-

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৬/২০১২ - ৬:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মন্তব্য

হিমু এর ছবি

ধাঁধা অসম্পূর্ণ। রাজকন্যার কি কোনো কাছাকাছি বয়সী খালাতো বোন আছে?

মন মাঝি এর ছবি

অসম্পূর্ণ কিভাবে বুঝলাম না? হাসি

রাজামশাইর ঘোষনা হচ্ছে "যে ব্যক্তি পৃথিবী ঢুঁড়ে দুনিয়ার আশ্চর্যতম উপকারী বস্তুটা তাঁকে এনে দিতে পারবে, তার হাতেই রাজকন্যাকে দেবেন।"

এই তিন রাজপুত্রই কেবল আশ্চর্য বস্তু আনতে পেরেছে। এখন এদের মধ্যেই একজনকে বেছে নিতে হবে রাজকন্যার জন্য আশ্চর্যতম উপকারী বস্তুর ভিত্তিতে। এটাই বাদশাহি প্রতিশ্রুতি, এটা ভঙ্গ করাটা হবে এদের প্রতি অবিচার (আর রাজার সম্মানহানি)। এই কাজ তিনি করতে পারবেন না। এখানে খালাতো/মামাতো/চাচাতো বোনের কনসোলেশন প্রাইজ দিয়ে ন্যায়বিচারের ঘাটতি পূরণ হবে না। হয় রাজকন্যা ও অর্ধেক রাজত্ব, নয় নাথিং। কোন বোনটোনের (যেটা নেইও) জন্য এরা সারা পৃথিবী ঢুঁড়ে এত কষ্ট করে এখানে আসেনি। রাজকন্যা ও রাজত্ব যদি দুজন নাও পায়, অন্তত প্রতিশ্রুতিটা যথাযথভাবে হুবহু রক্ষা করা হলেও ঐ দুজন ন্যায়বিচার পেয়েছে মনে করে সন্তুষ্ট হবে। নচেৎ নয়।

একটা কথা - এটা রূপকথা। এখানে অনেক কিছুই আপনাকে 'ধরে' নিতে হবে। নয়তো সহজেই বলা যায় যে, রাজা তাঁর 'সার্বভৌম' ক্ষমতা বলে যা খুশি তাই করতে পারেন, প্রতিশ্রুতিও ভঙ্গ কিম্বা 'প্রত্যাহার' করে নিতে পারেন। ব্যস্‌, প্রবলেম সল্ভ্‌ড। হাসি

আরেকটা জিনিষ, ধাঁধা্টা জিস্ট আকারে হঠাৎ করে বহুকাল পরে মনে পড়ায় আবছা স্মৃতি থেকে বানিয়ে-বুনিয়ে একটানে লিখে ফেললাম। ভুল হয়েও যেতে পারে। ধরিয়ে দিলে খুশি হব।

****************************************

হিমু এর ছবি

রাজকন্যার একটা কাছাকাছি বয়সী খালাতো বোন না থাকার কারণে একটা ভালো সমাধান রাজাকে দেয়া গেলো না। তা নাহলে বলা যেতো যে মিটমাটকারীর হাতেই রাজকন্যা আর তার খালাতো বোনকে তুলে দেয়া হবে। রাজপুত্ররা টেন্ডারের শর্ত পূরণে সমানভাবে ব্যর্থ। তবে তারা চাইলে রিভিউ প্যানেলের কাছে আবেদন করতে পারে।

এখানে প্রথম রাজপুত্রকে মতিউর রহমান ভাইয়া, দ্বিতীয় রাজপুত্রকে ফারুক খান ভাইয়া আর তৃতীয় রাজপুত্রকে ইউনূস কাগু ধরে নিলে রাজার বিবেচনা করতে আরো সুবিধা হবে।

মন মাঝি এর ছবি

আপনার "টেন্ডারের শর্ত পূরণে সমানভাবে ব্যর্থ"-তার মন্তব্যটাই মনে হয় এই ধাঁধার একমাত্র এস্কেপ-রুট। আপনি বলার আগে আমি নিজেও আসলে ব্যাপারটা লক্ষ্য করিনি ! হাসি

