[j]চট্টগ্রামের অন্তঃপাতী প্রত্যন্ত গ্রামে নিজের খড়ো ঘরে তেলের পিদিম জ্বেলে মাতৃকুলনাশন পরীক্ষার জন্যে রাত জেগে আধোঘুমে প্রস্তুতি নিতে নিতে তিনি নিশ্চয় কখনো ভাবেন নি তাঁর পৌত্র একদিন কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কারের একটা দলকে সফল নেতৃত্ব দেবে।
এমনও হয়।
ইউসিএফের (UCSF=ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, স্যান ফ্র্যান্সিসকো) স্কুল অব ফার্মেসি এবং মেডিসিনের যুগ্ম বিভাগ বায়োইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড থেরাপিউটিক সায়েন্সেসের সহকারী অধ্যাপক বাঙালি বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ড: শুভ রায় নেতৃত্ব দেন প্রায় তিন বছর ধরে-চলা একটা প্রকল্পের, বায়োআর্টিফিশিয়াল বৃক্ক আবিষ্কার। এবং, সফল হন।
সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে নিজেদের ওয়েবসাইটে ইউসিএসএফ এই আবিষ্কারের গর্বিত ঘোষণা দেয়। ডঃ রায়ের স্নাতক (আন্ডারগ্রাজুয়েট) সনদপ্রাপ্তি ওহিওর আলিয়ন্সের মাউন্ট ইউনিয়ন কলেজ থেকে। পিএইচডি করেছেন তিনি তড়িৎ প্রকৌশলে। এখন পুরোপরি নিযুক্ত আছেন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। মেমস (MEMS=Micro-electromechanical Systems) প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানান চিকিৎসাসম্বন্ধীয় যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি তরুণ উদ্ভাবক হিসেবে পেয়েছেন টিআর৩৫ পুরস্কার, বায়োটেক শ্রেণীতে। তাঁর কিছু আবিষ্কারের বর্ণনা এই পাতায় লভ্য।
http://www.flickr.com/photos/49387950@N02/5240317543/
তাঁদের দলটা কাজ করছে আরো প্রায় দশটা দলের সাথে সারা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। এরমধ্যে আছে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক, যেখানে ডঃ রায় প্রথম এই যন্ত্রটার ব্যাপারে কাজ শুরু করেন। এছাড়া নাম আছে কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান, ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির।
এর আগে ২০০৪ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজিস্ট (রেচনাঙ্গ বিশেষজ্ঞ) ডেভিড হিউমস একটা গবেষণায় দেখান যে, যেসব রোগীদের বৃক্ক কাজ-করা বন্ধই করে দিয়েছে, তাদের জন্যে কক্ষাকৃতি পরিশোধন যন্ত্রে মানব বৃক্কের কোষ ব্যবহার করে তাদের স্বাস্থ্যের বেশ উন্নতি ঘটানো যায়। আর, এরপরে ডঃ রায় এবং ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের নেফ্রোলজিস্ট উইলিয়াম ফিসেল একটা অতিক্ষুদ্র ছিদ্রময় সিলিকন ঝিল্লি তৈরি করেন, যেটা ডায়ালাইসিস যন্ত্র ছোটমাপের করার সুযোগ এনে দিয়েছে।
হিউমস বৃক্কের কোষগুলো প্রয়োজনানুসারে গবেষণাগারে কালচার করার উপায় উদ্ভাবন করেছেন। স্রেফ একটা বৃক্ক থেকেই মোটামুটি ১ লক্ষ যন্ত্রের জন্যে দরকারি কোষ কালচার করতে পারেন তিনি। এছাড়া, ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্যে সেগুলো শীতক কক্ষে সংরক্ষণের সেরা পদ্ধতিও তিনি আবিষ্কার করেছেন। হিউমস রক্তশোধক এবং বায়োরিএ্যাক্টরের সমন্বয় ঘটিয়ে প্রথাগত RRT [Renal Replacement Treatment]-কে চ্যালেঞ্জ জানান। তাঁর পিয়ার-রিভিউড প্রকাশনায় তিনি RAD [Renal Assist Device]-র সাফল্য নিয়ে আশা জাগান, বলেন RAD-এর অসুস্থদের বাঁচিয়ে রাখার ক্ষমতা RRT-এর চাইতে অনেক বেশি। সাধারণত, বৃক্ক প্রতিস্থাপন এবং ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে রক্তশোধন-এদুটোই ESRD [End Stage Renal Disease]-এর রোগীদের জন্যে RRT [Renal Replacement Treatment] হিসেবে কাজ করে। ১০ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে ৬ জনই ৩০ দিনের ওপরে বেঁচে থাকেন। তাঁদের রোগ ছিলো একদম প্রান্তিক অবস্থায়।
তাঁর একটা সাক্ষাৎকার পাবেন এখানে। তাঁর ওপর টেকনোলজি রিভিউর একটা লেখা এই সূত্রে প্রাপ্তব্য।
