছেন, তাই আমিও ডাকলাম)।
আপনার জন্য শুভকামনা।
------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
বুজতেছি না, বিষয়ডা! বিধাতা আমারে 'দাদা' ডাক শোনার সৌভাগ্য দান করিলেন, কিন্তু দাদাগিরি করিবার জন্য আবশ্যক কোন গুনই প্রদান করিলেন না!!!! এই না হলে, দীনহিন!
যাইহোক, এই কাঁচা গল্পটারেও যেইভাবে বিশ্লেষন করিলেন, অধম দীনহিনের সেইটুকুই প্রাপ্তি!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
"বিধাতা আমারে 'দাদা' ডাক শোনার সৌভাগ্য দান করিলেন, কিন্তু দাদাগিরি করিবার জন্য আবশ্যক কোন গুনই প্রদান করিলেন না!!!! এই না হলে, দীনহিন!"
আসিবে আসিবে, দাদাগিরির গুণ আসিয়া যাইবে, চিন্তা করিয়েন না। এখন শুধু এইরকম লিখিয়া যাউন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
চমৎকার গল্প!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
হ্যাঁ, সত্যিই ভাল লেগেছে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অসাধারণ। লেখাটা শুধু মৌলিক তাই না, বর্ণনা সাবলীল, সহজ আর প্রাণবন্ত। গল্পের কাহিনী খুবই contextual, মজার ব্যাপার হল, এত সুন্দর, স্পষ্ট ও সূক্ষ্ম ভাবে আমাদের দেশের মানুষের মানসিকতা ফুটে উঠেছ; কিন্তু কোথাও শব্দের ভারিক্কি নাই, বড় বড় বাক্যের ঝনঝন শব্দ নাই। আরো লেখেন। দারুণ। নিশাচর জীব।
খুব ভাল লাগল। মানুষের রিপু বড় বিচিত্র। ছোট্ট পরিসরে ভাবনার খোরাক।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
নতুন মন্তব্য করুন