প্রবল ভ্রমের মধ্যে জেগে ওঠ নিঃশব্দ প্রহরে। জানালার পোকা জানে এসব ভ্রমের মাপকাঠিতে কতটা সোনা; মিশে আছে খাদ কতটা। অভিমান ঘষেঘষে যেটুকু সরল আলো জ্বালা যায়; যেটুকু তাড়না আসে সবকিছু ভেঙেচুরে ভেসে যেতে যমুনার জলে; তার সবই শুষে নেয় বুকের বৃক্ষের নীতিকথা। অন্ধকার গৃহীত হয় ঘুমের লাগাম খোলা চোখে, কবিতায়; এমনকি সঙ্গমে ও প্রেমে। নিঃশব্দের শঙ্খে চড়ে পাড়ি দেবে দূর্লংঘ্য সমুদ্র; সেই দেশে বাস করে অবুঝ অলীক! তোমাকে উদ্বাস্তু জেনে সেখানেও জড়ো হয় আরও দশজন। নিংড়ানো টিউবে থাকে বিগত রঙের কংকাল; সব ছবি জমা হয় ঝকঝকে ওয়ালেটে, নিখুঁত বারান্দায়।
প্রবল ভ্রমের বেগে মনে হয় এই ছাদ, এই এক আজীবনের ছাঁদ, এই এক ডানা মেলা মহাকাশ, নাটুকে মহারাজের বানানো ডায়লগ এবং দূরে বসে থাকা শিল্পীত মানুষটি, সব শুধু পিচ্ছিল শ্যাওলার মত ঝুঁকিপূর্ণ করেছে বল্গাহীন কল্পিত সম্ভ্রম। বসে থাকো, ভোর হবে! সংকীর্ণ গলিতে বসে পেচ্ছাপরত কুকুর আগ্রহে চাটবে তোমার ক্ষত, ভোর ভোর যখন ফিরে যাবে টহলরত বেশ্যারা; তাদের চামড়ায় দেখবে জীবিকার রক্ত লেগে আছে। পার্থক্য এই যে,
রাতভর ভ্রমের নৈঃশব্দ তাদের অভিমানী করেনি!
মন্তব্য
"পার্থক্য এই যে,
রাতভর ভ্রমের নৈঃশব্দ তাদের অভিমানী করেনি!" -
কবিতা শুধু জানে কতখানি যাতণা ধরে রাখে একেকটি শব্দ...
শুধু কবিতাই জানে দিদি...
--------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
সহজ অনুভূতি, কঠিন কবিতা।
..............................।
শ্যামল
নীড়পাতায় যেন আজ কবিতার দিন। ক্যামন বিষন্নতা ছড়ানো। দীর্ঘদিনের জন্য ডুব না দিয়ে মাঝে মধ্যে পোস্ট করবেন। ভালো লাগলো।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নতুন মন্তব্য করুন