প্রাচীন সাবিনো গাছের ডাল পালার ফাঁক দিয়ে সন্ধ্যা নেমেছে। সিঁদুর লাল সূর্যটা এক রকম তাড়াহুড়ো করে ডুবে গেল। এক ঝাঁক পাতি হাঁস প্যাক প্যাক করে ডুবন্ত সূর্যটাকে ধাওয়া করে উড়ে গেল পশ্চিম দিকে। সূর্য মরে যাবার পরও হালুদ লাল একটা আভা ঝুলে রইল আকাশের ক্যানভাসে। আস্তে আস্তে আঁধার হল চারদিকে। বড্ড ক্লান্তি নিয়ে রাত নামল ওয়াহাকা'র আকাশে।
সন্ধ্যা হলে মনটা যেন কেমন করে। ঠিক এই রকম এক সন্ধ্যায় তার মা বাড়ি ছেড়েছিল। উত্তর দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল লিলিয়ানা। ঠিক ওই দিকে, হাজার খানেক মাইল দূরে, আমেরিকার কোন এক শহরে থাকে তার মা। তার বয়স তখন পাঁচ। এক সন্ধ্যায় লিলিয়ানার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে তার মা বলেছিল,"মা'রে আসি। সাবধানে থাকিস। এস্তাদোস উনিদোসে গিয়েই টাকা পাঠিয়ে দেব। আবার স্কুলে যাবি।" এরপর থেকে তার কোন হদীস নেই। মরে গেছে নাকি বেঁচে আছে কে জানে। লিলিয়ানার বয়স এখন তের।
এমন সময় চিকন গলায় "আই....আই" করে কান্না'র শব্দ পেল লিলিয়ানা। বাড়ির পেছনে উঁচু ঢিবিতে বসেছিল সে। কান্না শুনে কনছুয়েলা'র ঘরের দিকে দৌড় লাগাল। শব্দটা ওদিক থেকে এসেছে।
ঘরে ঢুকেই উৎকট ঘন্ধ পেল লিলিয়ানা। বিছানার পাশেই কাপড় খুলে উদলা হয়ে পড়ে আছে কনছুয়েলা। নিজের বিষ্ঠা'র উপর গড়াগড়ি দিচ্ছে বুড়ি। লিলিয়ানাকে ঘরে ঢুকতে দেখে লাথি খাওয়া কুকুরের মতন ক্যাও ক্যাও করে বুড়ি বলল,
এতক্ষণ কই ছিলি হারামীর ঘরের হারামী?
উত্তর দিল না লিলিয়ানা। বুড়ির কথা'র উত্তর দেবার কোন দরকার নেই। এখন তার কথার উত্তর দেয়া মানে জঘন্য গালাগালি শোনা। বুড়ি অবশ্য উত্তরের ধার ধারেনা। নিজের মনে চলে তার উদার খিস্তি খেঁউড়। বালতিতে পানি এনে নাক চেপে বুড়িকে পরিষ্কার করতে বসল লিলিয়ানা। গন্ধে থাকতে না পেরে নিজেই ওয়াক ওয়াক করে বমি করে ভাসিয়ে দিল। তাই দেখে হি হি করে হাসে শয়তান বুড়ি। লিলিয়ানা তারপরও চোখ মুখ খিঁচে নোংরা পরিষ্কার করতে থাকে। আনন্দে বুড়ির চেহারা ঝলমল করতে লাগল। পাছা ধুইয়ে দিয়ে বুড়িকে বিছানায় শুইয়ে দিল লিলিয়ানা।
বুড়ির বয়স নাকি একশ পঞ্চাশ। মাথার চুল সব কটা পাটের মতন ফকফকা। পুঁতির মতন ছোট ছোট চোখ। চোখের কোণে বিস্তর ময়লা। সেগুলো পরিষ্কার করার কোন বালাই বুড়ির নেই। হাগু'র সময় লিলিয়ানা কাছে ছিলনা জানতে পারলে খালার হাতে বেধড়ক মার খেতে হবে ভেবে বুড়ির সাথে খাতির দেবার চেষ্টা করল লিলিয়ানা,
ও বুড়ি, তোমার বয়স কত কইছিলা?
বুড়ির উপরের পাটির সামনের দিকে চারটা দাঁত নেই। মাড়ি আর নীচের পাটির তরমুজের বিচির মতন গোটা তিনেক দাঁতের ফাঁক দিয়ে চড়ুই পাখির মতন কিচিরমিচির করে বুড়ি বলল,
দেড়শ।
কি কও?
হ। দুইশও হইতে পারে।
এহ! মিছা কথা।
আমি যখন জন্মাইছিলাম তখন তুই ছিলি?
না।
তাইলে মিছা না হাছা তুই কেমনে জানলি? এক চাপট দিয়া মুতাইয়া দিমু।
মুখ বাঁকিয়ে লিলিয়ানা বলল,
মানুষ এত বছর বাঁচে না।
বুড়ি চেতে গিয়ে বলল,
তুই বেশি জানস? খাড়া আরেকটু বড় হ, বুড়া থুড় থুড়া দেইখা এক ভাম ব্যাটার সাথে তর বিয়া দিয়া দিমু। হি...হি...হি।
ঠোট উল্টে লিলিয়ানা বলল,
এহ!! তুমি বুড়া বিয়া করগা যাও।
পিচিত করে এক দলা থুথু ফেলে বুড়ি বলল,
কাছে আয়।
ক্যান?
কাম আছে।
দূরে থেইক্কা কও।
না। কাছে আয়।
লিলিয়ানা এগিয়ে গেল। বুড়ি থাবা দিয়ে তার বুক চেপে ধরে বলল,
দেখি তোর দুধ কত বড় হইছে? হি...হি...হি...
এক ঝটকায় হাত সরিয়ে দিয়ে লিলিয়ানা চিৎকার করে বলল,
শয়তানের ঘরে শয়তান। মর তুই।
বুড়ি হাসির দমক থামাতে না পেরে হাত পা চাগিয়ে দিয়ে বিছানায় চিত হয়ে পড়ল। পেটের মধ্যে বেমাক্কা চাপ পড়ায় ফুছুত করে টক টক গন্ধের বদ বাতাস বেড়িয়ে গেল তার। হি...হি...হি...খিক...খিক...খিক... করতে করতে বুড়ির দম যায় যায় অবস্থা। পেট চেপে ধরে গোংগাতে গোংগাতে বুড়ি বলল,
মইলাম গো মইলাম।
রাত নটা'র মত বাজে। হেঁশেল ঘরে ইগনাসিও'র জন্য খাবার তৈরী করছিল আদেলা। তার চিৎকার শোনা গেল,
লিলি...অই লিলি। কই গেলিরে কুত্তার ছাও?
লিলিয়ানা ব্যস্ত হয়ে রান্না ঘরের দিকে ছুটে যেতে যেতে উত্তর নেয়,
আসতেছি খালা।
রান্না ঘরে ঢুকতেই কথা নাই বার্তা নাই খুন্তি দিয়ে লিলিয়ানার পিঠে ধাই করে এক ঘা বসিয়ে দিল আদেলা। ব্যথায় কাকিয়ে উঠল লিলিয়ানা। মানুষের গলায় খোদা প্রদত্ত সাইলেন্সার থাকে বলে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক গলায় কথা বলে। কিন্তু প্রকৃতির বিচিত্র খেলায় আদেলার গলায় সাইলেন্সার অনুপস্থিত। কোন কথাই সে স্বাভাবিকভাবে বলতে পারেনা। সাইলেন্সার ছাড়া গাড়ি যেমন বিকট শব্দ করে তেমনি আদেলা সব কথাই বলে চিৎকার করে।
কই ছিলি এতক্ষণ?
পিঠের যে জায়গাটায় খুন্তির ঘা পড়েছে, বাঁ হাত বেঁকিয়ে পেছনের দিকে নিয়ে সে জায়গাটায় হাত বুলাতে বুলাতে লিলিয়ানা বলল,
নানী হাগতে বসছিল। শুচাইয়া দিতে গেছিলাম।
এত ডাকি কানে যায়না?
শুনি নাই খালা। মাফ দেন।
পরের বার ডাকা মাত্রই উত্তর না নিলে জ্বলন্ত খুন্তি কোন দিক দিয়ে ঢুকিয়ে দেবে সেই রকম একটা ইঙ্গিত করে আদেলা বলল,
আর কিছু কইতে হইব?
মাথা নীচু করে লিলিয়ানা বলল,
জ্বী না খালা।
সামনে খাবারের ট্রে সাজানো ছিল। আদেলা বলল,
যা, সেনিওর ইগনাসিওরে দিয়া আয়।
ট্রে নিয়ে ইগনাসিও'র ঘরের দিকে পা বাড়াল লিলিয়ানা। পেছন থেকে আদেলা বলল,
শোন...
জ্বী খালা?
