ভয়ংকর নাক ডাকা ভূতের খপ্পরে পড়ে কিভাবে আমি নাজেহাল হয়েছিলাম আপনাদের আজকে সেই গল্প শোনাব। সে বহু কাল আগের ঘটনা। তখন আমি আমেরিকার এক জন বিরান এলাকায় থাকি। জন বিরান মানে পুরাই জন বিরান। দিন দুপুরেও রাস্তা ঘাটে লোক জন নেই। এখানাকার লোকেরা একে শহর বলে। খেয়ে দেয়ে আর কাজ নাই। বাংলাদেশের গাঁও গেরামের ভাবসাবও এর থেকে অনেক ভাল। বাংলাদেশের অজ পাড়া গাঁয়েও আজকাল স্টার জলশায় নাটক না দেখে কেও ঘুমাতে যায় না। আর এই খানে রাত আটটার মধ্যেই দোকান পাটে বাতি নিভিয়ে দিয়ে লোকজন কম্বলের নিচে ঢুকে পড়ে।
যাহোক নতুন চাকরীর সুবাদে এই এলাকায় আসা। একটা বাসা ভাড়া নিলাম। ছোট খাট এক বেড রুমের বাসা। একটা টিভি, সোফা সেট আর এক খানা বিছানা নিয়ে আমার সংসার। সকালে অফিসে যাই। অফিস ধান ক্ষেতের ভিতরে। ধান ক্ষেত মানে গম আর ভুট্টা ক্ষেত আর কি। বাঙ্গালী যেমন ভাত খোর এরা তেমনি গম আর ভুট্টা খোর। ছয়টা বিশাল বিল্ডিং নিয়ে মোটামুটি অনেক এলাকা জুড়ে অফিস এরিয়া। চারদিকে যত দূর দৃষ্টি যায় শুধু পাট ক্ষেত, আই মিন ভুট্টা আর গম ক্ষেত। শুধু এক দিকে বন। ঘন বন। সে বন থেকে মাঝে মধ্যে শেয়াল আর হরিণ বের হয়ে আসে। আর রাজ হাঁসের কথা নাই বা বললাম। আহাম্মক আমেরিকানদের আশকারা পেয়ে পেয়ে বন্য রাজ হাঁস গুলোর সাহস বেড়েছে সীমাহীন। লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে এরা যত্র তত্র প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে একাকার করে ফেলেছে। চতুর্দিকে কালো কালো অর্ধ তরল হংস পুরীষের অবাধ ছড়া ছড়ি। যাহোক নতুন কাজ মন্দ লাগছিল না। কলিগরা সবাই ভাল মানুষ। অনেক আদর আত্তি করল।
বড় শহর থেকে গ্রাম এলাকায় যে এসেছি তার প্রমাণ মিলল রাতে। রাত আটটার মধ্যেই চার দিকে কবরের নিস্তব্ধতা নেমে এল। আমি ভয় পেয়ে টিভি ছেড়ে দিলাম। টক শো জীবনেও ভাল লাগত না। কিন্তু টক শো চালু করে দিয়ে বসে থাকি। টিভিতে টক শো চালু থাকলে মনে হয় আশে পাশে লোকজন আছে। তখন বুকে বল পাই।
যাহোক রাতে ঘুমাতে গেছি। অনেকক্ষণ চোখ বুজে মটকা মেরে পড়ে থাকার পর এক সময় ঘুম এল। গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমি পরিষ্কার শুনতে পেলাম কেউ জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে। পুরো বাসায় আমি ছাড়া আর কারও থাকার কথা না। ভয়ে আমার হাত পা গরম হয়ে গেল। ভয় পেলে বেশির ভাগ মানুষের হাত পা নাকি ঠান্ডা হয়ে যায়। আমার হয় উল্টো। ভয় পাওয়া মাত্রই আমার গায়ে ঘাম দিয়ে জ্বর আসে। কান পেতে রইলাম। যদি আর কোন শব্দ টব্দ পাই। চোর ভুত যেই হোক এই জন বিরান এলাকায় আমার ঘাড় মটকে রেখে গেলে অন্তত এক সপ্তাহ কেউ খবর পাবে না। আমি বাঙালি যাদের চিনি তারাও প্রায় ১০০ মাইল দূরে থাকে। বিপদে আপদে যে তারা দৌড়ে আসবে সেই উপায়ও নেই।
