“আই থট কানাডা উড স্কোর এইটি এইট!”
।এক।
‘কী জুঙ্গা?!’
‘কিয়াজুঙ্গা!’
‘ঠিক জানিস তো? এই নাম? কিজুঙ্গা?
‘আরে কতবার বলি, কিজুঙ্গা না তো, কিয়াজুঙ্গা!’
‘কী আজিব নাম রে বাবা! শুনলেই কেমন আফ্রিকা আফ্রিকা গন্ধ লাগে নাকে!’
‘লাগুক না বাবা! তাতে কি? তুমি দেখ আগে কী করতে পার। জানায়ো কিন্তু।‘
ঋদ্ধ’র চিন্তার আসলেই শেষ নেই। বিশ্বকাপ চলে আসতে আর ক’দিন মাত্র বাকি, অথচ টিকিটের টিকিটি এখনো দেখা যায়নি। খোঁজ-খবর কম নেয়া হয়নি এর মধ্যে, আশা করার মত তেমন কোন খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
আর কিছুটি চাইনে আমার,
রত্ন কিবা ছাই-
একটা কেবল পোষ-মানানো
ড্রাগনছানা চাই।
আগুন ছুড়ে মারবে না সে,
আসবে না সে তেড়ে-
ছোট্ট হবে শিং দুখানি,
রাগ যাবে চোখ ছেড়ে!
একটু তারে ভয় পাবো না,
সেও পাবে না মোরে-
রোজ বিকেলে খেলতে যাব,
আমরা কেবল; জোড়ে!
চড়ব পিঠে আলতো করে,
লাগবে না ওর গায়ে-
নিজের সুখে উড়বে ড্রাগন,
সামনে-ডানে-বাঁয়ে।
মেঘের দেশে ঘুরতে যাব,
দুই মুঠিতে ভরে-
আনব কিছু মেঘের গুড়ো,
রাখব যতন করে। ...
আর কত? সহ্যেরও তো একটা সীমা থাকে, নাকি?!
সেই তখন থেকে চেষ্টা তো করে যাচ্ছি- ঘুম আসছে কই? মনটাকে একটু সামলে- চোখ বন্ধ করে- ঘুমের চিন্তা এনে- দশ থেকে এক উলটো গুণে- লাফিয়ে বেড়ানো ভেড়া গুনে- ঘুমানোর চেষ্টা যত করছি, চোখ যেন তত খুলে খুলে যাচ্ছে।
কতক্ষণ হল? অনেকক্ষণ? নাকি- খানিকক্ষণ? মনে তো হচ্ছে- অনন্তকাল।
সেই কখন থেকে- মাথার যন্ত্রনাটা ভুলে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি- আসছে আর কই? রাতে ইউর ...
কতটুকুই বা পথ? শাপলা চত্ত্বর থেকে দোয়েল চত্ত্বর পর্যন্ত? ২ কিলো হবে কি হবে না। কোনমতে ভার বয়ে চলা বাসে জ্যামে আটকে জেরবার হলে ঘন্টাখানেক লেগে যায়, ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে বড়জোর দশ মিনিট।
মন যদি ভাল থাকে জনতা ব্যাংকের সদর দপ্তরের নীচে বিশ্রামে থাকা রিকশাওয়ালাদের আর পল্টনের জ্যাম ঠেলে বা হঠাৎ পাওয়া ফাঁকা ময়দানে গোল দেয়ার সাধ যদি তাঁদের হয়েই যায় তাহলে পৌঁছে যাওয়া চলে আধ ঘন্টায়, পনে ...
