সকাল সকাল মোমেনার মেজাজটা খিঁচড়ে যায়। বিকট দুর্গন্ধে রান্নাঘরে টেকা যাচ্ছে না। দুর্গন্ধটা আসছে রান্নাঘরের লাগোয়া জানালাটা দিয়ে। জানালা দিয়ে উঁকি দেয় মোমেনা। ঠিক যা ভেবেছিল তাই। উপর থেকে ময়লা ফেলেছে। ঝুল ঝাড়ার ঝাড়ুর আগা দিয়ে ঠেলে কার্নিশ থেকে ময়লার পোটলাটা ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে । লাঠির খোঁচায় পোটলা থেকে আধ পচা নাড়িভূড়ি বেরিয়ে এলে কোত্থেকে যেন দুটো কাক উড়ে আসে, তারপর আরো দুটো তারপর মোমেনা আর গুনতে পারে না। একটু থতমত খেয়ে পেছনের দিকে সরে যাওয়ায় হাত থেকে ঝাড়ুটা ছুটে দুটো গোত্তা খেয়ে নিচে পড়ে যায়। আকস্মিক শোরগোলে কিছুটা বিরক্ত হলেও কাকগুলো নিবৃত্ত হয় না। প্লাস্টিকের ছেড়া টুকরোগুলো হাওয়ায় ওড়ে।
মোমেনা ততক্ষণে নিজের কাজে ফিরে গেছে । বাচ্চাদের স্কুলের সময় হয়ে গেছে। বাচ্চা দুটো একদম তার মনের মত - একটা ছেলে আর একটা মেয়ে। পড়ার বইয়ের বাইরে কোনো বই পড়ে না, কার্টুন দেখার জন্য ঘ্যান ঘ্যান করে না, খেলতে যাওয়ার জন্য বাড়ি মাথায় তুলে ফেলে না, এটা খাবো ওটা খাবো বলে জেদ ধরে না, আজগুবি প্রশ্ন করে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলে দেয় না। মোমেনা যা খেতে দেবে তাই খাবে, যা করতে বলবে তাই করবে, অতিরিক্ত কোনো কথা বলবে না। আহ! কি লক্ষী ছেলে মেয়ে দুটো! মোমেনা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
আর শুধু লক্ষীই নয় চটপটেও তো হওয়া যাই, সবার থেকে এগিয়ে থাকতে হবে না! এই যে সেলিনার ছেলে দুটো কথায় কথায় নেতিয়ে পড়ে। দুই পা ফেললেই চার্জ শেষ। আর তার বাচ্চাদের দেখ, সারাদিন স্কুল, কোচিং, হুজুরের কাছে পড়া, গান, আবৃত্তি সব করে যাচ্ছে, কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। মোমেনা ঠিক করে রেখেছে ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবে আর মেয়েকে ডাক্তার।
তবে এজন্য মোমেনাকে কম কষ্ট করতে হয় নি। সেন্টারে একবছর আগে থেকে বুকিং দেয়া ছিল। তারপরও পুরো একটা দিন লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তারপর যখন দরজা খুললো তখনও সে কি হ্যাঁপা! একে ধাক্কা দিয়ে, ওকে পা দিয়ে মাড়িয়ে সবচেয়ে ভালোটা সবার আগে হাতে তুলে নেয়া।
তার আগের অভিজ্ঞতা আরো ভয়ংকর। এ জন্যই মোমেনা সবাইকে বলে গ্যাঁদা বাচ্চা ঘরে আনতে নেই। সারাদিন হাগবে মুতবে, বমি করবে, চিৎকার করে মাথার তার ছিড়ে দেবে। শেষপর্যন্ত ফেলে দিতে হলো। মোমেনা অবশ্য সচেতন নাগরিক। উপরতলার লোকদের মত যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে না।
-------
ছবির উৎস
মন্তব্য
মনামীদি, একটা 'বুদ্ধু' টাইপ কথা বলি, যদিও নামটাই বুদ্ধু । ইয়ে মানে, গল্পটা দুইবার পড়লাম, মনে হয়েছে গল্পের থিমটা শেষের দু'টি পেরায় লোকায়িত। শিরোনামের সাথে গল্পের থিমটা ধরতে পারলাম না, মাথার উপর নিয়ে গেলো। (টেনে চুল ছেড়ার ইমো)
-বুদ্ধু
শিরোনামটা হরলিক্সের বিজ্ঞাপনের থিম থেকে নেয়া। আপনার উপর আমার ভরসা আছে, আপনি পারবেন (থিমটা বুঝতে) :)। পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
.
.
.
.
এই বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্ক সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ভয়ঙ্কর! এবং অবাস্তব বোধহয়।
লেখকের কল্পনা তো বটেই, তবে এই ঢাকা শহরেই কার্নিশে শিশুর লাশ পাওয়া যায়। আর নিখুঁত বাচ্চা (যার চার্জ কখোন শেষ হবে না) গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্রি হয় শয়ে শয়ে পণ্য। পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর, সুন্দর...
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
থিমটা বুঝতে পারসি
নুসদিন।
দুর্দান্ত থিম!
কি মাঝি, ডরাইলা?
থিমটা চমৎকার লাগল।
এই গুড-বেটার-বেস্ট এর বানিজ্য কখনো শেষ হবার নয়...
দুর্দান্ত!!!
থিমটা বেশ।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভালো লেগেছে। এই একই থিম নিয়ে বেশ আগে একটা গল্প পড়েছিলাম, তবে সেটা বোধহয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ছিলো...
_________________________________________
সেরিওজা
জাফর ইকবাল স্যারের অমানুষ?
সজল
গল্পের নাম তো মনে নাইরে বদ্দা, ... একই বাচ্চাকে ভিন্ন চুল আর চোখ দিয়ে তাদের পরিবারকে দেখানো হয়...
_________________________________________
সেরিওজা
শেষের প্যারা দুটো আরেকটু বিস্তারিত হলে একবার পড়েই বুঝে ফেলতে পারতাম। তারপর ও বলবো চালিয়ে যান । আসলেই সুন্দর একটা টপিক্ বেছে নিয়াছেন লিখার জন্য।
শেষের প্যারা দুটো আরেকটু বিস্তারিত হলে একবার পড়েই বুঝে ফেলতে পারতাম। তারপর ও বলবো চালিয়ে যান । আসলেই সুন্দর একটা টপিক্ বেছে নিয়াছেন লিখার জন্য।
থিমটা ব্যপক তো৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এমন হাইথট-থিঙ্কিং মনামীর মাথায় কেমনে যে আসে !
গল্পের ঘাটতি, মোমেনার বৈবাহিক স্ট্যাটাস জানানো হয় নি। তাই লেখক এখানে পাঠকের চিন্তাসূত্রকে কোনদিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন তা অস্পষ্ট।
সবাই যদি মোমেনার মতো হয়ে যায় তাহলে বুকিং দেয়ার মতো সেন্টারগুলোর পরমায়ুও বেশিকাল হবার কথা নয়। অচিরেই কাচামালের টান পড়ার কথা !