আমি একটু সজাগ হয়ে কান খাড়া করতেই সেই শব্দ আর পেলাম না। তারপরও বলা যায় না, সাবধানের মার নেই নীতি অবলম্বন করে কম্বলের নীচে পাক্কা এক ঘন্টা মরার মত পড়ে থেকে ভাণ করলাম যেন আমি গভী্র ঘুমে অচেতন। সে রাতে আর কোন কিছুর সাড়া শব্দ পেলাম না। মাঝ খান থেকে আমার ঘুম কেঁচে গেল।
এরপর বেশ কিছুদিন আমার গ্রামীণ জীবন যাপন ঘটনা হীন ভাবে কেটে গেল। আমার কলিগরা সব বয়স্ক। প্রায় সবার মাথা ভর্তি টাক। তাদের বাচ্চা কাচ্চারা ধাড়ি হয়ে নিজেরাও প্রায় ডজন দরে বাচ্চা পয়দা করেছে। আমার দাদার বয়সী কলিগরা কাজ শেষে তাস পিটিয়ে সময় কাটান। পিটা পিটিতে আমি কোন কালেই দক্ষ ছিলাম না। তারা তাস দিয়ে পিটিয়ে আমার দফা রফা করে ছাড়ল। এর পর তাস পেটানোর প্রস্তাব পেলেই আমি ভদ্রতা সহকারে এড়িয়ে যাই।
বাসা থেকে হাঁটা দুরত্বেই লেক। নাম লেক মিশিগান। জানে না এমন কাওকে চোখ বেঁধে এনে এর সামনে দাড়া করিয়ে দিলে সে ভাববে এই সমুদ্রের নাম কি? সমুদ্রে যেমন ঢেউ থাকে এরও আছে। সেই ঢেউয়ের গর্জনও আছে। এই লেকের উপর দিয়ে বিশাল বিশাল মালবাহী জাহাজ যায়। ঝড়ের সময় লেকে ৫০ ফুট উচ্চতার ঢেউয়ের রেকর্ডও আছে। আমি সমুদ্রসম লেকের পাশ দিয়ে দৈনিক একা একা হাটি। লেকের পাশে বিশুদ্ধ বাতাস। বুক ভরে শ্বাস নিলে মনে হয় পৃথিবী এত সুন্দর কেন? লেকের পাশে হাটা হাটি করার ফল স্বরুপ রাতে দারুন ঘুম হতে লাগল।
তারপর একদিন সেই ঘটনা আবার ঘটল। টিভিতে জে লেনো নামক জনৈক ভদ্র লোকের টক শো দেখে মাথার নিচে এক বালিশ আর দুই পাশে দুই সতীনকে (দুই পাশে আলাদা করে দুই বালিশ না রাখলে আমি আবার ঘুমাতে পারি না) সাথে নিয়ে আরাম করে ঘুমাতে গিয়েছি। সবে মাত্র কাঁচা ঘুম লেগে আসছিল ওমনি আবার সেই জোড়ে জোড়ে শ্বাস নেবার শব্দ। ভয়ে আমার গায়ের টেম্পেরেচার ধাই করে ১০৪ ডিগ্রী হয়ে গেল। ঘামতে ঘামতে আমি কুলহু আল্লাহ পড়া শুরু করলাম। আমি আবার এই একটা মাত্রই সূরা জানি। সূরা পড়া মাত্রই ভূত বোধ হয় বাপ বাপ করে পালিয়ে গেল। কারণ সেই শ্বাস নেবার শব্দ আর পেলাম না। আমি উঠে বাতি জ্বাললাম। ভাল করে বিছানার নীচে, ক্লজেট, কিচেন, আর বাথরুম চেক করে আসলাম। ভূত কিংবা চোরের টিকিটিরও দেখা পেলাম না।