এই বাড়িতে তিনজন গেস্ট থাকে। এর মধ্যে ইগনাসিও সবচেয়ে বেশি টাকা দেয়। তার যত্ন আত্তির কোন হেরফের হইলে তোরে জ্যান্ত কবর দিমু। হ্যায় যা কয় করবি।
মাথা নেড়ে সায় দেয় লিলিয়ানা,
জ্বী আইচ্ছা খালা।
ইগনাসিও'র বয়স ষাটের ঊপর হবে। মাথার চুল ধব ধবে সাদা। ছুড়ির ফলার মত দীর্ঘ নাক। ডান চোখের নীচ থেকে একটা লম্বা কাটা দাগ মুখের কোণে এসে থেমেছে। কবে কিভাবে এই কাটা দাগের ব্যুৎপত্তি ঘটেছিল সেই ব্যপারে কেউ ওয়াকিবহাল নয়। কখনও এই বিষয়ে তাকে কিছু বলতে শোনা যায়না। পচে যাওয়া মুরগির ডিমের কুসুমের মত তার দুই চোখ। ইগনাসিও জন্মান্ধ। সে পেশায় একজন ওঝা। ঝাড়ফুঁক, বাণ মারা, এবং ভূত তাড়ানোতে এলাকা জুড়ে তার বিশেষ খ্যাতি আছে।
লিলিয়ানা খাবারের ট্রে তার সামনে নামিয়ে রাখতেই ইগনাসিও গম্ভীর গলায় বলল,
মা'রে চুরি করা মহাপাপ।
দৈহিক কদর্যতা ছাড়াও ইগনাসিও'র ভিতর এমন কিছু আছে যা চরম অস্বস্তিকর। পারতপক্ষে তাকে কখনও ঘাটায় না লিলিয়ানা।
কি কন?
আমি কি বলতেছি সেটাতো মা তুমি ভাল করেই জান।
লিলিয়ানা'র বুক ধড়ফড় করতে লাগল। হতচ্ছাড়া লোকটা কি বুঝে ফেলেছে? তা কি করে হয়? ব্যাটা চোখে দেখেনা। না বোঝার ভাণ করে লিলিয়ানা বলল,
না, জানিনা।
লম্বা শীর্ণ হাত বাড়িয়ে ট্রে স্পর্শ করল ইগনাসিও। তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
এই খানে দুইটা ডিম ছিল। এখন একটা। তুমি কি সেটা খাইছ? খেয়ে থাকলে স্বীকার যাও। আমার সাথে মিথ্যা বলার পরিণতি খুব ভয়ংকর।
ধরা পড়ে গেছে নিশ্চিত হয়ে মাথা নীচু করে লিলিয়ানা বলল,
জ্বী আমি খাইছি। ভুল হইছে। মাফ করে দেন।
গম্ভীর গলায় ইগনাসিও বলল,
প্রায়শ্চিত্ত ছাড়া কখনো পাপ কাটা যায়না। আমি তোমাকে অভিশাপ দেব।
ভয়ে থরথর করে কেঁপে উঠল লিলিয়ানা। ইগনাসিও'র অভিশাপে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছে। কিন্তু তাতে ডরায়না লিলিয়ানা। সে জমের মত ভয় পায় তার খালাকে। ইগনাসিও'র খাবার সে খেয়েছে এই খবর আদেলা'র কানে গেলে তাকে শুধু মাত্র আছড়িয়েই মেরে ফেলবে সে। এক লাথিতে নিজের দুই বছরের মেয়েকে যে খুন করে ফেলতে পারে তার পক্ষে সব সম্ভব। কাতর গলায় লিলিয়ানা বলল,
আপনের সব কাজ আমি করে দিব। খালাকে বইলেন না। দোহাই লাগে।
নিজের পাকা খোঁচা খোঁচা দাড়ি চুল্কে ইগনাসিও বলল,
কাছে আস।
লিলিয়ানা এগিয়ে গেল। কোমরে ময়লা ধুসর তোয়ালে পড়ে খালি গায়ে বসে ছিল ইগনাসিও। আস্তে করে তোয়ালের গিঁঠ খুলে দিয়ে ইগনাসিও বলল,
প্রায়শ্চিত্ত ছাড়া পাপ কাটা যায় নারে মা।
মন্তব্য
যে সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিলো শেষটুকুতে সেটা পেলাম না। আশা করি পরের গল্পে সেটা পাবো
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
পাবেন। আস্তে আস্তে পাবেন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ভাষার দখল, ঘটনার বর্ণনা - দুরন্ত। কিন্তু রসের যে ভিয়েনে একটা গল্প নিতান্ত ঘটনার বিবরণ থেকে গল্পে উত্তীর্ণ হয় সেটা গরহাজির থেকে গেছে। এমন নয় যে কোন চমক থাকলেই সেটা হয়ে যেত। নিয়তির মত অমোঘ পরিণতির গল্প-ও প্রবলভাবেই সার্থক হতে পারে। আমাকে ত সেই গল্পগুলিই বেশী টানে। আগামীতে সেই গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ এক লহমা! অতি সামান্য ঘটনাকে দুর্দান্ত বর্ণনার মাধ্যমে কিভাবে চমৎকার করে ফুটিয়ে তোলা যায় তা নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছি। শুরুতে হয়তো ততটা ভাল হবে না, তবে আশা রাখি নিয়মিত লিখতে থাকলে এক সময় হয়তো হাত খুলে যাবে
