।।১।।
বিন্দু।
একটা শব্দ মাত্র। এটুকুই যদি লিখি, আর কিছু না- তাহলে এক এক জন আপনাতেই এক একরকম চিন্তা করে নেবেন। কারো হয়ত ইশকুলবেলার ভাবসম্প্রসারণের কথা মনে পড়বে- “ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকনা বিন্দু বিন্দু জল...”। প্রাচীনকালের কবিতাপিপাসু কারো হয়ত মনে পড়বে এক ছোট্ট বালকের অটোগ্রাফের খাতায় এক ঋষিতূল্য মানুষের কটি লাইন- “দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু!“ বিনোদন জগতের খোঁজখবর রাখা কেউ হয়ত মুচকি হাসবেন- বিন্দু’র সাক্ষাৎকার হয়ত তার সদ্য পড়া। আর খয়েরি-কালো ডোরাকাটার ‘ডরে’ থেকে যারা কোনমতে তেত্রিশের ফাঁড়া বারে বার পার করে এসেছেন তাঁরা হয়ত খানিকটা বেদনা নিয়েই উচ্চমাধ্যমিক গণিতের ছেঁড়া পাতায় ফিরে যাবেন- ওখানে বিন্দু, সরলরেখা, ত্রিভূজ, চতুর্ভূজ, আয়তক্ষেত্র, রম্বস আর রসগোল্লায় (লোহিতবর্ণের; ‘মাতৃ ভান্ডারে’র তাক নয়, পরীক্ষায় খাতায় বাস ওদের) একাকার হয়ে জীবনের সুখ সব উপে গিয়েছিল প্রায়।
শেষের যে জন, (কেউ অমন করে আদৌ মনে করে থাকেন যদি!), তিনি ঠিক ধরে ফেলেছেন চিন্তার সুতো- এ ‘বিন্দু’ সে ‘বিন্দু’ই বটে!
কে যেন একদিন বলেছিল আমায়- “জগতের পাতায় পাতায় কেবল জ্যামিতি!” একেতো অঙ্ক ভয় পাই, জ্যামিতিকে তার চাইতে আরেক কাঠি বেশি ভয় পাই; কাজেই সে জ্যামিতি যে আমি দেখতে চাইব না আর চাইলেও পাব না, সে আর অত বিচিত্র কি!?
কিন্তু অদ্ভূতুড়ে ব্যাপার হল- অঙ্ক এমন একটা জিনিস, মোটে পিছু ছাড়ে না। পালাতে চাইলে ঠিক ঘাড়ে চেপে বসে একদম। থার্মোমিটারের পারদ দেখেও “মনে-হয়-দেখছি” টাইপের মন নিয়ে সন্দিহান চোখে তাকাতে তাকাতে হঠাৎ করে যেমন সাড়ে ছিয়ানব্বইয়ের কাছাকাছি রুপালী একটা ছোট্ট রেখা দেখে অবাক হতে হয়- তেমনি এ অঙ্কের বেলায়ও হয়!
জ্যামিতি চাই আর না চাই, কলম ধরে খাতার এমাথা ওমাথা একটা টান দিলেই ‘রেখা’ হয়ে গেল একখানা- ‘সরলরেখা’ না হয়ে ‘বক্ররেখা’ হতে পারে- তবে ‘রেখা’ যে এতে সন্দেহ নেই কোন। আর কে না জানে, ওই রেখাগুলোয় অনেক অনেকগুলো বিন্দু লুকিয়ে থাকে। একটা রেখা যে দুই মেরুর দূরত্ব সেও সবার জানা। দুই মেরুর দুই বিন্দু’র কথাই মাথায় এলো হঠাৎ।
দুই বিন্দু কাছাকাছি থাকে যখন দূরত্ব থাকে না বললেই চলে- একটির হলেই হল, আড়ালে ঘাপটি মেরে থাকা ঐ বিদঘুটে দূরত্ব হাজির হয়ে ঠায় দাঁড়ায় ঠিক মাঝখানটিতে; দুটি বিন্দুকে একটু একটু করে দূরে ঠেলে দেয়। সুন্দর দেখতে কালো বা আর আর বাহারি রঙের রেখাটা চোখে পড়ে- দুই প্রান্তে পড়ে থাকা দুই বিন্দুর কথা আমরা ভাবি না মোটেও।
।।২।।
ফেসবুক নামের যে জাদুর জগত আমাদের হাতের মুঠোয়, সে কেবল যোগাযোগ করায় না, খবরও দিয়ে যায় একের পর এক। বন্ধুদের, বন্ধুর বন্ধুদের, বন্ধুর বন্ধুর বন্ধুদের।
খবর দেয়, একদম সচিত্র খবর।
আজকে যেমন চোখে পড়ল রাতের অন্ধকারে আলোকসজ্জায় সজ্জিত এক সুদৃশ্য ভবনের ছবি- সাদা মিনার, আবছা গোলাপী আভা টের পাওয়া যাচ্ছে, শত বছরের পুরানো ডিজাইনের চেনা ভবনের আনকোড়া ছবিটিতে শত মানুষের পছন্দের ছোঁয়া। অন্য আলোয় তোলা কার্জন হলের এই ছবির শিরোনাম মনে করিয়ে দিচ্ছে- আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন।
বয়সের ঘরে নব্বই শুনলেই নুয়ে পড়া শুয়ে পড়া থুত্থুরে কোন বৃদ্ধের ছবি মনে ভাসতে চায় বটে- পারে না, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলেই। হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীর আবেগের অংশ বলেই। নব্বইয়ের দাদু একুশের লাবণ্য নিয়ে মুখরিত থাকে, আর মুখরিত রাখে।
জন্মদিন কাছের মানুষদের নিয়েই হতে হয়, পয়লা জুলাই তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘাস, মাটি, ফুটপাথ আর বাতাস যেমন পুরানো চেনাদের ঘ্রাণ নেয় প্রাণভরে- সেই অতিচেনারাও দীর্ঘ নিঃশ্বাসে সজীব করে নিতে চায় মিইয়ে যাওয়া মনটা।
ইচ্ছে ছিল আজ, সেই চেনা পথ ধরে দোয়েলদের কাছাকাছি ঘুরে যাব আবার- সে ইচ্ছেতে লাগাম পড়ল- সেই যে ‘বিন্দু’দের কথা বললাম, দূরত্বের কথা বললাম, আবেগের একটা অংশ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই, তিন বছরে নানান ধাঁচের গ্যাড়াকলে পড়ে আমিই দূরে সরে যাচ্ছি- সরলরেখা দীর্ঘতর হচ্ছে- এঁকে যাচ্ছেন যিনি, তিনি নির্মল আনন্দ পাচ্ছেন হয়ত- সাদা পাতায় কালো রেখা খুব সুন্দর লাগে দেখতে।
দীর্ঘজীবী হোক প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়, আজকের দিন ফিরে আসুক বছরের পর বছর।
।।৩।।
মেজোমামা’র সাথে বেরিয়েছিলাম একবার- বিকেলে তাঁর কোন এক কাজে এসে পৌঁছেছিলাম দুই তোলা এক ভবনের নীচতলায়। মামা তাঁর কাজে ব্যস্ত- আমার সুযোগ হল ভবনের সাদা মার্বেল পাথরের ভিত্তিপ্রস্তরে চোখ রাখার। ‘বিজনেস ফ্যাকাল্টি’ নামের ঐ ভবনে আর কখনো আসা হবে কি না জানি না তখনো- জানি না, কোথায় এ ভবনের মূল্য, কাদের আসা হয় এখানে, হঠাৎ মনে হল- “এখানে যদি আসতে পারতাম কখনো!”
ওটুকুই। বাড়তি আবেগ এর চাইতে বেশি কিছু ছিলো না। প্রাণের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে আসার কথা ভাবতে পারার সামর্থও তখন জন্মায়নি মনে। তার বছর দুয়েক পর- ভাগ্যের জোরেই হোক আর এক ঘন্টায় চোখ বুজে শখানেক প্রশ্নের উত্তর দিতে শিখে যেতে পারার জোরেই হোক- নিজেকে সেই ভবনেই আবিষ্কার করলাম, কাউকে চিনি না, বারান্দার দেয়ালের পাশটা ধরে হাঁটছি- নোটিশ বোর্ডে ক্লাশ নম্বর লেখা- ৪০২।
দুই বছরের খালাতো ভাইটা মার্কেটিং-এ পড়ে। “ও-যখন-পড়ছে-তখন-এটাই-সবচেয়ে-ভাল”র তাল ধরে বিভাগ নির্বাচনী ভাইবায় “ঠিক-আছে-তাহলে-মার্কেটিং” বলে যে পথে নামা হল সে পথ শেষ হয়নি এখনো।
প্রথম ক্লাশের নার্ভাস, একা, শেষ সারির চেয়ারে বসে বাইরের জানালায় কৃষ্ণচুড়া গাছটাকেই একমাত্র পরিচিত ঠেকা যে বোকা ছেলেটা এখন সুযোগ পেলে কে-কী ভাববে-কেন ভাববে-কী করে সে ভাবনায় ঠাঁই পাওয়া যেতে পারে বলে জ্ঞান দিতে ছাড়ে না- তার শুরু কিন্তু সেই চার তলার ৪০২ নম্বর রুমেই।
আস্তে আস্তে পরিচিতির গন্ডি বাড়া, এসাইনমেন্ট, গ্রুপ তৈরির ধকল, ইনকোর্স নামের আজাব, আর প্রেজেন্টেশনের পুলসিরাত- এই করে করেই কয়েকজন বাদ পড়া কাছাকাছি এলো- ক্লাশে পাশাপাশি দেখা যেতে লাগল ওদের, ক্লাশের শেষে বারান্দার আড্ডায়ও। সিঁড়িতে নামতে, বারান্দায় বসতে, সকালের নাস্তায়, মল চত্বরে বাসের অপেক্ষায়, হলে টিভি রুমে খেলাপাগলদের ভীড়ে, কিংবা হঠাৎ পরীক্ষার নোট জোগাড়ে সেমিনারেও দেখা যেতে লাগল ওদের।
আস্তে আস্তে ক্লাশ ফাঁকি দিতে শেখা, ক্লাশে বসে পাশের জনের সাথে কথা চালাচালি, সামনের জনের পাঁজরে কলমের গুঁতো, চিরকুটে পদ্য-বাণ, স্যারের কথায় মনযোগের ভান- সব হতে শুরু করল, একের পর এক।
একাডেমিক ভবনের নীচতলার সিড়ি বরাবর নীচতলার বারান্দাটা সেই কজনের নিয়মিত দেখা পেতে শুরু করল- ক্লাশের আগে, ক্লাশের ফাঁকে, ক্লাশের শেষে। ধুম্রালোকে হারাতে শুরু করল কেউ, কেউ খুঁজল দারুচিনি-স্বাদে চা। ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার এক টাকা দামের ছোট্ট সিঙ্গারা, মধুর ক্যান্টিনের পাটিসাপটা, আইবিএ’র সামনে খোলা খিচুড়ি, টিএসসির পোলাও, সূর্যসেন হলের ডিমের ঝুরি পেয়ে গেল ওদের নতুনতর সমঝদার- নীলক্ষেতের তেহারি’ও ওদের জিভের স্পর্শ পেল দিনে দিনে। কারো কারো হাত পৌঁছে গেল নিউমার্কেটে- টিনটিন এসটেরিক্সের নতুন কমিক্সের সন্ধানে, আর ঝানু পড়ুয়ার চোখ নীলক্ষেতের ফুটপাথ থেকে তুলে আনতে শুরু করল শীর্ষেন্দু-সুনীলের উপন্যাস। বারান্দাটা দিনে দিনে ওদের চিনে নিল, ওরাও বারান্দাটাকে।
পা দুলিয়ে আড্ডা দেয়ার দিনগুলো শেষে বারান্দাটা রেলিংঘেরা হয়েছে, আর সে মানুষগুলো স্মৃতিঘেরা। আমেরিকার গ্রীণ কার্ড নিয়ে একজন দেখ ছেড়েছে তো আরেকজন গেছে উগান্ডায়। একজন ব্যাংকার হয়ে গুছিয়ে নিয়েছে তো আরেকজন সরকারি ম্যাজিস্ট্র্যাট। সময় কারোর নেই, সবাই ব্যস্ত- মুঠোফোনে একটু আলাপ হতেই মনে হয় অনেক হল। বৃষ্টি দেখতে দেখতে “মন মোর মেঘের সঙ্গীত” গাওয়ার দিন হারিয়েছে, হারিয়েছে ঘাসের গালিচায় “গোল-গালিচা-বৈঠক”।
কে কী শিখে গেল, জেনে গেল সে বিচারের দায় আর কারুর থাকুক; আমরা বোকারা না হয় “মার্কেটিং” আমাদের অনেক দিয়েছে জেনেই সন্তুষ্ট থাকি!
জুলাইয়ের পয়লা দিনে আমাদের বিভাগটিরও জন্মদিন, বেঁচে থাকুক মার্কেটিং, বেঁচে থাকুক বন্ধুত্ব।
।।৪।।
কাগজের বুক চিরে বিন্দু এগোতে থাকে যত, পুরনো বিন্দু দূরে যেতে থাকে আর এগিয়ে আসতে থাকে অন্যান্য বিন্দু- নতুন পথ, নতুন মত। বন্ধুরা দূরে যেতে থাকে, নতুনেরা শূণ্যস্থানের দখল নেয়।
প্রায় বছর দুয়েক আগে কোন এক দিন সচলায়তনের খোঁজ পেলাম। এরপর কতগুলো দিন গেলো- কতগুলো রাত- সচলায়তন সময়ের একটা অংশের দখল নিলো। কত লেখা। কত জনের লেখা। কত রকম মতামত। আজ একজনের কোন লেখা ভাল লাগে তো কাল আরেকজনেরটা তার চাইতে বেশি ভাল লাগে।
একজন লেখা বন্ধ করে দেন তো, তিনজন নতুন করে লেখালেখি শুরু করেন। পড়তে পড়তে লেখার ইচ্ছা হয়, লিখতে লিখতে পড়ার। অচেনা এক একজন মানুষ কেবল অক্ষরের সুতোয় চেপে পরিচিত হয়ে উঠতে থাকেন, ধুলো ঝেড়ে আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন এক একজন নতুন মানুষ। দূরের অপরিচিত মানুষগুলো পরিচিত হয়ে ওঠেন, আপন থেকে আপনতর হন।
সচলায়তনের উপর বিরক্ত হওয়া চলে, রাগ করা চলে, অভিমান করা চলে- কিন্তু সচলায়তন থেকে দূরে থাকা চলে না। নতুন লেখাই হোক, আর পুরানো, সচলপাঠের অভিজ্ঞতা একেবারেই অনন্য। অনেকেই বলেন- “সচলায়তন একটা নেশা!” হোক নেশা- কী আসে যায়!
জুলাইয়ের পয়লা দিনে জন্মদিনের লাইন- সচলায়তন এ লাইনেই হাসিমুখে দাঁড়িয়ে।
শুভেচ্ছা কেমন করে জানানো যায় চিন্তা করলাম- ভেবে পাইনি- নিত্যদিনের খাঁচায় ঠিক ন’টায় পৌঁছতে হবে জেনেও রাতের শেষ প্রহরে শব্দ খুঁজে বেড়াচ্ছি।
শব্দরা ওদের গন্তব্য খুঁজে পাক। আর সচলায়তন ওর ষষ্ঠ বছরে পা দেওয়ার দিনে বুঝে নিক ওর এক ভক্তের কিছু এলোমেলো কথা- না গোছানোই থাকুক- গোছানো এলোমেলোগুলো গুছিয়ে লন্ডভন্ড করে দেয়ার মানে হয় কোন!?
সচলায়তন সচল থাকুক, আমাদের সচল রাখুক- অনেক অনেক বছর।
মন্তব্য
জন্মদিনের প্রথম লেখা। মন ভরে পাঁচতারা দিলাম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আর আপনার জন্য
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
সুন্দর...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
সচল আমার ও অনেক শূণ্যস্থান পূরণ করে দিয়েছে , সচলের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
সহমত
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
যদিও নতুন আমি, তবু সচলায়তন আমার কাছে অনেক পুরনো বন্ধুর চেয়েও আপন। একসাথে এতগুলো সুন্দর মনের, সুস্থ চিন্তার মানুষ এক যায়গায় আগে কখনও খুঁজে পাইনি। আমি খুব সহজে মুগ্ধ হইনা এটা আমার একটা সমস্যা ছিল আগে , সচলে এসে টের পেয়েছি এটা আমার একটা ভুল ধারণা ছিল, আমি মুগ্ধ হই, এবং খুব বেশী পরিমাণেই হই। সচল আমার কাছে খোলা একটা বারান্দার মত। সচলের কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা ।
লেখায় পাঁচতারা ।
আপনাকে এই মন্তব্যে ১০ তারা দিলাম। সুন্দর বলেছেন, অনেকখানিই মিলে যায় সচলায়তন নিয়ে আমার অনুভূতির সাথে। তাই নতুন মন্তব্য করলাম না আর।
এত সুন্দর একটা প্লাটফরম, কত সুন্দর মনের মানুষেরা একসাথে কথপোকথন !
সচলায়তন নিয়ে নিয়ে লিখতে গেলে লেখা চলতেই থাকবে।
সচল আমার কাছে প্রিয় লেখা আর লেখকের মানের জন্য। এত সব ভাল লেখক কেমন করে এক জায়গায় এসে হাজির হল এটা রীতিমত চিন্তা করার ব্যাপার!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
জন্মদিনের পোষ্ট ভালৈছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
সচলায়তনের উপর বিরক্ত হওয়া চলে, রাগ করা চলে, অভিমান করা চলে- কিন্তু সচলায়তন থেকে দূরে থাকা চলে না।
অনেক ভালো লাগলো কথাগুলো ।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
২০৪ নম্বর রুমের পাশে লেকচার থিয়েটার ঘেষা কৃষ্ণচূড়ার কথা মনে করিয়ে দিলেন।
পথিক পরাণ
আপনি কি ম্যানেজমেন্ট-এ ছিলেন?!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ভালো লাগায় মনদ লাগা। লিখাটা ভালো কিনতু খুব পিছু টানলো ।
নতুন মন্তব্য করুন