বাঘের মাসি 'মিঁয়াও'

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৭/২০১৩ - ৯:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[প্রাককথনঃ মিঁয়াও-কে যাঁরা চেনেন তাঁদের তো বলার নেই কিছু, যাঁরা চেনেন না, তাঁরা ‘মিঁয়াওচরিত’ দেখে নিতে পারেন চাইলে। পরিচয়টা হয়ে যাবে তাতে। তাঁরাও আর সবার মত করে জানবেন মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!

এটাও জানা থাকা দরকার, মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!

সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।]

বাড়ি ফিরে অবধি শান্তি পাচ্ছে না মিঁয়াও- “বিচ্ছিরি বিষ্টি!”- নাক কুঁচকায় ও। সারাটাদিন ধরে হয় ঘুম- “আহহাহাহা কী শান্তি কী শান্তি! জগতে কত সুখ!”- ভাবতে আবেশে জড়িয়ে আসে চোখ। আর নয়ত ঝিম ধরে শুয়ে থাকা- সে মেঝেতেই হোক- একদম ফ্যান বরাবর- “মেঝেটা কী ঠান্ডা! হিম হিম আর বাতাস কেমন লোম ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়! আহা! আরাম!” চট করে যেন চেখে নেয় একটু।

অবশ্যি ঘুমিয়ে আর ঝিমিয়েই তো আর দিন কাটে না- “মোটেই না!”- ভেবে নেয় মিঁয়াও- অনেকখানি পরিশ্রমের কাজও কি আর করে না ও? সকালে ঘুমটা ভাঙ্গতেই তো একবার বাইরে বেড়িয়ে আসতে হয়- সে কী কম দূরে- হয় রান্নাঘরের পাশের গ্রীলের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আড়মোড়া ভেঙ্গে ছোট্ট লাফে জানালার কার্নিশে আর পরের লাফে ডানদিকের দেয়ালটায়- পা ফসকালেই বিপদ- নীচে সব ময়লা ভেসে যাচ্ছে- ড্রেনে- “ই-ই-ই-মা-গো!”- শরীর সিরসিরিয়ে উঠে ভাবতেই! দেয়ালে উঠে গেলেই বাঁচোয়া- অনেকটা জায়গা হাঁটার- ধীরে সুস্থে শেষ মাথাটা পর্যন্ত হেঁটে গেলে বিরাট আমগাছটা- নীচে বড় একটা জায়গায় আলগা মাটি ছড়ানো- লাজুক হাসে মিঁয়াও, তিরিতিরি কাঁপে গোঁফক’টা- প্রতিদিন সকালে, মাঝে মাঝে বিকালে আর রাতেও- ‘বুক ধুক পুক করতে থাকে তখন! গা ছমছম করা জায়গাটা!”- ওখানে যেতে হয় ওর। রাতে হলে মাঝে মাঝে সাথে মিঁইয়াও লেজ ঝুলিয়ে চলে- “তুই আবার কই যাস!”- মিঁয়াও নকল রাগ দেখায়- না করে না অবশ্য- আরেকজন কাছাকাছি থাকলে ভয় কম! মুরগীগুলা থাকে লাগোয়া বাঁশে তৈরি ঘরটায়- ভরসা করে লাভ নেই অইগুলার উপর, দরজা তো থাকে বন্ধ- “ঘন্টাটা পারিস তোরা! কেবল কক কক কক্কক কক!”- মেজাজ গরম হয় ওর!