প্রথাগত বৃক্করোগের চিকিৎসায় সর্বোত্তম চিকিৎসা হতে পারে বৃক্ক প্রতিস্থাপন। এরপরে, সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে আছে ডায়ালাইসিস। কিন্তু, এদের নানা সমস্যা আছেই।
যেমন: বৃক্ক প্রতিস্থাপন করার জন্যে দাতার অভাব। পরিসংখ্যান জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে শুধু অগস্ট মাসের হিসেবে প্রায় ৮৫,০০০ রোগী অপেক্ষমাণ তালিকায় নাম লিখিয়ে ঊর্দ্ধনেত্র হয়ে আছেন একটা বৃক্কের আশায়। তার বিপরীতে গোটা বছরে পেয়েছেন মাত্র ১৭,০০০ জন। ভারতে প্রতিবছর প্রায় ১.৫ লক্ষ রোগী আক্রান্ত হচ্ছে CKD [Chronic Kidney Disease]-তে, নতুন বৃক্ক প্রতিস্থাপিত হচ্ছে মাত্র ৩,৫০০ জনের আর ৬,০০০ থেকে ১০,০০০ জন নিচ্ছেন ডায়ালাইসিস। বাকিরা দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণ করেন, কারণ: চিকিৎসার সুযোগ এবং অর্থের অভাব। বাংলাদেশের সেরকম পরিসংখ্যান জানা না থাকলেও এটুকু জানা যায় যে, অন্তত দুকোটি লোক এমুহূর্তে বৃক্কসংক্রান্ত রোগে ভুগছেন। প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেন এই রোগে। এরমধ্যে শিশুরাও আছে। একজন নেফ্রোলজিস্টের মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে CKD [Chronic Kidney Disease]-তে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫-১৭ শতাংশ। ধর্মীয় আচ্ছন্নতা বা অজ্ঞানতা ইত্যাদি নানা কারণে বৃক্কদাতাদের সংখ্যা অত্যন্ত কম পর্যায়ে এদেশে বা অন্যত্রও।
এছাড়া, বৃক্ক প্রতিস্থাপন করলেও সারাজীবনও খেয়ে যেতে হবে নানা ওষুধ, যা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। প্রক্রিয়াটাই ব্যয়বহুল। বৃক্ক প্রতিস্থাপনের খরচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯০,০০০ ডলার। এরমধ্যে অস্ত্রোপচারের খরচ এবং প্রথম বছরের এ্যান্টি-রিজেকশন ড্রাগের খরচ অন্তুর্ভুক্ত। এছাড়াও, এরপরে প্রতিবছরই প্রায় ১৬-২৫,০০০ ডলার খরচ পড়ে। ভারতে অস্ত্রোপচারের খরচ পড়ে প্রায় ১৫-২০,০০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে হয়তো খরচটা আরো কম হবে। তবে, টিস্যু ম্যাচিং না হলে স্রেফ বৃক্ক পেয়েও তো লাভ নেই। এরপরেও একটা ঝুঁকি থেকে যায়। দাতার শরীর থেকে গৃহীত বৃক্কের মাধ্যমে রোগজীবাণুও প্রবেশ করতে পারে গ্রহীতার দেহে।
একারণে, অনেকে ঝোঁকেন বা ঝুঁকতে বাধ্য হন ডায়ালাইসিসের দিকে।
ওটার যন্ত্রণা আরো বেশিই। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার যেতে হয় হাসপাতালে, থাকতে হয় তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা। ওতে শুধু রক্ত বিশোধনই হয়, বৃক্কের অন্য শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো, যেমন: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ভিটামিন ডি উৎপাদন, বেশ কিছু বিপাকীয় এবং হরমোনসংক্রান্ত কাজ ইত্যাদি কিছুই করা হয় না। তাই, রোগী ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে। ডায়ালাইসিস নিয়ে বেঁচে থাকা যায় সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত। কার্যকর বৃক্কের তুলনায় ডায়ালাইসিস মাত্র শতকরা ১৩ ভাগের মতো কার্যকর, আর এটা চালিয়ে পাঁচ বছর বেঁচে থাকেন রোগীদের মাত্র ৩৩-৩৫ ভাগ। যাঁরা মৃত্যুবরণ করেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই মৃত্যুর কারণ হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে ডায়ালাইসিসের খরচ পড়ে বছরে প্রায় ৭৫,০০০ ডলার।
এতোশত ঝামেলার পরও এখন অবধি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় ৪ লাখ আর পৃথিবীজোড়া প্রায় ২০ লাখ রোগী তাঁদের রক্তশুদ্ধি ঘটাচ্ছেন ডায়ালাইসিস করে। কারণ, ভালো বিকল্পের অভাব।
ডঃ রায়দের দলটি ঠিক এখানেই হাত দিয়েছে। তাঁদের যন্ত্রটি দূর করতে পারবে CKD-এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত পদ্ধতির অনেক অসুবিধেই। দাবি প্রমাণের স্বপক্ষে এখন তাঁরা একটা কফিকাপের সমান প্রোটোটাইপ বানিয়েছেন। সাফল্য দাবি করতে গিয়ে তাঁরা পরীক্ষাও চালিয়েছেন বেশ কয়েক ডজন ইঁদুর আর নাম-না-জানা গন্ডাখানেক শুয়োরের ওপর। তাঁদের দাবি, যন্ত্রটা বেশ ভালোভাবেই কাজ করেছে ওখানটায়। কিন্তু, মানবদেহের ওপর পরীক্ষা তাঁরা এখনো সেরকমভাবে চালান নি।