এ বিষয়ে একদম নিচের দিকে একটা কমেন্টে আমার মত করে এর ব্যাখ্যা দিয়েছি।

****************************************

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

রাজকন্যার সাথে বিয়ে দেয়া হবে আপেলওয়ালা বা ইউনূসছ্যারের সাথে। কারণ সে তার আশ্চর্যতম বস্তু আপেল থুক্কু গ্রামীণ ব্যাঙ্করে গেরামের গরীব মহিলাগোরে খাইয়ে দিছেন। নিজের কাছে আপেলের বোঁটা বা ৩% এর বেশী কিছু রাখেন নাইকা। খাইছে

মন মাঝি এর ছবি

ঐ বোঁটাও তো এখন ওনার হাতছাড়া! ঐ ভিটামিনওলা বোঁটার জন্য ওনার হাপুস নয়নে কান্নার ঠেলায় তো পাড়া-প্রতিবাশী ঘুমাইতে পারতাছে না। দেঁতো হাসি

****************************************

ইশতিয়াক এর ছবি

এটা খুব কমন রূপকথার গল্প। অনেক শুনেছি। যদিও ধাধার আকারে আজ প্রথম দেখলাম। আপনার ধাধার উত্তর জানা নেই। কিন্তু এধরনের প্রচলিত রূপকথা সরাসরি পোষ্ট আকারে দেখে অবাক হলাম। আর অনুচ্ছেদের মাঝে এত বড় বড় ফাকা জায়গা খুব মানানসই লাগলো না।

সত্যপীর এর ছবি

ঐ আপেলের বিচি টোকায়া যে রাজপুত্র গাছ পুঁতসে তার সাথে বিয়া দেওয়া হউক। কয়দিন পরেই দূরবীনের কাঁচ ঘষা হয়া যাবে আর গালিচার সুতা উইঠা আসবে, কিন্তু আপেলগাছের ফল কাজে দিবে যুগ যুগ চাল্লু

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

আহ্‌... দারুন বুদ্ধি দিছেন তো!

চিন্তা করেন, ঐ আপেল ব্যপক ভাবে চাষ করতে পারলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সমস্ত সমস্যা রাতারাতি হাওয়া হয়ে যাবে! তখন আর কুনো হাসপাতাল-ডাগ্‌দর কিচ্ছু লাগবে না! সব যন্ত্রনা দূর! (ডাগ্‌দর সচলদের প্রতি ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক খাইছে )।

উলটা আমরাই তখন থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুরের মত মেডিকেল-ট্যুরিজম নামের আরেকটা খাত সৃষ্টি করে দুনিয়ার সমস্ত রোগিরে চিকিৎসাসেবা দেয়ার ব্যবসা করে রাতারাতি পৃত্নিবীর সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র হয়ে যাব। ক্যান্সার থেকে শুরু করে যে রোগেরই অন্যখানে চিকিৎসা নাই বা ব্যয়বহুল, সেই রোগিরেই এই আপেল খাওয়ায় আমরা জন্মের মত সুস্থ করে দিব। কি বলেন? দেঁতো হাসি

****************************************

ইঁদুর এর ছবি

ধাঁধার উত্তর জানতে ইচ্ছা হইতেছে-গল্পটা আগে জানা ছিল না-আমি ১ নাম্বার রাজপুত্রের পক্ষে ভোট দিলাম!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

তখন তো গণতন্ত্র ছিল না, যে ভোটাভুটিতে কাজ হবে!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মন মাঝি এর ছবি

দেখা যাক উত্তর পাওয়া যায় কিনা। একটা সম্ভাব্য উত্তর মনে হয় পাওয়া গেছে, তবে সেটা কোনটা এই পোস্টটা নীড়পাতা থেকে যাওয়ার পরে বলব। হাসি

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

Time Division Multiplexing করা যেতে পারে।১ জন ৪ মাস, ২ জন ৪ মাস এইরকম

আতাহার

নীড় সন্ধানী এর ছবি

রাজা তিন রাজপুত্রের সাথে আলাদা বৈঠক করে তিনজনকে কথা দেবে, তুমিই সেরা, তোমারেই মেয়ে দিব। তারপর ইমিগ্রেশান ভিসা নিয়ে আম্রিকা তারপর মার্কিন রাজপুত্রের সাথে ট্রাই করতে পারে আবার হো হো হো

