লাল খাতার লেখা

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/০৬/২০১৩ - ১২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লিখতে আমার একটুও ভাল্লাগে না। তবে এইবার লিখতে হবে।

নানার কলম আছে একটা, খুব সুন্দর, পুরোটা কালো, ক্যাপটাও, গায়ে তিনটে পাতার একটা ছবি খোদাই করা, আঙ্গুলে ছুঁয়ে দিলে কেমন আরাম লাগে, নামটাও সুন্দর, নানা বলে বুঝিয়ে দিয়েছে- ‘রেড লীফ’ মানে হল ‘লাল পাতা’। ‘লাল পাতা’ যে কলমের নাম সেটা কাল কেন কে জানে!

নানার অবশ্য ‘লাল পাতা’র লাল কলমও আছে, সেটা পুরোপুরি লাল। কলমতো লাল হবেই, ক্যাপটাও লাল, খোদাই করা ছবিটা লাল, এমনকি কালিও লাল! দুপুর বেলায় টেবিলের পাশটা এতগুলো লেখা খাতা বের করে নানা, এরপর চশমাটা চোখে দিয়ে লেখাগুলার দিকে তাকিয়ে থাকে আর বড় বড় করে একপাশটায় এক দুই পাঁচ সাত লেখে, লাল রং দিয়ে। এর নাম নাকি খাতা দেখা।

খাতা দেখার সময় নানার কাছে থাকা যায় তবে কিছু বলা যায় না, কলমটা হাত থেকে নেয়া যায় না, চশমাটা কেমন করে কানের দুইপাশে ঠিক ঠিক লেগে থাকল সেটা দেখা যায় না, এমনকি নানার মত করে এক দুই তিন লিখতেও মানা- আম্মু আর নানু আর খালামনি সব কিছুতেই “না না” বলে, নানা অবশ্য বলে না কিছু। কেবল পাঞ্জাবীর পকেট থেকে “ওভালটিন চকলেট” দেয় একটা। আবার একটা। তার মানে দুইটা। মাঝে মাঝে বিস্কুটও দেয়, হরলিক্স বিস্কুট। এই জন্যই থাকতে হয়, নয়ত বসে থাকতে আমার ভাল লাগে না একটুও। নানার মত খাতা দেখতে মন চায়।

খাতা আমারও আছে, তবে লেখা খাতা নাই, এটাও সমস্যা। এক দুই তিন চার আমি লিখতে পারি, তবে সব কয়টা সমান হয় না, এটা আরেকটা সমস্যা। আর আমার লাল কলম নাই, সেটা সবচেয়ে বড় সমস্যা।

আম্মুকে বলেছি এটা। আম্মু বলে আব্বুকে বল। আব্বুকে বলা যেত কিন্তু ঐখানেও সমস্যা আছে। তিনদিন আগে লাল নীল সবুজ হলুদ চারটা রংপেন্সিল এনে দিয়েছিল আব্বু, টিয়া পাখি আঁকার কথা, মিঠুর মত। মীনার সাথে কী সুন্দর করে কথা বলে মিঠু, আমার একটা মিঠুও চাই- সেটার জন্যেই আঁকতে হবে। মিঠুর মত দেখতে হলে মিঠু এনে দেবে, আব্বু বলেছে। মিঠু সবুজ তো সবুজ রং লাগবে। কিন্তু সবুজ রংপেন্সিলটা কোথায় জানি! লাল নীল হলুদ পেন্সিল আছে, সবুজ পেন্সিলটা নাই। সবুজ ছাড়া তো মিঠু হবে না। মিঠু না হলে আব্বুর কাছে চাওয়া যাবে না এখন, তখন খাটের নীচে যেতে হবে। যা হারায় সব নাকি ওইখানে থাকে, খুঁজলে নাকি পাওয়া যায়! কিন্তু খাটের নীচে গেলেই মাথায় ব্যথা লাগে, তাই আব্বুকে বলা চলবে না। নানাকে বলেছি তাই।

নানা বলেছে ঠিক আছে। লাল কলম পাবে। এরপর খাতা বের করেছে এটা, বাংলা খাতা। দাগ টানা। বলেছে প্রতিদিন লিখতে হবে, বড় বড় করে। দাগে দাগে মিলিয়ে।

তাহলে ঐ লাল কলম দেবে। আমার লিখতে ভাল্লাগে না একদম। কিন্তু আমার লাল কলম চাই।

আমি বলেছি কী লিখব। নানা বলেছে যা ইচ্ছা তাই। আমি বলেছি যা ইচ্ছা তাই কেমন করে লেখে। নানা বলেছে তোমার যেটা মনে হল ঐটা লিখে ফেলবে তাহলেই হবে। আমি বলেছি লিখতে ভাল্লাগে না। নানা হেসেছে, এরপর পকেট থেকে বাদাম দিয়েছে খেতে। বাদাম আমার ভাল লাগে কিন্তু ভাংতে পারি না, আমার নখ নাই, না নখ নাই না, নখ ছোট। আম্মু জোর করে কেটে দেয়। আম্মু যখন নখ কাটে আমার খুব ভয় করে। হাত কেটে যায় যদি। হাত কেটে গেলে ব্যথা হয় অনেক, আমি জানি।

