তিনলাইনের বিশেষ গঠনের কবিতা যদি 'হাইকু' হয়, তবে তিনলাইনের গল্প কী হবে? ভাবছি, এরকম কিছু গল্প বানানোর চেষ্টা করবো এখন। কিছুদিন আগে মুজিব মেহদী বর্ণমালা দিয়ে হাইকু বানিয়ে নাম দিলেন 'বাইকু'।
ইয়ে, 'গাইকু' হলে কেমন হয়? নাকি, 'ছোটকু'?
শীত পড়ে গেছে, আপাতত জানালা বন্ধ করেই শুই, ভবিষ্যতে হয়তো আরো গরম কিছু লাগবে, জৈব বা অজৈব। তাহলে, শুরু করা যাক:
১) "এই, আমি তুলছি, তুমি চট করে ঢুকিয়ে দাও না।"
"উঁম, উঁম, আহহ, আহা। এই যে সবটা ঢুকে গেলো। ঠিক আছে তো?"
শেষ হলো মশারি-গোঁজা।
২) "ভাবি, প্লিজ, তোমারটা খোলো না তাড়াতাড়ি। আমারটা তো খুললাম।"
"যাঃ, তোমার ভাইয়া এসে পড়বে।"
"ওমা, ভাইয়ার জন্যে কী বার্থডে গিফট কিনলে, তা একটু দেখাবে না?
৩) পিষে যাচ্ছে শরীরে শরীর; দেহগন্ধ তীব্র, নির্ভুল হয়ে উঠছে; ঠোঁট, হাত, মুখও মুহুর্মুহু অন্যের সাথে দেওয়ানেওয়া করছে, হচ্ছে পরিচিত।
প্রতিদিনই হয়, প্রতিদিনই, তারপরও, তারপরও...
লোক্যাল বাসের অফিসটাইমের এই ভিড় থেকে রেহাই কবে!
৪) ফোল্ডারটার নাম 'Choda'।
সৌরভ খুলছে ওটা, কাঁপছে আসন্ন অমৌলিক উত্তেজনায়।
কিন্তু ওয়ার্ড ফাইল কেনো; একি, সব তো ছড়া!
৫) সাবিনা হাতে তুলে নেয়, মুঠোয় পোরে বাদামি, শক্ত, শিরা-উপশিরাময় ভালোবাসার জিনিসটা।
আঃ, প্রবল আবেগে চুমু খায় সে ওটায়, নাকে এসে লাগে সোঁদা সোঁদা, বুনো বুনো বড় পরিচিত গন্ধটা, তীব্র ইচ্ছে জাগে কামড়ে দেওয়ার।
কতদিন অপেক্ষার পরে বনসাইটা হাতে পেলো সে।
৬) The boy tried
The girl sighed
A baby cried (এইটা কিন্তু হাইকু, সত্যিই)
৭) আরো লাগবে?
এখনো ঠান্ডা যায় নি?
ধুর্মশাই, বিয়েই করে ফেলুন তো!
মন্তব্য
ধুর্মশাই!
এতো দেখি অশ্লীল গন্ধে ভরা টুপি পরা দিল্লিকা লাড্ডু, পুরাই মৃদুল ভাইয়ের নিমকি ছড়ার মত, তবে একটা পার্থক্য আছে, উনার ছড়া সরাসরি খাইষ্টা ছিল, আপনে আবার ভালো মানুষের টুপি পরায় দিছেন, অনেক মজা পাইলাম। পাক্কা ৫ তারা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনাকে খ্রাপ জানতুম, এত খ্রাপ ভাবিনাই
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
প্রকাশ্য সুড়সুড়িটা ভালো লাগলো না ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
খ্রাপ হইছে। অনকে খ্রাপ।
হাসলাম ঠিকই, তবে এইধরণের লেখাগুলি Subtle না হলে একটু মোটা দাগের মনে হয়। এখানে বেশ কয়েকটি লেখা সে কারণে একটু অস্বস্তিকর লেগেছে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কল্পনার আনন্দ পাঠকের জন্যও কিছুটা রেখে দেয়া যেতে পারত।
আমার এক দুষ্ট বন্ধুর মুখে ছড়াটি শুনুন-
চিৎ করে শুইয়ে
মুঠ করে ধরি
যতক্ষণ পারি
ততক্ষণ করি।
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। শিল-পাটায় মরিচ পেষার বর্ণনা। হা... হা
পাঠশালাতে পড়ালেখা শেষ করে বাসায় এসে একটু আগে ভাত খেয়ে সচল খুলে পহেলা লেখাটা পড়েই আমার যে আমার অন্নপ্রশানের অন্নগুলাও পেট থেকে বেড়িয়ে আসার উপক্রম হবে তা জানলে এইটা পড়তামই না । আপনার লেখা পড়ে আপনার সম্পর্কে পাঠকদের মনে যে একটা রুচিশীল লেখকের ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছিলে এ ধরনের সস্তা চটি লেখা তাতে সক্রিয়ভাবেই প্রভাব বিস্তার করে । আমার মনে হয় যে রুচিশীল বিবেকবান সুশিক্ষিত লেখকদের সাথে রসময় গুপ্তের পার্থক্য থাকাটা অতি প্রয়োজনীয়, তাই নয় কি ? যেসব লেখক সূক্ষ্নমান ও সূক্ষ্নমনের লেখা লেখেন তাদের স্থূলমানের লেখা পাঠককে আহত করে বৈকি !
আপনে প্রফেসর গুপ্তকে এখানে কই পাইলেন? মোটা দাগেই পার্থক্য আছে, সেটা ধরতে ব্যর্থ হয়ে আপনে পোস্ট লেখককে উত্তপ্ত বানী ঝাড়তেছেন দেখে খুব হাসি পাইল। আপনে আহত হয়েছেন দেখে দু:খ লাগল, সাথে কিছুটা করুণাও, নিজের ব্যর্থতা অন্যের ঘাড়ে চাপানোর জন্যে। আরো ৩-৪ বার পড়েন ভালো করে পোস্টটা। তারপর মাজেজা বুঝার জন্যে মৃদুলদার নিমকি ছড়াও পড়ে আসেন। সচলায়তন কোন শিশুপাঠ্য এমন কোন ঘোষনা তো কেউ দেয়নি। এমন ব্যতিক্রমী লেখা তাই সবসময় সচলয়াতনে বৈচিত্র আনে এবং আরো আকর্ষনী্য করে তুলে। লেখককে আবারো
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
দারুণ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দ্রোহীদা ও মৃদুলদার প্রতিক্রিয়া জানতে ইচ্ছে হয়।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
চরম, শরম এবং খানিকটা গরম!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চিন্তা করছি কী মন্তব্য করবো?
হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া
হোম - টুইটার - ফেইসবুক - উইকিপিডিয়া - এ্যাকাডেমিয়া
টুইটার
অতিকল্পনা করলে ভাত তো উঠেই আসবে। আমার কাছে এটা একটা পিওর এন্টারটেইনমেন্ট। চালিয়ে যান ব্রাদার।
গুরুগম্ভীর অনুবাদের স্বাদ বদলাতেই কি এই হালকা চালের লেখা দিলেন নাকি ?? তা মন্দ হয় নি...
তবে কিছু জায়গায় আরেকটু সূক্ষ্ণ হলে রসটা বাড়তো বৈকি...
