জীবনে কখনো কখনো এরকম হয়। সচেতন ভাবে ডেমনেস্ট্রেশনকরা থাকলেও অকস্মাত্ পরিস্থিতিতে সব গুলিয়ে যায়। প্রবল ভাবে প্রাকটিস করা বিষয়গুলোও মেলে না। যেদিন মুশফিকা মন্টুর ড্রয়ার খুলে ময়লা কাগজে নির্মোহ কাটা কাটা শব্দের লিফলেট দেখেছিলেন, লিফলেটের কাটা কাটা কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েছিলেন সেদিন থেকেই নিজের অজান্তে এ ধরণের একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করেছিলেন। আজ যখন সত্যি সত্যিই সেই পরিস্থিতি সামনে এসে দাঁড়াল তখন মুশফিকা কিছুতেই অনুশীলন করা সেই স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে পারলেন না।
ব্যালকনি থেকে গলিমুখটা পুরো দেখা যায় না।রিক্সার শব্দ শুনলেই তিনি ব্যালকনিতে ছুঁটে যাচ্ছিলেন। গ্রিলের সঙ্গে নাক-কপাল ঠেকিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলেন। আবার ধীর পায়ে খাবার টেবিলে এসে বসলেন। ডাইনিং রুমের দেওয়াল ঘড়িটা অনবরত টিক টিক করে ছুঁটে চলেছে। দশটা...এগারোটা...সাড়েএগারটা.......
আড়াই রুমের এই বাড়িতে মাত্র দু'জনের বাস । মুশফিকা,আর মন্টু। বড় তিন মেয়ে ক্রমান্বয়ে বিয়ে,সন্তান সন্ততি,স্বামী-সংসার,এ্যাম্বিশন,নাগরিকজীবনের সময়হীনতায় ব্যস্ততা,নাড়ির বন্ধনের রিপ্লেসমেন্টে টেলিফোনিক বন্ধন,অত:পর বড় ধরণের একটা ড্যাস।
৮৮৩২২৬......হ্যালো...মা ! এত রাতে ? মন্টু ফেরেনি ? তো টেন্স করছ কেন মা ? ফিরবে,তুমি ভেব না, এরকম হয় না মাঝে মাঝে ?হ্যাঁ মা ওতো বড় হয়েছে না? ও কে, রাখছি মা...বাই....
৯৩৪০০২.....ইলোরা তোরা ঘুমিয়ে পড়েছিলিস? অ। না এখনো খাইনি। মন্টু ফেরেনি এখনো....না না এরকম তো দেরি করে না কখনো.....হ্যাঁ ভয় করছে...ফোন করিস....
৭২০৬৫৯....অজন্তা...হ্যাঁ আমি.....মন্টু....না থানায় ফোন করিনি...শাহেদকে একটু বলবি ? কি? কি রেডি করছে? ও.. আচ্ছা ছাড়ছি...।
কোন অস্বভাবিকতা নেই। অজন্তা ,ইলোরা ,রুবি সকলেই নিশ্চিত মন্টু একটু পরেই ফিরবে। মায়ের মন বরাবরই একটু ব্যাকুল হয়, মা'রা বরাবরই একটু বেশি টেন্স ফিল করে,মন্টু বড় হয়েছে,বন্ধু-বান্ধব,আড্ডা...মা আসলে মেনে নিতে পারেন না...সময়টা ভিষণরকম ফাস্ট ...এ্যালিয়েনেশন বাড়ছে ...মা মনে করে মন্টু সেই ছোটটিই রয়ে গেছে.......এভাবেই মন্টু কেসটা ইজি ভেবে নিজেদের টাইম মেশিনে সপে দিয়ে টাইম স্কেপ করে যায় ইলোরা,অজন্তা,রুবি।
রাত ২টা। খাবার টেবিল অস্পৃশ্যই থেকে গেল। মুশফিকা ৫১বছরের শরীরটা জোর করে নিয়ে সোফায় বসালেন। টিভি অন করলেন। যা দেখেন না তাই দেখতে চাইলেন ভুলে থাকার জন্য। ক্যুইজশো। আইটেম সঙ। আইটেম ডান্স। ১৮রেটেড ফিল্ম। লাফটার শো....টিভি স্কিনে মন্টুর কালোপনা মুখটা ভেসে উঠতেই বন্ধ করে দিলেন।
অজন্তাদের বাবা মৃত্যুকালে যা রেখে গেছিলেন তা দিয়ে তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। কিছু শেয়ার কেনা ছিল,মুশফিকার বিলেতপ্রবাসী ভাইয়ের পাঠানো টাকা দিয়ে কিছু থ্রীএমএস সঞ্চয়পত্র। দিন চলে যায়। ২০বছরের মুশফিকা মুমু যেদিন এবাড়ির বউ হয়ে এলেন......হঠাত্ ফোনটা বেজে ওঠে। বিদ্যুত্ তাড়িতের মত দৌড়ে যান মুশফিকা....হ্যাঁ হ্যাঁ আমি ফোন করেছিলাম....কি ?...'শুনুন আমরা কোয়ারি করেছি।হ্যাঁ হ্যাঁ ,চেক করেছি...ওই নামের কোন পেশেন্ট বা ডেড বডি আমাদের হাসপাতালে আসেনি....না না কষ্ট কি..ইটস আওয়ার ডিউটি....
আবার ধপ করে সোফায় বসে পড়লেন মুমু।
টিউবলাইটের নিচে একটা টিকটিকির বাচ্চা লেজপাকিয়ে পোকা ধরতে যাচ্ছে। কোনায় একটা ক্ষুদেমাকড়সা ভয়ে ভয়ে একটা গান্ধির বাচ্চার দিকে এগুচ্ছে,আবার সরে আসছে। আপনমনে পাতাখাওয়া পোকাটা মানিপ্লান্টের ওপর বসে আছে।একাদশীর চাঁদটার ওপর একখন্ড পিচ্চিমেঘ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আবার সরে গেল। ক্রিস্টালের শো'পিসটা কাত হয়ে ছিল,অভ্যাস বসে মুমু ঠিক করে দিতে গেলেন...পরক্ষণেই মনে হলো...কি আশ্চর্য ! যার ছেলে ঘরে ফেরেনি সে কীনা...! আবার ফোনটা তুলে নিলেন........থানা। ফোন নম্বর জানা সব হাসপাতাল।পরিচিত আত্মিয়দের বাড়ি। মন্টুর বন্ধুদের বাড়ি।পুলিশ কন্ট্রোণরুম।সব শেষে আন্জুমান মফিদুল......! এসময়ই প্রথম মুমু ভেঙে পড়লেন। ইচ্ছে হলো হাউমাউ করে কাঁদেন। পারলেন না। কেন পারলেন না তার ব্যাখ্যা ও তার জানা নেই...........
