পায়ের তলায় শিশিরভেজা ঘাস আর গায়ে ঝোপঝাড়ের ভেজা মোলায়েম আদর খেতে খেতে নির্জন শীতার্ত ভোরে পাহাড়ি জঙ্গুলে পথ ধরে নামছেন। নামতে নামতে পানির উপর কুয়াশা ভেসে বেড়ানো আর চতুর্দিকে পাহাড়ঘেরা সন্যাসীর মত ধ্যানমৌন সবুজ লুকানো একটা হ্রদ যদি হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠে - তখন কেমন লাগবে আপনার?
উপরে ঝকঝকে অবারিত নীলে নীলাক্ত আকাশ আর নীচে জনবিরল চা-বাগানের ঢেউখেলানো উজ্ঞ্বল সবুজ রঙের আদিগন্ত বিস্তৃতি – নীল আর সবুজ দুইয়ে মিলে রঙ নিজেই যেখানে আলাদা সপ্রাণ সত্তা হয়ে উঠেছে - আর তার মাঝে ধূ-ধূ ঠাণ্ডামিষ্টি খোলা বাতাসের দমকা। চলছেন আপনি এর মধ্য দিয়ে – আধুনিক কালের খোলা রথ রিক্সায় চড়ে - চারপাশের আলো-বাতাস-রঙ-রস সর্বাঙ্গে মাখতে মাখতে আর আকণ্ঠ পান করতে করতে।
কিম্বা, শীতার্ত ভোরে দুধারে ঢেউখেলানো কুয়াশা-মাখানো অবারিত ঘন সবুজ পাহাড় ও টিলার সারি আর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া নির্জন ইষৎ পাহাড়ি রাস্তায় উদ্দাম বেগে আপনার যান্ত্রিক দ্বিচক্রযানটি চালিয়ে দিয়েছেন। মুখে-বুকে-সারা শরীরে কনকনে অদৃশ্য-সবুজ বাতাসের বেদম আগ্রাসন আর আপনার দুর্দমনীয় গতি। কেমন লাগছে?
অথবা, কোন বিশুষ্ক হাওরের ভিনগ্রহীয়-নির্জনতায়-আক্রান্ত কুল-কিনারাহীণ তলদেশের কুয়াশাচ্ছন্ন শীতার্ত প্রান্তরে আরেক ভোরে বেরিয়ে পড়েছেন। চারিদিকের নিকষ-দুর্ভেদ্য আসমুদ্রহিমাচলব্যাপী নিস্তব্ধতা কি আপনার অনভ্যস্ত নাগরিক কর্ণপটহকে হঠাৎ চাপমুক্ত ও ভারমুক্ত করে ফাটিয়ে দিতে পারে? কিম্বা আপনার শ্রবণেন্দ্রিয়ের চিরকুঞ্চিত স্নায়ুগুলি হঠাৎ করে কুঞ্চনমুক্ত সরলতায় আক্রান্ত হয়ে কোন অচেনা সুরে অশ্রুতপূর্ব রাগিণীতে বেজে উঠতে পারে? ঝড়ো তপ্ত বস্পের যখন শীতল বায়ুর সাথে আকস্মিক মোলাকাত হয় – তখন তার যেমন অনুভূতি হয়, তেমনি এই অথৈ নির্জনতার মাঝে পড়ে গিয়ে আপনারও কি একই রকম অনুভূতি হয়?
গাড়ি-ট্রাক-বাস-সিএনজির কর্কশ মস্তিষ্কবিদারী হর্নগোল, ধাক্কাধাক্কি, আর অসভ্য মানুষের হট্টগোলের বদলে জনবিরল জঙ্গলে-ঘেরা টিলার উপর বাসস্থান থেকে যদি লেজমোটা সভ্য বুনো শৃগালবাহিনির ডাবল-মার্চ বা কুচকাওয়াজ, বন্যবরাহ, হরিন আর বানরের ডাক, অগুনতি অচেনা পাখির কলকাকলি আর কিচিরমিচির, ইত্যাদি দেখে বা শুনে যদি আপনার ঘুম আসে বা ঘুম ভাঙে প্রতিদিন – কেমন লাগবে আপনার?
ধরা যাক ‘ঢাকা’ নামক একটা বিশাল, দানবিক, আকাশ ফাটিয়ে ও দাপিয়ে অসীম ক্রোধে গর্জনরত কঙ্ক্রীট-মিক্সারের মুখ গহবরের ভিতর ইট, বালু, সিমেন্ট, লোহালক্কড়, গাড়ি-ট্রাক-বাস-সিএনজি, আবর্জনা, হট্টগোল, মারদাঙ্গা, ভীতি আর পেট্রলবোমার সাথে মিশ্রিত, নিষ্পিষ্ট, চূর্ণিত ও সিদ্ধ হতে হতে হঠাৎ করে আপনি উপরে বর্ণিত পাঁচটি পরিবেশের যেকোন একটি বা পাঁচটির মধ্যেই গিয়ে ছিটকে পড়লেন। কেমন লাগবে আপনার?
