• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

মিঁয়াও এলো ফিরে

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৫/০১/২০১৩ - ৫:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তৈরি হয়েই ছিল মিঁয়াও- পেছনের দুপায়ে দাঁড়িয়ে, সামনের দু’পা দিয়ে উপরের ঢাকনাটা একটু পর পর আঁচড়ে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি উপরের দিকে তাকিয়ে প্রথমে একটু নরম করে “মিঁ-ই-ই-ইয়াঁও!” এরপর অস্থিরতা একটু বাড়িয়ে “মিঁ-ই-ই-য়া-য়া-য়া-ও!” আর সবশেষে “ম্যাঁও! ম্যাঁও!” করে মেজাজটা জানান দেয়া আর থেকে থেকে পা নামিয়ে ওইটুক জায়গাতেই একটা চক্কর দিয়ে অপরিচিত বাইরেটা আরেকটু দেখার চেষ্টা করা- আবার দু’পা তুলে হাঁকডাক-

উপর থেকে দুটো হাত খুটখাট করে ঢাকনাটা তুলে দিতেই এক লাফে বেরিয়ে এল মিঁয়াও- “উফফফ! এমন করে আটকে রাখতে হয়! অমানুষ সব!- এরপরই “এ কী! এ কোথায় এলাম!”- আবার এক লাফে ঝটিতি ফিরে এল- এতক্ষণ ধরে মেজাজের সাথে পাল্লা দিয়ে ফুলে ওঠা ল্যাজটাকে আস্তে করে গুটিয়ে- গলাটা বের করে চারপাশটা দেখে নিল আরেকবার- নিতুনের আম্মুকে দেখা গেল পাশেই বসে- মুখজোড়া হাসি- হাতদুটো তাঁরই ছিল তবে- ভ্রু কুচকে তাঁর দিকেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল- “মিঁ-ই-ইয়াও?!” একটুও রাগলোও বটে- “হাসির কি আছে অত!?”- মিঁয়াও বুঝে পায়না মোটে!

সকাল থেকেই মিঁয়াও-এর দিনটা খারাপ যাচ্ছে খুব- এমনি খারাপ যে মাথা কাজ করছে না- এমনকি এত যে চেনা নিতুন আর নিতুনের আম্মু- ওদের কাজকর্ম পর্যন্ত কিছু বুঝে ওঠতে পারছে না।

“সকাল সকাল ঊঠতে হবে”- “ভোরেই বেরোব”- “দেরি কোর না কিন্তু”- “ঘুমিয়ে যাও এখনি”- “ওটাকে কী করবে? নিয়েই যাবে!?”- “যা হয় কর! আমায় বলতে এসো না পরে- বুঝি না কিছু”- নিতুনের বাবা হোঁদলকুতকুত-এর কথাগুলো ছাড়া ছাড়া শুনতে শুনতেই ঘুমিয়ে পড়েছিল মিঁয়াও। নিতুনের বালিশ ঘেষে। কী ব্যাপার- কেন- কী হচ্ছে- জানা যে দরকার হতচ্ছাড়া হতভাগা ঘুমের জন্য সেটাও হয়নি। আর নয়ত নিতুনের আম্মু যে “আচ্ছা- আমি দেখছি- ওকে”- বলছিল সেটা কানে এলেই হয়ে যেত- কান যতই উঁচু হয়ে থাকুক ঘুমিয়ে পড়লে কিছুই শোনা যায় না- আফসোস-ই হয় মিঁয়াও-এর!

সকালে খুটখাট আওয়াজ কানে আসছিল- এমনকি নিতুনকে যে “উঠে পড়, উঠে পড়, যাবো না আমরা?! চল চল!” করে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গেল নিতুনের আম্মু- সেটাও টের পেয়েছে- এরপর পাশ ফিরিয়ে শরীরটাকে আরেকটু গুটিয়ে ল্যাজটাকে টেনে একদম ঘাড়ের কাছটাতে এনে আবার শুয়েছে ও- আর সর্বনাশ করেছে!