অতঃপর বুঝে উঠতে পারছি না গল্পটি বুঝলাম কি বুঝলাম না ! হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বাচ্চাদের ফ্যাক্টরি প্রোডাকশন হলে এইসব সেন্টারে কাঁচামাল কখনো শেষ হবে না।
গল্পের শিরোনাম ভাল্লেগেছে, গল্পটাও।
অফটপিকে যাওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী, এই লেখা পড়ে প্রায় বছরখানেক ধুলো পড়ে যাওয়া একটি লেখার কথা মনে পড়ে গেল। সময় পেলে ঢুঁ মারতে পারেন
অদ্রোহ।
জটিল!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মনামী,
আপনার এই গল্পটা আমার কাছে ফাঁপা লেগেছে। পাঠককে শক দিতে গিয়ে একটা আজগুবী গল্প শুনিয়েছেন আমাদের।
প্রথমতঃ আমি যতদূর জানি ফিটাসের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম অতটা ডেভলপ করে না (১)। শিশু জন্মের পর তার পেটে একটা মটর দানা পরিমান জায়গা থাকে। জন্মের পরই আসলে এই অঙ্গটা দ্রুত ডেভলপ করে। তাই কাকের খোঁচায় নাড়ী ভুড়ি বেরোনোর ব্যাপারটা অসম্ভব।
দ্বিতীয়তঃ এবরশন বেশ কমন হলেও এতটা বিকার গ্রস্থ হয়ে পড়েনি মানুষ যে ঘরে শিশু এবর্ট করে জানালা দিয়ে ফেলে দেবে।
আরও বাস্তব সম্মত গল্প পড়ার আশায় থাকলাম।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ ভাই, এখানে উনি কোথাও এবরশনের কথা বলেন নি বলেই মনে হলো। বরং সাম্প্রতিক এক মা যে নিজের সন্তানকে হত্যা করে কার্নিশে ফেলে দিয়েছিল, সেই রেফারেন্সটাই আমার আগে মনে হয়েছে। বাচ্চার খাওয়া, কান্না এগুলো নিয়ে বিরক্তির প্রকাশও আছে, যেটা ফিটাসের ক্ষেত্রে হওয়ার কথা না।
তবে কিছু অতিরঞ্জিত তো বটেই, সেটা ধাক্কাটা দেওয়ার জন্যই মনে হয়েছে আমার। জাফর ইকবালের ছেলেমানুষী গল্পটার কথা মনে আছে?
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
মুর্শেদ ভাই,
আরো একটা কারণে কাকের খোঁচায় নাড়ী ভুড়ি বেরোনোর ব্যাপারটা অসম্ভব। সেটা নিচের এই পেপারকাটিংটা পড়লে বুঝবেন : কালের কণ্ঠ, ৫ আগস্ট ২০১০।
.... সন্তানের মৃত্যু প্রসঙ্গে তমা জানিয়েছেন, 'বিয়ে ও সন্তান প্রসঙ্গ নিয়ে ২৯ জুলাই রাতে রাজীবের সঙ্গে কিছুটা কথাকাটাকাটি হয়। এরপর রাজীবের আনা সুপ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। তখন পাশে তানহাও ঘুমিয়ে ছিল। পরদিন জেগে উঠে দেখি, বাসায় তানহা নেই। গত চার দিন বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাজীবও বাসায় ফেরেনি।' তমার দাবি, রাজীব তানহাকে খুন করতেই সুপের মধ্যে সম্ভবত ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল। তবে পুলিশের ধারণা, ঘরের ভেতরে শ্বাসরোধে শিশু তানহাকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে প্রতিবেশীরা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে বাড়ির কেয়ারটেকার বশির আহমেদকে খবর দেয়। বশিরসহ অন্যরা কার্নিশে শিশুর লাশের অস্তিত্ব বুঝে পুলিশে সংবাদ দেন। দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
মৃতদেহে পচন ধরায় অন্য আঘাতের চিহ্ন আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে লাশে নাড়িভুঁড়ি ছিল না। লাশটি জানালার শিক গলিয়ে ফেলার জন্য নাড়িভুড়ি বের করে ফেলে দেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ মনে করছে, রান্নাঘরের জানালা অথবা ছাদ থেকে লাশটি ফেলা হয়। আর তা কার্নিশে আটকে থাকায় আশপাশের কারোর চোখে পড়েনি।
আমরা আসলেই পশু হয়ে যাচ্ছি মনে হয়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভয়াবহ। ওইদিকে মানুষ না গেলেই হয়।
সজল
এই গল্পটা ভয়ংকর লাগল মনামী। খবরের কাগজে তানহার খবরটা পড়ে অসুস্থ বোধ করছিলাম। কেন মানুষগুলো দিন দিন এমন হয়ে যাচ্ছে? সমস্যাটা কোথায়!