বাদাম ভেঙ্গে দেয় খালামনি। আঙ্গুলে নিয়ে ধরে বাদাম ভেঙ্গে যায়। এরপর হাতে নিয়ে ফুঁ দিতে হয়। লাল ময়লাটা পড়ে যায় তখন। তখন বাদাম খেতে হয়। একটা বাদামে দুইটা বাদাম থাকে। দুইটা বাদাম খেয়ে আবার বসে থাকতে হয়। খালামনি আবার দুইটা বাদাম ভেঙ্গে হাতে দেয় তারপর আবার খাওয়া যায়। বাদামের জন্য বসে থাকতে আমার ভাল লাগে না। কিন্তু আমি বাদাম ভাংতে পারি না, বাদাম অনেক শক্ত।

সুইটবলও শক্ত কিন্তু ভাংতে পারি। সুইটবল বাদাম না তো তাই মুখে দিয়ে ভাঙ্গা যায়। সুইটবল আমার ভাল লাগে। সুইটবলের অনেক রং। লাল, হলুদ, সবুজ, কমলা, বেগুনী। সুইটবল অনেক মজা। সুইটবল দিয়ে দাঁতে আর জিহবায় রং হয়। আয়নায় দেখেছি আমি। যে রং-এর সুইটবল সেই রং হয়। লাল রং-এর সুইটবল হলে লাল রং হয়। দাঁতও লাল রং হয়, জিহবাও লাল রং হয়। কিন্তু বাদাম খেলে বাদামী রং হয় না। তবে সব সুইটবল সুইটবল না।

বিছানাটা উল্টালে খাটের উপর সাদা সুইটবল আছে, ঐটা সুইটবল না। আম্মু বলেছে। সুইটবল চারকোনা প্যাকেটে থাকে, বিছানার তলায় থাকে না। আবার চারকোনা প্যাকেট হলেই সুইটবল থাকে না। মামার কাছে দারওনা প্যাকেট আছে, ওটায় কাঠি আছে। নানুর কাছে যে প্যাকেটটা আছে রান্নাঘরে, ওটাতেও কাঠি। কাঠি থেকে সুইটবল বেশি ভাল।

কাঠির প্যাকেটটা সুন্দর। প্রজাপতির ছবি। প্রজাপতি আমি ভয় পাই না। ফড়িং ভয় পাই। লাল বড় ফড়িং। লাফ দেয়। এরপর ওড়ে। ওড়ে আসলে ভয় করে, ফড়িং কামড় দেয় যদি। খালামনি বলেছে ফড়িং কামড় দেয় না। ফড়িং ভাল। কিন্তু বিষপিঁপড়া খারাপ। বিষপিঁপড়া কামড় দেয়। বিষপিঁপড়া সিঁড়ির রেলিং-এ হাঁটে। আর কামড় দেয়। বিষপিঁপড়া কামড় দিলে অনেক ব্যথা লাগে। লাল হয়ে যায়। অনেক অনেক ব্যথা লাগে। চোখে পানি চলে আসে। কিন্তু কাঁদা যায় না। আম্মু বলেছে বড় হলে আর কাঁদা যায় না। আমি বড় হয়ে গেছি, কদিন পড়েই নানার মত দাঁড়ি হবে আমারো। সাদা দাঁড়ি। আর আমার চশমাও লাগবে। নানার চশমাটার মত। তখন আমিও খাতা দেখব। আর লাল কালি দিয়ে এক দুই চার পাঁচ লিখব বড় বড় করে।

আমার লাল কলমও থাকবে। নানা দেবে লাল কলম।

বাংলা খাতা আমার পছন্দ না। কিন্তু লাল খাতা আমার পছন্দ। নানা লাল খাতা দিয়েছে। আমি লাল খাতায় লিখব। লাল কলমে।

এখন না, নানা যখন দেবে তখন লিখব।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা এগিয়েছে তরতর করে, চমৎকার লেখা। তবে একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে - লেখা একটু ছড়িয়ে গেছে বলে মনে হয়েছে। কিন্তু, পড়তে খুব ভাল লেগেছে। পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
- একলহমা

মর্ম এর ছবি

পড়তে ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

লেখা ছড়িয়ে দেয়াটা খানিকটা ইচ্ছাকৃত। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যখন ২০/২২ বছর পেছনে তাকাই, তখন চিন্তাভাবনা অত গোছানো ছিল না, সেটাকে ধরারই চেষ্টা ছিল এখানে।

এ ধরণের গল্পগুলো লেখার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের জায়গাটাই বোধ হয় এখানে, যাদের জন্য লেখা তাদের নাগালের বাইরে থেকে যাওয়া আর যাদের হাত হয়ে ওদের কাছে পৌঁছবে ওদের 'মানদন্ড'র দায় মেটানো ইয়ে, মানে...