[উপক্রমনিকাঃ
লেখাটা পড়ার সময় নীচের ব্যাপারগুলো ঘটেছে ধরে নিলে হয়তো পড়তে ভাল লাগবে-
১। 'দুলহা' মানে 'বর' তার প্রায়োজনিক এবং আয়োজনিক সাজে সেজে বর-যাত্রী নিয়ে চলে গেছে 'দুলহান' মানে 'কনে'র বাড়ি;
২। কনের বাড়ি-তে পৌঁছার পর পেরিয়ে গেছে অনেকটা সময়;
৩। মুঠোফোন-এর বিপুল 'জাল' থাকা সত্ত্বেও 'বর'-এর বাড়িতে কোন খবরাখবর যায়নি অনেকক্ষণ ধরে;
৪। শেষমেষ আর ধৈর্য ধরতে না পেরে কোন এক ইঁচড়ে পাকা 'বর'-এর ...
ঘড়ির কাঁটা টিকটিকিয়ে
যাচ্ছে ঘুরে;
যাক!
ঘুমের চোটে ঢুলছে যারা
ঘুম তাদেরি
পাক!
অন্য যারা জীবন ছকে
কষছে নানান
আঁক-
রাত বিরাতে ঘুমের চোখে
তারাই জেগে
থাক!
বিরক্তিতে চায় যদি কেউ
দিক না জোরে
হাঁক-
কেউ না আসুক, আসবে ঠিকি
ঢাকাই মশার
ঝাঁক!
কথার কথায় কোথায় জানি
শুভঙ্করের
ফাঁক-
ভাত দিয়ে আর মাছ ঢাকেনা,
লাগবে পালং
শাক!
৪/৭/৯
[খানিক পরিবর্ধিত]
[মাঝে মাঝে কি হয় বলা মুশকিল, পুরানো খাতাপত্র নিয়ে বসি। ইচ্ছে হলে পুরানো ডায়েরীর কল্যানে খানিক নস্টালজিক হয়ে ফেলে আসা দিনে উঁকি দিয়ে আসি। কখনো সমস্ত দিন তার রেশ নিয়ে কাটে, কখনো সমস্ত দিনের রেশ কেটে যায় ওদের নিয়ে বসে। আপাতঃ মূল্যহীন, টেবিলে ধুলো জমানো জঞ্জাল হঠাৎ করেই মূল্যবান হয়ে ওঠে- বইয়ের আড়ালে পড়ে থাকা খেলনার টুকরো হয়ে ওঠে আলাদীনের চেরাগ। চোখে আশ্চর্য মমতা ভর করে- ছোট ছোট এলোমে ...
[মিঁয়াও সিরিজের গল্পগুলো পর্ব পর্ব করে লেখা হলেও একটার সাথে আরেকটার তেমন যোগ নেই, এ কথা মনে হয় জানিয়ে রাখা দরকার!
নতুন নতুন নাম দেয়ার ঝক্কি থেকে বাঁচার একটা বড় উপায় এমন সিরিজ করে ফেলা- এটা মোটামোটি পরীক্ষিত সত্য।
তবে মিঁয়াও-কে ভালো করে চিনে নিতে চাইলে এখানে দেখা যেতে পারে, আগ্রহী পাঠকেরা বাকি গল্পগুলোর লেজ ওখানেই খুঁজে পাবেন।
[মুখবন্ধ-
'কর্পো' শব্দটা দিনে দিনে আমাদের অভিধানে ঢুকে গেছে, আমরা সবাই 'কর্পো' নিয়ে কিছু না কিছু জানি। সেই 'জানা'গুলো আরেকবার ঝালিয়ে নিতেই 'কর্পোনুগল্প'!
শুরুতেই বলে রাখছি-
"যাহা বলিব (ঘুরাইয়া প্যাঁচাইয়া হইলেও) সত্য বলিব, (ঝামেলায় পড়িয়া গেলেও) সত্য ব্যতিরেকে (একান্ত আবশ্যক না হইলে) মিথ্যা বলিব না!!"]
হাজিরা
হাজিরা খাতায় লাল দাগ মানেই মুশকিল- এডমিনের কাছে যাও, এবসেন্ট থাকার কৈফিয়ৎ ...