এরপর কেবল টের পেয়েছে নিতুনের আম্মু ওকে কোলে নিয়েছে একবার, মাথাটা চুলকে দিয়েছে একটু, শরীরের লোমগুলোতে আঙ্গুল বুলিয়ে দিয়েছে কিছুক্ষণ- এরপর আবার শুইয়ে দিয়েছে। “আম্মু আম্মু আম্মু ও ঘুমুবে ওখানে?!”- নিতুন প্রশন করেছে তখন, “হ্যাঁ বাবা ঘুমুবে!”- নিতুনের আম্মু বলেছে। খানিকটা অন্যরকম লাগছিল বটে- এখন বুঝতে পারছে- “তো-কে-এ-এ-এ-এ” মিঁয়াও নিজের উপরেই রাগ ঢালে- তখন টের পায়নি কিছু- “আরে বাবা! বিছানা নরম হলেই শুয়ে পড়বি! ঘুম দিবি! তাকাবি না একটু!?”- নিজের কান্ডজ্ঞানের প্রতি অনাস্থা চলে আসে ওর!

সে তো কেবল কলির সন্ধ্যা! ঘুম ভাঙ্গতেই টের পেল যে জায়গাটায় বসে ছিল ও- ওটা চলছে- “ঝিম ধরে আছে বোধ হয়!”- শরীরটাকে বেশ করে ঝাঁকিয়ে নেয় তখন, টানটান করে শরীরটা, বেশ কয়েকবার সামনে পেছনে ওঠানামা করে সকালের ব্যায়ামটা সেরে নেয় ঝটপট- সামনে এগুতে গিয়েই খবর হয়- “আরে! কোথায় আমি!” চারদিকে বন্ধ! ছোট ছোট অসংখ্য ফুটো- সব কিছু নীল দেখাচ্ছে কেমন- “কোথায় আমি! কোথায়!”- এইবেলা ভয় পায় ও- “মিঁ-য়া-ও!”- খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করে একটু!

“তখনই বলেছিলাম”- হোঁদলকুতকুতের মেজাজী গলা ভেসে আসে কোথা থেকে- “ও কিছু না! অমন একটু তো করবেই!” – জবাব দেন নিতুনের আম্মু। কিন্তু এই অন্ধকার অন্ধকার জায়গাটা থেকে ওদের কথা কোথা থেকে আসছে ভেবে পায় না ও- “ভূত না তো!?- গায়ে কাঁটা দেয় ওর! নিজেকে সামলে নিতে না নিতেই নতুন কথা মাথায় আসে- “মরে যাইনি তো!” আঁতকে ওঠে ও এইবার- “মরে গেলে পরে কেবল অন্ধকার”- মা বলেছিল বটে একবার! “মরেই গেলাম! কেমন করে!?- মনটা হাহাকারে ভোরে ওঠে ওর- “মিঁ-ই-ই-ই-ই-ই-ইয়া-অ-অ-অ-অ-অ!!”- আর্তনাদ করে ওঠে মিঁয়াও।

“অত চেঁচামেচি করছিস কেন!? দাঁড়া বের করছি তোকে!”- নিতুনের আম্মুর গলা শুনতে পায়। খুট করে শব্দ হয় একটু- উপরটা ফাঁকা হয়- “আলো আলো!” খুশি হয় মিঁয়াও। নেমে আসতে থাকা হাত দুতো নেমে আসা পর্যন্ত তর সয় না- এক লাফে বেরিয়ে আসে।

আর ভড়কেও যায়- কোথায় এটা!? যেদিক চোখ যায় কেবল মানুষ আর মানুষ! “ভাগ্যিস লাফ দিইনি!”- দিনে প্রথমবারের মত নিজের বুদ্ধির তারিফ করে- “কোথায় নামতাম!” এর মধ্যেই নিতুনের আম্মুর হাত দুটো আস্তে করে তুলে নেয় ওকে- ল্যাজটাকে ভাঁজ করে শরীরের সাথে গুটিয়ে- একহাতের উপর ওকে শুইয়ে- পাগুলো কেবল বাইরে- আরেকটা হাত ওর গলায়, পেটে- হাত বুলাতে বুলাতে- “কী হল তোর! অমন করছিস কেন!? ভয় কীসে?”- আরামে ও গলে যায় একদম।

এর মধ্যেই ঘাড় তুলে চারপাশটা দেখে নেয় এক নজরে- খোলা একটা জায়গা- “বাসার বারান্দাটার মত”- মিঁয়াও মিলিয়ে নেয় মনে মনে- অবশ্য অনেক বড় এ বারান্দাটা! আর অনেক মানুষ! বড় বড় মানুষ, ছোট ছোট মানুষ, কেউ হাঁটছে, কেউ দাঁড়িয়ে আছে, কেউ বসে আছে নিতুনের আম্মুর মত- চেয়ারে- একসাথে অনেকগুলো চেয়ার- কেউ চুপচাপ, কেউ কথা বলছে- গিজগিজ গিজগিজ করছে মানুষে- “একটু দূরে দূরে দাঁড়ালেই হয়! দেখা যাচ্ছে না কিছু!”- মিঁয়াও গজগজ করে।

