জামাতের মুক্তিযোদ্ধাপোশাক কাকের ময়ূরপুচ্ছ
........................................
এতোদিনে জামাত বুঝেছে যে সে মুক্তিযুদ্ধের লেবাস ছাড়া রাজনীতি করতে পারবে না। রাজনীতি করতে না পারলে সমাজে টিকতে পারবে না। এই সমাজে টিকতে না পারলে সমাজ তাকে একঘরে করবে। শেষ পর্যন- দেশছাড়া করবে। এটা এক অর্থে মুক্তিযুদ্ধের পঁয়ত্রিশ বছর পরের অর্জন। মুক্তিযুদ্ধই একটা অর্জন। সে অর্জন দিনের পর দিন বাড়তে থাকে। আজ যে যুবকের বয়স পঁচিশ-ত্রিশের কোঠায় সে-ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারণ করে। কিন' কথা সেটা নয়। কথা হলো জামাত রাজনৈতিকভাবে কী অবস'ানে আছে?
যে দলটি একাত্তরে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, সরাসরি পাকিস-ানি হামলাকারী সেনাদের সঙ্গ দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালির রক্ত নিয়ে হোলি খেলেছে, অসহায় মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে, হাজার হাজার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, পাকিস-ানি সৈন্যরা এ দেশে আগন'ক হওয়ায়, অচেনা হওয়ায় অত্যাচার-নির্যাতনের যেটুকু পূরণ করতে পারেনি- সেটুকু পূরণ করেছে জামাত। মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং তারও পরে জামাত এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের সঙ্গে যে ভয়াবহ বেইমানি করেছে তার নজির বিশ্ব ইতিহাসে খুব বেশি নেই। হিটলারের জার্মানি পোল্যান্ড-হাঙ্গেরি আক্রমণ করে দখল নেওয়ার পর সেখানেও হিটলারপন'ী পোলিশ বা হাঙ্গেরিয়ানরা নিজেদের জাতির সঙ্গে বেইমানি করেছিল। কিন' তার ব্যাপকতা জামাতের অত্যাচারকে অতিক্রম করতে পারেনি। জামাত এতোটাই ঘৃণ্য যে শুধুমাত্র আত্মবিস্মৃত বাঙালি জাতি বলে সেই জাতিতে, সেই দেশে, সেই সমাজে এখনো তারা দাপটের সঙ্গেই বিচরণ করে বেড়াচ্ছে। আর এই আত্মবিস্মৃতির সবচেয়ে বড়ো উপমা বা উদাহরণ রেখেছে এ দেশের লেখাপড়া জানা বেজন্মা এক শ্রেণীর বাঙালি। দেশের বৃহত্তর যে জনগোষ্ঠী খেটে খাওয়া মানুষ তারা একাত্তরেও জামাতকে সঙ্গ দেয়নি, এখনো দেয় না। জামাত ভর করেছিল সমাজের সেই মধ্যপন'ী অংশ যারা নিজেদের অগ্রসর মনে করে তাদের ওপর। এখনো ভর করে আছে সেই তাদেরই ওপরে। আর নিয়মতান্ত্রিকভাবে সমাজের ওই অংশের মানুষরাই এ দেশের শাসক শ্রেণী। সে হিসেবে জামাত যদি জাতীয় বেইমান হয়, তাহলে আমাদের শাসক শ্রেণী ‘আন-র্জাতিক বেইমান’। ওই শাসক শ্রেণীই দুধ-কলা দিয়ে জামাতের মতো বাস' সাপ পুষে চলেছে নিজেদের কায়েমি স্বার্থ হাসিলের জন্য। এদের আশকারা, মাথায় তোলাকে শিরধার্য করেই জামাত ওপর মহলে বসে নিচের দিকে গদা ঘোরাচ্ছে। যার সর্বশেষ নমুনা জামাতের মুক্তিযোদ্ধা ফ্র্যাকশন। মুক্তিযুদ্ধ করেছে এমন কিছু মানুষকে নিয়ে জামাত মুক্তিযোদ্ধা ফ্র্যাকশন তৈরি করেছে। তাদের একটা আলোচনা সভায় পায়ে পাড়া দিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান অপদস- করেছে। সেই মুক্তিযোদ্ধা যখন অপমানের জ্বালায় সংবাদপত্রের কাছে নালিশ জানিয়েছে তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কায়কারবার এরকম কিছু সংগঠন প্রতিবাদ করেছে।বেশ।এপর্যন- ব্যাপারটা রেগুলেশন ওয়ার্কের মধ্যে পড়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে জামাত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সংগঠন করুক বা তাদের দলের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাজার বানিয়ে শ্রদ্ধা ট্রদ্ধা ঢালুক, কিন' সেই দোহাই দিয়ে যখন একজন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস-া করা হলো সেটা আমাদের মহামহিম তদারকি সরকার দেখলো না কেন?
বর্তমান সরকার সেনা সমর্থিত। সেনারা মুক্তিযুদ্ধের গৌরব বহন করে বলে আমরা এন-ার নানা বাক্যবাগিশতা শুনি। আমরা আরো শুনি- আমাদের আর্মি মার্সেনারি নয়, এ দেশেরই সন-ান তারা এবং মুক্তিযুদ্ধের গৌরব বহনকারী গর্বিত সেনাবাহিনী। তো সেই সেনাবাহিনীর সমর্থনের সরকার কেন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের দ্বারা মুক্তিযোদ্ধা নিগৃহীত হওয়ার মতো জঘন্য অপরাধ মুখ বুজে মেনে নিলো? আমরা শুনি তদারকি সরকার নিরপেক্ষ! তার মানে কি দলনিরপেক্ষ না ইজম নিরপেক্ষ? আজকে যদি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কোনো একজন জামাতি যে হয়তো ইসলামি পোশাক-আশাকে আবৃত এবং নিয়মিত নামাজ-রোজা করেন তাকে যদি ওরা অপমান অপদস- করতেন তাহলে কি নিরপেক্ষ সরকার চুপ করে থাকতো? বিলক্ষণ নয়। তখন মুসলিম জাহানের রক্ষাকর্তা সেজে ওই জামাত দাপিয়ে বেড়াতো এবং নিরপেক্ষ সরকার ঐক্য পরিষদের নেতাদের জেলে পুরে দিতো। আসলে বিষয়টার গোড়ায় যেতে হবে। গোড়াটা কোথায়? শ্রেণীতে। আমাদের শাসক শ্রেণী এবং জামাত একই শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী। এদের আদর্শ-মূল্যবোধ, চাওয়া-পাওয়া একই রকম। এদের কমন শত্রু এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ। সে মানুষ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাম-ডান, মৌলবাদী যা-ই হোক তারা শাসক শ্রেণীর কমন শত্রু। এই কমন শত্রুকে শায়েস-া করার ক্ষেত্রে শাসক শ্রেণীর সব ফ্র্যাকশন ভাই ভাই। হরিহর আত্মা।
জামাতকে এরা স্টকের তুরুপের তাস বিবেচনা করে লালন-পালন করে। প্রয়োজন হলে সেটা দিয়ে দান মারে। আবার প্রয়োজন হলে কপট শাসনের ভঙ্গিতে তর্জনি তুলে শাসায়। যেমন এই তদারকি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সরকার প্রধান, সেনাপ্রধান, নির্বাচন কমিশনের প্রধান সকলেই বলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া উচিত, যুদ্ধাপরাধীরা রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারে না। যুদ্ধাপরাধী জামাতের অপরাধের বিচার হওয়া উচিত, যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অনভিপ্রেত! সঠিক অর্থে বিচার করলে দেখা যাবে এই প্রত্যেকটি কথা ভাসা ভাসা এবং বলতে হয় তাই বলা। অর্থাৎ এগুলো হলো তুরুপের সেই স্টক তাসকে ব্যবহার না করে আগলে রাখার কৌশল। সাড়ে তিন দশক ধরে জামাত নিবিড়ভাবে শাসক শ্রেণীর এই জামাত-কার্ড খেলা পর্যবেক্ষণ করেছে। পর্যবেক্ষণ শেষে তারা এই সিদ্ধানে- পৌঁছেছে যে বর্তমান শাসক শ্রেণী যতোদিন বাংলাদেশ শাসন করবে যতোদিন পুরোনো বোতলে নতুন মদের মতো বোতল বদল চলবে, যতোদিন এই শাসক শ্রেণী তাদের কমন শত্রুদের বিরুদ্ধে অত্যাচার অবিচার চালানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অপকৌশলের মধ্যে জামাতপোষা অপকৌশলটাও চালু রাখবে ততোদিন সত্যিকার অর্থে জামাতের জন্য ভয়ের কিছু নেই। কিন' টেকসই কৌশল হিসেবে কিছু