তৈরি হয়েই ছিল মিঁয়াও- পেছনের দুপায়ে দাঁড়িয়ে, সামনের দু’পা দিয়ে উপরের ঢাকনাটা একটু পর পর আঁচড়ে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি উপরের দিকে তাকিয়ে প্রথমে একটু নরম করে “মিঁ-ই-ই-ইয়াঁও!” এরপর অস্থিরতা একটু বাড়িয়ে “মিঁ-ই-ই-য়া-য়া-য়া-ও!” আর সবশেষে “ম্যাঁও! ম্যাঁও!” করে মেজাজটা জানান দেয়া আর থেকে থেকে পা নামিয়ে ওইটুক জায়গাতেই একটা চক্কর দিয়ে অপরিচিত বাইরেটা আরেকটু দেখার চেষ্টা করা- আবার দু’পা তুলে হাঁকডাক-
উপর থেকে দুটো হাত খুটখাট করে ঢাকনাটা তুলে দিতেই এক লাফে বেরিয়ে এল মিঁয়াও- “উফফফ! এমন করে আটকে রাখতে হয়! অমানুষ সব!- এরপরই “এ কী! এ কোথায় এলাম!”- আবার এক লাফে ঝটিতি ফিরে এল- এতক্ষণ ধরে মেজাজের সাথে পাল্লা দিয়ে ফুলে ওঠা ল্যাজটাকে আস্তে করে গুটিয়ে- গলাটা বের করে চারপাশটা দেখে নিল আরেকবার- নিতুনের আম্মুকে দেখা গেল পাশেই বসে- মুখজোড়া হাসি- হাতদুটো তাঁরই ছিল তবে- ভ্রু কুচকে তাঁর দিকেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল- “মিঁ-ই-ইয়াও?!” একটুও রাগলোও বটে- “হাসির কি আছে অত!?”- মিঁয়াও বুঝে পায়না মোটে!
সকাল থেকেই মিঁয়াও-এর দিনটা খারাপ যাচ্ছে খুব- এমনি খারাপ যে মাথা কাজ করছে না- এমনকি এত যে চেনা নিতুন আর নিতুনের আম্মু- ওদের কাজকর্ম পর্যন্ত কিছু বুঝে ওঠতে পারছে না।
“সকাল সকাল ঊঠতে হবে”- “ভোরেই বেরোব”- “দেরি কোর না কিন্তু”- “ঘুমিয়ে যাও এখনি”- “ওটাকে কী করবে? নিয়েই যাবে!?”- “যা হয় কর! আমায় বলতে এসো না পরে- বুঝি না কিছু”- নিতুনের বাবা হোঁদলকুতকুত-এর কথাগুলো ছাড়া ছাড়া শুনতে শুনতেই ঘুমিয়ে পড়েছিল মিঁয়াও। নিতুনের বালিশ ঘেষে। কী ব্যাপার- কেন- কী হচ্ছে- জানা যে দরকার হতচ্ছাড়া হতভাগা ঘুমের জন্য সেটাও হয়নি। আর নয়ত নিতুনের আম্মু যে “আচ্ছা- আমি দেখছি- ওকে”- বলছিল সেটা কানে এলেই হয়ে যেত- কান যতই উঁচু হয়ে থাকুক ঘুমিয়ে পড়লে কিছুই শোনা যায় না- আফসোস-ই হয় মিঁয়াও-এর!
সকালে খুটখাট আওয়াজ কানে আসছিল- এমনকি নিতুনকে যে “উঠে পড়, উঠে পড়, যাবো না আমরা?! চল চল!” করে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গেল নিতুনের আম্মু- সেটাও টের পেয়েছে- এরপর পাশ ফিরিয়ে শরীরটাকে আরেকটু গুটিয়ে ল্যাজটাকে টেনে একদম ঘাড়ের কাছটাতে এনে আবার শুয়েছে ও- আর সর্বনাশ করেছে!
এরপর কেবল টের পেয়েছে নিতুনের আম্মু ওকে কোলে নিয়েছে একবার, মাথাটা চুলকে দিয়েছে একটু, শরীরের লোমগুলোতে আঙ্গুল বুলিয়ে দিয়েছে কিছুক্ষণ- এরপর আবার শুইয়ে দিয়েছে। “আম্মু আম্মু আম্মু ও ঘুমুবে ওখানে?!”- নিতুন প্রশন করেছে তখন, “হ্যাঁ বাবা ঘুমুবে!”- নিতুনের আম্মু বলেছে। খানিকটা অন্যরকম লাগছিল বটে- এখন বুঝতে পারছে- “তো-কে-এ-এ-এ-এ” মিঁয়াও নিজের উপরেই রাগ ঢালে- তখন টের পায়নি কিছু- “আরে বাবা! বিছানা নরম হলেই শুয়ে পড়বি! ঘুম দিবি! তাকাবি না একটু!?”- নিজের কান্ডজ্ঞানের প্রতি অনাস্থা চলে আসে ওর!
সে তো কেবল কলির সন্ধ্যা! ঘুম ভাঙ্গতেই টের পেল যে জায়গাটায় বসে ছিল ও- ওটা চলছে- “ঝিম ধরে আছে বোধ হয়!”- শরীরটাকে বেশ করে ঝাঁকিয়ে নেয় তখন, টানটান করে শরীরটা, বেশ কয়েকবার সামনে পেছনে ওঠানামা করে সকালের ব্যায়ামটা সেরে নেয় ঝটপট- সামনে এগুতে গিয়েই খবর হয়- “আরে! কোথায় আমি!” চারদিকে বন্ধ! ছোট ছোট অসংখ্য ফুটো- সব কিছু নীল দেখাচ্ছে কেমন- “কোথায় আমি! কোথায়!”- এইবেলা ভয় পায় ও- “মিঁ-য়া-ও!”- খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করে একটু!
“তখনই বলেছিলাম”- হোঁদলকুতকুতের মেজাজী গলা ভেসে আসে কোথা থেকে- “ও কিছু না! অমন একটু তো করবেই!” – জবাব দেন নিতুনের আম্মু। কিন্তু এই অন্ধকার অন্ধকার জায়গাটা থেকে ওদের কথা কোথা থেকে আসছে ভেবে পায় না ও- “ভূত না তো!?- গায়ে কাঁটা দেয় ওর! নিজেকে সামলে নিতে না নিতেই নতুন কথা মাথায় আসে- “মরে যাইনি তো!” আঁতকে ওঠে ও এইবার- “মরে গেলে পরে কেবল অন্ধকার”- মা বলেছিল বটে একবার! “মরেই গেলাম! কেমন করে!?- মনটা হাহাকারে ভোরে ওঠে ওর- “মিঁ-ই-ই-ই-ই-ই-ইয়া-অ-অ-অ-অ-অ!!”- আর্তনাদ করে ওঠে মিঁয়াও।
“অত চেঁচামেচি করছিস কেন!? দাঁড়া বের করছি তোকে!”- নিতুনের আম্মুর গলা শুনতে পায়। খুট করে শব্দ হয় একটু- উপরটা ফাঁকা হয়- “আলো আলো!” খুশি হয় মিঁয়াও। নেমে আসতে থাকা হাত দুতো নেমে আসা পর্যন্ত তর সয় না- এক লাফে বেরিয়ে আসে।
আর ভড়কেও যায়- কোথায় এটা!? যেদিক চোখ যায় কেবল মানুষ আর মানুষ! “ভাগ্যিস লাফ দিইনি!”- দিনে প্রথমবারের মত নিজের বুদ্ধির তারিফ করে- “কোথায় নামতাম!” এর মধ্যেই নিতুনের আম্মুর হাত দুটো আস্তে করে তুলে নেয় ওকে- ল্যাজটাকে ভাঁজ করে শরীরের সাথে গুটিয়ে- একহাতের উপর ওকে শুইয়ে- পাগুলো কেবল বাইরে- আরেকটা হাত ওর গলায়, পেটে- হাত বুলাতে বুলাতে- “কী হল তোর! অমন করছিস কেন!? ভয় কীসে?”- আরামে ও গলে যায় একদম।
এর মধ্যেই ঘাড় তুলে চারপাশটা দেখে নেয় এক নজরে- খোলা একটা জায়গা- “বাসার বারান্দাটার মত”- মিঁয়াও মিলিয়ে নেয় মনে মনে- অবশ্য অনেক বড় এ বারান্দাটা! আর অনেক মানুষ! বড় বড় মানুষ, ছোট ছোট মানুষ, কেউ হাঁটছে, কেউ দাঁড়িয়ে আছে, কেউ বসে আছে নিতুনের আম্মুর মত- চেয়ারে- একসাথে অনেকগুলো চেয়ার- কেউ চুপচাপ, কেউ কথা বলছে- গিজগিজ গিজগিজ করছে মানুষে- “একটু দূরে দূরে দাঁড়ালেই হয়! দেখা যাচ্ছে না কিছু!”- মিঁয়াও গজগজ করে।
সামনেটায় ফাঁকা আছে বেশ- ওখানে কেউ নেই- “বারান্দা শেষ”-মিঁয়াও চটপট বুঝে নেয়! একটু দূরে আরেকটা বারান্দা- ওখানেও মানুষ, একটু কম! “আমরা ওখানটায় গেলেই পারি!”- “সব দেখা যাবে তখন!”- “এই বাবা! সরে এস সরে এস! এখানে এসে দেখ!” নিতুনের বাবার গলা কানে আসে- “ওর বুদ্ধি নিশ্চয়ই!”- মিঁয়াও-এর সন্দেহ থাকে না আর- “অত যে হাঁকডাক করিস, বুঝিস তো কচু!”- একদম ভেংচি কেটে বলে ও!
“আরেকটু দেখা যাক নীচে নেমে”- নিতুনের আম্মুর কোল থেকে নামার পায়তারা করছে কেবল হঠাৎ পোঁ-ও-ও-ও-ও-ও শব্দে কেঁপে ওঠল ও- শুধু শব্দ? মাটিও কেঁপে ওঠলো- কেমন ধাক ধাক ধাক শব্দ- মানুষগুলো হঠাৎ চলাফেরা শুরু করল সয়াই- সামনে তাকিয়ে- যারা বসে, তারা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে- হাতের কাছে যা আছে টেনে নিচ্ছে হাতে- ভয় পেয়েছে ওরাও- “নির্ঘাৎ ভয় পেয়েছে!” মিঁয়াও নিশ্চিত হল নিমেষেই- “ভয়ের কি আছে?!”নিতুনের আম্মুর দিকে তাকানোর চেষ্টার করছে মিঁয়াও অমনি- ক্যাচ-চ-চ-চ-চ! তীক্ষ্ণ শব্দে মাথা ধরে গেল ওর।
ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই- “এটা কি রে! অতবড়! নির্ঘাৎ রাক্ষস! মা বলত এর কথা! হুট করে চলে আসবে, বিশাল শব্দ, এই বড় চেহারা, ভাটার মত চোখ”- “বাঁ-চা-ও! বাঁ-চা-ও!” আর সাহস হয় না ওর বাইরে থাকার- একলাফে ঢুকে পরে নীল ফুটো ফুটো ছোট বাসাটায়- “তুই তো বেশ বুঝে গেছিস দেখি, নিজে থেকেই ঢুকলি ওখানে!” নিতুনের আম্মু বলেন আস্তে করে- “কী বুদ্ধি তোর!”- প্রশংসা হচ্ছে বুঝতে পারে মিঁয়াও- “ওসব পরে হবে, আগে জান তো বাঁচাও!”- সে পরামর্শই দেয়, বিপদের সময়, অত বাড়তি কথা কেন বলে মানুষ, মিঁয়াও কোনমতেই বোঝে না! “কী করি ! কী করি!”- ভয়ে নিজের চোখ দুটোই বন্ধ করে ফেলে ও- মায়ের শেখানো জিনিসগুলো যে কত কাজের- এই বিপদের দিনেও মিঁয়াও খানিকটা খুশি হয়।
হঠাৎ দুনিয়াটা টলমল করে ওঠতেই ও টের পেল ওর বাক্সটা নিতুনের বাবার হাতে, “আরে আরে আরে আরে-“ মিঁয়াও ভাষা হারিয়ে ফেলে একদম- ও ব্যাটা তো রাক্ষসের দিকেই যাচ্ছে! “ও রে মা রে! মেরে ফেললে রে! ওরে বেকুব! ওদিক কোথায় যাচ্ছিস! ওটা রাক্ষস! খেয়ে ফেলবে আমাদের! চিনিস না নাকি! হাঁদা কোথাকার!”- রাগে ক্ষোভে বাকহারা হয়ে যায় ও- “কোন দুঃখে যে এটায় ঢুকেছিলাম!”- নিজের প্রতি আবার রাগ আসে- “নয়ত লাফিয়ে বাঁচা যেত!”- হাল ছেড়ে দেয় ও-
দিশেহারা চোখে দেখে রাক্ষসটা কাছে চলে এসেছে একদম- গায়ের রঙ সাদা- পেটের দিকটা ফাঁকা- “ভেতরে মানুষ কিলবিল করছে!”- শিউরে ওঠে ও- লোমগুলো সবকটা দাঁড়িয়ে যায় এক ঝটকায়। একটা দরজামত আছে- মানুষ নিজে গিয়ে ঢুকে যাচ্ছে ওটা দিয়ে- কে কার আগে ঢুকবে তাই নিয়ে হই চই- রাক্ষসটা নির্ঘাৎ জাদু করেছে ওদের! নিতুন আর নিতুনের আম্মুও ঢুকে গেল ওখানে- ফাঁকা হয়ে গেল মিঁয়াও-এর মনটা- “মরতে কেমন লাগে!” মনে মনে ভাবে। হতাশ হয় খুব- মা এ কথা শিখিয়ে দেয়নি! মাথা নুয়ে আসে ওর, দাঁড়িয়ে যাওয়া লোমগুলোও- ও একেবারেই হাল ছেড়ে দেয় এইবার- “আর রক্ষা নেই!”- মিঁয়াও জানে।
পরে দেখা গেল জানতো না আসলে- একটু পরেই আবার দুলে ওঠলো সবকিছু- পো-ও-ও-ও-ও-ও শব্দটা আবার কান ফাটিয়ে দিল আবার- আস্তে আস্তে বদলে গেল শব্দটা- ধিক ধিক ধিক থেকে কেবল ঝিক ঝিক ঝিক ঝিক! সে হোক, আসল ব্যাপারটা টের পেতে সময় লাগলো না ওর- “মরিনি তো! দিব্যি বেঁচে আছি!” ও-ই শুধু না, আর সবাইও। দেখা যাচ্ছে না কিছু, কিন্তু কথা শোনা যাচ্ছে টুকরো টুকরো- “যাক ওঠা তো গ্যাছে!” “কী ভীড়!” “এমন কখনো দেখিনি!” “এই! বসে পড়! বসে পড়!” “বেশি সময় লাগবে না!”- সব বুঝলো ও- কেবল বেঁচে আছে কেমন সেটা বুঝলো না কেবল! এ কেমন রাক্ষস!
“তোমরা কই!? কী খবর!? তোমাদের?!” নিতুনদের খবর নেয়ার চেষ্টা করল ও- গলায় টেনশন- “ঠিক আছো তো!?” “ওটার আবার কী হল?”- হোদলকুতকুতের গলা শোনা গেল- “দ্যাখো তো!” “তোর জন্যই তো এ ঝামেলা, আবার কথা বলিস”- মিঁয়াও রাগতে গিয়েও রাগলো না- বাক্সের উপরটা আবার খুলেছে- আবার কোলে ওঠতে পাবে- এ সময় রাগতে নেই, ও জানে!
বোধ হয় অবাক করার দিন এটা, ও আবার অবাক হল। সবাই দিব্যি বসে, হাসাহাসিও করছে! নিতুনও বসে, ওর আম্মুর পাশে- হোদলকুতকুতকেও দেখা গেল- চোখ পাকিয়ে এদিক তাকিয়ে! “লোকটা পাগল!”- মিঁয়াও মাথা নাড়ায়! মাটির দুলুনি এখনো থামেনি- একটু একটু আছে- ও টের পায়- শব্দটাও- সেই ঝিক ঝিক ঝিক- “জানালাও আছে দেখছি” খুশি হয় মিঁয়াও- একটু তাকাতেই মাথা কেমন করে ওঠে- বাইরেটা কেমন ছুটছে! প্রচন্ড বাতাস ওকে উড়িয়ে নিতে যায়, লোমগুলো লেপ্টে যেতে থাকে একেবারে- "কী বিপদ! মাথা ঘুরছে নাকি!"- চিন্তায় পড়ে যায়, কী যে হচ্ছে ও কোনমতেই মেলাতে পারে না- ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ফের- তার পর এই ঘুম ভাঙল- এই বাক্সে যে কখন ঢুকেছে কে জানে!
নিতুনের আম্মুর হাসিমুখ দেখেই ও বাক্স থেকে মাথাটা বের করল আবার- “কোথায়?” শুন্য চোখে তাকালো নিতুনের আম্মুর দিকে- ওঁর মুখে হাসি- আলতো করে ধরে বের করে আনলেন ওকে- আরেকটা বারান্দা! এবারে অন্যরকম, বাইরে ওঠান, মাটি দেখা যাচ্ছে! ঘুরে তাকায়- পেছনে বড় একটা রুম, দরজা একটা, পাশেই মনে হচ্ছে বড় একটা খাট।
এইবার মিঁয়াও-এর ভয় কাটে একটু। সরে আসে। দরজা পেরিয়ে ঢোকে ভেতরে। খাটই বটে! বাঁয়ে তাকায়। ছোট্ট আলমারি একটা, কতকিছু রাখা, দিব্যি দেখা যাচ্ছে। আর-
চোখ কুঁচকে আসে ওর, চামড়া টানটান হয়ে ওঠে আবার- ল্যাজটা ফুলে ওঠে- সাবধানে তাকায় আবার- আলমারিটার নীচে দেখা যাচ্ছে- দুই জোড়া পা- লালচে- চট করে দেখে নেয় নিজের পা- দুটো- “না আমি নই!” নিশ্চিত হয়! পায়ে পায়ে এগোয় আবার, সতর্ক থাকে পুরোপুরি।
হঠাৎ পা দুটো বেরিয়ে আসে- মাথা, চোখ, কান- আর ল্যাজটাও- ফুলকো- কমলা- মিঁয়াও ঝট করে আবার নিজেকে দেখে নেয়- “না আমি নই!”- আবার নিশ্চিত হয়!
“মিঁ-ই-ই-য়া-ও!” সতর্ক থাকে ও। ওটা ততক্ষণে এগিয়ে এসেছে আরো- পৌঁছে গেছে এক হাতের মধ্যে- মিঁয়াও ভেবে পায় না- কী অদ্ভূত মিল দুজনের- সমস্তটা শরীর একই রকম- কেবল পা দুটো বাদে- ওর সাদা- ওর কমলা!
মিঁয়াও আরো এগিয়ে যায়, নাকে নাক লাগায়- গন্ধটা কেমন চেনা লাগে- ও তাকায় আবার- চোখ বরাবর- ও ঠিক জানে- ভুল হবার নয় একদম- ও ডাকে- “মিঁয়!” মিঁয় তাকায় অবাক চোখে- “মিঁয়াও!?”
মিঁয়াও ফিরে তাকায় দরজার দিকে, নিতুনের আম্মু বসে, মুখে সেই হাসি, নিতুন হেঁটে এলো হঠাৎ- “আম্মু ও চিনেছে!?” “হ্যাঁ বাবা, চিনেছে!”- আম্মু বলেন।
মিঁয়াও কি করবে বুঝতে পারে না, ও ফিরে এসেছে, ও আবার ফিরে এসেছে, ও বাড়িতে ফিরে এসেছে!! কত কত কত দিন পর!! ও অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে!!!
মন্তব্য
আপনি এখনো অতিথি!
আমিও তাই বলি । আপনি এখনো অতিথি ?!?!?!
মিঁয়াও এর গল্প ভাল লেগেছে । লেখায়
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
হুম! আমাকে শীতনিদ্রায় পাঠাতে মডুদের ঘোর আপত্তি!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আপনার লেখাগুলো বেশ মজারু কিন্তু এমন না যে পড়ে হা হা করে হেসে উঠব, বরং পড়তে পড়তে একটা মুচকি হাসি সবসময় লেগে থাকবেই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লেখা পড়ার পর সময় নষ্ট করার দায় না পড়লেই খুশি আমি, যা বলেছেন তেমন হলেতো সত্যি সত্যি আনন্দের ব্যাপার!
অনেক অনেক ধন্যবাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মিয়াঁও দিন দিন দুষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তবে দুষ্টুমির সাথে সাথে দায়িত্ববান ও হয়ে উঠছে। মিয়াঁও, এমনই দুষ্ট থাকিস
মিঁয়াওকে পয়লা সুযোগেই এ উপদেশ পৌঁছে দেয়া হবে
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নতুন মন্তব্য করুন