সামনেটায় ফাঁকা আছে বেশ- ওখানে কেউ নেই- “বারান্দা শেষ”-মিঁয়াও চটপট বুঝে নেয়! একটু দূরে আরেকটা বারান্দা- ওখানেও মানুষ, একটু কম! “আমরা ওখানটায় গেলেই পারি!”- “সব দেখা যাবে তখন!”- “এই বাবা! সরে এস সরে এস! এখানে এসে দেখ!” নিতুনের বাবার গলা কানে আসে- “ওর বুদ্ধি নিশ্চয়ই!”- মিঁয়াও-এর সন্দেহ থাকে না আর- “অত যে হাঁকডাক করিস, বুঝিস তো কচু!”- একদম ভেংচি কেটে বলে ও!

“আরেকটু দেখা যাক নীচে নেমে”- নিতুনের আম্মুর কোল থেকে নামার পায়তারা করছে কেবল হঠাৎ পোঁ-ও-ও-ও-ও-ও শব্দে কেঁপে ওঠল ও- শুধু শব্দ? মাটিও কেঁপে ওঠলো- কেমন ধাক ধাক ধাক শব্দ- মানুষগুলো হঠাৎ চলাফেরা শুরু করল সয়াই- সামনে তাকিয়ে- যারা বসে, তারা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে- হাতের কাছে যা আছে টেনে নিচ্ছে হাতে- ভয় পেয়েছে ওরাও- “নির্ঘাৎ ভয় পেয়েছে!” মিঁয়াও নিশ্চিত হল নিমেষেই- “ভয়ের কি আছে?!”নিতুনের আম্মুর দিকে তাকানোর চেষ্টার করছে মিঁয়াও অমনি- ক্যাচ-চ-চ-চ-চ! তীক্ষ্ণ শব্দে মাথা ধরে গেল ওর।

ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই- “এটা কি রে! অতবড়! নির্ঘাৎ রাক্ষস! মা বলত এর কথা! হুট করে চলে আসবে, বিশাল শব্দ, এই বড় চেহারা, ভাটার মত চোখ”- “বাঁ-চা-ও! বাঁ-চা-ও!” আর সাহস হয় না ওর বাইরে থাকার- একলাফে ঢুকে পরে নীল ফুটো ফুটো ছোট বাসাটায়- “তুই তো বেশ বুঝে গেছিস দেখি, নিজে থেকেই ঢুকলি ওখানে!” নিতুনের আম্মু বলেন আস্তে করে- “কী বুদ্ধি তোর!”- প্রশংসা হচ্ছে বুঝতে পারে মিঁয়াও- “ওসব পরে হবে, আগে জান তো বাঁচাও!”- সে পরামর্শই দেয়, বিপদের সময়, অত বাড়তি কথা কেন বলে মানুষ, মিঁয়াও কোনমতেই বোঝে না! “কী করি ! কী করি!”- ভয়ে নিজের চোখ দুটোই বন্ধ করে ফেলে ও- মায়ের শেখানো জিনিসগুলো যে কত কাজের- এই বিপদের দিনেও মিঁয়াও খানিকটা খুশি হয়।

হঠাৎ দুনিয়াটা টলমল করে ওঠতেই ও টের পেল ওর বাক্সটা নিতুনের বাবার হাতে, “আরে আরে আরে আরে-“ মিঁয়াও ভাষা হারিয়ে ফেলে একদম- ও ব্যাটা তো রাক্ষসের দিকেই যাচ্ছে! “ও রে মা রে! মেরে ফেললে রে! ওরে বেকুব! ওদিক কোথায় যাচ্ছিস! ওটা রাক্ষস! খেয়ে ফেলবে আমাদের! চিনিস না নাকি! হাঁদা কোথাকার!”- রাগে ক্ষোভে বাকহারা হয়ে যায় ও- “কোন দুঃখে যে এটায় ঢুকেছিলাম!”- নিজের প্রতি আবার রাগ আসে- “নয়ত লাফিয়ে বাঁচা যেত!”- হাল ছেড়ে দেয় ও-

