উত্তরে রাঢ় দক্ষিণে গাঙ্গেয় সমুদ্র পশ্চিমে মগধরাজ্য পূর্বে আরাকানি। রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে সেন রা শাসন করিতেছিল। মা গঙ্গা তাহার শাখা-প্রশাখা লইয়া গাঙ্গেয় সমুদ্রে পতিত হইবার কালে ভাটি অঞ্চল পলি-বিধৌত করিয়া বঙ্গালদিগের শশ্যাদি বৃদ্ধিতে প্রভুত সহায়তা করিতেছিল। মহারাজা কৈবর্ত সেনের রাজত্বে চারিদিকে কেবল সুবাতাস বহিতেছিল। প্রজারা মাটি কর্ষণ করিয়া সফলের ক্ষুন্নিবৃত্তির উপায় করিতেছিল। তাহাদের কাহারো মধ্যে জগতসংসারের যতরূপ ব্যথা- কষ্ট রহিয়াছে তাহার কিছুই স্পর্শ করিতেছিল না। রাজ দরবারের নিয়ম মাফিক সভায় সভ্যগণ রাজাকে এই মর্মে জ্ঞাত করাইতেছিলেন যে সমগ্র রাজ্য জুড়িয়াই অপার শান্তি বিরাজ করিতেছে। এইরূপ অতিশয় সুখ ব্যঞ্জক সন্দেশপ্রাপ্তিতে রাজা ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন তাহা হইলে আগামী শীত মৌসুমে পাখি শিকারের ব্যবস্থা হইলে কী রূপ হয়? যথার্থ ,তথাস্থ বলিয়া সভাসদগণ উত্ফুল্ল হইয়া গম গম শব্দযোগে রাজপ্রসাদ কাঁপাইয়া তুলিল।
শীত আসিবার কালে রাজা জ্ঞাত হইলেন ত্রিপাঠিনগরের উপকন্ঠে পাখি শিকারের যে স্থান নির্বাচন করা হইয়াছিল তাহাতে কতিপয় স্বজাতি জবন এবং মগধদিগের প্ররোচনায় বিদ্রোহ করিতেছে। সৈন্যসামন্ত পেয়াদারা ভূমি দখল লইতে পারে নাই। উনাশিজন স্বজাতি, মগধ এবং জবনকে হত্যা করিবার পরও শীর্ণদেহ শুদ্র আর চন্ডালদিগের শরীরে কোথা হইতে এইরূপ দ্রোহ বাসা বাঁধিল তাহাই রাজাকে ভাবাইয়া তুলিল। রাজা ভাবিলেন। সভাসদ আর আমর্ত্যরা ভাবিলেন। সিদ্ধান্ত হইল সেন বংশের মর্যাদা রাক্ষার্থে প্রজাকুলে শান্তি রক্ষার্থে আর সভাসদ আমর্ত্যবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করিতে বিদ্রোহ দমন করিতে হইবে। এগারশত সৈন্য লইয়া সেনাপতি অকুস্থলে গমন করিলেন। আঠার দিন পর রাজাকে এইরূপ সন্দেশ উপস্থাপন করা হইল।
আড়াইশত চাষা, চন্ডাল-শুদ্রকে কয়েদ করা হইয়াছে। একশত উনিশখানা কুঁড়ে এবং চারচালা ভূপাতি করা হইয়াছে। নিহতদের মধ্যে প্রায় দেড় কুড়ি শিশু ও নারী রহিয়াছে। তাহাদের ভিতরও বিদ্রোহ সংক্রমিত হইয়াছিল কী না তাহা ঠাওর করা যায় নাই। রাজা কহিলেন "ঠাওরে কাজ নাই, কহিতে থাকো"। অতঃপর মাথা নিচু করিয়া সংবাদ উপস্থাক কহিলেন 'কিন্তু মহারাজ রাহুল নাম্নিয় বিদ্রোহের প্রধান হোতা পালাইতে সক্ষম হইয়াছে। রাজা বামহস্ত উত্তোলন করিয়া বিরক্তি প্রকাশ করিলেন। বিরক্তি! পরদিন হইতে রাজ্যময় একটিই আলোচ্য বিষয় রাজার বিরক্তি! শত সহস্র সভাসদ, সুশীলজন, ব্রাহ্মণ-কায়েত, পুরুত. মুনি-ঋষীগণ ব্যাকুল হইলেন। রাজা বিরক্ত হইয়াছেন? এ যে ভাবনার ও অতীত? পরের সারাটা বছর জুড়িয়া রাজার পেয়াদারা রাহুলকে খুঁজিয়া বেড়াইতে লাগিল। রাজার এই মহাবিরোক্তিতে একাত্মততা প্রকাশ করিবার জন্য পুন্ড্রদের রাজা, উত্তর খন্ডের রাজা এমনকি কামাখ্যা প্রদেশের রাজারাও সাহায্যের হস্ত বাড়াইয়া দিলেন। বছরাধিকাল পরে। রাজার হুকুমে বিদ্রোহী রাহুলের মাতা সরুজুবালা দেবীকে আটক করিয়া রাজ দরবারে হাজির করা হইল।
”তোমার পুত্রকে কোথায় রাখিয়াছ? রাজা জানিতে চাহেন।
”জানিনা, জানিলেও বলিতাম না।”
”মহারাজ ঔদ্ধত্য দেখিলেন? তুমি কি জান না তাহাকে খুঁজিয়া বাহির করা হইবে এবং রাজআদেশ অমান্য করিবার অপরাধে কতল করা হইবে?”
”জানি। কতলে কী বা আসে যায়। আমার পুত্র অন্যায় করে নাই। করিতে পারে না। তাহাকে আমি মনুষ্যজগতের সর্বাপেক্ষা ভাল শিক্ষা দিয়াছি”
”কী সেই শিক্ষা শুনি? রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ?”
”ঠিক তাই। তাহাকে আমি মানুষের সেবা করিতে শিখাইয়াছি। আপনারা দু’চারিদানা খাদ্য ছড়াইয়া জনকল্যাণ করিতে চাহেন। আমার পুত্র প্রজাদিগকে শিখাইতেছে যে, রাজ্যের সকল কিছুই তাহাদের, রাজার নহে, রাজা আবারো বিরক্ত হইলেন। এইবার সিংহাসন কাঁপাইয়া হুংকার ছাড়িলেন ”আমার সম্মুখ হইতে এই কুলটাকে লইয়া যাও, আর পুর্ণীমা কাটিয়া অমবশ্যা আসিবার আগেই তাহারপুত্রের কাটা মুন্ডু দেখিতে চাই। সেই বন্দোবস্ত কর।”
ইরাবতীর জল গড়াইয়া সমুদ্রে পড়িল। পাখিরা আবার উত্তরে উড়িয়া গেল। শশ্য ক্ষেতের চারা বড় হইয়া পাকিল। ফসল উঠিয়া রাজার গোলা ভরিল। প্রজাকুলের শীর্ণ মুখগুলি অধিকমাত্রায় শীর্ণ হইল। রাজানুকুল্লের রাজেন্যবর্গরা ভাবিত হইলেন,রাজাকে প্রীত করিবার যথাসাধ্য কসরত করিলেন। রাজা নিয়মিত সৈন্যদের উপর আস্থা রাখিতে না পারিয়া বিশেষ বাহিনী গঠন করিলেন। তাহারা বিষমাখা তীর, তরবারী, ল্যাজা লইয়া স্বর্গমর্ত্য চষিয়া বেড়াইতে লাগিল। বর্ষা আসিয়া চলিয়া যাইবার প্রাক্কালে এক অপরাহ্নে সকলে দেখিল শ্বেত শুভ্র বস্ত্রে এক বৃদ্ধা কিংশুক তলে একটি মনুষ্য দেহ কোলে লইয়া স্থির বসিয়া রহিয়াছেন। শুধুই মনুষ্য দেহ। মুন্ডু নাই। অশরীরী আতংকে কেহ ধারে যাইতে চাহিল না। গভীর রাতে শেয়াল- হায়নারা আসিয়া ঘিরিয়া দাঁড়াইল। বুঝিবা মুন্ডুহীন শব তাহাদের ক্ষুধাকে ভুলাইয়া থাকিবে। কেহ আক্রামণ করিল না। প্রত্যুষে যখন রক্তবর্ণের থালার মত সূর্য্য উঠিল, তখন সকলে দেখিল বামুনের সন্তান চিতাগ্নির বদলে মাটিচাপা হইয়াছে। বৃদ্ধা সরুজুবালা নিজেই মাটিচাপা দিয়া মুঠো মুঠো মাটি কিংশুক তলে ছড়াইতেছে। ইহার কোনো কারণ কেহই খুঁজিয়া পাইল না।
