আকাশ কালো হয়ে আছে মেঘে, একটু আগেও বেশ হাওয়া দিচ্ছিলো, এখন পুরোপুরি বন্ধ। সবকিছু কেমন থম মেরে আছে। বাতাসে উড়তে থাকা ধুলোর গন্ধ। কে বলবে কিছু আগেও চারদিক আলো করে সূয্যিমশাই বেশ আড়ম্বরেই আকাশে ঝুলছিলো!
দেখতে দেখতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। বড় বড় ফোঁটা সরাসরি মাটিতে পড়ে ছিটকে পড়ছে, আবার কোনাকুনি উড়ে আসছে ছোট ছোট পানির কনা। বারান্দা ভিজে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। লোমশ শরীরটায় হাওয়ার ঝাপটা এতোক্ষণ ভালোই লাগছিলো মিঁয়াও-এর, আরামে অবশ অবশ ভাব, চার পা আর ল্যাজ ছড়িয়ে দিয়ে মোজাইক করা মেঝে থেকে আরামটুকু শুষে নিচ্ছিলো ও। বেরসিক পানি এসে বাগড়া দেওয়ায় মেজাজ খারাপ হলো- "পাজির পাজি!"- সামনের দিকে চেয়ে মিঁয়াও একটা জবরদস্ত ভেংচি কাটলো। পানি আসা কমলোনা তাতে, খানিক বাড়লো বরং। 'ঠান্ডা না লেগে যায়'- মিঁয়াও বাধ্য হয়ে বারান্দার কোণায় রাখা ওয়ালক্লখে মোড়া বড় প্যাকেটটায় চড়ে বসলো। পানির ছিটে এর উপরেও আসে, তবে কিনা একটু কম।
বাতাসে আরাম দিয়ে গেছে সত্য, কিন্তু দেখা যাচ্ছে যন্ত্রনাও দিয়ে গেছে কিছু। বড় বড় লোমগুলোর ফাঁকে ফাঁকে ধুলো এসে ঢুকেছে! লোমগুলো খাড়া খাড়া করে শরীরটুকু ঝেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলো মিঁয়াও- "ধ্যাত্তেরি!"- নিমেষেই বুঝে নিলো এ মুশকিল অত সহজে আসানের নয়। শরীর হালকা করে পায়ের উপর জোর বাড়িয়ে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করলো ধুলোদের, কীসের কী, দেখা গেলো অস্বস্তি কমেনি, তার মানে ওরা রয়ে গেছে জায়গামতোই। বিরক্তি আরো বাড়লো যখন টের পেলো পায়ে নখের এদিকে ওদিকে, থাবায় সুরসুর করছে। "হা কপাল"- পারলে ও কেঁদেই ফেলে আর কি!
অতঃপর কি আর করা, নিজের সেবায় লাগতে হয়েছে ওকে। থাবা আর নখগুলো জিহবায় চেটে পরিস্কার করার ফাঁকে ফাঁকে পানি থেকে শরীর বাঁচানোর চেষ্টাও করতে হচ্ছে- "থামে না ক্যান ছাই!"- বৃষ্টি চলছে- অবাক করা ব্যাপার হলো মাটি থেকে গরম ভাপও গায়ে লাগছে- অবশ্য এমনধারা হওয়াই দস্তুর। মাঝে মাঝেই জোর ঠান্ডা বাতাস কাঁপিয়ে দিচ্ছে শরীর।
এখান থেকে পালাতে পারলেই ভালো লাগতো মিঁয়াও-এর, কিন্তু সমস্যা হলো দরজাটা বন্ধ, এমনকি জানালাটাও। কখন যে বন্ধ হয়েছে ও মনে করতে পারছেনা, ঘুমিয়ে পড়েছিলো নাকি ও?! "বেকুব মিঁয়াও, এবার বোঝ্ ঠ্যালা!"- নিজের দিকে স্পষ্টতই বিরক্তি আসে ওর।
