ভূমিকাঃ
কখনও ভ্রমণ কাহিনী লিখিনি। আমার দৌড় দুই-একটা ফুচকা টাইপের গল্প লেখা পর্যন্ত। সচলে দেখি অনেকেই সুন্দর করে ভ্রমণ কাহিনী লেখেন। পড়ে বেশ আনন্দ পাই। সপ্তাহ খানেক আগে আমেরিকার পশ্চিম অংশের বিস্তীর্ণ এলাকার পাহাড়-পর্বত, এবং মরুভূমি দাবড়িয়ে এসে পেটের ভেতর ভ্রমণ কাহিনী লেখার তীব্র ইচ্ছা মোচড় দিয়ে উঠল। বাথরুম পর্ব শেষ করে দৌড়ে এসে টেবিলে আধুনিক কাগজ কলম মানে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। যেহেতু এ ব্যাপারে আমি একেবারেই নবীন তাই আশা করছি আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা কেউ ক্ষমা অসুন্দর (!) দৃষ্টিতে দেখবেন না।
এই ভ্রমণ কাহিনীর বিস্তৃতি আমেরিকার চারটি প্রদেশ জুড়ে- নেভাডা, অ্যারিজোনা, ইউটাহ, এবং ক্যালিফোর্নিয়া। এর শুরু এবং শেষ লাস ভেগাস, নেভাডাতে। সবার শেষে যে জায়গাটি দেখতে গিয়েছিলাম তা ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার মৃত্যু উপত্যকা কিংবা ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক। আমার ভ্রমণ কাহিনীর শুরু হবে শেষ থেকে।
ভ্রমণের সাথে ছবি'র সম্পর্ক মামা-ভাগ্নে টাইপ। মামা আছে যেখানে ভাগ্নেও আছে সেখানে অবস্থা। ছবি তুলেছি প্রায় হাজার তিনেক। ছবি তোলায় আমি সুদক্ষ রকম আনাড়ি। ক্যামেরার বোতাম টিপে ধরে রাখায় আমার জুড়ি নেই। তা ছবির আগা মাথা মাথা যাই হোক সেটা অন্য ব্যাপার। সুতরাং আমার কাছ থেকে উন্নত মানের ছবি আশা করা মানে 'আশায় গুড়ে ফরমালিন'। এছাড়া অনেক ছবি তোলা হয়েছে সেল ফোন দিয়ে- গাড়িতে চলন্ত অবস্থায়। সেসব ছবি দেখে কেউ মনে 'দুক্কু' পেলে লেখক দায়ী থাকবেন না।
এছাড়া এই ভ্রমণ কাহিনীতে আমার সঙ্গে মডেল হিসাবে থাকছেন আমার বিগ বস, বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গ থেকে আগত বিশিষ্ট কুটনী, মাননীয়া 'ঝগড়াইট্টা বেগম' ওরফে সালিনা, আমার ভাল অর্ধেক (বেটার হাফ)। আমার তিন হাজার ছবির আনুমানিক দুই হাজার সাতশ ছবিতেই তিনি আছেন। কিন্তু তাতেও তিনি সন্তুষ্ট নন। উনার মতে উনার কোন ছবিই আমি তুলি নাই। যে দুই একটা ছবি তুলেছি সেও নাকি তার নিদারুন পীড়াপীড়ির ঠেলায়। এছাড়া মাঝে মধ্যে এই লেখার চিপাচাপা দিয়ে লেখকের ছবিও ঢুকিয়ে দেয়া হবে। আশা করি সেসব ছবি কারও কাছে দৃষ্টিকটু ঠেকবে না।
যেহেতু এই ভ্রমণ কাহিনী অনেকগুলো পর্ব সম্বলিত হবে তাই সবার কাছ থেকে উপদেশ-মতামত আশা করছি। এই পর্বে যা বাদ পরবে পরের পর্বে তা জুড়ে দেয়া হবে। আসুন আর দেরি না করে বেড়িয়ে পরা যাক।
একদিন বিষাদ গলায় আমার বস বললেন,
গাদ্ধুস, তুমি আমাকে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাও না।
'গাদ্ধুস' শব্দের ব্যুৎপত্তি হয়েছে গাধা থেকে। বিবাহের পরপরই আমার জন্য আমার স্ত্রী'র অভিধানে এই শব্দটির সংযোজন ঘটেছিল। গাদ্ধুসরা গাধা'র থেকেও নিম্নশ্রেণীর। আমি মিনমিন করে বললাম (পরিস্থিতি কোন দিকে না বুঝলে আমি আবার গলায় বল পাই না),
কই যেতে চাও?