দ্বিতীয় বার একই ঘটনা ঘটে যাবার পর আমার খুব রাগ হল। হারামজাদা সর্দি লাগা ভূতের কারণে (যেহেতু শুধু ঘড় ঘড় করে জোরে জোরে শ্বাস নেবার শব্দ পাওয়া যায় সে থেকে ধরে নিয়েছিলাম ভূতের বোধ হয় সর্দি টর্দি লেগেছে। অবশ্য এলারজি জনিত কারণেও ভুতের শ্বাস কষ্ট হয়ে থাকতে পারে) আমার ঘুমের ১৪ টা। সকালে অফিসে যেয়ে ঝিমাই। কলিগরা চোরা চোখে তাকায়। কি মনে করে কে জানে। নাহ এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।
পরদিন এক খানা বেইজ বলের ব্যাট কিনে আনলাম। রাতে ঘুমুতে যাবার আগে বিছানার পাশে ব্যাট রাখি। বদমাইশ সর্দি লাগা ভূত যদি আবার আসে পিটিয়ে লাশ বানিয়ে লেক মিশিগানে ফেলে দিয়ে আসব। বেজ বলের ব্যাট নিয়ে ঘুমানোর তিন দিনের মাথায় আবার ভূতের দেখা মিলল। মানে ভূতের ঘড় ঘড় শ্বাস নেয়ার শব্দ পেলাম। আজকে এস্পার ওস্পার করে ফেলব। ব্যাট খানা হাত বাড়িয়ে যেই নিতে যাব ওমনি বুঝতে পারলাম হায় হায় এটা কি? এতো আমার নিজেরই শ্বাস প্রশ্বাস নাসিকা'র গভীরে বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে ভর ভর করে ডাকছে।আমি তখন এমন এক অবস্থায় যাকে বলে আধো ঘুম আধো জাগরণ। এ আর যাই হোক কোন ভূতের কান্ড নয়। আমি নিজের নাসিকা ধ্বনি শুনতে শুনতে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম।
মন্তব্য
আমার বড় মামা বিশাল নাক ডাকুরে লোক ছিলেন কিন্তু দুনিয়ার সব নামকরা ডাকুরেদের মতো তিনিও তার দক্ষতাকে মেনে নিতে চাইতেন না। একদা রাত্তির বেলা আমি আর আমার খালাতো ভাই মিলে উনার নাক ডাকা ক্যাসেট প্লেয়ারে রেকর্ড করে সবাইকে দেখিয়ে দিবো ঠিক করলাম। সেটা এই মোবাইল,এম্পিথ্রি প্লেয়াররের আগের যুগের কথা।গভীর রাতে মামা একের পর এক গিয়ার চেঞ্জ করে উচ্চ থেকে আরো উচ্চস্তরের নাক ডেকে চলছেন মামা। আমরাও ক্যাসেট প্লেয়ার চালু করে মামার মুখের সামনে ধরলাম মাত্র আর ওমনি ফাইনাল গিয়ার মেরে মামা নিজের নাক ডাকার শব্দে নিজেই উঠে গেলেন। ইহার পর কী হইলো তা আর নাই বলি। এখনও পিঠে কিছু দাগ আছে হয়ত
প্রথম রাতে আপনি জেগে উঠার পরেও নাক ডাকছিলো কে? ভূত মনে হয় এখনও আপনার বাসা ছেড়ে যায়নি। দেখেন ত আপনার পিছনে কে?
----------------------
আশফাক(অধম)
ভাই অধম, আমার এক বন্ধু আছে, যখন নাক ডাকে তখন দোতলা বাড়ি থর থর করে কাঁপে, কিন্তু সে মানতে নারাজ যে সে নাক ডাকে। আপনার মামার মত আমরাও সেই কুখ্যাত নাক ডাকা রেকর্ড করে তাকে শুনালাম। কিন্তু সে বলে শুধু অডিওতে হবে না। ভিডিও প্রমানও লাগবে। আমরা তার নাক ডাকা ভিডিও করে আনলাম, তখন সে বলে এটা তার নাক ডাকা নয়। আমরা নাকি নাক ডাকার সাউন্ড ইফেক্ট দিছি। আমরাতো কিন্তু সে বিশ্বাসই করে না।
প্রথম রাতে আমি জেগে উঠার পর নাক ডাকাডাকি তৎক্ষণাৎ থেমে গিয়েছিল। ভাই, ভয় দেখান ক্যান? আপনের কি ক্ষতি আমি করেছি?