১৪শ’ বছর পর। বর্ষাকালের এক সন্ধ্যা। এক বৃদ্ধা কাটা শিমুলগাছতলে বসে আছেন। গাছটা ক’দিন আগেই কাটা হয়েছে। এরই মধ্যে কাটা গুড়িতে নতুন পাতা-কুঁড়ি বেরুতে শুরু করেছে। সরুজুবালা দেবী যে কিংশুকতলে (শিমুল) বসেছিলেন। এটা কি সেই? এই বৃদ্ধার কোলে মাথা রেখে পরম শান্তিতে শুয়ে আছে তার ছেলে । ছেলেকে বৃদ্ধা ডাক্তারি পড়িয়েছিলেন। সারাটা জীবন বিনাপয়সায় তার ছেলে মানুষের টিকিত্সা করেছে। কিন্তু রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার কারণে রাজার সৈন্যরা তার ছেলেকে হত্যা করেছে। শুধুই কি একটা গুলি? তাহলে মুখের দু'কষা বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ার চিহ্ন কেন?ছেলেটির নাম কি ডাক্তার টুটুল ? কে যানে হবেও বা। শিমুলের ফুল রক্ত লাল। রাহুলের রক্ত লাল। এই বৃদ্ধার সন্তানের রক্ত লাল। শিমুলের ফল পেঁকে তুলো হয়ে আকাশে ওড়ে, সাথে একটি করে বীজ বয়ে চলে। সহস্র মাইল দূরে যেয়ে গাছ হয়। এটা কি সেই গাছ? বীজ কি উড়ছেই।এই ছেলের নম্বর কী হাজার অষ্টাশি? এই বৃদ্ধার নাম কি নভেরা?এটাই কি শেষ? নাকি তারপর হাজার উনোনব্বই,নব্বই,একানব্বই............তারপর কত ?
মন্তব্য
দুর্দান্ত একটা লেখা ! অসাধারণ !
সত্যিই আমি ভাষাহীন !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভেতরে কষ্ট পুষে লেখা !খুবই সাধারণ!!
কারা যেন কেবলই মেরে চলেছে। আর আমরা অক্ষম ক্লীবরা ফেনিয়ে গল্প লিখে চলেছি.......নিজের প্রতি ঘেন্না ধরে গেছে।
ধন্যবাধ আপনাকে।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
দুর্ধর্ষ গল্পের ভেতরে অসাধারণ একটা ব্লেন্ডিং...
ব্লেন্ডিংটা গল্পের ভতরেই না বাইরে ?
.........কুঁচোচিংড়ি,পানিকচু,নুন,কাঁচালংকা.....থলে হাতে নির্বিবাদী আবেগসর্বস্ব পেটিবুর্জোয়া বিবেকপলাতক বাঙালি.......কিছুই করা হয়না 'যদি-কিন্তু-হয়তো'র বন্ধনে। শেষে বলি..হা ঈশ্বর সইবার ক্ষমতা দাও.......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
যিনি লিখেছেন তাকে কি আমার বলে দিতে হবে ব্লেন্ডিং ভেতরে না বাইরে?
ব্লেন্ডিং বা ওই জাতীয় কিছু মনে আসছে না। মাথা থেকে কিছুতেই ছবিটা সরাতে পারছি না। নিস্ব আর কপর্দকহীন লাগছে।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
অসাধারণ। বুঝতেই পারলাম না শেষে এসে এভাবে টার্ন নেবে। রিয়েলি গ্রেট।
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
শেষটাই আসলে সত্যি । বাকিটা গল্প ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
শেষে রাতের প্রান্তে এসে আপনার লেখাটায় ক্লিক করেছিলাম কিন্তু উপরে চোখ যেতেই শেষ পর্বের তানবীরা'র লেখা পড়লাম। হয়তো এলেখা পড়ার পড় আর মন যেত না কাদম্বরীর ঘটনা প্রবাহে।
বহমান গঙ্গা আর কাবেরী উন্মুক্ত জল বহন করে আর ফল্গু ধারা বয়ে যায় বালুচাপা বুকের নিচে। মহেশ্বেতা দেবীর একটা গল্প সম্ভবত 'চৌরাশিয়ার মা' আপনার অনুরণন সত্যি কড়া নাড়ার মতন কিন্তু হায় ওরা ওদের রাজাদের মনোরঞ্জনের ব্রততে ব্যস্ত তাই আমরা বহন করি অকৃতজ্ঞতাবোধ বিবেকের কাছে। হয়তো গল্প লিখি নয়তো সাহায্য প্রার্থনা করি বিবেকের কাছে সহ্যের শক্তির জন্য। হা ঈশ্বর নিস্বতাকে নিস্বতায় ভরে দাও!
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ঠিক। মহাশ্বেতা দেবীর উপন্যাস- "হাজার চুরাশির মা "।
শেষ রাতের প্রান্তে............ঘুম চলে গেছে সেই কবে.......আমরা এখন ঘুমের ঘোরে দু:স্বপ্ন দেখি.........কোথাও কি কেউ আছ.....?
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
দারুন! দারুন!!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ।
প্রশংসা লেখকের ভাল লাগে,কিন্তু এই লেখাটার প্রশংসায় কষ্ট আরো বাড়ে।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
হুমম। বেশ লাগলো ভাষার কারুকার্য...
হুমম । অত:পর কুন্তি কহিলেন...'.শুধু কারুকার্য ই দেখিলে যুধিষ্ঠীর কর্ণের কষ্ট দেখিলে না ?'
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
অনেকদিন পর সাধু ভাষায় লেখা পড়লাম। সাধুবাদ প্রচেষ্টার জন্য।
প্রমিত ও সাধুর মিশ্রণের এই লেখার প্রথমাংশটি বেশি ভালো লেগেছে। প্রদোষকালের প্রাকৃতজনের কথা লেখার জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
কৃতজ্ঞ । লেখার মোটিভ কিন্তু শেষভাগে
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
তারপর হাজার উনোনব্বই,নব্বই,একানব্বই...
চলতেই থাকবে- আমাদের ২য় জন্মের আগে- প্রথম আগে পর্যন্ত।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
না । রুখে দেয়া যায় ।
আবার উল্টো দিকের গণনাও গুণতে দেয়া যায়.........
তখন তারা গুনবে...হাজার উনোনব্বই...নব্বই.....একানব্বই......
সেটা এ জনমেই সম্ভব ।
কবে কী ভাবে জানি না ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
সেনশাসনকে মনে হচ্ছিল বামফ্রন্টের নন্দিগ্রাম কাহিনী, বাকিটা তো পরিষ্কার। ওষুধ কাজে দেবে বলে মনে হচ্ছে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমরা এখন জেনে গেছি
কথা বলার ধরণ-ধারণ
কোন রাস্তায় চলা নিষধ
কোন ফসলটা তোলা বারণ.........
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
লেখাটি যখন দিয়েছিলেন তখনই পড়েছিলাম। কিন্তু নেট এর ঝামেলা শুরু হওয়াতে করা হয়নি মন্তব্য। এখন এসে দেখি সবাই সব কিছু বলে দিয়েছেন। তাও আমি আরেকবার বলি অসাধারণ।
(বিপ্লব)
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
আপনাকে বিপ্লব
আপনাকে ধন্যবাদ
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
আমার পুত্র প্রজাদিগকে শিখাইতেছে যে, রাজ্যের সকল কিছুই তাহাদের, রাজার নহে
এই গল্পের শিক্ষয়ত্রী আমাদের নিখিল বঙ্গের মা ; ১০৮৪ নাম্বার কি, ডা: টুটুল - সেই গল্প লিখে আমরা পালাতে চাই কি, ফিরে আসি স্বীয় দংশনের কাছে !!