দূরে কোথাও।
কত দূরে?
অনেক দূরে।
আমেরিকার ভেতরে না বাইরে?
তোমার ইচ্ছা।
ভ্যাবচ্যাকা খেয়ে বললাম,
আমার ইচ্ছা?
বিবাহের পরপরই আমার ইচ্ছা গুলোকে লেক মিশিগানে বিসর্জন দিয়েছি। তাই বুঝতে পারছিলাম না কানে ঠিক শুনলাম কিনা। স্ত্রী মহাদয়া বললেন,
হ্যা, তোমার ইচ্ছা।
আমি আমতা আমাতা করে বললাম,
তোমার ইচ্ছাইতো আমার ইচ্ছা। তুমি বল তুমি কই যেতে চাও।
নাহ! এবার তুমি পিক কর।
কানে ঠিকই শুনেছি অনুধাবন করার পর আমি মহা উৎসাহে ভ্রমণ যাত্রার যোগাড় যন্ত্র করতে লাগলাম। দেশের বাইরে গেলে ভিসা-ফিসা'র ব্যাপার আছে। অত ঝামেলায় গেলাম না। প্ল্যান করে ফেললাম লাস ভেগাস যাব। এক সপ্তাহ'র মত থাকব। এই এক সপ্তাহে লাস ভেগাসকে কেন্দ্র করে আশে পাশে পাঁচশ মাইলের মধ্যে যা আছে দেখার মত যতটুকু সম্ভব দেখে আসব। কোন এক মাহেন্দ্র ক্ষণে লোটা কম্বল নিয়ে প্লেনে চড়ে বসলাম। মিলওায়াকি, উইসকনসিন থেকে প্রথম ফিনিক্স, অ্যারিজোনা। সেখানে এক ঘন্টা'র যাত্রা বিরতি। তারপর লাস ভেগাস। সব মিলে প্রায় পাঁচ ঘন্টা'র যাত্রা। সকাল এগারোটায় ভেগাস পৌছে রেন্টাল কার থেকে গাড়ি নিয়ে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম।
প্রথম রাত আমরা ভেগাসে থাকিনি। আগেই প্ল্যান করা ছিল আমরা অ্যারিজোনা'র গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখতে যাব। কিন্তু যখন যাব তার দুদিন পরই গ্রান্ড ক্যানিয়নের কিছু অংশ আসন্ন শীত উপলক্ষ্যে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। এত কষ্ট করে ভেগাস যাব কিন্তু মন পুড়ে শ' দুয়েক মাইল দূরে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন দেখতে পাব না তা কি হয়? সেজন্য লাস ভেগাস কে কেন্দ্র রেখে আমরা গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের উদ্দ্যেশে যাত্রা করেছিলাম। সাত দিনের আমাদের এই অ্যাডভেঞ্চার অনেকটা এরকম ছিলঃ
লাস ভেগাস, নেভাডা থেকে উইলিয়ামস, অ্যারিজোনা = ২১৬ মাইল।
উইলিয়ামস, অ্যারিজোনা থেকে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, অ্যারিজোনা = ৬০ মাইল।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, অ্যারিজোনা থেকে ব্রাইস ক্যানিয়ন, ইউটাহ= ২৮৭ মাইল।
ব্রাইস ক্যানিয়ন, ইউটাহ থেকে ফের লাস ভেগাস, নেভাডা = ২৬৩ মাইল।
লাস ভেগাস, নেভাডা থেকে হুভার ড্যাম, নেভাডা= ৩০ মাইল।
হুভার ড্যাম, নেভাডা থেকে ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক, ক্যালিফোর্নিয়া= ১৪৩ মাইল।
ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ফের লাস ভেগাস= ১৪৬ মাইল।
সর্ব মোট ১,১৪৫ মাইল। কিন্তু এর সাথে নানা রকম খুচরা ঘুরাঘুরি এবং রাস্তা হারানো বাবদ আনুমানিক আরো ৬০০ মাইল যোগ করতে হবে। সাত দিনে প্রায় ১,৭৪৫ মাইল ড্রাইভ করা হয়েছে। যাহোক সব কিছু স্কিপ করে আমরা এখন ডেথ ভ্যালি, ক্যালিফোর্নিয়া'র দিকে চলে যাব। শুরুতে আপনাদেরকে এমনটি কথাই দিয়েছিলাম।
ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক যাবার আগে আমরা নেভাডার হুভার ড্যাম দেখার জন্য থেমেছিলাম। বাংলাদেশে যেমন কর্ণফুলীর গতি পথ আঁটকে দিয়ে কাপ্তাই বাঁধ তৈরী করা হয়েছে তেমনি কলরাডো নদীর উপর বাঁধ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে হুভার ড্যাম। এ ব্যাপারে আলাদা করে পরবর্তী পর্বে লেখা হবে। হুভার ড্যামে খুব বেশি কিছু দেখার নেই। কিন্তু সালিনা'র ফটো সেশন শেষ হতে আমাদের বিকাল ৪ টা বেজে গেল। এর মধ্যে ক্ষুধায় আবার পেটের মধ্যে চাকভুম চাকভুম শুরু হয়ে গেছে। এক চায়নিজ রেস্তোরাঁ দেখে খেয়ে নিলাম। দীর্ঘ দিন ব্যাচেলার থাকার কারণে আমার এত চায়নিজ খাওয়া হয়েছে যে খোদ বোঁচা নাকের চৈনিক মানুষগুলোও এত চায়নিজ খাবার খেয়েছে কিনা সন্দেহ। এই রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে বেশ আনন্দ পেয়েছিলুম। এত সোয়াদের চায়নিজ খাবার আমি বহু কাল খাইনি। এ ব্যাপারেও পরে বৃত্তান্ত লিখব।
পথ নির্দেশক যন্ত্র আমাদের ডেথ ভ্যালী ন্যাশনাল পার্কের দিকে নিয়ে চলল। প্রাথমিকভাবে আমরা তাই ভেবেছিলাম। কি ভ্রান্ত সে ধারণা তা টের পেয়েছিলাম ঘন্টা দুয়েক পর। সে কথায় পরে আসছি। হাইওয়েতে উঠে দেখি বিশাল জ্যাম। ঢাকা স্টাইলে যত দূর দৃষ্টি যায় অবারিত গাড়ির সমুদ্র। ঘটনা কি কে জানে। সেদিন ছিল রবিবার। হতে পারে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ঊইক এন্ডে লাস ভেগাসে মৌজ করতে আসা পাবলিকগণ বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। গাড়ি এগোয় তো এগোয় না। এই করে করে দিনের আলো নিভে যায় যায় অবস্থা। আমরা ঢিমে তেতাল গতিতে এগুতে থাকি। ঘন্টা দুয়েক পর পথ নির্দেশক যন্ত্রের খালাম্মা মিষ্টি গলায় হাইওয়ে থেকে প্রস্থান করতে বললেন। এহেন জ্যাম থেকে মুক্তি পেয়ে আমরা সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে হাত তুলে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলাম। হাইওয়ে থেকে নেমে গ্যাস স্টেশন পড়ল। গাড়ি থামাতে হল। ট্রাফিক জ্যামে বসে থেকে আমাদের পেট ফুলে ঢোল হয়ে গিয়েছিল। আমরা পুরুষ এবং মহিলা টাট্টিখানা লক্ষ্য করে যে যার মতন হুড়মুড় করে ছুটে গেলাম। 'শিশ' দিয়ে ফিরে এসে কফি আর কিছু স্ন্যাকস কিনে আবার গাড়িতে চড়ে বসলাম। তখন সন্ধ্যার সূর্য ডুবে গিয়েছে।
ভুল পথে ডেথ ভ্যালি যাবার পথে রেস্ট এরিয়াতে 'হিশু' ব্রেক
রেস্ট এরিয়া'র সূর্ঘ ঘড়িতে বিকেল ৫টা ৪০
মোহাভে মরুভূমি সম্পর্কিত কিছু তথ্য
গাড়িতে উঠে ভুল চোখে পড়ল। পথ নির্দেশক যন্ত্রে আমি ভুল ঠিকানা ঢুকিয়েছি। আমরা যাচ্ছি ডেথ ভ্যালি নাশনাল পার্কে কিন্তু ভুল করে আমি ডেথ ভ্যালি এভেনিউ বলে একটা জায়গা'র অপশনে 'চিপি' দিয়েছি। ফল স্বরুপ এখন আমাদেরকে ষাট মাইলের মত ঘুরে যেতে হবে। দোষটা যদিও আমার কিন্তু আমি বেমালুম চেপে গেলাম। মহামান্যা স্ত্রী সাহেবা ঘটনা জানতে পারলে আমাকে গাড়ি থেকে 'ফিক' মারবেন। আমাকে দাঁত মুখ খিঁচতে দেখে সালিনা জিজ্ঞাস করল,
কি হয়েছে?
