ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলতেই ব্যাচেলার মেসের হেলাল মিয়ার দুমড়ানো মোচড়ানো কোলবালিশ খানা লাজুক গলায় তাকে বলল,"অ্যাই শোন......তুমি না বাবা হতে চলেছ।"
লাইনটার দিকে এক নজরে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর মুন্তাকিমের মনে হল এটা অণুগল্প হয়নি৷ অণুগল্পের তেমন কোন মাল মশলাই এর ভেতর নেই৷ এক লাইনের কি অণুগল্প হয়?
ঘ্যাচ করে লাইনটা কেটে দিয়ে মুন্তাকিম আবার কলম চালালো-
ডিম লাইটের মৃদু আলোয় হেলাল মিয়ার চোখের সামনেই তার দুমড়ানো মোচড়ানো কোল বালিশখানা চেহারা বদলে অপরুপা এক তন্বী তরুনী হয়ে গেল৷ কোল বালিশ চেপে ধরে আয়েশ করে শুয়েছিল সে৷ বাহুডোরে অনিন্দ্য সুন্দরী মেয়ের স্পর্শ পেয়ে ছিটকে উঠল হেলাল মিয়া৷ মেয়েটি খপ করে তার হাত চেপে ধরে খিলখিল করে হেসে বলল,"ভয় পাইছেন?"
কাঁপতে কাঁপতে হেলাল মিয়া বলল,"তুমি ক্যারা?"
"আমি আপনের কোলবালিশ৷"
"মাইয়া হইলা কেমনে?"
"একটা কথা কওনের লাইগা মাইনষের রুপ ধরছি৷"
"কি কথা?"
"লইজ্জা করে৷"
"কোলবালিশের আবার লজ্জা কি?"
মেয়েটি চোখ নামিয়ে বলল,"আমি পোয়াতি৷ তিন মাস হইছে৷"
এই পর্যন্ত লিখে মুন্তাকিম নিজেই খ্যাকখ্যাক করে হেসে উঠল৷ ঘটনাটা সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে৷ হেলাল মিয়ার ছানাবড়া চক্ষু কল্পনা করে সে বিছানায় গড়াগড়ি দিতে লাগল৷ মুহুর্ত তিনেকে পর সুস্থির হয়ে বুকের নিচে বালিশ চেপে আবার লেখা শুরু করল সে৷
আরামবাগের এক মেসে থাকে মুন্তাকিম৷ তার রুমমেট মতিঝিলে ব্যাংকের কেরানী৷ এই সময়টাতে সে অফিসে থাকে বলে রুমটা একান্তই নিজের করে পায়৷ গল্প লেখার জন্য খুব উপযুক্ত পরিবেশ৷
দরজায় শব্দ পেতেই কাজের বুয়া সাহিদার মা'কে দেখা গল৷ মুন্তাকিম জিজ্ঞাস করল,"কিছু লাগবে?"
সাহিদার মা বলল,"ভাইজান, আপনের লগে একখান কথা আছিলো"
এক সন্তানের জননী সাহিদা'র মা'র বয়স বেশি নয়৷ ত্রিশ পয়ত্রিশের আশেপাশে হবে৷ স্বাস্থ্য ভাল৷ রিক্সাচালক স্বামী ট্রাকের নীচে পড়ে মারা গেছে বছর চারেক আগে৷ এরপর আর বিয়ে হয়নি৷
মুন্তাকিম জিজ্ঞাস করলো,"কি কথা?"
"একটু পাক ঘরে আহেন৷"
"কি বলবা এখানেই বল৷ দেখতেছ না ব্যাস্ত আছি৷"
ঘরে ঢুকে পেছনের দরজা চাপিয়ে দিল সাহিদার মা৷ মাথার ঘোমটা আরেকটু লম্বা করে টেনে দিয়ে মেঝের দিকে তাকিয়ে সে বলল,"ভাইজান, আমি পোয়াতি৷ আইজ তিনমাস৷"
মুন্তাকিমের চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেল৷
মন্তব্য
দারুণ! লাস্টের টুইস্টটা হালকা অনুমান করতে পারলেও, আপনার বর্ণনা ভালো লাগছে।
অলমিতি বিস্তারেণ
ঠিক। গল্পটা যেভাবে আগাচ্ছিল তাতে ট্যুইস্টটা অনুমেয় হয়ে গেছে। তবে গল্প পড়ে মজা পেয়েছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
ধন্যবাদ গল্প পড়ার জন্য!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
হা হা হা
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম। দারুন হয়েছে গল্পটা।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
ব্যাস্ততার দরুন লেখা হয় না নিয়মিত। ধন্যবাদ!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
হাহা! মজা পেলাম... ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। ভাল লেগেছে। ফিরে পড়বার মত হয়েছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনেক ধন্যবাদ!
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
মজা পেয়েছি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ধন্যবাদ
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
নতুন মন্তব্য করুন