অসীমা আমায় একটু আগেই বলেছিল এই খালে এখন আর স্রোত নেই। নয় মাইল দূরে নদীর তান্ডব বন্ধ করতে বাঁধ দেয়া হয়েছে বছরখানেক আগে। আমি তবু বসে থাকি, অসীমা পাশে বসে থাকে অপ্রকাশিত অনীহা নিয়ে। বাতাসে কচুরীপানার ডগাগুলো নড়ে, ছোট দুই-একটা মাছ লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। পশ্চিমের ঘাটে ঘোমটাশুদ্ধ একটি বউ স্নান করে চলে যায়। বউটিকে চেনার চেষ্টা করি। চিনতে পারিনা। কতোগুলো বছর চলে গেছে, এই বউটিকে হয়তো বালিকা দেখেছিলাম, অথবা সে অন্য গ্রামের মেয়ে। মাটির রাস্তা দিয়ে চলে যাওয়া লোকজন আমাদের দেখে, খুব একটা পাত্তা না দিয়ে চলে যায় কলাই ডালের ফলন কম হবার আক্ষেপ করে।
আমি আমার ফেলে যাওয়া খাল দেখি, জলের মরে যাওয়া দেখি। স্থির হয়ে থেমে আছে। ঠিক জীবনের মত। তারা সবাই বলে জীবন চলমান, আসলে হয়তো কোথাও না কোথাও জীবন থেমে থাকে।
বাড়িতে এসে প্রথম বুঝলাম আমি চৌদ্দবছর আগে পড়ে আছি আর এরা সব খুব খুবই এগিয়ে গেছে। তাজিনকে দেখতে গেছিলাম, ফুটফুটে ছেলেটিকে কোলে নিয়ে তাজিন ভবিষ্যতের গল্প শোনালো, সেই গল্পে আমি আমায় খুঁজে না পেয়ে দমে গেছিলাম। আমি মানে একটি মফস্বল শহর, বাঁশের চিকন টেংরির মত চল্টা ওঠা ইঁটের রাস্তা; রাস্তার পাশে বটগাছ, অশত্থের সাথে যার বিয়ে দেয়া হয়েছিল আর যারা দুজন মিলে তাদের ঝুলে যাওয়া গুঁড়ির নিচে আশ্রয় দিয়েছিলো কতরকমের সাপ। সাপের ভয়ে আমরা ওদের তলায় হাঁটতে যেতাম না। কাঁচা মাটির রান্নাঘরগুলোয় মাঝে মাঝে সাপ চলে আসলে পাড়ার পুরুষরা গাছদুটি কেটে ফেলার পরামর্শ করতো! তাজিন সেই গাছদুটিকে ভুলে গেছে; বৈষ্ণবদের সমাধিতলায় এখন নতুন ঘরবাড়ি। সেই বাড়ির নতুন বাসিন্দাদের এক বউ বলেছে তারা আর ভয় পায়না। প্রথম প্রথম সন্ধ্যারাতে শাদা ছায়ার মতন কাউকে কাউকে দেখা গেলেও তারা আজকাল আর আসে না। লোকালয়ের মানুষ আজকাল ওদের থেকে বেশি ভয় দেখাতে পারে। পরিচিত গৃহস্তের কিশোর ছেলেও আজকাল নাকি ছোটখাটো পিস্তল নিয়ে এসে চাঁদা তুলে যায় তাদের রাজনৈতিক সভার জন্যে। ভদ্রমহিলার কথা আমি কেন যেন বুঝতে পারিনি। কলেজে আওয়ামীলীগের হরতালে চাইনীজ কূড়াল নিয়ে মারামারি দেখে তিনরাত ঘুমাতে পারিনি, আর আমার সদ্য যুবতী বোন এখন জানে কোন অস্ত্র কতটা মারাত্মক!
