হারিয়ে গিয়ে চিরদিনের থাকার খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলা পূর্বসুরীরা আমার,
জানি না কেন হঠাৎ তোমাদের সাথেই কথা বলতে ইচ্ছা করল! খবরের কাগজগুলো তোমাদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে থেকে থেকে, খবরে তোমাদের পুরনো ছবি, তোমাদের নিয়ে লেখা কেবল টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অনেক অনেক কঠিন সেই দিনগুলোতে, আমাদের সাধ্য কি তোমাদের মত করে ভাবতে পারি, বুঝতে পারি, দেখতে পারি? কেবল জানতে চাইতে পারি- তোমাদের কথা, তোমাদের হারিয়ে ফেলার কথা, তোমাদের ফিরে পাওয়ার কথা।
শুনেছি আপনজনেরা হারিয়ে যান না কখনো, ওঁরা ফিরে ফিরে আসেন। চলে গিয়েও। ফেলে যাওয়া আপনজনদের আড়াল থেকে চুপটি করে দেখে যান- ওদের খুশিতে ওঁরাও শান্তি পান, দুঃখে ওঁদেরও মন ভার হয়।
যা ভারতের পরম চাওয়া ছিল
সেইখানি তো পাওয়া হয়েই গেছে,
এবার নাহয় আমরা পেলাম কিছু
সব ভাল নয় হয়েই যাবে মিছে।
আজ বিধাতা দিক আমাদের হাতে
অনেক চাওয়ার একটা জয়ের মালা,
ভারত নাহয় আর কোনদিন পাবে
আজ হয়ে থাক বাংলাদেশের পালা!
সারাদিনটায় মনে থাকে না অত, কিন্তু শেষ বিকেলটায় এসে শুভ’র সময় আর কোন মতেই কাটতে চায় না। বলতে গেলে শরীরের অংশ হয়ে ওঠা চেয়ারটাকে একেবারে অসহ্য লাগতে থাকে, ছোট্ট এক খন্ড নিজের ভূবন হয়ে ওঠা কিউবিকলটাকে মনে হয় নির্ভেজাল জেলখানা, সাদা টেবিলের ওপর একাকী পড়ে থাকা কালো মাউসটাকে মনে হতে থাকে কিলবিলে ইঁদুর, ইন্টারনেট আর দুনিয়া ঘোরার জানালা থাকে না- এক নিমেষে হয়ে পড়ে পৃথিবী আড়াল করা ঝাপসা পর্দা।
“...কেউ বলছে কিছু বলছে কেউ বলব বলব করছে
কেউ বলতে না পারা যন্ত্রনা নিয়ে গুমড়ে গুমড়ে মরছে...।“
ডেস্কটপের স্ক্রিনে নানান রঙের ঢেউ ভেসে বেড়াতে থাকে মিডিয়া প্লেয়ারের জানালায়, আর শ্রীকান্ত গাইতেই থাকেন, অবিরাম। কী-বোর্ডে হাত দিয়ে বসে থাকি কেবল- লেখার খোলা পাতা সাদাই থাকে, মাঝে মাঝে একটা দুটো শব্দ উঁকি দেয় আবার কিসের পিছুটানে ফিরে যায়, হয়ত সঙ্গী শব্দদের খুঁজে আনবে বলে।
কল্পনাতে মনের ছবি
আঁকার তুলি কত,
সব কটা রং এক করেও
চেষ্টা করি যত,
অনেক অনেক আপন ছিলেন যাঁরা,
নেই যাঁরা আর এই পৃথিবীর 'পরে-
আমরা যেমন তাঁদের ভুলেই বসি,
তাঁরাও ভোলেন ঠিক তেমনি করে?
হঠাত্ কোন বিষাদ ভরা দিনে,
স্মৃতির তাঁরা মনটাকে যান নেড়ে-
এমনি করে তাঁরাও কি আর ভাবেন
কেমন তারা যাঁদের এলেন ছেড়ে?
যেমন করে ওঁদের নানান কথা
আড়াল ছেড়ে চোখের কোনে ভাসে,
তেমনি ওঁরাও দেখেন কি আর ফিরে?
সেই স্মৃতিরা ওঁদের মনেও আসে?
যেমন করে সব মানুষের ভীড়ে
[এ লেখাটা যাঁর জন্য তাঁর মন আজকে অসম্ভব খারাপ। মন খারাপ কখনো কখনো ব্যাখ্যাহীনরকম সংক্রামক। মন তাই আমাদেরও খারাপ। হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি আবারও হাস্যোজ্জ্বল হয়ে উঠুন, কায়মনোবাক্যে তাঁর জন্য এই শুভকামনা।
...তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে....। মঙ্গল হোক সবার।]
এমনি করেই বিদায় যদি হয়,
হয় কি তবে থাকার কোন মানে?
নাই যদি কেউ বুঝলো কিছু কথা,
মূল্য কি আর রইল কোন খানে?