খেয়ালি খেলায়ঃ জয়তু বাংলাদেশ

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৭/০২/২০১১ - ৯:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“আমরা সবাই জেতার সুখে আজকে পাগলপারা,
জেতার মত দেশ কি আছে আমার এ দেশ ছাড়া?
নিজের দিনে কাউরে এখন আর করিনা ভয়-
ঠিক ‘ধরে দেই’; দিনের শেষে আমরা করি জয়!!

***************************************************

‘পরিসংখ্যান একটা গাধা’- কথাটা ক্রিকেট রিপোর্টে অনেকবার পড়েছি এবং সন্দেহাতীতভাবেই আরো অনেকবার নিশ্চিতভাবে পড়তে হবে। কিন্তু তাতে করে এর আবেদন একটুখানি কমেনি আর মনে হয় না সহসাই কমবে।

‘পরিসংখ্যান’-কে ‘গাধা’ বানানো ম্যাচগুলো রেকর্ড বই-তে থাকে যতখানি, মনে থাকে তার চেয়ে ঢের বেশী। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আড়ালে ঢাকা পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ ঐ রেকর্ডের খাতায় খুব বাড়তি মর্যাদা পাবে তা না, কিন্তু ঢাকা’য় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে যে মানুষগুলো গলা ফাটিয়ে বাং-লা-দেশ... বাং-লা-দেশ...বাং-লা-দেশ করে অবিরাম চেঁচিয়ে গলার বারোটা বাজিয়ে বাড়ি ফিরেছেন দেশের এক অসামান্য জয়ের সাক্ষী হয়ে তাঁদের কাছে এর স্মৃতি রশদ যোগাবে অনেক অনেক দিনের জন্য।

ক্রিকেটের কুলীন পরিবারের শিশু সদস্য দেশের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপের তাপ সামলাতে থাকা বাংলাদেশ আর ২০০৭ বিশ্বকাপে বড় দলগুলোকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পর-ও পরের বিশ্বকাপে থাকবে কি থাকবে না’র দোলাচলে থাকা আয়ারল্যান্ড, পুরো বিশ্বের মনযোগ টেনে রাখার খেলা এ নয়- কিন্তু আমাদের কাছে এ খেলা অনেক প্রত্যাশার, নিশ্চিত আনন্দের।

একে তো ছোট দলের খেলা, তার উপর লো-স্কোরিং ম্যাচ। বাংলাদেশ টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৫০তম ওভারের প্রথম বলে ২০৫ রানে অল-আউট। আর আয়ারল্যান্ড ১৭৮ রানে অল-আউট। বাংলাদেশের জয় ২৭ রানে। এছাড়া এ পর্যন্ত ২০১১ বিশ্বকাপে দ্রুততম দলীয় অর্ধশত, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং- এ রকম ছোট খাটো দুই একটা আঁচড় ছাড়া রেকর্ড বই-য়ের সাধ্য কি এ খেলার পুরো চিত্র দেখায়?!

১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার একটা খেলার কথা মনে পড়ছে হঠাৎ করে। দুর্দান্ত টাচে থাকা লংকান গ্রেট অরবিন্দ ডি সিলভা একটা ফ্লিক করলেন ফাইন লেগ বাউন্ডারির পথে। এতো ‘ফাইন’ খেলে ফেললেন তিনি যে বল চলে গেলো কিপারের গ্লাভসে। অরবিন্দ আউট। তিনি যখন প্যাভিলিয়নের দিকে চলেছেন ধারাভাষ্যকার তখন বলছেন, “...এরাভিন্ডা, প্লেইড দা বল সো ফাইন দ্যাট দ্যা বল গোওজ টু দি কিপারস হ্যান্ড!” তাঁদের কথার মূল সুর ছিল- অরবিন্দ বলেই লেগ-মিডলে থাকা ঐ বলে ঐ শট খেলা সম্ভব হয়েছে আর শট-টা বেশী ভাল খেলাতেই অরবিন্দ প্যাভিলিয়নে ফিরছেন!!