তবে এখনো তাঁরা বলছেন না যে, বৃক্ক প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়াটিই তাঁদের যন্ত্রের মাধ্যমে বাসি হয়ে পড়বে। বরং, তাঁর সহগবেষক ফিসেলের মতে, "বৃক্কে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ধরনের কোষ থাকে, নানানটার নানা কাজ। আমরা প্রধানত রেচনাঙ্গ ব্যর্থতার ভয়াবহ ব্যাপারটা সমাধানেই আগ্রহী। আপনি যদি বৃক্ক পাওয়ার জন্যে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকেন, তাহলে এই যন্ত্র আপনার অপেক্ষাটা সার্থক করবে।" তাঁর বক্তব্য, যেসব রোগী অপেক্ষমাণ তালিকায় আছেন, এটা তাঁদের বৃক্ক চাহিদা আর প্রাপ্তির সেতুবন্ধন ঘটাবে।
এবার আসা যাক যন্ত্রটা কিরকম এবং কেমনভাবে কাজ করে সেটা একনজর দেখে নিতে। স্যুপের টিনের মাপের যন্ত্রটার একটা প্রতিরূপও এর মধ্যে তাঁরা তৈরি করেছেন। ওটার মূল অংশ দুটো:
১) এর অর্ধেক অংশ জুড়ে আছে শরীরের বিষ(টক্সিন)মোচন অংশ। ওটায় হাজারো সিলিকন ঝিল্লি একসাথে জুড়ে দেওয়া আছে। ওই ঝিল্লির খুদে ছিদ্রগুলো এতো ঘন আর এতো নিখুঁতভাবে তৈরি করা যে, তারা শরীরের নিজস্ব রক্তচাপ ব্যবহার করেই (অর্থাৎ, বাইরের কোন শক্তির ধার না ধেরেই) পরিস্রাবণ প্রক্রিয়া চালু রাখতে পারে। এই ছাঁকনিগুলোর ভেতর দিয়ে রক্ত বয়ে যাবে, আর পরিস্রুত দ্রবণ হিসেবে আলাদা হয়ে বেরিয়ে আসবে বিষ, শর্করা, জল আর লবণ।
বিশুদ্ধ রক্ত আর জলীয় পরিস্রুত দ্রবণ দুটোই এবার যন্ত্রের বাকি অর্ধাংশে যাবে, ওটা একটা আলাদা বদ্ধ অংশ, একটা বায়োকার্ট্রিজ।
২) ওখানে আছে আরো সিলিকন ঝিল্লি, ওগুলো নির্দিষ্ট একরকমের মানববৃক্কের কোষ দিয়ে মোড়ানো। ওপরে-বলা পরিস্রুত রক্ত আর দ্রবণ দুটোই যখন এই বদ্ধ অংশের (বায়োকার্ট্রিজ) ভেতর দিয়ে যায়, তখন যন্ত্রটা কিছুটা জল, শর্করা আর লবণ শুষে নেয়, তৈরি করে ভিটামিন ডি আর রক্তচাপ খুব কমে-যাওয়া রোধ করে। শরীরে বৃক্ক এই কাজগুলোই করে, কিন্তু ডায়ালাইসিস করে এগুলো পাওয়া যাবে না।
যেসব বর্জ্য আত্মীকৃত হলো না একটা নল সেগুলো বয়ে নিয়ে যাবে মূত্রনালীতে আর সেগুলো বর্জ্য হিসেবে ব্যহ্ যায়েগা-ঠিক যেমন কিনা আপনার শরীরের পাম্প মেশিন আকা কিডনি করছে।
এই ইউটিউব ভিডিওটা দেখলে ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট হবে আশা করা যায়:
রক্তচাপের চাইতেও কম চাপে এই যন্ত্র কাজ করতে পারে, যেটা কিনা বিশাল একটা প্রাপ্তি, এতে করে এটা মাপে ছোট করার সম্ভাবনাও বেড়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য গবেষক দলগুলো এখনো শুধু রক্তশোধন প্রক্রিয়া নিয়েই কাজ করছে, কেউ কেউ চেষ্টা করছে পরিধানযোগ্য বৃক্ব বানানোর, সমস্যা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ তরল বাইরের পাম্প ছাড়াই কিভাবে বিশোধন করা যাবে সেটা। এরকম একটা যন্ত্র এরই মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে আছে। কিন্তু, নিরন্তর ডায়ালাইসিস করেও তো বৃক্কের অন্য কাজগুলো করা যাবে না। এখানেই, নীরবে সবার ওপরে ডঃ রায়ের দলটি।
তাঁরা আশা করছেন আরো অর্থের যোগান আর দলগত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে তাঁরা বড়মাপের পশু এবং এরপর মানুষের ওপর তাঁদের যন্ত্রের যথার্থতা পরীক্ষা করবেন। তবে, সাধারণ মানুষের নাগালে আসতে আরো প্রায় ৫-৭ বছর লাগবে বলে ডঃ রায় জানান। যদি ঠিকভাবে বাজারজাত করা যায়-এরমধ্যে এফডিএ-র অনুমোদন এবং আরো কিছু মেলে-তাহলে এটার দাম পড়বে প্রায় ২৫,০০০ মার্কিন ডলার, মানে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭,৫০,০০০ (সাড়ে সতের লক্ষ) টাকা। তবে, এটা এককালীন খরচ। নিতে হবে না কোন বাড়তি ওষুধ, যেমনটা হয় বৃক্ক প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে, টিকবে অনেক দিন (গবেষকদের দাবি), শুধু মাঝেমধ্যে হয়তো একটু-আধটু মেরামতের প্রয়োজন দেখা দেবে।
