এন্টি গল্পের চরিত্রগুলোর মধ্যে কোন হী-ম্যান নাই।যদি কেহ ইহাতে ঝুম্পা লাহিড়ির স্ট্রেইন্থ, অরুন্ধুতির চমত্কারিত্ব,হুমায়ূন আজাদের আদিরস,হুমায়ূন আহমদের ভাঁড়ামো,কিংবা সুবিমলের এক্সপেরিমেন্ট খুঁজিতে চাহেন,নিরাশ হইবেন । এন্টি গল্পের সকল চরিত্রই আটপৌরে এবং নিরাভরণ। বলা বাহুল্য ইহার কোন রূপ সাহিত্য মান তালাশ করিতে চাওয়া অনর্থক....................................
আপনি জন্মানোর পরে আপনার বাবা আপনার জন্ম-খুশিতে গরু মেরে খাইয়ে ছিল। আড়াই বছর যেতে না যেতে আপনাকে টেনে লম্বা করার টেষ্টায় ওই বয়সেই আপনাকে ঠেলে পাঠশালে পাঠিয়েছিল।আপনি বাবার ইচ্ছা মত কলাগাছের মত ধাঁই ধাঁই করে বড় হতে পারলেন না। তালগাছের মত ধীরে ধীরে বাড়লেন। শরিরের মাঝ বরাবর আগ্রহ বাড়ার বয়সে আপনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন। আপনার প্রতিপালকরা সেটা দেখানোর জন্য আপনার কানে কানে মন্ত্রবীজ ঢুকিয়ে দিল।'চলো পালাই' গোছের বয়সে আপনি ডাক্তার-ইনজিনীয়ার, জজ-ব্যারিস্টার স্বপ্ন চোখে মেখে ঘুমুতে যেতেন। তারপর? তারপর এই বঙ্গ দেশে সচারচর যা হয়, তা-ই হলো । আপনি সরকারি অফিসের কেরানি হলেন । যথারিতি আপনাকে গোলগাল ফর্সামত নাদুশ নুদুশ এক আঠারো-উনিশর সাথে বিয়ে দেওয়া হলো । আপনি ফেঁসে গেলেন।
কেরানি । ইহো জগতে এইরূপ প্রানী বোধকরি দ্বিতীয়টি খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না। ইহারা প্রভূত পরিমান বিদ্যা বুদ্ধি লইয়াও কাগজে কলম চালাচালি ,ফুটো করিয়া ট্যাগ লাগানো এবং বড় কর্তার সম্মূখে চালান করা ভিন্ন সৃষ্টিশীল কিছু করিবার সুযোগ পান না। বাঙলা ভাষায় ইহাদের বিভিন্ন তাচ্ছিল্যপূর্ণ নামে সম্বোধন করা হইয়া থাকে। যেমন 'মাছিমারা কেরানি', 'ছাপোষা কেরানি', কিংবা 'দু'পয়সার কেরানি'। ইহারা রাজনীতি,অর্থনীতি,সমাজ-সংসার,যুদ্ধ-বিগ্রহ সকল কিছু লইয়াই ভাবে। সাদ্দাম হোসেন ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত, রিপাবলিকান গার্ড গর্তে ঢোকার আগ পর্যন্ত ইহারা সাদ্দারমর ঘোর সমর্থক । যেই সাদ্দাম পালাল, রিপাবলিকান গার্ড গর্তে ঢুকল অমনি বুশের অনুগামী হইয়া কহিল-'বড় বাড় বেড়েছিল ব্যাটার,দ্যাখ এখন..'?
আমরা যেরকম দেখলাম সে রকমই একটা কাঠামোর নাম ধরে নেওয়া যাক ৫৩ । কেন ওর নাম ৫৩, আমরা সে বিচারে নাইবা গেলাম । এই ৫৩কে একদিন দেখা গেল অফিসে ভীষণ চিত্কার-চেচামেচি করছেন । কী ব্যাপার ?
৫৩'র একমাত্র সন্তান হাসপাতালে। গলি মহল্লা,হাঁতুড়ে ধনন্তরী ঘুরে শেষমেশ ক্লিনিকে । জানাগেছিল ওর মেযে অন্তির রোগটা জটিল । সরকারি দাওয়াখানা 'না' করে দিয়েছে । ক্লিনিকের ডাক্তার রা ফর্দ দিয়েছে দেড় থেকে দু'লাখ !৫৩ বোঝেনি। সোজা করে ওকে বলা হয়েছে -'আপনার মেয়ের সব রক্ত প্রতি মুহূর্তে পানি হয়ে যাচ্ছে। বাঁচাতে হলে ওকে ঘন্টায় ঘন্টায় রক্ত দিতে হবে।
৫৩'র বউ সোনাদানা যা ছিল সব বেঁচে দিয়ে মাত্র হাজার কুড়ি পেয়েছে। এর পর ৫৩ তার গ্রাচ্যুইটি প্রভিডেন্টফান্ড খাত থেকে লোনের জন্য আবেদন করেছিল। তারপর টানা ১১দিন সকাল-দুপুর-বিকেল ছুঁটে বেড়িয়েছে অফিসের রুম থেকে রুমে, দুয়ার থেকে দুয়ারে । সন্ধেবেলা মেয়ের কাছে যেয়ে মেয়ের এতটুকু হয়ে যাওয়া ফ্যাকাসে মুখের দিকে চেয়ে বুকের ভেতরটা মোচোড় দিয়ে ইঠেছে ।১২ দিরে দিন ৫৩'র দরখাস্ত মন্জুর হতে চলেছে ।
অন্তিকে যেদিন ক্লিনিকে নেওয়া হয় তার কিছুদিন আগে অন্তি রেবা দের বাড়ি থেকে একটা দোপাটি ফুলের প্রায় কুঁড়ি আসা চারা এনে ঘরের কোনায় লাগিয়েছিল। ১২ দিন পর চারাটা তরতরিয়ে উঠেছিল। অন্তিকে ক্লিনিকে আনার ৪ দিন পরেই চারাটার দু'টো কুঁড়ি বেরিয়েছিল। ১১ দিনের দিন ৯ টা। ১৩ দিনের মাথায় ৫৩'র লোন স্যাংশন হলো,অথচ ৫৩'কে বলা হয়নি অন্তির অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল। ওর বউ বলেনি। সে দেখেছে লোকটা সারাদিন ঘোরাঘুরি করে হাঁপিয়ে ঘেমে নেয়ে হাসপাতালে আসে । এসেই মেয়েটার পাসে বসে নিশ্পলক তাকিয়ে থাকে । যেদিন, সম্ভবত ৫ দিনের দিন ডাক্তার রেগেমেগে বলল-"কেস খুবই সিরিয়াস,আপনারা বুঝতে পারছেন না,ইমিডিয়েটলি ওর রক্ত পানি করে দেওয়া গ্লান্ড আর সিড্সগুলো রিপ্লেস না করা হলে ওকে বাঁচানো যাবে না, আপনারা টাকা ম্যানেজ না করতে পারলে উই উড বি সে....'সরি '।"
অন্তির মা প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরুনো আগে দেখত দোপাটি গাছে আরো কুঁড়ি বেরিয়েছে,কযেকটা ফুলও ফুটেছে । ওর বিশ্বাস ছিল গাছটা যেভাবে বেঁচেছে,কুঁড়ি ধরেছে,ফুল ফুটেছে তেমনি ওদের অন্তিও.............এই বিশ্বাসটা বুকের খুব ভেতরে জায়গা করে নিয়েছিল । হঠাত্ ১৩ দিনের দিন অন্তি মা'কে জিজ্ঞস করেছিল..'মা দোপাটি ফুটেছে ?'মা অন্তির মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিল-'হ্যাঁ মা টকটকে লাল ফুল ফুটেছ,বাড়ি যেয়ে দেখিস কেমন সুন্দর লাগে গাছটা '। একটা শুকনো হাঁসি অন্তির মুখে ফুটেই আবার মিলিয়ে গিয়েছিল ।
১৪ তম দিন দুপুরে ৫৩ দেড় লাখ টাকার চেকটা ভাঙিয়ে বাসে না উঠে ট্যাক্সি নিয়ে সোজা চলে এসেছিল হাসপাতালে । তারপর কী হয়েছিল আমরা জানি না,তবে পরে জানা গেছে অন্তির মা বাড়ি ফিরে সেই দোপাটি ফুলের গাছটা টান দিয়ে তুলে সেখানেই বসে দু'হাতে মাটি খামচে ধরেছিল ।
মন্তব্য
মন্তব্য করার ভাষা নাই রে ভাই। বসে বসে চোখ মুছা ছাড়া আর কিছু করার ক্ষমতাও নাই। মাসখানেক আগে রানা মেহর ভাইয়ের একটা লেখা পড়ে এক সপ্তাহ তব্দা লেগে পড়েছিলাম, এখন আবার এটা! কোথা থেকে আসে এইসব ঐশ্বরিক লেখা কে জানে।
.................................. উদাস
লেখাটা যখন শুরু করি তখনো কিছু বুঝিনি,কিন্তু শেষ করার পর নিজের অজান্তেই পাশের ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমানো আমার ৯ বছরের মেয়েটাকে ছুঁয়ে দেখে এসেছি !তখন রাত ৩ টে । আর এখন আপনার মন্তব্যটা পড়ার পর দেখছি.............চোখে বোধহয় বালিটালি কিছু একটা ঢুকেছে.........চশমাটা না বদলালেই নয় ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
কেরানী নিয়ে কোন গল্প পড়লেই আমার প্রেমেন্দ্র মিত্রের "শুধুই কেরানী" (নামটা কি ঠিক আছে?) মনে পড়ে! বৃটিশদের কি যুগান্তকারী 'আবিষ্কার' সব!
