"তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়..."

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০১/০৬/২০১২ - ৮:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাসশেষের শেষ বিকেলে অফিসের সবচেয়ে বড় সম্মেলন কক্ষটিতে হঠাৎ ডাকে হাজির হতে হল। একা নই, সাথে আরো জনাত্রিশেক সহকর্মী পাশাপাশি, দাঁড়িয়ে বা বসে। সবার চোখ সামনের দিকটায়, ঠিক মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে দুহাত নাড়িয়ে, চোখ নাচিয়ে যে মানুষটা কথা বলছেন তাঁর দিকে। কী বলছেন সেটা আবছা শুনছি, পাশাপাশি দাঁড়ানো মানুষগুলোর চোখ আর মুখগুলোকে পড়ার চেষ্টা করছি- হঠাৎ করে আর আর সবকিছু ছাপিয়ে গাজীপুরের কোন এক পিকনিক স্পটে একটা দুপুরের কথা মনে পড়ে গেল।

সেদিন এমনি করে দাঁড়িয়ে ছিল সবাই- সেই প্রায় বিশ থেকে পঁচিশজন পাশাপাশি দাঁড়ানো, মুখে হাসি, কারো হাতে স্ট্যাম্প, কারো ব্যাট, কারো বল, কেউ হাতের টিস্যুর আলতো ছোঁয়ায় ঘাড় আর গলায় জমা ঘামটুকু চটপট মুছে নিতে ব্যস্ত, কেউ হাতের সিগারেটটা তালুর পেছনে লুকাতে ব্যস্ত- আর খানকয়েক শিক্ষানবিস স্থিরচিত্রগ্রাহক ব্যস্ত তাঁদের ক্যামেরায় সবাইকে আঁটাতে। সম্মেলন কক্ষে মাঝে দাঁড়ানো মানুষটাও সেদিনও মাঝেই দাঁড়ানো ছিলেন- ব্যাটটাও তাঁর হাতেই, খেলার শেষ বলটা খেলে এসেছেন মাত্রই। তাঁর পাশে দাঁড়ানো মিলিটারি ছাট চুল, চোখে চশমা, গোলগাল চেহারার মানুষটাও কোন কারণে হেসে চলেছেন, হয়তো কারো কোন ছুঁড়ে দেয়া কথা লুফে নিয়েছেন বাতাসে থাকতেই! হাসিটা খুশিরও হতে পারে- দুজন একসাথে মিলে ব্যাট করেছেন দীর্ঘক্ষণ ধরে। একালের ক’টি ডেঁপো ছোকড়ার তোপের মুখে পড়ে স্বর্ণযুগকে খানিকটা পেছনে ফেলে আসা তাঁদের দলটা বিপদেই পড়েছিল- দুজনে মিলে এরপরে আনন্দেই ব্যাট করেছেন কিছু সময়, দোড়েছেন, রান করেছেন, চার মেরেছেন খানকয়েক- পিকনিক ক্রিকেট হিসেবে মন্দ কি!?

ডেঁপো ছোকড়াগুলোর জন্য আনন্দের কমতি ছিলো না কোন- হোক না বল করতে হচ্ছে ধীরলয়ে, হোক না বলে একটু ‘কারিকুরি’ করলেই আম্পায়ারের ফিসফিস শুনতে হচ্ছে- “আরে! আস্তে করেন না! খেলতে না দিলে হবে!?”, হোক না বাউন্ডারি পার হওয়ার ঢের আগেই আম্পায়ারের হাত দিব্যি বাতাসে ভাসতে শুরু করেছে- “চার! আরো চার!”, হোক না জেতার জন্য রান কিছু বাকি থাকতেই “খেলা ড্র” বলে বলে মাঠ ছেড়েছেন সবাই- তাতে কী? ওঁদের সাথে খেলা, কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ওঁদের কথা শোনা- ছোকড়াগুলোর জন্য সে-ই অনেক বড় ব্যাপার তখন।

সময় গড়াতে থাকে। ছবি বদলায়। মাঠের মানুষেরা নিত্যদিনের কর্মস্থলে ফেরেন, ডেঁপো ছোকরাগুলোও আস্তে আস্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।

সম্মেলন কক্ষে পোকেমন চেহারার কেক কাটা চলছে, আর ওদিকে সেই মানুষগুলোর স্মৃতি ঘুরছে সাততলা ভবনের সিঁড়ির মুখে, অথবা ওঁদের যাঁর যাঁর নিজস্ব রুমে। কজন জট পাকাতেই হা-হা-হো-হো আর ধোঁয়ার বিস্তার- হালকা কথাতেই মাঝে মাঝে আপিসের জট ছোটানোর চেষ্টা। হুট করে কোন একজনের হঠাৎ ঘোষণা- “হুহ হুহ হুহ কেন জান না? আমি ছেড়ে দিয়েছি সিগারেট! খাই না আর!” গলার শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে কথা বলাটা হয়তো অভ্যাসেই দাঁড়িয়ে গেছে তাঁর, কাছাকাছি দাঁড়ালে টের পাওয়া যায় নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের তাল-বেতাল ভাবটুকুও।

একদম সকাল বেলাটায় ডানহাতে নিত্যদিনের সঙ্গী চাকায় গড়ানো ছোট্ট সুটকেসটা টেনে ডানদিকে এক ঝলক তাকিয়েই চোখ ফিরিয়ে গলা পরিস্কার করতে করতেই কাঁচের দরোজাটা ঠেলে রুমে ঢোকা- আর তারপর পরই পছন্দের ব্র্যান্ডেড মগে ধোঁয়াদার কফি- একজন একজন করে রুমে ঢুকতে শুরু করা আর ওদের বেরিয়ে আসা- কখনো মৃদু গুঞ্জন, কখনো মিলিটারি মেজাজের চলমান চাপা গর্জন- হঠাৎ ইন্টারকমে একটা কল করে “হুহ হুহ হহু, ইয়ে কি আসেনি এখনো! তুমি আসতো একটু!”- অথবা দরকারি কোন কাগজে সই করতে করতে হঠাৎ প্রশ্নবান- “কালকের খেলার খবর রাখ কোন?!” উত্তর না জানলে- “কী জানো তুমি!”- অতঃপর কী-বোর্ডে দ্রুত হাতের কী-চাপাচাপি শেষ করেই “যাও! দেখ গিয়ে! লিংক পাঠিয়েছি!”

সম্মেলন কক্ষে কেক কাটার পর প্রিঙ্গল চিবুনো চলছে, প্লেট ঘুরছে হাত থেকে হাতে- এতোক্ষণ কথা বলেছেন যিনি, গোল হয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন আরো ক’জনের সাথে, হাসছেন, অত জোরে না- যত জোরে তাঁর স্মৃতির অংশ তখন হেসে চলেছে এক তলা উপরে আরো একজনের স্মৃতির সাথে! “নো ইস্যুস!”, “নো ওয়ারিস!”, “টেক দি ঔনারশিপ এন্ড জাস্ট ডু ইট!”- অদ্ভূতুড়ে স্মৃতিরা আনন্দে নেচে বেড়ায় আটতলা ভবনের আনাচ কানাচ আর একটা দুটো শব্দ কোথা থেকে হাজির করে!

দুপুর দুটো তিনটায় আটতলায় ছোটখাট সম্মেলন কক্ষেও ঊঁকি দেয় সে- ঘরভর্তি মানুষ, চেয়ারে বসে নিদেন পক্ষে দশজন, আরো দুই তিনজন দাঁড়িয়ে- টেবিলে নানান আকারের বাটি, টিফিন ক্যারিয়ার- মিশ্র গন্ধ- “আরে! আলম ভাই! ভাবী কী পাঠিয়েছে আজ!” “ঐ! কালাভুনা এদিকে দাও, এদিকে, বেশি খাওয়া ভাল না!” “বিদ ভাই! সাবধান! বয়স হচ্ছে! আর কত খাবেন!” “যান না তো! আজ কি হয়েছে- মোড়টা ঘুরেছি কি ঘুরিনি- এই ফকিরাপুলেই- পেছন থেকে মোটরসাইকেল ধাক্কা দিল হঠাৎ” “ইয়ে কোথায় গেছে? শ্বশুরবাড়ি নাকি?!” “কালকে রাতে শ্বাশুরী যা খাইয়েছে- রেজালা- টা আবার কেমন করে রান্না করা, শেষ করতে না করতেই ‘বীফ’-এর...” “বিকালে তো গেছি শর্মা হাউসে, শর্মা আর পিজা হয়ে গেল, এরপর ওখান থেকে রেডিসনে যেতে হল লঞ্চ ইভেন্টে, সাথে বুফে, ওটা কি ছাড়া যায় নাকি?- বাসায় ফিরে দেখি মা আলুভর্তা করেছে আর কেঁচকি- টা আরো একবার...” “ঐ মজনুর কিছু বল না ক্যান, রাতে তো লোকজনকে গান শুনিয়ে কূল পাও না!”- শব্দরা ছুটতে থাকে এদিক থেকে ওদিকে, কখনো কখনো যে লোকটা একটা গর্ত খুঁড়ে সেই গর্তে নেমে পড়ে পতাকা নাড়াতে নাড়াতে নিজের অবস্থান জানান দেয় তাঁর দিকে! আবার কখনো কখনো ছোটে জগতের সকল কিছুতেই যে মানুষটার কিছু না কিছু বলার আছে তার দিকে। কাঁচের দরোজা ছাপিয়ে ভেতরের শব্দরা বাইরে গিয়েও অস্তিত্ব জানান দেয় হয়তো- টেনে রাখা দরজা থেকেই কখনো কখনো ভারিক্কী গলার মানুষটার গলা ভেসে আসে- “এই এত শব্দ কেন এখানে!” সবার হয়ে কোন একজনের জবাব কানে আসে- “খাচ্ছি তো!” “সেল কত আজকে সেল?!”- হাসি চেপে বেরিয়ে যান তিনি!

সম্মেলন কক্ষে ‘সম্মেলন’ চলছে কোন, সবাই মিলে বসা যাচ্ছে না- নিজের নিজের খোপে যার যার ‘মর্ধ্যাহ্নাহার’ চলছে- হঠাৎ মৃদু অনুযোগ কানে এসে বাজে- “খাওয়ার রুমে কিসের মিটিং?! কেউ কিছু বলে না ক্যান!?”

বলে না তবু কেউ। বলার খুব বেশি কিছু থাকে না বলেই হয়ত। বাঁধাধরা কথা বলতে ভাল লাগে না বলে হয়ত। তবে বলা হয় না- এটাই বোধ হয় ধ্রুব।

সবার মনোযোগের কেন্দ্রে থাকা মানুষটা হয়ত তার হারিয়ে ফেলা সঙ্গীদের মনে করেন অথবা করেন না- দুটোই সম্ভব। তাই বলে স্মৃতি হারায় না, আটতলার সম্মেলন কক্ষের এয়ারকন্ডিশনারের হাওয়ায় আটকে যায় দুই ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর একই দিনে একই সাথে সবার কাছ থেকে হাসিমুখে বিদায় নেয়ার দৃশ্য- হাসিমুখে কথা শুরু করে গলা আটকে যাওয়াটুকু ঠিকই থেকে যায়- আবার থাকে আবেগ আড়াল করার ঘোরতর ইচ্ছায় একজনের কিছুই না বলার ছবি। আলম সাহেবের নন্টে-ফন্টের চেয়ার পাশাপাশি বসে পড়ে থাকে- ফন্টের চেয়ার থেকে কেউ কাউকে ডেকে বলতে যায় না- “কিছুই তো পারিস না, এদিক আয়! শিখে নে কিছু!” দুই খোপ পরের প্রতিবেশিকে নিয়ে নন্টের তাল বেতালের গানও হয় না অত- “আওলাইয়া গ্যাছো নাকি?!”- অবাক বিস্ময়ে প্রায়ই মুখ ফসকে বলা শব্দগুলো হারিয়ে গিয়েও হারায় না। সকাল সকাল গরম চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে- “আরে আজকে সকালে কি হইছে শোনেন”- বড়সড় রুমটার দেয়ালঘেষা খোপে দাঁড়িয়ে গমগমে গলাটাও শুনি না- নাকি শুনতে পাই এখনো- বলা মুশকিল খুব! সকালে এসেই ফোনে ব্যস্ত হয়ে থাকা, নিষ্পাপ হাসিতে পুলিশ ভোলানো, বাতাস ভেসে হাঁটাচলা করা, প্রতিদিনের রিকশা সঙ্গী, অর্ণব ভক্ত আরেক জনও ভিড় ঠেলে জায়গা করে নেয়- ছবি অক্ষয় থাকে তারও।