উপায় একটাই। দেখা জগতটাই লেখায় আনা, সেটাই চেষ্টা করেছি আর কি!

মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গল্পের মধ্যে সবচে’ কঠিন হচ্ছে কিশোরদের জন্য লেখা – কারণ এখানে ব্যালেন্স রাখা কঠিন। তারপরে কঠিন হচ্ছে পিচ্চি্তোষ গল্প লেখা – কারণ এখানে নিজে পড়ে শুনে বুঝতে হয় গল্পটা পিচ্চিরা বুঝবে কিনা।

এই গল্পটাতে খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ চমৎকার। সেটা অবশ্য মর্মের সব গল্পতেই পাওয়া যায়। কিন্তু একটা নীট গল্পের ঘাটতি অনুভব করলাম। পিচ্চিতোষ গল্পে মূল গল্পটা থাকা আবশ্যিক। এখানে সেটা লাল কলম অর্জন বা সবুজ পেন্সিল খুঁজে পাওয়ার হতে পারতো। যদিও শেষমেশ লাল কলম পাওয়া গেছে কিন্তু সেটা অর্জনের গল্প নয়। তাই গল্পটা কিছুটা তৃতীয় জনের চোখ দিয়ে দেখা একটা পিচ্চির গল্পের মতো হয়ে গেছে।

একটা জিনিস চোখে লাগলো। রেড লীফ কলম কি এখন বাংলাদেশে পাওয়া যায়? সম্ভবত না। এখন ঐ রকমের রিফিলওয়ালা (আমরা বলতাম কলমের শীশ্‌) কলমই মেলা ভার। এখন তো জেল পেনের যুগ!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মর্ম এর ছবি

সচলরাও আমার গল্প পড়েন তাহলে! অ্যাঁ সত্যি সত্যি ভাল লাগল হাসি

১। এক লহমা কে যেটা বললাম, পিচ্চিদের জন্য লেখাটা আসলেই কঠিন! তবে সেটা 'পাঠকশ্রেনী'র জন্য! এটা অনস্বীকার্য যে, 'সচলায়তনে'-এ গল্পটার যে মতামত পাব, সেটাই 'ছোটদের কাগজ'-এ হলে হয়ত ভিন্ন হত! এমনিতে পিচ্চিদের জন্য লেখাটা খুব কঠিন তা না, সবাই আমরা পিচ্চি ছিলাম তো এককালে, সে সময়টা মাথায় রাখলেই হয় যায়! আমি অন্ততঃ তাই করি!

২। মিঁয়াও যখন প্রথম লিখি তখনও এ ঝামেলা ছিল, এটা অবশ্য আমার দায়, শেষ লাইনটা মাথায় থাকল, পরে যদি আবার লিখি কাজে লাগবে। কয়েকটা পর্ব হলে আর গল্পগুলো মাথায় থাকলে এ খটকাগুলো থাকবে না আর, মিঁয়াও-তেই যেমন পরে হয়েছে।

৩। এবার পাঠকের মতামত চাইব। 'রেড লিফ' কলম যে নাই সেটা আমার জানা ছিল, জেল পেন-এর যুগ সে-ও। তবুও 'রেড লিফ' রেখেছি, সেটা কি বস্তু বোঝার জন্য ক'কলম লিখেছিও। যুক্তি একটাই, নিজে ছোট ছিলাম যখন তখন সেরা ছোটদের লিখিয়ে যাঁরা ছিলেন- সাজেদুল করিম, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, হুমায়ূন আহমেদ, শাহরিয়ার কবীর, আলী ইমাম, সত্যজিত রায়- ওঁদের লেখাতে এমন অনেক কিছু পেয়েছি যা দেখি নাই, তাতে পড়ার আগ্রহ একটুও কমে নাই। কখনো বরং পড়েই জেনেছি, ছবি দেখেছি পরে, সে আগ্রহটা হয়েছে লেখাটা পড়েই। এ ব্যাপারে আপনার মতামত পেলে ভাল লাগবে।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

তিথীডোর এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডবের মন্তব্য পাওয়া ভাগ্যের কথা। আসলেই। হাসি

গল্প চমৎকার লাগল। চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মর্ম এর ছবি

এই গল্পটাতে খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ চমৎকার। সেটা অবশ্য মর্মের সব গল্পতেই পাওয়া যায়।

এ কথাটা আমার অনেকদিন মনে থাকবে। তখন বলিনি, এইবারে বলে গেলাম! লইজ্জা লাগে

তোমাকেও থ্যাঙ্কুস হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সচলরাও আমার গল্প পড়েন তাহলে!