একটা প্রশ্ন - হুমায়ুন আজাদের ক্ষেত্রে আদিরস কথাটি কি কোনরকম নেতিবাচক ভাবে ব্যবহ্ণত হয়েছে?
আমারো একটা প্রশ্নঃ হুমায়ুন আহমেদের ভাঁড়ামো , লাইন টি কি কোন নেতি বাচক ভাবে ব্যাবহার করা হয়েছে ??
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
হ্যাঁ ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
হুমায়ুন আহমেদ কোথায় ভাঁড়ামি করেছেন , তার ব্যাখাটা কি দিবেন দয়া করে ?
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
নন্দিত নরকে,শঙ্খনীল কারাগার এর পর হুমায়ূন যা-ই লিখেছেন তা কমবেশি ভাঁড়ামি। তবে সে ভাঁড়ামিগুলো ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের তৃতীয় শ্রেণীর ভাঁড়ামির মত নয়। সেগুলো বৈচিত্রখোঁজা মধ্যবিত্ত মানসের উপাদেয় হিসেবে পরিবেশন করার কারণে ’মদ্যবিত্তমানসে’মৃত্যু-কবর-দারিদ্য ইত্যাদি নিয়ে স'ুল তামাশা আর নির্লিপ্ত উদাসিনতা বপন এবং পল্লবিত করেছে । সে কারণে হূমায়ূনের ভাঁড়ামিকে বলা যেতে পারে-সফস্টিকেটেড ভাঁড়ামি।
আপনার পরবর্তী মন-ব্যগুলোর জবাব দেওয়া আবশ্যক মনে করছি না,কারণ আপনি গল্পটা পড়েননি।শুধু হূমায়ূনের খোঁচাটাকে কবিরাহ গুনাহ্জ্ঞান করে ব্লাসফেমির কথা চিন-া করছেন ।ধন্যবাদ।
না। 'আদিরসাত্মক সাহস' অর্থে ব্যবহ্রত হয়েছে।
যেমন: হুমায়ূন আজাদ হয়ত এভাবে লিখতেন....................
"সাদ্দাম হোসেন ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত, রিপাবলিকান গার্ড পোঁদের মধ্যে ল্যাজ ঢোকানোর আগ পর্যন্ত ইহারা সাদ্দারমর ঘোর সমর্থক । যেই সাদ্দাম পাছার কাপড় তুলে পালাল, রিপাবলিকান গার্ড হিজড়েদের মত গর্তে ঢুকল অমনি বুশের অনুগামী হইয়া কহিল-'বড় বাড় বেড়েছিল ব্যাটার,দ্যাখ এখন ? বালছেড়া নাপিত বান্চোত্........."
