মনে নেই

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: শনি, ৩০/০৮/২০১৪ - ৩:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লিস্ট। যা যা কিনতে হবেঃ

১) চা।
২) দুধ।
৩) সকালের নাস্তাঃ ব্যাগল এবং ক্রিম চীজ।
৪) এনভেলপ।
৫) অরেঞ্জ জুস।
৬) মাংসঃ গরু এবং মুরগী দুইটাই।
৭) হলুদ।
৮) ডিশ ওয়াশিং সোপ।
৯) পেঁয়াজ।
১০) গার্বেজ ব্যাগ।

আমার কিছু মনে থাকে না। সবকিছু ভুলে যাই। তাই লিখে রাখতে হয়। উইক এন্ডে অফিস বন্ধ। বাজার করতে যাব। কি কি লাগবে তার একটা লিস্ট করে ফেল্লাম। সুপার স্টোরে গিয়ে দেখি বাজারের লিস্টই সাথে আনতে ভুলে গেছি। কি কি লাগবে কোনমতেই মনে করতে পারলাম না। তরমুজ আমার খুবই প্রিয়। এক মনি ওজনের বিশাল এক খানা তরমুজ কিনে বাসায় ফেরত এলাম। বাসায় এসে দেখি দুই দিন আগেও পর্বত প্রমান এক তরমুজ কিনে এনেছিলাম। কেটে ফ্রীজ ভরে রেখেছি। সেখানে নতুন তরমুজের জন্য রিয়েল এস্টেটের অভাব। তারমানে গরমে শীঘ্রই নবাগত তরমুজখানি নষ্ট হবে। কি অপচয়!

নিজের উপর খুব বিরক্তি হল। এমন হলে চলে? ভুলে ভরা আমার ভুলো মন খুব জ্বালাচ্ছে। জিনিশটা ইচ্ছাকৃত নয়। মাথার ভেতর মগজের জটিল চিপাচাপায় কোথাও কিছুর ঘাটতি আছে। ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। ডাক্তার এক গাদা ঔষধ লিখে দিল। সে ঔষধ খেলে শুধু ঘুম আসে। কাজের কাজ কিচ্ছু হয় না। মাঝখান থেকে ব্রেইন আরো ডাল হয়ে গেল। মশুর কিংবা মুগ ডাল নয়। আমার ব্রেইন ভোঁতা হয়ে গেছে। ঔষধ খেতেও এখন আর মনে থাকে না।

মনে রাখতে পারা যে খুব কঠিন একটা কাজ এক মাত্র ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। সৃষ্টিকর্তা অনেককে ফটোগ্রাফিক মেমোরি দিয়ে পাঠান। এরা যা দেখে খুঁটি নাটি তাই মনে রাখতে পারে। আমার অত ক্ষমতার দরকার নেই। দৈনিক কাজ চালিয়ে নেবার মতন মনে রাখার ক্ষমতাও যদি আমার থাকত তাহলেও কিন্তু হত। আমাকে প্রায় সবকিছু লিখে রাখতে হয়। সারাদিন কি কি করতে হবে সেটা আমাকে ক্রমাগত মনে মনে আওড়াতে হয়। অনেক কষ্টসাধ্য একটি কাজ। অন্য সবাই যেখানে পানির মত সব কিছু মনে রাখতে পারছে সেখানে সামান্য জিনিশ মনে রাখতেও আমার জান যায় যায় অবস্থা। দিনের শেষে যখন বাসায় আসি তখন মাথা ব্যাথায় টন টন করে। ব্রেইন হাত পা এলিয়ে দিয়ে মাথা নামক খাঁচার ভেতর মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। বেচারার জন্য আমার মায়া হয়।

যাহোক এমন সময় ফোন বাজল। কলার আইডি দেখে মনে হলে বাংলাদেশ থেকে কল এসেছে। ফোনের সবুজ কল রিসিভ বাটন খানা চেপে বললাম,

হ্যালো।

ওপাশ থেকে সামিয়া চিৎকার করে বলল,

তুমি কি মানুষ না অন্য কিছু?

আমি থতমত খেয়ে বললাম,

আয়নায় দেখলেতো অন্য সবার মতই লাগে আমাকে। মানুষইতো মনে হয়।

সামিয়া এবার আগের থেকে গলার ভলিউম আরো তিন দাগ উপরে তুলে বলল,

খবরদার আমার সাথে ইয়ার্কি মারবা না। তোমাকে আর তিন মাস সময় দিলাম। এর মধ্যে আমাদের নিয়া যাবা। এখন এপ্রিল। জুলাই মাসের মধ্যে যদি নিতে না পারছ খোদার কসম তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেব। ছয় বছর হয়ে গেছে এখনো নিতে পার নাই। তোমার আশায় বসে থেকে থেকে বুড়ি হব এখন আর সেই যুগ নাই।

সামিয়ার কথা শুনে আমার মনে পড়ল ইমিগ্রেশনে ট্যাক্সের কাগজ পত্র পাঠানোর কথা ছিল গত মাসে। পাঠানো হয়নি। ভুলে গেছি। আমি শান্ত্বনা স্বরে বললাম,

কাগজ পত্র সবতো ইমিগ্রেশনে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন ওরা কেন দেরি করছে সেটা ওরাই ভাল জানে। আমি কাল ফোন দেব ওদের। তুমি শান্ত হউ লক্ষ্মীটি।

সামিয়া তীক্ষ্ণ গলায় বলল, তোমার লক্ষ্মী পক্ষীর খেতা পুড়ি। তিন মাস। ব্যাস। এর মধ্যে পারলে নিবা আর নয়তো গুড বাই।

সামিয়ার পাশেই বোধ হয় সেঁজুতি দাঁড়িয়ে ছিল। আমার এক মাত্র সন্তান। মাত্র তিনে পড়েছে। টুক টুক করে সুন্দর করে কথা বলে। আমাকে নাম ধরে ডাকে। টেলিফোনের ওপাশ থেকে তার গলা শোনা গেল,

আম্মু সাহেদ কে দাও। আমি সাহেদের সাথে কথা বলব।

সামিয়া ঠাশ করে সেঁজুতির গালে চড় বসিয়ে দিল। গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উঠল মেয়েটা। আমার বুক ফেটে হা হা করে উঠল। আমি ব্যাকুল হয়ে বললাম,

মেয়েটাকে ওভাবে মার কেন?