আর দিক দিয়েও আসা যায়। বাসার ভেতর দিয়েই। বড় রুমটার এক কোনে দরজা, কমলা মতন আলমিরাটার পাশেই- “কী বিচ্ছিরে রে বাবা! কেমন অষুধ অষুধ গন্ধ!”- শুঁকে দেখেছে মিঁয়াও- “মিঁইয়াও হতভাগাটা এর নীচে ঘুমোয় কী করে কে জানে!”- চিন্তাও হয় ওর- তা হোক, ও পাশ কাটায়- দজাটা খুলতেই বাঁদিকে একটা দরজা- ডানদিকে রান্নাঘরের খোলা দরজাটা- আর সোজা গেলে বেশ অনেকটা ফাঁকা- করিডোর বলে একে- “করিডোরটা পেরিয়ে দরজার বাঁদিকে”- নিতুনের আম্মু কাকে দিক চেনাচ্ছিল সেদিন, মিঁয়াও তখন কাছেই শুয়ে- মানুষটা ওদিকেই গেল- মিঁয়াও বুঝেছে ‘করিডোর’ মানে- ওর শেষ মাথায় দরজা- ডানেও একটা- “এত এত দরজায় কী অত কাজ!”- মিঁয়াও ভাবে। আরেকটা ঘর এটা- ঢুকেই উল্টোদিকে খোলা জানালা- মাঝে মাঝে এদিক দিয়েও বের হয় ও- তবে খোলা থাকলে সামনে দরজা দিয়েই বের হয়- ছোট্ট বারান্দা একটা, রেলিং আর গ্রীল ঘেরা- “হে হে আমায় আটকাবে এগুলো দিয়ে!”- ও ঠিক গ্রীলের ফাঁক গলে বেড়িয়ে আসতে পারে- সামনেই ঝোপ- জায়গাটা নরম- বাসার মুরগীগুলা সারাটাদিন এখানে খুটখুট করে- “কী আছে ওখানেরে বাবা! সেই তো খোসা আর ময়লা!”- মিঁয়াও জায়গাটা ঘুরে দেখেনি তাতো আর নয়। তারপরেই পুকুর- আর সামনে না গিয়ে ডানে গেলে কোনায় সে আমগাছটা!

রাস্তার কী আর অভাব? পুকুরের পাশটা দিব্যি আসা যায়- হেঁটে- চাই কি কার্নিশে উঠে- এমন কী উপরতলা থেকে বেরিয়ে টুপ করে সামনের গাছটায় লাফ দিয়ে নেমেও আসা হয়ে যায়! যখন যেমন ইচ্ছে- মিঁয়াও তখন সেদিক দিয়ে আসে এখানটায়- তবে দেয়ালের দিকটাই ভাল- আরেকবার ভাঙ্গে ও- “ব্যায়ামটাও হয়ে যায়!”- “শরীরটা ঝরঝরে রাখবি রে!”- মা বলত সব সময়, মনে পড়ে ওর।

এই আসা যাওয়া ছাড়াও ঘুরে বেড়ানোটাও বড় একটা কাজ। মিঁইয়াও কেবল ঘুরে বেড়ায়- সারাটাদিন- তা মিঁয়াও আর কী করে- ও ও ঘুরে বেড়ায় সাথে সাথে। “জায়গাটা মন্দ নয় একদম”- মিঁয়াও এ ক’দিনে বেশ আবিষ্কার করেছে সেটা- নিতুনের আম্মুরও ওকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই অত- “কোত্থেকে-ঘুরে-এসে-কী-সব-লাগিয়েছিস-গা’য়-ইদিক-আয়-দেখি-এক্ষণ-পরিস্কার-করে-দি”র বায়নাক্কা নেই অত- নিতুনবাবুও দিব্যি ব্যস্ত সারাদিন- এর সাথে ঘুরে বাসায় ফিরছে আবার ওর সাথে বেরিয়ে যাচ্ছে- ‘একটু কোলেও নেয় না!”- অভিমানই হয় ওর- আবার খুশিও- কুমড়োপটাশ ফিরে গেছে- মার খাবার ভয় নেই একটুও- জীবনটা চানাচুর বানিয়ে দেয় একদম- “হতভাগাটা!”- রাগ ঝেড়ে শান্তি পায় বেশ।