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
গল্পের পটভূমির জন্যে মনে হয়েছিলো শেষটা ভয় জাগানিয়া কিংবা বেশ ইন্টারেষ্টিং কিছু হবে। হলো না বলে কিছুটা আশাহত হলাম । পরের গল্পে নিশ্চয় আর আশাহত বেদনায় পুড়বো না
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
মাসুদ সজীব,
শুধু আপনি নন, এই রকম বেয়াকুব ভূতের কাজ কারবারে আমিও বেশ আশাহত হয়েছি । লক্ষ্য করেছেন কিনা জানি না, গল্পের ট্যাগে দেয়া আছে স্মৃতিচারণ, হাস্যরস... ইত্যাদি। তারমানে এরকম একটা ঘটনা সত্যি সত্যি ঘটেছিল যেটাকে আমি হাল্কা হাসির গল্পাকারে উপস্থাপন করেছি। আমি সেই রকম একজন যে কিনা নিজেই নিজের নাক ডাকার শব্দ শুনতে পাই এবং বুঝতে না পেরে ভূতের ভয়ে অস্থির। সিরিয়াস কোন ভূতের চিন্তা নিয়ে এই গল্প লিখিনি। পরের বার অবশ্যই কঠিন রোমহর্ষক ভূত নিয়ে হাজির হব
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
আপনি ভূতেরও ভয় পান?
আমাদের ল্যাবে নাকি একটা বাচ্চা ভূত আছে, সবাই দেখেছে। আপসুস আমিও এখনো দেখলাম না
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
আগেই বুঝেছিলুম ভূতটা কে।
বন্দনা, এই ভূতটা বোকা শোকা। বুদ্ধি সুদ্ধি বলতে গেলে কিছুই নেই। বুঝতে পারারই কথা
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ওয়েস্টার্ন পড়ে পড়ে মাথাটা গেছিল আর কি , আপনার চোখ দিয়ে ভাল লাগা বিরান সুন্দর আম্রিকাটা দেখে নিলুম আবার । বোকা মানুষ আমি কি বলব, গল্পের শেষে এই ভুত দেখে আপনার মত আমিও আতকে উঠেছি!
রাজর্ষি
আর বলবেন না ভাই। এই ভূতটা কিছু দিন আমাকে অনেক জ্বালিয়েছিল।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
মজা পেলাম। তবে আরেকটু ছোট করে লিখলে আরো টানটান হতো মনে হয়। আর শুরুতে আমি মনে করেছিলাম কোন বন্য প্রাণি বাসার পাশে এসে ঘুমায় বোধহয়, তার নাক ডাকার শব্দ শুনেছেন বোধহয়। শেষে এসে দেকি ওমা, একী! তাই মজা আরো বেশী লেগেছে।
ইয়ে, বেশ কয়েকটা টাইপো পেলাম ভাই: খপ্পরে পরে-> খপ্পরে পড়ে, কেও->কেউ, রাজা হাঁস-> রাজ হাঁস, প্রমান->প্রমাণ, জোড়ে জোড়ে-> জোরে জোরে, ১০০ মেইল -> ১০০ মাইল, হাটা->হাঁটা ইত্যাদি। আর কয়েকটা শব্দের মাঝখানে অযাচিত স্পেস চলে এসেছে : পাড়া গাঁয়ে, রাজ হাঁস, ভাব সাব, মাঝ খান, ঘটনা হীন ইত্যাদি। এগুলোর কারণে পড়তে গিয়ে কয়েকবারই হোঁচট খেলাম।
আপনি লেখা শেষ হবার পরে একটা গ্যাপ দিয়ে, পারলে এক/দুদিন গ্যাপ দিয়ে, একবার পড়ে নেবেন। ভালো হবে।
____________________________
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বিজবিজ ভাই (পুরা নিক টাইপ করতে আলসি লাগে। আপনি আবার মাইন্ড কইরেন না পিলিস)। আমার লেখায় টাইপো পাবেন সেটা সূর্য পূবে উঠে পশ্চিমে ডুবে যাবার মতন অবধারিত। আমি বানানে এত দুর্বল যে লেখা শুধু এক/দুই দিন দিয়ে গ্যাপ কেন এক/দুই বছর গ্যাপ দিয়ে আবার পড়লেও ভুল গুলো আমার চোখে পড়বে না। সবচেয়ে ভাল হয় আপনার মত কেউ যদি প্রুফ রিড করে দিত। এখন থেকে আমার লেখা প্রুফ রিড করে দিলে ভূতের তাবিজ ফ্রি
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ভূতের তাবিজ লাগবে না, ফ্রি প্রুফ রিড করে দেবো - সবার আগে লেখাটা পড়তে পারবো এটাই আমার পুরষ্কার!!