আমার মুখের উপর ফোন রেখে দিল সামিয়া। সামিয়ার সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল ছয় বছর আগে। আমি আমেরিকায় থাকি। এত দিন হয়ে গেল এখনো ওকে নিয়ে আসতে পারিনি বলে বাপের বাড়ি থেকে অনেক ধরনের কথা শুনতে হয় বেচারাকে। সামিয়া অল্পতেই অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করে। বাবার এক মাত্র মেয়ে হবার সুবাদে সারা জীবন সব কিছু চাওয়ার আগেই পেয়ে এসেছে। সামান্য কিছু এদিক ওদিক হলে তার মাথা ওলোট পালট হয়ে যায়। চেচিয়ে ধরনী মাথায় তুলে ফেলে। যাহোক, কেন যে আমার মাথাটা এমন হল? সব কিছু করতেই অনেক সময় লেগে যায়। নাহ স্পন্সরশীপের কাগজ গুলো রেডি করে এখুনি খামে ভরে রেখে দেব। খাম খুঁজতে গিয়ে মনে পড়ল বাসায় খাম নেই। বাজারের লিস্টটাতে খামের কথা লেখা ছিল। খাম ফুড়িয়ে গেছে।

আমার অফিস ৮ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত। আমি আধা ঘন্টা আগেই অফিস চলে আসি। আফিস আসতেই বস আমাকে ডাকলেন। বসের অফিসে গিয়ে দেখলাম বসের চেহারা কালো। থম মেরে আছেন। আমি রুমে ঢুকতেই পেছনের দরজা ভিড়িয়ে দিতে বললেন। আমার বুকটা কি কারণে যেন ধক পক করতে লাগল।

সাহেড।

ইয়েস স্যার?

কালকে যে ম্যাটেরিয়ালটা আর্জেন্ট ইন প্রসেস পিওরিটি টেস্টের জন্য এসেছিল মনে আছে?

জ্বি স্যার।

তুমি সেখানে ক্যালকুলেশন ভুল করেছ যার জন্য ম্যাটেরিয়াল পাস করেছে। আজকে তোমার ক্যালকুলেশন চেক করে সেটা ধরা পরেছে। কিন্তু ম্যাটেরিয়াল অলরেডি নেক্সট স্টেপ ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য চলে গেছে।

আমি মাথা চুল্কাতে চুল্কাতে বললাম,

তাই নাকি স্যার? আই অ্যাম রিয়েলি সরি। ভুল হয়েছে বুঝতে পারিনি।

বস এবার একটা কাগজ আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে গম্ভীর গলায় বললেন,

এটার কথা মনে আছে?

কাগজটা টেনে নিয়ে দেখলাম। এমপ্লয়ি কোচিং ফর্ম। নীচে আমার সাইন করা আছে। আমার মনে পড়ল। সেখানে যা লেখা আছে তার সারমর্ম হল- আমার রেগুলারলি প্রচুর ভুল হয়। আমি এ ব্যাপারে আরো মনযোগী হব। সমস্ত কাজ/রিপোর্ট জমা দেবার আগে ডাবল চেক করে দেখব। কাগজটা দেখে বললাম,

জ্বি স্যার মনে আছে।

বস এবার মুখ চিমশা করে বললেন, গতকাল যে ভুল করেছ সে জন্য আমাদের প্রায় পয়ত্রিশ হাজার ডলারের মতন গচ্চা যাবে।

আমি আঁতকে উঠে বললাম, মাই গড!

বস বললেন, তোমার ব্যাপারটা নিয়ে উপরের লেভেলে অনেক কথা হয়েছে। আগেও তোমার জন্য একবার প্রডাক্ট রিকল হয়েছিল। সাহেদ, আই অ্যাম সরি...আই হ্যাভ টু লেট ইউ গো।

বলে আরেক খানা কাগজ বাড়িয়ে দিলেন বস। দেখলাম বরখাস্ত পত্র। এক দৃষ্টিতে সেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে কাগজ সাইন করে মাথা নীচু করে বের হয়ে এলাম।

হ্যালো? ওপাশ থেকে সামিয়ার গলা শোনা গেল।

জিজ্ঞেশ করলাম, সামিয়া... কি কর?

আমার গলা শোনা মাত্রই সামিয়া খেঁকিয়ে উঠল,

ঘোড়ার ডিম পারি। তোমার কাগজের কত দূর? আর কিন্তু দেড় মাস।

বললাম, কাগজ হয়ে গেছে। ইমিগ্রেশনে সব পাঠিয়ে দিয়েছি। ওরা কাগজ রিভিও করে জানাবে।

সামিয়া চিবিয়া চিবিয়ে বলল, যখন জানাবে তখন আমাকে ফোন দিবা। আজাইরা আমাকে কল দিয়ে এত পিরীতি না দেখালেও চলবে।

ফোন কেটে দিল সামিয়া।

দরজায় নক করছিল কেউ। খুলতেই দেখলাম হিমালয় পর্বতসম এক পুলিশ দাঁড়িয়ে আছেন। আমাকে দেখে জিজ্ঞেশ করলেন,

মিস্টার সাহেড হাসান?

মাথা দুলিয়ে সায় দিলাম, ইয়া। দিস ইজ হিম?

