সকালে ঘুম থেকে উঠে ইশতিয়াক দেখল তার এক জোড়া পাখা গজিয়েছে। কুচকুচে কালো রেশম নরম পালক। নিজের পালকে হাত বুলাতে বুলাতে ইশতিয়াকের মনে হল স্নেহা'র দীর্ঘ কালো চুলগুলো বোধহয় এমনই তুলতুলে হবে।
নিজের পাখায় হাত বুলাতে বুলাতে ইশতিয়াক দাঁত ব্রাশ করল। মুখ ধুলো। নাস্তা করল। চা খেয়ে একটা বেনসন ধরাল। তার সদ্য গজানো পাখা সম্পর্কে মেসের কেউ একটা প্রশ্নও করল না। যেন মানুষের পাখা গজানো তেমন একটা ব্যাপার না। এমনটি অহরহই হচ্ছে।
কড়া ইস্ত্রি করা আকাশী নীল জামা আর খাকি প্যান্টস পরে বের হল ইশতিয়াক। পাখার জন্য জামার পেছন দিকটা কাটতে হল। আয়নায় নিজেকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল সে। অবিকল গ্রীক দেবতা ইরোসের মত লাগছে।
বসুন্ধরা মলের সামনে থেকে তাকে তুলে নেবার কথা স্নেহার। তীব্র রোদে আধা ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর ইশতিয়াকের মনে হল মলের ভেতরে গিয়ে একটা সেভেন আপ খেয়ে গলা জুড়ানো দরকার।
এমন সময় টকটকে লাল একটা বি.এম.ডাবলু এসে দাঁড়াল। স্নেহার বয়ফ্রেন্ড দিপ্র'র গাড়ি। ভেতর থেকে স্নেহা হাতছানি দিয়ে ডাকল। গাড়ি ছুটল যাত্রাবাড়ির দিকে। সেখান থেকে কাচপুর ব্রিজ।
কি একটা নিয়ে হাসতে হাসতে দিপ্র'র উপর গড়িয়ে পড়ছে স্নেহা। ইশতিয়াকের যে আজ এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেছে সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। একবার শুধু ঘাড় ঘুরিয়ে বলল,"ছেঁড়া জামা পরেছিস কেন?"
উত্তরে মৃদু হাসল ইশতিয়াক।
গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে শীতলক্ষ্যা উপচে পড়ছে। ব্রীজের নিচ দিয়ে প্রায় ডুবে যাওয়া বালু ভর্তি ট্রলারগুলো গোঙাতে গোঙাতে এগুচ্ছিল।
কেন যেন খুবই উতফুল্ল হয়ে আছে স্নেহা। অল্পতেই দিপ্রর উপর ঢলেঢলে পড়ছিল। চোখ ঘুরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল ইশতিয়াক। এক ঝাঁক পাখি উড়ে যাচ্ছে। তার মনে হল সেওতো একটা পাখি। আজই ডানা গজিয়েছে। এখন পর্যন্ত উড়ে দেখা হয়নি।
উড়বে বলে ইশতিয়াক যখন ব্রিজের রেলিং এর উপর উঠে দাড়াল তখন স্নেহা চিৎকার দিয়ে উঠে বলল,"ইশতি কি করছিস?"
মুখের কোণে বাকা হাসি ফুটিয়ে তুলে ইশতিয়াক বলল,"উড়ব। দেখবি?"
ঝাঁপ দিল ইশতিয়াক। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও ডানা মেলতে পারল না। ডানা গজালেই যে উড়া যায় না সেটা জানা ছিল না তার।
মন্তব্য
কেন ভালো লাগলো জানিনা, কিন্তু ভালো লাগলো।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
ধন্যবাদ!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
চমৎকার।
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ভাল্লাগছে খুব ।
ধন্যবাদ!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
বাহ্! প্লট মনে হয় আপনার পকেটে থাকে, ভাই!
রাজিব মাহমুদ
হ।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
খুব ভালো লেগেছে আপনার গল্পটা। অল্প কটি শব্দের মধ্যে বিশাল একটা যন্ত্রনা পুরে দিয়েছেন। শুরুটা যেমন, শেষটাও তেমন সুন্দর। অনুগল্পের সন্তোষজনক সমাপ্তি টানাটা একটা কঠিন কাজ। আপনি সেটা সহজে করেছেন। শুভেচ্ছা রইলো।
-ইকরাম ফরিদ চৌধুরী
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
বুঝেছি বলব না, আবার বুঝিনি -সেটাও বলব না। তবে, ভালো লেগেছে সেটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।
শুভেচ্ছা
কদ্দুর বুঝবেন আবার কদ্দুর বুঝবেন না। এইটাই হইল অণুগল্পের বৈশিষ্ট্য
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে
মানুষেরও অদৃশ্য ডানা গজায় পরপারের ডাকে....
****************************************
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ভালো লাগলো।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
নতুন মন্তব্য করুন