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মন মাঝি এর ছবি

হো হো হো

****************************************

মরুদ্যান এর ছবি

দূরবীণ ওয়ালার জিতা উচিৎ।

এই দূরবীণ দিয়ে খুব সহজেই দেখা সম্ভব যাদুর গালিচা কোথা থেকে নিয়ে এসেছে, আর যাদুর আপেলের গাছটাই বা কোথায়। একবার স্থান জানতে পারলে জিনিস গুলো জোগাড় করা শুধু সময়ের ব্যাপার। দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মন মাঝি এর ছবি

হইল না খাইছে দেঁতো হাসি

দূরবীণ দিয়ে যাদুর গালিচা আর আপেল কোথা থেকে এসেছে জানা যাবে ঠিকই, কিন্তু --

১। এমন যাদুর গালিচা আর আপেলের অস্তিত্ব, অর্থাৎ এমন কিছু যে আছে বা হয়, সেটা তো আগে জানতে হবে তাই না? অস্তিত্বের খবরই না জানলে তো দূরবীণে সেটা দেখা যাবে না - আপনার আগে জানতে হবে আর তারপরে সেটা দেখতে চাইতে হবে।

২। এ ধরণের যাদুর জিনিষ সাধারনত কাছেপিঠে পাওয়া যায় না। সুদূর উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু, সুদূর- দুর্গম যাদুময় কামরূপ-কামাক্ষ্যা জাতীয় জায়গায় পাওয়া যায়, যা নিয়ে আসা অতি কঠিন ও দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রায় অসম্ভবই বলা যায়। এগুলি উদ্ধার করতে গিয়ে বহু বীরপুরুষ পথিমধ্যেই রাক্ষস-খোক্কস-দত্যি-দানো-ডাইনি-শাকচুন্নীর খপ্পরে পড়ে বেঘোরে মারা পড়েছেন, আসল জিনিষ চোখেও দেখার সুযোগ হয়নি তাদের। সুতরাং জেনে খুব একটা লাভ নেই - চাইলেই চোখের পলকে কেন (এবং এটাই দরকার ছিল তখন), আদৌ হয়তো জোগাড় করা সম্ভব হত না।

বোঝা গেল? দেঁতো হাসি

****************************************

ru এর ছবি

টাই ব্রেকার লাগবে। সচলে লিখতে বলেন। যারটায় বেশি মন্তব্য পড়বে সে রাজকন্যা পাবে।

মন মাঝি এর ছবি

ভাল বুদ্ধি!

এই তিন রাজপুত্রের নাম তাইলে দিলাম - তারেক অণু, সত্যপীর, আর চরম উদাস! খাইছে

তয় এই তিনজনের কেউ ইতিমধ্যে বিবাহিত হইলে ডিস্কোয়ালিফাইড হয়ে যাবেন আগে থেকেই। সেক্ষেত্রে আর কারও নাম সাজেস্ট করতে পারেন? চোখ টিপি

****************************************

শাব্দিক এর ছবি

শ্বশুর চরিত্রটা অমিট করে দিলে কার্পেট ওয়ালাই ভাল।

মন মাঝি এর ছবি

শ্বশুর চরিত্রটা অমিট করে দিলে এই বিশেষ পরিস্থিতে কার্পেটওয়ালা আর আপেলওয়ালা দুজনেরই প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। হাসি

