'সিংঘ'-কথন

এই কে আছিস, 'সিংঘ'টারে এইখানে আন ডেকে-
সাক্ষীমশাই দেখ বসে ঐ, কোক ঢেলে দিস কেক-এ!

সিংঘ রে, তোর জন্মদিনে একলহমার আশা
এই দেখে নিস, আর বলে দিস, লাগছে ভারি খাশা!

'চলচ্ছবি'র দোষ দেখিনে, 'সিনেমাখোর' ব্যাটাই
লাগাচ্ছে ঘোট, দেখছি যত, পড়ছে চোখে সেটাই!
সেইখানেতে একটা বুঝি মাত্রা গেছে হারা,
ছন্দ তাতেই কাটছে বোধয়, অমনি ছড়ার ধারা!

ও প্রফেসর বুঝে নিন; সিংঘ নে তাঁর আশীষ,
বার্তাখানি মাথায় করেই রাজ্য ঘুরে আসিস!

ও সিংঘ দেখ, তানিম ভায়াও এই এয়েছেন আজি,
রাজত্বে তোর আপত্তি নেই, তোর খুশিতেই রাজি!
ন্যাজ বাঁকিয়ে ঘাড় নেড়ে তোর মুকুটখানা পড়ে,
জন্মদিনে সময় নিয়ে যাস রে সালাম করে!

ও সিংঘ তোর খুশির চোটে নিয়াজ দিলেন তালি,
হতচ্ছাড়া, আন গে কতক 'হাউ-ডু-য়ু-ডু'র ডালি!!

রাগলি বুঝি? সিংঘ বেকুব! কাঁচকলা নয়, ওরে-
ইশরাতও আজ শুভেচ্ছাদের যাচ্ছে দিয়ে তোরে!

ও সিংঘ, আয় জলদি করে, এই এসেছেন আয়না,
'বাড্ডে' ক'বেন- এসেই তিনি, এই ধরেছেন বায়না,
এমনি দূরে থাকলে কী হয়?! কেউ তো তোরে পায় না!
সেই দুঃখেই দ্যাখ এসে- কেউ 'বাড্ডে-টু-ইউ' গায় না!

বাংলার বতুতার, জয় গাই জয়-
এমনি বতুতা আর কয়খানি হয়-
ইউরোপ আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে
আম্রিকা এশিয়ার কোটাটুকু পুরে-
এই তিনি এয়েচেন সিংঘের কাছে-
কেদারায় বসা রে! হুইখানে আছে!

ঐ ব্যাটা সিংঘ, আসবি নে তুই?
এক্ষণে আয় দেখি- রেডি-এক-দুই-

এই সচলের হাজার হাজার পাতায়
এমনি কত আনন্দরা আছে,
কত্তজনের কত্ত মজার আচার-
এই শেখা তো সেই ওদেরি কাছে!

সচল আবার জমবে আগের মত,
আড্ডা হবে আজিব নতুনতর-
এই তো আশা, খুব কি হল বড়!?

এমনি করে সবাই যখন বেশ তো ভাল বলছে-
তাইতে করেই কথার পিঠে দিব্যি কথা চলছে-
কার ব্লগে এই এমনি করে কথার চালাচালি
দেখেছিলেম, সেই কথাটি, ভাবছি খালি খালি-

রোমেল ভাইও পা ফেলেছেন এসে?
বড্ড খুশির ব্যাপার হল দেখি-
শব্দ দেখি পাই না খুঁজে কোথা,
প্রশংসাতেই ভাসল নাকি? সেকী!?