গতকাল শফিউলের তৃতীয় স্পেলের বোলিং সেই স্মৃতিকে আবার উসকে দিলো। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্র্যাকটিস ম্যাচটা হিসেবে ধরলে পর পর দুটো খারাপ ম্যাচ কাটানো শফিউল কাল ছন্দে ফিরলেন এক ওভার এক ওভার করে দুই স্পেলের পর তিন নম্বর স্পেলে এসে।

মঞ্চ তখন তাঁর জন্য তৈরী করে দিয়েছেন তাঁর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, সিনিয়র স্পিনার আবদুর রাজ্জাক, বোলিং অল-রাউন্ডার হয়ে একাদশ নিশ্চিত করা নাঈম ইসলাম আর দলে জায়গার জন্য হন্যে হয়ে ফেরা যথারীতি ব্যাটে হতাশ করা অফ-স্পিনাররূপী মোহাম্মদ আশরাফুল।

একদিকে কখনো রুবেল, কখনো সাকিব, কখনো নাঈম, কখনো রাজ্জাক চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তাঁদের মত করে, রান আটকে দিয়ে, উইকেট ফেলার সুযোগ তৈরীর চেষ্টা করে- আর আরেকদিকে এই তরুণ আগুন ঝরিয়ে যাচ্ছিলেন একের পর এক।

আইরিশ ব্যাটসম্যান চেষ্টা করছেন বলের লাইনে গিয়ে ড্রাইভ করার জন্য, ব্যাটসম্যানের ব্যাট কোনমতে পেরিয়ে বল মুশফিকের হাতে যাচ্ছে আর মনে হচ্ছে, “ইশশ! আরেকটু ভাল খেললে ঠিক ব্যাটের কানায় লাগতো!”- পরের দৃশ্যে শফিউল মাথায় হাত দিয়ে হতাশায় মুখ ঢাকছেন, মুশফিক দুই লাফে বল ধরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন পাশে দাঁড়ানো স্লিপে ফিল্ডারের কাছে, গ্লাভস পরা হাতে তালি দিয়ে উৎসাহিত কছেন বোলারকে আর ব্যাটসম্যান যে-রকম-করে-খেলা-দরকার-ছিলো তার একটা অভিনয় করে নার্ভাস চোখে দেখছেন বলটা স্ট্যাম্পের ঠিক কতটুকু কাছ দিয়ে গেল। এভাবে বলের পর বল।

ভয় পাইয়ে দেয়া কোবি ও ব্রায়েন বা উইকেট বাঁচানোর চেষ্টায় থাকা বয়েড র্যাং কিন হয়তো ফিল্ডারের হাতে ধরা পরেছেন শেষ পর্যন্ত, বিপদজনক জন্সটন লেগ বিফোর হয়েছেন রেফারেলের নিশ্চয়তায়, আর বোথা এলোমেলো খেলে স্ট্যাম্প খুইয়েছেন। কিন্ত তাদের ভুল সময়ে ভুল শট খেলানোর কৃতিত্ব আমাদের শফিউল ইসলামের।

২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা বোলিং-এর কৃতিত্ব দেখানোটা বড় কথা নয়, এ খেলায় শফিউলের সবচেয়ে সেরা কৃতিত্ব এক অশেষ চাপের ম্যাচে নিজেকে ফিরে পেয়ে দেশের অপমান ঠেকানো। বুক নিংড়ানো অভিনন্দন অনেকের চোখে গতকালের সত্যিকারের ‘ম্যান-অফ-দি-ম্যাচ’ শফিউল ইসলামের জন্য।

দিনের শুরুতেই তামিম ইকবালের সরোষ গর্জন-কে উপেক্ষা করার কিছু নেই, মাঠে তখন পর্যন্ত উপস্থিত দর্শকদের চোখ আর মন দুই-য়েরি খোরাক যুগিয়ে বলতে গেলে খেলা শুরু হতে না হতেই বাংলাদেশের ৫০ হয়ে গেল, তামিমের ব্যাটের ঔদ্ধত্বে তাঁর নিজের স্কোর চৌত্রিশ আর সঙ্গী ইমরুল কায়েস অপরাজিত এগারো বা বারো রানে- এর মাঝে তাঁর-ও খান দুয়েক চার মারা হয়ে গেছে, একটা আবার ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ফিল্ডারের পাশ দিয়ে ছুটে গেল দুরন্ত গতিতে, বল- ব্যাটে হবার শব্দ পাওয়া গেল গ্যালারী থেকেও, সবার সোল্লাস চিৎকার ছাপিয়ে।

ত্রিশের কোটায় পৌঁছানোর পর তামিমকে খানিকটা সাবধানী হতে দেখলাম, ভালই লাগলো। নিশ্চিত হলাম তামিম আজ সেঞ্চুরি করে ফেলবে, বাংলাদেশ নিদেন পক্ষে তিনশ! কিসের কি, পঞ্চান্নতে গিয়েই ইমরুল আউট, একটু পর জুনায়েদ, এরপর তামিম!

‘বার্ড ফ্লু’ হয়ে গেলো কিনা ভাবতে ভাবতেই খুশির উপলক্ষ এল- কথা নাই বার্তা নাই, আইরিশ ফিল্ডার পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ফেললো- তাও সাকিবের। এসেই এর মধ্যে দেখার মত একটা স্ট্রেইট ড্রাইভে চার-এ হেসেছে সাকিবের ব্যাট, নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে মুশফিকুর লাফিয়ে বল যাওয়ার পথ যেমন করে দিয়েছেন তেমনি বাঁচিয়ে নিয়েছেন নিজেকে।

যখন কেবল ভাবছি ‘আজকে তাহলে সাকিবের আরেকটা দিন’ অমনি সাকিব-ও আউট। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এমন মড়ক লাগবে তা কে জানতো! সহজে আসা জয় ভাল লাগে না, তাই বলে জয় আসাই হুমকীর মুখে পড়লে কি করে হয়!?

রকিবুল-মুশফিকুর জুটি মান-সম্মান বাঁচিয়েছে খানিকটা। কিন্তু কতটুকু আর? দুজনেই তিরিশের ঘরে গিয়ে কাটা পড়লেন। বহু জল্পনা-কল্পনার পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জায়গায় ঢোকা মোহাম্মদ আশরাফুল-কে নিয়ে আশা এখনো থাকে সবার, ব্যাটিং-এ নামার সময় তুমুল চিৎকারে তেমনই মনে হল।

কিন্তু আশার ওপাশেই যে হতাশার বাস, এটা আশরাফুল ব্যাটিং করার সময় মাথায় রাখা একান্ত কর্তব্য। আশানুরূপ আশরাফুলের দেখা মিললো না, পাঁচ বলে এক রান করার পর প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে আউট- এককালে খারাপ লাগাটা খুব তীব্র ছিল, এখন আর অমন হয় না- কিন্তু দর্শকদের হয়তো হয়। শুধু আশরাফুল হলে কথা ছিল, সাকিব তামিম অল্প রানে ফিরে গেলেও কথা ভাসতে থাকে গ্যালারীতে। পরাজিত মানুষ সব সময়-ই বড় একা।

নাঈম ইসলামের ব্যাটিং আমাদের সম্মান বাঁচানো ২০০ রান এনে দিল, ‘ছক্কা নাইম’-এর ব্যাটে ছয় আসে নি কোন, কিন্তু যতটুকু পরিমিতি বোধ এসেছে এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ।

২০০ রান পুঁজিতে লড়াই করতে হলে শুরুতে উইকেট ফেলা খুবই জরুরী। রাজ্জাকের বলে উইকেট পড়লো বটে কিন্তু রানের গতি কমলো না। তখনো আইরিশ অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড উইকেটে, রানের ফুলঝুরি তার ব্যাটে। রাজ্জাক-কে সরিয়ে সাকিব এলেন... এবং জয় করলেন! প্রথম বলেই উইকেট!

