নিয়মিত, ছন্দময় পতন। শাড়ি উঠে গিয়ে কালো উরু ঝিক ঝিক। রোদটা চড়া খুব, চামড়ার উপর মোমের মত গলে গলে পড়ে। প্রতিপতনে ভেঙ্গেচুড়ে আসে নিঃসংকোচ সুঠাম দেহ। চাপড়া চাপড়া কালো মাটির সঙ্গে মিশে যায় গুড়ো গুড়ো হয়ে, মুহূর্তেই আবার ঝিকিয়ে ওঠে কালো উরু।
পাহাড়ি, স্যার!কয়লা তুলে
হুম? রূপক চমকে তাকায় , তোতা মিয়া অবশ্য বাঙালি, এ যাত্রায় তাদের গাইড।
এইখানে নদীতে কয়লা পাওয়া যায় স্যার, আর চিনামাটি।
ওহ মাই গড! এদের দেখি লজ্জা-টজ্জার কোনো সেন্স নাই - রোদচশমার পেছন থেকে বলা কথাগুলো ঠিক কোন অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায় - বিরক্তি, ঘৃণা নাকি সূক্ষ ঈর্ষা, ঠিক বোঝা যায়না, তবে কৃত্রিম কমলা স্বাদের লজেন্সের মত মিষ্টি কণ্ঠে শ্লেষ টের পাওয়া যায়।
আপনার যদি ‘প্রকৃতি দর্শন’ সমাপ্ত হয়ে থাকে তবে সামনের দিকে আগাই?
হাসিমাখা তীর্যক আহ্বানে রূপক সাড়া দেয়। যেই নদীটা দেখতে এতদূর থেকে আসা সেই নদীটায় এখন হাঁটু পানি। পাহাড়ের কালো অবয়ব স্বপ্নের মত অস্পষ্ট।
ওয়াও! পাহাড়!
এই পাহাড় আমগো না স্যার, সব পাহাড় ঐ দেশের।
তাইলে পাহাড়ি? রূপক মনে মনে ভাবে।
নরম শরীরের মানুষেরা শহর থেকে এখানে নদী দেখতে আসে আর পাহাড়ের ছায়া। সঙ্গে করে নিয়ে আসে গোপন আকাঙ্খা। রূপকের গোপন আকাঙ্খার নাম সোমা। সোমার চামড়া ফর্শা এবং মসৃণ, সোমার শরীরে মদির সৌরভ, সোমা খুবই গোপন।
রোদ গলে গলে একসময় নিভে গেলে সবকিছু আড়াল হয়ে যায় । অবশেষে সোমার গোপন শরীরের আড়াল ভাঙ্গে।
নিয়মিত, ছন্দময় পতনে সোমার শরীর কোথায় যেন হারিয়ে যায়। পাহাড়ের ছায়ায় একটি কালো, নিঃসংকোচ দেহ মাটি খুড়ে যায়। আর রূপক একই সঙ্গে অনুভব করে ভয় ও আকাঙ্খা।
আরে, স্যার একটা জায়গায় আসছেন, ঐ জায়গার টেস লইবেন না!
এইখানে না, অন্য কোথাও।
কালো রাত, কালো মাটিতে একাকার। নদীর পানিতে কেবল নক্ষত্রের আলোর সর পড়ে আছে অল্প অল্প। আধার হাতড়ে উরুর নাগাল পাওয়া যায়, শক্ত, পেশীময় উরু - রক্ত, ঘাম, কয়লা, মাটি! ভয় কিসের! খাড়া মাদারচোদ খাড়া!
কষে লাত্থি লাগাতে গিয়ে পা পিছলে যায় রূপকের, পেছনের গর্তটা দেখার প্রশ্নই ওঠেনা। পাহাড় থেকেই বোধয়...হাসির শব্দ পাওয়া যায়, অশরীরি হাসির শব্দ। তারপর মিলিয়ে যায় ধীরে ধীরে। আর রূপক তালগোল পাকিয়ে পড়ে থাকে বিকট নৈঃশব্দ্য।
মন্তব্য
চ্রম।
গর্তে না পড়লে গর্ত দেখা যায় না
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রুপকেরা কি আসলে পা পিছলে পড়ে!
ভালো লেগেছে আপু।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুব ভালো হয়েছে! মনের মধ্যে এত্তো খাই থাকলে ওরকম পিছলে পড়ে আলুর দম্ই হতে হয় খুব ভালো লাগলো আপু গল্পটা
দারুণ!
ভালো লাগলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
(তালিয়া)
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভালো লেগেছে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লেখাতো দিন দিন জমে যাচ্ছে। কঠিন হচ্ছে। দৃশ্যকল্প রোদের মতো কটকট করে আবার ঝাপসাও হয়ে যায়। ঝাপসাতেও দিগন্ত দেখা যায়, এইটাই ভরসা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
দারুন
দারুণ।
চ্রম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন