শীত শীতান্ত

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০৯/২০১০ - ৯:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চেনা জঙ্গলের আঁচলে এসে রাত গভীর হয়েছে। তার হাতে একটি শাদা রঙের আকৃতিতে লম্বা মোমবাতি। নির্জন জঙ্গলে নির্জন আলো জ্বালাবার সাথে সাথে ছায়াদের শরীর পুড়ে যেতে থাকে। একটি একটি করে তারা দৌড়ে পালায় ঘন গাছের আড়ালে।
মাথার ওপরে শূন্যে ঝুলে আছে নির্লিপ্ত নক্ষত্রখচিত আকাশ, দিনের বেলায় তার যতই রোমাঞ্চ জাগানো রঙ হোকনা কেন এখন সে প্রান্তিকের রঙ কালোর ঘরকন্না করছে। সে আকাশে দিকে তাকায়। আকাশ দেখা হয়না সে কতদিন! আকাশ দেখার সময় থাকে না। বেঁচে থাকার বাস্তবতা চারদিক দিয়ে ঘিরে ঘিরে ধরে আছে। আসলে যে বেঁচে থাকার কথা এখন মনে আসছে তাকে বেঁচে থাকা বলা যাবে কি-না সে এক বিবেচ্য বিষয়। ঘর থেকে বেড়িয়ে মনে হচ্ছে আজ একটি নতুন জানালা খুলে গেলো। যেখান থেকে বাইরের দৃশ্য একটু বেশি দেখা যায় , অথবা অন্যভাবে দেখা যায়।

মোহনার সাথে এ নিয়ে আঁতেল ধরণের কথা হয়েছিল। সুদীপকে ছেড়ে দেবার আগে মোহনা বিশেষ ধরণের জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা খুব বলত। সুদীপের প্রতি তার ভালবাসার অন্ত নাই অথচ জীবন কত কঠিন , প্রিয় বস্তু, প্রিয় মানুষকে আঁকড়ে থাকা যায় না শেষ পর্যন্ত...এইসব হাবিজাবি। সে তখনই বুঝেছিল চোখের লজ্জ্বায় মোহনার বলতে বাঁধছে যে ওর এখন আর সুদীপকে ভালো লাগে না। যা যা কিছু উদ্ঘাটনের -উন্মোচনের ছিল সুদীপের সাথে তার শেষ হয়েছে। মোহনের চক্ষুলজ্জ্বার বিষয়টা সেইসব দিনে সে ভারি উপোভোগ করেছে। মোহনা-সুদীপদের দীঘায় গিয়ে সারারাত জেগে শরীর শরীর খেলার শিহরণ মোহনার কাছে মূল্য আর উষ্ণতা হারিয়েছে এই কথাটা অতি প্রিয় বন্ধুকে বলতেও মোহনার কুন্ঠা হচ্ছিল--
-ওকে এতো ভালোবাসি , তবু দেখ অফিসে এসে সিন ক্রিয়েট করে বসল, লোকে কি বলবে!
-লোকের কথা তোদের দুজনের মাঝে আসবে কেনো!
-ভারি পজেসিভ, দ্যাখ, অন্য কারো সাথে কফি খেতে গেলাম তো অমনি...অমনি ...
শুনে সে ভাবছিলো, হয়তো সুদীপের এরকম হচ্ছে না-হয়তো সুদীপের উন্মোচনের এখনো কিছু বাকী তাই মোহনার কুন্ঠা হচ্ছে... মোহনা বেঁচে থাকার কথাই পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বলতে চেয়েছিল আসলে। বলতে চাইছিল যে সে নতুন কিছু চায় , নতুন কাউকে চায় আর যেহেতু কেউ কেউ সেটা সহজ ভাবে নিতে আপারগ তাই সে নিজেও সেটাকে অস্বাভাবিক ভেবে চলছে...অথচ না চাওয়াটাই বেশি সম্ভব, মোহনাকে বলেওছিল তা। মোহনা জানত তার বন্ধু সত্যি কথাই বলছে, তবু চারিপাশের বাস্তবতার সাথে খাপ খাওয়াতেই উত্তরে জানিয়েছিল, সে হৃদয় দিয়ে চিবিয়ে ছেবড়া হয়ে যাওয়া সম্পর্ক ধরে রাখতে চায়...হায় মিথ্যেবাদী!

তবুও মোহনা বাঁচার কথাই ভাবছিল, অন্ততঃ সে তাই ভাবে। মানুষের ভেতরে যে অমসৃণ বাসনা থাকে এ হচ্ছে সেই কথা। যদিও অপরাধবোধে ভুগছিলো বেচারী।

অপরাধবোধে সে নিজেও ভুগেছিলো একসময়। তখনো এমন অন্ধকার রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে ছায়া পোড়াবার ইচ্ছে হয়নি। বেশ গোছানো, চমৎকার ঘরবার, রাতদিন। রান্নাবান্না নিয়ে বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্ট করতে শিখে গেছিল। অফিসে কলিগদের সাথে বেশ বোঝা যায় ধরণের গল্প-সল্প হতো। মাস শেষে কে কোন পার্লারে পেডিকিওর-মেনিকিওর করে এসব নিয়ে উপভোগ্য আলোচনায় তার আপত্তি ছিলনা তখনো।

সুমিতা বলে যে অসাধারণ রূপবতী মেয়েটি তাদের অফিসের সেক্রেটারি ছিল, তার নিত্য নতুন পারফিউমের গন্ধ পাশের ঘরে ছুটে আসা মাত্র সবার সুখ বিষয়ক মন্তব্য সে-ও উপভোগ করতে পারতো সেই সময়। সুমিতা সুন্দরী এবং তার তাতে অহংকার ছিল। সে খুব অনায়াসে বসদের হ্যান্ডেল করতো। অফিসে তাদের ঘরে একটিমাত্র ছেলে বসত, প্রবাল। সেও দেখা যেতো মেয়েদের সাথে সুমিতার পারফিউম নিয়ে গুটুরগুটুর গল্প করছে। সম্ভবতঃ তার পারফিউম সুমিতার পছন্দ হয়নি। পছন্দ অপছন্দ তো মানুষের অধিকার, তা নিয়ে এতো গল্পও যে করা যেতে পারে, একদা তাদের প্রাক্তন অফিসের সেই ভ্যাপসা ঘরটির বাসিন্দা না হলে সেকথা সে আর এ জীবনে বুঝতে পারতো না! আর অন্যের সুখ বিষয়ে মানুষের অকল্পনীয় আগ্রহ সম্পর্কেও তার জ্ঞান এত বেশি হয়তো বাড়তনা, যদি ওই অফিসের বাসিন্দা না হত সে কোনোদিন। কতভাবে কৃতজ্ঞতা থেকে যায়! তার অপরাধবোধ একসময় হয়েছিল সেইসব সুখের আলোচনায় নিষিদ্ধ আনন্দ পাওয়ার জন্য। সে খুব ভালো করেই জানত সুমিতা যদি খেলায় অংশগ্রহণ করেই থাকে সেটা তার একধরণের সুখপ্রাপ্তির অধিকার। এই সব সুখের কথা সবাই ভাবে, যারা বাস্তবে পারেনা তারা স্বপ্নে ভাবে। ভাবায় যদি দোষ না থাকে সুমিতার তাহলে দোষ কেন হবে!

দোষ শব্দটিও খুব আপেক্ষিক মনে হয়। বাবা একবার( তখন তার বয়স কত হবে, সাত, আট) তাদের দুই ভাইবোনকে নিয়ে গোপন সফরে গিয়েছিল, বলেছিলো মাকে যেন কিছুতেই না বলে। ভাইবোনকে নিয়ে যাবার রহস্য সে বড় হবার পরে বুঝেছে, কিন্তু সে কথা থাক। তাদের বসতে দেয়া হলো বসার ঘরে, আর বাবা সেই বাড়ির পেছনের দিকের একটা ঘরে হারিয়ে গেলেন...কতযুগ তারা সেই বসার ঘরে রান্নাবাটি খেলে অতঃপর মারামারি শুরু করেছিল ঠিক মনে করা যাচ্ছে না। কিন্তু মারামারি হলো বলেই না বাবা ছুটে এলেন, সাথে সেই শুকিয়ে বাঁশপাতা হয়ে যাওয়া মেয়েটি...মনে হচ্ছিল একটু জোড়ে ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে।
সে বলেছিলো,' আপনি হাঁটতে পারেন!'( কি বোকা বোকা প্রশ্ন!')

মেয়েটি বাবার দিকে তাকিয়ে বলেছিল,' মেয়েটা তোমার বুদ্ধু হয়েছে দেখছি! ঠিক তোমার মতন!'

এই কথায় বাবা খুব লজ্জা পেয়েছিল। আর পরে তারা দুই ভাইবোনে মিলে বাবার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে যেদিন মাকে সেই বেড়িয়ে আসার গল্প বলেছিল, সেদিন মার মুখ বাতি নেভানো সন্ধ্যাবেলার মতন হয়ে গেছিল। মা-বাবার মধ্যে মানসিক বিচ্ছেদের সেই শুরুটা শিশু হলেও তারা দুই ভাইবোনেই অনুভব করতে পেরেছিল, তাদের খুব অপরাধবোধ হয়েছিলো সেদিন।-তবে সেটা বাবার সাথে বেড়াতে যাওয়ার জন্যে না মাকে বেড়াবার গল্প বলে দেয়ার জন্যে আজ সেকথা ঠিক মনে পড়ে না!

সেরকম অনেক কথাই অবশ্য মনে পড়ে না। কিছু কথা সে চায়না মনে পড়ুক। কিছু কথা মনে আসার সাথে সাথে নিজেকে বলে এরকম কিছু ঘটেনি। কিছু ঘটনা না ঘটলেই আসলে ভাল ছিল। অবশ্য এ- ও মনে হয় এই যে আজ বিনা দ্বিধায় এখানে এসে মোমবাতি হাতে দাঁড়াতে পারল এর পেছনে সেইসব অবাঞ্চিত ঘটনার অবদানও তো রয়েছে।

মধ্যরাতে মোমবাতি হাতে এসে গভীর অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ছায়াদের দৃশ্যকল্প দেখে যাওয়ার পেছনে আসলে কি কোন প্রচ্ছন্ন কারণ থাকতে পারে?
(চলবে)


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গল্পের আকার যাই হোক সেটা এক দফাতেই পড়তে চাই। আর এমন গল্প পর্বে বিভক্ত হলে দ্বিতীয় পর্ব পড়ার সময় আবার প্রথম পর্ব পড়ে দ্বিতীয় পর্ব ধরতে হবে। নয়তো গল্পটার সৌরভটা ঠিক মতো টের পাওয়া যাবেনা।

এই পর্বের প্রথম আর শেষ অনুচ্ছেদ পড়ে বোঝা যায় এর লেখক একজন কবি। তা নাহলে এমন মায়াময় কাব্যিক ভাষা হতে পারতোনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফারুক হাসান এর ছবি

পাণ্ডবদার সাথে আমি একমত - গল্পের বর্ণনায় কাব্যের ছোয়া বোঝা যায়। এ ধরণের লেখা দারুণ লাগে পড়তে। গল্প চলুক!

মণিকা রশিদ এর ছবি

ধন্যবাদ!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

মণিকা রশিদ এর ছবি

ধন্যবাদ, পাণ্ডবদা! আকারের কথা ভেবেই আসলে দুই পর্বে দেব ভেবেছি। পরের বার মনে থাকবে।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

কুলদা রায় এর ছবি

চলার অপেক্ষায়।
কবিদের চেয়ে স্বাদু গদ্য অন্য কেউ রিকতে পারেন না। এ জন্য আমি কবিতা পড়ি।
মনিকার শব্দভিড় কিছুটা কমালে কেমন লাগবে? একটু লাবণ্য বাড়বে বলেই মনে হয়।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

মণিকা রশিদ এর ছবি

ধন্যবাদ, দাদা! শব্দভীড়ের কথাটা মনে রইল।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লেগেছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

মণিকা রশিদ এর ছবি

পড়েছেন জেনে আমারো ভালো লাগলো!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

বাউলিয়ানা এর ছবি

দারুন। চলুক...

মণিকা রশিদ এর ছবি

_________ধন্যবাদ!
___________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

সবুজ বাঘ এর ছবি

গল্ফ ছায়া ছায়া মায়া মায়া হইছে। বিজ্ঞান তাত্তাড়ি বাকি গল্ফটুকু লেকপার তৌফিক দিক আপনাকে।

মণিকা রশিদ এর ছবি

দোয়া রাকপেন!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

তিথীডোর এর ছবি

চমৎকার!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মণিকা রশিদ এর ছবি

থ্যাঙ্কু!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

সুমন সুপান্থ এর ছবি

বাকী অংশ পড়তে চাই তাড়াতাড়ি । এই গল্পের ভাষা গল্পকারের আর সব গদ্যের চেয়ে অনেক পরিনত বলে মনে হলো। মখমলের মতো পেলব আর চাবুকের মতো শানিত হলে পণ্ডিতেরা যাকে উত্‌কৃষ্ট গদ্য বলেন, তার নমুনা মিলছিলো ...
ভালো লাগলো খুব ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

মণিকা রশিদ এর ছবি

ধন্যবাদ, উইকেন্ডে বাকীটা পোস্ট দেব ভাবছি!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

বইখাতা এর ছবি

খুব ভালো লেগেছে। পর্বে পর্বে ভাগ করে না দিয়ে এক পর্বে দিলে ভাল হতো, এইরকম গল্প একবারে পুরোটা পড়তে না পারলে ভাল লাগে না।

মণিকা রশিদ এর ছবি

আমি লেখার আকার নিয়ে একটু শঙ্কিত ছিলাম, এখন দেখা যাচ্ছে সেটা কোন সমস্যা না! ধন্যবাদ, পড়ার জন্যে।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

নাহ! আগে নীচে দেখে নেয়া উচিৎ ছিলো মন খারাপ

পরের পর্বটা কবে দিচ্ছো?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মণিকা রশিদ এর ছবি

আগে নীচে দেখে নিলে কি সিদ্ধান্ত নিতে?
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

প্রায় মাস তিনেক পরে এসে দেখে যেতাম, পরের পর্বটা লেখার জন্যে তোমার উইকেন্ড আসছে কিনা চোখ টিপি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

এ কী করলে দিদি !!
এ তৃষ্ণার শেষ হবে কবে...
গল্পে বর্ণনার ভাষা বেশ লাগছে... হাসি

-----------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

মণিকা রশিদ এর ছবি

তৃষ্ণা যে জাগাতে পারলাম তাতেই তো ভারী আনন্দ হচ্ছে!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

অসম্ভব ভালো লেখা, বাকিটা চাই তাড়াতাড়ি।

দিঘাকে আমরা কিন্তু এখনো দীঘা ই বলি।

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

মণিকা রশিদ এর ছবি

দিঘাকে আমিও তবে 'দীঘা'ই করে দিচ্ছি। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

ওয়াও!!!!!!!!!

মণিকা রশিদ এর ছবি

ধন্যবাদ!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

অতিথি লেখক এর ছবি

মানুষ বোধকরি পৃথিবীর জটিলতম প্রাণী !
রোমেল চৌধুরী

মণিকা রশিদ এর ছবি

মানুষ আসলেই পৃথিবীর জটিলতম প্রাণী, রোমেল! পড়ার জন্যে ধন্যবাদ!

____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

গৌতম এর ছবি

মোমবাতি থাকলে সেখানে প্রচ্ছন্ন কারণ থাকতেই হবে...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মণিকা রশিদ এর ছবি

হ! ...মনে হচ্ছে এটা 'জীবন থেকে নেয়া' উক্তি! পড়ার জন্যে ধন্যবাদ!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

বৃষ্টী এর ছবি

বহুদিন অপেক্ষাএ আছি। কত উইকেন্ড এল আর গেল। তোমার পোষ্ট আর এল না। এদিকে আমি বাংলা লেখাও শিখে ফেললাম। চলবে লিখলে তবে চলন বন্ধ কেন?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নাদের আলীরা এমন কথাতো দিয়েই থাকে; আমরা লম্বা হতে থাকি, আমাদের মাথা ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করে; তবু কেউ আমাদের তিন পহরে বিল দেখাতে নিয়ে যায় না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।