বললাম,
বজ্জাত জি পি এস আমাদের ভুল পথে নিয়ে এসেছে।
সালিনা আবার আমার কোন কথাই সহজে বিশ্বাস করে না। সন্দেহের সুরে সে বলল,
ভুল পথে নিয়ে এসেছে নাকি তুমি ভুল ঠিকানা ঢুকিয়েছ?
ছেলে বলে আমি চোরের বাপের বড় গলা করে বললাম,
জীবনেও না।
সালিনা তার থেকেও জোর গলায় বলল,
জীবনেও হ্যাঁ। তুমি ভুল এড্রেস দিয়েছ। তোমারে আমি বোন মেরোতে মেরোতে চিনি।
মিথ্যে কথা বলতে গেলে আমার মুখ থেকে আবার হিন্দী বের হয়। আমি ব্যাঘ্র হুঙ্কার দিয়ে বললাম,
খামোশ! মে ঝুট নেহি বোলা।
গাড়ি ছুটে চলল। জীবনের লম্বা সময় আমেরিকার জন বিরান এলাকায় পার করেছি। ভয় পাইনি। সেদিন পেলাম। ইন্টারস্টেট হাইওয়ে ছেড়ে আমরা ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট রুট ধরেছি। আকাশে কোন চাঁদ ছিলনা। চারদিকে মোটামুটি ঘুট ঘুটে আঁধার। সরু একটা রাস্তা। মাইলের পর মাইল কোন লোকালয় নেই। গাছ নেই । ঘাস নেই। কিছুই নেই। আছে শুধু মরুভূমি। বালি। ছোট ছোট বুনো ঝোপ। আর ভূতুরে পাহাড়ের ছায়া। রাস্তার পাশে স্পিড লিমিট দেয়া আছে পঞ্চান্ন মাইল। জন বিরান এলাকায় আস্তে যাওয়া ঠিক হবে না ভেবে আমি ঘন্টায় সত্তুর মাইলে চালাচ্ছি। এমন সময় রিয়ার ভিউ মিররে আলো দেখতে পেলাম। আলোটা দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছিল। পুলিশ হতে পারে ভেবে গাড়ির গতি একটু কমালাম। মিনিট দুয়েক পর সে গাড়ি বিদ্যুৎ গতিতে আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। বেজায় হাগু'র চাপ এলেও কেউ বোধহয় অত জোরে গাড়ি চালায় না। ওভাবে ওভারটেক করতে দেখে আমার রোখ চেপে গেল। আমিও 'তবেরে পামর...' বলে ঘন্টায় নব্বই মাইল গতিতে তার পেছনে ছুটলাম। মাঝে মধ্যেই রাস্তা এঁকে বেঁকে যাওয়াতে আমাকে গতি কমিয়ে আনতে হচ্ছিল। কিন্তু আমাদের সামনের গাড়িটি তার কোন তোয়াক্কা না করে নিমেষের মধ্যে আমাদের দৃষ্টি সীমানার বাইরে চলে গেল।
ডেথ ভ্যালি যাচ্ছি কিন্তু গিয়ে কোথায় থাকব তা ঠিক করে আসিনি। ভাব খানা অনেকটা 'ওখানে গিয়ে ঠিক করব' এরকম। রাত দশটার মত বেজে যাচ্ছে। জন বিরান এলাকায় সব কিছু তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। যদি কোথাও থাকার জায়গা না পাই ভেবে আমার বুক দুরু দুরু করতে লাগল। এসব জায়গায় কিছু একটা হয়ে গেলে তার খবর হতেও হপ্তা খানেক লাগে। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আমরা ফারনেস ক্রিক, ডেথ ভ্যালিতে পৌছালাম। রাস্তার পাশে হোটেল দেখে থামলাম। পার্কিং লটে গাড়ি পার্ক করা কিন্তু পুরো পার্কিং লট জুড়ে আঁধার। কোন আলো নেই। হোটেলের ভেতরে থেকেও তেমন একটা আলো বাইরে আসছে না। ভেতরে ঢুকব কি ঢুকব না সেটা নিয়ে দুজন মিলে মিনিট দুয়েক শলা পরামর্শ করলাম। এদিকে পেটের ভেতর 'শিশ' এর দমকে আমাদের পেট ফেটে যাচ্ছিল। এখুনি 'শিশ' দিতে না পারলে আমাদের প্যান্ট ভিজে যায় অবস্থা। তাই সিদ্ধান্ত হল থাকি কিংবা না থাকি এখানে হিশু করে যাই।
হোটেলের প্রবেশ মুখে গিয়ে চুপসে গেলাম। হোটেল পাহাড়ের উপর। হোটেলের নীচ দিয়ে আন্ডার গ্রাউন্ড টানেল। সে টানেল ধরে পাঁচশ ফুটের মতন হেঁটে গিয়ে লিফট ধরে উপরে রিজার্ভেশন ডেস্কে যেতে হবে। আমরা আল্লাহর নাম নিতে নিতে লিফট নিলাম। উপরে উঠে দেখি এলাহী কারবার। রিজার্ভেশন ডেস্কের পাশের রুম বোধ হয় রেস্টুরেন্ট। রুম ভর্তি বয়স্ক মানুষ। সবাই কলকল করে কথা বলছে। বোঝা গেল এটা কোন রিসোর্ট টাইপের হোটেল। ডেস্কের ভদ্রলোককে জিজ্ঞাস করলাম কোন রুম খালি আছে কিনা। উনি কিছুক্ষণ কম্পিউটারের বোতাম টেপাটেপি করে বললেন শুধু একটা রুম খালি আছে। তার ভাড়া শুনে আমাদের পিলে চমকে গেল। লাস ভেগাস হলে কথা ছিল। কিন্তু এই ধূলো বিবর্ণ মরুভূমির ভেতর এমন সাদামাটা হোটেল রুমের ভাড়া কি করে এত হয়? নাকি রাত বিরাতে বাদামী চামড়ার দুই আবালকে পেয়ে আকাশ চড়া দাম হাঁকল ব্যাটা বেল্লিক? ভাড়া শোনার পর আমাদের চেহারার ভৌগলিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে ভদ্রলোক বললেন সেখান থেকে কিছু দূরে আরেকটি হোটেল আছে। তার ভাড়া এর অর্ধেক। আমরা 'শিশ' দিয়ে পরবর্তী হোটেলের উদ্দেশে চললাম।
হোটেলের আন্ডার গ্রাউন্ড টানেলে মিয়া-বিবির সেলফি
পরের হোটেলে গিয়ে আমাদের চক্ষু চড়ক গাছ। তাদের ভাড়াও কোন অংশে কম নয়। আমাদের ধৈর্যের বাঁধের যখন তখন অবস্থা। যেকোন সময় ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবার সম্ভাবনা। এখানেও আমাদের চেহারায় সমূহ ভৌগলিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে ডেস্কের ভদ্র মহিলা জানালেন সামনে কিছু দূর আরো হোটেল আছে সেখানে রুম বেশ সস্তা। মহিলা এমন ভাবে কথা খানা বললেন শুনে মনে হল সেখানে বোধ হয় সের দরে হোটেল রুম পাওয়া যায়। আমরা আবার ছুটলাম হোটেলের সন্ধানে।
শেষ পর্যন্ত মোটামুটি মানের হোটল পাওয়া গেল। আমার স্ত্রী সাহেবা তখন আমার উপর রেগে টং। কিসের বালের ভ্যাকেশনে এসেছি হোটেল ঠিক করে আসিনি...যত্তসব রাশি খারাপ পোলাপান...ইত্যাদি...ইত্যাদি। সেরাত হোটেলে কাটিয়ে আমরা বাইরে ঘুরতে বেড় হলাম। রাতে এসেছিলাম বলে আশে পাশে কিছু নজরে আসেনি। দিনের বেলায় যা দেখতে পেলাম তার জন্য আমি কিংবা সালিনা আদৌ প্রস্তুত ছিলাম না।
(চলবে)
মন্তব্য
রিফ্রেশ দিতে দিতে পাগল হয়া গেলাম, তবুও ছবি দেখতারলাম না। ঘটমা কি?
