একটি সংবাদ সম্মেলন এবং সরকারের 'আদমসুরত'

মনজুরাউল এর ছবি
লিখেছেন মনজুরাউল (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০৭/২০০৮ - ১১:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি(এম এল-লাল পতাকা) নেতা ডা.মিজানুর রহমান টুটুলকে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে বিচার বহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদে ৩০ জুলাই বিকেল ৩ টায় রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-
ড.ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ,বদরুদ্দীন উমর,টিপু বিশ্বাস,মুশফিকা ,শিবলি কাইউম সহ বাম গণতান্ত্রিক নেতা কর্মি, প্রগতিশীল কবি সাহিত্যিক,প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী এবং প্রগতিশীল ছাত্র নেতা-কর্মিরা । সরকার সম্মেলন করতে দেবে না এরকম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত করা গেছে, কিন্তু সরকারের কদর্য চেহারার আরো এক প্রদর্শনী দেখা গেল। একদল গোয়েন্দাকে সাংবাদিক সাজিয়ে তাদের দিয়ে উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করে,ধমকধামক দিয়ে সম্মেলন বান্চালের চেষ্টা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে সরকার এখন আর কোন লুকোছাপার ধার ধারছে না। 'দাঁত,নখ' সবই বেরিয়ে আসছে ।

২৯ জুলাই ২০০৮ জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম স্বাক্ষরিত এই আমন্ত্রণ পত্রটি ঢাকার সকল মিডিয়ায়(প্রিন্ট/ভিজ্যুয়াল) পাঠানো হয়েছিল ।

সংবাদ সম্মেলনে যে লিখিত বক্তব্য পড়া হয়েছিল এবং সাংবাদিকদের হাতে হাতে দেয়া হয়েছিল তার আংশিক সংক্ষিপ্ত অংশ ...........................................................................
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিবরণ থেকে আমরা জানি যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি(এম এল-লাল পতাকা) নেতা ডা.টুটুল কে ২৫ জুলাই রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে RAB গ্রেফতার করে । তাঁকে শনিবার ২৬ জুলাই RAB সদর দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সংবাদপত্রের ভাষ্য থেকে জানা যায়, RAB গ্রেফতারের খবর অস্বীকার করেছে। ২৭ জুলাই রবিবার ভোর রাতে নওগাঁ জেলায় রাস্ট্রীয় হেফাজতে আটক অবস্থায় ডা. টুটুল কে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে 'ক্রস ফায়ার' 'বন্দুক যুদ্ধের' পরিচিত গল্প সাজিয়ে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে হত্যা- ঘটনাকে সরকার আড়াল করেছে।

ডা. মিজানুর রহমান টুটুল একজন রাজনৈতিক নেতা। আমাদের জানা মতে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি(এম এল-লাল পতাকা) সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ দলের তালিকাভুক্ত নয়। তাঁর বা তাঁর দলের রাজনৈতিক বক্তব্যের সাথে আমরা অনেকে একমত নাও হতে পারি । তবে তাঁর রাজনৈতিক কর্ম কান্ড যদি আইন-শৃংখলা বিরোধি. জনস্বার্থ বিরোধী হয়ে থাকে তবে তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে বিচারের ব্যবস্থা ই আইনসম্মত হতো, কিন্তু সরকার তা করেনি।
তাঁর মায়ের উক্তি :টুটুলের মায়ের শগ্ধকা ছিল তার ছেলেকে ‘ত্রক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলা হতে পারে। গত শনিবার সকালে বাড়িতে বসেই পুলিশের কাছ থেকে খবর পান ঢাকার উত্তরায় ছেলে ডা. মিজানুর রহমান টুটুল গ্রেফতার হয়েছেন। বৃদ্ধা মা নভেরা খাতুন কোটচাঁদপুর থেকে ঝিনাইদহ সদরে ছুটে গিয়ে জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিতে চান। আবেদন, তার ছেলেকে যেন ‘ক্রসফায়ারে হত্যা না করে প্রচলিত আইনে বিচার করা হয়।’
রাত ৯টায় তিনি এলাকার শ’ দুয়েক লোকসহ ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে স্মারকলিপির আবেদনটি তুলে ধরেন যেন সরকারের কানে যায়।
না, ঠেকানো যায়নি। মায়ের আশংকা সত্য হয়েছে। রোববার ভোরে আত্মগোপনকারী সশস্ত্র তত্পরতায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-লাল পতাকা) শীর্ষ নেতা টুটুল ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছেন। অন্যান্য ঘটনার মতোই বলা হয়েছে, পুলিশ সন্ত্রাসী দলকে ধরতে গেলে উভয় পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে টুটুলের মৃত্যু হয়েছে।

উপস্থিত সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আমরা পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি(এম এল-লাল পতাকা) নেতা ডা.মিজানুর রহমান টুটুলকে গ্রেফতার করে আদালতে বিচারের সন্মুখীন না করে 'ক্রসফায়ার' 'বন্দুকযুদ্ধ' র গল্প সাজিয়ে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে হত্যার প্রতিবাদ জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি । আমরা পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে ডা.টুটুলকে হত্যার দায়-দায়িত্ব সেনাসমর্তিত এই সরকারকেই নিতে হবে ।এটা সুপরিকল্পিতভাবে সংঘটিত একটি রাজনৈতিক হত্যা। সন্ত্রাসী কাজের সাথে যুক্ত না হওয়া স্বত্তেও ডা. টুটুলকে সন্ত্রাস দমনের নামে হত্যার ঘটনা থেকে আমরা আশংকা করছি ক্ষমতাসীনদের সাথে 'ভীন্নমত' পোষণকারীরা এখন আক্রমনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয়েছে ।
আপনারা জানেন ২০০৭ এর ১১জানুয়ারী হতে আজ পর্যন্ত জরুরী অবস্থায় রাষ্ট্রীয় হেফাজতে বন্দি অবস্থায় ১৯৭ জন কে 'ক্রসফায়ার' 'বন্দুক যুদ্ধ,'সুট আউট','এনক্উন্টার' এর নামে হত্যা করা হয়েছে। এই বিচার বহির্ভুত হত্যা হচ্ছে আইনকে খতম করার এক জঘণ্য রূপ ।
.........বাংলাদেশে যারা সুশাসনের কথা বলে সেমিনার,গোলটেবিল আর মিডিয়ায় বড় গলায় কথা বলেন,দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা দেশব্যাপী শোভাযাত্রা করে বেড়ান,জনগণকে উপদেশ খয়রাত করেন, যেসব আর্ন্তজাতিক ও দেশীয় খ্যাতিমান আইনজীবীরা দেশে আইনের শাসন কায়েমে লম্বা বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান, যেসব রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের কথা বলেন, এরা সকলেই ডা.টুটুল হত্যাকান্ডের ঘটনায় আজ নিশ্চুপ। ২০০৩ সালে RAB গঠিত হবার পর থেকে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে সন্ত্রাস দমনের নামে প্রায় দুই সহস্রাধিক নাগরিককে বিচারের আওতায় না এনে যে হত্যা করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে এদের কোন প্রতিবাদ নেই, কর্মসূচী নেই। এতবড় মানবাধিকার লংঘনে তাদের বিবেকেরও কোন দংশন নেই।
সরকার জঙ্গীবাদের নামে বোমা মেরে সাধারণ জনগণ,বিচারক হত্যাকারি জেএমবি,হরকতুল জেহাদ প্রভৃতি নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা-কর্মিদের আদালতে হাজির করে, নাসিরউদ্দিন পিন্টু, নিজামিদের জামিন দেয়, অথটচ ডা.টুটুলকে আদালতে হাজির করে না। এর কারণ কী? কারণ এই যে, সরকার জানে আদালতে বিচারকের সামনে ডা.টুটুলের মত রাজনীতিককে সন্ত্রাসী বলে প্রমাণ করা যাবে না।
সন্ত্রাস দমনের নামে RAB গঠণ করা হলেও আমরা দেখেছি ২০০৬ সালে চাঁপাই নবাবগন্জের কানসাটে আন্দোলনের নেতাকে RAB 'ক্রসফায়ারের' হুমকি দিয়েছিল, ঢাকায় গার্মেন্ট শ্রমিক বিদ্রোহ দমন করতে শ্রমিক নেতৃত্বকে ক্রসফায়ার করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ সব ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় যে ,সন্ত্রাস দমন নয়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে দমন করা ,জনগণের নেতৃত্বকে 'ক্রসফায়ারের' নামে হত্যা করা,সমগ্র সমাজে 'ক্রসফায়ারের' নামে এক চরম আতংক সৃষ্টি করার জন্যই এধরণের বাহিনী গঠণ করা হয়েছে.........................................

আমরা জনগনণর কাছে আহ্বান জানাই সন্ত্রাস দমনের নামে বিনা বিচারে হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। আমরা রাষ্ট্রকে বিনাবিচারে হত্যার লাইসেন্স দিতে পারি না। "এখানে সবচে' বিস্ময়ের ব্যাপার হলো আমাদের ঝকঝকে চকচকে চ্যানেলগুলো একটাও এই সংবাদ সম্মেলনে আসেনি ! এদের কে নাকি সরকারের বিশেষ দপ্তর থেকে নিষেধ করে দেয়া হয়েছিল ! হবে হয়ত। তাই যদি হয় তাহলে সংবাদ পত্রের সাংবাদিকরা কী ভাবে এলেন? নিষেধ তো তাদেরও করা হয়েছিল । আমরা সত্য-মিথ্যা জানিনা। তবে সুন্নতে খতনা, গায়ে হলুদ, ইয়াবা সুন্দরীদের স্পটে, সেলিব্রেটিদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মত অনেক ফালতু আইটেমে এই চোঙা সাংবাদিকদের হামলে পড়তে দেখেছি। অনেক বুদ্ধিব্যাপারিদের চ্যানেলে চ্যানেলে বক্তিমে দেয়ার জন্য উপহার-টুপোহার ও গছিয়ে দিতে শুনেছি। এই মাপের বুদ্ধিব্যাপারি,পরগাছা সুশীল,আর নব্য ইন্টেলেকচ্যুয়ালদের কাছাখোলা ভৃত্যগিরি আর দাসত্বের ফলাফলই এই অরাজকতা। এই আইয়েমে জাহেলিয়াত। একটা বড় ধরণের ধাক্কা বা ওলটপালট ছাড়া এদের মোহময় আফিমখোরদের সমাজে গণমানুষের মুক্তি নেই।


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

হায় আমাদের বিবেক বোধ ! হায় রে রসাতল!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

মনজুরাউল এর ছবি

এই আমাদের বিবেক !
বিবেক কে অনবরত ব্যায়াম করাতে হয় । বয়ামে আঁচারের মত স্টোর করে রাখলে ফাঙ্গাস পড়ে ।
আমরা এখন ফাঙ্গিসাইড বিবেকধারী ক্লাউন বিশেষ ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

সুন্নতে খতনা, গায়ে হলুদ, ইয়াবা সুন্দরীদের স্পটে, সেলিব্রেটিদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মত অনেক ফালতু আইটেমে এই চোঙা সাংবাদিকদের হামলে পড়তে দেখেছি। অনেক বুদ্ধিব্যাপারিদের চ্যানেলে চ্যানেলে বক্তিমে দেয়ার জন্য উপহার-টুপোহার ও গছিয়ে দিতে শুনেছি। এই মাপের বুদ্ধিব্যাপারি,পরগাছা সুশীল,আর নব্য ইন্টেলেকচ্যুয়ালদের কাছাখোলা ভৃত্যগিরি আর দাসত্বের ফলাফলই এই অরাজকতা। এই আইয়েমে জাহেলিয়াত। একটা বড় ধরণের ধাক্কা বা ওলটপালট ছাড়া এদের মোহময় আফিমখোরদের সমাজে গণমানুষের মুক্তি নেই।

বরাবরের মতই সাহসী ও নির্মম সত্য বয়ান , একমত পোষন করছি

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
A life unexamined is not worthliving.-Socrates

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

মনজুরাউল এর ছবি

আমি বিশ্বাস করি ।
আপনি করলেই এই লেখা সার্থক ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

এই ইনফর্মাল ফ্যাসিবাদকে কিন্তু ওই শুশীলরাই বৈধতা দিয়েছে। এরা যদি ভেবে থাকে পরশুরামের কুঠার দিয়ে ‌'সন্ত্রাসী' দমন করে নিয়ে, ‌রাজনীতিকে তওবা করিয়ে সুবোধ বানিয়ে পরে, কুঠারটিকে ফেলে দেয়া যাবে। কিংবা সাজিয়ে রাখা যাবে শোকেসে। তারা বোকার মজলিশ বসিয়েছে।
পরশুরামেরা কন্ডম নয়, যে কাজ শেষে ফেলে দেয়া যাবে।

বদরুদ্দীন উমরের এই উদ্যোগ আবারো প্রমাণ করলো এই দেশে তিনিই এখনো অনেকের থেকে তাজা ও সাহসী।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পরশুরামেরা কন্ডম নয়, যে কাজ শেষে ফেলে দেয়া যাবে।

দুর্দান্ত। এই কথার পর আর কিছু বলার নেই।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

মনজুরাউল এর ছবি

ফ্যাসিবাদ এখন আর ইনফরমাল নেই । তথাকথিত গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ,বাম লেজুড় গুলোকে 'খাসি'করে,ধর্মাশ্রয়ীদেরকে বেহেস্তি মেওয়া আর গোপন সশস্ত্র দলগুলোকে নির্মূল করার এজেন্ডা গ্রহণ এবং স্লোলি বাট সিওরলি সে কাজে হাত পাকিয়ে ওটা এখন পুরোপুরি ফরমাল ।

বদরুদ্দীন উমরকে দেখেও যদি আমরা লায়েক হতে পারতাম !

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

আলমগীর এর ছবি

'ক্রসফায়ারে' মৃতের সংখ্য ১৯৭ নয়, তিনশর কিছু বেশী।

মনজুরাউল এর ছবি

১৯৭ শুধু ১১জানুয়ারি ২০০৭ থেকে । মোট মৃতের সংখ্যা ৫১১ জন(সরকারি হিসিবে)। এ্যমনেস্টি ইত্যাদি সংস্থার হিসেবে ৫৫৬ জন ।
এই হিসেবগুলো ফ্ল্যাশড । হিডেন আরো কিছু আছে যা হিডেন ই ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।