সম্মেলন কক্ষের অনানুষ্ঠানিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতেই একে একে বের হন সবাই- চলে যাবেন যিনি তিনিও। একে একে হাত মেলান সবার সাথে- এতোদিন ধরে আর সবাইকে বিদায় বলার আনুষ্ঠানিকতা যাঁর দায়িত্ব হয়ে ছিল- বিদায়ের সময় তাঁরও আসে!

“উৎকন্ঠ মোর লাগি কেউ যদি প্রতিক্ষিয়া থাকে...”- রবি ঠাকুরের কথা ধার করে বিদায় নেন কেউ, কেউ হালকা সুরে যাত্রার ঢং-য়ে বলেন, “চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়!”, কেউ হাতে জোরে চাপ দিয়ে যান একটা, কেউ ডুকরে ওঠেন একটু, কেউ নিজের কীর্তির কথা মনে করিয়ে দেন, কেউ জানান আবারো দেখা হবার প্রত্যাশা, কেউ জানান “আই উইল অনলি বই এ ফোন কল এওয়ে”, কেউ স্রেফ হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে পৃথিবীকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান।

চলে যাওয়ার রেল তবু ষ্টেশন ছাড়ে না- ক্ষিধে তার এখনো মেটেনি।

আমরা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি- লাইন্সম্যানের সবুজ পতাকা নাড়ানোর অপেক্ষায়!


মন্তব্য

মরুদ্যান এর ছবি

এত এত সে এবং তাঁর, ওঁর থাকায় পড়তে গিয়ে বার বার খেই হারিয়ে ফেলেছি। হয়তো আমারই ব্যর্থতা হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মর্ম এর ছবি

পড়লেন এবং মন্তব্য করলেন বলে ধন্যবাদ দেঁতো হাসি

একজন সাধারণ পাঠকের জন্য লেখাটা হয়ত খানিকটা ধাঁধার মতই লাগবে, তবে বিবিধ কারণে নামের বদলে তিনি, তাঁর করেই যেটুকু বলার তা বলার চেষ্টা করেছি।

কজন মানুষ একটা পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে গেছেন এবং সে ছেড়ে যাওয়াটুকু রয়ে যাওয়াদের খানিকটা আনমনা করে দেয়- এটুকু যদি বুঝে থাকেন, তাহলেই লেখাটা আমার কাছে সার্থক!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

ফারহানা এর ছবি

মন খারাপ খুব খারাপ লাগছে জানেন
সিগারেট ছেড়ে দেয়া ব্যক্তিটির সাথে শেষদিন দেখা হয়নি, ছিলাম না। এই আফসোস আমার যাবে না কোন দিন।
আর সেদিন ।।।।।।।।। আমার তো স্মৃতি কম, মনে থাকে আরো কম। কিন্তু তবু কী যেন নাই হয়ে গেলো, কী যেন একেবারেই শেষ হয়ে গেলো মনে হচ্ছিলো। হয়তো যাদের সাথে শুরু করেছিলাম তাঁদের হারানো মেনে নেয়া কঠিন বলে .....................
আমার শেষ দিনটা কেন ঐদিনই হলোনা ভাবছিলাম সবার মাঝে দাঁড়িয়ে। দিনগুলো কাটানো দিনদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
ভালো থাকবেন।