অল্টারনেট একটা সল্যুশন আছে - হাচল যেহেতু হয়েই গেছেন এখন তো লেখা এডিট করতে পারবেন। লেখা পোস্ট করার পরে হাত পা ধরে আয়নামতি দিদিকে দিয়ে পড়িয়ে নেন, তারপর ভুলগুলো সংশোধন করে নেন।
____________________________
কেউ কথা রাখে না
ভুতরে খুঁইজাই যখন পাইলেন, ব্যাট দিয়া বাড়িটা দিলেন না ক্যান?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাক্ষী সত্যানন্দ, ভাই ভূত পিটাইতে চাইছিলাম, কিন্তু পড়ে ভাবলাম মাইর খাইয়া যদি দলবল নিয়া আমার ঘাড় মটকাইতে আসে তাইলেতো সমস্যা। বিদেশ বিভূইয়ে একা একা থাকি, কোন ব্যাক আপ সাপোর্ট নাই। আপনি যদি দেশী বাঁশের সাপ্লাই নিয়া হাজির হন তাইলে এক খান ট্রাই নিতে পারি
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ভয় পাওয়া মাত্রই আমার গায়ে ঘাম দিয়ে জ্বর আসে।
//
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
জ্বি হ্যা ভাই, আমার সব কিছু একটু উল্টা পাল্টা। জ্বরের পরে ঘামের বদলে উলটা জ্বরের আগেই ঘাম ছুটেরে ভাই
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
স্মৃতিচারণ হিসেবে ভাল লেগেছে। তবে, গল্প হিসেবে, নাঃ আমার আর বলার দরকার নেই, কি বলেন?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
স্মৃতিচারণ আর গল্পের মধ্যে ঠিক কি কি পার্থক্য রয়েছে, এক দা???
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
ধন্যবাদ দীনহিন! আমার মনের কথা বলেছেন
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
Sohel, দীনুদার প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। তবে সেটা আপনার মনের মত নাও হতে পারে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
জবাব আমার মন মত হয়েছে। আমিও আসলে জানতে চাচ্ছিলাম স্মৃতিচারণ আর গল্পের মধ্যে তফাত কোথায়। আপনি যথার্থ উত্তর দিয়েছেন।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
গল্পঃ
তার একটা কাঠামো থাকবে। সেই কাঠামোতে কিছু ঘটবে। ঘটনা গড়াবে, কোথাও যাবে, উদ্দেশ্য থাকবে সেই যাওয়ার মধ্যে, এক বা একাধিক চরিত্র সেই ঘটনা বা ঘটনার স্রোতকে কোন পরিণতিতে পৌঁছে দেবে। এর সরলতম রূপে এটা কতকগুলো ধারাবাহিক বর্ণনার সমষ্টিও হতে পারে। কিন্তু সেগুলো একটা শৃঙ্খলায় থেকে কোন একটা উদ্দেশ্যকে পূর্ণ করে। একটা উপসংহারে পৌঁছায়।
স্মৃতিচারণঃ
স্মৃতিচারণ স্মৃতিনির্ভর বর্ণনা। সেটা গল্প হতেও পারে, না ও হতে পারে। একটি স্মৃতিচারণের মধ্যে একাধিক গল্পও থাকতে পারে। স্মৃতিচারণে ঘটনা পরম্পরার কোন বাধ্যবাধকতা আবশ্যিক নয়। বিবৃত ঘটনাগুলির কোন উপসংহারে পরিণতি পাওয়ার ও কোন দায় নেই।