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

এবার রাজা বলবেন, আচ্ছা যাক কথা যখন দিয়েছি তখন রাখতে তো হবেই। তাই আমি ঠিক করেছি আমার মেয়েকে সমান তিন ভাগে ভাগ করে তোমাদের তিন জনকে দিয়ে দিব-সাথে তিন ভাগ করা রজত্বও। এটা শুনে তো তিন জনই থ। প্রথম জন বললেন, আমার তাহলে রাজকন্যার দরকার নেই আমাকে শুধু প্রতিশ্রুতি মোতাবেক এক তৃতীয়াংশ রাজত্ব দেয়া হোক। দ্বিতীয়জন বললেন, যদিও আমিই শুধু একমাত্র যোগ্য প্রার্থী এ সবকিছু পাবার কথা শুধু আমারই, তবুও কিছুটা নাহয় কন্সিডার করলাম - আমার কোন রাজকন্যা টাজকন্যা লাগবে না শুধু রাজত্ব দিলেই চলবে, তখন ঢের রাজকন্যা পাওয়া যাবে আমার মত হীরের টুকরা পাত্রের জন্য।
কিন্তু, তৃতীয়জন যে এতক্ষন চুপ করে সব শুনছিল সে বলল, আমি আসলে অনেক আগে থেকেই রজকন্যা রূপ-গুনের কথা লোকমুখে শুনে আসছি এবং মনে মনে তাকে ভালোবেসেও ফেলেছি, ইচ্ছে ছিল একদিন নিজে এসে রাজকন্যার হাত চাইব রাজন আপনার কাছে, কিন্তু তার আগেই এসব কিছু শুরু হয়ে গেল। তাই যাকে ভালবাসি তার কোন ক্ষতি হোক তা আমি চাই না - আমার রাজকন্যা বা রাজত্ব কিছুই চাই না শুধু আপনি এমন কোন ধংসাত্বক ডিসিশন নেবেন না এই অনুরোধ করি।
দুই রাজপুত্রতো তৃতীয় রাজপুত্রের কথা শুনে অবাক - তাই তো তারা তাদের নিজেদের এতকিছু থাকতেও এমন লোভ কেন করল মন খারাপ । তারা তাই তাদের ভুল বুঝতে পেরে রাজা মশাইকে অনুরোধ করল রাজকন্যাকে হিমু নামক চালাক- চতুর ( চোখ টিপি ) তৃতীয় রাজপুত্রের সাথেই বিয়ে দিয়ে দেয়ার জন্য। রাজা মশাইও সব শুনে বুঝু খুশি হয়ে তাই করবেন বলে মনস্থির করলেন।
কিন্তু, কিসের মধ্যে কি! রাজকন্যাকে ডাকবার জন্য যখন ভিতর বাড়িতে লোক পাঠানো হল, তন্ন তন্ন করে খুঁজেও রাজকন্যাকে কোথাও পাওয়া গেল না। তার বদলে তার রুপোর ড্রেসিং টেবিলের উপর মেকাপ বক্সের পাশে পাওয়া গেল তার একখানা চিরকুট।
তাতে লিখা “প্রিয় বাবা, তোমার কার্যকলাপ অনেকদিন ধরেই খুব মজা নিয়ে দেখছিলাম, সত্যি যে এমন কিছু কেউ আনতে পারে তা অবশ্য ভাবিনি। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত দেখলাম এমন কিছুও ঘোষনা দিলে পাওয়া সম্ভব। কিন্তু, বাবা বলি বলি করেও তোমাকে যা বলা হয়নি তা হল তুমি যে আশ্চর্যতম জিনিস এত ঢাকঢোল পিটিয়ে আনালে তার চেয়েও অবাক করা কাওকে আমি পেয়েছি। হ্যাঁ বাবা, সত্যি তাই। প্রথমে আমারো বিশ্বাস হছিল না। কিন্তু ছবি গুলো দেখে আর কিছুতেই অবিশ্বাও করতে পারলাম না। আমার শুধু মনে হল এই তো সেই অষ্টম আশ্চর্য যার খোঁজ বাবাও জানে না। কাল রাতে যখন তুমি আমাকে বললে, এতক্ষণ ল্যাপটপে কি কর মা, এখন ঘুমিয়ে পর। আমি আসলে তখনই ডিলটা ফাইনাল করছিলাম। হ্যাঁ, ঠিক তখনই। বাবা, তারেক অনু নামে একলোক আছে বাবা, সে তো বাবা দূরবীন নয় স্বচক্ষেই দুনিয়ে দেখে শেষ করল প্রায়, কীভাবে যে এমন করে একজায়গা থেকে নিমিষেই অন্য জায়গায় চলে যায় কিছুই বোঝা যায় না (নিশ্চই কোন যাদু আছে এর মধ্যে!), আর অমৃত – এমন জীবন বাঁচলে, প্রতিটা দিনই উপভোগ করতে পারব, মৃত্যু আসলে তখন তাকে আর ভয় হবে না।
তাই তোমার আনা যোগ্যপাত্রদের চেয়ে আমরা একেই যোগ্যতর মনে হল। আর তুমি দেখলাম আমাকে টুকরা করার কথা কি সব বলছিলে। তাই আমি তারেক অণুর সন্ধানে বের হয়ে গেলাম। বিয়ে শাদী করতে পারলে তারে ভুজুংভাজুং দিয়ে একদিন নিয়ে আসব তোমার রাজ্যে। আর তোমার রাজ্যও তোমার থাকল। মাঝে মাঝে আমাদের একটু স্পন্সর করো কেমন । ভাল থেক বাবা। -তোমার মেয়ে।”
তো রাজকন্যা ধাঁধাঁর সমাধান হল এই চোখ টিপি