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
মৃত্যু উপত্যকায় ছবিরাও নিরাপদ না ("খাইছে" ইমো)
..................................................................
#Banshibir.
ছবিরাও মৃত্যুবরণ করেছেন
এবার ছবিরা প্রাণ ফিরে পেয়েছেন
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ছবি দেখতে পাচ্ছি
মেঘলা মানুষ
এই মেঘলা মানুষ কোন মেঘলা মানুষ বুঝতে পারছি না
পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু, এ অতিথি কোন অতিথি বুঝতে পারছি না
হ্যা, ছবিরাও মইরা যায় যায় অবস্থা। 'মাউথ টু মাউথ' শ্বাস দিয়া ছবি গুলার জানা বাঁচাইয়া নিয়া আসলাম। এইবার দেখেন।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
উপরের জবাবটি সত্যপীরকে দিয়েছিলাম। কি করে যেন এখানে চলে এসেছে
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
এইবার দেখেন।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
দুঃখিত! টেকনিক্যাল ডিফিকাল্টি। এবার দেখুন
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
উপরের জবাবটি অনুপম ত্রিবেদিকে দিয়েছিলাম। কি করে যেন এখানে চলে এসেছে
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ষ্টার ওয়ারসের মত শেষ পর্ব দিয়ে শুরু করলেন - ভালই লাগছে - - বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
মরুচারী
ধন্যবাদ মরুচারী!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
আমিও একদিন যাব, তারপর লেখা পড়বো ছবি দেখবো, হুহু!
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
রিক্তা, ছরি। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ছবি আসেনি । এখন দেখুন। আর সময় সুযোগ পেলে অবশ্যই দেখতে যাবেন। এ ধরণের জিনিশ না দেখে মারা যাওয়া ঠিক না। আপনার পাথুরে পর্বতগণের পর্বত আর এই পর্বতদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে (পর্বতগণের ছবি পরের পর্বেই দেখতে পাবেন) আপনার গুলোতে সবুজ গাছ ছিল, আর এই গুলায় একটা চুলও (হিন্দীতে পড়ুন) নেই। বিশাল বিশাল সব ন্যাংটা পর্বত
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ভ্রমনব্লগর ভালৈছে!
পড়তে মজা পেলাম। বাকি পর্বগুলোও অবিলম্বে ছাড়তে থাকেন
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ মর্ম! হোম পেজ থেকে এই পর্ব সরে গেলেই পরের পর্ব দেব।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
১। নেভাডা, অ্যারিজোনা, ইউটাহ, এবং ক্যালিফোর্নিয়া।
আট্টু আগালেই তো নিউ মেক্সিকো ছিল, আইলেন না ক্যান?
২। নেভাডায় এক ব্যাচতুতো-শহরতুতো-নেটতুতো বন্ধু আছে, সচল নীল রোদ্দুর আছেন। ক্যালিফোর্নিয়া যাবার প্রবল ইচ্ছা আছে। খালি ফৈসাটাই নাই।
৩। লেখা মজার হৈসে।
এ লাইনগুলো চরম উদাস ফ্লেভার এনে দেয়।
৪। আপনার বানানপ্রমাদ অনেক কমে গেছে। গুড জব।
৫। সেলফি নয়, গাছপালাবিলাইবাঘপাথরনদীসাগরঅরণ্যগাড়িসাইকেলঘোড়াবাদুড়ের ছবি দেখতে চাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ! নেভাডা, অ্যারিজোনা, ইউটাহ, এবং ক্যালিফোর্নিয়া দৌড়াইতে দৌড়াইতে কাহিল হয়ে গেছিলাম। নিউ মেক্সিকো ভবিষ্যতে কোন এক দিনের জন্য তোলা থাকুক।
বানান নিয়ে আমাকে এত কথা শুনতে হয়েছে যে একটা শব্দ লিখতে গেলেও এখন দুইবার চিন্তা করি বানান ঠিক লিখছি কিনা।
সেলফি না দিলেও আমার বৌ এর ছবি চলে আসবে মাঝে মধ্যে। কারণ প্রায় সব ছবিতেই তিনি আছেন পরবর্তী পর্বে নানা কিসিমের পাহাড়, পাথর, আকাশ, ২/১ টা গাছ, বালু, গাধা, পক্ষী, এবং রাস্তা থাকবে।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
প্রথমেই আপনার কিছু প্রশংসা- আপনি দারুণ একজন মজার মানুষ অতএব আপনার বউ যে আপনাকে ঝাড়ির উপর রাখে কথাটা ঠিক না কারণ পৃথিবীর তাবৎ নারীগণ ভাঁড় ( ) পছন্দ করে।
এবার আসা যাক ছবি প্রসঙ্গে- ছবি আমাকে ফ্লিকারে গিয়ে দেখতে হয়েছে এবং ছবিগুলো মনে হয় আপনার বউ তুলেছে কারণ আপনি তো ড্রাইভ করছিলেন অতএব এই ক্রেডিট তাকে দেয়া উচিৎ
পরিশেষে অসাধারণ রকম ভালো লাগল
ফাহিমা দিলশাদ
ধন্যবাদ ফাহিমা! "প্রশংসা" কথাটা দেখে খুশিতে আমার ৩২ টা দাঁত বের হয়ে গেছিল, কিন্তু আবার "ভাঁড়" কথাটা দেখে চিমশাইয়া গেলাম। বুঝতেছি না এইটাও প্রশংসার অংশ কিনা নাকি চামে খোঁচা দিলেন? দাড়ান ২/৩ দিন ভাইবা নেই মাইন্ড করব কি করব না
কিছু ছবি আমার বউ তুলেছে, কিন্তু বেশির ভাগ আমার তোলা। আংশিক ক্রেডিট আমার বউ এর পাওনা।
ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। আবারও ধন্যবাদ
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
সুর্যঘড়িটা দারুণ তো!
আর ইয়ে,
ছাগুচীফ ত্রিভুজ কি মোহাভে মরুভূমিতে এখন?
নইলে স্বাগত-ফলকে তার চাঁদবদন দেখলাম যে!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
খামোকা নিরীহ জন্তুকে ত্রিভুজ ডেকে গালিগালাজ কচ্ছেন কেন হোয়াই?
..................................................................
#Banshibir.
মানবাধিকারের জ্বালায়ই বাঁচিনা, আপনে আবার পশ্বাধিকার আমদানী করলেন কই থিক্যা? পীর মানুষ, অবসরে ধর্মকর্মে মন দেন। বাকি সময় থিবোরে নতুন এসাইন্মেন্টে পাঠান।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সূর্য ঘড়িটা আসলেই দারুন ছিল। আমি নিজের হাত ঘড়ির সাথে মিলিয়ে দেখেছি। হাত ঘড়িতে তখন বাজে ৫টা ৪৫।
এই ছাগু সেই ছাগু নহে রে ভাই। ওই ছাগু এই ছাগু'র চুলেরও (হিন্দিতে পড়ুন) সমান না।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
সূর্য ঘড়িটা ভাল্লাগছে।
ইউটাহ ভ্রমণের স্মৃতি নিয়ে একটা ব্লগ লেখা শুরু করছিলাম। প্রথম পর্ব দেয়ার পর ৩ বছর কেটে গেছে। ছবি গুছিয়ে পরের পর্ব দেয়া হয়নি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আপনার তিনবছরের পুরানো ছিতি পড়ে রাতদুপুরে ভেউভেউ কৈরা কান্তে ইচ্ছা করতাসে হিমিফা।
কত জায়গায় যেতে ইচ্ছে করে-- ইউটাহ, ফ্লোরিডা, টেনেসি, ক্যালিফোর্নিয়া..
ফৈসা পামু কনে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীডোর, চরম ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। চেষ্টা নিতে থাকেন। কোন না কোন এক ভাবে সু্যোগ হয়ে যাবে।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
শিশিরকণা, আপনার ব্লগ খানা দেখে আসলাম। লেখা শেষ না করে আপনি যে অন্যায় করেছেন আপনাকেতো ইউটাহ'র বড় সর কোন আর্চের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা উচিত। অতি শীঘ্রই আবার লেখাতে হাত দিন।
সময় স্বল্পতার কারণে ব্রাইস ক্যানিয়ন ছাড়া ইউটাহর আর কোথাও যেতে পারিনি। ইউটাহকে অসম্ভব রকম ভাল লেগেছে। ভবিষ্যতে একবার শুধু ইউটাহ ঘুরে আসার জন্য বের হব।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
দারুণ! আমার দেখেই সুখ!