আমার বুঝমত আমি বললাম। এর একেবারেই ভিন্ন মতের ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে আমি একটুও অবাক হ’ব না। আরো একটা কথা। এই সংজ্ঞাগুলি যদি পুরোপুরিই ঠিক হয়, সেক্ষেত্রেও এদের ব্যতিক্রম থাকবেনা এরকম ভাবার কোন কারণ নেই। তবে সেগুলি তখন ব্যতিক্রম বলেই ধর্তব্য থাকবে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
যথার্থ সারাংশ হয়েছে।
____________________________
আমার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছি, প্রিয় একলহমাদা! আর কিছু দরকার নেই আপাতত!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
দারুণ বলেছো দাদাই
এক লহমা ভাই, আর গল্প....এক খান ভাল গল্প লেখার ক্ষমতা এখনো হয়নি। আপাতত এইসব চটপটি টাইপের লেখা লেখে হাতেখড়ি করছি
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
Sohel, আপনি ত তবু লিখছেন, নিয়মিত লিখে চলেছেন। আমার যে মন্তব্যর বাইরে কতদিন হয়ে গেল, কিছুই লেখা হয়ে উঠল না! এমন কি সেই মন্তব্য ও নিয়মিতভাবে করা হচ্ছে না!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এক লহমা, আপনার মন্তব্যের উত্তর নীচে চলে গেছে
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
দোয়া ইউনুস শিখে নিন, বিপদে পড়লে এই দোয়ার জুড়ি নেই!! তাছাড়া, জ্বীন তাড়াতে সুরা নাস এবং ফালাক সবচেয়ে ফজীলাতপূর্ণ বলে জানা যায়! তাই এই দুটো দুয়াও শিখে নিন।
বাক্য-সমাপ্তিতে 'কি' থাকলেই তার শেষে কোশ্চেন মার্ক ব্যবহার অবধারিত বুঝি?
একদিন আমারও এমন হয়েছিল, সোহেল ভাই! অথচ এই মজার ঘটনাটা নিয়ে গল্প বানানোর ভাবনা আমার মাথাতেই আসেনি, যা আপনার এসেছে! আর এখানেই আপনার কৃতিত্ব! শুধু যদি আরেকটু গুছিয়ে লিখতেন!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
দীনহিন,
দোয়া ইয়উনুসটা আসলেই শিখতে হবে। আমার জীবনে সত্যি সত্যি অত্যন্ত ভীতিকর একটা ঘটনা ঘটছে (যা নিয়ে পরের বার সিরিয়াস টাইপের একটা গল্প লেখার ইচ্ছা আছে )। দোয়া/দরুদ যত দ্রুত আমার শিখে নেয়া উচিত।
কোশ্চেন মার্ক অসাবধানতা বশত এসেছে।
আমার ঘুম নিয়ে অনেক যন্ত্রণা আছে। নিজের নাক ডাকা নিজে প্রায়ই শুনি। আপনার কথা শুনে বুকে ভরসা পেলাম। আমি তাহলে একা না
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ভাই, হোঁচট টা এবার এসে খেলাম!!! নিজেকে সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া সত্যিই কি দোয়া-দরূদ, ঝাড়-ফুঁক, তন্ত্র-মন্ত্র কোন কাজ করে?
জ্বীন তাড়াতে সুরা!!! - তাড়ানো তো দূরের কথা, ও জিনিস আছে বলে কারো কাছে প্রমাণ পাইনি। একটু বলবেন আপনি কিভাবে জানলেন জ্বীন তাড়ানো যায়?
____________________________
বিজবিজ ভাই, মাফ করবেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই ব্যাপারে আর কথাই বলব না। আশা করি মাইন্ড করবেন না
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ভূতবাবাজীর লোকেশন চেনাচেনা লাগে দেখি
আয়নামতি,
লেক মিশিগানের আশে পাশে থাকেন নাকি? আমার আসলেই ঘাম সহকারে জ্বর আসে
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
... বেশ উল্টো বেপার ঘটে দেখি আপনার ক্ষেত্রে।
আমি তো ভাবিয়াছিলাম ভূত বলিয়া ইহ জগতে কিছু নাই। কিন্তু উপরোক্ত মন্তব্যগুলোতে যেই রূপে সূরা পাঠের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হইয়াছে তাহাতে তো ভূত বিষয়ে মনে কিঞ্চিৎ সন্দেহের উদ্রেক হইতেছে
ফাহিমা দিলশাদ
তোমার ত তবু ভূত বিষয়ে সন্দেহের উদ্রেক হচ্ছে দিদি, দোয়া-দরূদ-এর পক্ষে ওকালতির যা বহর দেখছি, আমার ত বর্তমান, ভবিষ্যত সব নিয়েই সন্দেহের উদ্রেক হচ্ছে। একেক সময় এমন সন্দেহও হচ্ছে, সচলে আছি না অন্য কোথাও!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এক লহমা, দোয়া-দরুদ এর পক্ষে যে দুইজন ওকালতি করেছে তারা কিন্তু অন্য কাওকে এই ব্যাপারে বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস করার জন্য জোরাজুরি করেনি। নিজেদের ব্যাক্তিগত মতামত একজন আরেকজনকে জানিয়েছে। এর বেশি কিছু নয়। মন্তব্য সেকশনতো দেয়াই হয়েছে মতামত দেয়ার জন্য। তাইনা?
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
নিশ্চয়, নিশ্চয়, আরো আরো মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
ব্যাক্তিগত মতামত পরস্পরের মধ্যে বার্তালাপের মধ্য দিয়ে হয়নি, সচলায়তনের সকলের পাঠ-এর আসরে হয়েছে। দুনিয়ায় কত ব্লগ আছে নিছক ব্যক্তিগত মতামতের আদানপ্রদানের জন্য। সচলায়তনকে আমি ভিন্ন অবস্থানের আসর বলে ভেবেছি, ভাবি। কত পাঠক এখানে প্রকাশিত লেখাগুলোকে কত গুরুত্ব দিয়ে পড়েন, তাদের জীবনযাত্রায়, তাদের চিন্তাধারায়, যুক্তিচর্চার প্রসারে এখানে প্রকাশিত লেখা, লেখায় মন্তব্যগুলিকে কত যত্নে নিজেদের বিকাশে ভরসা করেন। - আমি কি খুব বেশী কিছু আশা করে বসে আছি? কে জানে!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এক লহমা, ভাই আমি ব্যাক্তিগত মতামত বলতে আমার নিজস্ব মতামতকে বুঝিয়েছি। কোন অপ্রাসঙ্গিক ব্যাপারে কিন্তু দোয়া-দরুদ নিয়ে কথা তুলিনি। আমার লেখায় যেহেতু এই বিষয়টা ছিল তাই এ নিয়ে কথা বলা। যাহোক, এটা যদি কারও "....জীবনযাত্রায়, তাদের চিন্তাধারায়, যুক্তিচর্চার প্রসারে" ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ভূত নাই, তবে দুষ্টু জীন আছে (যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হন)
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
আপনার এবং আরো যাঁরা এই নিয়ে কথা বলবার যোগ্যতা আর ইচ্ছা রাখেন তাঁদের কাছ থেকে এই নিয়ে আরো আলোকিত হওয়ার প্রত্যাশায় রইলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
জ্বীন ডিষ্টাপ দিলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। কড়া করে বকে দিব।
..................................................................
#Banshibir.
আপনের কথা ভুইলা গেছিলাম। পীর ফকিরের ঝাড় ফুঁক এই সব ব্যাপারে আবার খুবই কার্যকরী। ভাই, আপনের চার্জ কত?
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
আমার সাথে ত কোন জ্বীনের আজ পর্যন্ত দেখা হয় নাই, যারা যারা ডিষ্টাপ আশংকা করেন আশা করি তারা আপনার আশ্বাসে ভরসা পাইবেন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
জ্বীনের ব্যাপারে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। সত্যপীর ভাইয়ের এই ব্যাপারে বিশেষ নলেজ থাকতে পারে
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
হ্যাঁ আমার নলেজ আছে। আবালেরাই জ্বীন বিশ্বাস করে এই হল নলেজ
..................................................................
#Banshibir.
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
____________________________
সবাই শুধু ভূত মনে করে বা ভূতের গল্প বলে ভূত দেখেছে এমন কেউ কি আছে?
___________________
সরীসৃপ
নতুন মন্তব্য করুন