আমাদের তরুণ অধিনায়কটির অন্যতম ক্রিকেট দর্শন নাকি প্রতিপক্ষকে সারাক্ষণ চাপের মুখে রাখা। অনবরত ফিল্ড বদল, বোলার বদল- ব্যাটসম্যান বেচারারা একটু যে নিঃশ্বাষ ফেলবে শান্তিতে তার উপায় নেই! ভাগ্য নাকি সাহসীদের সাথে থাকে, সাকিবের পরিকল্পনা কাজ না করাটাই বরং অস্বাভাবিক ঠেকে।

নাঈম-কে মাত্র তৃতীয় ওভার থেকে বোলিংয়ে নিয়ে আসতে সাহস লাগে, সে সাহসটুকু সাকিবের আছে বলেই সাকিব আর সবার থেকে আলাদা। ব্যাটিং-এ ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ দল যখন মধ্যবিরতিতে ফিল্ডিং প্র্যাকটিস করছে তখন দেখা গেলো আশরাফুল সেন্টার উইকেটের পাশে কোচকে নিয়ে বোলিং প্র্যাকটিস-এ ব্যস্ত। এ বোলিং যে ম্যাচেও কাজে আসবে তা কে জানতো? খুবই দরকারের সময়ে দুটো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট- এর আগের ১৬৭ ম্যাচে ১৫ উইকেট পাওয়া বোলার আশরাফুল নিজেও কি কল্পনা করেছিলেন এমন ভেলকী দেখাতে পারবেন?!

বদলী ফিল্ডার শুভ আর তামিমের দেখার মত দুটো ক্যাচ, পুরো দলের চমৎকার ফিল্ডিং, নাঈম আশরাফুলের অপ্রত্যাশিত কার্যকর বোলিং আর সাকিবের ক্যাপ্টেন্সি- এছাড়াও আরো একজন পারফরমার এ ম্যাচে ছিলো যার অবদান কোন অংশেই কম নয়, বরং অনেক বেশী। দর্শক।

দারুণ চাপের এই খেলায় সাকিবরা যে উৎরে গেছে তার পেছনে উৎসাহী এই দর্শকদের নিরংকুশ সমর্থন একটা অনস্বীকার্য কারণ। আমাদের বোলার যাচ্ছে বল হাতে, সাথে পঁচিশ হাজার দর্শকের ‘হু—উ-উ-উ-উ’ ধ্বনি- আইরিশ ব্যাটসম্যান-রা চার ছয় মেরে যাচ্ছেন, গ্যালারী নিশ্চুপ।

ডট বল হলেই তালে তালে বাং-লা-দেশ, বাং-লা-দেশ জয়গান। ব্যাটসম্যান হয়তো সাকিব-রাজ্জাকদের ঘূর্ণি সামলে দেওয়ার সামর্থ রাখেন, কিন্তু বাংলাদেশী দর্শকদের অবিরাম চিৎকার সামলানোর ক্ষমতা কোত্থেকে পাবেন?

পনের ওভারের পর দর্শকেরা অবিরাম চেঁচিয়ে গেছেন দলের জন্য, অকুন্ঠ সমর্থন ক্রিকেটারদের লড়াই করার শক্তি যুগিয়েছে। দুই রানগুলো দারুন ফিল্ডিং-য়ে এক হয়ে গেছে, তিরিশ গজে সাকিব- রাকিবুলদের ক্ষিপ্ততা এক রানগুলোকে শূণ্য-তে আটকে রেখেছে।

কি অদ্ভূত আস্থা এই খেলোয়ারদের উপর সমর্থন যোগানো মানুষগুলোর- মাঝে মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়েও যখন চার ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে আশরাফুল বা আর কেউ তখনো করতালি থামছে না, এক মুহূর্ত থেমে আবার শুরু হচ্ছে বাং-লা-দেশ...বাং-লা-দেশ।

ছয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পর একদিকে বাংলাদেশের বোলারেরা, সাথে এই দর্শকের চাপ, আইরিশ ব্যাটসম্যান-রা ম্যাচটা বের করে নিলেই অবাক করা ব্যাপার হত। হয় নি, বাংলাদেশ জিতেছে।

আনন্দে হাতের প্লেকার্ড, ব্যানার ওড়াতে থাকা দর্শকদের চোখে মুখে তৃপ্তির ছাপ। আর সব কিছুকে ছাপিয়ে একটু স্বস্তি- বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জেগে থাকলো।

সমর্থকেরা মাঠ ছেড়েছে অশেষ আনন্দ নিয়ে, ভারতের সাথে হেরে যাওয়ার পর মিরপুরে স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায় গত ক’দিন যে শূণ্যতা ছিল তা উধাও, খেলা শেষ হওয়ার দু-ঘন্টা পরও রঙ ছোড়াছুড়ি চলেছে রাস্তায় রাস্তায়। রোকেয়া সরণী ধরে তীব্র গতিতে ছুটে যাওয়া গাড়ি-বাস-পিক আপে মানুষের হাতে দেশের পতাকা।

বাড়তি জয়োৎসব চোখে লাগতে পারে, মনে হতে পারে আয়ারল্যান্ডের সাথে জিতে এমন করার মানে কি, কিন্তু যখনি মনে পড়ে এ জয় দেশের মাটিতে লজ্জা ঠেকানোর, বিশ্বকাপে এগিয়ে চলার আশা বাঁচিয়ে রাখার- তখন আর কোন কিছু বাড়তি মনে হয় না, দুই হাতের মুঠি আপনা থেকেই বন্ধ হয়, সবটুকু শক্তি জড়ো করে বাতাসে হাত ছুঁড়ে চেঁচিয়ে উঠতে হয়- বাং-লা-দেশ...বাং-লা-দেশ...বাং-লা-দেশ!!!

সারাদিন চেঁচিয়ে বসে যাওয়া গলায় শব্দরা বেরোবার আগে অনেক চিন্তা ভাবনা করে নেয়, হাত মুঠো করতে গেলেই সমস্ত দিনের বিরামহীন করতালির ফলাফল টের পাওয়া যায়, সিট থাকতেও বাংলাদেশের বোলিং দাঁড়িয়ে থেকে দেখার অপরাধের কথা নড়াচড়া করতে গেলেই মনে করিয়ে দেয় অস্তিস্ত্ব জানান দেয়া পিঠ-কোমর আর পা। তবুও খুশীই থাকে মন, বার বার মনে হয়-

“...ও পৃথিবী এবার এসে... বাংলাদেশ নাও চিনে!!...”

[খেলা নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি। প্রথম লেখাটা এখানে]


মন্তব্য

পাগল মন এর ছবি

আপনার চোখে আবার খেলাটা দেখলাম বলে মনে হল। চমৎকার হয়েছে।

আশা করি টাইগাররা কোয়াটার ফাইনালে যাবে ইনশাআল্লাহ।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার বর্ণনা। মনে হল ম্যাচটা আবার দেখছি। চলুক

-অতীত

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

...ও পৃথিবী এবার এসে... বাংলাদেশ নাও চিনে !!!...

তিথীডোর এর ছবি

চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে বত্রিশ কোটি চোখের তারায় তারায়।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কৌস্তুভ এর ছবি

মর্ম, আমার আর পিপিদার পেশাকে আপনি এমনি করে ইনছাল্‌ট করলেন? ওঁয়া ওঁয়া

মর্ম এর ছবি

পেশা আর ব্যক্তি দুই ভিন্ন সত্তা, একের সাথে অপরকে একীভূত না করি। বহুৎ ফায়দা হবে! চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

মর্ম এর ছবি

মন্তব্য যাঁরা করলেন তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

লেখার সময়টা কোনমতে বের করে নিচ্ছি, কিন্তু ফের লগ-ইন করে যে আপনাদের জবাব দিয়ে যাবো সে সময় পাওয়াটা সত্যিই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুঃখিত।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

ফাহিম হাসান এর ছবি

পরের খেলায় ধরে দিবানে!!

হই হই

মর্ম এর ছবি

হল না। তবে-

পরের খেলায় ধরে দিবানে!!

হই হই

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।