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
ব্বাপ্রে !! এতোখানি ভাবসম্প্রসারণ পূর্বক ব্যাখ্যা চাইনি কিন্তু, শুধু ছোট্ট একটা 'না'তেই চলতো
আপনার লেখার চেষ্টা এবং পরিশ্রমের জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই । গল্পটা আমার একদম ভালো লাগে নি । প্রচুর বানান ভুল ( নাকি অসতর্কতা) খুব বিরক্তির উদ্রেক করল । চলিত-সাধুর মিশ্রন টাও ঠিক বুঝলাম না । আর লেখার শুরুতে লাইন গুলোকে অহেতুক মনে হলো ।
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
আমারও এই মন্তব্যটি ভালো লাগেনি। অহতুক এবং বিরক্তিকর মনে হলো।
......................................... উদাস
কারো কোন গল্প পড়ে যদি তা ভালো না লাগে । তাহলে সম্ভবত তা প্রকাশ করাটা অন্যায় নয় । এবং তাতে মন্তব্যও বোধহয় করা যায় । আমার গল্প ভালো না লাগা , আপনার কাছে অহেতুক এবং বিরক্তির কেন মনে হয়েছে জানতে চাইব না । কারন আমি বুঝতে পারছি , আপনার মন্তব্য কে গুরুত্ব দেবার মত সম্ভবত কিছু নেই । আসলে আমি নিশ্চিত-ই ।
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
যাঁরা আমার এন্টিগল্প নিয়ে মন-ব্য/আলোচনা/সমালোচনা/প্রশংসা করেছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন। দুস-র মরু পেরুনোর মত কায়ক্লেশ করে লিখে/কর্নভার্ট করে/প্রক্সি সার্ভারে গিয়ে লিখতে হচ্ছে।এত কোশেশ করে আমার মত ’বাংলা টাইপের জাহাজ’ এর পক্ষে লেখা অসম্ভব। পরিসি'তি স্বাভাবিক হোক আবার লেখা চলবে । ততদিন ভাল থাকুন সবাই। শুভেচ্ছা ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
গল্প ভালো না লাগার অধিকার অবশ্যই আপনার আছে।
বানানের ব্যাপারে জানি না, হয়ত অসতর্কতা থেকেই হয়েছে। কিন্তু চলিত - সাধুর মিশ্রন এ খুব সম্ভবত একটা বিদ্রুপ করা হয়েছে ( এবং আমার ব্যক্তিগত বিচারে সেই বিদ্রুপ প্রচেষ্টা সার্থক ) । আমার ধারণা, একই ভাষারীতি অনুসরণ করতে হবে, এমনটা ব্যাকরণের নিয়ম হলেও নিরীক্ষামূলক গদ্যের ক্ষেত্রে, সে নিয়ম থেকে কিছুটা দূরে হাঁটা দোষের কিছু নয়।
আর লেখার শুরুর লাইনগুলিতে উনি খুব সম্ভবত গল্পের আঙ্গিকের সাথে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছেন। এই গৌরচন্দ্রিকাটুকু গল্পের অংশ নয়, বরং পাঠকের প্রতি আলাদা মন্তব্য।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
যাঁরা আমার এন্টিগল্প নিয়ে মন-ব্য/আলোচনা/সমালোচনা/প্রশংসা করেছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন। দুস-র মরু পেরুনোর মত কায়ক্লেশ করে লিখে/কর্নভার্ট করে/প্রক্সি সার্ভারে গিয়ে লিখতে হচ্ছে।এত কোশেশ করে আমার মত ’বাংলা টাইপের জাহাজ’ এর পক্ষে লেখা অসম্ভব। পরিসি'তি স্বাভাবিক হোক আবার লেখা চলবে । ততদিন ভাল থাকুন সবাই। শুভেচ্ছা ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
যাঁরা আমার এন্টিগল্প নিয়ে আলোচনা/সমালোচনা/প্রশংসা করেছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন। মরু পেরুনোর মত কায়ক্লেশ করে লিখে/কর্নভার্ট করে/প্রক্সি সার্ভারে গিয়ে লিখতে হচ্ছে।এত কোশেশ করে আমার মত 'বাংলা টাইপের জাহাজ' এর পক্ষে লেখা অসম্ভব।condition স্বাভাবিক হোক আবার লেখা চলবে । ততদিন ভাল থাকুন সবাই। শুভেচ্ছা ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
গল্পটা আপনার ভার লাগেনি সে জন্য নয়।‘প্রচুর বানান ভুল খুব বিরক্তির উদ্রেক’ করার দায় থেকে বলতে হচ্ছে...চেষ্টায় না হয়ে-‘টেষ্টায়’,প্রাণী হয়েছে ‘,প্রানী’ সাদ্দামের হয়েছে ‘সাদ্দারমর’ মেয়ে হয়ে গেছে ‘মেযে’, উঠেছে’র বদলে ’ইঠেছে’,বেরুনোর যায়গায় ‘বেরুনো’,কয়েকটা র বদলে ‘কযেকটা’ এবং ফুটেছে হয়েছে- ‘ফুটেছ’। এই হচ্ছে বানান ভুল।সম্ভবত এ কারণে আপনার ভাল লাগেনি কথাটা ঠিক নয়।আপনাদের ‘বেস্টসেলার’ হু.আ.কে ‘ভাঁড়’ বলায় আপনি খঁচেছেন। আর হু.আ.ফ্যান্টাসিতে লেপ্টে যাওয়ার কারণে এই গল্পের আঙ্গিক,স্টাইল, ফর্ম আপনার হজম হয়নি। অবশ্যই ভাল না লাগার অধিকার আছে যে কারোরই, কিন' ‘বিরক্তির উদ্রেক’কথাটা অশোভন। চলিত-সাধুর মিশ্রণ(আপনি লিখেছেন-মিশ্রন) আর শুরুর লাইনগুলো আপনাকে বুঝতেই হবে এমন মাথার দিব্যি কে দিয়েছে ?
আমি আমার চেষ্টায় সফল। হু.আ. দের পাগলামো-ছাগলামো যে সেকেলে আর বাসি হয়ে গেছে সে প্রমান সচলের ঋগ্ধ পাঠকরা রেখেছেন।
ধন্যবাদ ‘বিরক্তির’ পর ও একাধিকবার লেখাটা পড়ার জন্য।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
‘বিরক্তির উদ্রেক’কথাটা অশোভন। সত্য কথা প্রকাশ করা অশোভন ... এই তথ্য জানা ছিলো না । আমার উক্ত লাইন টুকু অশোভন হলে... হু.আ. দের পাগলামো-ছাগলামো যে সেকেলে আর বাসি হয়ে গেছে আপনার এই মন্তব্যটি কি ??? আপনার লেখার ফর্ম, আঙ্গিক , গঠন, এই জিনিস বুঝতে হলে অন্য কোথাও লেপ্টে থাকাটাও যে এত বড় অন্যায়, বুঝিনি । আপনার নতুন লেখায় খুব ভালো করে মন্তব্য করেছি(মন থেকেই) । অনেক প্রেইজ ও করেছি । আশা করি এইবার আর আমার কোন কথা অশোভন লাগবে না । আপনি এন্টি গল্প লিখছেন আর নতুন ফর্ম নিয়ে এগুচ্ছেন অথচ পাঠক মন্তব্য করলে টিপিকাল লেখকদের মত মাতম করছেন... বেশ কন্ট্রাডিক্টোরি হয়ে গেলো না ?
যাই হোক, আপনি বাসি আর সেকেলে নয় ... একেলে আর ফ্রেস এন্টি গল্প লিখে যাবেন ... এই-ই আশা...
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
বেশ লাগল!
আপনার গদ্য ভাষা বিশিষ্ট।
সাধু ভাষাটুকু ঐ প্যারায় বোধহয় শ্লেষের সাথেই ব্যবহৃত হয়েছে।
মতামতের ভিন্নতা থাকতেই পারে। আমার কাছে এই লেখাটিকে কিন্তু সচলের শ্রেষ্ঠ গল্পগুলোর একটি মনে হয়েছে। মনজুরাউল ভাই, এটি সচলে আপনার চতুর্থ লেখা এবং সবগুলো লেখাই আমার কাছে ভালো লেগেছে। বানান-ফানান এর তোয়াক্কা করিনা , সাধু নাকি চলিত এসবে আমার বিন্দুমাত্র কিছু আসে যায়না, গেলে বসে বসে হরলাল রায় পড়তাম আপনার লেখা না।
নিজের লেখায় যে নিজে মিশে যেতে পারে সেই প্রকৃত লেখক।
অন্য এক লেখার মন্তব্যে জানতে পারলাম আপনার "স্লিপিং উইথ আর্মস" এর কথা। সে বিষয়ে আপনার লেখা পাওয়ার জন্যে অধীর আগ্রহে অপক্ষা করছি।
................................. উদাস
জোস লাগল!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খুব খুব কষ্ট লাগল
ভাল লিখেছেন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
দুর্দান্ত ! আসলেই এটি সচলায়তনে আমার পড়া প্রথম সারির গল্পগুলির মধ্যে অন্যতম । অভিনন্দন গ্রহণ করুন, এত চমৎকার গল্প লেখার জন্য।
তবে একটা অনুরোধ, একদম শেষ লাইনটা কি একটু অন্যরকম করা যায় ? কেন যেন মনে হল, শেষলাইনটায় পুরো গল্পের চমৎকার ছন্দের ধারাবাহিকতার সামান্য পতন হল।
তবে আবারো বলছি, দুর্দান্ত গল্প !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আজকেই আপনার প্রথম গল্প পড়লাম। ভালো লাগলো। *****
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
ভালই লেগেছে।
দুইবার পড়লাম।
--------------------------------------------------------
আমার কাছে গল্পটি খুব ভাল লোগেছে। ব্যাতিক্রমধর্মী কোন প্রচেষ্টায় যদি ব্যতিক্রমই না থাকে, তাহলে চলবে কি করে? লেখক সেটাই করেছেন, অনেকের ধাক্কা লেগেছে। এই ধাক্কা লাগাটাও লেখক হিসেবে আপনার সাফল্যেরই প্রমাণ! আপনাকে ধন্যবাদ!