কিছু মুভি আছে, দেখে কাঁদব জানি, তবুও দেখি... তেমনি কিছু লেখা আছে, বোঝা যায়, পড়ে কয়েকদিন মাথা আউলা থাকবে... এই লেখাটাও তেমন... এখনও বোঝার চেষ্টা চলছে... পুরোপুরি ঘিলুর আত্মস্থ না হওয়া পর্যন্ত এখন মাথায় ঘুরতে থাকবে... ভালো লেখা...
ফুটনোট দিতে ভুলে গেসিলাম...
-----------------------------------------------------
ধূসর স্বপ্ন, rupokc147 এট gmail ডট com
অসম্ভব সত্য গল্প।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এটা পড়েও বুঝতে পারিনি। "আধ পচা নাড়িভূড়ি" পড়ে 'স্বাভাবিক ভাবে' মনে করলাম রান্না ঘরের উপরের তলায়ও নিশ্চয় রান্না ঘর ছিল এবং মুরগীর নাড়িভূড়ি হবে।
এটা কি গল্প মনামী? এটা কোন বাংলাদেশের 'কোন মায়ের' গল্প?
কি করে ফেলেছো আমার সোনার বাংলারে তোমরা?
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
লেখাটি বেশ ভাল লাগল...
সাইফ শহীদ'দা,
গৌতম'দায়ের "এই আমার ঢাকা- ০১" আর মনামীর এই লেখাটিতে করা আপনার মন্তব্যের দুটো লাইন পড়ে বেশ কষ্ট পেলাম। আপনি আগের লেখাটিতে বলেছেন- "কি ঢাকা রেখে এসেছিলাম, আর তারে কি ঢাকা বানালে তোমরা"... আজকে আবার বললেন- "কি করে ফেলেছো আমার সোনার বাংলারে তোমরা?"
আমরা যারা দেশে থাকি সব দায় কি শুধুই আমাদের একার?? আমি জানিনা আপনি কতদিন বা কত বছর ধরে কি কারণে দেশের বাইরে আছেন... জানিনা আপনার পক্ষে দেশে স্থায়ীভাবে ফিরে আসা আদৌ সম্ভব কিনা... জানিনা দেশে থাকলে আপনার প্রতিভার খুব অবমূল্যায়ন হতো কিনা... দেশের প্রতি হয়ত সত্যিই আপনার অনেক ভালবাসা... হয়ত হতাশা থেকেই আপনি এভাবে বলে থাকবেন তবে বারবার "তোমরা নষ্ট করেছো" টাইপ কথা শুনলে খুব খারাপ লাগে।
আমার আত্মীয় যারা দেশের বাইরে থাকে, তাদের অনেকেই কদিনের জন্য দেশে বেড়াতে এসে অভিযোগের ঝাঁপি খুলে বসে...এমনকি গালিগালাজ করতেও দ্বিধাবোধ করে না... এদের মধ্যে অনেকেই সম্মানের সাথে দেশেই বিলাসী জীবন-যাপনের ক্ষমতা রাখে, তারপরও তারা বাইরে চলে যায়। তাদেরকে যখন প্রশ্ন করি, তোমাদের কি দেশের প্রতি কোনো দায়িত্বই নেই?? তখন তাদের বেশির ভাগই মিষ্টি হেসে চুপ করে থাকে। কেউকেউ অবশ্য বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর কথা বলে কিন্তু টাকাই কি সব?? বুড়ো বাবা-মায়ের কাছে ছেলেমেয়ের পাঠানো টাকা অনেক কিছু কিন্তু সব কিছু তো নয়... তাঁদের কাছে তাঁদের আদরের সন্তানের হাতের স্পর্শ, ভালবাসা, মা-বাবা ডাক, অসুস্থ হলে জলপট্টি বা চুলে বিলি কেটে দেয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ... দূরে থাকলে অনেক কিছুই বোঝা যায় না, অনেক সমস্যারই সমাধান হয়না। ফোনে বুড়ো-অসুস্থ বাবার কাশির শব্দ শুনে যতটা না কষ্ট বোঝা যায়, তার থেকে বেশি বোঝা যায় সরাসরি তাঁর রক্তবর্ণ মুখটা দেখলে।
দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা যদি সব মুখ ফিরিয়ে নিয়ে শুধু দূরে বসে হা-হুতাশ করে, অন্যদেরই শুধু দোষারোপ করতে থাকে তবে দেশের হালটা কি হবে কেউ কি ভেবেছেন??
সত্যি বলতে কি, "আপনার" সোনার বাংলাকে নষ্ট করার দায়ভার "আমার বা আমাদের" একার না, আপনারো...
আসলে নির্মম সত্যিটা হচ্ছে, "আমাদের" বাংলাদেশকে "আমি-আপনি-সে" সকলে মিলেই ধ্বংস করেছি এবং করছি...
দয়া করে এটাকে আক্রমনাত্মক মন্তব্য হিসেবে নেবেন না... আপনাকে যদি কষ্ট দিয়ে থাকি তবে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
"চৈত্রী"
চৈত্রী,
তোমার মন্তব্যটা পড়ে সত্যিই আমার ভাল লাগলো। তোমার লেখাতে সত্যিকার দেশ প্রেম ফুটে উঠেছে। আশা করবো নতুন প্রজন্মের সবাই এ রকম ভাবে দেখতে এবং ভালবাসতে শিখবে।
মনামীর লেখাটা যেমন লেখার গল্পের বাইরেও অনেক কিছু কথা না বলে বলেছে, আমার মন্তব্যের উদ্দেশ্য অনেকটা তেমনি। তোমার কথাটা খুবই সত্যি - দায় আমাদের সবার। কাউকে ঠিক আঘাত দেবার জন্যে লেখা না। বরং কবির ভাষায় সেই "আধ মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা" ধরনের কথা।
সত্যি বলতে কি 'সোনার বাংলা' আমাদের কখনো ছিল না। বরং আকাল, মহামারী, বন্যা, দূর্ভিক্ষ আরও বেশী ছিল অতীতে। জন সংখ্যার বিস্ফোরণ আমাদের এক বিরাট সমস্যা। ৪ কোটি থেকে ১৬ কোটি - এই চারগুন বৃদ্ধি সামাল দেওয়া হবে আমাদের সবার জন্যে সব চাইতে কঠিন কাজ।
আমার মন্তবে যদি তুমি দুঃখ পেয়ে থাক, আমি সত্যিই দুঃখিত - কারন কাউকে দুঃখ দিতে লেখার উদ্দেশ্য ছিল না আমার। ভাল থাকো।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আমি আসলে মন্তব্য করার ভাষা পাচ্ছি না।
লেখায়
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
সমস্যা মনে হয় আমার মাঝেই, ২টা লেখা পড়লাম, প্রথমটা ধরতে পারিনি বলে ২য়টা, এটাও মাথার উপর দিয়ে গেল। সম্ভবত আমি একাই লেখার মেসেজ পাচ্ছিনা, পরে মন্তব্য পড়ে লেখার মানে বুঝতে হচ্ছে। লেখার টপিকটা ভয়ংকর। জানিনা, এভাবে আরো কত ভয়ংকর মৃত্যু দেখব জানি না, মাঝে মাঝে এসবএড়িয়ে কাপুরুষের মত লুকাতে ইচ্ছা করে। ভালো থাকুম আর আরো আরো লিখুন, আশাকরি আপনার প্যাটার্নটা বুঝতে পারলে আপনার লেখার মেসেজ আরো সহজে পাবো।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নতুন মন্তব্য করুন