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
সুলতানা সাদিয়া, ধন্যবাদ! দেখাতেও কিন্তু এক ধরণের সুখ আছে। যেমন উত্তর মেরুর কোন ছবি কিংবা ভিডিও দেখতে পেলে আমি ভীষন আনন্দিত হই, কিন্তু কেউ যদি আমাকে বলে ১ সপ্তাহ উত্তর মেরু ঘুরে আসার জন্য আমি কিন্তু যাব না। ঠান্ডায় মরার কোন খায়েশ আমার নেই
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
বেশ বেশ !
লেক মিশিগানের অতল থেকে তুলে আনুন ফের- চলতে থাকুক
facebook
তারেক অণু, ধন্যবাদ! লেক মিশিগানে জাল ফেলেছি। আস্তে আস্তে ইচ্ছেগুলোকে টেনে তুলে আনছি। চলবে।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
'বুনো পশ্চিমঃ মৃত্যু উপত্যকা' শিরোনাম পড়েই মুহূর্তে যেন তরুণ হয়েছিলাম আমি। লোমকূপ দাঁড়িয়ে গেছিল এডভেঞ্চার আর রহস্যের গন্ধে। নিদেনপক্ষে একটি-দুটি ডুয়েল তো থাকছেই, তাই না? আহা, সেই বয়স, সেই ওয়েষ্টার্ণ, সেই গুড-ব্যাড-আগলি, সেই সেবা প্রকাশনী।
ওয়েষ্টার্ণ হলেও নায়ক-নায়িকা যে ওরিয়েন্টাল, সুতরাং ভিন্ন ফ্লেভার, এ আশা তো করতেই পারি!
ভ্রমণের বর্ণনা ভালো লেগেছে। তবে 'ইরফান'-এর মতো কোমরের কাছাকাছি রেখেই পিস্তল ড্র করে গুলি ছুঁড়ে লক্ষ্যভেদের মতো চমক দেখবার অপেক্ষায় রইলাম হে ছোকরা!
বোধকরি 'বেড়িয়ে' ও 'বেরিয়ে' শব্দ দু'টোর মাঝে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে! আমলে না নিলেও তেমন ক্ষতি তো দেখছি না।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল চৌধুরী, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! সেবার ওয়েস্টার্ন কাহিনীগুলো পড়ে আমিও বড় হয়েছি। অ্যারিজোনার ছোটখাট শহরগুলোর ভেতর দিয়ে যাবার সময় মনে হচ্ছিল আমি শৈশবে ফিরে গেছি। মনে হচ্ছিল যেকোন সময় পুরনো স্যালুন থেকে দরজা ধাক্কা দিয়ে পিস্তল হাতে বেড়িয়ে আসবে এক দল মানুষ। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন যাবার পথে এক গ্যাস স্টেশনে থেমে ছিলাম তেল নেবার জন্য। সে গ্যাস স্টেশনের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল ওই সময়কার লোহার ভাস্কর্য- পিস্তল হাতে কাউ বয়, ঘোড়া দাবড়িয়ে ছুটে যাচ্ছে টাউনের শেরিফ--- ইত্যাদি। পরের কোন এক পর্বে ছবিসহ তার বৃত্তান্ত থাকবে।
'বেরিয়ে' নাকি 'বেড়িয়ে' সেটা নিয়ে সবসময় দ্বন্দে থাকি। যাহোক ভুলটা ঠিক করে নেব।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
অনেক অনেক ভালো লিখেছেন।
অসম্ভব প্রাণখোলা উপস্থাপন।
ভালো বেশ ছবিগুলোও।
সূর্যঘড়িটা বেশ আকর্ষণীয়।
শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ। সবসময়।
দীপংকর চন্দ
ধন্যবাদ দীপংকর চন্দ! লেখা/ছবি ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার জন্যও রইল শুভ কামনা।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
নতুন মন্তব্য করুন