ব্যবস'া পরিবর্তিত পরিসি'তিতে নিতে হয় বলে তারা এবার মুক্তিযোদ্ধাপোষাপ্রকল্প হাতে নিয়েছে। এবং সেই প্রকল্পে এক সময়ের মুক্তিযোদ্ধারাও শামিল হয়েছে। জামাতের ওই সংগঠনের প্রধান দুজনের একজন নাকি এক সময় কমিউনিস্টও ছিলেন! বোঝা যাচ্ছে তিনি শুধু যে মুক্তিযুদ্ধকে হজম করতে পারেননি তা-ই নয়, একাধারে কমিউনিজম, জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম সব কিছুই তার বদহজম হয়েছে এবং বদহজমের নিয়ম যা, তাই হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা নামধারী হয়ে যত্রতত্র বিষ্ঠাবর্ষণ করে চলেছেন। যদিও বিশ্ব ইতিহাসে এ রকম ঘটনা নতুন নয়, তবে হালের বিশ্বে অভিনব। যে দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতম শত্রুর সঙ্গে সহবাস করতে পারে, তাদের কোলে চড়ে মুক্তিযুদ্ধের সকল কিছুর সঙ্গে বেইমানি করতে পারে, সে দেশে জামাতকরা পাড় কমিউনিজমবিরোধী কেউ হয়তো কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিতে পারে। এবং এদেশে বঙ্গপোসাগরের পানি ভাটিতে উঠে হিমালয় পর্বতে পতিত হতে পারে!
চল্লিশের দশকে স্বদেশী, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অগ্রসেনা, একাত্তরের সংগ্রাম মুখর বাঙালি যে দিন থেকে শাসকদের রক্তচক্ষু আর গুড় পটানিতে পটে আন্দোলন সংগ্রাম ভুলেছে সেদিন থেকেই বাঙালিকে ভূতে পেয়েছে, মড়কে পেয়েছে, ওলা ওঠায় গিলেছে এবং সর্বশেষ লিঙ্গান-র করে না- পুরুষ না- নারী এক ধরনের হিজড়ে বানিয়ে ছেড়েছে। যে মতলববাজ-ধান্দাবাজ-ফিকিরবাজরা খেটে খাওয়া মানুষকে ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট, মশালের বদলে ভাঙা থালা ধরিয়ে দিয়েছে তারা এখন অপার শানি-তে পরম সুখে তলারটা-ওপরেরটা, আশপাশেরটা ভক্ষণ করছে। আর আন্দোলন ভোলা আবাল পাবলিক ভাঙা থালা হাতে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউটে গোখরোকে নিঃবিষ ঢোঁড়া বানানোর কারিগররা তাই কাউকেই জামাত-মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিস্ট-মোল্লা, বাঙালি-বাংলাদেশীতে ভাগ করছে না। তারা ভাগ করছে কেউটে আর ঢোঁড়া।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড়ো বড়ো রাজনৈতিক আড়তদার আছেন। তাদের আছে বিশাল বিশাল রাজনৈতিক আড়ত। সেই সব আড়তের রিটেলার হিসেবে আছে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাকেন্দ্রিক সমাধানের ‘দোকান’। ‘এই দোকানগুলোর’ কোনোটা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সরব। কোনোটা সামাজিক বনায়ন নিয়ে সরব, কোনোটা বিশুদ্ধ পানি নিয়ে বেচাইন। কোনোটা সুদটুদ দিয়ে-নিয়ে সুদি কারবারিতে ব্যস-। কোনোটা হরেক কিসিমের প্রবলেম নিয়ে সোচ্চার হয়ে নিজেরাই এক একটা প্রবলেম। আমরা কয়েকদিন আগে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ-টাদর্শ নিয়ে খুব চিৎকার তোলা একটা নতুন দোকানের ফিতাকাটা এবং পরে সাজ সাজ রব দেখলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের একাট্টা করে এরা নাকি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই করবে। কয়েক মাস হৈচৈ করেটরে তারা এখন শান- হয়েছেন।