যেটা বলা, আরো পাঁচ-সাত বছর সমস্যা নয় যদি যন্ত্রটা আসলেই কাজ করে। আরো সমস্যাও রয়ে গেছে সমাধানের জন্যে। যেমন, আমাদের প্রাকৃতিক বৃক্ক দিনে প্রায় ৯০ লিটার জলীয় দ্রব্য পরিস্রাবণ করে। সেখানে এখনো তৈরি-করা বায়োকার্ট্রিজটা দিনে মাত্র ৩০-৩৫ লিটার জল পরিস্রাবণের ক্ষমতা রাখে, যেখানে অন্তত ৪৩ লিটার পরিস্রাবণ করতেই হবে। আরো দেখতে হবে যন্ত্রটা যেন রক্ত জমাট বাঁধিয়ে না ফেলে বা ইমিউন রিএ্যাকশন তৈরি না করে। পথটা নেহাৎ ছোট নয়। তাঁদের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি, কারণ, মানুষের জন্যে এর উপকারিতা অবর্ণনীয়।
এবার, আরেকটা অংশে আসি।
ভারতীয় মিডিয়াগুলো ডঃ শুভ রায়কে ভারতীয় বা ভারতীয়-আমেরিকান হিসেবে প্রচার করে বেশ আত্মশ্লাঘার ঢেঁকুর তুলছে। যদিও নিউ কেরালার এই লেখাটায় তাঁর জন্ম বাংলাদেশে, তাঁর আত্মীয়স্বজন অনেকেই বাংলাদেশে এখনো আছেন বলে বলা হয়েছে (তাঁর ভাষায়, "আমার বাবার দিকের প্রায় আত্মীয়েরাই এখন ভারতে, মায়ের দিকের বেশিরভাগই বাংলাদেশে), তারপরও রিপোর্টটার শুরুতে তাঁকে পরিচিত করিয়ে দেওয়া হচ্ছে 'ভারতীয় বংশোদ্ভূত' হিসেবে। সিএনএন-আইবিএন, ভারতের একটা খবরের চ্যানেল, তাঁকে ভারতীয় দাবি করে রীতিমত একটা রিপোর্টিঙই করে ফেলে।
এখানে, ভারতীয় মিডিয়ায় এই সাফল্যের ওপর হুমড়ি খেয়ে-পড়ার একটা বিবরণ দেওয়া হলো।
হিসেবে দেখা যায়, ইউসিএসএফের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরে MIT-এর পত্রিকা টেকনোলজি রিভিউ-তে এই আবিষ্কারের বিবরণ দিয়ে একটা লেখা আসে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে। এরপর ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রথম লেখাটা আসে সম্ভবত নিউ কেরালা ডট কমের এই লেখার মাধ্যমে, যেটার তারিখ ৩ ডিসেম্বর। এরপর, রীতিমত রিপোর্টিং ঝড়।
১। নিউ কেরালা
৬। রিডিফ নিউজ
৭। 24x7
৮। আইবিএন লাইভ
আর এখন গুগল গুপ্তকে হুকুম করলে যেসব ভুক্তি আসবে, তার শতকরা নব্বই ভাগই ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে ভর্তি, 'ভারতীয়' বা 'ভারতীয়-বংশোদ্ভূত' এক বাঙালি গবেষকের সাফল্যের খবরে। আমাদের দেশের প্রচলিত পত্রিকা 'কালের কণ্ঠ' ৫ ডিসেম্বর আনন্দবাজার পত্রিকার বরাত দিয়ে এসংক্রান্ত খবর ছাপায়, যেখানে যথারীতি তাঁকে 'ভারতীয়' হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতীয় গণমাধ্যমে নিউ কেরালা ডট কমের লেখায় তাঁকে বাংলাদেশের জন্মসূত্রে নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করার পরও কেন এই ছিনতাইপ্রবণতা? যতদূর জানি, তাঁর পাসপোর্টটিও বাংলাদেশের। পাল্টা প্রশ্ন আসতে পারে, কেন তিনি বা তাঁর পরিবারই নীরব এব্যাপারে? এর উত্তর আমার কিছুটা জানা। তবে, সব এখানেই বলা যাবে না। এটুকু বলি, তাঁর পরিবার বাংলাদেশি গণমাধ্যমে কিছুটা প্রচারের জন্যে চেষ্টা করছে।
তাঁর কিছু পৈত্রিক বিবরণ দেওয়া যাক তাহলে। তাঁর পিতামহ চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার/থানার রোসাঙগিরি গ্রামের বাসিন্দা। মাধ্যমিকে তিনি একটি ছাড়া (এ্যাডিশনাল ম্যাথমেটিক্স) সব বিষয়ে লেটার নিয়ে সসম্মানে কৃতকার্য হয়েও অর্থাভাবে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে পারেন নি। মানবিকে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চতুর্থ হয়েছিলেন সব পরীক্ষার্থীর মধ্যে। তাঁর সম্মানে চট্টগ্রাম কলেজ ছুটি দেওয়া হয় এক দিনের জন্যে। এরপর তিনি শহরের জে. এম. সেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, নাজিরহাট মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং কানুনগোপাড়ার স্যার আশুতোষ কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে কাটান শিক্ষক জীবন। শেক্সপিয়ারসমগ্র বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন ছন্দোবদ্ধভাবে; গীতা, চণ্ডী ইত্যাদি অনুবাদ করেছিলেন ইংরেজিতে; ছাপা হয় নি একটিও। 'প্রফেসর নগেন বাবু' অনেক প্রবীণের কাছে এখনো শ্রদ্ধেয়, স্মরণে।
তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ডঃ অশোক নাথ রায় চিকিৎসক, কিছুদিন শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে, কাজের জন্যে পরে চলে যান উগান্ডায় ১৯৭২ সালে। তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ডঃ শুভ রায়, কনিষ্ঠ ডঃ জয় রায় (জন্ম ১৯৭১-এর ডিসেম্বরে, তাই এই নাম), যিনি এখন কাজ করছেন সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটে, যেটা নোবেল পুরস্কার দেয়।
ডঃ শুভ রায়ের পিতা চট্টগ্রামের একটা পরিচিত ক্লিনিকের এম ডি হিসেবে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন। বাকি বিবরণ বোধহয় অপ্রাসঙ্গিক।
এবার বলুন, তিনি ঠিক কিভাবে 'ভারতীয়' হয়ে যান? আর, গণমাধ্যমগুলোর এই মানসিকতাটা-ই বা কিরকম? তিনি ভারতে থাকেন না (তাঁর আত্মীয়দের মধ্যে কেউ কেউ থাকেন), তিনি ভারতে পড়াশুনো করেন নি, তিনি এই আবিষ্কারটাও ভারতে বসে করেন নি, বিয়েও করেন নি ভারতীয় কোন রমণীকে, স্রেফ মাঝেমধ্যে ভারতে বেড়াতে আসেন বলেই তিনি 'ভারতীয়' বা 'ভারতীয়-বংশোদ্ভূত'? হরগোবিন্দ খুরানা জন্ম নিয়েছিলেন বর্তমান পাকিস্তানে, পড়াশোনা স্নাতকোত্তর অবধি করেছিলেন লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১৯৬৮-তে নোবেল পাওয়ার আগেই আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন ১৯৬৬ সালে, ভারত ছেড়েছিলেন ১৯৪৫-এর দিকে, যদিও এর পরে কিছুদিনের জন্যে এসেছিলেন, তারপরও তিনি 'ভারতীয় নোবেলবিজয়ী'! পাকিস্তানি নয় কেন? কিপলিং, রস-এঁরাও তো তাই। শুভ রায়ও কি এই দলে ঢুকে যাচ্ছেন? মানতে ভালো লাগছে না। এরপর, তিনি আরো কোন পুরস্কারে ভূষিত হলে কি আমরা দেখবো আরেক 'ভারতীয়' বিজ্ঞানীর সাফল্যগাথা, আর হাততালি দেবো কিছুটা, কারণ তিনি 'ভারতীয় বাঙালি'?
আলেকজান্ডার সাধে বলেছিলেন,....?
যুক্তির খাতিরে স্বীকার করতে বাধ্য:
১) তিনি এই মুহূর্তে ভারতীয় হোন বা বাংলাদেশি, তাতে কিছু্ই আসলে যায় আসে না। দুটোর কোন দেশে থাকলেই এই কাজ তাঁর হাত দিয়ে বেরুনো সম্ভব ছিলো না। আবিষ্কারটা এখন তিনি পেটেন্ট নিলেও সেটা মার্কিনি গবেষণা হিসেবেই চিহ্নিত হবে আবিশ্ব, ওটা বাজারজাত করবেও হয়তো কোন মার্কিনি প্রতিষ্ঠান। তবে, সেটা বোধহয় ভিন্ন প্রসঙ্গ, নয়? ব্রেন ড্রেন বা আরো কিছু....।
২) বাংলাদেশি হিসেবে নন, তিনি একজন বিজ্ঞানী হিসেবেই সমগ্র বিশ্বে পরিচিত হবেন। তবে কি, এরকম কৃতিত্ব আমাদের সন্তানদের মধ্যে খুব একটা বেশি নয়। তাই, আরো বেশি করেই তো এটা আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে করে।
তারপরও, সহজভাবেই বলি। বাংলাদেশের কোন নাগরিক পৃথিবীতে সাফল্যের সিঁড়িতে উঠেছে, এটা দেখতে আমি অসম্ভব ভালোবাসি। গর্ববোধ করি।
এটুকুও চুরি হয়ে যাওয়া দেখতে হবে?
একদম রাজি নই।[/j]
মন্তব্য
মাঝে মাঝে ডুব দেন কই?
তাড়ার উপর আছি। খাতা দেখছি। পুরোটা পরে এসে পড়ে যেতে হবে।
ডুবি না তবে, স্রোতের সাথে ভেসে যাই, আটকে থাকতে চাইলেও সম্ভব হয় না।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
পুরোটা পড়লাম, এবার মন্তব্য জানাই ঠিকমত। তখন শুধু শুরুর অংশটা দেখে ভাবছিলাম আপনি বোধহয় ওনার আবিষ্কার নিয়েই আর্টিকল লিখেছেন একটা, শিরোনামের তাৎপর্য বোঝার মত জায়গায় যাই নি।
দেশের পত্রিকাগুলো পড়ে আমারও ধারণা হয়েছিল ইনি ভারতীয় বংশোদ্ভুত। এখন দেখছি ঘোটালা হ্যায়। তবে বলতে পারি, এই বিষয়ের বিচার করলে কিন্তু 'রায়' আমাদের দিকেই যাবে। কারণ আর কিছুই না। এনার পদবী যদি ইসলাম কি হক কি ইকবাল হত, তাহলে আমরা এত টানাটানি করতাম না। কিন্তু দত্ত কি রায় কি চাটুজ্জে হলে, ভারতের বাঙালিই ডিফল্ট ধরে নেওয়া হবে।
(এরকম মন্তব্য করলে আবার চিন্তায় থাকতে হয়, লোকে কী না কী মনে করে... এটা সচল বলে ভরসা করে লিখেই ফেললাম, তাও তো নিচে ২৭ নম্বর মন্তব্য দেখে...)
পুনশ্চঃ ভারতীয় মিডিয়ার কথা আর বলেন না। সম্প্রতি 'হঠাৎ নীরার জন্য' অনেক খবর ফাঁস হয়ে গিয়ে বরখা দত্ত সহ অনেক নামিদামি সাংবাদিকের বোরখা খুলে গেছে।
দারুণ পোস্ট, অনেক অনেক ধন্যবাদ! পোস্টে ৫ তারা (বাসায় গিয়া দিমু, অফিসে লোড হইতেছে না কেন যেন। মাঝে মাঝে স্ক্রিপ্ট লোড হয় না, পাতায় কোন ইউ-টিউব সংযোজন থাকলে!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হ। গুপ্তবাবুর সাহায্য নিয়া লেহা তো! আপনেরে উৎসর্গামু ভাবসিলাম। আর দিলাম না। পাঁচ তারা লাগবো না, একতারা না দিলেই হয়
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
লন ৫ তারা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ছিনতাইপ্রবণতা দুঃখজনক। অন্য প্রশ্নগুলাও যৌক্তিক।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ঘটনাটাই দুঃখজনক। আমি এখানে তাদের পরিবারের সাথে কিছুটা যোগাযোগ করেছি। একটা ব্যাপার নিশ্চিত করতে পারি, তাঁরা কেউই এই ঘটনায় আনন্দিত নন। এবং, কিছু চেষ্টাও তাঁরা করছেন। তবে, কিছু বাস্তব সমস্যার কারণে তাঁরা অল-আউট এ্যাটাকে যেতে পারছেন না। এদেশের কোন সাংবাদিক কিছু করতে চাইলে সাধ্যমত সহায়তা করতে রাজি আছি।
অন্য প্রশ্নগুলোর কিছু উত্তর দিন না।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
এই লেখাটিও কি আপনার?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দুবাই এয়ারপোর্টে http://mukto-mona.com সাইটটা ব্লক করা। অন্যত্র পড়তে হবে।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আরেকটি কথা, শিরোনামটি ভালো লাগেনি। বলতে পারেন একটা খোঁচা খেয়েছি।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
১) আপনার প্রথম মন্তব্যের জবাবটা কি এখানেই দিতে হবে? মেলে জানাই? আমার আইডি: bornil1912এটyahooডটcom।
২) আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যের জবাব: দুঃখ থেকে উৎসারিত কথামালা। আমার একটা পছন্দের গানের প্রথম লাইন এটা। দিতে পারছি না বলে সরিআছি। খোঁচা খেয়ে কিছু দিলেন না?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
জানি না, আমাদের ভারতপ্রেমী সুশিলদে কাছে এই খবর পৌছাবে কিনা? যারা কৃতজ্ঞতা সিন্ড্রোমে ভুগেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্যের দোহাই দিয়ে পুরা বাংলাদেশকে বিকিয়ে দিলেও যাদের কিছু যায় আসে না
ভাইডি, আপ্নেরে আমার পিলিজ লাগে, রাজনীতির বিত্রে দয়া কৈরা পলিটিক্স হান্দায়েন না।
আপনের কাছে মাফও চাই, দুআও চাই।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
হাহ হাহ হা !!! আপনেরে আমার "পিলিজ" লাগে। "রাজনীতির ভিতর পলিটিকস" --- you do like to play with words..... মজার !
অসাধারণ লেখায় পাঁচতারা।
কাকস্য পরিবেদনা
হে গুপ্তসাহিত্যের মহান রসিক, আপনাকে নিযুত পেন্নাম।
ইয়ে...আমি কিন্তু আগের লেখাটা লিখতে অনেক মাথা খাটিয়েছিলাম বরং :-(।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
শুভ রায় ও তাঁর সহকর্মীদের অভিনন্দন জানাই। তাঁর পরিচয়টি যারা অন্য পরিচয় দিয়ে প্রতিস্থাপনের প্রাণপণ চেষ্টা করছে, তাদের কাজের একটি সমুচিত জবাব আমাদের ইংরেজিভাষী সংবাদ সংস্থাগুলো দেবে এমন আশা করি।
সমস্যা হলো প্রথমত আমাদের গণমাধ্যমগুলো জানেই না কিছু। আমিও জানতাম না যদি ব্যক্তিগত যোগাযোগ না থাকতো। তারপরও, কেউ যদি কিছু করতে চান, আমার সাধ্যানুসারে সাহায্যের চেষ্টা করবো সে ইংরেজি, বাংলা যে-মাধ্যমেরই হোন না কেন। ব্যক্তিগতভাবে চাই, অন্তত দেশের মানুষ কিছুটা জানুক।
তিনি কিন্তু বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী এখন অব্দি।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আমিও।
সম্ভব হলে সচলে উনার একটা সাক্ষাৎকার চাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার নাম বাবুল নয় তো?
চেষ্টা করে দেখতে পারি, কথা দিতে পারছি না।
স্মৃতির শহরটা আমাদের যে-মাত্রায় স্মৃতিপ্রবণ করে, সেই প্রবণতা থেকে বিদায় নেবেন না বা দেবেন না আশা করি।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
না, আমার নাম বাবুল নয়
সিরিজ বন্ধ হলেও স্মৃতিচারণ বন্ধ হবে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সাক্ষাৎকার নিতে আমি আগ্রহী। সাক্ষাৎকারের সুযোগ থাকলে জানাবেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খুব ভালো লাগলো। আপনাকেও ধন্যবাদ লেখার জন্য।
আপনার কন্যারত্নের জন্যে অ--নে--ক শুভেচ্ছা। আপনাকেও ধন্যবাদই দেই পড়া আর মন্তব্যের জন্যে।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ড. রায়কে অভিনন্দন। হিমু ভাইয়ের সাথে একমত। আমাদের ইংরেজি ভাষার সংবাদসংস্থাগুলো বিষয়টা দেখতে পারে।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পোস্টটায় ডঃ রায়ের একটা ছবি সংযোজন করেছিলাম, সেটা আসে নি। একটা ভিডিও দিয়েছিলাম ভারতীয় একটা চ্যানেলের, সেটাও আসে নি। কিছু লিংক নেংটো হয়ে গেছে। এই পোস্টটা আপডেট করলে কি মন্তব্য সব থাকবে? সুপ্রিয় মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একটু সাহায্য কি পাওয়া যাবে?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
পোস্ট আপডেট করতে পারেন। মন্তব্য হারাবে না। পোস্টটা মডু প্যানেল ঘুরে আসবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বাংলাদেশের মিডিয়াগুলা কী করে কে জানে ! এতো বড় অসাধারণ একটা খবর জানলামই না ! :-@
আপনাকে ধন্যবাদ এই বিষয়টা জানানোর জন্য ।
গবেষকদের জন্য নিরন্তর শুভকামনা ।
ডঃ রায়কে অভিনন্দন। মুক্তমনায় এই বিষয়ে লেখাটি পড়েছিলাম। সেটার সঙ্গে এই লেখার অনেক মিল... অনার্য সঙ্গীতের প্রশ্নটা আমারও ছিলো।
আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। উনার একটা সাক্ষাতকার সচলে পেলে ভালো লাগতো।
আমার এক বন্ধু ফটোগ্রাফার, নাম অনিন্দ্য কবীর অভিক। ফ্লিকারে তার আইডি অভিক বাঙালি।
এবার মনে হচ্ছে সবাইকেই নামের পেছনে এই টাইটেল যুক্ত করতে হবে, নতুবা ভারতীয় বা পাকিস্তানী হয়ে যেতে হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখার মূল বক্তব্যে সহমত না হওয়ার প্রশ্ন নেই, মিডিয়ার অপদার্থতা দেশকালভেদে বদলায় না। আজকের যুগে যখন খোঁজখবর নেওয়াটা এতো সোজা হয়ে গেছে, তখনো কিছু মহান সাংবাদিক এই জাতীয় রাবিশ লিখে চলেন।
এই প্রসঙ্গে আরেকটা কথা, এর উদাহরণ আগেও দেখেছি, নজরুল সাহেবের মন্তব্যে দেখতে পেয়ে এখানেই বলছি। বাঙালি বললে ভারতীয় হওয়াটা আটকাচ্ছে কীভাবে? ভারতে যেমন পঞ্জাবের লোকেরা পঞ্জাবি-তথা-ভারতীয়, পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা তেমনি বাঙালি-তথা-ভারতীয়। দেশভাগের সাথে সাথে বাঙালি অভিধাটা কোনো এক দিকে তো যায় নি। ভারতের সব প্রদেশগুলোতেই এই রকম পরিচয় আছে এবং সে জিনিসটা কিছু অবিদিত বলে তো মনে হয় না। বাঙালি বলতে তাই দু তরফের বাংলাভাষীই বোঝায়। সে হিসেবে এই লেখার শিরোনামটা একেবারেই যুক্তিযুক্ত ঠেকলো না।
অবশ্যই। বাঙালি যেখানেই থাকুক সে বাঙালি। কিন্তু ধরেন ইরানে কুর্দিরা চিরকাল ধরে বাস করেন বা আরবিভাষী মানুষেরাই ফিলিস্তিনে বাস করেন বা আদি-জার্মান অনকে মানুষ কাজাখস্তানেও বাস করেন। 'বহুজাতিক' দেশে তাদের এইসব পরিচায় আর মুখ্য হয়ে দাঁড়ায় না। লকশমি মিত্তাল মারোয়াড়ি ব্যবসায়ী। জন্ম রাজস্থানে। কিন্তু বিশ্বসভায় তার পরিচয় মারোয়াড়ি বা রাজস্থানী নয়। মারোয়াড়ী-তথা-ভারতীয় তো না-ই। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তিনি ভারতীয়ই। তাই ভারতের ক্ষেত্রে বাঙালি একটা প্রাদেশিক পরিচয় মাত্র। একজন ভারতীয় সবার আগে একজন ভারতীয়ই, এক শব্দে এটাই তার জাতীয়তা। যদি জাতীয়তা নিয়ে কথা হয়ে থাকে এইখানে।
hr> রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ডঃ রায়কে অভিনন্দন! চমৎকার লেখা। ঠিক এমনটিই হয়েছিলো কিছুদিন আগে খান একাডেমী'র সালমান খানকে নিয়ে। আমার সহকর্মী পাকুরা তো ওকে জোর গলায় পাকু বলেই চালিয়ে দিয়েছে। তো একবার আমার সামনেই এমনটি বলায় শুধু মৃদুহেসে বললাম, উইকিপিডিয়ার সাহায্য নিতে কিংবা তাও যথেষ্ট না হলে খান একাডেমীর 'FAQs'এ ঢুঁ মারতে। পরবর্তীতে ঐ পাকুর কাছ থেকে এ ব্যাপারে তেমন কিছু শুনি নি
আমাদের গর্ব করার মতো ঘটনা ! অভিনন্দন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক ভালো লাগলো পড়ে। বাংলাদেশের মিডিয়া কী আসলেই অন্ধ? এত বড় একটা ব্যাপার অথচ আমরা কিছুই জানলামনা?
লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোষ্ট দেয়ার জন্য।
--শাহেদ সেলিম
বলতে কসুর নেই, এই ব্যাপারে মিডিয়ার নীরবতা আসলেই বেশ পীড়াদায়ক। আমাদের গর্ব করার মত বিষয়গুলোও এভাবে দিনেদুপুরে ছিনতাই হতে দেখলে আসলেই বিবমিষার উদ্রেক হয়।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
বেশ ভাল একটা খবর...... আসলেই বাংলাদেশের মিডিয়া আজাইরা বিষয়ে বেশি নিউজ করে...