আপনার কেমন লাগবে জানি না, আমার মনে হয়েছিল নরক থেকে ছুটি পেয়ে হঠাৎ করে স্বর্গে চলে এসেছি। বাইবেলের ‘গার্ডেন অফ ইডেন’-এর ‘ইডেন’ শব্দটা নাকি প্রাচীণ সুমেরীয় শব্দ ‘এডিন’ থেকে এসেছে। এর অর্থ ‘অবারিত সবুজ তৃনভূমি’ - বা এইরকম কিছু। এখন মনে হয় কিছুটা বুঝি - সেমিটিক ধর্মগুলিতে স্বর্গের চেহারা এমন কেন – সবুজের ঘনঘটা, গাছপালা, বাগান, উদ্যান, নহর, ছড়া, ঝর্না, নদী, মৃদুমন্দ সমীরণ, ইত্যাদি। মরুভূমির ঊষর-বিরান ফুটন্ত কড়াই্তে বসবাসকারী বেদুঈনদের কাছে এই পরিবেশটাই ছিল স্বর্গতুল্য – তাদের কল্পনার সীমারেখা। তাদের প্রাত্যহিক জীবনে যেসব জিনিসের প্রচণ্ড অভাব তাদের পীড়িত করত এবং প্রচণ্ডভাবে কাম্য ছিল, সেগুলি নিয়েই রচিত হয়েছে তাদের আরাধ্য স্বর্গ। ধীরে ধীরে চোখের সামনে বদলাতে বদলাতে দস্তুরমত পাগলা গারদে পরিণত হওয়া এই প্রিয় শহরটা থেকে সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে নয়, বরং খুব কাছে হাত বাড়াতেই - আমিও পেয়ে গেলাম তেমনি একটা কাঙ্খিত বিপ্রতীপ বিশ্ব। কিছুটা কল্পনায়, কিছুটা বাস্তবেও হয়তো। জীবনানন্দের ভাষা খানিকটা ধার করে বলা যায় - হাজার বছর ধরে ধাক্কাধাক্কি করিতে করিতে ফার্ম গেট-কারুন বাজারের মোড়ে / মহাখালী মগবাজার কাকরাইল থেকে দিবসের প্রখর রৌদ্রে ফুলবাড়িয়ার জ্যামজট হট্টগোলে / অনেক কিমায়িত-কাবাবায়িত হয়েছি আমি; ঢাকা শহরের ধূসর জগতে / আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন / আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল সিলেটের শ্রীমঙ্গল-হাকালুকি সেন।
যাক, আর কথা বাড়াব না। এটাই আসল কথা। এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা সহর্ষে। ডিসেম্বরের শেষ দু’হপ্তা সিলেটের শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, কেরামতনগর, শমসেরনগর, মাধবপুর, চাতলাপুর, বিলাসছড়া, হরিনছড়া, লাউয়াছড়া, মাইজগাঁও, ঘিলাছড়া, মমিনছড়া, আশিঘর, বক্সীপুর, হাকালুকি হাওর, ইত্যাদিতে মনের সুখে পাহাড়-টিলা, লেক, জঙ্গল, চা বাগান, নদী, হাওর, বিল, ছড়া, জলা-জংলা, ইত্যাদি রীতিমত ঘেটেঘুটে চষে বেড়িয়েছি। এটা কোন “ভ্রমণ” ছিল না, স্রেফ এলোমেলো নিরুদ্দেশ ঘুরে প্রকৃতির সাথে একটু প্রেম করা আর সিস্টেমটাকে রিফ্রেশ করা। তাই কোন গতানুগতিক ‘ভ্রমণকাহিনি’ লিখতে চাচ্ছি না এনিয়ে। তবে পাঠকরা যদি চান, নীচের স্লাইডশো ধরে পেট্রোলবোমামুক্ত, অবরোধমুক্ত ছবিপথ ধরে আমার সাথে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে বেরিয়ে পড়তে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন। কথা দিচ্ছি ডিএমসির বার্ন ইউনিটে ভর্তি হতে হবে না, তবে ঢাকাবন্দী বিরক্ত-ক্লান্ত-বীতশ্রদ্ধ কারও হৃদয়মন্দিরটাই বার্ন ইউনিটে পরিণত হলে আমাকে দায়ী করা চলবে না।
চলুন তবে, ঘুরে আসি।
১। স্লাইডশোটাতে ক্লিক করার পর কোন “Allow / Deny” বক্স হাজির হলে নির্দ্বিধায় ‘Allow’ বাটনটি চাপুন।
২। স্লাইডশোর স্ক্রোলবার টেনে নীচে নামিয়ে ছবির তলায় থাকা ভলিউম কন্ট্রোল দিয়ে স্পীকারের ভলিউম বাড়িয়ে / কমিয়ে নিতে পারবেন।
৩। কোন নির্দিষ্ট স্লাইড আংশিক বা সম্পূর্ণ ফাঁকা বা সাদা দেখা গেলে রাইট-মাউস ক্লিক করে "রিলোড / রিফ্রেশ" বাটন চাপুন।
ডিস্ক্লেইমারঃ ঠিক উপরে পোস্টের মূল অংশের নীচে সংযুক্ত স্লাইডশোটা ঠিকমত দেখা যাচ্ছে না বলে অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন (অনেকে যদিও ঠিকমতই দেখেছেন)। আমিও একাধিকবার সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। সমস্যাটা মূলত যে সার্ভারে এই স্লাইডশোটা হোস্ট করা হয়েছে - সেই সার্ভারের সীমাবদ্ধতায়। কিছুসময় ঠিকঠাক চলার পরপরই সমস্যা দেখা দেয়। এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধান দেয়া আমার ক্ষমতার বাইরে। সুতরাং এই শেষ। আর পারা যাচ্ছে না। এখন বাংলাদেশ সময় ২৫/০৩/২০১৫ - ১১ঃ১৫ পূর্বাহ্নতে এটা ভালই চলছে। এরপর কোন পর্যায়ে এটা পুনরায় অচল, বিকল বা বেমালুম অদৃশ্য হয়ে গেলেও আমার আর কিছুই করার নেই। পাঠকদের কাছে তাই অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী!
আগের সব : অণুগল্প | অণুঃআতঙ্ক-সিরিজ | নন-ফিকশন | ভ্রমণ
মন্তব্য
মনে হল আমিও একটু ঘুরে এলাম!
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
****************************************
আস্ত কোনও ছবিই দেখি না ক্যান?
হয় ছবির মাথা নয় শুধু ক্যাপশন।
এটা কি আমার স্লো-নেটের কারনে?
অটঃ মাঝিভাই কি অবসরে মোবাইল কোম্পানির প্রোগ্রামার? উপর্যুপরি এত্তগুলা টিপাটিপি ক্যান রে ভাই?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপনার স্লো-নেটের কারনেও হতে পারে, আবার মাগ্না সার্ভারের লঙ্গরখানার মত করে বরাদ্দ করা ফকিন্নি রিসোর্সের কারনেও হতে পারে মনে হয়। হোস্ট / সার্ভার বদলে দিলাম, এখন দেখেন তো অবস্থার কোন উন্নতি হল কিনা!
অটঃ ছিঃ ছিঃ এসব কি কন! এসবেই তো জীবনের আনন্দ! যাক, আপনি যখন এত নজ্জা পাচ্ছেন তখন উপর্যুপরি আর টিপাটিপি শুরুর দিকে একটু কমিয়ে দিলাম। এবার বেশি না টিপে এক ধাক্কাতেই ঢুকতে পারবেন আশা করি।
****************************************
শ্রীমঙ্গল-হাকালুকি সেন এত্ত সুন্দর ক্যান? দেখতে মনছে...
দেবদ্যুতি
লেখা সুন্দর। কিন্তু, কোন ছবি দেখা যাচ্ছে না।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ঠিক করার চেষ্টা করলাম। এবার দেখা যায় কিনা দেখেন তো!