এই দোকানে আছেন একাত্তরের রণাঙ্গনে যুদ্ধ করা কিছু মুক্তিযোদ্ধা, যারা কেউ কেউ পদাধিকারে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলও। তাদের মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েও বলা দরকার এরা হিসেবের প্রথমেই ভুল করে বসে আছেন। ওরা মনে করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আছে লেখাপড়া জানা বীর মধ্যবিত্তরা! কাঁচকলা! কিছু সংখ্যক শহুরে মৌসুমি ঢ্যামনাজাতের লুম্পেন দিয়ে যে আন্দোলন, বিপ্লব, সংগ্রাম হয় না সেটা জেনারেলরা বুঝবেন কী করে? তারা তো বরাবরই ওসবে বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। জামাতের ওই বাঁদরামো নিয়ে তারাও কয়েকদিন হল্লা করেছেন। নরোম সুরে সরকারের কাছে দাবিটাবিও জানিয়েছেন। তারপর? ‘ছাগলে পড়িল বচন-শুনিল গাধায়’ প্রবাদের দশা।
গণতান্ত্রিক দলসমূহ, প্রগতিশীল দলসমূহ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনসমূহ এবং মানুষের ভালো করতে চাওয়া মানুষদের কাছে নিবেদন বলি, আবেদন বলি আর দাবি বলি- একটাই- সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ করার অধিকার কেড়ে নিয়ে, আন্দোলন সংগ্রাম করার অধিকার খর্ব করে, প্রতিকার চাওয়ার পথ বন্ধ করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সহজাত ঘৃণা-শ্রেণী সংগ্রামকে প্রকাশিত হতে না দিয়ে, মানুষকে বেয়োনেট বন্দুকের ভয়ে সুবিধাবাদী কাপুরুষ বানিয়ে আপনারা যে আফিমখোরের দেশ, আফিমখোরের সমাজ বানাচ্ছেন, সেখানে কিছুদিন পর জামাতের আমির টামির গোছের কাউকে ‘বীরপ্রতীক’ খেতাবও পেতে দেখবেন! ওই সাধারণ মানুষদের ক্ষোভ, বিদ্রোহ, ঘৃণা, আন্দোলন-সংগ্রামের জোয়ার ছাড়া আপনারা টেবিলে বসে কিছুই করতে পারবেন না। বাগাড়ম্বরই সার হবে। ব্লেড দিয়ে নাড়ি কাটা যায়, গাছ নয়।
মন্তব্য
আমাদের বেশির ভাগ মানুষই ভাবি যে, আমিই বুঝি আর বাকি সব গাধা! কাজেই যেন তেন সিদ্ধান্ত নিতেও আমাদের তেমন আগপিছ ভাবতে হয় না। বিশেষ করে যখন হুজুগে মেতে উঠি তখন ভুলে যাই নিজের পিতৃ পরিচয়ও।
মনজুরাউল, খুব ভালো বলেছেন। কিন্তু আপনার প্রবাদটিই মনে হয় সার কথা! ভালো কথা আমাদের কানে ঢুকতে পারে ঠিকই কিন্তু তিষ্ঠাতে পারে না।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আমাদের টোটাল স্টাবলিষ্টমেন্ট মনে করে দেশের তাবৎ মানুষ ভোদাই,তাদের প্রজা। এখানে বলে বা ভালবলে কোন লাভ নেই।তাই ‘ছাগলে পড়িল বচন-শুনিল গাধায়’
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
কয়দিন বাদে কইব গোলাম আযম মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন।
আমরা শালীনতা বজায় রেখে বলব মিথ্যাবাদী।
মধ্যসত্ব ভোগী মধ্য বিত্তের আন্দোলন আর কতটুকু জংগী হবে!