তাজিন এসব পরিবর্তন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। তার ব্যবসায়ী স্বামী দিনের পর দিন চেষ্টা করে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া চলে যাবার। দেশে তো মানুষ থাকে না! নিরাপত্তার কথা ছাড়াও একটা সুন্দর জীবন! তাজিন সুন্দর জীবনের কথা বলে আর তার ছেলে উঠানের কোনায় জমে থাকা বৃষ্টির জল-কাদায় মাখামাখি হয়ে দেবশিশু সাজে...আমি তাকিয়ে থাকি। তাজিন বলেঃ ;বিদেশে তোর কত সুন্দর জীবন! ঝকঝকে রাস্তা,বাড়িঘর, শপিং মল...রাতে আলোকসজ্জা হয়। দূর থেকে দেখে নিশ্চই তাকে আগুন লাগা সন্ধ্যার মতন লাগে!" তাজিনের স্বপ্নের জগৎটা বুঝতে পারি।
কিন্তু অসীমার স্বপ্নটা ধরা হয়না আমার। অসীমার আগের স্বপনটা আমি বুঝতাম; টেলিভিশানে তপন চৌধুরীর গান হলেই তারাবাতির মতন তির তির করে ছুটে আসত আমাদের বাড়ি। তন্ময় হয়ে দেখত। আমাদের সাধনার বস্তু খেয়াল-নজরুলগীতি তার ভাল্লাগতো না। 'লাল কাজল' দেখে ববিতার দুঃখে বুক ভাসিয়ে কাঁদত। পা ভাঙা পাখি পেলে দিনের পর দিন ক্ষতস্থানে হলুদ লাগিয়ে উড়ে যাবার তাগিদ দিতো পাখিটিকে। বুনোরঙ, আলোছায়া, ঝর্ণার জল তার মধ্যে ঝিরঝির হয়ে ঝরতো। আসীমার স্বপ্নের সীমাহীনতা আমায় মুগ্ধ করতো। আমি স্বপ্ন দেখতাম না তেমন। আমার স্বপ্নের দেউড়ি বাঁধা ছিল অন্যের সিদ্ধান্তে।-আর অসীমা ইচ্ছেমতন এই খালে নেমে ঘন্টার পর ঘন্টা ডুব দিয়ে বেলে মাছ ধরতো। আমরা জলে নামতাম না, নামলেও বেশীক্ষণ একা কোথাও থাকার টিকেট আমাদের ছিল না। আমাদের কাছের পরিবার, দূরের পরিবার এবং তাদের শাসনের বাড়াবাড়ি ছিলো, অসীমার পিসীমা ছাড়া কেউ ছিলো না। আর সত্যই গরমের দুপুরে মতিখাঁর বাগান থেকে কোচর ভরে জলপাই , লোহাকড়া জাম নিয়ে এসে আস্তে আস্তে আমাদের পড়ার ঘরের জানালায় টোকা দিলে আমাদের ঈর্ষা হতো। আমরা ওকে এড়িয়ে চলতাম কিছুটা ঈর্ষায়, কিছুটা ভয়ে। নিজেদের স্বাধীনতা ছিলো না বলে ওর স্বাধীনতায় বড় ভয় ছিলো।
অথচ অসীমা তখন কোনোদিন আমাদের নিজের অনিচ্ছায় ওর ওড়না ছিঁড়ে যাবার গল্প বলেনি, বলেনি কঠিন সরিসৃপের সাথে ওর নিরন্তর যুদ্ধের কথা।
- 'এই খালে স্রোত নেই' বলে ও নিস্পৃহের মতন বসে থাকলে আমি খেয়াল করি স্রোত নেই বলে খাল কিছুটা থমকে আছে বটে কিন্তু একেবারে অচঞ্চল নয়। জল কাঁপছে একটু একটু করে, মাছ খেলছে, ছৈলা ফুলের পাপড়ি ভেসে ভেসে মায়ামোহের সৃষ্টি করছে কোথাও কোথাও।
-তোর খুব সুন্দর জীবন, না রে?'
-কি দেখে তোর মনে হলো?
-এই যে, ধা চকচকে গাড়িতে করে আসলি, তোর মেয়ে ধূলায় পা দিয়ে হাঁটতে চায় না...।
-আর কিছু?
অসীমা মুখ নামিয়ে বলেঃ
-বরের সঙ্গে আছিস্
-আছি, এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু তো নাই।
-অসীমা আবার বলে ,'বুঝবি না'
-বুঝব না কেন?
অসীমা কপালের মাঝখানে নিজের অজান্তেই হাত রাখে। সিঁদুরের রেখার সাথে সাথে সেখানকার কিছু চুল ধূসর হয়ে গেছে। আমি তাজিনের গল্পগুলো বলি। তাজিন খুব বিদেশে যেতে চায়, আমায় বলেছে যে আমি দেশের বাইরে থাকি বলেই দেশ দেশ বলে ন্যাকামী করে যাচ্ছি। দীর্ঘশ্বাস ফেলে অসীমা বলেঃ
-দেশ যে মানুষের কোন জায়গা জুড়ে থাকে, কে বলতে পারে!
আমি তখন বলিঃ' সুখও সেই রকম। সে যে মানুষের কোন জায়গা জুড়ে থাকে, কে জানে!'
-তোর ভালো লাগল না জায়গাটার এত পরিবর্তন দেখে, তাই না?
আমার ভালো লাগা না লাগা নয়, স্মৃতির সাথে বাস্তবের এরকম প্রতারণা সয়ে নিতে অস্বস্তি হচ্ছে। আমি একটি গ্রাম বুকের মধ্যে নিয়ে সমস্ত ক্লান্তি, মনের অসুখকে কাটাতে চাই; এখানে ফিরে এসে সেই গ্রামের অস্তিত্ব না পেয়ে কষ্ট হচ্ছে।
অসীমা আবার বলেঃ 'তোর কষ্টটা তো সখের, আমাকে দেখ, কতগুলো বছর কাটালাম অপেক্ষা করে... হয়তো আসবে..না হয় মরবে...আসলেও বাঁচি মরলেও বাঁচি!' অবচেতনে ওর হাত চলে যায় সিঁদুর ভরা সিঁথিতে।
আমি কিছু বলতে চাই। ঠিক জানিনা কি। হয়তো বলতে চাই যে অপেক্ষার তাও একটা লক্ষ্য থাকে..'.যদি' থাকে। জানা গন্তব্যের ক্রূরতার কোনো তুলনা হয় না!
কিছু বলা হয় না শেষ পর্যন্ত। আমি চুপ হয়ে যাই, মরে যাওয়া খাল দেখতে দেখতে ভাবি...কি মিল...কী ভীষণ মিল মানুষের সাথে জলের!
মন্তব্য
হ্যা এসব টানাপোড়েন থেকে হয়তো কিছু ভাল সাহিত্য বা মূভি হবে আর কী!!!
আফ্রিকার মানুষদেরকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে দাস বানিয়েছে, তারপর..... দেশ ভুলে গেছে ভাষা ভুলে গেছে আর আমরা স্বেচ্ছায় ভালমন্দ বিবেচনা করে পারি জমিয়েছি বিদেশে.....।
মোমেন
শুধু কি বিদেশ? মনে হয় না! আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
আপা,
পড়লাম।
ভালো থাকুন।
_________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
শুভেচ্ছা।পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মণিকা আপু,
বিগত কয়েক মুহূর্ত আপনার লেখনীর আকর্ষণে আচ্ছন্ন ছিলাম, চমৎকার গাঁথুনি, কোনরকম আরোপিত ব্যাপার নেই, মিষ্টি-স্নিগ্ধ একটা লেখা, নাকী জীবনের ছোট্ট একটি টুকরো.. ভাল থাকুন ।
বর্ণ অনুচ্ছেদ
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদে "ভদ্রমহিলার কথা আমি কেন যেন বুঝতে পারিনি"-এই বাক্যটি অসংলগ্ন বলে মনে হয়েছে।
২. পঞ্চম অনুচ্ছেদে "'লাল কাজল' দেখে ববিতার দুঃখে বুক ভাসিয়ে কাঁদত"-এখানে ববিতার বদলে শাবানার হলে মনে হয় ঠিক হয়।
৩. ফকির লালনের কাছ থেকে ধার করে বলি,
"প্রতীক্ষা একাকীত্বের চেয়ে বড় নয়,
যেমনটা জেনেছে সে নিজস্ব নিঃসঙ্গতার দামে।"
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আর ওই লাইন দুইটা আমারও খুব পছন্দের...
"প্রতীক্ষা একাকীত্বের চেয়ে বড় নয়,
যেমনটা জেনেছে সে নিজস্ব নিঃসঙ্গতার দামে।"
শুভেচ্ছা জানবেন।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
শুধু ব্লগরব্লগর না গল্প?
আমাদের টানাপোড়েনের মধ্যবিত্ত জীবনের একটা বড় সুর বোধহয় মনখারাপের গোঙানি।
ব্যক্তিগতভাবে মনখারাপ/মেলান্কলি বা এ ধরণের ভাব নিয়ে আমি নিজে কোনোকিছু লিখতে পছন্দ করি না। কিন্তু অন্যের যেসব লেখা ভালো লাগে তা প্রায়ই দেখি এই গোত্রের।
আনন্দের কথা দিয়ে, উদযাপনের কথা দিয়ে, সেসব গল্প করে সম্ভবত: মানুষের মনের গভীরে ছোঁয়া যায় না।
অনেক জায়গায় এই লেখার উপাদানগুলো, ভঙ্গি, বর্ণনা আমাকে ছুঁয়ে গেছে। কেন যে কিছু কিছু লেখককে মানুষ রোমান্টিক ঘরানার বলে চিহ্নিত করে বুঝি না। মূল মানুষটার মন রোমান্টিক না হলে তার লেখায় কি আর এমন রোমান্টিকতা আসে।
কিছু কিছু দৃশ্যকল্প অসাধারণ লাগলো। কয়েকটা দৃশ্যকল্প সম্পর্কে আমার কোনো অভিজ্ঞতাও কখনও হয়নি। তাই ব্লগারকে ঈর্ষাও জারি থাকলো...
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
____আসলে আমি কিছুতেই গল্প ট্যাগ করতে পাচ্ছিলাম না। এটিকে গল্প হিসেবেই লিখেছিলাম। আপনার ভালোলাগা অনুপ্রাণিত করবে নিঃসন্দেহে।ধন্যবাদ।
________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মনি, শোহেইল দাদার মন্তব্যটাই আমার মন্তব্য বলে ধরে নে, আমার অনুভবটাই তিনি লিখেছেন, আমি হয়তো এতো গুছিয়ে লিখতে পারতাম না।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
পড়েছ জেনে ভাল্লাগলো।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
নিঃসন্দেহে চমৎকার লেখা!
কি মাঝি, ডরাইলা?
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ, দ্রোহী!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
চমৎকার লাগলো!!
ধন্যবাদ, স্নিগ্ধা!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ভাল লেগেছে। আরো আসুক এমন সুন্দর লেখা।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ, পুতুল!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
চমৎকার লেখা মণিদি!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পড়েছ জেনে ভাল লাগলো, তিথী!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
জলের মতো ঘুরে ঘুরে কিসব কথা কইলেন, আনমনে উদাসী হাওয়ায় ঝরে-যাওয়া পাতাগুলো মনে পড়লো।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
নতুন মন্তব্য করুন