-
বঙ্গসন্তান
ডঃ শুভ রায় এবং তার সহকর্মীদের অভিনন্দন।
... এই বিষয়ে মিডিয়ার হস্তক্ষেপ খুব দ্রুতই দেখতে পারবো, আশা করি।
_________________________________________
সেরিওজা
শুভ রায় ও তার সহকর্মীদের অভিনন্দন।
আশা করি দেশের মিডিয়া দৈনন্দিন ক্যাঁচালের নিউজের পাশাপাশি এই খবরেও ফোকাস করবে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
বাংলাদেশের মিডিয়া আমাদের মহান রাজনীতিবিদদের মহান মহান সব খবর দিতে ব্যস্ত তাদের এসব খবর দেয়ার সময় কোথায়? তাছাড়া, দেশের বাইরের খবর বেশিরভাগই তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র থেকে কপিপেস্ট করে মেরে দেয়, অনেক সময় যাচাইও করেনা সংবাদটি সঠিক না বেঠিক। নিজেরা রিসার্চ করে সংবাদ পরিবেশন করাতো পরের কথা।
লেখা পড়ে বেশ ভালো লাগলো, মনে সাহস পেলাম, না, বাঙালি (বাংলাদেশী) দের পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব। শুধু দরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো আর পরিচর্যা।
আর ভারতীয় মিডিয়াকে ধিক্কার, এরকম মিথ্যা দাবি জানানোর জন্য।
পাগল মন
প্রতিস্থাপন করতে বৃক্কের জন্যে অপেক্ষমান, ডায়ালাইসিস করছেন - এমন কেউ খবরটি জানতে পারলে, তার প্রতিক্রিয়া কি হবে? কল্পনা করতে পারছিনা।
ডঃ রায় ও তাঁর দলের জন্য প্রার্থনা। লেখককে ধন্যবাদ।
কিন্তু এ ব্যাপারে ওনার নিজের কি বক্তব্য ? উনি প্রতিবাদ করেননি মিডিয়াতে ?
শুভ রায় বাহিনীকে অভিনন্দন। আমাদের মিডিয়া এইটা নিয়া ব্যাস্তাইলে ট্যাকা কামাইতে পারব না।
বেশি ভালো লাগলো খবরটা দেখে, মুক্তমনায় আগেই দেখলাম।
ডঃ রায়ের নাগরিকত্ব একটু কনফার্ম করা যায়? ফেসবুকে খবরটা শেয়ার করলাম বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর সাফল্য হিসেবে, একজন এসে বলছে তার বাবা ভারতীয়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পরের সপ্তাহেই বায়োমেমস এর উপর পরীক্ষা। পড়া নিয়ে হতাশায় ডুবে ছিলাম । এমন সময় আপনার এই লেখা অনেক উৎসাহ এনে দিল। নিজের বিষয়ে কোন বাঙ্গালীকে সফল দেখলে বুকটা গর্বে আরো ২ হাত বেশি ফুলে ওঠে।
আমার কোর্সের ইন্ডিয়ানগুলারে এমন চুরির জন্য একহাত দেখে নিবো ।
ভাই/বোন, আপনার বলিষ্ঠ পরিকল্পনার জন্য সাধুবাদ। তা শুধু কোর্সের ইন্ডিয়ানদেরই কেন, সচলেও তো অল্পস্বল্প হলেও গুটিকতক আছেন, তাঁদেরও ছেড়ে দেওয়া কি ঠিক হবে?
(পরীক্ষার জন্য শুভেচ্ছা।)
ইন্ডিয়ানগুলোর সাথে আমার বন্ধুত্বও ভালো তবে তাই বলে আমার বিষয়ের এমন অর্জন আমি ফলাও করব না তা হবে না। আর এমন অর্জন মিডিয়ার জোরে তারা চুরি করে নিয়ে যাবে এজন্য অন্তত: তারা লজ্জিত তো হবে।
আপনি ফলাও করা আর এক হাত দেখে নেয়া একই অর্থে বুঝিয়েছেন সেটা আমি বুঝিনি।
পরিশ্রমী লেখা, অসাধারণ বিষয়।
৫ তারা দাগাইতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ঐ অপশনটা কেন জানি আসে নাই।
খোমাখাতায় শেয়ার দিলাম।
সম্ভবত ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা (পড়ুন: ব্যবসা) নিয়ে সম্ভাব্য বিদেশী রোগীদের আস্থা বাড়ানার জন্য এমন পরিচয় ছিনতাই। পরবর্তীতে এখানে খবর হলে ওরা হয়তো স্যরি বলবে, কিন্তু এতেও সামগ্রীকভাবে বিজ্ঞাপনের লাভটা ওদের দেশ হারাবে না।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আমাদের মিডিয়া জবাব দেবে এমন স্বপ্ন দেখি না!
আপনি খুব ভালো একটা কাজ করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।
আর আমাদের বাংলাদেশী,বাঙালি রায় এর প্রতি শ্রদ্ধা!
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
অভিনন্দন শুভ রায়কে। শুভ রায়ের আবিষ্কার নিয়ে খুব কৌতুহলী হলাম। চাঁটগাইয়া হিসেবে খানিক গর্বিতও। ভারতীয় মিডিয়ার দোষ দিতে পারছিনা সেভাবে, ভালো জিনিসের দখল সবাই চায় যদি সুযোগ থাকে। আমাদের মিডিয়া জানেই না এখনো। আর এখানে আমাদের মিডিয়ার জানার ব্যাপ্তি বা ফোকাস যে কতো সীমিত তা আরেকবার প্রমাণিত হলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ অসংখ্য লেখাটির জন্য। শিরোনামের জন্য আরেকটি ধন্যবাদ।
অবশেষে বাংলাদেশি মিডিয়ায়।
সারসংক্ষেপ:
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
নতুন মন্তব্য করুন