- সচলদের পাঠাভ্যাসের ব্যাপারটা একটু আন্ডারএস্টিমেট করা হলো না!

১। পিচ্চিতোষ গল্প সময়ের সাথে সাথে পালটায়। ত্রিশ বছর আগে আমি যে গল্প পড়ে আনন্দ পেয়েছি বা উচ্ছ্বসিত হয়েছি আজ সেই গল্প পড়ে আমার সন্তান অনেক কিছুই বুঝতে পারবে না। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই উপযোগিতার পরিবর্তন না ঘটানোতে অনেক ছোটদের পত্রিকা বাজার হারিয়েছে। আমার ছোটবেলায় একটা প্লাস্টিকের বানানো রেডিও বা টেলিভিশন দিয়ে খেলতে দিলে আমরা খুশি হতাম। কিন্তু এখন ছয় মাস বয়সী বাচ্চাকেও খেলনা মোবাইল দিলে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। জানি না ব্যাপারটা স্পষ্ট করতে পারলাম কিনা।

২। গল্পের শেষটা নিয়ে আগেভাগে ভাবার দরকার নেই। গল্পকে বহতা নদীর মতো বইতে দিতে হয়, শেষটা আপনা আপনি দাঁড়িয়ে যাবে। 'মিঁয়াও'-তে কিন্তু গল্পের ঘাটতি নেই, এজন্য 'মিঁয়াও' সফল। তাছাড়া পিচ্চিতোষ গল্পে ক্লাইমেক্স-উত্তেজনা এগুলো থাকতে হবে, নয়তো পিচ্চিরা ধৈর্য্য রাখতে পারবে না।

৩। উল্লেখিত সাহিত্যিকরা কিন্তু তাঁদের সময়ে সবচে' আধুনিক গল্পটাই লিখেছেন। আমরা দশ-বিশ-ত্রিশ বছর পরে পড়ায় কিছু কিছু আর্টিকেল বা ইভেন্ট হয়তো আউটডেটেড মনে হয় কিন্তু তাঁরা কখনো নিজের গল্পে জোর করে আউটডেটেড কিছু ঢোকাননি। আর কিছু জোর করে করতে গেলেই ব্যাখ্যা বা আরো দুই কলম লেখার দায়টা চলে আসে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

প্রথমে পড়তে গিয়ে সত্যজিত রায়ের একটা গল্পের (নাকি উপন্যাস?) কথা মনে হচ্ছিল - ফটিকচাঁদ কি? হতে পারে, নাম মনে নেই। তবে লেখাটা সেই রকমই লেগেছে - তরতর করে এগিয়ে যাওয়া লেখা, লেখার মাঝখানে হোঁচট খাওয়া নেই, অথচ পিচ্চি মনের হদিসটা খুঁজে পাওয়া যায়।
তবে মনে হচ্ছে লেখাটা অসমাপ্ত। কারণ বেশ কয়েকটা সূত্র শুরু হয়েছে কিন্তু একটাও পরিণতির দিকে এগোয় নি। আর শেষের দিকে এসে একটু কেমন যেন তাল কেটে গেছে, এটা কি ইচ্ছাকৃত?

লেখাটা অসমাপ্ত হলেই ভালো হয়, কারণ তাহলে এরকম মজাদার আরেকটা গল্প পাবো।

মর্ম এর ছবি

পিচ্চি মনের হদিসটা খুঁজে পাওয়া যায়

এইটাই চাইছিলাম, জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

'যেমন-ইচ্ছা-তেমন' লেখার চেষ্টা বলতে পারেন। পিচ্চিদের কান্ডকারখানাও বলতে পারেন- এই ব্যাপারটা খুব ভাল লাগত আমার- চিন্তার কোন ঠিক ঠিকানা নাই, এই এখানে, এই অন্যখানে! আবার যদি বলেন হঠাৎ থেমে যেতে ইচ্ছে হয়েছে থেমে গেছি সেও ভুল হয় না! খাইছে

আর সত্যজিত রায়ের গল্প? মনে পড়ছে না! ইয়ে, মানে...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

রোবোট এর ছবি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ
গল্পটা কি পিকুর ডায়রী?

মর্ম এর ছবি

সেরকমই মনে হচ্ছে, তবে পিকু আরো বড় ছিল মনে হয় ইয়ে, মানে... বইটা হাতের কাছে নেই, নয়ত দেখে নিতাম!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এটাও পড়ে ফেললাম। এবার পরের পর্ব ছাড়েন

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মর্ম এর ছবি

খাইছে

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।