বড় ঘরটা, সারাদিন শুয়ে থাকে যেখানে, তার সামনেই বারান্দা, দু’ধারে গ্রীল আছে, কিন্তু মাঝখানটায় কিছু নেই- আবার দুটো ধাপ- আস্তে আস্তে উঠোনে নামার জন্য- সামনেটায় মস্ত উঠান- সামনে অনেক ক’টা গাছ- “ওগুলোর নীচেটায় কী যে আরাম! চার পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকতে- ছায়া ছায়া আর ঠান্ডা ঠান্ডা- শুধু বদখত মুরগীগুলা-” - আবার মেজাজ টং হয়ে যায়- ওইগুলার জন্যই ওখানে যাওয়া যায় না অত- গেলেই কক্কক কক্কক কক্কক করে অনত্থ করে একদম- “তোরা বাবা তোদের মত থাক! আমি আমার মত! আমায় নিয়ে তোদের অত গা জ্বলে ক্যান!”- মিঁয়াওয়ের মাথায় ঢোকে না এটা।

তবে মজাও আছে- বিচ্ছিরি ঠিক কিন্তু বৃষ্টিতেই মজা! বৃষ্টি হতেই মুরগীগুলা সব কক কক করতে করতে দল বেঁধে আসতে থাকে- বারান্দায় ঊঠবে বুঝি- ও তখন ঠিক দু পায়ের উপর বসে থাকে, চোখ নাচে, আর লেজটা নড়তে থাকে, ডান থেকে বাঁইয়ে আর বাঁ থেকে ডানে- “হে হে হে আস বাপু আস! এখন? তখন তো আমাকে যেতে দাওনি ওখানে, এখন থাক ওখানে- যাও যাও!”- খুশিতে দাঁত বার হয়ে আসে ওর- আর থাবাটা জিভে চেটে পরিস্কার করে নেয়- আস্তে আস্তে- পুরো মনোযোগ যেন ওখানেই।

পেছনের পুকুরটাই বেশ লাগে মিঁয়াও-এর। কত বড় আর কত মাছ! “ইশ সাঁতার কাটতে পেতাম যদি!”- ওর মাঝে মাঝে মনে হয়। মাছ ধরার চেষ্টাও করে দেখেছে- “বেশি পাজি!”- মাছগুলা। কী অদ্ভুত চালাক। পুকুরের পাশটায় সিঁড়ি দেয়া যেখানে- একদম পানি পর্যন্ত যাওয়া যায়- তার শেষ সিঁড়িটাতে মাঝে মাঝে বসে থাকে ও- তখন দেখেছে- পিচ্চি পিচ্চি সব মাছ কিলবিল করে পানি যেখানটায় শুরু ওখানে- মাথাটা ভাসায় আর ডুব দেয়- সবক’টা একসাথে- তা মিঁয়াও পা নামানোর চেষ্টা করতেই সব ক’টা পালায়! আর পা ভিজতেই কেমন লাগে- “কী এমন হত পা যদি না ভিজত পানিতে!”- পুকুর লাগোয়া যে গাছটা কাত হয়ে একদম মাঝপুকুরের উপর ঝুলে আছে-ওটায় শুয়ে মাঝে মাঝে ভাবে ও- “দিব্যি মাছগুলো পর্যন্ত পৌঁছানো যেত তবে!”- এরপর আর পায় কে- ভাবতেই চোখ চকচক করে ওর।

“বেড়াল কত কী পারে!”- ভাবতেই ভাল হয় যায় ওর মন!