মনের দুঃখে ভদ্রতা নষ্ট হওয়ার ভয়ে গালিও দিতে পারব না।
অনেক হরিদাস পালের একাডেমিক আলোচনা না বুঝলেও আপনার সোজা কথাটা নিজের কথার মতই মনে হল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই পোস্টটি খুব জরুরী ছিল।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
মধ্যসত্বভোগী মধ্যবিত্ত নিজের লাভালাভী না দেখলে আন্দোলনেই নামে না,জঙ্গী তো দূরস-!
শালীনতা বজায় রাখার হিপোক্র্যাসির দরকার কী? ঝেড়ে দিলেই হলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
মধ্যসত্বভোগী মধ্যবিত্ত নিজের লাভালাভী না দেখলে আন্দোলনেই নামে না,জঙ্গী তো দূরস-!
শালীনতা বজায় রাখার হিপোক্র্যাসির দরকার কী? ঝেড়ে দিলেই হলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
কথা সঠিক। কিন্তু শুধু কথায় চিড়ে মনে হয় আর ভিজবে না। বাঙালি আবারও কোণঠাসা হয়ে গেছে। একাত্তরে ছিল শুধু পাকিস্তানি হায়েনার দল, সাথে চিহ্নিত জামাত-রাজাকার; এখন মুখোশ পরা শত শত হায়েনার দলের মাঝে পড়ে কচুকাটা হতে হবে আমাদের। অতি পরিচিত সহযোগী, সহযাত্রীরাও কখন মুখোশ ছেড়ে, কুরূপে প্রকাশিত হয়ে হনন করবে আপন ভাইয়ের জীবন কে জানে!! আর দিন বদলের দোহাই দিয়ে, আর্থনীতিক উন্নয়নের দোহাই দিয়ে একসময়ের ঘাতকদের হাতে আমাদের নিজেদের জীবনের হাল তুলে দিয়ে ভেতরে ভেতরে, প্রকাশ্যে অপমান অপদস্ত হয়ে হয়েও 'ওসব কিছুনা, ওসব কিছুনা' বলতে বলতে মরবে বাঙলার মানুষ। 'সব কিছু একদিন নষ্টদের অধিকারে যাবে।'
------------------------------------------
সহজ করে বলতে মোরে কহ যে, সহজ কথা যায়না বলা সহজে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
না নষ্টদের অধিকারে যাবে না।ঘুরে দাঁড়ানো,লড়তে শেখা এবং শেখানো আমাদের দায়িত্ব।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
চমৎকার বিশ্লেষন।
দারুন এই পোস্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তারা দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে দশ তারা...........