ঘাড় বাঁকিয়ে পিঠের পেছনটা আর পাজরের দিকে চাটতে চাটতে শক্ত-(শুধু শক্ত না অতিশক্ত, একবার বারান্দা থেকেই জানালা হয়ে ঢুকতে চেয়েছিলো ঘরে, ঠকাস শব্দে মাথা ঠুকে গিয়েছিলো ঐ বিটকেল জানালায়- হুম, শক্ত আর স্বচ্ছ জানালা হয়ে চোখ চলে যায় ভেতরের দিকে- বিছানায় নিতুন বসে ওর আদরের খেলনা ডগি, ডিনো আর বল ব্যাট চারদিকে ছড়িয়ে- চোখ অবশ্য টিভিতে, নড়ন চড়ন বন্ধ। নিতুনের আম্মুও ঘরেই, তবে অস্থির, এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে আবার ওদিক থেকে এদিক। কিছু একটা খুঁজছে।
মিঁয়াও-এর চট করে মনে পড়ে, দরজা লাগিয়েছে নিতুনের আম্মুই। এবার মেজাজ চড়ে যায় ওর- নাহয় ঘুমিয়েই পড়েছিলো ও, ওকে ভেতরে এনে কি দরজাটা বন্ধ করা যেতোনা? একটু অভিমানও টের পেলো সে- কেমন করে পারলো ওকে বাইরে ফেলে রাখতে? প্রশ্ন আসে মনে, "আমি কি তবে কেউ নই?" ঘর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় মিঁয়াও, ল্যাজ ও।
অবশ্য কাজ ভোলেনা ও, নিজের ধুসর সফেদ শরীর সফেদ করার চাটাচাটি চলতে থাকে। নিতুনের আম্মুকে দরজার দিকে আসতে দেখেই ওর পিলে হালকায় চমকেছে- ধুলোর দাপট হজম করা গেছে, বৃষ্টির ছাট তো থাবাতেই উড়িয়ে দেয়া যায়, কিন্তু নিতুনের আম্মুর চোখে পড়লে আর রক্ষা পেতে হবেনা- নির্ঘাত ঘাড় ধরে নিয়ে ফেলবে ঐ সাদা বাথটাবের ঠান্ডা পানিতে। ভাবতেই কেঁপে ওঠে মিঁয়াও।
ঠান্ডা কথা মনে পড়েছে বলেই কিনা বারান্দার বাতাসটা আরেকটু ঠান্ডা ঠেকে ওর কাছে। আর মনে হয়, "আহাহাহ! এখন যদি থাকা যেতো গরম চাদরের ভেতর!" মনটা বেশ আকুপাকু করে ওঠে মিঁয়াও-এর। দেখবোনা দেখবোনা করেও ঘাড় ফিরিয়ে একবার গোছানো বিছানাটা দেখে নেয় ও, বিছানার এক কোনায় গুছিয়ে রাখা বালিশ আর চাদরগুলোও ওর নজর এড়ায় না।
দুপুর বা বিকেলবেলার আলিস-ঘুমের জন্য জানালার বাড়ানো ফ্রেম বা ঐ বালিশ-টিলা ঠিক আছে, কিন্তু রাতের জন্য বিছানাটাই পছন্দ মিঁয়াও- অবশ্য নিয়ম আছে এখানে, একলা থাকেনা মোটেও- রাত যখন একটু বাড়ে ছোট্ট লাফে ওঠে পড়ে নিতুনের বিছানায়।
ছোট মানুষটা গুটিশুটি মেরে পড়ে থাকে, শরীর ভারী চাদরে জড়ানো। মিঁয়াও আস্তে করে পায়ের কাছে গিয়ে মাথা থেকে শুরু করে ল্যাজ পর্যন্ত ঘষতে থাকে, গলায় আদুরে গলায় নিজের আসার জানান দেয়, "ইয়ায়ায়াও!"