পুলিশ সাহেব একটা এনভেলপ বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, আমি সিটি শেরিফ। ভাড়া না দেয়ার জন্য তোমাকে এভিকশন নোটিশ দেয়া হল। বাসা ছেড়ে দাও কিংবা কেন তুমি বাসা ছাড়বে না সেটা জানানোর জন্য এ মাসের ষোল তারিখে কোর্টে হাজির হউ।

আমি হাত বাড়িয়ে এনভেলপটা নিলাম।

ফোন বেজেই চলছে। ধরতে ইচ্ছা করছে না। আমি জানি ফোন আমার জন্য কোন সুখবর বয়ে আনবে না। কতদিন ফোন করে কেউ ভাল কিছু শোনায়নি? হিসাব নেই। বাজুক। ফোন চিৎকার করে কেঁদে চলল। শেষ পর্যন্ত রিং এর শব্দে থাকতে না পেরে উঠে এসে ফোনের রিংগার অফ করতে গিয়ে দেখলাম সামিয়া ফোন করছে।

হ্যালো...।

তুমি কি মানুষের জাত? সামিয়া চিৎকার করে ঊঠল।

যথা সম্ভব শান্ত গলায় বললাম, কি হয়েছে?

সামিয়া বলল, তোমার কাছে কি প্রতি মাসে আমাকে ভিক্ষা চাইতে হবে? মাসের মাঝামাঝি এখনো টাকা পাঠাও নাই। সেঁজুতির ঔষধ কেনারও টাকা নেই। টাকার জন্য কি এখন আমাকে তোমার পা ধরতে হবে?

আমি বললাম, সরি, কাজে অনেক চাপ যাচ্ছে। আমি আজকেই টাকা পাঠিয়ে দিব।

সামিয়া ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলল, খোদার কসম সামনের মাসের মধ্যে আমাদের নিয়ে যাবার ব্যাপারে যদি কিছু না কর আমি আর তোমার সাথে থাকব না। বাবা আমার জন্য ছেলে দেখতেছে।

আমি কি বলব বুঝে পেলাম না। সামিয়া ফোন কেটে দিল।

আচ্ছা আমার কি স্মৃতি ভ্রম ঘটছে? কেন আমি মনে রাখতে পারছি না? সব সময় মনে হচ্ছে চীনের মহা প্রাচীরের মত বিশাল একটা ইটের টুকরো কেউ আমার মাথার ভেতর সেঁধিয়ে দিয়েছে। যে প্রাচীর ডিঙ্গে ওই পাশে যাওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। সামান্য ডিসিশন মেকিং এও আমার সমস্যা হচ্ছে। যেমন পানির পিপাশায় গলা শুকিয়ে চৌচির। গত এক ঘন্টা ধরে ভাবছি পানি খাওয়া উচিত। কিন্তু উঠে যেয়ে পানি খাওয়ার জন্য যে মানসিক বল থাকা উচিত সেটা আমার নেই। আমি এক জায়গায় স্থির বসে আছি। আর মনে মনে হতাশ হচ্ছি যে এখনো পানি খাওয়া হল না।

কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেল সামিয়াকে ফোন দেইনি। ফোন দেয়া উচিত। যদিও তার সাথে এখন কথা বলার চেষ্টা করাটা বোকামি। কিছুই শুনতে চায় না সে। যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে আমি আমার কাছে নিয়ে না আসব ততক্ষণ সে নাকি আমার সাথে আমার সাথে বাজে আচরণ করবে। আমি তাকে বাধ্য করেছি এই পর্যায়ে আনতে। সামিয়ার সাথে যতটা না কথা বলা প্রয়োজন তার থেকে বেশি কথা বলা দরকার সেঁজুতির সাথে। বেচারা প্রায়ই বাবার সাথে কথা বলতে চায়, কিন্তু সামিয়া দেয় না। আমি ফোন দিলাম। কিন্তু ফোনের অপর প্রান্ত থেকে রেকর্ডেড ভয়েস শোনা গেল। আমার ফোন সার্ভিস ক্যান্সেল করা হয়েছে। আমার মনে পড়ল গত দুই মাস আমি ফোন বিল দেইনি।

সিটি শেল্টার। এক সপ্তাহ ধরে এখানেই আছি। সুপার স্টোরের পার্কিং লটে একদিন উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় বসে থাকার পর সিকিউরিটির নজরে পরি আমি। আমাকে পাগলের মত এদিক ওদিক করতে দেখে সিকিউরিটি গার্ড জিজ্ঞেশ করল,
মে আই হেল্প ইউ?

বললাম, আমার গাড়ি খুঁজে পাচ্ছি না।

গার্ড জিজ্ঞেশ করল, কোথায় পার্ক করেছ?

বললাম, সেটা মনে করতে পারলেতো আমিই খুঁজে নিতাম গাড়ি।

গাড়ি মেক/মডেল কি?

বললাম, মনে নেই।

মনে নেই মানে? আর ইউ সিরিয়াস?

বললাম, সিরিয়াসলি মনে নেই।

গার্ড বলল, গাড়ির কালার কি?

বললাম, তাও মনে নেই। আসলেই মনে নেই।

পুলিশ ডাকা হল। পুলিশ যা জিজ্ঞেশ করে কিছুই মনে করতে পারি না। আমার পকেট হাতরে আইডি কার্ড বের করে আমার নাম ঠিকানা বের করা হল। আমাকে নিয়ে আসা হল ডাক্তারের কাছে। ধারণা করা হচ্ছে আমার সাময়িক স্মৃতি বিভ্রম ঘটেছে। আরো কিছু টেস্ট করতে হবে। তারপর শিওর হওয়া যাবে আসল সমস্যাটা কি। আপাতত আমার স্থান হয়েছে সিটি পাবলিক শেল্টারে।

ছোট খাট যে রুমটাতে আছি সেখানে টোটাল চারজন থাকে। চারটা বেড। রুমের দুই সাইডে দোতলা করে দুইটা বেড। মুরগির খোপের মতন ছোট একটা জানালা। সন্ধ্যাবেলায় বাইরে থেকে দ্রিম দ্রিম করে শব্দ আসছিল। জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতে দেখলাম বেশ আতশবাজী হচ্ছে। রুম মেট এক জনকে জিজ্ঞেশ করলাম, এত ফায়ার ওয়ার্কস হচ্ছে ব্যাপার কি?

লোকটা এক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল, আজকে ফোর্থ অফ জুলাই।

ভ্যাব্দার মতন জিজ্ঞেশ করলাম, মানে?

আজকে আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস।

ওহ আচ্ছা।

আমি জানালা দিয়ে আতশবাজী দেখতে লাগলাম। মাথার ভেতর কেন যেন ফোর্থ অফ জুলাই কথাটা খুব ঘুর পাক খেতে লাগল।

ফোর্থ অফ জুলাই...ফোর্থ অফ জুলাই...ফোর্থ অফ জুলাই......।

আচ্ছা জুলাই মাসে কি কিছু একটা হবার কিংবা করার কথা ছিল আমার? মনে করতে পারলাম না। আমি আবার আতশবাজী দেখায় মন দিলাম।


মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

'শান্ত্বনা স্বরে' এর বদলে কথাটা মনে হয় 'সান্ত্বনার সুরে' হবে?

গল্প পড়ে ফেললাম এক টানে। ভালই লেগেছে। চলুক

গল্পটা যেন এক মনভুলো লোকের ডায়রির পাতা থেকে উঠে এসেছে, যার পরিস্থিতি দিন দিন শুধু খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই দিক থেকে চিন্তা করলে আতশবাজির সময়টুকু আলাদা একটা অনুচ্ছেদে আসলে ভাল হত (৮?)। কারণ ঐ সময়টায় এতটাই খারাপ অবস্থা যে এক সপ্তাহ আগে পুলিশ কিভাবে পাকড়াও করেছে সেটাও মনে থাকার কথা না। হাসি আমি হলে এভাবে লিখতাম, তাই একটু পণ্ডিতি করলাম আর কি। খাইছে

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

Sohel Lehos এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মরুদ্যান! আমি বানানে কাঁচা। "শান্ত্বনা" নাকি "সান্ত্বনা" এটা নিয়ে অনেক দ্বিধায় ছিলাম। কোনটা সঠিক জানার জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছিলাম। একজন বলল "শান্ত্বনা" ঠিক বানান। তাই ওভাবে লিখেছি। যাহোক কথাটা 'সান্ত্বনার সুরে' বা 'শান্ত্বনার সুরে' হবে।

গল্পটা লেখা শুরু করেছিলাম একজন 'আলজেমার্স' রোগে আক্রান্ত মানুষের কথা মাথায় রেখে। সচরাচর বয়স্কদের মাঝে এই রোগ দেখা যায়। তবে রেয়ার কেজে অল্প বয়স্কদেরও হতে পারে। তখন তাকে 'আর্লি অনসেট' বলে। গল্পের নাম প্রথমে 'আর্লি অনসেট' রেখেছিলাম। পরে ভাবলাম অনেকেই হয়তো বুঝবে না। তাই বদলে দিয়েছি। এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি সব কিছু ভুলে যেতে থাকে। এর কোন চিকিৎসা নেই। শেষ পরিণতি মৃত্যু।

আমারও মনে হচ্ছে আতশবাজির সময়টুকু আলাদা অনুচ্ছেদে দিলেই ভাল হত। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই!

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

হায় খোদা! ফেসবুকে বানান?? খাইছে অভ্র স্পেল চেকার নাই? না থাকলে নামায় নেন।

এই রোগের কথা জানি আমি। ভালভাবেই জানি। মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ফিনিশিং জুত লাগলো না। শেষে পাঞ্চ থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই, তবে ফিনিশ হতে হবে। ছোট গল্পের ফিনিশিং উপন্যাসের মতো নয়, তবে সেটারও সাধারণগ্রাহ্য কিছু নিয়ম আছে। এখানে শাহেদের সম্ভাব্য পরিণতির দিকে ইঙ্গিত নেই, আবার কোন ট্যুইস্টও নেই। আপনি ভেবে দেখতে পারেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মরুদ্যান এর ছবি

শাহেদ একসময় পুরোপুরি সবকিছু ভুলে যাবে, এটা কি একটা সম্ভাব্য পরিণতি হতে পারেনা? হয়তো অন্যকিছুও হতে পারে, কিন্তু লেখক তো মনে হয় এরকমটাই বুঝাতে চেয়েছেন। আপনার মতামত টা যদি শেয়ার করতেন পাণ্ডবদা হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

Sohel Lehos এর ছবি

মরুদ্যান ভাই ঠিক ধরেছেন, শাহেদ এক সময় সব কিছু ভুলে যাবে এটাই গল্পের পরিণতি। ধন্যবাদ!

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

দীনহিন এর ছবি

শাহেদ একসময় পুরোপুরি সবকিছু ভুলে যাবে, এটা কি একটা সম্ভাব্য পরিণতি হতে পারেনা? হয়তো অন্যকিছুও হতে পারে, কিন্তু লেখক তো মনে হয় এরকমটাই বুঝাতে চেয়েছেন।

লেখক কি বুঝাতে চেয়েছেন, তা দিবালোকের মত পরিষ্কার! কিন্তু খেয়াল করুন, পান্ডবদার নীচের লাইনটিঃ

শেষে পাঞ্চ থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই, তবে ফিনিশ হতে হবে।

ট্যুইস্ট হতে পারে, বা, ইঙ্গিত থাকতে পারে সম্ভাব্য পরিণতির--- কিন্তু যেইভাবেই হোক গল্পটির একটি সমাপ্তি থাকবে, 'শেষ হইয়াও হইল না শেষ' শর্তটিকে সংরক্ষন করেই। সোহেল লেহস ভাইয়ের গল্পটির উপসংহার জোরাল নয়, ইঙ্গিতময়তা শক্তিশালী নয়।