****************************************
স্লাইডশোর জায়গাটা এখন একেবারে ফাঁকা - কোন ছবি, লিঙ্ক, কথা - কিছুই নেই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
লহমাদা, এবারে কিন্তু আমি বলবই - আপনার চশমা নেয়ার সময় হয়ে গেছে। এক লহমায় খালি চোখে সব কিছু দেখে বা মেপে ফেলার বয়স বোধহয় আর নেই। হে হে
স্লাইডশোটা আমাকে নাকে দড়ি দিয়ে অনেক নাকানি-চুবানি খাইয়েছে। মাঝখানে মডুরা এটা সরিয়েও দিয়েছিলেন - ফলে ছবি / লিঙ্ক ছাড়া ফাঁকা দেখাচ্ছিল ঠিকই। কিন্তু ২:৫১ পূর্বাহ্নতে ঠিক করে দেয়ার পর তখন থেকে এখন - ১০ঃ৫০ পূর্বাহ্ন পর্যন্ত এটা আবার জায়গামত বহাল তবিয়তেই দেখা যাচ্ছে। অন্তত আমি তো দেখতে পাচ্ছি। সুতরাং এর মাঝখানে ৯:৪৯ পূর্বাহ্নতে আপনি যখন কমেন্টটা করেছেন, তখন সে হঠাৎ করে কোথায় টিফিন খেতে গিয়েছিল বলতে পারব না। কিন্তু এই মুহুর্তে - ১০ঃ৫০ -এ তাকে ঠিকই দেখতে পাচ্ছি। ডেস্কটপে কম্পুতে ফায়ারফক্স ব্রাউজার বা নিদেনপক্ষে ক্রোম দিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। মোবাইল ডিভাইসে দেখা যাবে না মনে হয়। যাজ্ঞে, আপনি যে আবার ফিরে এসেছেন দেখতে এজন্যেই অজস্র
----------------------------
[একটু মজা করলাম, মাইন্ড খেয়েন না আবার! ]
****************************************
আরে মাঝি-দাদা, চশমা আমার নেয়া আছে বহু আগে থেকে। কিন্তু আমার সাফারি ব্রাউজারে ঐ সাদা জমি তখনও সাদা ছিল, এখনও সাদাই হয়ে আছে। আর আমার ম্যাকবুক-এ আমি সাফারি ছাড়া আর কোন ব্রাউজার ভরতে ইচ্ছা রাখি না। অতএব, এযাত্রা আর ছবি দেখা হল না।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ভাই ছবি কো? কিছু দেখি নাতো----
স্বয়ম
ঠিক করার চেষ্টা করলাম। দেখেন তো, এখন দেখা যায় কিনা?
****************************************
যাই, ব্যাগটা গুছাই। আপনি গান শোনেন।
আকাশটা কি সুন্দর! মেঘের সিঁড়ি ভাঙা আকাশ। আমার মামণিকে সাথে নিয়ে ছবিগুলো দেখলাম, ও খুব খুশি বাচ্চাগুলোকে দেখে। চমৎকার পোস্ট। পাঁচতারা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
আপনার পোস্টে ফ্ল্যাশ কনটেন্টটি কোনো একটি অজ্ঞাত কারনে একটি পেইজে রিডাইরেক্ট করছিলো। এ কারনে ফ্লাশ অংশটুকু সরানো হয়েছে। অনুগ্রহ করে কোডটি ঠিক করে আবার প্রকাশ করুন। আপনার জ্ঞার্তাথে সরানো কোডটি এখানে দেয়া হলো।
<iframe src="http://www.waxmax.dx.am/sylhet/pic_embed.html" width="700" height="394" scrolling="no" frameborder="0" hspace="0" name="fram1" seamless="seamless" allowfullscreen><p>Your browser does not support iframes</p></iframe>
ঠিক করে দিলাম আবার। দেখা যাক।
****************************************
খুব সম্ভবত কিছুক্ষণ চলার পর উক্ত সার্ভারের লিমিট অতিক্রম করে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
সেটাই। ওভারট্রাফিক কিম্বা বরাদ্দকৃত ডাটা ট্রাফিক বা সিপিউ ব্যবহারের কোটা অতিক্রমণের কারন দেখিয়ে সার্ভার থেকেই বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এই সময় একটা 'এরর' পেইজে রিডিরেক্ট করা হয়।
****************************************
ডিস্ক্লেইমারঃ পোস্টের নীচে সংযুক্ত স্লাইডশোটা ঠিকমত দেখা যাচ্ছে না বলে অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন (অনেকে যদিও ঠিকমতই দেখেছেন)। আমিও একাধিকবার সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। সমস্যাটা মূলত যে সার্ভারে এই স্লাইডশোটা হোস্ট করা হয়েছে - সেই সার্ভারের সীমাবদ্ধতায়। কিছুসময় ঠিকঠাক চলার পরপরই সমস্যা দেখা দেয়। এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধান দেয়া আমার ক্ষমতার বাইরে। সুতরাং এই শেষ। আর পারা যাচ্ছে না। এখন বাংলাদেশ সময় ২৫/০৩/২০১৫ - ১১ঃ১৫ পূর্বাহ্নতে এটা ভালই চলছে। এরপর কোন পর্যায়ে এটা পুনরায় অচল, বিকল বা বেমালুম অদৃশ্য হয়ে গেলেও আমার আর কিছুই করার নেই। পাঠকদের কাছে তাই অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী!
****************************************
যাক বাবা, আমি কিন্তু আয়েস করে দেখতে পেরেছিলাম।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
নতুন মন্তব্য করুন