ব্যস, চাদরে দরজা ফাঁক হয় একটুখানি, ও ঢুকে পড়ে নির্ভয়ে, "নিশ্চিন্তি!" কিছুক্ষণ হাঁটুর কাছে সময় কাটিয়ে বুক ঘষতে ঘষতে চলে আসে নিতুনের বুকের কাছটিতে। নিতুনের হাত কোথ্থেকে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে। আরামে চোখ বন্ধ হয়ে আসে মিঁয়াও-এর, গলায় মৃদু গররর শব্দ চলে আসে অজান্তেই, কখন যে ঘুমে ঢলে পড়ে ও মনে করতে পারেনা, হয়তো নিতুনবাবুও না।
সকালে ঘুম ভাঙার পরে আস্তে ও বেরিয়ে আসে চাদরের আড়াল থেকে, ল্যাজের মোচড়ে ছুঁয়ে দিয়ে আসে নিতুনবাবুর গাল, ও চোখ একটু খোলে, মুখে হাসির রেখা এনে আবার চোখ বুজে ফেলে। এভাবেই, প্রতিদিন।
"কী ভালো একটা ছেলে"- বাইরে বসেও মিঁয়াও যেনো আরামটুকু আরেকবার টের পায়- "আহাহাহ!"- এক ছুটে গিয়ে নিতুনের কোলে ওঠে পড়তে ইচ্ছে হয় ওর। আবারো মনে পড়ে-"হায়!"- ও তো এখন আটকা!
হঠাত্ দরজায় খুট করে শব্দ হয়, নিতুনের আম্মুর মুখটা উঁকি দেয়- "আয় হায়! তুই এখানে পড়ে আছিস আর আমি খুঁজে খুঁজে হয়রান!" জড়োসড়ো হয়ে থাকা মিঁয়াও-এর দিকে এগিয়ে আসে আরেকটু-"ইশশ! ভিজে কী অবস্থা হয়েছে! ঠান্ডা না লেগে যায়!" কথা শেষ করতে করতেই মিঁয়াও-এর সমস্ত শরীর কেঁপে ওঠে, ভেতর থেকে আসা বাতাসটুকু বেরিয়ে আসে, ছোট্ট করে শব্দ হয়, "ফিচচছ!"
নিতুনের আম্মু ওকে আলতো করে কোলে তুলে নেয়, যেতে থাকে ভেতরের দিকে। হঠাত্ করেই ভালো লাগতে থাকে মিঁয়াও-এর, "মিইইইয়াও" বেরিয়ে আসে ঠোঁটের ফাঁক গলে; যার মানে আসলে "কী সুখ!"
[এখানে রইলো পর্ব ৫, ৪, ৩, ২ আর ১।
ফাও হিসেবে রইলো এই বেড়ালছানা।]
মন্তব্য
বিড়াল মিয়াকে খুব ভাল লাগল। আমার নিজের বিড়াল মিমিলুকে মনে পড়ে গেল।
--রিম
মিমিলু? বড়ই সৌন্দর্য নাম!
নামের পেছনের গল্পটুকু জানার ইচ্ছা রইলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ক
গত পর্ব থেকেই যে কথাটা মাথায় ঘুরছিলো সেটা বলে ফেলি।
মিঁয়াওকে নিয়ে একটা বই হোক। বড়োরা তো মজা পাবেই, ছোটোরা খুশি হবে সবচেয়ে বেশি। আরো কয়েকটা পর্ব করে বইয়ের কথাটা ভেবে দেখবেন।
খ
এই পর্বটাও বরাবরের মতোই আদুরে।
গ
আলিস মানে কী?
|| শব্দালাপ ||
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ক.
বই হলে পড়বে কেউ?
লেখাগুলো ছোটদের জন্যই, কিন্তু ছোটদের কেমন লাগছে তা বলতে পারিনা; বাসার পিচ্চিগুলি বড় হয়ে যাচ্ছে, এছাড়া কেউ পড়েছে কিনা জানিইনা।
খ.
লেখাগুলো অনেকেরই পুরোন স্মৃতি বা যত্নে রাখা লুকোনো স্মৃতি বের করে আনছে, এটা বেশ পছন্দ হয়েছে আমার!
গ.
আলস্য >অলস > আলসে >আলিস!
ঘ.
শব্দালাপ করতে গিয়ে ফিরে আসছি বার বার, এ বাঁধা ও বাঁধা পেরিয়ে আলাপ আর করা হয়ে উঠছেনা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
বই হলে খুব ভালো হবে। সাথে রঙিন ইলাস্ট্রেশন থাকলে আরো দারুণ হবে। সত্যি বলছি। আপনি ভেবে দেখুন মলাটবন্দি মিঁয়াও-এর কথা।
[বাঁধা > বাধা ]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হলে তো ভালোই লাগবে আমার।
বেশ, মাথায় থাকলো মলাটবন্দী মিঁয়াও এর কথা।
ক. কটা পর্ব হলে বই করা সম্ভব হবে বলে মনে হয়।
খ. কোন পিচ্চি কি এটা পড়েছে যার কাছে কেমন লাগলো তা জানতে পারি?
গ. যদি কখনো বই করার ইচ্ছাটা পাকা করেই ফেলি, তাহলে আপনাদের ব্যাপক হারে যন্ত্রণা দেয়ার আশা রাখি!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ক. আর তিন-চার পর্ব হলেই বোধহয় যথেষ্ট। নির্ভর করে আপনি কীভাবে ইতি টানতে চান তার ওপর।
খ. তেমন কোনো পিচ্চির খবর জানি না। তবে আমি পিচ্চি হলে লুফে নিতাম নিশ্চিত।
গ.
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ইতি টানবো ভাবতেই মন একটু খারাপ হলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
চলুক না আরও। যতদিন ইচ্ছে হবে, লেখতে থাকো, তারপর না হয় একসময় ''নটে গাছটি মুড়োলো'' করা যাবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
আরেরেরে...... মিঁয়াও ইজ্ ব্যাক!
সচলায়তনে আমার সবার থেকে পছন্দ এই মিঁয়াওকে :)।
বিছানায় রাতের বেলাতে ঘুমের জন্য যেই কৌশলটা বর্ণনা করলেন, সেটা একেবারে খাপে-খাপ মিলে গিয়েছে।
শুধু তাই না, মিঁয়াও-এর সাথে নিতুনের আম্মুর ব্যবাহারটাও সেইরকম। ঝড়ের সময় আমরা যদি কোথাও হুল্লোর করতে ব্যস্ত থাকতাম, মা ঠিকই মনে করে বিড়ালের খোঁজ করতেন।
অটঃ বানান প্রশ্ন- সূর্য ঠিক না কি সূর্য্য ঠিক? বাংলা উইকিতে দেখলাম sun এর বাংলা সূর্য লিখেছে।
-লাবণ্য-
মিঁয়াও কে আমারো খুব পছন্দ!
এ পছন্দ ধরে রাখতে পারলেই না মিঁয়াও সত্যিকারের মিঁয়াও হয়ে ওঠবে!
অট:
'সূয্যিমামা'কে তো নজরুল চিনিয়ে দিয়েই গেছেন, আমরা কি তাঁকে 'সূয্যিমশাই' বলতে পারিনা?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
বকবক না করে বরং এই গানটা দিয়ে যাইঃ
অটঃ আপনি ঢাবি'র, না? আমিও!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
স্ট্রিমিংজনিত সমস্যার কারণে গানখান শোনা হলোনা!
যাহোক, আপনাকে আবারো মিঁয়াও এর কাছাকাছি দেখতে ভালো লাগছে!
অটঃ
মনে করার চেষ্টা করছি আমি কোন বি'র সেটা কবে বলেছি!
আমি ঢাবি'র, ঠিকি আছে।
হলিক্রস, ঢাবি- এমনটাই তো স্বাভাবিক।
কোন ব্যাচ? কোন ডিপার্টমেন্ট?
আর আপু, আপনি না করলেই নয়? ভার্সিটির বড় বোন বলে কথা!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
হায় হায়! গানটা প্লাস ভিডিওটা দেখতেই হবে। দরকার হলে কারো বাসায় গিয়ে দেখে ফেলো, না দেখলে তো পোস্ট করার আসল মজাটাই মাটি!
তাই? আমি কিন্তু সবসময়ই ছিলাম, ব্যস্ততার কারণে সবসময় বলা হয় না। আর, সিলি ব্যাপার-স্যাপার-এ দমে যাবো সেটা ভেবো না, সিলি ইজ অলওয়েজ সিলি নো ম্যাটার ওয়াট! ইদানিং 'অভ্র' নিয়ে অনেকের সাথে ফাইট, ক্যাম্পেইন এগুলো করে টাইম আরও হাতে থাকে না!
অটঃ না, তুমি বলো নি, আমি-ই কীভাবে জানি তোমার প্রোফাইল দেখেছিলাম, দাঁড়িসহ!
এড করে নিতে পারো, আমার এখানে প্রোফাইলে নাম আছে, নাম ধরে খুঁজলেই পাবে ফেইসবুকে। তখন কী করি, কী পড়ি - সব জানতে পাবে।
ভাল থেকো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
বেড়াল শোভিত শহর ভালো লাগলো। ১ ঘন্টার ডাউনলোড টাইম সার্থক।
অটঃ
ক. বলেন কি বলেন কি?! দাঁড়ি অবধি দেখে বসে আছেন?! সিকিউরিটিতে তা'লে গলদ আছে দেখা যাচ্ছে!
খ. শরতশিশির নামে খুঁজেছি, বলে "নো অবজেক্ট ফাউন্ড!"
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
হা, হা! এই ডাউনলোড নিয়ে ক'দিন পর দেশে আসলে আমাকেও একই কথা বলতে হবে।
আমার 'আসল নাম' আমার ইমেইলে আছে। আমার অ্যাকাউন্ট ডিটেইল-এ গেলে (এখানে আমার নিকের উপর ক্লিক করলে দেখতে পাবে) মিলবে, কেমন?
ভাল থেকো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
দারুণ লাগল। আমি আগে পড়িনি। এখন মনে হচ্ছে বাকি কিস্তিগুলো পড়ে নিতে হবে!
চলতে থাকুক।
জহিরুল ইসলাম নাদিম
আপনার মিঁয়াও-ভ্রমন আনন্দময় হোক!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
তাইলে ওই কথাই থাক। একটা বই হয়ে যাক।
বই! ভাবতে ভালোই লাগছে কিন্তু...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আমার হয়ে মিয়াওএর গলাটা একটু চুলকে দিয়েন...
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
ইচ্ছে থাকলো..
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ইহার আগমন অনভিপ্রেত।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
দারুণ লেগেছে।
আজকেই প্রথম পড়লাম আপনার মিয়াও। আপসোস হচ্ছে আগে কেন পড়িনি। এখন আস্তে আস্তে আগের পার্টগুলো পড়ব।
বিড়াল আমারও পছন্দের প্রাণী সেটা নিশ্চয় আমার ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তা আর বলতে!
বেড়ালপ্রেমিক যারা তাঁদের আদর মিঁয়াও মোটামুটি অবধারিতভাবেই পাচ্ছে, শুরু থেকেই। এ আদরটুকু না হারালেই হলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আমারও তাই। আগে পড়িনি তবে পড়ে ফেলব সব।
শুভেচ্ছা।
মধুবন্তী মেঘ।
মিঁয়াও পরিক্রমা সুখময় হোক আপনার জন্য ও।
শুভকামনা রইলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
পাশের বাড়ির দেয়ালে প্রায়ই লেজ ঝুলিয়ে বসে রোদ পোহায় এক বেড়াল পরিবার, মা আর তিনটে পুষি_ খুশি ছানা...
ইদানিং উহাদেরকে দেখিলে মিঁয়াও এর কথা মনে পড়িয়া যায়!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আজকাল ফুটপাথে হোটেলের পাশে বা নীলক্ষেতের খাঁচা ছাড়া বেড়াল চোখেই পড়েনা বলতে গেলে।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অনেকদিন পর মিঁয়াও-এর গল্প পড়লাম। চলতে থাকুক আপনার মিঁয়াও সিরিজ।
আপনার লেখা ইদানীং পড়েছি বলে মনে পড়ছেনা তেমন, বই বাদ দিয়ে একটু খাতায় মন দিলেও পারেন!
মিঁয়াও এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আমার নানী বেড়াল পালতো। এই সিরিজ পড়লে নানীর কথা মনে পড়ে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার নানীর জন্য শুভকামনা।
শুধু বেড়াল? তিতির, হাঁস, মুরগি, বেড়াল, গরু...আমার নানু কাউকেই ছাড়েনি! একগাদা নাতি নাতনির কথা বাদই দিলাম!!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নতুন মন্তব্য করুন