মর্ম এর ছবি

তাঁর সাথে খুব বেশি কাজ করিনি কিন্তু, যেটুকু করেছি সেটুকুই তাঁকে মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট। এ মানুষটার প্রভাব কাটানো বা তাঁকে ভুলে বসা অত সহজ না!

আপনাকেও আগাম বিদায় জানিয়ে রাখি, যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন, এই শুভকামনা

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

সঞ্জয় কুমার চৌধুরী  এর ছবি

ভালো লেগেছে‍‍।

মর্ম এর ছবি

হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অচেনা আগন্তুক এর ছবি

মর্ম

অনুভূতি গুলো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব হয় না, সব সময়। মাঝে মাঝে মনে হয়, ঐ ছবির ফ্রেমে সময় কে আটকে রাখতে পারলে মন্দ হত না। মর্ম, মিটিং রুম-এ লাঞ্চ আর লাঞ্চ রুম এ বসে মিটিং... হায়রে দিন। তোর আর তোর পাশের সিটের স্যাঙ্গাতের জন্য “কিছু শিখে নেয়ার” আমন্ত্রন রইল, যেকোনো দিন চলে আয়।

মরুদ্যান-এর জন্য এই লিঙ্কটা। গল্পের আরেকটা এঙ্গেল। 

অচেনা আগন্তুক (আলম সাহেবের ফন্টে) 

মরুদ্যান এর ছবি

পড়েছি আগেই। আপনাদের আবেগ আমি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু লেখা ছুঁয়ে যাওয়ার জন্য হয়তো আরেকটু বেশি কিছু দরকার ছিল।

আপনাদের বন্ধুত্ব ভবিষ্যতে আরো মধুরতর হোক এই কামনা রইল।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অচেনা আগন্তুক এর ছবি

ধন্যবাদ।

মর্ম এর ছবি

ফন্টেদা,

এই লেখাটা অনেক আগে লেখার কথা ছিল, লেখা হয়নি!

দিন বদলায়, আমরা বদলায়। আমরা চলে যাই, আবার আমরা থাকি!

সময় জিনিসটা বড় অদ্ভূত, শেখায় অনেক কিছু, তার মূল্যও বড় কম নয়!

তবুও, "কিছু শিখে নেয়ার' আমন্ত্রণ যখন, আসব নিশ্চয়ই!

ভাল থেকো।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আশরাফুল কবীর এর ছবি

দারুন লিখেছেন চলুক

মর্ম এর ছবি

ধন্যবাদ পড়ার জন্য হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

মরুদ্যান ভাইয়ের মত আমিও একটু গুলিয়ে গিয়েছি, কিন্তু লেখা ভালো লেগেছে।
শেষটা খুব সুন্দর।

মর্ম এর ছবি

গুলিয়ে যদি গিয়ে থাকেন সে লেখার দূর্বলতা।

তবে রেখে-ঢেকে নাম-ধাম আড়াল করে লেখাটা খুব সহজ ছিল না। আর ছদ্মনাম জাতীয় কিছু ব্যবহার করার ইচ্ছেও হয়নি।

তারপরও লেখা যে আপনার ভাল লেগেছে, সেটাই আমার কাছে অনেক। অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলা ব্যাকরণ এ একসময় "পদ প্রকরণ" পড়েছিলাম। শুধু সর্বনাম এর মোক্ষম ব্যবহার দেখে মনে পড়লো।
এভাবে পুরো একটা লেখা লিখে ফেলা চাট্টিখানি কথা না। শুভকামনা রইল। হাসি

[পলাতক]

মর্ম এর ছবি

পলাতকের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।