টিক টিক করে দেওয়াল ঘড়িটা ঘুরে চলেছে। রাত তিনটা-সাড়েতিনটা-চারটা। লাইটের নিচের সেই শিকারকারীরা সরে গেছে। কুমড়োফালির মত চাঁদটা মাথার ওপর উঠে সরে গেছে। কয়েকটা বাদুড় দুলকিচালে উড়ে গেল। পুলিশের কিংবা এ্যাম্বুলেন্সের সাইরেণ আস্তে আস্তে মিলিয়ে গেল।
কেন বলতে পারবেন না,একটা অজানা আশংকা মাথায় এসে ধীরে ধীরে পুরো শরীরটা ছেয়ে দিল। শীত শীত করতে লাগল। আশংকাটা সত্যি ধরে মুমু র ভাবনা ফাস্টফরওয়ার্ড হতে লাগল...কাল সকালে মন্টুর লাশ পাওয়া যাবে কোন এক ধান ক্ষেতে...ভাঙ্গাচোরাভঙ্গিতে....পোস্টমর্টেম...দাফন...ফরর্মালিটিজ...মেয়েরা বলবে...'মা আমার বাড়ি চলো.'... মুমু যাবেন না..তারপর টিনশেড..তারও পরে...বস্তি.....মন্টু মাঝে মাঝে ওখানে যেত...হঠাত্ কি মনে করে মুমু ভাবলেন_খামোখাই তিনি অমঙ্গল চিন্তা করছেন! হয়ত দেখা যাবে সক্কাল বেলা মন্টু এসে চিত্কার জুড়ে দিয়েছে...মা জলদি খেতে দাও...ক্ষিদেয় নাড়িভুড়ি জ্বলে গেল....এই ভাবনাটা এত ঘন্টা পর মুমুকে একটু স্বস্তি দিল। মুমু সোফার উপরেই ঘুমিয়ে পড়লেন।
মুমু স্বপ্ন দেখছেন...মুমুর যেন পাখা গজিয়েছে...সেই দুই পাখার মাঝখানে মন্টুকে বসিয়ে মুমু উড়ে যাচ্ছেন.....শহর প্রান্তর শেষ করে আরো দূরে..নদী পেরিয়ে পাহাড় পেরিয়ে উড়ে যাচ্ছেন...মন্টু খিল খিল করে হহাসছে..খুব ছোট বেলায় মন্টু ওভাবে হাসত....মা ওই দেখ আর একটা নদী.....মুমু নদীটার কাছে এসে নিচু দিয়ে উড়লেন....ছোট ছোট ঢেউ ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাচ্ছে.....হঠাত্ একটা বাজপাখি গোত্তাখেয়ে নেমে এলো মন্টু চিত্কার করে উঠল..মা !বাজপাখিটা ছোবল দিতেই মুমুর একটা ডানা ভেঙ্গে গেল..তিনি ভাঙ্গা ডানাটা দিয়ে বাজটাকে তাড়াচ্ছেন আর এক ডানা দিয়ে উড়ছেন প্রাণপণে....পিঠথেকে পিছলে পড়ে গেল মন্টু, তাকে ধরার জন্য দিকবিদিক হাত-পা ছুঁড়ছেন.....মন্টুর চিত্কার ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে....মা...মাগো...
হুড়মুড় করে উঠে বসলেন মুমু...মনে হলো দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে মন্টু ডাক দিল! দৌড়ে গেলেন! দরজা খুললেন যন্ত্রচালিতের মত। না। কেউ নেই।খুব ধীরে দরজা ঘেসে পড়ে গেলেন। জ্ঞান হারালেন মুমু।
মন্তব্য
পড়তে পড়তে অসহায় লাগে ------ নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে ..............
শব্দটা তো "একফালি' ৷ ফ'এর উপরে বাড়তি চন্দ্রবিন্দু এসে গেছে ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ঠিক। আরো একটা ভুল_এটা উপন্যাস নয়,অথচ ক্যাটাগরিতে হয়ে গেছে তা। অবশ্যি আমার সেই পরিমান 'পোস্ট 'নেই বলে সংশোধন করারও সুযোগ নেই !
ধন্যবাদ ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
শুরু হলো মুশফিকা দিয়ে, শেষ হলো মুমু দিয়ে। ভালো ...............
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধ্বনি সংকেতে কখনো মুশফিকা কখনো মুমু ব্যবহার করা হয়েছে।
মিসেস-বেগম-মোছাম্মাত্ এর মধ্যে কেমন একটা মেহগনি-সেগুন কাঠের বনেদি আসবাবের ব্যাপার থাকে....................................
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
বাহ! মনজুরাউল ভাই দারুন লিখেছেন। আমি একদম এরকম আশা করিনি, পড়ে খুবি খুবি ভাল লাগল। তবে আমার কোন নামটা ব্যবহার করবেন মনেহয় ঠিক করতে পারছিলেন না
গল্পের থিমটা খুবি ভাল লাগল, কিন্তু মনেহল তারাতারি শেষ হয়ে গেল। আপনি অসাধারণ লিখেন।
P.S. নিজেকে নিয়ে এতদুর কখনও ভাবিনি, আপনার লেখায় কিরকম জানি একটা ফিলিং হল। অনেক ধন্যবাদ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ধন্যবাদ। না, দু'টো নামই ঘটনার পর্যায়ক্রমে এসেছে।
ভাবতে ক্ষতি কি ? কে যানে হয়ত আপনারই ছেলে সত্যি সত্যিই সব কিছু বদলে দিতে পারবে.....
একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করেছেন ? এই গল্পে কোন পুরুষ চরিত্র নেই। যাকে নিয়ে গল্প সে যদিও পুরুষ কিন্তু নৈর্ব্যক্তিক। সে কারনেই কি মন্তব্যকারী সকলেই নারী ?!
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
তা না হলে.......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
৩৫ | মনজুরাউল [অতিথি] | বিষ্যুদ, ২০০৮-০৮-০৭ ০১:৩৯
উদ্ধৃতি
আহ্লাদিপনার কী বাহার রে!
মুজিবের এমন মোক্ষম মন্তব্যের পর ভাবছি .........................
আপনাকে আমার পরের গল্পের নায়িকা করা যায় কী না । কিছু মনে করলে আগেই বলবেন। আমার নায়িকারা কিন্তু অধিকাংশই বস্তির !
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
উদ্ধৃতি | জবাব
৮৩
৩৫.১ | মুশফিকা মুমু | শুক্র, ২০০৮-০৮-০৮ ০৮:২৭
হাহাহাহা আমাকে বস্তির নায়িকা বানালে আমাকে অবশ্যই লেখার লিংকটা আলাদা করে পাঠাবেন যেন কোনও ভাবেই মিস না করি। হুমমম বস্তির নায়িকা! ইন্টারেসটিং!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
উদ্ধৃতি | জবাব
পূর্বানুমতি প্রাপ্ত। আমি নিজেও নাম ব্যবহারের পক্ষপাতি নই।
ধন্যবাদ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
মনজুরাউল ভাইয়া its fine, অরুপ ভাইয়া একটু joke করছেন আরকি, আমিতো কিছু মনে করিনি, বরং খুব ইন্টারেসটিং লাগল গল্পটা আর নিজেকে নিয়ে এত বছর পর ভাবতে, ৩ মেয়ে ১ ছেলে হিহিহি ভালই
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হুমম........joke ই বটে ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
টেলিফোন সংলাপের নতুন উপস্থাপনা উপভোগ করলাম।
লেখা আগের মতই সাবলীল... হিংসা করার মতো।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ধন্যবাদ
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
মনজু ভাই, আপনার গল্পগুলোকে "অ্যান্টিগল্প" হিসেবে বিশেষায়িত করছেন কেন?
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমু ভাই,
এগুলোকে আসলে জাত-পাত কোনটাতেই ফেলা যায় না তাই।
অধিকাংশ চরিত্রগুলো সমাজের অচ্ছুত্ অস্পৃশ্য অনূঢ়...হয়ত সে কারণে। অথবা এমনিই। সত্যিকারর 'অ্যান্টিগল্প' মান্যভাষায় চলে না। 'মান্য ' করতে গিয়ে অনেকটা 'প্রচলিত' হয়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
সত্যিকার অ্যান্টিগল্পের কিছু উদাহরণ পেলে আমার বুঝতে সুবিধা হতো।
আর জাত-পাতে ফেলতে না পারলেই কি কোন গল্পকে অ্যান্টিগল্পের খোপে ঢুকিয়ে ফেলা যায়? অ্যান্টিগল্প ঠিক কোন আঙ্গিকের কারণে গল্পের মোজার উল্টোদিকে অবস্থান করে, সেটাও আমি ঠিক বুঝিনি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমু ভাই ,
মন ভাল নেই। আমার 'দোপাটি ফুলের রং সাদা ' গল্পের সেই 'অন্তি ' মেয়েটির মত অসুখ করেছে আমার মেয়ের। ৯দিন ধরে জ্বর। সব ধরণের টেস্টফেস্ট শেষ,কিছুতেই সারছে না।ওর নাম- শ্রুতি শ্রাবন্তী।
১০বছর।
মনটা ভাল হোক একটা অ্যান্টিগল্প সরাসরি আপনাকে মেইল করব।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
শ্রুতির আশু আরোগ্য কামনা করছি মনজু ভাই। সচলায়তনের সবার পক্ষ থেকে উদ্বেগের ভার বহন করছি।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমি কৃতজ্ঞ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
বলেন কি! আপনার আদরের শ্রুতি শ্রাবন্তীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি, দোয়া করছি। "শ্রুতি শ্রাবন্তী" নাম টা খুব সুন্দর।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ধন্যবাদ মুমু । হ্যাঁ, ও আমার ভিষণ আদরের। ও আগে ছবিটবি আঁকত,কাগজে ছাপাও হতো। এখন ছড়া লেখা শুরু করেছে। পরিচিত কাগজগুলোও 'বিবেচিত 'না হওয়ায় ছাপেনি। তাই মন খারাপ করে একটার পর একটা লিখে চলেছে। ওর অসুখ করার পর সবচেয়ে বড় অপরাধ বোধে ভুগী...........কলমের খোঁচায় কত কত শিশুদের 'মেরে ফেলেছি ' মনে করে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসে।
আশাকরি আপনাদের সবার দোয়া-ভালবাসায় শ্রুতি ভাল হয়ে উঠবে।
.......................................................................................
আমাদরে মাতৃর্গভগুলি এই নষ্ট দশেে
চারদকিরে নষিধে আর কাঁটাতাররে ভতির
তবু প্রতদিনি রক্তরে সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শশিুর জন্ম দয়ে যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
শ্রুতির জন্য ভালোবাসা ,আদর আর দোয়া রইল ।
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
ধন্যবাদ নিঝুম। এটাই রিয়েলিটি ! শ্রুতির বয়সী 'অন্তি ' কে চিরবিদায় দেখিয়ে অনেকের চোখ ভিজিয়ে দিয়ে এখন নিজের চোখ ভিজে যাচ্ছে..............
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
শ্রুতি শ্রাবন্তী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠুক।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হ্যাঁ,তাই যেন হয়। সুদূর কিয়েভ থেকে আসা মঙ্গলাকাঙ্খা কাল সকালেই ও দেখবে। হিমু,নিঝুম,মুমু'র কথাগুলো রাত দশটার দিকে আমার পাশে বসে পড়েছে। ওই সময়কার ওর অভিব্যক্তি আনন্দ-বেদনা মেশানো এক টুকরো ফুল তোলা রুমাল যেন।
ভাল থাকুন।
এই শেষ রাতে হঠাত্ আবেগাক্রান্ত হলাম!
আমি কখনো বিদেশে থাকিনি...............কিন্তু যত বার পঙ্কজ উদাসের গানটা শুনেছি তত বারই চোখ ভিজে গেছে........................
চিট্ ঠি আয়ি রে আয়ি রে চিট্ ঠি আয়ি রে....বড়ে দিনোকি বাদ........
ওতানকি চিট্ ঠি আয়ি রে........
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
আশা করছি এতোদিনে শ্রুতি আরোগ্য হয়ে উঠেছে।
আপনার এই গল্পে একটা রহস্য আছে... একজন মায়ের কষ্টময় প্রতীক্ষা আর তার অন্তরালে এমন একটা কারণ যা কখনো পাঠকের জানা হয় না, উদগ্রীব হয়ে থেকে একসময় দেখা যায় গল্প শেষ.... (!!)
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন