।।১।।
গত কয়েক বছর হল হরতালের দিনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে আসে।
এলার্মবিহীন একটা সকাল, প্রতিদিনের ছক ছাপিয়ে আরেকটু বেশি আরাম, আরেকটু বেশি আলসি, আরেকটু বেশি সময় নিয়ে নাশতা, আরেকটু বেশি পেপারে নাক গুঁজে থাকা, কেতাবী পোশাকের ধার না ধেরে গ্রামীণের ফতুয়া আর ঘিয়ে রঙ্গা গ্যাভার্ডিনেই অফিসমুখো হওয়া, নিত্যদিনের বাস ভুলে বাসার সামনেই বসে থাকা রিকশায় চড়ে বসে কানে ইয়ারফোন- চুপচাপ শহরে ঘুমন্ত শহর দেখতে দেখতে এগিয়ে যাওয়া, এর আকর্ষণ অন্যরকম।
ছোটখাটো জমে থাকা অগোছালো কাজগুলো গুছিয়ে নেয়ার একটা দিন, একেকরকম অভিজ্ঞতায় ভরা ছোটখাটো গল্পগুলো শুনে ফেলার দিন অথবা খালি হয়ে থাকা ফ্লোরে শাহানা বাজপেয়ী’র গলায় ‘তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে আমি ডুবতে আছি’ আর অর্ণবের গলায় ‘কোন পুরাতন প্রাণের টানে’ গার্ন্ধবলোক অর্কেস্ট্রার সাথে বন্যার গাওয়া ‘আনন্দধারা বহিছে ভূবনে’ গুনগুনানোর দিন।
হরতাল আজও। খুব সম্ভবত জীবনে প্রথমবারের মত হরতালের দিনটা ফুরফুরে লাগছে না। অন্যরকম লাগছে না। হরতালকে হরতালের দিনই মনে হচ্ছে। কিছু না করার দিনই মনে হচ্ছে। চুপচাপ প্রতিবাদ করার দিনই মনে হচ্ছে। নিরাপদে থাকার দিনই মনে হচ্ছে।
কারা হরতাল ডেকেছে, কেন হরতাল ডেকেছে- সেগুলো মুখ্য নেই আর। বিশ্বজিত নামের এক মানুষ সবকিছু গৌণ করে দিয়ে গেছে।
হালকা একটা দিনের ঢিলেঢালা আনন্দ মুছে গেছে হঠাৎ। রিকশা চড়ে খোলা হাওয়ার পরশ নিয়ে গানের সুরে হারাতে হারাতে পথ চলার আকর্ষণ হারিয়ে গেছে কেমন- ‘চিন্তা নেই কোন, বেরোচ্ছি’ বলে বেরিয়ে যাবার সাহস হঠাৎ কোথায় গেছে, নিত্যদিনের খুপড়িতে একটা দিন না ফেরার আগাম বার্তা দিয়েই ফিরেছি বাড়ি- আনন্দের, সুখের আর সব চাইতে মূল্যবান, নিরাপত্তার- বাড়ি।
আজকের দিনটা ঘরেই কাটবে, স্বেচ্ছাবন্দীত্ব নিশ্চিতভাবেই আত্মহননের সম্ভাবনা সৃষ্টির চাইতে মঙ্গলজনক।
২।
জীবন ক্ষণস্থায়ী, অনিশ্চিত- কত রকম করেই না বলি আমরা। কেউ চাইলে প্রমাণের অভাব নেই। খবরের কাগজগুলো প্রমাণ জড়ো করে লাল-কালো-অক্ষরে তৈরি হয়েই আছে- কেবল চোখ বুলিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা।
বলি যেমন, জানিও। পাথুরে মন গড়ে তার উপযুক্ত প্রতিরক্ষাও নেওয়াই আছে। যত যা-ই হোক, মেনেই নিই আমরা- অমন হতেই পারে! পুড়ে যাওয়া কয়লায় মানুষের প্রতিচ্ছবি চোখের সামনে চলে আসে, আমরা চুপ করে যাই। উড়ালসড়কের ভেঙ্গে পড়া গার্ডারের আড়াল থেকে হাতের কব্জি বেরিয়ে এসে আমাদের হাতছানি দেয়, আমরা এড়িয়ে যাই। চায়ের দোকানে সাঁটা পোস্টারে কালো সুতোয় সেলাই করা উদোম বুক কী যেন বলতে চায়, আমরা কান ফিরিয়ে নিই। প্রেসক্লাবের দেয়ালে আর ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর কালো ব্যানারে ছাপানো অতীত হয়ে যাওয়া হাস্যোজ্জ্বল মুখগুলো কেবল তাকিয়েই থাকে, আমরা চোখ ফিরিয়ে নিই। পিচঢালা পথে রঙ্গিন ওড়নায় ঢাকা শরীরের থমকে যাওয়া পায়ের স্ক্রীনশট চোখে পড়ে, দ্রুত পায়ে পালাই।
এমন হতেই পারে, ভেবে যাই আমরা। যার যা হোক, আমি তো আছি- আর কী চাই! আমি এর মাঝে নেই, আমি তাই ভাল আছি!
বিশ্বজিৎ নামের এক তরুণ হঠাৎ করে চুরমার করে গেল মনের প্রতিরক্ষাটুকু। ‘আমার’ ‘ভাল থাকা’-টুকুও অনিশ্চিত করে গেল।
গার্ডার-ধ্বস বাঁচিয়ে আকাশ দেখে পথ চলে লাভ নেই কিছু, যন্ত্রদানবের থাবা বাঁচিয়ে রাস্তা পেরোনোতে নিস্তার নেই, লাভ নেই অন্ধকারকে পাশ কাটিয়ে- বাড়িতে থেকেও লাভ নেই, পথেও।
আমিও হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে কারো সন্দেহে পড়তে পারি, আক্রমনের দন্ড মেনে মেডিক্যালের লাশকাটা ঘরে পড়ে থাকতে পারি, অথবা দুর্ভাগা হলে একটা নম্বর হয়ে আজিমপুর বা জুরাইনে ঠাঁই পেতে পারি অথবা এ যুগের ‘একুশের গল্পে’র দায় মেনে পেতে পারি মেডিক্যাল ছাত্রের ব্রাশের সযতন পরশ।
আমার ছবিও ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে পারে, চলমান ছবি কাঁপিয়ে দিতে পারে আরো ক’জন ‘আমি’কে, ফেসবুক আর ব্লগে ঝড় তুলতে পারে, শোকের কালো ব্যানারে আমার নামও উঠতে পারে, তদন্ত কমিটি হতে পারে, কাঁপা কাঁপা গলায় বাণী আসতে পারে- “এ আমাদেরই লোক!”
হতে পারে। সব হতে পারে। আমার তো আর কিছু করার থাকবে না তখন, ফেসবুকে এসে মনের কথা বলতে পারবো না, বন্ধুকে এস এম এস করতে পারবো না, বাসায় খুব কাছে যাঁরা ওঁদেরও জানাতে পারবো না, ব্লগরব্লগরও লিখতে পারবো না-
আমি বরং এখানেই লিখে রাখছি।
যখন আর ফেসবুকে এসে স্ট্যাটাস দেবার ক্ষমতা থাকবে না আমার, মুঠোফোন মুঠোয় চেপে সবুজ বোতাম চাপা অসম্ভব হয়ে যাবে, হাতের আঙ্গুলগুলো কী-বোর্ড পেলেও শব্দ খুঁজবে না, কাছের মানুষদের কাছে নামটুকু হয়ে যাবে দীর্ঘশ্বাস ভরা হাহাকার, হাসি-কান্নার ছোট্ট অসংখ্য মুহূর্তগুলো কারোর চোখের ক’ফোঁটা জল হয়ে নামবে, হঠাৎ পাওয়া হাতের লেখা বা কাজের অংশবিশেষ নামটা মনে করিয়ে দেবে, থেমে যাওয়া কথা যখন ‘মনের মুকুরে’ হঠাৎ টেনে নেবে আমার ‘আমি’টুকুতে- তখন যেন কারোর কথায় গড়া ‘চরিত্র’ না হয়ে পড়ি, না হয়ে গল্পগাঁথায় নায়ক আর ভিলেন- না হয়ে পড়ি ‘নিবেদিতপ্রাণ আদর্শ সৈনিক’-
তখনো যেন জানিয়ে দিতে পারি- ‘আমারও কিছু বলার আছে। আমারও কিছু জানানোর আছে।‘
সেদিন যেন আপনারও মনে পড়ে, আপনিই যেন আমার হয়ে মনে করিয়ে দেন “একজন সাধারণ মানুষের জবানবন্দী”।
৩।
খুব সাধারণ একজন মানুষ আমি। ভালো-খারাপের মিশেলে গড়পড়তা একজন সাধারণ মানুষ। আমার চাওয়া পাওয়া পছন্দ অপছন্দ ভাল লাগা মন্দ লাগা ইচ্ছা অনিচ্ছা দুঃখ কষ্ট ভাল মন্দ বিশ্বাস অবিশ্বাস আশা হতাশা সে-ও সাধারণ।
আমার বেঁচে থাকাটুকু সাধারণ, মরে যাওয়াটুকুও তেমনি হবে হয়ত।
আমি সকালবেলায় আরো অনেকের মত সময়মত এলার্মের ডাকে ওঠে ঘড়ি ধরে নিত্যদিনের কাজ সারি। বাঁদুর ঝুলে বাসের পাদানী-তে পা রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে হঠাৎ করে সাফল্য পাই। দেরি হয়ে গেলে সময় থাকতে আগাম জানিয়ে রাখি তার কারণ, তিক্ততা দূরে সরানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালাই। জায়গামত পৌঁছে নাম সই করে উপস্থিতির জানান দিই, কাজের তালিকা দেখে কপাল কুঁচকাই। ভুলে থাকা ভুলের মাশুল গুনি, হিসেবের খাতায় মুখ গুঁজি।
দুপুর বারোটায় গুড়ের চা আর সিঙ্গারার সাথে মুখরোচক গুজব চিবোই। বাক্স ভরে লাঞ্চ আনি আর পাশের জনের টিফিন ক্যারিয়ারে ভাগ বসাই- নামাজের ডাকে সাড়া দিই আবার ইন্টারনেট থেকে সদ্য আহরিত ‘মিউজিক ভিডিও’ দেখে নেই পাশের জনের ঘাড়ে হাত রেখে।
সমস্তদিন ধরে মন কুড়িয়ে বেড়াই, এক ফ্লোর থেকে আরেক ফ্লোর চড়ে বেড়ানোর ফাঁকে। সারাদিন ‘সই’ খুঁজি, ‘বই’ আর খোঁজা হয় না রকমারি বা দরিদ্র ডট কমে। সারাদিন সমস্যার কাঁটাছেড়া চলে, সমাধান আর করা হয় না।
অবসরে গান শুনি- সে রবিঠাকুরের হোক, বিদ্রোহী কবির, শচীনকর্তার কী হালের অর্ণব, ফুয়াদ, হাবিব আর আরো অনেকের। বাংলাদেশের খেলা থাকলে নিয়মিত দর্শক হই, বুঝি আর না বুঝি কিছু একটা মতামত না জানালে শান্তি পাই না মোটে। একটু পর পর মুঠোফোনে ফেসবুক-এর ঠিকানা ‘রিফ্রেশ’ করি- দুনিয়ার কোথায় কী ঘটলো তা জেনে নেয়ায় আমার নিরন্তর আগ্রহ।
সময়ের সাথে আমার বনিবনা হয় না তেমন। আমার খুব ইচ্ছা কখনো যদি সময় হয়েই যায়, দূরে অনেক দূরে কোথাও ঘুরতে যাব, চেনা কেউ থাকবে না আশে পাশে, মুঠোফোন নামের বিরক্তি যোগানো যন্ত্রটি বিশ্রামে যাবে কিছুদিন।
সাগরের অফুরান ঢেউ গুণতে গুণতে আকাশের বদলে যাওয়া দেখব। আকাশের আকাশীতে সাদা মেঘের দেখে অবাক তাকিয়ে থাকব। সন্ধ্যা হয়ে আসবে যখন কোন একটা পাহাড়ের চুরায় দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকব বিশ্রামে যাওয়া সূর্যের দিকে। কুসুম রঙ বদলে আস্তে আস্তে আবছা আকাশে হারিয়ে যাওয়া দেখব। যখন রাত নামবে আবার ফিরব সাগর পারে, শোঁ শোঁ হাওয়া আমায় উড়িয়ে নিতে চাইবে, আমি বালিতেই বসে পড়ব, হাঁটুতে মুখ গুঁজে। আমার গান শুনতে ইচ্ছে করবে, রবিঠাকুরের গান, গুপী বাঘার গান- “আহা সাগরে দেখ চেয়ে, ঢেউয়ের পরেতে ঢেয় আসে ধেয়ে, দেখ চেয়ে..!!”
অথবা হয়ত এমন কোথাও যাব যেখানে সবুজ আছে, কাঁচা মাটি আর বাঁশের গন্ধ আছে, গাছে গাছে পাখি আছে আর আছে স্নিগ্ধ মন জুড়ানো হাওয়া। অথবা হয়ত এমন কোথাও যাব- যেখানে কিছুই নেই কিন্তু অলিতে-গলিতে স্মৃতি ছড়িয়ে আছে- একার, অনেকের।
অথবা হয়ত শুয়ে বসেই কাটিয়ে দেব নিজের কিছু সময়। বিমল মিত্রের ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ ধরে দেখব, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘লোটাকম্বল’ থেকে পড়ে নেব পছন্দের কিছু জায়গা, রমাপদ চৌধুরীর মন ফাঁকা করে দেয়া উপন্যাসগুলো পড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলব অথবা বেছে নেব সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পূর্ব পশ্চিম’, ‘সেই সময়’। আবার এমনো হতে পারে মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘আধ ডজন স্কুল’ ঘুরে এলাম অথবা পরিচয় পেলাম ‘আমার বন্ধু রাশেদ’-এর। হুমায়ূন আহমেদ-এর ‘বোতল ভূত’ খুঁজতে পারি হোমিওপ্যাথির শিশিতে আবার পড়ে যেতে পারি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের চক্করে। এডভেঞ্চার চাইলে সত্যজিত রায় হাজির হবেন হয়ত- শঙ্কু আর ফেলুদার হাত ধরে। আর তাঁর বাবা সুকুমার রায় শোনাবেন পাগলা দাশুর গল্প।
এমনি করে রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলণে হাজির হয়ে যাব হয়ত, বা নজরুল সংগীত সম্মেলনে। পাবলিক লাইব্রেরীর বিশাল অডিটরিয়ামে কোনমতে একটা ফাঁকা চেয়ার খুঁজে বসে পড়ব, মঞ্চে চলতে থাকা গান শুনবো কান পেতে কাছের কোন চেয়ার থেকে ঘরোয়া গলার ভেসে আসা সুরে শুনবো “আমি কান পেতে রই!”
হয়ত কাছে টেনে নেব কাছের মানুষদের, থাকব ওদের নিয়েই, নিজেদের মত করে। হয়ত আনন্দ খুঁজে পাব ঘরের কোনে টুকরো আড্ডায়, হয়ত খুব সাধারণ একটা সময় অকারণেই অসাধারণ হয়ে উঠবে।
ইচ্ছেগুলো তো পূরণ হয় না, ইচ্ছে হয়েই থাকে।
আবার, ইচ্ছেগুলো থাকে বলেই বেঁচে থাকি। ইচ্ছাগুলো থাকে বলেই আমাকে স্বার্থের নেশায় অন্ধ হতে হয় না, অন্যায় ঢাকতে অন্যায় খুঁজতে হয় না, মিথ্যার জালে সত্যকে বাঁধতে হয় না, চোখ-কান-মুখ বন্ধ করে কারোর সমর্থনের নেশায় পড়তে হয় না, আইন ভাঙ্গার পথ খুঁজে মরতে হয় না, বিবেক হারিয়ে বসে অমানুষ হতে হয় না।
নিত্য দিনের নানান ঝামেলা ঘিরে রাখে হয়ত, সমস্যার সমাধান না পেয়ে নিরাশায় ডুবে যেতে হয় হয়ত, সব ছেড়েছুড়ে মাঝে মাঝে পালাতে ইচ্ছে করে হয়ত-
তারপরেও- এগুলো নিয়েই ‘আমি’। আমাদের পরিচিত অনেক অনেক ‘আমি’র একজন, সাধারণ একটা ‘আমি’।
এই ‘আমি’ই আমার পরিচিত। যদি ভাল হয় তবুও এ ‘আমি’ একান্ত ‘আমার’, মন্দ হলেও। যে ‘আমি’-কে ‘আমার’ অচেনা, তার প্রশংসা ‘আমার’ প্রাপ্য নয়, দায় নিতেও ‘আমার’ ঘোর আপত্তি।
চেনা ‘আমি’-কে নিয়েই বাঁচতে চাই আমি, সে জীবনের এপারেই হোক আর ওপারে!
মন্তব্য
লেখা পড়ার পর চোখ ভিজে গেলো জলে।
অসাধারণ লিখার ভংগিমা।
দারুচিনি
এমন মন্তব্যে মন ভরবেই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
চমৎকার লাগলো।
[কয়েকটা টাইপো চোখে পড়ল। কিছু মনে করবেন না সে ভরসা কিঞ্চিৎ আছে বলেই, দাগিয়ে দিলাম।
রঙ্গা > রঙা, ভূবনে> ভুবনে, আক্রমন > আক্রমণ, বাঁদুর > বাদুড়, ঢেয় > ঢেউ, এডভেঞ্চার> অ্যাডভেঞ্চার, সম্মেলণ > সম্মেলন]
পাঁচ তারা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই ‘আমি’ই আমার পরিচিত। যদি ভাল হয় তবুও এ ‘আমি’ একান্ত ‘আমার’, মন্দ হলেও। যে ‘আমি’-কে ‘আমার’ অচেনা, তার প্রশংসা ‘আমার’ প্রাপ্য নয়, দায় নিতেও ‘আমার’ ঘোর আপত্তি। চোখ ভিজে গেলো বহুদিন পর।
ইউটিউব নেই, গান দেয়া গেলনা; আপনার জন্য ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন...
ভাল থাকুন আপনিও, নিরাপদ থাকুন, এর চাইতে বড় শুভ কামনা আমার এ মুহূর্তে জানা নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধুর্মিয়া!
দিলেন তো মনটা খারাপ করে!!
গত অবরোধ আর আজকের হরতালে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় রাস্তায় ভয়াবহ কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রতিদিন সুস্থভাবে এবং বেঁচে-বর্তে ঘরে ফেরার ব্যাপারটাই যে কতো বড় সৌভাগ্য, সেটা বুঝতে পারছি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মৃত্যু আসবেই, সে যেন পথেঘাটে দেখা না করে, কাছের মানুষদের কাছে রেখেই যেন যেতে পারি, এমন মৃত্যু যেন না আসে যে লাশকাটা ঘরের ট্রে-তে পড়ে থাকতে হয় অসীম সময়!
মন খারাপ করে দেয়াটা উদ্দেশ্য নয়, তবে সত্যিই অসহায় লাগছে, নিজের জন্য নয় শুধু, সবার জন্য।
আল্লাহ আমাদের সহায় থাকুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অসাধারণ!
(কোয়াসিমোডো)
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অসাধারণ আত্ম-উপলব্ধি !
ধন্যবাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
দারুন লাগলো। মন বিষণ্ণ করে দেওয়া লেখা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
বিষণ্ণ করে দিতে ইচ্ছে হয় না কখনো, তবে কখনো কখনো বোধ হয় বিষণ্ণ হওয়াটা জরুরী
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এতদিন পরে এসে খুঁজে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নতুন মন্তব্য করুন