গল্পটা কিছুটা এডিট করা হলো (২৪.০৮.২০১০):
কান পেতে সমুদ্রের গর্জন শোনেন হাশেম আলী।
আব্বা যখন মঞ্চে উঠতেন তখন এমনই শোনাতো তার গলা - এই মাটির পৃথিবীতে হেঁটে বেড়ানো রক্ত-মাংসের খাঁচায় যার উৎপত্তি অসম্ভব। মনে হতো চিন্তার গহীনের কোনো জগত থেকে ভেসে আসছে ঐশী শব্দাবলী। বাদ্যের সঙ্গতে যখন তিনি সংলাপ বলতেন তখন মন্ত্রমুগ্ধের মত চেয়ে রইতো হাজারো দর্শক। দীর্ঘশ্বাসের ঘুর্ণিঝড় থরে থরে সাজানো ওই স্মৃতিগুলোকে আজ দুমড়ে-মুচড়ে দেয় - সেই মুগ্ধ নীরবতার দেখা আর কখনো মিলবেনা। কেবল এক দঙ্গল জানোয়ারের লালাঝরা হুল্লোড় আর দানবীয় তান্ডবে দুলবে ভয়ার্ত হ্যাজাকবাতি।
তারপরও যখনই বাদ্য বাজকে অতীতের ভূত গুটি গুটি পায়ে এসে, ঘাড়ের কাছে ফিসফিসিয়ে বলবে - হাড়-মাংস কড়কড়িয়ে চিবিয়ে খেলি আমার? পড়ে রইলো শুধু জলছাপ।
কিন্তু এখন কোথায় বাদ্য?
মাছ ধরার মৌসুম শেষে মহেশখালীর মাটিতে টাকার নোনা গন্ধ। চাটগাঁর বাবলু মন্ডল জিভের টাকরায় যেন সেই নুনেরই স্বাদ নেয়।
কী নাম জানি আপনাদের প্রিন্সেসের?
মনিকা। নতুন, বেশিদিন হয় নাই।
হুম ওরে দিয়া হবে। আর একটা কথা, আপনাদের কাজ পালা গাওয়ার, পালা গাইবেন, লোকজনের হাতে পয়সা আসে ফূর্তিতো করবই, এগুলা নিয়া কিন্তু নো টক।
কাঁধ ঝাকিয়ে যেন ভূতটাকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেন হাশেম আলী । কিন্তু, এই তো তার সামনেই রুস্তমের তলোয়ারের আঘাতে লুটিয়ে পড়লো সোহরাব! পিতার খোঁজ, অস্তিত্বের শেকড়ের খোঁজের - কি অসহ্য নির্মম পরিণতি!
পিতা ! আমাকে তুমি চিনতে পারলেনা!
মাঝে মাঝে নিজেই নিজেকে চিনতে পারেন না হাশেম আলী, চিনতে পারেন না আশপাশের মানুষগুলোকেও। এরা কারা? এরাই না একসময় নিউ মুন অপেরার নতুন পালা আসলে ছেলে, বৌ নিয়ে ভীড় জমাতো? অরহীন এই মানুষগুলোই অভিনয়রসে বুঁদ হতো, তারিফের বুলি ছুটতো মুখে মুখে।
ময়না রে! তোর মায় যেই সিনে সোহরাবরে লেবাস পড়াইয়া যুদ্যে পাঠাইতো সেই সিনে কারো সাইধ্য নাই চোখের পানি ঠেকায়।
মামা, দেইখেন মার মতো আমিও যখন অভিনয় করুম তখন সবতে চাইয়া রইবো।
সবাই ঠায় চেয়ে থাকে, ক্ষুধার্ত নেকড়ে যেমন আহার্যকে চোখের আড়াল করতে চায়না ঠিক তেমনই লকলকে দৃষ্টি আটকে থাকে প্রিন্সেস মনিকার শরীরের খাঁজে। তাদের চিৎকারে রক্ত পানি হয়ে যায়, হাশেম আলীর রুহ কাঁপে।
পিতা ! তারপরও আমি লড়ব!
হা হা করে হেসে ওঠেন হাশেম আলী।
হাশু! এইটা কারবার না, এইটার যোগ মানুষের মনের সঙ্গে। আমার নিউ মুন অপেরারে দেইখা রাখিস বাপ!
এই বেশরিয়তি কারবার আমি এই মুহূর্তে বন্ধ ঘোষণা করতাসি।
মাথার সারি থেকে বকের মত গলা বাড়িয়ে দেয় কয়েকজন । বিবেকের গলায় করুণামথিত সেই সুর নাই। চেয়ারম্যান সাবে জিহাদের ডাক দিসে।
জিহাদ! ধ্বংস ! নির্যাতন ! লুটপাট ! জিহাদ!
ভাইজান, ভাইজান !
শূন্য দৃষ্টিতে সম্বোধনকারীর দিকে তাকান হাশেম আলী...
ময়নারে পাওয়া গেসে। পুকুরপাড়ে পইড়া ছিল, জ্ঞান আসিল না। জ্ঞান ফিরলে কইলো, হট্টগোলের সময় অরে...অরে...উঠায় নিয়া চার পাঁচজনে মিল্যা...অ্যাগো মইদ্যে বাবলু মন্ডলও আসিল...
অনেকণ কাঁদার পর, কান্নার ভাড়ার এখন খালির দিকে, থেকে থেকে কেবল ফোঁপানোর শব্দ। আব্বা যেন একটু হাসেন।
আরে হাশু! এখনও কান্দে বোকাটা!
কই? হাশেম আলী তো কাঁদেন না। কেবল ঠোটের কাঁপুনিতে একটা অস্ফূট প্রশ্ন জন্মেই মরে যায়।
সোহরাব রুস্তমকে চিনলোনা ক্যান?
মন্তব্য
বিষয় খুব ভাল লেগেছে। সোহরাব রুস্তম এতো ঐতিহাসিক পালা কিন্তু গাওয়া হয় নি কখনো।
লেখাটা আরো একটু বড় হলে আরো ভাল লাগতো। যাত্রাটা এ ভাবেই বন্ধ হয়েছে আমাদের দেশে।
তথা কথিত শিক্ষিত শ্রেনীর অবজ্ঞা আর কিছু দুষ্ট লোকের কুচক্র (যাত্রায় জুয়া খেলা বা কোন কোন এলাকায় পতিতা বৃত্তির আয়োজন) শিল্পটাকে মেরে ফেলেছে।
আরো লিখুন।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বস্, খোদ আপনার এলাকাতে আমার যাত্রা দেখার অভিজ্ঞতা আছে। সেই যাত্রায় প্রিন্সেসদের নাচ থাকলেও তা শ্লীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে ছিলনা। বস্তুতঃ দুটি দৃশ্যের মাঝে পোশাক পরিবর্তন, সেটে সামান্য পরিবর্তন (আপনি জানেন যাত্রাতে সেট একেবারেই সাদামাটা থাকে), শিল্পীদের সামান্য বিশ্রাম এগুলোর জন্যই চলচিত্রের জনপ্রিয় গানের সাথে নাচের ব্যবস্থা থাকে।
আমার কাছে আপত্তিকর লেগেছিল ঠিক যাত্রা প্যান্ডেলের বাইরে কয়েকরকমের জুয়ার ব্যবস্থা থাকাটা। যাত্রার মৌসুমটা শীতকালে হয় বা বসন্তকালে হয়। তখন যে এলাকার কৃষকদের হাতে টাকা থাকে সে এলাকাতেই যাত্রার দলকে আমন্ত্রণ জানানো হত। উদ্যোক্তাদের একাংশই কৃষকের টাকার একাংশ হাতানোর জন্য ঐ জুয়ার আয়োজন করে। আমার দেখা সেই যাত্রাস্থলের কাছে মাদকের ব্যবহার বা বেচা-কেনা দেখিনি। তবে সময়টা এখন হলে নিঃসন্দেহে মাদকের কারবারটাই জোরালো ভাবে হত। এ'সবের আনুসঙ্গিক হিসাবে আদিম বাণিজ্যটাও কোথাও কোথাও হয়।
যাত্রার প্যান্ডেলের বাইরের এই ব্যবসাগুলোই অপ্রীতিকর ঘটনাগুলোর সূচনা করে। ঝড়-ঝাপ্টা যা যায় সব যাত্রা আর যাত্রা নির্ভর মানুষগুলোর উপর দিয়ে।
আপনি ঠিকই বলেছেন, শিল্পটাকে মেরেই ফেলা হয়েছে। ঢাকা শহরে যে যাত্রা দেখা যায় (শিল্পকলায় বা অন্যত্র) সেগুলোকে বড়জোর উচ্চকিত ও নিম্নমানের মঞ্চনাটক বলা যায় কেবল। যাত্রার প্রান, যাত্রার স্বতঃস্ফূর্ততা, যাত্রার কাব্য, যাত্রার গীত, দর্শকের ফিডব্যাক, সেই ফিডব্যাকের সাথে শিল্পীর প্রতিক্রিয়া কিছুই নেই। এই যাত্রা পপ্কর্ণ আর পটেটো চিপ্সের যাত্রা। এই যাত্রা গ্রাম্য চাষাদের সংস্কৃতিকে করুণা দেখানোর যাত্রা। এই যাত্রা বাঘকে চিড়িয়াখানায় লালন-পালন করার যাত্রা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা,
মৃত সৈনিকের ভূমিকার মতো অনেক কথা মনে পরে গেলো। শেষ যাত্রায় গ্রামের অনেক মেয়ের সাথে আমার ছোট বোন ও ছিল দর্শক সারিতে। আমরা মেয়েদের বসার জন্য পেন্ডেলের একটা দিক রিজার্ভ করে রাখতাম।
চার দিক খোলা। বড়ো কোন মাঠ বা উঠোনের মাঝখানে পেন্ডেল। তার একদিকে দুটো বাঁশ বেঁধে একটু জায়গা রাখা হতো গ্রীন রুমে আসা যাওয়ার পথ হিসাবে।
দর্শকদের বসার পরে পিছনে থাকতো বুট-মুরালী-পান-বিড়ির অস্থায়ী দোকান। ধীরে ধীরে সুগুলো চলে গেছে জুয়ারীদের দখলে। আফসোস!
শিল্পকলা একাডেমীতে যাত্রা দেখতে গিয়ে হাসি পেয়েছিলো। খোলা মাঠে পেন্ডেলর চার দিক থেকে হেজাক লাইট না জ্বললে আর যাত্রা হলো কি ভাবে!
একদম ঠিক কথা।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
যাত্রা কখনো দেখিনি। তবে যারা দেখছেন, তাদের মুখে এ নিয়ে শুনেছি। তাই আরো একটু গভীরে গিয়ে লিখলে ভালো হতো!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
অনেকদিন পর লিখলেন। বিষয়বস্তু এবং গল্পবর্ণনার ভঙ্গি, দুটোই ভালো লেগেছে। যাত্রা দেখার সুযোগ হয়নি কখনো। আরেকটু বিস্তারিত লিখলে আরো ভালো লাগতো আমার কাছে।
ভাষাটা খটোমটো লাগলো। বিষয়বস্তু আর বিন্যাস খুব ভালো। বিস্তারিত হলে বেশ হতো।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
আলোকবাজি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
দারুণ!!
থ্যাংকু, অনেকদিন পর গল্প পড়তে দেবার জন্য
ব্যক্তিকে নিয়ে কাহিনী তৈরি হয়। আবার ব্যক্তি তো আর বিচ্ছিন্ন কেউ না। তাই সমষ্টিও উঁকি দেয়। আবার উল্টোটাও হয়। ব্যক্তির সাফল্য-সুখ-আপদ-বিপদ বাদ দিয়ে সমষ্টির গল্প লেখা কঠিন। গল্প লেখার এই ঝুঁকিটা আমি টের পাই।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
প্লট আর গাঁথুনি ভীষণ সুন্দর! আমি দিন দিন তোমার লেখার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি। লিখলে আরো লিংক দিও। অপেক্ষায় থাকবো।
আমার লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য সবাইকে দিলখোলা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা - গল্প ঘষামাজা করসি এবং আরেকটু বিস্তার ঘটাইসি। ক্যামনে এখন আপনাদের পড়ানো যায় সেটাই ভাবতেসি।
সংযোজন ২৪.০৮.১০ : এডিটেড ভার্সন উপরে দেয়া হইসে। পুরান ভার্সন এখানে কাট পেস্ট করা হল।
আগের ভার্সন :
কান পেতে সমুদ্রের গর্জন শোনেন হাশেম আলী।
আব্বা যখন মঞ্চে উঠতেন তখন এমনই শোনাতো তার গলা - এই মাটির পৃথিবীতে হেঁটে বেড়ানো রক্ত-মাংসের খাঁচায় যার উৎপত্তি অসম্ভব, মনে হতো চিন্তার গহীনের কোনো জগত থেকে ভেসে আসছে ঐশী শব্দাবলী। বাদ্যের সঙ্গতে যখন তিনি ডায়ালগ বলতেন তখন মন্ত্রমুগ্ধের মত চেয়ে রইতো হাজার হাজার দর্শক। দীর্ঘশ্বাসের ঘুর্ণিঝড় থরে থরে সাজানো স্মৃতিগুলোকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয় - সেই মুগ্ধ নীরবতার দেখা আর কখনো মিলবেনা । দেখতে হবে কেবল পশুর পালের লালাঝরা হুল্লোড় আর দানবীয় তান্ডব। আর কখনো মিলবে না সেই মুগ্ধ নীরবতার দেখা ...
এখন বসে বসে এইসব ভাবার সময় নয়। গা ঝাড়া দিয়ে বর্তমানের জমিনে শক্ত করে দাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, এই তো তার সামনে রুস্তমের তলোয়ারের আঘাতে লুটিয়ে পড়লো সোহরাব! পিতার খোঁজ, অস্তিত্বের শেকড়ের খোঁজের - কি অসহ্য নির্মম পরিণতি!
পিতা ! আমাকে তুমি চিনতে পারলেনা!
মাঝে মাঝে নিজেই নিজেকে চিনতে পারেন না হাশেম আলী, চিনতে পারেন না আশপাশের মানুষগুলোকেও। এরা কারা? এরাই না একসময় নিউ মুন অপেরার নতুন পালা আসলে ছেলে, বৌ নিয়ে ভীড় জমাতো? অক্ষরহীন এই মানুষগুলোই অভিনয়ের জাদুতে আবিষ্ট হতো, তারিফের বুলি ছুটতো মুখে মুখে।
ময়না রে! তোর মায় যখন সোহরাবরে লেবাস পড়াইয়া যুদ্যে পাঠাইতো তহন কারো সাধ্য নাই চোখের পানি ঠেকায় রাখে।
মামা, দেইখেন মার মত আমিও যখন অভিনয় করুম তখন সবতে চাইয়া রইবো।
সবাই ঠায় চেয়ে থাকে, ক্ষুধার্ত নেকড়ে যেমন আহার্যকে চোখের আড়াল করতে চায়না ঠিক তেমনই লকলকে দৃষ্টি আটকে থাকে প্রিন্সেস মনিকার শরীরে। তাদের রক্ত পানি করা চিৎকারে রুহ হাশেম আলীর রুহ কাঁপে। তাদের এই মাংশাষী ক্ষুধাকে আরো উস্কে দিতে ক্রমাগত চাবুক চালায় আয়োজক।
পিতা ! তারপরও আমি ... আমি লড়ব!
অজান্তেই হা হা করে হেসে ওঠেন হাশেম আলী। এই লন্ডভন্ড আসরে বসে তিনি এ কথা ভাবলেন কি করে?
এই বেশরিয়তি কারবার আমি এই মুহূর্তে বন্ধ ঘোষণা করতাসি।
বিবেকের গলায় করুণামথিত সেই সুর নাই। মাথার সারি থেকে বকের মত গলা বাড়িয়ে দেয় কয়েকজন।
এই বেহায়াগিরি আর চলবনা।
চেয়ারম্যান সাবে জিহাদের ডাক দিসে।
জিহাদ!
ধ্বংস !
নির্যাতন !
লুটপাট !
জিহাদ!
হাশেম ভাই, হাশেম ভাই।
শূন্য দৃষ্টিতে সম্বোধনকারীর দিকে তাকান হাশেম আলী...
ময়নারে পাওয়া গেসে। পুকুরপাড়ে পইড়া ছিল। অরে...অরে...উঠায় নিয়া গেসিলো । তারপর চার পাঁচজনে মিল্যা...
রুস্তম কেন সোহরাবকে চিনলোনা?
ভালু পাইলাম।
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
নতুন মন্তব্য করুন