_________________________________________
সেরিওজা
হাসি ঠেকাতে পারলাম না
হ মামা, একটু মোটা দাগের হইসে, এটা কইতেই হয়। কিছুটা স্পেকিউলেশন থাকবো, কিছুটা রহস্য থাকবো, তাতেই না মজা জমে।
-মেফিস্টো
মজা পেলাম না তেমন। বেশির ভাগই জোর করে ছন্দ মেলানোর মতো হয়েছে, যেটা মৃদুল ভাইয়ের ছড়ায় হয় না। উনার ছড়া পড়তেই হয়, শেষে কি আছে সেটা জানার জন্য। আর আপনার গুলো পড়তে ভয় হচ্ছিল, শেষে কি জানি আসে সেটা ভেবে। এই হল মোটা দাগে পার্থক্য। হয়তো এটা আমারই ব্যর্থতা।
ভালো লাগে নি।
সচলায়তনে এই ধরনের 'রসিকতা' আশা করি না।
শিরোনামটি সবচেয়ে চোখে লেগেছে। ভাল লাগেনি।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বেহুদা আকাম, আমি টাস্কিত
কলেজ লাইফের ডিজুস আমলে পোলাপাইন এইগুলান মেসেজ কইরা পাঠাইতো, তখন মজা পাই আর জাঝা পাই সচলে এই বস্তু পইড়া পোষাইলো না। ফেইসবুকের বান্ধব(যারা সচল চিনতো না)'গরে ইদানীং সচল পড়তে বাধ্য করি, অরা এই 'সেইকু' পড়লে মান-ইজ্জত কই যায় টেন্শিত আছি। (
চটি।
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আমার মনে হয় আপনার চেষ্টাটা ভিন্নখাতে নিতে পারলে ভালো হবে। আদি রসাত্মক মানেই খারাপ নয়। তবে এখানে সুড়সুড়িটা আরোপিত মনে হয়েছে (৪ নম্বর বাদে)
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
আপত্তিকর
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
স্থুলতা হয়ত আপেক্ষিক। একই জিনিস কারো কাছে সুক্ষ্ম কারো কাছে স্থুল লাগতে পারে।
আবার আমার নিজস্ব মতে অশ্লীলতা বইলাও ফিক্সড কিছু নাই।
কিন্তু ফোরামের স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস ভায়োলেট করে কিনা, এই প্রশ্নটা জরুরি। এবং গুরুতর।
যদি ভায়োলেট করে তাহলে এই পোস্টটা সরানো যায়। কিন্তু আমার ধারণা এই পোস্ট দেয়ার ফলে লেখককে পেনালাইজ করার মতো কিছু হয় নাই।
আসলে, লেখক সবসময় একমাত্রায় লিখতে পারবেন এইটা প্রত্যাশা করা ঠিক না। সবাই মাত্রা বজায় রাখতে চান না/ পারেন না। সেইটা তার তার স্বাধীনতা, তার রিস্ক।
এবার লেখা বিষয়ে আমারা চিন্তাগুলা বলি:
১. "উঁম, উঁম, আহহ, আহা" - এই রকম সাউন্ড মশারি গোঁজার সময় কেউ করে বলে জানা নাই।
২. র্যাপ করা বার্থডে গিফট, যাকে ঐ গিফট দেয়া হবে সে আসার ঠিক আগে আগেই কেউ আবার খুলে ফেলবে/ফেলতে চাইবে এইটা কিঞ্চিত কষ্টকল্পনা।
৩. লোকাল বাসের ভীড়ে বিভিন্ন অঙ্গে সংঘর্ষ হয় ঠিকাছে, কিন্তু 'ঠোঁটে' মনে হয় না হয়। মানে ঠোঁটে-ঠোঁট যদি বুঝায়া থাকেন।
৪. রোমান হরফে বাংলা শব্দ লেখার বিপত্তি নিয়া একটা মজার ঘটনা।
৫. বনসাই খুবই ডেলিকেট একটা শিল্প। বনসাই যারা করেন তারা সাধারণত সেই বনসাই কামড়ায়া দেয়ার চিন্তা করেন না। উপরন্তু বনসাইয়ে বাদামী রংয়ের চেয়ে সবুজটাই মুখ্য। সবুজের বিষয়টা চেপে যাওয়া হইসে। কিছুটা তথ্যবিকৃতি গল্পের শেষটাকে মজবুত করার জন্য করা যাইতেই পারে। কিন্তু পাঠক এই বিকৃতিকে সবসময় সমর্থন নাও করতে পারেন।
৬.
Three lines
In English
But no Haiku
৭.
বিয়ের উদ্দেশ্য/উপযোগিতা নিয়ে একটি অতিপ্রচলিত ইঙ্গিতবাহী। এই একটা মাত্র, আমার বিচার বেশ স্থূল লাগল।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সচল এ এমন লেখা আশা করি নাই।বাজে লাগলো।
ভালো লাগে নাই!
সব পড়ে ২টা জিনিস ভালো লাগসে।
অনিন্দ্য রহমান এর ২টা কমেন্ট!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আপনার চটি কাব্য পড়ে কাজী নজরুলের কবিতা মনে পড়ল -
বৌদি, বৌদি কাপড় তোল,
পাগলা খেপেছে;
এখনি দু'ফোটা ঝড়িয়ে দেবে।
শানে নজুলঃ নজরুল কোন এক বৈশাখের দুপুরে রবি ঠাকুরের বাসায় এসে দেখেন যে উঠোনে কবি পত্নীর কাপড় শুকচ্ছে। আকাশে তখন মেঘের ঘনঘটা, বৃষ্টি এই নামলো বলে। তাই কবি পত্নীকে উঠোনে শুকোতে দেয়া কাপড় সহসাই তুলে ফেলার পরামর্শ দিতে আলোচ্য কাব্য প্রসব করেন।
অনন্ত আত্মা
স্থূল, আরোপিত ও কখনো-কখনো বিবমিষাউর্দ্রেককারী।
১.
লেখা নিয়ে তেমন কোন মন্তব্য নাই। সাহিত্যে অশ্লীলতার ধুয়া তুলে কোন কিছু বাদ দিতে গেলে বিশ্বসাহিত্যের একগাদা লেখা পড়া বাদ দিতে হবে।
সাহিত্যে অশ্লীলতা মোটাদাগেও হতে পারে আর সুক্ষাতিসুক্ষ ও হতে পারে। মৃদুলদার লেখাগুলো একই ধাঁচের হলেও শুরুতেই বলা থাকে "এই ছড়াতে ছন্দ আছে অশ্লীলতার গন্ধ আছে"। ফলে পাঠক এক ধরনের প্রস্তুতি নেবার সুযোগ পান। আপনার লেখাটিতে সে সুযোগ তেমন একটা ছিল না। বলা যেতে পারে একটা সুযোগ ছিল কিন্তু শিরোনামে "চটি" শব্দটা ব্যাকফায়ার করায় সেটাও মাঠে মারা গেছে।
২.
আমাকে গুপ্ত সাহিত্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানানোয় কষ্ট পাইলাম।
সবাই পাদ দেয় কিন্তু দোষ পড়ে ফজার।
কাকস্য পরিবেদনা
এটা পড়ে মনে পড়ে গেল কলেজের হোস্টেল লাইফ এর একটা ঘটনা। আমাদের এক এলেমদার বন্ধু অনেকগুলো পাতলা বই বাইন্ডিং করে ভলিউম বানিয়েছিল।
অনিন্দ্য রহমানের কমেন্টটা ব্যাপক লাগলো...
"চৈত্রী"
বেশ কিছুদিন আসা হয় নি পারিবারিক ও ব্যক্তিগত নানা বাধ্যবাধক দায়িত্ব ও কর্তব্যপালনে ব্যস্ত থাকায়!
এখন দেখি এযে ধুন্ধুমার কাণ্ড!
কিন্তু, আমার বক্তব্য এখন শুনবে কে? বলার তো ছিলো বেশ কিছুই। মানবেই বা কে? ভাঙা হাটে চেঁচালেও গলাই ভাঙবে, সে-কথা পৌঁছুবে কারই বা কাছে?
যাক, শেষ কথা হলো, অত্যন্ত কষ্ট এবং গ্লানি অনুভব করছি 'চটিলেখক' হিসেবে পরিচিত হওয়ায়। অন্তত এই বাসনা যে ছিলো না কখনো, তা অন্তরাত্মা জানেন।
যদিচ, কিছুটা risque ইঙ্গিত দিয়ে ১-৫ (৬ আর ৭ ফিলার, তদুপরি ৬ সংগ্রহ) শুরু হয়, কিন্তু, শেষ তো হয় সুস্পষ্টভাবেই ডিসক্লেইমার দিয়ে। শিরোনামটাতেও ব্যাপারটার ইঙ্গিত ছিলোই। 'যা-ভাবছেন-তা-নয়' গোছের এই হালকা রম্যধাঁচের লেখাটায় 'যা-ভাবছেন' সেটাই মুখ্য করা হলে তো মাঠে এবং ব্লগে নিতান্তই মারা যাই। এযেন "রবীন্দ্রনাথ ক্ষমতাগ্রহণ উপলক্ষে মুসোলিনিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, কিন্তু, পরে তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পারেন" বাক্যের শুধু প্রথমাংশের মর্মই গ্রহণ করে রবিকবির উপর অজস্র বাণ বর্ষণ। [এখানে আবার আরেকটা অস্বীকার্য দিতে হবে: এটা রবিবাবুর সাথে আমার তুলনা নয় মোটেই, স্রেফ একটা উপমা।]
যাহোক, যদি পাঠক গড়পড়তা ধরে নেন যে, এটা একটা কুৎসিত, আরোপিত, স্থূল, বিবমিষোদ্রেককারী, আদিরসাত্মক রচনা; তাহলে হয়তো তাই, যেটা আমি লিখতে চাই নি, লেখার কথা ঘোরতর দুঃস্বপ্নেও ভাবি নি। এই গ্লানি বহন করার ক্ষমতা আমার যে নেই, সেটা বোধগম্য হচ্ছে, কিন্তু, দায়ভার, অগত্যা, বহন করছি আমার বর্তমান আরো হাজারো দুর্বহ ভারের মতোই।
লেখাটা মুছেই দিতাম তখন হয়তো, হয়তো না, কিন্তু, এখন আর কী-ই বা লাভ। অবশ্য, মোছাটাও ঠিক হতো না, অন্তত আমার দৃষ্টিতে। অযথা 'পলিটিক্যালি করেক্ট' হওয়ার ভান করাটা ভণ্ডামি। সুতরাং, থাক এই লেখাটা আমাকে একজন পারভার্ট, গ্রস, আনকালচার্ড, রাস্টিক, আগলি লেখক ও মানুষ হিসেবে পরিচিত করার জন্যে। (জনসাধারণ ব্যাপক 'গুপ্তসাহিত্য' পাঠে আগ্রহী দেখা যায়, লেখার হিট বিবেচ্য!)
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি অনিন্দ্যের কাছে, অন্তত ব্যাপারটা সম্পর্কে একটা বিশ্লেষণী সমালোচনা জানানোর জন্যে। এধরনের আলোচনার জন্যেই সচলের লোভ ছাড়তে পারি না। লেখাসংক্রান্ত তাঁর আপত্তির কিছু জবাবও আমার কাছে ছিল, কিন্তু, আর ইচ্ছে করছে না। সুহানের কথাই ঠিক, একটা রিলিফ হিসেবেই লেখাগুলো লেখা, তবে, যা প্রাপ্তি হলো, তা বহনের ভার আমার হবে না, এটা এই মন্তব্য লিখতে লিখতেই বুঝতে পারছি।
যাক, যা বুঝলাম, সবাই সমান নয়, কেউ কেউ একটু বেশিই সমান। আমার লেখার কারণে যদি সচলায়তনের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার বা অন্য কোনভাবে মালিন্যগ্রস্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, তাহলে সচল কর্তৃপক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করি, কিন্তু, আমার ধারণা ছিলো লেখাটা যেহেতু অনুমোদিত হয়েই সচলায়তনে প্রকাশিত হয়েছে, তাই কর্তৃপক্ষীয় ইতিবাচকতা লেখাটা পেয়েই গেছে।