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ধন্যবাদ রোমেল চৌধুরী! ভবিষ্যতে আরো ভাল গল্প নিয়ে হাজির হবার প্রতিশ্রুতি দিলাম
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
আপনার লেখায় বহতা নদীর গতি। আমায় মুগ্ধ করে। উপমাগুলি ফুটেছে বুনো ফুলের মতো—আদি ও অকৃত্রিম। প্লটে সন্তুষ্ট নই, যেহেতু জানি, আরো বাহারি চমক আপনার যাদুকরি জামার আস্তিনে লুকিয়ে আছে।
এমন প্রুতিশ্রুতিই তো চাইছি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল চৌধুরী, আপনাকে দেয়া জবাব উপরে চলে গেছে
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
এর একটা সম্ভাব্য কারণ বের করেছি। নির্দিষ্ট কারো মন্তব্য থেকে কোন পোস্টে আসলে মূল পোস্টের লিঙ্কের পর #comment-1234 এই রকম থাকে, এটা মূল পোস্টে উক্ত মন্তব্যকারীর মন্তব্যের লিঙ্ক। এখন আপনি এই লিঙ্ক ধরে আসা পেজে থাকা অবস্থায় অন্য কারো মন্তব্যের উত্তর দিলে তা যায়গামত না যেয়ে আগের মন্তব্যকারীর জবাবে যেয়ে হাজির হয়। মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার সময় ব্রাউজারের লিঙ্কটার দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। কমেন্ট অংশ মুছে ফেলে মুল পোস্ট রিলোড করে মন্তব্য করলে সমস্যা হচ্ছে না।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কল্যান, এই ব্যাপারে আপনার মন্তব্য যথেষ্ট 'মেক সেন্স' করে। প্রায়ই একজনকে দেয়া জবাব অন্যজনের কাছে চলে যাচ্ছিল। এবার বুঝতে পারলাম ঘটনা কি। ব্যাপার খোলসা করে দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
শেষটায় আশাহত হয়েছি। তবে সুন্দর লিখেন আপনি। চালিয়ে যান।
রাজর্ষি
ধন্যবাদ! আশাহত করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। পরের বার যেন আশাহত না হতে হয় সেজন্য নিরলস চেষ্টা চলছে
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
গল্পের ভঙ্গিটি চমৎকার। প্রথমে ভাবছিলাম বিখ্যাত কোনো সাহিত্যিকের অনুবাদ পড়ছি বুঝি,পরে বুঝলাম মৌলিক লেখা। ছোট্ট পরিসরে সুন্দর রচনা। তবেআরেকটু দীর্ঘ হতে পারতো। পড়ে তৃপ্তি মিটতো। তবে ছোট গল্পের অতৃপ্তিও আমি খুব উপভোগ করি। শুভকামনা।
সুলতানা সাদিয়া
ধন্যবাদ সুলতানা সাদিয়া! এই গল্পটি আসলে অনেক বড় একটি গল্পের সূচনা। লেখালেখিতে অদক্ষতা, ধৈর্য শক্তির চরম অভাব, এবং সীমাহীন আলসেমির কারণে শুরুতেই এই গল্প শেষ করে ফেলেছি। সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা এই গল্পের প্লট খুব করুণ এবং বিষাদময় একটি কাহিনী।