---------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
রাফি আপনাকে অভিনন্দন
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
- ১৭ জুলাইয়ের প্রথম আলোয় প্রকাশিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বেআইনি সংগঠন শিরোনামের রিপোর্ট থেকে কিছু মূল অংশ নিচে তুলে ধরলাম।
"
প্রতিবাদপত্রে সংগঠনের সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দীন দাবি করেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে ভারতের কেচুয়াডাঙ্গা ইয়ুথ ক্যাম্পে যান। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার বিএফ হেডকোয়ার্টারস ও পরে ৮ নম্বর সেক্টরের কল্যাণীতে পাঠানো হয়। সেখানে এয়ার ফোর্সের জনাব খুরশীদ আলমের অধীনে তিনিও কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এও দাবি করেছেন, তাঁর বক্তব্য প্রথম আলোতে বিকৃতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: মোসলেম উদ্দীনের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভুমিকা সম্পর্কে এ পর্যন্ত তিনটি তথ্য পাওয়া গেল। সংগঠনের গঠনতন্ত্রে তাঁর পরিচয় আছে, ৮ নম্বর সেক্টর হেডকোয়ার্টারস ক্যাম্প কমান্ডার। সম্প্রতি প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, তিনি ছিলেন ৮ নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টারসের প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কমান্ডার। আর এই প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেছেন, ক্যলাণীতে এয়ার ফোর্সের জনাব খুরশীদ আলমের অধীনে তিনিও কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রশ্ন হলো, এর কোনটি সত্য? মোসলেম উদ্দীন তাঁর বক্তব্য বিকৃত করার যে দাবি করেছেন, তাও ঠিক নয়। তাঁর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কী কথা হয়েছে, তা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা আছে। আর ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, কল্যাণীতে তাঁদের প্রশাসনিক সদর দপ্তর ছিল; সেখানে কোনো প্রশিক্ষণকেন্দ্র ছিল না।
পরিষদের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রব দাবি করেছেন, একটি যুদ্ধে মেজর ডালিম আহত হওয়ার পর তাঁকে সিলেটের জুড়ী সীমান্তের কুকিতাল ও বড়লেখা সীমান্ত ক্যাম্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রবও আলাপকালে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তিনি ছিলেন কৈলাসটিলা ক্যাম্পের কমান্ডার। প্রতিবাদলিপিতে বলেছেন, তিনি ছিলেন কুকিতাল ও বড়লেখা সীমান্ত ক্যাম্পের কমান্ডার। এর কোনটি সত্য, তা কেবল তিনিই বলতে পারেন।
আরেক সহসভাপতি ফজলুল হক দাবি করেছেন, তিনি ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে নোয়াখালীর সাব সেক্টর ‘এ’-এর এফএফ সাব সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তাঁকে কারও না-চেনা তাঁর জানার বিষয় নয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: ফজলুল হক দাবি করেছেন, তিনি নোয়াখালীর সাব সেক্টর ‘এ’-এর অধীনে এফএফ সাব সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন। কিন্তু এমন দায়িত্বে থাকা একজনকে তাঁর সাব সেক্টর কমান্ডার চেনেন না! নোয়াখালী সাব সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম প্রথম আলোকে বলেছেন, সাব সেক্টরের অধীনে কীভাবে সাব সেক্টর থাকে, তা তাঁর বোধগম্য নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই নামে তাঁর অধীনে কোনো কমান্ডার ছিল না।
"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার অনুসন্ধানের জন্য ধন্যবাদ।আমার বক্তব্য হলো জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বেআইনি না আইনি, ওদের কমান্ডাররা সত্যিই মুক্তিযোদ্ধা না ভূয়া? তারচে’ বড় প্রশ্ন যারা মুক্তিযুদ্ধকেই মানেনা যাদের হাতে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত তারা কী করে মুক্তিযোদ্ধা নাম দিয়ে সংগঠন করতে পারে?
শুধু তদারকি সরকার নয়,অতিতের সব সরকারই জামাত প্রশ্নে অদ্ভুতরকম ‘ভাসুর-ভাদরবৌ’ খেলা খেলেছে বিএনপি’র মন্ত্রীরা বলতেন-নিজামি-মুজাহিদ কে স্মৃতিসৌধে নিতে পারাটাই আমাদের সাফল্য ! এখন সেই মন্ত্রী এবং মহাবিদ্ব্যান উপদেষ্টারা কি বলবেন---‘জামাতকে দিয়ে মুক্তিযো্দ্ধাদের দল করাতে পারাটাই আমাদের সাফল্য !! হাহ্ সেলুকাস !!
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
দুর্দান্ত লেখা। অভিনন্দন আপনাকে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
নতুন মন্তব্য করুন