ক্ষমা কর রাজন, ক্ষমা কর বাবা!

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: সোম, ১৩/০৭/২০১৫ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যতবার চোখ বন্ধ করছি চৌদ্দ বছরের বাচ্চাটির ব্যথায় নীল হয়ে যাওয়া মুখটি দেখতে পাচ্ছি। ফেইসবুকে আপলোডেড ভিডিওটি দেখার সাহস করতে পারিনি। আমি কিছুতেই চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়া বন্ধ করতে পারছি না। এই শিশুটির মুখে নিজের সন্তানের মুখ বসে যাচ্ছে বার বার। বাংলাদেশে খুন করা আর কোনো নতুন বিষয় নয়। মানুষ খুন করা হচ্ছে প্রকাশ্যে, জড়ো হয়ে অন্য মানুষ তা দেখছে, ছবি তুলছে, এমনকি ভিডিও বানাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত সবগুলো মানুষ নামের প্রাণী এক একজন হত্যাকারী। আমার প্রতিবাদ করতে ইচ্ছা করে না। প্রতিবাদে কিছু হয় না- দুইদিন পরে সবাই ভুলে যায়। সবাই ভুলে যাই আমরা! আমরাও সবাই 'মানুষ'! 'মানুষ' শব্দটার ডেফিনেশান কী তবে, এই প্রশ্ন রেখে যাই।

হাত পা বাঁধা এই শিশুটি আমার বা আপনার যে কারোর সন্তান হতে পারতো- সে নিষ্পাপ বা চোর হতে পারতো- তাতে কি কিছুই পাল্টায়? একদল লোক তারে পিটিয়ে মেরে ফেলবে, একদল দাঁড়িয়ে দেখবে আর একদল ভিডিও করে বাজারে ছেড়ে দেবে- আর যে এই একদল আমরা আমি-আপনি-সে আমরা তাই দেখে এক মুহূর্ত বেদনার স্তব্ধ হয়ে বসে থাকবো, ব্যস! আর কিছু করবো না, আমাদের আর কিছুই করার নাই! আমরা এত অসহায়, অপদার্থ জাতি কেন?

একটি শিশুর মুখে এমন ব্যথা, মৃত্যুর নীল রঙ দেখতে চাই না! আমি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি, কারো 'মা' না হলে আমার প্রতিক্রিয়া কী হতো আমি জানি না।, কিন্তু আমি রাজনের মতই একজনের মা- তার গায়ে গাছের পাতা উড়ে এসে পড়লেও আমার উৎকণ্ঠা হয়- এই ঘটনায় ঘৃণায় ছটফট করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছি না! আমি ঘৃণা করতে শুরু করেছি নিজেকে- সবাইকে- সবকিছুকে!


মন্তব্য

আরিফিনসন্ধি এর ছবি

আজকে সকালে যখন এই খবরটা ফেসবুকে নিউজফিডে আসে, তখন থেকে আর কিছু চিন্তা করতে পারছি না। এমনকি আজকে বাংলাদেশের খেলা, কিন্তু ভিতরটা স্যাতস্যাতে হয়ে আছে, কিছুই দেখলাম না। আমরা আর মানুষ নাই , একুশ শতকের এক জোম্বি হয়ে গেছি।

........................................................
গোল্ড ফিসের মেমোরি থেকে মুক্তি পেতে চাই
শুধু আমি না, আমার সাথে পুরো জাতি

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

বিডি নিউজের খবরের সাথে ভিডিও লিঙ্কটার প্লে বাটনে ক্লিক করেও কয়েক সেকেন্ডের বেশি দেখতে পারলাম না। চুপ করে বসে বাচ্চা একটা ছেলেকে পিটিয়ে মারার দৃশ্য ভিডিওতেও দেখা সম্ভব না! যতটুকু দেখেছি তাতেই অসুস্থবোধ করছি! এরকম দিনে-দুপুরে জগতের কতগুলো নিকৃষ্ট কিট খুনিদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ছেলেটির আশেপাশে কেউ ছিলো না?

