আগের পর্ব এইখানেঃ
http://www.sachalayatan.com/monika_rashid/29939
( শেষ পর্ব)
ঘন অন্ধকারে রাস্তায় ধূলো ছাড়া সব, এমনকি গাছের পাতাও ঘন কালো মনে হয়। একটানা ভয়ঙ্করী মন্ত্রের মত গরমে ঝিঁঝিঁর ডাক। খালের ঘাটে ভেড়ানো কালীপদর নৌকাখানার ছঁইয়ের ভেতরে কেরোসিনের বাতির টিমটিমে আলো। চারদিক অন্ধকার হলেও দূরের কালো আকাশে হাজার লক্ষ তারা হীরের খন্ডের মতন জ্বলে। পাটাতনের ওপর শুয়ে সে দুই হাত বুকের ওপরে জড়ো করে তারা গোনে। অন্ধকার রাতে তারা গোনা কালীপদর অনেক দিনের অভ্যাস। নৌকার নিচে জোয়ারের জল নাচে; হাওয়া আর ঢেউয়ের মিলিত খেলায় সাড়া দিয়ে নৌকাটি দূরে যায় একবার, আবার ঘাটে বাঁধা দড়িতে টান পেয়ে দুলতে দুলতে ঘাটে এসে ধাক্কা খায়।
-ও কালীদা!
ফিসফিসে ভৌতিক শব্দে চমকে কালী একেবারে উঠে বসে।
-ভয় নাই, আমি, মলিনা!
কেরোসিনের বাতির সামান্য আলোয় মলিনার কমলা-লালের ছাপা শাড়ি পরা, এক কপাল সিঁদুর মাখা মুখটির দিকে তাকিয়ে বাক্হীন হয়ে যায় মুহূর্তের জন্যে কালীপদ। কোন কথা সরে না তার মুখে।
-বাতি নিবাও কালীদা, মাইনষে দেকপে!
বিস্ময়ের মুহূর্ত সরে গেলে প্রথমেই কালীর ভীষণ ভয় করতে থাকে। এই মধ্যরাত্রিতে এই মেয়েকে তার সাথে কেউ দেখলে যে ভয়াবহ পরিণাম হবে তা ভাবতেও তার পুরো চেতনা অসাড় হয়ে আসতে চায়। ভয়ে সাদা হয়ে যাওয়া মুখ নিয়ে সে বলে,” তুই এহানে, কি কারণ?’
মলিনা দড়ি ধরে নৌকা টেনে চড়ায় আনে, তারপর পাটাতনে উঠে বসে ফু দিয়ে বাতি নেভায়। হাতে বয়ে আনা একটা সাদা পোটলা রেখে তার পাশে বসে। কালীপদ কোন কথা বলার সুযোগ পায় না। কিছুটা সময় নিরব থেকে মলিনা বলেঃ
-মোরে লঞ্চঘাট দিয়া আবা, কালীদা?
কালীপদর সম্বিত ফেরে, অন্য কোন জগত থেকে যেন ফিরে আসে সে। মলিনা আবার বলে
-মোরে লঞ্চঘাট দিয়া আবা, কালীদা? ঢাকায় যামু; ঐহানে মোরে চেনেনা কেউ!
-ক্যান যাবি ঢাকা? কালীপদর কাছে এই প্রস্তাব অবিশ্বাস্য মনে হয়,” বাড়ি যা। এরাম পাগলামী বাদ দে!’
মলিনার কন্ঠস্বর এবার গলে গলে যায়; তার শব্দহীন কান্নার ধাক্কা কালীর কানে এসে লাগে। কান্নার ঝড়ের মধ্যেই মলিনা বলে,” আমারে কয়, আমি কি দোষ করছি? রাত্তিরে ঘুমাইতে গেলে নাভিতে টান দিয়া কুটকুট কইরা বুকের কাছে আইসা কান্দে, কয়-আমারে বাঁচাও মা!—আমি কই যাই, কি করি!’ চারপাশের বাতাস, ঝিঁঝিঁর ডাক ছাপিয়ে মলিনার কান্নার আওয়াজ আচ্ছন্ন করে রাখে। কালীপদ বলে,' ওইহানে তো বিপদ আরো বেশী অইতে পারে। এই বয়সের মাইয়া তুই...।‘
-পাগল! মানুষ কি সব পশু হইয়া গ্যাছে নাকি! বিধবা দেকলে সমস্যা, এখন তো অচেনা কেউ দেকলে বুঝপে না, না?’
রাস্তার দিকে দূর থেকে টর্চের আলো দেখা যায়। কালী চোখের পলকে পাটাতনের তক্তা সরিয়ে নিচে বসিয়ে আবার তক্তা দিয়ে ঢেকে দ্যায় মলিনাকে। ঘাটের কাছে ফিরে সে শক্ত করে খেজুর গাছে বাঁধা দড়ি খোলে। টর্চের আলো জ্বালানো মানুষটি কাছাকাছি এলে কালী জোড় গলায় ডাকে,” কেডা যায়?’