সেদিন দুপুরবেলাতেই হবে- বড়রুমটাতেই- টিভি চলছিল- নিতুনবাবু, নিতুনবাবুর আম্মু আর নিতুনবাবুর আম্মুর আম্মু চুপচাপ বসে- এক আম্মু আরেক আম্মুর চুল আঁচড়ে দিচ্ছে- মিঁইয়াও যথারীতি আলমিরাটার তলা থেকে মাথা বের করে সামনের দুপায়ের উপর আলতো করে গুঁজে শুয়ে আছে আর ও আছে দরজার পাশে- চোখ টিভির দিকে- তবে বন্ধ হয়ে আসছে মাঝে মাঝে-

হঠাৎ খাড়া হয়ে বসে গেল এক ঝলকে। টিভিতে একটা বেড়াল দেখা যাচ্ছে! খেলছে, লেজটা খাড়া! কী সুন্দর! সাথে নিতুনবাবুর মত বাবু একটা, ওর সাথেই খেলছে। যাচ্ছে, ছুঁয়ে দিচ্ছে- আবার যাচ্ছে- “দারুন খেলা তো!”- মিঁয়াও ভাবে- আলমারির দিকে চোখ যায়- মিঁইয়াও ঊঠে বসেছে, বেরিয়ে এসেছে আলমারির তলা থেকে- ও ও দেখছে তন্ময় হয়ে- হুঁশ নাই কোন-

ওরা যেখানে খেলছে- পাশেই একটা পুকুর- হঠাৎ কী হল- বাবুটা এক ছুটে চলে গেল- বেড়ালটা তখনো ওখানে- হঠাৎ পেছনে ফিরল- আর সাথে সাথেলোম সব ক’টা দাঁড়িয়ে গেল ওর- আর দেখে মিঁয়াও-এর ও- পুকুর থেকে উঠে এসেছে- কী বড়!- একটা কুমির!- “পালা! ওরে! পালা!” উত্তেজনায় বলে ফেলে মিঁয়াও- চোখ ঠিকরে বেড়িয়ে আসতে চাইছে ওর- আরো একটু এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় টিভিটার কাছে- গা ঘেঁষে দাঁড়ায় মিঁইয়াও- “কী সাংঘাতিক!”- ও বলে ফিসফিসিয়ে-

টিভির বেড়ালটা ততক্ষণে রেগে কাঁই- কেবল ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করে যাচ্ছে- আর এগিয়ে যাচ্ছে কুমিরটার দিকে- “আরে বাবা! পিছিয়ে আয়! হা-টা দেখেছিস! মাথাটাই তো তোর সমান!”- টিভির বেড়ালটাকে দেখে রীতিমত আহাজারি করে মিঁইয়াও- ‘নিতুন, আম্মা, দেখ দেখ না বেড়ালটা কী করছে! কুমিরের সাথে কী করছে দেখ!”- নিতুনের আম্মুরও চোখে পড়ে এইবার- “লা হাউলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!”- চমকে ওঠে দোয়া পড়েন নিতুনের নানু- “এইগুলি সত্যি নাকি রে?”- মেয়েকে বলেন- “তাইতো দেখছি! ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে দেখাচ্ছে তো!”- টিভিতে চোখ রেখি উত্তর দেন নিতুনের আম্মু- "কোথায় এটা?"- নানু বলেন আবার- "কী জানি অস্ট্রেলিয়ার কোথায় জানি, ঐখানে এরকম কুমির উঠে আসে মাঝে মাঝে"- নিতুনের আম্মু চটজলদি জবাব দেন- "অস্ট্রেলিয়াতা কোথায়?"- মিঁয়াও বোঝার চেষ্টা করে নিজে নিজে-

ততক্ষণে টিভির বেড়ালটা ফ্যাচ-চ-চ করতে করতে এক থাবা মেরে বসেছে কুমিরের চিবুকে- কুমিরটা কেমন তাকাল একবার- সে বেড়াল তখনও লাফাচ্ছে- সব ক’টা লোম খাড়া- লেজটা নাড়ালো একটু কুমিরটা- কী ভেবে নেমে গেল পানিতে-

“বিজয়! বিজয়!”- কেঁপে উঠল মিঁয়াও- “দেখছ আম্মা! কী আজিব!”- নিতুনের আম্মু বললেন, নিতুন ততোক্ষণে তার কোলের কাছটিতে এসে বসেছে- ও ও তাকিয়ে টিভির দিকে- “আম্মু আবার এসেছে দেখো! এবার দুইটা!”- আঙ্গুল দেখায় ও- সবাই দেখছে তখনও-

মিঁয়াও ভড়কে যায় একদম, মিঁইয়াও-ও, ওই কুমিরটা উঠে এসেছে ফের, সাথে আরেকটা! এটা আরো বড়! “আর বীরত্ব ফলাসনে! পালা এবার!”- মিঁইয়াও কাতরে ওঠে- সে বেড়াল কী আর শোনে- সে লাফাচ্ছে তখন একেবারে- ফ্যাচ ফ্যাচ চ চ চ করেই যাচ্ছে, আর এগিয়ে যাচ্ছে- ওই যে হাতে হাত লাগিয়ে মেরে মেরে লাফিয়ে লাফিয়ে খেলে না মানুষগুলো ওরকম করে- লাফাচ্ছে আর এগিয়ে যাচ্ছে, একটু পিছিয়ে আবার এগুচ্ছে- একদম কাছে পৌঁছে গেল বড় কুমিরটার- ছোটটা পেছনে- তাকিয়ে আছে ওদের দিকে-

“কী সাহস ওটার! দেখছো আম্মু!”- নতুন বলে আস্তে করে- আম্মু তখনও দেখছেন-

বেড়ালটা লাফিয়ে ওঠে চাপড় মারল কুমিরটার চোয়ালে- কুমিরটা পিছিয়ে গেল একটু- আবার এল ঘুরে- বেড়ালটা এগিয়ে গেল আবার- আবার থাবা মারল কুমিরটার চোয়াল বরাবর- পিছিয়ে গেল আবার কুমিরটা-

“বাঘের বাচ্চা!”- মিঁয়াও চেঁচিয়ে উঠল উত্তেজনায়-

কুমিরটা ফিরে তাকালো- অন্যটার দিকে চোখাচোখি হল- আবার তাকালো- বেড়ালটা লাফাচ্ছে তখনও- আবার তাকালো একজন আরেকজনের দিকে- সবার চোখ টিভিতে-

কুমিরদুটো আস্তে করে পানির দিকে হাঁটা ধরল- বেড়ালটা দাঁড়িয়ে- ফ্যাচ ফোচ থেমেছে- সব কটা লোম দাঁড়িয়ে তখনও- লেজটাও-

“কী অদ্ভুত!”- নিতুনের আম্মুই মুখ খুললেন প্রথমে- “বেড়াল বাঘের মাসী সে কী এমনি এমনি বলে!”- নিতুনের নানু অস্ফূটে বলেন- “আমাদের মিঁয়াও-এরও অমন সাহস, না আম্মু!?”- নিতুন হুট করে বলে-

মিঁয়াও তাকায় মিঁইয়াও-এর দিকে, দুইজনের চোখ চকচক করছে খুশিতে-

টিভির দিকে তাকায়- ছবিটা আর চলছে না- তবে বেড়ালটাকে দেখা যাচ্ছে তখনও-

মিঁইয়াও বলে- “এ বেড়াল নয়, মোটেও নয়।“- মিঁয়াও একমত হয়- চোখ সরায় না- যোগ করে আরেকটু-

“এ হল গিয়ে ‘সুপারক্যাট’!! “


মন্তব্য

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

বরাবরের মতোই - লেখা পুরোই "ম্যাঁও" হয়েছে।

মর্ম এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

"এ হল গিয়ে ‘সুপারক্যাট’!!" হাসি
- একলহমা

মর্ম এর ছবি

হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আয়নামতি এর ছবি

ছোটদের জন্য একটা দারুণ সিরিজ হবে আপনার এধরনের লেখাগুলো নিয়ে চলুক

মর্ম এর ছবি

সিরিজ তো হয়েই আছে, কত দিন ধরে লিখছি এটা- ছোট কারো নজরে পড়েছে কি না কে জানে, অনলাইন তো ঠিক ছোটদের জায়গা না ইয়ে, মানে...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।