তারা তো তারা , কোনও কিছুতেই যাবে আসবে না জেনেও ৫ তারা দিলাম ।
---------------------------------------------------------
আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
.........কুঁচোচিংড়ি,পানিকচু,নুন,কাঁচালংকা.....থলে হাতে নির্বিবাদী আবেগসর্বস্ব পেটিবুর্জোয়া বিবেকপলাতক বাঙালি.......কিছুই করা হয়না 'যদি-কিন্তু-হয়তো'র বন্ধনে। শেষে বলি..হা ঈশ্বর সইবার ক্ষমতা দাও.......
দংশন যদি কখনো পথে নামায়
তাহলে সেই দংশন যেন আজই দংশায়
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
তারপর....
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
শিমুল তুলো উড়তেই থাকবে একটি দু'টি বীজ নিয়ে.....
আমরা একদিন নামতা শেখা বন্ধ করে দেব ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
মনজুরাউল, ধণ্যবাদ সুলিখিত গল্পটির জন্য। কিছু মনে করবেন না, বানানটি জবন নয়, যবন হবে। আরো কিছু বানান সংশোধন প্রয়োজন, পরে করে নেবেন। আচ্ছা, রাঢ় আর সমূদ্রের মাঝে যতদূর জানি কোন দেশ হতে পারে না। গল্প হলেও যেহেতু এটা ইঙ্গিতবাহী আখ্যান তাই এটুকু কি সংশোধন করা যায়?
আপনার ভাষাভঙ্গী চমৎকার। বর্ননা আরো চমৎকার। এই ভূখন্ডের লিখিত ইতিহাসে কৈবর্ত বিদ্রোহ সম্ভবতঃ প্রথম সুগঠিত বিদ্রোহ। সময়কাল যদিও চৌদ্দশত বৎসর আগে নয়। প্রাকৃতজনদের বিক্ষোভের ইতিহাস আজো একই প্রকার রয়ে গেছে। পরিনতিও একই প্রকার। এই কষ্টকর মিলের কথা এভাবে মনে করিয়ে দেবার জন্য আবারো ধণ্যবাদ।
================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নাহ , মনে করার কিছু নেই । ঠিক । দৃষ্টিকটু বানান ভুল । হয়েছিল কি...ন'টা থেকে পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম । কপি করে সংশোধন করছি... অমনি লোডশেডিং ! আবার ....আবার পেজ ডাউন...শেষে করা কপিটা পেস্ট করেই ক্লিক ! এখন এই দশা !
রাঢ় মানে বীরভূম-বাঁকুড়া । সেই থেকে সমুদ্র অব্দি মাঝে কত পরগনা।
আর ১৪ শ' বছর সময়কালটা প্রতীকী ।
ধন্যবাদ ।
***একটা 'ক্ষ ' লিখতে চারটে বোতাম !? কীবোর্ডে আসলে আমার 'ফ্লো' ব্যহত হয় । যাহোক ভবিষ্যতে সজাগ থাকব ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
যতদূর জানি বৃহত্তর মেদিনীপুরও রাঢ়-এর অন্তর্গত। তাহলে তো রাঢ়ের পরেই সমূদ্র হয়ে যাওয়ার কথা। বঙ্গদেশতো রাঢ়ের পূর্বে হবার কথা। যাকগে এঁড়ে তর্ক করার জন্য এসব কথা বলছিনা, নিজের জানাটিকে ঠিক-ঠাক করে নিতে চাইছি। আশা করি সাহায্য করবেন।
==================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এক কথায় অসাধারন ! লাল সালাম মনজুরাউল !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নতুন মন্তব্য করুন