বছর ছয়েক আগে এই গল্পের মূল চরিত্রের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। তের বছর বয়সে মেক্সিকোর ওয়াহাকা (Oaxaca) অঞ্চল থেকে মানব পাচারকারীদের হাত ধরে পাড়ি জমিয়েছিল আমেরিকার উদ্দেশ্যে। তার মা অবৈধ অধিবাসী হিসাবে থাকত আমেরিকার উইস্কনসিন স্টেটের মিলওয়াকি নামক সিটিতে। এই তের বছরের কিশোরী মেক্সিকো এবং অ্যারিজোনা'র সোনরান ডেজার্ট এবং দুর্গম পাহাড়ী পথ পায়ে হেটে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিল। যাত্রাপথে মানব পাচারকারী এবং মাদক চোরাচালানকারীদের দ্বারা বেশ কয়েকবার নির্মম ভাবে ধর্ষিত হয় সে। মেয়েটির নাম ছিল লিলিয়ানা।
যাহোক এব্যাপারে একটা উপন্যাস লেখব বলে দিনের পর দিন চিন্তা করেছি। এব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য অন্তর্জালে ঘাটাঘাটি করেছি। কিন্তু দীর্ঘ উপন্যাস লেখার মতন ক্ষমতা আমার এখনো হয়ে উঠেনি। আশাকরি উপন্যাস লেখার ক্ষমতা নিকট ভবিষ্যতে কোন একদিন হয়ে যাবে। সেদিনের আশায় দিন গুনি।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
আজ ঘুম ভেঙেই সচলের মেসেজ পেলাম যে আমি অতিথি হিসেবে সচল হয়েছি। মনটা অসম্ভব ভাল লাগলো। ভাল লাগছে আপনার ইচ্ছার কথা জেনেও। গল্পটা পড়েই আমার মনে হচ্ছিল এর ভেতরে আরও গল্প আছে তাই হয়তো অতৃপ্তি কাজ করেছে। অবশ্যই উপন্যাস আপনার হাতে আসবে। এত পরিশ্রম যখন করছেন, আরেকটু করলেই উপন্যাসটা লেখা হয়ে যাবে। আপনি পারবেন। শুভকামনা রইল।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনাকে হাচলাভিনিন্দন! আপনার লেখা গুলো ভালো লেগেছে। চমৎকার লেখা। হাচলত্ব আপনার পাওনা ছিল।
আপনার কথা সত্যি হউক। অসংখ্য ধন্যবাদ!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
কয়েকটা শব্দে চোখ আটকে গেছে, যেমন 'লাত্থি খাওয়া ', 'ফকফকা', 'চেতে গিয়ে'। এসবের জায়গায় বোধ হয় "লাথি খাওয়া", 'ফকফকে', 'রেগে গিয়ে' লিখলে ভাল শোনাত, এটা আমার নিজস্ব মতামত। আর দুএকটা টাইপোও রয়ে গেছে, ঠিক করে নেবেন নিশ্চয়ই। এবার থামি, অনেক বকে ফেললাম মনে হয়
তবে আপনার ঝুলিতে ভাল প্লট আছে সেটা প্রথম থেকেই আপনার গল্পগুলোতে দেখতে পাচ্ছি, একে একে ছাড়ুন সবকটা
শুভকামনা।
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
ধন্যবাদ গান্ধর্বী! বানানে আমি বেশ কাচা। চেষ্টা করি যেন ভুল না হয় কিন্তু তারপরও কিছু না কিছু থেকে যায়। 'চেতে গিয়ে' এবং 'ফকফকা' ইচ্ছে করে লেখা। তবে 'লাত্থি খাওয়া' টা ইচ্ছাকৃত নয়। ঠিক করে দিচ্ছি। অন্য ভুলগুলো ধরিয়ে দিন। ঠিক করে দেব।
আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
উপন্যাস লিখবার বাসনা পূর্ণ হোক আপনার! ফুুঁউউউউ দিয়ে দিলাম। ওটার রয়্যালটির ২%(মাত্র) কিন্তু আমার
গল্পটা আপনার লেখনীর জন্যই কিনা জানিনা(৩% হতে পারে কিন্তু ), ভালো লেগেছে ভাইয়া।
ব্যাথা= ব্যথা, ঝাড়ফুক=ঝাড়ফুঁক, কোমড়=কোমর টাইপোগুলো শুধরে নেবেন প্লিজ!
আয়নামতি, আপনার ফুঁ এর ১% ও যদি কাজে দেয় তাহলে রয়্যালটি ২% কেন আপনাকে না হয় তা দ্বিগুণ করে ৪% দেব।
মাত্র ৩% লেখনীর গুনেই আমার গল্প আপনার ভাল লেগে গেল, লেখনী ৫০% কিংবা তার উপর ভাল হলে কি হত কে জানে।
বানান ঠিক করে দিয়েছি। আপনার জন্য রইল ১০০% শুভ কামনা
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
শুরুটা দারুণ!
শুভকামনা
ইকবাল হোছাইন ইকু
ধন্যবাদ! আপনার জন্যও রইল শুভ কামনা।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
নতুন মন্তব্য করুন