মন মাঝি এর ছবি

চলুক দারুন মহৎ, নাটকীয়, রোমান্টিক মধুরেণ সমাপয়েৎ তো! দেঁতো হাসি

তো তারেক অণু কৈ? কয়েকদিন যাবৎ দেখতেছি না সচলে, আমরা এদিকে রাজকন্যার সাথে ওনার বিয়া দিয়া ফালাইলাম, আর ওনারই খবর নাই! নাকি হনিমুনে গেছেন?

****************************************

Atahar এর ছবি

চলুক

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ধুসর জলছবি এর ছবি

চলুক

হিমু এর ছবি

আমি দীর্ঘদিন ধরেই সাগর-রুনি হত্যা, সৌদি কর্মকর্তা হত্যা, ইলিয়াস আলী অপহরণসহ নানা অপরাধের সাথে তারেকাণুর সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে আসছি। আজ থেকে সে আবেদন জোরদার করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করলাম। তারেকাণু সমাজ, সভ্যতা ও গণতন্ত্রের শত্রু।

মন মাঝি এর ছবি

তার যাদুর গালিচাটা বাজেয়াপ্ত করা হউক!

****************************************

নাবিদ এর ছবি

গল্পটা কোথায় যেন পড়া। খোঁজ দ্যা সার্চ শেষে তিন রাজপুত্রের রাজ্যের সীমানায় এসে দেখা হয়। একে অপরের কাছে তাদের খুঁজে আনা বস্তুর বড়াই করে। প্রথমে বড় ভাই দূরবীন বার করে আবিষ্কার করে রাজকন্যা অসুস্থ, সেটা জেনে মেঝ ভাই ঝোলা থেকে বের করে তার জাদুর গলিচা আর সবশেষে ছোট রাজকুমার রাজকুমারীর মধুঢালা মুখে তুলে দেয় জীয়ন ফল। বলা বাহুল্য শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়ে ছোটজনের সাথেই, আর বিয়ের উপহার হিসেবে বড় দুভাই দেয় দূরবীন আর গালিচা। সেই দূরবীন দিয়ে ছোট রাজকুমার বোধহয় রাজকন্যার ঘরে স্পাইগিরি করে আর কোন দুস্মন্তর আগমণ হলে ম্যাজিক কার্পেটে চরে তঢ়িত এসে ঐ ব্যাটার গলা ঘ্যাচ করে কেটে দেয়; হু নোজ?

অতিথি লেখক এর ছবি

উত্তরটা মুনে কয় পাইয়া গেসি। তয় কমুনা চোখ টিপি

ক্যান কমু? সঠিক উত্তরদাতার জন্যে কুন পুরুস্কার দেওনের ঘোষণা নাইক্কা। রাজকইন্যা নয় নাই দিলেন। একটা ছুডমুড সামারখান্দ, বোখারা দেওনের ইরাদা করলেও না হয় এট্টুসখানি উস্কানি পাইতাম - কেম্নে কি মাঝি ভাই---:-?

-----------------
পথিক পরাণ

মন মাঝি এর ছবি

আচ্ছা ঠিক আছে, আমার কানে কানে উত্তরটা কন তো আগে! আপনার নামটা আমি রাজার কাছে রেকমেন্ড কইরা দিমুনে। উনি "সার্বভৌম", "সার্বভৌমরা" যা ইচ্ছা তা করতে পারে। ঐ তিন রাজপুত্তুররে বাদ্দিয়া আপনারেও জামাই বানায় ফেলতে পারে। কিছুই বলা যায় না! দেঁতো হাসি

****************************************

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আরে! প্রশ্নের উত্তরটা তো মনে হয় আমি জানি! দেঁতো হাসি
ভালো লাগলো গল্পটা। অনেক ছোট থাকতে এই রকম একটি গল্প আমিও পড়েছিলাম। সংক্ষেপে একটু বলার লোভ সামলাতে পারছি না।
আকেল মিয়া আর নসিব বিবি স্বামী স্ত্রী। আকেল মিয়া মনে করেন মানুষ তার জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে জীবনটা পালটে নিতে পারে। নসিব বিবি মনে করেন ভাগ্য সহায় থাকলেই শুধু তা সম্ভব হয়। এই নিয়ে দুজনের তর্ক। পথে এক বোকা গেঁয়ো রাখাল ছেলেকে পেয়ে তাকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলো তারা। ছেলেটিকে অনেক বুদ্ধি দিয়ে দিল আকেল মিয়া। মাথায় বুদ্ধি খুলে যাবার পরে ছেলেটি শহরে গিয়ে ঘড়ি্র কাজ খুব দ্রুত শিখে ফেলল। আর রাজার ইচ্ছে মত এক আশ্চর্য ঘড়ি বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল। এরপর থেকে ছেলেটি রাজার বাড়িতেই থাকে। সে জানতে পারলো রাজার কন্যা, রাজকন্যা নাকি কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজা বলেছেন, যে তাকে কথা বলাতে পারবে তার সাথেই রাজকন্যার বিয়ে দিয়ে দেবেন। আর কথা বলাতে না পারলে গর্দান যাবে। ছেলেটি ভাবল, মেয়েদের কথা বলানো কোন ব্যাপার হলো? মেয়েদের কথা বলানোর চেয়ে কথা বন্ধ করানোটাই কঠিন কাজ। সে চলে গেল রাজকন্যার ঘরে। ঘরের আয়নার সামনে যেয়ে আয়নার সাথে কথা বলতে লাগল, আয়না তোমাকে আমি একটা গল্প বলব। মন দিয়ে শুনবে।
তারপরে সে আপনার মতই একটা গল্প শোনালো আয়নাকে, কিন্তু ওদিকে মন দিয়ে রাজকন্যা সেটা শুনলো। গল্প শেষে ছেলেটি আয়নার কাছে জানতে চাইলো, ধান ক্ষেতে কুড়িয়ে পাওয়া ছোট্ট শিশুটিকে কে পাবে? চাষী, দর্জি নাকি শিক্ষক? আর অমনি রাজকন্যা বলে উঠল, ়়়়়়়পাবে, ়়়়়়় পাবে। ছেলেটি রাজকন্যাকে বলল, ঠিক রাজকন্যা। তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে সবাইকে যেয়ে রাজকন্যার কথা বলার কথা বলল। কিন্ত রাজকন্যা আবার চুপ হয়ে গেল। সুতরাং ছেলেটির গর্দান নেবার জন্য সব কিছু প্রস্তুত করা হল। এমন সময় ঐ পথে আকেল মিয়া আর নসিব বিবি যাচ্ছিলেন। নসিব বিবি বললেন, এবার তোমার বুদ্ধি দিয়ে ছেলেটিকে বাঁচাতে পারবে? আকেল মিয়া হার মানলেন। নসিব বিবি ছেলেটির ভাগ্য ফিরিয়ে দিলেন। রাজকন্যা তার ঘর থেকে হঠাৎ ছুটে এসে বলল, খবরদার! ওর গর্দান যে কাটবে তার গর্দানও নিয়ে নেওয়া হবে।
তারপর কী হলো নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। দেঁতো হাসি

মন মাঝি এর ছবি

বুঝতে পারছি বৈকি! তারপর থেকে ঐ রাজকন্যা সচলায়তনে লিখেন, তাই না? চোখ টিপি দেঁতো হাসি

****************************************

তারানা_শব্দ এর ছবি

উত্তর হইলো ৩য় জন, তবে সেই ক্ষেত্রে গল্প আমার মতন হবে। চোখ টিপি আর তাই রাজার জন্য কিছু উপদেশ দিবো। রাজাকে বলেন মেয়ের বিয়ে (তাও আবার যৌতুকসহ রেগে টং ) টিয়ে বাদ দিয়ে মেয়েকে পড়াশুনা করাইতে। এই রাজাগুলা মেয়েদের পড়াশুনা করায় না, বাসার মধ্যে রেখে খালি ফেয়ার এন্ড লাভলীর মডেল বানায় আর বিয়ে দেয়! অ্যাঁ সো রাজাকে এখন বলেন যে ১ম পুত্রের থেকে দুরবীন নিয়া সার্চ দিতে কোন ইউনিভার্সিটিতে মেয়ে মাস্টার্স/পি এইচ ডি করতে পারবে। এরপর ২য় জনের থেকে গালিচা নিয়ে ঐ দেশে পাড়ি জমাইতে ( এই ধরেন সুদূর চীন দেশে)। এরপর পড়াশুনা করতে করতে অ্যাসাইন্টমেন্ট, থিসিস প্রোপোজাল, প্রেজেন্টেশন এর চাপে রাজকন্যার যখন অক্কা পাওয়ার অবস্থা হবে তখন ৩য় জনের আপেল খেয়ে সে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে আসবে! তার তখন সে আগের ২ জনরে সাপসাপান্ত করবে যে তাদের জন্য সে আজকে এই মৃত্যুমুখে পড়সে।।। তাই সে ৩য় জনকে বিয়ে করে ফেলবে। লইজ্জা লাগে

[বাস্তব ইচ্ছা হইতে আলোড়িত হইয়া উত্তর দিলাম শয়তানী হাসি ]

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অতিথি লেখক এর ছবি

ইডা তো আমি জানতাম- ভুইলা গ্যাছি... মন খারাপ
মনে অইলে কমুনে-

কড়কাঠুরে

আশরাফুল কবীর এর ছবি

উত্তম জাঝা!

মন মাঝি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

অতিথি লেখক এবং গেস্ট রাইটার_ রাজকন্যা এর দেওয়া এন্ডিং টা খুব মজার হইছে। হাসি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

প্রায় ভুলে যাওয়া একটা রূপকথা নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। খুব উপভোগ করলাম। সাথে মন্তব্যগুলোও সুন্দর। তবে মন্তব্যে মতিউর রহমান গং এর উল্লেখের যৌক্তিকতা বোধগম্য হলোনা, অবশ্য বরাবরই আমি একটু বোকা ধরনের মানুষ।

মন মাঝি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

****************************************

টিউলিপ এর ছবি

আমি এই গল্পটা আগে পড়েছিলাম, তবে ধাঁধার আকারে না। ইন ফ্যাক্ট এইখানে সমাধান হয় ও না, রাজা টাইব্রেকারের আয়োজন করেন, তীর ছোঁড়া প্রতিযোগিতা, তাতে প্রথম রাজপুত্র দ্বিতীয় রাজপুত্রের কাছে হেরে যায়। দ্বিতীয় রাজপুত্র রাজকন্যা আর প্রথম রাজপুত্র মন্ত্রিকন্যা ( হিমু ভাইয়ের ভাষায় একই রকম দেখতে খালাতো বোন) বিয়ে করে। তৃতীয় রাজপুত্রের তীর এতদূরে যায় যে সেটা খুঁজেই পাওয়া যায় না। সেই তীর খুঁজতে খুঁজতে তৃতীয় রাজপুত্র গিয়ে পৌঁছায় আরেক রহস্যময় রাজপুরীতে, তাতে একমাত্র বাসিন্দা ভুবন আলো করা এক মেয়ে, যার রূপের কাছে আগের রাজকন্যা কিছুই না। সেই মেয়েই জাদু করে তৃতীয় রাজপুত্রের তীর এতদূর এনেছে, প্রাসাদের অভিশাপ ভাঙতে। তারপর সে আরেক বিশাল কাহিনী।

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

জেবতিক রাজিব হক এর ছবি

দূরবীণওয়ালার কাছেই মেয়ের বিবাহ দেয়া নিরাপদ। নইলে এরকম ভয়ংকর জিনিষ যার কাছে আছে, তার কাছে রানী-রাজকন্যা সহ রাজ্যের তামাম রমণীকূলের প্রাইভেসি নষ্ট হবার সমূহ সম্ভাবনা।

মন মাঝি এর ছবি

ভাল পয়েন্ট। এক কাজ করেন, রাজাকে সমস্যার এই সমাধানটা দিয়ে পুরষ্কারস্বরূপ ঐ দূরবীণটা নিজের জন্য চেয়ে নেন। কি বলেন, ভাল হবে না? দেঁতো হাসি

****************************************

মন মাঝি এর ছবি

সবাইকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলেই এই ধাঁধার বোধহয় কোন সমাধান নেই। আমার অন্তত জানা নেই। তবে আমার মতামতটা নিচে দিলাম --

একমাত্র সম্ভাব্য যৌক্তিক সমাধান যেটা হতে পারে - ধাঁধার উত্তর ঠিক না - তবে গল্পের রাজাকে এই গ্যাঁড়াকল থেকে তার দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না করেই বের হওয়ার একটা সম্মানজনক বা ফেইস-সেইভিং সমাধান - সেটা উপরে হিমু তাঁর মন্তব্যে ইঙ্গিত করেছেন -

রাজপুত্ররা টেন্ডারের শর্ত পূরণে সমানভাবে ব্যর্থ।

এই গল্প-ধাঁধায় আমার মনে হয়েছে অনেকটা হাতসাফাইয়ের মনোযোগ-বিভ্রান্তিকারী ট্রিকের মত একটা ট্রিক আছে যা বেশির উত্তরদাতা/মন্তব্যকারী দেখেও লক্ষ্য করেননি। সবাই ধাঁধার শেষের দিকের সমস্যা আর প্রশ্ন নিয়েই বেশি মাথা ঘামিয়েছেন, অথচ একদম শুরুতেই কিন্তু একটা এস্কেপ রুট দিয়ে দেয়া আছে। আর সেটা হল রাজার সেই ঘোষনা -

যে ব্যক্তি পৃথিবী ঢুঁড়ে দুনিয়ার আশ্চর্যতম উপকারী বস্তুটা তাঁকে এনে দিতে পারবে, তার হাতেই রাজকন্যাকে দেবেন। সেইসাথে অর্ধেক রাজত্ব।

এখানে স্পষ্ট করেই শর্ত জুড়ে দেয়া আছে যে "দুনিয়ার আশ্চর্যতম" বস্তুটা আনতে হবে। তিন রাজপুত্র তিনটা আশ্চর্য বস্তু এনেছেন বটে এবং নিজেদেরটাকে 'আশ্চর্যতম' বলে নিজেরা দাবী করছেনও বটে, কিন্তু গল্পের বিবরণ থেকে এটা স্পষ্ট যে তাদের কারওটাই আসলে 'আশ্চর্য' হলেও আশ্চর্যতম নয়, অন্ততপক্ষে যতক্ষণ অন্য দু'ই রাজপুত্রের দুইটা বস্তু পৃথিবীতে বিদ্যমান। অথচ এই তম-টা কিন্তু রাজার ঘোষনা অনুযায়ী রাজকন্যাকে পাবার একটা মৌলিক ও অপরিহার্য, অবিচ্ছেদ্য শর্ত!! আর এই শর্ত পূরণে তিন রাজপূত্রই ব্যর্থ। এবং সেকারণেই তারা কেউই রাজার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক রাজকন্যার যোগ্যতম পাণিপ্রার্থী নন।

সুতরাং, এই ধাঁধার সমাধাণ হচ্ছে - রাজা তাঁর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ও তিন রাজপুত্রের প্রতি সম্পূর্ণ ন্যায়বিচারের সাথেই - তিনজনকেই তাদের শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কারনে প্রত্যাখ্যান করবেন, বাতিল করে দিবেন। এরপর চাইলে তিনি নতুন আরেকটা প্রতিযোগিতা আহবান করতে পারেন, কিম্বা নিজের বা রাজকন্যার পছন্দমত যে কোন পাত্রের হাতেও তাকে অর্পন করতে পারেন। কোন অসুবিধা নাই! হাসি

****************************************

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আর তারেকাণু তো থাকছেই শেষ অপশান হিসাবে

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রংধনুর কথা এর ছবি

ছোট বেলার গল্পের কথা মনে পরে গেল।।।। হাততালি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।