হায়! সব গুলি খুনিকে ধরে ধরে ফাঁসি দিয়ে দিলেও কি এই সাইকো-প্যাথিক ক্রিমিনাল গুলোর শাস্তি হবে? হবে না! এই শয়তান গুলো কে একশবার ফাঁসিতে দিলেও কি এদের শাস্তি কম হয়ে যাবে না?

শিশিরকণা এর ছবি

আমরা এত অসহায় অপদার্থ জাতি কেন? চুপ করে বসে দেখা সম্ভব না এই ভিডিও, ছুটে গিয়ে বাচ্চাটাকে বাচানোর আকুতি ধরে রেখে কেম্নে দেখা যায়? তাহলে অমানুষ হতে হবে, পিশাচ হতে হবে। এর চেয়ে প্রতিবাদ করতে যেয়ে মানুষ হিসেবে মরাও শ্রেয়তর।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

এক লহমা এর ছবি

অবয়ব মানুষের, মানুষ নয় কোনোমতেই, পিশাচ ওগুলো। দুর্ভাগা শিশুটিকে ফিরে পাওয়া যাবে না। পিশাচগুলোর সর্বোচ্চ শাস্তি, হোক। আর কিছু বলা সম্ভব নয়।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভিডিওটি দেখার দুঃসাহস আমার হয়নি। হবেও না কোনোদিন। কিন্তু অবাক হয়ে গেছি আমরা আজকাল কেবল নিজের উপর আঘাত না এলে আর কোনো নৃশংসতারই প্রতিবাদ করতে ভুলে যাচ্ছি। একটা বাচ্চা খুন হয়ে গেল দিনে দুপুরে আর তারপর সেই ভিডিও আপলোডও হয়ে গেল নেটে, দুটোতেই মানুষ মজা পাচ্ছে, মজা নিচ্ছে-কীভাবে?

দেবদ্যুতি

Sagar এর ছবি

ঘৃণা, ঘৃণা, ঘৃণা। তীব্র ঘৃণা জানাই আর প্রতিবাদ। এরা অসুস্থ। এদের মানসিক চিকিৎসা দরকার। এদের সমাজ থেকে বের করে দেওয়া দরকার।

শান্ত এর ছবি

ভিডিওটা দেখার সাহস করিনি। একজন মানুষকে পিটিয়ে মারছে আর কম্পিউটারের সামনে বসে গায়ে এসির বাতাস লাগিয়ে বসে বসে দেখা একজন মানুষের দ্বারা কিভাবে সম্ভব?

এমনিতেই আমি দুর্বল মনের মানুষ। যেকোন ধরনের নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যার ছবি ভিডিও সযতনে এড়িয়ে চলি। তারপরও কিছু কিছু ছবি কিছু খবর সামনে চলে আসে। তখন সাথে সাথে মনে পড়ে আমারও একটা মেয়ে আছে। যদি আমার মেয়ের সাথে এরকম হয় ... রাজনের ছবি ফেসবুকে দেখতে দেখতে চোখে ভেসে উঠে আমার মেয়ের মুখ।

রাজন, মানুষ হিসাবে আজ আমরা লজ্জিত। ক্ষমা করো ভাই আমাদেরকে।

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে আমরা দলে দলে বিভক্ত। কেউ পিটিয়ে লাশ বানাবে,কেউ ভিডিও ধারণ করবে,কেউ শুধু দাড়িয়ে দেখবে,কেউ ধিক্কার জানাবে..….…ছেলেটির বিচার দাবি করছি,আর কিছু করতে পারছি না।আমার এই কাজ ,কারো সেই কাজ, এভাবে আমরা দিন দিন মনুষ্যতহীন জাতিতে পরিণত হচ্ছি।,এ্যনি মাসুদ
[restrict:সচল][/restrict]

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমি ঠিক বুঝি না, আমাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই কি এসব ঘটনাকে উৎসাহিত করছে? একসময় বড় বড় কারণে খুনখারাবি হতো, এখন তুচ্ছ কারণেও একটা মানুষকে খুন করে ফেলা যায়। এমনকি কোন লেখার কোন একটা লাইন অপছন্দ হলেও খুন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা যায়। আমরা কিরকম ফ্যানাটিক জাতিতে পরিণত হচ্ছি?

একসময় খুন খারাবি হতো রাতের অন্ধকারে, এরপর শুরু হলো দিনের আলোতে, এখন তাও যথেষ্ট নয়, খুন করে তার ভিডিও ধারণ করে প্রচার করতে হয়!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাফি এর ছবি

১। গত প্রায় ১০-১২ দিন ধরে, আমাদের বাসার বারান্দায় একটা চড়ুই পাখি থাকে। পাখিটা উড়তে পারেনা, সম্ভবত একটা ডানা ভাঙ্গা। তাই তাকে একটা বাটিতে পানি দেওয়া আছে, আর মোটামুটি দিনে একবার খাবার(বার্ড ফিড) দেওয়া হয়। ৩-৪ দিন আগে একদিন হঠাৎ দেখি আরেকটা চড়ুই পাখি মুখে করে খাবার নিয়ে এসে তাকে খাইয়ে দিচ্ছে। ভেবেছিলাম কাকতালীয়, আজকে আবার দেখলাম ঠিক আগের দিনের পাখিটার মতন ই দেখতে একটা চড়ুই পাখি উড়ে আসলো। সাথে সাথে বারান্দায় থাকা পাখিটা ডানা ঝাঁপটানো শুরু করলো। তারপর উড়ে আসা পাখিটা এসে বারান্দার পাখিটার মুখে খাবার দিয়ে গেল। আমি জানিনা, এই পাখি দুইটা কি একটা পরিবার নাকি আরেকটা পাখির আর্তস্বর শুনে অন্য পাখিটা খাইয়ে দেয়!

২। সিলেটে রাজন নামের তের বছরের ছেলেটাকে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে মারতে মারতে মেরে ফেলা হয়েছে। মারার সেই দৃশ্য অনেকেই উপভোগ করেছেন। কিছু মানুষ ভিডিও করেছেন। সেই ভিডিও দেখার মতন সাহস আমার হয় নাই, তবে পত্রিকায় পড়েছি ভিডিও যারা করছিলেন তারা ভিডিও করার সময়ে ভিডিও ফেসবুকে দিলে কী পরিমাণ সাড়া পাবেন, তাই নিয়ে জল্পনা কল্পনা করছিলেন। মারার এক পর্যায় ছেলেটা যখন অস্বাভাবিকভাবে ঘামতে ঘামতে পরে গেছিলো এবং পানি চাইছিলো, তখন দর্শকদের মধ্যে থেকে কেউ পানি নিয়ে আসেনি। তাদের কেউ একবার ও থামতেও বলেনি। বরং বলেছে ঘাম খেয়ে যেন তৃষ্ণা মেটায়।

উপরের দুই ঘটনার একটা ঘটিয়েছে যারা, তাদের বলা হয় আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব, আরেকটা প্রাণী অবলা জীব অর্থাৎ তার কোন বুদ্ধি বিবেচনা বোধ নাই।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

শিউরে শিউরে উঠছি খবরটা জানার পর থেকে। আমরা কি তাহলে আসলেই মধ‌্যযুগীয় বর্বরতাকে লালন করি বুকের ভেতরে ?

____________________________

নন্দিতা এর ছবি

আমার মনে হয় কি জানেন! এই নির্যাতন-হত্যা নতুন কিছু না। নতুন ব্যপারটা হলো সস্তা স্মার্ট ফোন, ভিডিও করে ফেসবুকে শেয়ার, আর আমাদের দুই দিনের সস্তা আবেগ। আমি সেই ছোট থেকে শুনে আসছি চোর পেটান হচ্ছে। আসে-পাশের বাসা বাড়িতে কাজের ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের কারণে-অকারণে পেটান হচ্ছে। নিজের ছেলে-মেয়েদেরও পড়া না পারলে বা অবাধ্য হলে পেটান হয়। নিজের গুলোকে আমরা মেরে ফেলি না। গরীব মানুষের বাচ্চাদের মারতে মারতে কখনো মেরেই ফেলি। মারার পর কেউ কেউ হাত ধুয়ে ওযু করে নামাজে দাঁড়াই। কেউ কেউ ফেসবুকে ভিডিও দেখে আহা উহু করে নিজেদের মানবিক বলে প্রমাণ করতে চাই। কেউ কেউ স্ট্যটাস দেই যে এজন্যই দেশে শরীয়া আইনের দরকার যাতে নির্যাতনকারিদের প্রকাশে কতোল করে নতুন ধরনের বিনোদন নেওয়া যায়। অথবা কেউ কেউ দু'ফোটা চোখের পানি ফেলে, এক সপ্তাহ পরে নিজের বাচ্চার বা ভাই-বোনের বাচ্চাদের স্পাইডারম্যান বা ফ্রোজেন থিমের জন্মদিনের পাটর্ি করে ছবি আপলোড করি। মরে গিয়ে রাজনের কপালে অন্তত কিছু আহা-উহু জুটলো। পেপার ঘেটে দেখলাম গতকাল এমন ধোলাই খেয়ে আরো দু'জন মারা গেছে, যাদের ভিডিও করে ফেবুকে দেওয়া হয়নি দেখে আমরা গা করছি না। আর কোন কোন মৃত্যুর খবর হয়ত পত্রিকা পর্যন্ত আসেনি। আর যারা মার খেয়ে মরে না গিয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে পঙ্গু শৈশব পার করছে, তাদের জন্য আমরা কি করছি!

সত্যপীর এর ছবি

ঠিক আছে।

..................................................................
#Banshibir.

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মন খারাপ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বহুবার ভেবেছি কিছু লিখি; কিন্তু কেন যেন একটা অক্ষরও ভাবতে পারছি না বিষয়টা নিয়ে...

নজমুল আলবাব এর ছবি

নিজেরে এতো অক্ষম লাগে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঘুরে-ফিরে শামসুর রাহমানের সেই পংক্তিগুলোই মনে পড়ছে, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে লিখলেও কি আশ্চর্যজনকভাবেই না প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়াচ্ছে লাইনগুলোঃ
''আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক
পশু সেই সব পশুদের।
ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের
সারিবদ্ধ দাঁড়
করিয়ে নিমিষে ঝা ঝা বুলেটের বৃষ্টি
ঝরালেই সব চুকে বুকে যাবে তা আমি মানি না।
হত্যাকে উতসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে
ক্যাম্পাসে বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভতস গন্ধ দিয়েছে
ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না
কামনা।''
আসলেই ফায়ারিং স্কোয়াডের বুলেটও নরপিশাচগুলোর জন্য কম মনে হচ্ছে! একটি নির্দিষ্ট প্রসঙ্গে লিখিত হয়েও অমর কবিতাগুলো বোধহয় এভাবেই সব কালের কথা বলতে পারে!
।।।।।।।।।।।।।।।।
অনিত্র

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুইদিন ধরে ফেসবুকের কল্যাণে ঘুরেফিরে রাজন-সম্পর্কিত নানান পোস্ট চোখে পড়ছে। এড়াতে চেষ্টা করছি সচেতনভাবে। সবসময় পারছি না। থাম্বনেইলে দেখা ছেলেটার কান্নাকাতর ছবি চোখে ভেসে উঠছে কাজের ফাঁকে ফাঁকেই। একবিংশ শতকের আদর্শ বাঙালি আমি। কতশত প্রাণনাশের ঘটনা চলে আসে সামনে ঘুরেফিরে। কেমন যেন অভ্যস্ততা চলে এসেছে। সবার বিচারেরে দাবির প্রেক্ষিতে মনের মধ্যে সন্দেহ জাগে। বিচার? ঘোড়ার ডিম! হবে না।

তারপরও, মাঝেমাঝে খুব দুর্বল মুহূর্তে পেয়ে বসছে ঘটনাটা। চিন্তা করতে গেলে পারি না আর তখন। অস্থির লাগে। একজন মানুষ কতটা ভয়ংকররকম দয়ামায়াহীন হলে আরেকজন মানুষকে এভাবে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলতে পারে! কেন হয় এরকম! কেনই বা হবে!

হতাশ লাগে।

রানা মেহের এর ছবি

এই লেখাগুলো পড়তে ইচ্ছে করেনা।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।