প্লেনটি যখন হাজার টুকরো হয়ে দুপুরের আকাশে আতশবাজির মত ফুটছিল তখনও ফেরদৌস মরেনি। হাত পা চারদিকে চাগিয়ে দিয়ে তীব্র বেগে সে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। এটাই ছিল তার জীবনের প্রথম এবং সম্ভবত শেষ প্লেন ভ্রমন।
ফেরদৌসের একটুও ভয় লাগছিল না। সে অবাক হয়ে নীচের পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে ছিল। উপর থেকে পৃথিবী এত সুন্দর লাগতে পারে জানা ছিল না তার। প্লেনে জানালার পাশের সিট পায়নি সে। তাছাড়া অইটুকু জানালা দিয়ে আর কতটুকুই বা দেখা যায়?
"অনেক সুন্দর তাই না?"
তার পাশ দিয়েই সমান গতিতে পতিত হচ্ছিল একটা মেয়ে। তার চোখেও ভয়ের বদলে বিস্ময়।
ফেরদৌস চিৎকার করে বলল,"প্রথম প্লেনে উঠেছিলেন বুঝি?"
"হ্যাঁ" মেয়েটি উত্তর দিল।
ফেরদৌস বলল,"আমিও।"
মেয়েটির মুখে মৃদু হাসি ফুটে উঠল। অবাক আর বিস্ময় নিয়ে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ল দুটি দেহ।
মন্তব্য
যতটা ভাল লাগে- তার চেয়ে মাথায় বেশি গেঁথে থাকে।।।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
"পৃথিবীতে আছড়ে পড়ল দুটি দেহ।" পড়েই পাঠক হিসেবে আমিও যেন ধপাস করে পড়লাম ৃথিবীতে।
সিল্ককটন
গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
পড়তে গিয়ে স্যাটানিক ভার্সেসের শুরুর দৃশ্যটার কথাই মনে পড়ছিলো।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
মিল আছে। জিব্রিল আর সালাদিনের মত এর দুজনও আকাশ থেকে পড়ছে।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
******************
....ধড়মড় করে নিজের বেডরুমে বিছানায় উঠে বসলো ফেরদৌস। ঘামে ভিজে গেছে শরীর। তারপরই চোখে পড়লো বিছানার উপর খোলা পড়ে থাকা ল্যাপটপটা। ওটা টেনে নিয়ে একটু লক্ষ্য করতেই অবাক-বিস্ময়ে সে দেখল - রাতে যে দু;স্বপ্নটা সে দেখছিল সেটাই সচলায়তনে পোস্ট হয়ে গেছে "পতন" শিরোনামযুক্ত অনুগল্প হিসেবে! তারপরেই ওর মনে পড়ে গেল, অনেকের যেমন স্লিপওয়াকিং-এর রোগ আছে, ওরও তেমনি "স্লিপরাইটিং"-এর অভ্যাস আছে....
****************************************
কঠিন ফিনিশিং হয়েছে!
অটঃ এক কালে ছোট গল্প নিয়ে অনেক রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালিয়েছিলেন। সেটা আবার শুরু করার অনুরোধ থাকলো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার ধৈর্য শক্তি খুব কম। বড় গল্প দিয়ে লেখালেখি শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে তা ছোটগল্পে গিয়ে ঠেকে। এখন কোনমতে অণুগল্প লিখেই লেখালেখির সাধ মেটাচ্ছি। দুদিন পর যে কি হবে খোদা মালুম। যাহোক দেখি। আবার চেষ্টা নিতে হবে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
হাইকু লেখেন। পাঁচ সাত পাঁচ। ধরেন এই পতন গল্পটার লো-কুয়ালিটি স্যাম্পল হাইকুঃ
খসে যায় দুই জন
প্লেন হতে, নারী ও পুরুষ
এই কি চেয়েছিলে হায়!
..................................................................
#Banshibir.
হা হা হা আইডিয়া খারাপ না। লেখালাখি আস্তে আস্তে ওই দিকেই নিতে হবে মনে হচ্ছে। অণুগল্প লেখতেও আজকাল হাঁসফাঁস লাগে। তাই পুরুমাণু গলপ লেখা শুরু করছি। স্যাম্পল- "এক বোতল এসিড নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বপ্না। মতিঝিল স্টক মার্কেটের আশেপাশেই পাওয়া যাবে হারামজাদাটাকে। আজ ইতিহাস বদলে দেবে সে।" কিংবা "অনেক চড়াই উতরাই পেড়িয়ে যুবকের ওষ্ঠদ্বয় সমতলের যেখানটিতে নেমে এল সেখান থেকে শুরু হয়েছে ঘন জঙ্গল আর রমণীর শীৎকার ধ্বনি।
প্যান্ট তুলে যুবকটি উঠে দাড়াল। রমণীটি অবাক হয়ে বলল,"কি হল?"
দিয়েশলাই জ্বালিয়ে সিগারেটের মাথায় আগুন দিতে দিতে যুবকটি বলল,"আজ থেকে আমি আর পতাকা উত্তলন করব না। এই পতাকা আমাকে স্বাধীনতা দেয়নি।" কিংবা "রতন ডায়েরিতে লিখছিল:
তারিখ- ১৫/৮/৫০১০। প্রকৃতিতে ভয়াবহ কিছু একটা ঘটে গেছে। পদার্থবিদ্যার সমস্ত যুক্তি অগ্রাহ্য করে আলো আজ ত্যাছড়া পথে গমন শুরু করেছে।
পরের লাইনটিতে সে লিখল- কেয়ামতের বোধহয় আর বেশি দেরি নেই।" -----
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
গল্পে মন্তব্য করতে চাই নি। কিন্তু এই মন্তব্য-সুতলিতে অবশ্যই মন্তব্য জুড়ে দিতে চাই এইটা জানাতে যে এই সুতোটা চমৎকার!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
দারুণ
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
এই রকম স্বপ্নে দেখছেন? বলেন কি!!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
আহা.... আমি বলবো কেন, বলছে তো "ফেরদৌস"। বিশ্বাস না হয় - ওকেই জিজ্ঞেস করে দেখুন না!
তবে কানে-কানে একটা গোপন ইনফর্মেশন দিয়ে রাখি, ফেরদৌসকে নেহাৎ খুঁজে না পেলে "সোহেল লেহস"-কেও জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। ফেরদৌসই আসলে "সোহেল লেহস" ছদ্মনামে সচলায়তনে লিখে থাকেন। তবে "সোহেল লেহস" যেহেতু ডুয়াল পার্সোনালিটির অধিকারী ফেরদৌসের স্লিপরাইটার-সত্তা আর ফেরদৌস তাঁর জাগ্রত মূল সত্তা, তাই লেহসের কাছে আসল তথ্য পাবেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে, কারন তিনি হয়তো মনেই করতে পারবেন না তাঁর অন্য সত্তার জাগ্রত অবস্থার কথা (তিনি হয়তো ফেরদৌসকে সম্পূর্ণ ভিন্ন লোক হিসেবে মনে করেন!), বরং আপনার মতই প্রশ্ন করে বসতে পারেন, "এই রকম স্বপ্নে দেখছেন? বলেন কি!!"
****************************************
হা হা হা আপনাকে দেয়া জবাবটা জায়গামত না গিয়ে এখানে চলে এসেছে। যাহোক ফেরদৌস কে? আপনি? আমি? কি জানি কে?শুধু ডুয়াল নারে ভাই আমি বহু পার্সোনালিটির অধিকারী। কখন কোন পার্সোনালিটি ধারণ করি তা নিজেও জানি না
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
চমৎকার। মন্তব্যের ঘরে আপনার গল্পের আইডিয়াগুলোও ভালো লেগেছে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
অনেক ধন্যবাদ!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
জাহিদ হোসেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৭/২০১৮- ১০:২১অপরাহ্ন
আপনি বেঁচে আছেন! সচল আছেন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার এক পুরনো বন্ধু যখন জাহিদ ভাইয়ের প্রতিবেশী ছিলেন তখন তাকে বলেছিলাম জাহিদ ভাইকে আবার সচলে লেখালেখি করার অনুরোধ জানাতে। তিনি আমার অনুরোধটা জাহিদ ভাইকে জানিয়েছিলেন কিনা জানি না, তবে এইখানে আমি নিজেই জাহিদ ভাইকে এখানে আবার লেখা শুরু করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গল্পখানা পড়েছি। এবার হাইকু পড়বার সুযোগ দেয়া হোক।
গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ। হাইকু কবে লিখতে পারব কিংবা আদৌ লেখতে পারব কিনা কে জানে। তবে উপরে কমেন্টে সত্যপীর এই গল্পের অসাধারণ একখান হাইকু লিখেছেন দেখে নিন ।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
এই ব্লগে প্রথম আসলাম, গুগলে অণুগল্প সার্চ দিয়ে আপনার অণুগল্পগুলো পেলাম, দূর্দান্ত আপনার অণুগল্পগুলো। (বাকপ্রবাস)
অণুগল্প ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
নতুন মন্তব্য করুন