উত্তর আসে,’ তুমি নৌকায় কর কি? বাড়ি যাওনায়?’
-মোর বাড়ি যা, নৌকাও তা।-তারা দেহি, আইজ আকাশ পরিস্কার!
-হ!
টর্চের আলো ফেলে মানুষটি দীর্ঘ ছায়া হয়ে মিলিয়ে যায় দ্রুত।
মলিনা তক্তা সরিয়ে আবার পাটাতনে উঠে বসে।
কালী বলে,” তুই নাম কইলেই তো জ্বালা যাইত।“ মলিনার চোখ আবার অশ্রু সংকুলান হয়,’ যে মানুষটা সম্পর্কডারেই স্বীকার করলনা, পলাইয়া গেল, হের নাম কইলেই বা কি, না কইলেই বা কি , কওতো দাদা!’
-তোর তো গতি অইত একটা!
মলিনার এতদিনের জমা করা কষ্ট এবার বুঝি দীর্ঘশ্বাস হয়ে বাইরে আসে,’ বিয়ার কতা কও! সেই উপায় থাকলে তো ঘটনা এতদূর আউগায় না! যে লজ্জার ভয়ে সে পলাইছে, তারে আমি সেই লজ্জা দেই কেম্নে!’
কালী বিমূঢ হয়ে তাকিয়ে থাকে, মলিনা আবার অনুনয় করে,' আমারে দিয়া আস কালীদা, ঠিক কিছু একটা জোগাড় করমু আমি। কোলের কাছে সে থাকপে...এই জীবনে আমার তো আর কেউ নাই, কিছু নাই...।'
কালী কিছুক্ষণ চুপ করে বসে ভাবে। তার খুব ইচ্ছা করে মলিনাকে কোথাও নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে আসতে। তার এই ইচ্ছা বেশি প্রশ্রয় দিতে পারে না সে। নানান ধরণের ভয় মনে জাগে, মলিনার নিরাপত্তা, তার নিজের এই পরিচিত পৃথিবীতে দিনযাপন...। সে বলতে বাধ্য হয়,'আমি পারমুনা রে বইন। তুই বাড়ি যা!'
মলিনা যেন এরকম উত্তর স্বপ্নেও ভাবেনি এমন হাহাকার করে ওঠে,'পারবানা, সত্যই পারবা না? আমার লগে ভাড়ার পয়সা আছে!'
-পয়সা না রে বইন, এক নরক গোনে আরেক অচেনা নরকে তোরে আমি দিয়া আসবার পারিনা!' মলিনা ভাবলেশহীন চোখে তাকিয়ে থাকে। তারপর বিনা শব্দে নৌকা থেকে নেমে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।
........................
-ও কালী, ঘুমাও নাকি এখনো? থানায় যাওয়া লাগবে!
সকালের আলো তখনো ফোটেনি। ধড়ফড় করে উঠে বসতে গিয়ে হাত লাগে মলিনার ফেলে যাওয়া পোটলায়। কালীপদ কেন যেন সাথে সাথেই বুঝে যায় কি ঘটেছে। এই আধো অন্ধকারের মধ্যেও খালের পাড়ের কাচা রাস্তায় মানুষজনের দৌড়াদৌড়ি-ডাকাডাকি। কালীপদ অতুল রায়ের উঠানে আসার আগেই সেখানে যেন সারা গ্রাম উপচে পড়েছে। বাইরের বারান্দার ঠিক নিচে একটা হারিকেন জ্বলছে, সেই আলোতেই বাতাসের সাথে সাথে বহুবর্ষী পেয়ারা গাছে একটি ঝুলন্ত ছায়া দুলে যাচ্ছে। এক কপাল সিঁদূর মাখা মলিনার কপালটা মাটির দিকে নুয়ে, ঠিকরে বেড়িয়ে আসা চোখদুটিও মাটির দিকে তাকিয়ে। তার শরীরের সাথে শাড়ির আঁচলও উড়ছে এদিক-ওদিক। বার বার তার ফুলে ওঠা পেট শাড়ির বন্ধন ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে আসছে। আট হাত শাদা ধূতির আঁচলে মলিনা তার পেট ঢেকে রাখার প্রানান্ত চেষ্টা করে গেছে দিনের পর দিন। আজ বারোহাত লম্বা রঙিন শাড়িও তার সেই পেট ঢেকে রাখতে পারছে না!