শেষ লাইনটিও আমার মতে, আপনার গল্পের স্বার্থকতা বহন করে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
লেখা এক কথায় চমৎকার। ভাষার শুদ্ধাশুদ্ধির কথা বিবেচনা করলে সচলায়তনের অনেক লেখাতেই ব্যাকরণগত দোষ খুঁজে পাওয়া যাবে। প্রমিত, আঞ্চলিক, ভারনাকিউলার ল্যাঙ্গুয়েজ, স্ল্যাং মিশ্রিতভাবে কোট-আনকোট ছাড়াই ব্যবহৃত হয় অনেকের লেখাতে। বানানের যে ভুলের কথা বলা হয়েছে তা মূলত টাইপিং মিসটেক। কিন্তু গল্পটি চমৎকার। হুমায়ূন আজাদ, হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে মন্তব্যও অতিরঞ্জিত নয়। লেখকের কথাগুলোকে রিইনফোর্স করলাম কারণ সব ভুল উপেক্ষা করে এটি ভাল লাগার মত একটি লেখা।
---------
সহজ করে বলতে মোরে কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
আরো একটা দুর্দান্ত গল্প মনজুরুল হক । অভিবাদন ।
সবচেয়ে বড় অভিবাদন এই জন্য যে, চোখ সওয়া, মোয়ামার্কা পৃষ্টা পৃষ্টা লেখার মাঝে, গত্ না বেঁধে - আপনি ভিন্ন পথ ধরলেন,অনেক কে ধরতে সাহস ও দিলেন বোধ করি ।
আর ভুমিকাটুকু তো আরও জরুরী ছিলো মনে হয় । দু'একটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে ভাঁড়ামি ছাড়া আর কিছু করেছেন বলে তো চোখে পড়ে নি ! - বলছি,আমাদের সাহিত্য ব্যবসার প্রধান বণিক হুমায়ূন আহমেদ'র কথা ।
বানান ভুলে সমস্যা আমারও আছে,ভয়াবহ ভাবেই আছে । কিন্তু মূর্খতার কারণে যতটা,এক্ষত্রে তার চেয়ে বেশী মনে হয় কম্পোজ করার অনভিজ্ঞতা থেকে । গল্পে তার প্রভাব পড়ে নি । কী হতো,শুদ্ধ বানানে আরেকটা আজ হিমুর বিয়ে লিখলে ?!!
সবজান্তার সঙ্গে একমত- সচলায়তনের সেরা গল্পগুলির একটি এটি ! আখ্যানের কারণে যেমন তেমন; এর বুনন,নির্মাণ-কৌশলের কারণেই প্রধানত গল্পটিকে অই মর্যাদা দিতে হবে !
ব্রাভো,মনজুরুল ভাই !!
---------------------------------------------------------
আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
সুমন ভাই, অন্য কারো কথা জানিনা , তবে আমি আপনার অসাধারণ লেখাগুলোর সবচাইতে বড় ভক্ত । বলতে চাইছিলাম আপনার এই মন্তব্যটির কথা ,
আর ভুমিকাটুকু তো আরও জরুরী ছিলো মনে হয় । দু'একটা ব্যতিক্রম বাদ দিলে ভাঁড়ামি ছাড়া আর কিছু করেছেন বলে তো চোখে পড়ে নি ! - বলছি,আমাদের সাহিত্য ব্যবসার প্রধান বণিক হুমায়ূন আহমেদ'র কথা ।
কষ্ট পেলাম এই ভেবে যে , হুমায়ুন আহমেদের লেখা সবার ভালো লাগবে এমন কোন কথা নেই । তার সমালোচনা হতে পারে , মন্তব্য হতে পারে । কিন্তু এইভাবে ঢালাও ভাবে বলা , অন্তত আপনার কাছ থেকে কখনই আশা করিনা । যিনি সম্মানী, তাদের সম্মান আমরা না রাখতে পারলে কে রাখবে ভাই ??
কোন কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাই । আসলে যার কাছে প্রত্যাশাটুকু বেশী থাকে , তাকেই বলা যায়...
ভালো থাকবেন।
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
কষ্ট পেলাম
এইটুকু-ই যথেষ্ট নিঝুম ! আমার মন্তব্যে কোন কারণে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি ও সেই কষ্টে নিমজ্জিত সমান ভাবে- এইটুক জানাতে এই ফিরতি মন্তব্য ।
কিন্তু আপনার যেমন ভালো লাগার, আর সেই ভালোলাগা কে ধরে রাখার অধিকার আছে, অন্য কারো ভালো না লাগার,আর সেটা বলে দেবার ও অধিকার আছে নিশ্চয়ই ! হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে আমি সব-সময়ই একটু আক্রমণাত্মক,কখনো-সখনো একটু বেশী-ই মনে হয় ! হুমায়ূন ভক্তদের রোষানলে পড়ার অভিজ্ঞতা আমার তাই একটু বেশী-ই !
কিন্তু এখানে তো আমরা সবাই সচল । বন্ধু । ভাই কী সহযাত্রী ও, সুদুরপ্রাসারী কোনও অর্থে ; নয় ?
তাই, চাই না আমার কোনও মন্তব্যে আর কোন সচলের কষ্ট লাগুক ! আমি আবারও বলছি, আমি দু:খিত নিঝুম !
ভালো থাকুন ।
---------------------------------------------------------
আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
মনজুরাউল - আমার সংশয় হচ্ছে আমার মন্তব্যে আমার বক্তব্য আমি ঠিকমতো বোধহয় প্রকাশ করতে পারি নি। হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কে আপনার মত বা অবস্থান বুঝিয়ে বলার পর আমার কাছে তা পরিষ্কার হয়েছে। আর প্রেমেন্দ্র মিত্রের উল্লেখ - ঠিক তুলনা নয়, মান বিচার নয়, বরং (এন্টি) গল্পটির প্রশংসা হিসেবেই করা হয়েছিলো। অন্যান্যদের স্পষ্ট করে প্রকাশিত মন্তব্য পড়ে মনে হলো আমারও তাই করা দরকার ....
অনেক ক্ষেত্রেই যা হয় এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি ।
মুল বিষয়বস্তু ছেড়ে আলোচনা জমে উঠে পরিপার্শ্ব নিয়ে । মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হলো গল্পটা মুখ্য নয়- হুমায়ূন আহমেদ ভাঁড় কিনা সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাটাই জরুরী হয়ে উঠেছে ।
বছর কয়েক আগে প্রয়াত বাংলা সিনেমার রম্য অভিনেতা দিলদার( আমি সর্বশেষ তাকেই দেখেছি, এরপর নিশ্চয়ই অন্যরা তার জায়গা দখল করেছেন আমি যাদের চিনিনা)- তার অভিনয় দেখে একটু রুচিবান(যদি ও রুচি বিষয়টা নৈর্ব্যক্তিক) দর্শক একে ভাঁড়ামোই বলতেন, এতে কিন্তু দিলদারের জনপ্রিয়তায় কোন কমতি হয়নি- ভাঁড়ামো দিয়ে ও বাংলা সিনেমার লাখো দর্শকের মন জয় করেছিলেন ।
যা হোক,
মনজুরাউল-আপনার গল্পটি ভালো লাগলো । এবার ঘাড়ত্যাড়া লেখকদের মতো যদি আপনি এই সামান্য পাঠককে উলটো প্রশ্ন করে বসেন-'বুঝিয়ে বলেন, কেনো ভালো লাগলো?'- তাহলে ভাই ক্ষমা চাই । ব্যাখ্যা বিশ্লেষনের জটিলতার চেয়ে ভালোলাগাটুক্লু উপভোগ করা আমার কাছে উপাদেয় ।
বানান ভূল নিয়ে কোন লেখককে আক্রমন করার ও আমি পক্ষপাতী নই । লেখক মাত্রই পন্ডিত মশাই নন যে, ব্যাকরন রীতিতে তিনি প্রাজ্ঞজন হবেন । হলে ভালো, না হলে ও লেখককে এ বিষয়ে ছাড় দেয়া যায় যদি তার লেখা আমাকে স্পর্শ করতে পারে ।
আপনার গল্প নিয়ে একটা কৌতুহল জাগলো- এটাকে কেনো আপনি 'এন্টি-গল্প' নামে ট্যাগিং করলেন । আমার মতো সাধারন পাঠকের কাছে গল্প তো গল্পই । লেখক কি একটু বলবেন-ঠিক কোন বৈশিষ্ট্যের কারনে তিনি তার লেখাকে এন্টিগল্প বলছেন?
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বেজায় কষ্টটষ্ট করে লিখতে হচ্ছে। ৩ দিন পর প্রক্সিমাধ্যমে এ্যাকসেস করা গেছে।তাও বাংলা হচ্ছে না। ’অতিথি’ হওয়ায় লগইন ও করতে পারছিনা। যাহোক সংক্ষেপে লিখছি:চমৎকার মন-ব্যের জন্য ধন্যবাদ। ১। বানান ভুল ব্যাপারটা অবসম্ভাবি-ই,কাগজঅলারা বহুবার বললেও বাঙলা টাইপের ধারেকাছেও যেতাম না। গুন্টার গ্রাসের মত অনেক মেকানিক্যাল ডিভাইসে আমার এ্যালার্জি আছে।বছরের পর বছর ধরে পত্রিকাঅলারা যা পারেনি ’সচল’ তা-ই পেরেছে।সচলে লেখার জন্যই মাত্র ১১ দিন যাবৎ বাঙলা লিখছি।টাইপ ভুল তো হবেই। সে কারণে প্রথম লেখাতেই শেষ লাইনে মার্জনা চেয়ে নিয়েছিলাম । তার পরও ’বানানবিশারদ’ নিঝুম বানান নিয়ে ভেংচি কাটল ! অথচ ’বানানবিশারদ’ তার পাঁচ লাইনের ’জ্ঞ্lন’ এর মধ্যে তিনটি ত্রুটি করে বসে আছেন!
২।বাংলা ছোটগল্পের প্রচলিত ’ফর্ম’ কে ভেঙ্গে/অস্বীকার করে/বাইরে গিয়ে এন্টিফর্মে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই উত্তমপুরুষে না হয়ে প্রথমপুরুষে লেখক নিজেই বলছে....... আপনি জন্মানোর পরে আপনার বাবা........। যদিও শেষ পর্যন- প্রচলিত ফর্মের কিছু না কিছু রেশ অবশ্যি রয়েই গেছে । লেখাটা মোট ৭ টি ভাগে বিন্যাস-..’সচল’ ঝামেলামুক্ত হোক এবিষয়ে বিসা-রিত বলতে পারব। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে/আপনাদেরকে।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
অধীর অপেক্ষায় থাকলাম 'ফর্ম' বিষয়ক আপনার নিরীক্ষার ব্যাপারে জানার জন্য।
আমি ঠিক জানি না, এতটা কষ্ট লিখতে কেন হচ্ছে ! যদি হয়ে থাকে বাংলা টাইপের কষ্ট তবে বলবো, ধীরে ধীরে টাইপ করতে করতেই এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। নট আ বিগ ডিল।
প্রক্সিতে কেন সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। যদি প্রয়োজন বোধ করেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাকে মেসেজ পাঠাতে পারেন, কিছু লিঙ্ক আপনাকে দিতে পারি,যা হয়তো আপনার কষ্ট নিরসন করবে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
যেমন’বাইপাস.কম’ এ গিযে এ্যাকসেস পেলাম,কিন' ওই পেজে বাংলা লেখা যাচ্ছেনা। নতুন করে বাংলা সফ্টও নিচ্ছেনা। এবার ওয়ার্ড এ গিয়ে বাংলা টাইপ করে সেটাকে অভ্র কর্নভার্টার এ কর্নভার্ট করে টেক্সট বক্সে পেষ্ট করতে হচ্ছে। তাপরও দেখা যাচ্ছে কয়েকটা শব্দ উল্টেপাল্টে গেছে। আর সংশোধোন করার উপায় থাকছে না। এই যে আপনাকে লিখছি এটাও দেখা যাবে কয়েকটা উল্টে গেছে..উপায় দিলে বর্তে যাই। দেশে যারা পারছেন তারা ভিস্যাট ব্যবহার করছে। ধন্যবাদ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
ঠিকাছে । এই জটিল সময়ে কষ্ট করে মন্তব্য করলেন এই যথেষ্ট ।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক(আসলে হবেনা,মানিয়ে নিতে হবে) আমরা আরো কথা বলতে পারি ।
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভালো গল্প।
................................................................
সবকিছু নষ্টদের অধিকারে গেছে
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
তার পরও ’বানানবিশারদ’ নিঝুম বানান নিয়ে ভেংচি কাটল !
আমি কিন্তু অসতর্কতা কি না সেও বলেছি ... আপনি আমাকে কিছু বলতেই হবে এই ব্যাস্ততায় সম্ভবত ব্র্যাকেটের ভেতরকার ওই লাইন টি লক্ষই করেন নি ।
আমি লিখেছিলাম
প্রচুর বানান ভুল ( নাকি অসতর্কতা) খুব বিরক্তির উদ্রেক করল ।
অথচ ’বানানবিশারদ’ তার পাঁচ লাইনের ’জ্ঞ্lন’ এর মধ্যে তিনটি ত্রুটি করে বসে আছেন![/
কি করব বলেন ... আমি তো আপনার ভক্ত হয়ে গেছি । (মাথা-হাত ঝাঁ ঝাঁ করছে )... সুতরাং ভক্ত তো গুরু কে দেখেই শিখে ... না কি ???
---------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
নতুন মন্তব্য করুন