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

মরুদ্যান এর ছবি

ঠিক একমত হতে পারলাম না। সব গল্পেই শেষ হইয়াও হইল না টাইপ শেষ হওয়াটা মনে হয় জরুরী না।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মরুদ্যান, যে কোন একটা পরিণতির (১. শাহেদ একসময় সব ভুলে যাবে ২. শাহেদ ভালো হয়ে উঠবে ৩. একেবারে অন্য কিছু) দিকে ক্রমশঃ ঠেলে দেবার ব্যাপারটা আরেকটু স্পষ্ট হলে আমি এই প্রসঙ্গটা তুলতাম না। এবং সেক্ষেত্রে আপনাকেও 'সম্ভাব্য পরিণতি' শব্দবন্ধটা ব্যবহার করতে হতো না। একটু বিভ্রান্তি থেকে গেছে গোটা গল্পটা বলার স্টাইলে। এটা যদি উত্তম পুরুষে না বলে তৃতীয় পুরুষে বলা হতো তাহলে মনে হয় এই বিভ্রান্তিটা থাকতো না। উত্তম পুরুষে বলায় সব সময় এই আশঙ্কাটা থেকে গেছে যে, এটা সুস্থ শাহেদের স্মৃতিচারণ।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মরুদ্যান এর ছবি

এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন। গল্পটা কখন বলা হয়েছে সেটাও এখানে একটা ফ্যাক্টর। তৃতীয় পুরুষে বললে কোন তর্কেরই অবকাশ থাকতনা। হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

Sohel Lehos এর ছবি

ষষ্ঠ পান্ডব,

এটা যদি উত্তম পুরুষে না বলে তৃতীয় পুরুষে বলা হতো তাহলে মনে হয় এই বিভ্রান্তিটা থাকতো না। উত্তম পুরুষে বলায় সব সময় এই আশঙ্কাটা থেকে গেছে যে, এটা সুস্থ শাহেদের স্মৃতিচারণ।

আপনার এই কথার সাথে আমি একমত। মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

দীনহিন এর ছবি

খুব উপভোগ করেছি, সোহেল লেহস ভাই। খুব।

আপনি নিজে হাসেননি, কিন্তু আমাদের হাসিয়েছেন অনেক, এই গল্পটিতে। হাসি

এই গুণটি ছিল মুজতবা আলীর; এমনকি আমাদের সবার প্রিয় হুমায়ুন আহমেদের মূল রহস্য ছিল, কাহিনির মধ্যে, সংলাপে সূক্ষ্ম সব রসিকতা ঢুকিয়ে দেয়া।

যদিও কিছু বানান বিভ্রাট রয়ে গেছে, তা উল্লেখ্য নয়। আপনি আগের চেয়ে অনেক গুছিয়ে এনেছেন, বিশেষ করে, বাক্য বিন্যাসে।

লিখুন, সোহেল লেহস, ভাই। আপনার শক্তিগুলিকে কাজে লাগান। হাসি

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

Sohel Lehos এর ছবি

ধন্যবাদ দীনহিন ভাই! গল্প উপভোগ করেছেন জেনে ভাল লাগল। আমার গল্প লিখতে ভাল লাগে। তাই লেগে আছি। আশা রাখি লিখতে লিখতে হাত আরো ভাল হবে। আপনাদের উৎসাহ অনেক কাজে আসবে। হাসি

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

সত্যপীর এর ছবি

বানান ভুলের জন্য সাধারনত: আপনার লেখা পড়িনা, আজকে কি ভেবে পড়ে ফেললাম. ভারী চমৎকার গল্প. এন্ডিং ও ঠিক আছে, একজন আলঝাইমার্স রোগীর ধীরে ধীরে তলিয়ে যাবার গল্প.

আপনি ovidhan.Org বুকমার্ক করে রাখেন. আপনার জন্য কাজের ওয়েব সাইট.

..................................................................
#Banshibir.

Sohel Lehos এর ছবি

ধন্যবাদ সত্যপীর! আমার প্রচুর বানান ভুল হয়। আস্তে আস্তে ভুল কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ওয়েব সাইটের ঠিকানা দিয়ে অনেক উপকার করলেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

গল্পের শেষে মনে হচ্ছিলো সাহেদ হয়তো কিছু একটা মনে করতে পারছে, হয়তো তার রোগ কেটে যাবে! আদতে ব্যাপারটাতো তা নাওয় তাইনা? হাসি

গল্প ভালো লেগেছে, আজকাল সবকিছু এতো ভুলে যাই দেখে গুগল কিপ ব্যাবহার করি ফোনে, মাঝে মাঝে যা হয় তা হলো কিপে লিখেছিলাম শুধু সেটা ভুলে যাই তাই নয়, কিপে কি কেন লিখেছিলাম সেটাই মনে করতে পারিনা, মনে হয় বেলপাতা ঘিয়ে ভেজে দিনে দুইবার খাওয়ার সময় এসে গেছে! :/

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বেলপাতা ভাজা খেয়ে লাভ নেই। এরচেয়ে একজন ইশ্‌মার্ট সেক্রেটারি রাখো।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মরুদ্যান এর ছবি

আমি তো জানতাম বেলশুঁঠ পানিতে ভিজিয়ে সেটা খেতে হয় খালি পেটে। খাইছে

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

Sohel Lehos এর ছবি

কোন কবরেজ যেন একবার ভুলে যাওয়ার মহা দাওয়াই দিয়েছিল- ছাগলের লাদি নিয়ম করে দুই বেলা চিরতার শরবত দিয়ে খাবেন। ভুলে যাওয়া রোগ বাপ বাপ করে পালাবে দেঁতো হাসি

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার আজকাল কিছু পড়তে গেলে কনসেন্ট্রশন থাকেনা, কয়েক লাইন পইড়া দেখি কি পড়লাম তার কিছুই জানিনা। এইটা কী কোনো রোগ? যেমন ধরেন আপনার গল্পটা পড়তে গিয়ে দুইটা প্যারা তিনবার পড়া লাগছে। কিছুক্ষন পড়েই দেখি কি পড়লাম মনে নাই ইয়ে, মানে... । আমি কী তাইলে সিট বুকিং দিমু আগে থাইকাই? ওঁয়া ওঁয়া

গল্প ভালোই ভালো লেগছে, ফিনিশিং নিয়াও আপত্তির দেখিনা তেমন কিছু। ইংগিতটা আমার কাছে স্পষ্টই ঠেকেছে।

---------------------
আশফাক(অধম)

Sohel Lehos এর ছবি

আশফাক(অধম), মনযোগ একেবারেই না থাকা/ ক্রমাগত ভুলে যাওয়া অবশ্যই এক ধরণের রোগ। এটা যদি আপনার দৈনিন্দিন জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটাতে থাকে তাহলে অতি শীঘ্রই ডাক্তার দেখান। ভাল থাকুন।

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

এক লহমা এর ছবি

গল্প বলার কাজটা সুচারু ভাবে করা হয়েছে।

বিষয়গত দিক থেকে দু-একটি কথা বলতে ইচ্ছে করছে। আলঝাইমারস (অভিধান সংক্রান্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইট-এ শব্দটি শুনে নিলে যে রূপগুলি পেতে পারেন, এইটিই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তার কাছাকাছি উচ্চারণ-সম্ভব বানান) অসুখটির যে দ্রুত অগ্রসরণ (progression) আপনি দেখিয়েছেন, বাস্তবে সেটি অনেক বেশী সময় নেয়। নানা কিছু ভুলতে থাকার ব্যাপারগুলি জুড়ে জুড়ে সমগ্রতায় তাদেরকে একটি অসুস্থতা হিসেবে চিহ্নিত করতে পারার সময়টি অনেকটাই লম্বা। অর্থাৎ একের পর এক নজরে পড়ার মত ভুল করছে এবং সেগুলি এত বেশী সংখ্যায় ঘটছে যে চার পাশের নানা ভুলোমন মানুষদের আচরণের থেকে এই ভুলগুলি সম্মিলিতাবে আলাদা রকম বলে মনে হচ্ছে, এই অবস্থায় পৌঁছানোর আগে অনেকদিন কেটে যায়। সাধারণতঃ ষাট বছরের কোঠায় পৌঁছানো মানুষদের ক্ষেত্রেই অসুখটি নজরে পড়তে শুরু করে। (তা'বলে চল্লিশের বয়সী মানুষের কি আর এই রোগ একেবারেই হতে পারে না? শতকরার হিসেবে খুব কম, তবে পারে নিশ্চয়ই। আর তাকে নিয়ে গল্প ও লিখে ফেলা যেতে পারে। একটি মনোগ্রাহী গল্প লেখার জন্য লেখক এইটুকু স্বাধীনতা ত নিতেই পারেন। হাসি )

অসুখ হয়েছে এইটি ধরা পড়বার পরের মানুষটিকে নিয়ে গল্প, তাকে নিয়ে তার পরিজনদের একই সাথে তার সেবা করা, যত্ন নেওয়া, সেই সাথে আতঙ্কে সিঁটিয়ে যেতে থাকা যে সামনের দিনগুলোতে, কাল ভোরে ঘুম থেকে উঠে, বা আজ বিকেলে, এমনকি আজই যে কোন মুহূর্তর পরের মুহূর্তটিতেই সে আরো কি কি ভুলে যাবে, তখন কি হবে - ভয়ানক, বড় ভয়ানক গল্প সে। লিখবেন না কি সে গল্প, সোহেল? আপনার যে সাধ্য আছে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। এবারে ইচ্ছে আর, হয়ত একটু খুঁটিয়ে খানিকটা পড়াশোনা। হয়ে যাবে? কি মনে হয়? চিন্তিত হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

Sohel Lehos এর ছবি

এক লহমা,

মতামতের জন্য ধন্যবাদ! মরুদ্যান ভাইয়ের একদম শুরুর মন্তব্যের জবাবে বলেছি এই রোগ সচরাচর বয়স্কদের মাঝেই দেখা যায়, তবে অল্প ক্ষেত্রে কম বয়সীদেরও তা হতে পারে। আমার উদ্দেশ্য ছিল গল্পে সেটা তুলে ধরা। ছোট আকারের গল্পে অনেক কিছু দ্রুত ঘটাতে হয়। এত ব্যাপক ভাবে ভুলে যাওয়াটা তাই দ্রুত দেখাতে হয়েছে।

ভাই, আমার ধৈর্য শক্তি খুব কম। 'আলঝাইমারস' অবশই একটা ভাল সাবজেক্ট লেখার জন্য, কিন্তু এই ব্যাপারে পড়ালেখা এবং খুঁটি নাটি বৃত্তান্ত তুলে ধরার জন্য যে ধৈর্যের প্রয়োজন সেটা আমার মধ্যে নেই বললেই চলে। তবে আপনি যেভাবে উৎসাহ দিলেন মনে হচ্ছে একটা চেষ্টা নিয়েও ফেলতে পারি। দেঁতো হাসি

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

এক লহমা এর ছবি

সাগ্রহ অপেক্ষায় থাকলাম। চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তানিম এহসান এর ছবি

লেখা চলুক!

Sohel Lehos এর ছবি

ধন্যবাদ!

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো হয়েছে আপনার গল্পটি।

মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী

Sohel Lehos এর ছবি

ধন্যবাদ!

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্প ভাল লেগেছে।
গল্পটা নিছক পাঠক হিসেবে পড়েছি, সমালোচকের মতো নয়, তাই পুরো মজাটাই পেয়েছি। আরো ভাল লেগেছে আপনার বিনয়ী প্রত্যুত্তর।আর কি লিখব,
''কবি, তব মনোভূমি
রামের জনমস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো।"

রাজর্ষি

Sohel Lehos এর ছবি

গল্প ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগল। ভাল থাকুন। ধন্যবাদ!

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে চলুক । আপনার লেখায় কিছুটা হাস্যরস থাকে যা আমার ভালো লাগে। আরও অনেক মজার মজার লেখা লিখুন এই কামনা করি।

ফাহিমা দিলশাদ

Sohel Lehos এর ছবি

পাঠকের কাছে লেখা ভাল লাগলে লেখক হিসাবে আমারও ভাল লাগে। ধন্যবাদ ফাহিমা দিলশাদ!

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

আয়নামতি এর ছবি

গল্প ভালো লাগলো সোহেলভাই। হাসি
আরো ভালো লাগবে বানানের বিষয়টা সিরিয়াসলি নিলে দেঁতো হাসি

Sohel Lehos এর ছবি

বানানে আমি খুবি দুর্বল। যখন লেখতে বসি তখন অনেক যন্ত্রনায় থাকি। প্রতিনিয়ত মনে হয় বানান ঠিক আছেতো? বানান ভুল জোকের মতন আমার পিছু লেগে আছে মন খারাপ কেউ যদি প্রুফ রিড করে দেয় তাহলে আমার বিরাট উপকার হয়। কিন্তু ওরকম কাওকে খুঁজে পাচ্ছিনা ওঁয়া ওঁয়া

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

মাসুদ সজীব এর ছবি

আপনার সব গল্পই আমি ভালু পাই চোখ টিপি । কোনদিন যদি বই আকার প্রকাশ করেন এগুলো তবে গল্পের নাম নিয়ে আরেকটু ভাবতে বলব। লিখতে থাকুন, আপনার গল্পের অপেক্ষায় থাকবো, যেমন সব সময়-ই থাকি হাসি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

Sohel Lehos এর ছবি

মাসুদ ভাই (বাই দ্যা ওয়ে আমার বড় ভাইয়ে নাম মাসুদ), আমি জানতাম কেউ না কেউ গল্পের নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। আমার গল্পের নামগুলো যাচ্ছেতাই হয় কারণ শুধু দিতে হয় বলে দেই দেখে। গল্পের নাম একেবারেই না দিতে হলে আমি খুব খুশি হতাম। কোন কিছু নিয়ে বেশিক্ষণ (কিংবা গভীর ভাবে) চিন্তা করতে আমি অক্ষম। যদিও আমার আলঝাইমারস নাই কিন্তু অন্য সমস্যা আছে।

কি যে বলেন ভাই- এসব গল্প কি বই আকারে প্রকাশের যোগ্য? যেদিন থেকে বই প্রকাশ করার মতন গল্প লেখার যোগ্যতা হবে সেদিন থেকে গল্পের নামও অবশ্যই অন্যরকম হবে হাসি

আমার গল্প ভাল লাগে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ!

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

মাসুদ সজীব এর ছবি

আপনার গল্পের চেয়ে কত মানহীন গল্প বই আকারে বাজারে আসে খাইছে

আপনার স্বপ্নে প্রাপ্ত গল্পটি আমারে এতটা ভালোলেগেছে একবার ভেবেছিলাম আপনাকে জিজ্ঞেস করে সামনের বই মেলায় একটি গল্পসংকলনে দিয়ে দিবো। যোগাযোগ হয়নি বলে আর হয়ে ওঠেনি। সেই গল্পের নামকরণ দারুণ স্বার্থক ছিলো। শুভকামনা হাসি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

Sohel Lehos এর ছবি

'স্বপ্নে প্রাপ্ত' আমার মতে চটপটি টাইপের লেখা ছিল। খেতে মজাই লাগে, কিন্তু বছর দুয়েক পরে কেউ বলবে না যে ইশ দু'বছর আগে যা এক খান চটপটি খেয়েছিলাম না তার সোয়াদ এখনো জ্বিবে লেগে আছে। এমন লেখা লিখতে চাই যা পাঠক দীর্ঘ দিন মনে রাখবে। গল্পটা আপনার এত ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। হাসি

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

গল্পটা শেষ করে মাথাটা কেমন আউলা লাগতেছে। সবকিছু ভুলে আবার প্রথম থেকে শুরু করতে ইচ্ছে করছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

Sohel Lehos এর ছবি

ভাই, সব কিছু ভুলে আবার যদি প্রথম থেকে শুরু করা যেত তাহলে অনেক ভাল হত। জীবনে যে ভুল গুলো করেছি সেগুল হয়ত আর করতাম না খাইছে বাংলায় লেখো বাপু!

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

Sohel Lehos এর ছবি

উপরের কমেন্টে রবীন্দ্রনাথ সাহেব আবার কোত্থেকে হাজির হলেন! চিন্তিত

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

লেখার শুরু থেকেই ভয় ভয় লাগছিল, আমি নিজেও অনেক কিছুই ভুলে যাই কিনা!! তাই গল্পটা কোথায় শেষ হবে এটা দেখার তাড়নায় পড়ে গেছি।

গল্প ভালো লেগেছে। তবে মনে হয় নাম পুরুষে লেখা হলে আরো ভালো হতো - আমারও মনে হচ্ছে যে রোগী সব ভুলে যায়, তার কাছ থেকে এরকম বর্ণনা আসে কীভাবে?

লেখা চালিয়ে যান ভাই।

____________________________

Sohel Lehos এর ছবি

বিজবিজ ভাই, গল্প ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ! উত্তম পুরুষে লিখে আরাম পাই বলে বেশির ভাগ গল্পই উত্তম পুরুষে লেখি। বাজে অভ্যাস বলতে পারেন। উপরে ষষ্ঠ পাণ্ডব এই প্রসঙ্গে বলেছেন। আমিও এই ব্যাপারে একমত। তারপরও ধরে নিন, গল্পের মূল চরিত্র যেহেতু উল্ল্যেখ করেছে সে ভুলে যায় এবং সেজন্য তাকে সব কিছু লিখে রাখতে হয় সেহেতু এসব তার লেখা নোট থেকে নেয়া খাইছে

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

গল্প পড়ে ভয় পেলাম। বেশ অনেকদিন থেকেই আমি সবকিছু খালি ভুলে যাই। লিস্টি লিখে ভুলে যাই, কোন কিছু কোথায় রেখেছি ভুলে যাই, ইদানীং আবিষ্কার করছি পুরনো স্মৃতিও অনেক কিছু ভুলে গেছি। নতুন ঘটনাও অল্প কয়েকদিনের মাঝে ভুলে যাই। ব্যাপারটা দৈনন্দিন জীবনেও ঝামেলা সৃষ্টি করছে। প্রাণপনে সব কিছু লিখে রাখার চেষ্টা করছি।
আমার মানসিক অসুখের ইতিহাস আছে, কাজেই ভুলে যাওয়ার অসুখের আশঙ্কা ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারছি না। মন খারাপ আলঝেইমার্স বিষয়ে ভালমত পড়াশোনা করতে হবে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মরুদ্যান এর ছবি