-
মন্তব্য
- গল্পটার শুরু যেরকম ছিলো, শেষটা কেনো জানি তেমন হলো না। অনেকটাই আগে থেকে জানা জবাবের মতো। একটু তাড়াহুড়ো করলেন নাকি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো, মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। গল্পটার শেষ অন্যরকমই ছিল। একটা আশার আলো ছিলো। কিন্তু এই গল্পের সবচেয়ে বড় ব্যর্থ তা , আমি জানি, যে আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বাইরে যেতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত যেতে পারিনি। আমার স্মৃতিতে জমা রাখা একটি মৃতদেহ হানা দিয়ে শেষটা এরকম করতে বাধ্য করল। হলই না হয় একটি ব্যর্থ গল্প!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
আমিও ধুগোর সাথে একমত - শুরুর মতো হয়নি শেষটা।
পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মলিনা চরিত্রটিকে যেভাবে এঁকেছিলেন পরিণতিটা তার সাথে মানানসই বলে মনে হলনা। কালীপদ লঞ্চঘাটে দিয়ে না আসলেও মলিনা তার পথ বের করে নিতে পারার কথা। কুমারী মায়েদের আত্মহত্যা, গর্ভপাত ঘটাতে মৃত্যু, ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যা এর সবই নিয়মিত ঘটনা। তবে এর বাইরে অন্য গল্পও আছে। সে গল্প মাথা উঁচু করে নিজেকে বাঁচাবার কাহিনী, ছুঁৎমার্গের সমাজকে অস্বীকার করার কাহিনী, দীর্ঘ সংগ্রামের কাহিনী। আমি অমন কিছু আশা করেছিলাম। আমার আশার সাথে আপনার ভাবনার মিল না-ই হতে পারে। আমি শুধু আমার আশার কথাটা জানালাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডব দা, গল্পের শেষটা অন্যরকম ছিল( আপনাকে পরে পাঠাব)। পরে কি ভেবে যেন পরিবর্তন করে দিলাম...
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
আমার কাছে ঠিক লেগেছে, এইই আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত। ধন্যবাদ মনিকা।
মধুবন্তী মেঘ
অন্য কোনো পরিণতি আশা করছিলাম। অবশ্য বাস্তবে এটি ই বেশী ঘটে। কেন যেন এর থেকে পরিত্রাণ নেই, আপনার আমার কারোরই।
সেরা লাইন। তবে অধিকাংশ কুলাঙারের তো লজ্জাই নাই, তাই পালানোর তো প্রশ্নও নাই।
===অনন্ত===
ধন্যবাদ, অনন্ত!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ভাল্লাগেছে আপু সব মিলিয়ে...
শেষটুকু একটু অন্যরকম হলে ভাল্লাগতো আরো!!
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পড়েছ জেনে ভাল্লাগলো।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ ভাই।
শেখ আমিনুল ইসলাম
ধন্যবাদ।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
সেই কবে থেকে আমাদের এই বৃদ্ধ আর জরাগ্রস্ত সমাজটায় বিধিনিষেধ নামের কতগুলো যন্ত্রণার জন্ম হয়েছিলো যা কেবল নির্ধারণ করা আছে সমাজের অপরাপর নির্জীব মানুষগুলোর জন্যেই বুঝি। এখানে মলিনাকে আমি চিরায়ত সেই বোকা প্রেমিকা হিসেবেই দেখতে পাই। যার নিজের আছে অফুরন্ত ক্ষমার ভাণ্ডার। অথচ সামগ্রীক মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত সমাজ নামক একটি যন্ত্রের কাছে তার ক্ষমা মেলে না।
পৃথিবী দিনদিন আধুনিক হলেও আমাদের সমাজের জড়মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। অথচ যা আরো আগেই পরিবর্তিত হওয়ার কথা। আর একে অপরিবর্তনীয় করে রেখেছি আমরাই। আমাদের হীন মানসিকতাগুলো চরিতার্থ করার জন্যেই।
মনের দিক দিয়ে যদি সত্যিকার অর্থেই আমরা আধুনিক হতে পারতাম, হতে পারতাম সত্যিকার মানবীয়গুণগুলোর অধিকারি, তাহলে হয়তো নিশ্চিন্তে নির্ধারিত সময়েই মলিনা ভারমুক্ত হতে পারতো। নারীজীবনের কাঙ্ক্ষিত মাতৃত্বের অহংকারে সিক্ত হয়ে যাকে অবলম্বন করে সে খুঁজে বেড়াতে পারতো আরেকটি নতুন জীবনের ছায়া।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আপনার মন্তব্য খুব ভালো লাগলো! অনেক শুভেচ্ছা রইল।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
সবাইকে পড়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
খুব প্রচলিত বিষয় নিয়ে লিখবার বিপদ ও একটু বেশি !পাঠকদের অনেকেই গল্পে/উপন্যাসের চরিত্র কিংবা তাদের অসহায়াত্বের একটা বিহিত দেখতে চান, লেখকের পক্ষ থেকে !
কিন্তু যে কোন শিল্প মাধ্যমের মতো গল্প ও তো 'জীবন'কে 'চিনিয়ে দেবার'/ 'দেখিয়ে দেবার' ক্ষমতা রাখে । 'জিতিয়ে' দেবার নয় ।
মণিকা তো ভালোই দেখালে ! তোমার প্রাঞ্জল ভাষার গুনগান আবার গেয়ে গেলাম ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
ভাগ্যিস পড়েছিলে তুমি! অনেক সাহস পেলাম!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
খুব ভাল লেগেছে।
নতুন মন্তব্য করুন