আর বিশেষ কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। বিদায় নেওয়ার ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু, তাহলে যে সুস্পষ্ট পরিচিতি লাভ হয় 'গুপ্তসাহিত্যিক' হিসেবে, হয়তো অনেকে হাঁপ ছেড়েও বাঁচবেন। কিন্তু, আমার প্রচণ্ড বন্ধ্য, নির্বান্ধব, নিরানন্দ, মর্মান্তিক কষ্টময় জীবনে সচল একটুকরো সবুজ অক্সিজেনের নাম এবং প্রেরণা। তাই, আপাতত এর লোভ ছাড়তে পারছি না, দুঃখিত। কিন্তু, কথা দিচ্ছি, চেষ্টা করবো যথাসম্ভব শিগগিরিই সচলকে অন্তত আমার কলঙ্কমুক্ত করার, জানি না রাখতে পারবো কতটা।
দ্রোহীর কাছে নিবেদন: আপনাকে কোন কিছুর 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' বানানোর ইচ্ছে আমার কখনো ছিলো না। স্রেফ এইরকমের লেখার 'হিউমার'টা আপনি বেশ ভালো বুঝতে পারবেন, এই বিবেচনায় উৎসর্গ। জানি, আপনি আমায় বুঝতে পেরেছেন। আশা করি, ভুল জানি নি।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
সমালোচনা হয়েছে বলে খারাপ লাগতে পারে, তবে নিজেকে নীচু মনে করার কোন কারণ নেই। আর বিদায়ের প্রশ্নই বা আসবে কেন? টেক ইট ইজি।
লেখা মোছার কোনো দরকার নেই...বিদায় নেওয়ারও কোনো দরকার নেই। এই লেখা থেকে আপনার লেবেলড হওয়ারও কোনো কারণ নেই। একজন লেখকের লেখা হবে নানা মুখী এবং সকল লেখা সব পাঠকের পছন্দ হবে এটা ভাবাও অনুচিত।
সচল আমার জন্যও ব্রিদিং স্পেস। এটা থেকে যেমন দারুণ আনন্দ পাই, তেমনি অনেক ব্যাপারে নিদারুণ কষ্ট লাভও হয়। কিন্তু জগতে কোনো সুখই অবিমিশ্র নয়, এটাই সত্য। এই সামান্য ব্যাপারে আপনার সচল ছাড়ার কথা ভাবাও অন্যায়।
সুতরাং দেরি না করে পরের লেখার শুরু করে দিন। আপনি আমার পছন্দের লেখকদের একজন তাই আমার দাবী আমি জানিয়ে দিয়ে গেলাম।
সচল থাকুন...সচল রাখুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সত্যি বলতে, আপনার দীর্ঘ নীরবতায় আমিও আশ্চর্য হয়েছিলাম। উত্তর দিতে দেখে ভালো লাগল, তবে উত্তরটা ভালো লাগল না। একটু বেশি সেন্টিমেন্টাল লাগল। কদিন আগেই আমার মজা করার উদ্দেশ্যে লেখাটিও কিছু সচল সিরিয়াসলি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন, তাই অভিজ্ঞতা থেকে বলি, এত গ্লানিলিপ্ত হয়েন না। হাচল হবার তো এইটাই মজা, লেখা ছাপানোর আসল দায় ফ্যাসিস্ট মডুদের, বাজে লেখা ছাপালে পাঠকরা তাদেরই ধমকধামক লাগাবে, আবার লেখাটা আপত্তিকর হওয়া সত্ত্বেও ছাপিয়ে আপনাকে বকা খাওয়ানোর দায়ও তাদেরই।
ফ্রেশ ফ্রেশ কিছু লেখা ছাড়ুন, এসব বিতর্ক শীঘ্রই অতীত হয়ে যাবে। সচল থাকুন।
লেখক কম্যুনিটিত মাইনষ্যে মাঝে মাঝে হেইরম্যা বকিবু। হিইন লইয়ারে বেশী মাথা ঘামান'র কিছু নাই। অঁনে ভালা ভালা লেখা পোস্ট দেঅন তাড়াতাড়ি।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আপনার মন্তব্য দেখে ভালো লাগতেসে। এখন আবার নিজের মতো লিখতে থাকেন। দরকার পড়লে আবার সমালোচনা করব। আপনিও জবাব দিবেন। এইগুলা চলবেই। আপনার নীরবতায় উদ্বিগ্ন ছিলাম। ফিরে আসছেন, ধন্যবাদ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নতুন মন্তব্য করুন