বল কি??? ডাক্তার দেখাও জলদি।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

Sohel Lehos এর ছবি

শিশিরকণা, আপনি একা নন। আরো অনেকেরেই এই সমস্যা আছে। আমি নিজেও একজন ভুক্তভোগী। আমার অবস্থা এক সময় খুবি খারাপ ছিল। কোন কিছুই ঠিক মত মনে রাখতে পারতাম না। চিন্তা শক্তিও অনেক দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। সামান্য কোন সিদ্ধান্ত নিতেও অসহায়ের মতন হাঁসফাঁশ করতাম। ভাল থাকার জন্য এখন নিয়ম করে অসুধ খেতে হয়। এবং সম্ভবত সারাজীবনই খেতে হবে মন খারাপ

আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। এসব জিনিশকে হেলা ফেলা করা উচিত নয়। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

ডিপ্রেশনের জন্য একসময় আমাকেও ওষূধ খেতে হয়েছে। কিন্তু এসব ওষুধ গর্ভধারণ ও মাতৃত্বকালীন সময়ে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে বলে ওষুধ ছাড়াই চলার চেষ্টা করছি গত ৩ বছর ধরে। অন্যভাবে এটা মোকাবেলা করার উপায় দেখতে হচ্ছে। ওষুধ খেতে পারলে ব্যাপারটা সহজেই মোকাবেলা করা যায়। নিজের সুস্থতা আর সন্তানের ভালোমন্দ দুইটার মাঝে প্রায়োরিটি কল করতে হচ্ছে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

Sohel Lehos এর ছবি

আপনার ব্যাপারটা অন্যরকম বুঝতে পারছি। দোয়া রইল আপনি সুস্থ্য থাকুন। হাসি

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ইদানীং অনেক গল্প পড়ছি, বনফুল থেকে শুরু করে রাশান, সে কারণেই গল্প পড়তে ইচ্ছা হলো এটা হতে পারে, কারণ যতদূর মনে পড়ছে সচলায়তনের পাতা থেকে দীর্ঘদিন কোন গল্প পড়ে দেখি নাই! যাই হোক, আপনার গল্পটা একটানে পড়ে শেষ করলাম এবং ভালো লেগেছে। যদিও আমি নিজে পাণ্ডবদার লেখা গল্পের ভক্ত আর তার মতামত আমার নিজের লেখা গল্পে বেশ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি, পাঠক হিসেবে আমার কাছে পাণ্ডব'দার মতো আপনার গল্পের ফিনিশিং অত খারাপ লাগেনি। গল্পটা পড়ে খানিক মন খারাপ হলো।

আমার নিজের স্মৃতিশক্তি বেশ দুর্বল, কিন্তু তা প্রধাণত noun ও চেহারা সংক্রান্ত ব্যাপারে। আমি কারও বা কোন জিনিসের নাম মনে রাখতে পারি না, এবং এ কারণে আমাকে প্রায়ই বেশ ভালো রকমের ভুগতে হয়। ঘটনা মনে থাকলেও আমি ঘটনা সংক্রান্ত ব্যক্তি এমনকি যার সাথে কোন বিষয়ে আলাপ ও কথাবার্তা হয়েছে এমন জিনিসও মনে করতে পারি না। একবার-দুইবার আলাপের ভিত্তিতে কেউ পরিচিত ভঙ্গীতে এগিয়ে এসে কথা বলতে শুরু করলে আমি চরমভাবে অপ্রস্তুত হই, এবং যতক্ষণ না তার নাম পরিচয় কোনভাবে আবার জানছি খুব সতর্কভাবে কথা বলতে হয়। ব্যাপারটা অনেকের কাছেই হাস্যকর হলেও আমার জন্যে কষ্টকর কারণ ভুগতে আমাকেই হয়। তবে খেয়াল করে দেখেছি কোন বইয়ের বিষয়বস্তু আমাকে টানলে তার নাম ঠিকই মনে থাকে। তেমনি কোন মানুষের সাথে একান্তভাবে মনোযোগ দিয়ে অন্তত তিনবার ইন্ট্যার‍্যাকশন ঘটলে তার নাম-চেহারাও মোটামুটি মনে থাকে।

যাই হোক, আলঝেইমার্স শুধু বয়স্কদের রোগই নয়, কিন্তু রোগী ও তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্যে অসম্ভব কষ্টের কিছু। সম্প্রতি একজন সচলের সাথে আলাপকালে তিনি আমাকে বলেছেন তার বাবা তাকে কিছুদিন আগে চিনতে পারেননি। ব্যাপারটা কতটা কষ্টের সন্তানের জন্যে তা উপলব্ধি করতে চেষ্টা করে শেষে বলবার মতো কোন কিছু খুঁজে পাইনি। অল্পবয়সী কারও জন্যে ব্যাপারটা আরও বেশি কষ্টের হবার কথা, জীবনের শুরুর আগেই শেষ হয়ে যাবার মতো অনেকটা। এই রোগের সুচিকিৎসার ব্যাপারে গবেষণা এগিয়ে যাক সেই প্রত্যাশা।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

Sohel Lehos এর ছবি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার, গল্প ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। মতামতের জন্য ধন্যবাদ! নাম মনে রাখতে না পারাটা বোধ হয় অনেক কমন। আমি নিজেও নতুন কারও নাম সহজে মনে রাখতে পারিনা। নাম মনে রাখার জন্য যে জিনিশটি আমি করি সেটা হল পরিচয় হওয়া মাত্র সেই ব্যাক্তির নাম মনে মনে দশ বার বলি। এই টেকনিক বেশিরভাগ সময় কাজে দেয়। চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

ভাল থাকুন। সুস্থ্য থাকুন।

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।