দিশেহারা চোখে দেখে রাক্ষসটা কাছে চলে এসেছে একদম- গায়ের রঙ সাদা- পেটের দিকটা ফাঁকা- “ভেতরে মানুষ কিলবিল করছে!”- শিউরে ওঠে ও- লোমগুলো সবকটা দাঁড়িয়ে যায় এক ঝটকায়। একটা দরজামত আছে- মানুষ নিজে গিয়ে ঢুকে যাচ্ছে ওটা দিয়ে- কে কার আগে ঢুকবে তাই নিয়ে হই চই- রাক্ষসটা নির্ঘাৎ জাদু করেছে ওদের! নিতুন আর নিতুনের আম্মুও ঢুকে গেল ওখানে- ফাঁকা হয়ে গেল মিঁয়াও-এর মনটা- “মরতে কেমন লাগে!” মনে মনে ভাবে। হতাশ হয় খুব- মা এ কথা শিখিয়ে দেয়নি! মাথা নুয়ে আসে ওর, দাঁড়িয়ে যাওয়া লোমগুলোও- ও একেবারেই হাল ছেড়ে দেয় এইবার- “আর রক্ষা নেই!”- মিঁয়াও জানে।

পরে দেখা গেল জানতো না আসলে- একটু পরেই আবার দুলে ওঠলো সবকিছু- পো-ও-ও-ও-ও-ও শব্দটা আবার কান ফাটিয়ে দিল আবার- আস্তে আস্তে বদলে গেল শব্দটা- ধিক ধিক ধিক থেকে কেবল ঝিক ঝিক ঝিক ঝিক! সে হোক, আসল ব্যাপারটা টের পেতে সময় লাগলো না ওর- “মরিনি তো! দিব্যি বেঁচে আছি!” ও-ই শুধু না, আর সবাইও। দেখা যাচ্ছে না কিছু, কিন্তু কথা শোনা যাচ্ছে টুকরো টুকরো- “যাক ওঠা তো গ্যাছে!” “কী ভীড়!” “এমন কখনো দেখিনি!” “এই! বসে পড়! বসে পড়!” “বেশি সময় লাগবে না!”- সব বুঝলো ও- কেবল বেঁচে আছে কেমন সেটা বুঝলো না কেবল! এ কেমন রাক্ষস!

“তোমরা কই!? কী খবর!? তোমাদের?!” নিতুনদের খবর নেয়ার চেষ্টা করল ও- গলায় টেনশন- “ঠিক আছো তো!?” “ওটার আবার কী হল?”- হোদলকুতকুতের গলা শোনা গেল- “দ্যাখো তো!” “তোর জন্যই তো এ ঝামেলা, আবার কথা বলিস”- মিঁয়াও রাগতে গিয়েও রাগলো না- বাক্সের উপরটা আবার খুলেছে- আবার কোলে ওঠতে পাবে- এ সময় রাগতে নেই, ও জানে!

বোধ হয় অবাক করার দিন এটা, ও আবার অবাক হল। সবাই দিব্যি বসে, হাসাহাসিও করছে! নিতুনও বসে, ওর আম্মুর পাশে- হোদলকুতকুতকেও দেখা গেল- চোখ পাকিয়ে এদিক তাকিয়ে! “লোকটা পাগল!”- মিঁয়াও মাথা নাড়ায়! মাটির দুলুনি এখনো থামেনি- একটু একটু আছে- ও টের পায়- শব্দটাও- সেই ঝিক ঝিক ঝিক- “জানালাও আছে দেখছি” খুশি হয় মিঁয়াও- একটু তাকাতেই মাথা কেমন করে ওঠে- বাইরেটা কেমন ছুটছে! প্রচন্ড বাতাস ওকে উড়িয়ে নিতে যায়, লোমগুলো লেপ্টে যেতে থাকে একেবারে- "কী বিপদ! মাথা ঘুরছে নাকি!"- চিন্তায় পড়ে যায়, কী যে হচ্ছে ও কোনমতেই মেলাতে পারে না- ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ফের- তার পর এই ঘুম ভাঙল- এই বাক্সে যে কখন ঢুকেছে কে জানে!

নিতুনের আম্মুর হাসিমুখ দেখেই ও বাক্স থেকে মাথাটা বের করল আবার- “কোথায়?” শুন্য চোখে তাকালো নিতুনের আম্মুর দিকে- ওঁর মুখে হাসি- আলতো করে ধরে বের করে আনলেন ওকে- আরেকটা বারান্দা! এবারে অন্যরকম, বাইরে ওঠান, মাটি দেখা যাচ্ছে! ঘুরে তাকায়- পেছনে বড় একটা রুম, দরজা একটা, পাশেই মনে হচ্ছে বড় একটা খাট।

এইবার মিঁয়াও-এর ভয় কাটে একটু। সরে আসে। দরজা পেরিয়ে ঢোকে ভেতরে। খাটই বটে! বাঁয়ে তাকায়। ছোট্ট আলমারি একটা, কতকিছু রাখা, দিব্যি দেখা যাচ্ছে। আর-

চোখ কুঁচকে আসে ওর, চামড়া টানটান হয়ে ওঠে আবার- ল্যাজটা ফুলে ওঠে- সাবধানে তাকায় আবার- আলমারিটার নীচে দেখা যাচ্ছে- দুই জোড়া পা- লালচে- চট করে দেখে নেয় নিজের পা- দুটো- “না আমি নই!” নিশ্চিত হয়! পায়ে পায়ে এগোয় আবার, সতর্ক থাকে পুরোপুরি।

হঠাৎ পা দুটো বেরিয়ে আসে- মাথা, চোখ, কান- আর ল্যাজটাও- ফুলকো- কমলা- মিঁয়াও ঝট করে আবার নিজেকে দেখে নেয়- “না আমি নই!”- আবার নিশ্চিত হয়!

“মিঁ-ই-ই-য়া-ও!” সতর্ক থাকে ও। ওটা ততক্ষণে এগিয়ে এসেছে আরো- পৌঁছে গেছে এক হাতের মধ্যে- মিঁয়াও ভেবে পায় না- কী অদ্ভূত মিল দুজনের- সমস্তটা শরীর একই রকম- কেবল পা দুটো বাদে- ওর সাদা- ওর কমলা!

মিঁয়াও আরো এগিয়ে যায়, নাকে নাক লাগায়- গন্ধটা কেমন চেনা লাগে- ও তাকায় আবার- চোখ বরাবর- ও ঠিক জানে- ভুল হবার নয় একদম- ও ডাকে- “মিঁয়!” মিঁয় তাকায় অবাক চোখে- “মিঁয়াও!?”

মিঁয়াও ফিরে তাকায় দরজার দিকে, নিতুনের আম্মু বসে, মুখে সেই হাসি, নিতুন হেঁটে এলো হঠাৎ- “আম্মু ও চিনেছে!?” “হ্যাঁ বাবা, চিনেছে!”- আম্মু বলেন।

মিঁয়াও কি করবে বুঝতে পারে না, ও ফিরে এসেছে, ও আবার ফিরে এসেছে, ও বাড়িতে ফিরে এসেছে!! কত কত কত দিন পর!! ও অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে!!!


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি এখনো অতিথি!

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

আমিও তাই বলি । আপনি এখনো অতিথি ?!?!?! :O

মায়ের শেখানো জিনিসগুলো যে কত কাজের

মিঁয়াও এর গল্প ভাল লেগেছে । লেখায় (Y)

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

মর্ম এর ছবি

(ধইন্যা)

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

মর্ম এর ছবি

হুম! আমাকে শীতনিদ্রায় পাঠাতে মডুদের ঘোর আপত্তি! :p

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনার লেখাগুলো বেশ মজারু কিন্তু এমন না যে পড়ে হা হা করে হেসে উঠব, বরং পড়তে পড়তে একটা মুচকি হাসি সবসময় লেগে থাকবেই

মর্ম এর ছবি

লেখা পড়ার পর সময় নষ্ট করার দায় না পড়লেই খুশি আমি, যা বলেছেন তেমন হলেতো সত্যি সত্যি আনন্দের ব্যাপার!

অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আসমা ফেরদৌসী এর ছবি

মিয়াঁও দিন দিন দুষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তবে দুষ্টুমির সাথে সাথে দায়িত্ববান ও হয়ে উঠছে। মিয়াঁও, এমনই দুষ্ট থাকিস (Y)

মর্ম এর ছবি

মিঁয়াওকে পয়লা সুযোগেই এ উপদেশ পৌঁছে দেয়া হবে :p

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।