কেমন হতো পিঠের 'পরে
থাকতো যদি পাখা?!
আকাশ জুড়ে খানিক উড়ে
কোথাও যেতো রাখা?
উড়তে যেতাম কক্সবাজারে
সাগরপাড়ের হাওয়ায়,
মনটা দিতাম বিকেল রোদে
অশেষ আমোদ পাওয়ায়।
ঢেউয়ের ছোঁয়ায় পা ভিজিয়ে
আবার যেতাম উড়ে-
হিমছড়িতে যখন তখন
যেতাম খানিক ঘুরে।
লালচে রবির পরশ পেতে
দূর আকাশের বুকে-
উড়াল দিতাম পাখির মতো
গা ভাসাতাম সুখে।
ইচ্ছে হলে সাগর ভুলে
কোন্ পাহাড়ের চূড়ায়,
খানিক বসে বিরাম শেষে
মনটা দিত...
লালচে পাড়ের সফেদ শাড়ি,
রাস্তা জুড়ে ঘোড়ার গাড়ি,
ফুটপাথে বই, মন্ডা, মেঠাই,
চরকি, বাঁশি, আখ-
পাঞ্জাবিতে নবীন সাজে,
ভোরের আলোয় প্রবীন সাঁঝে,
নতুন দিনের বার্তা আনে
পহেলা বৈশাখ।
খুশীর পরশ সবার মনে,
বাংলা বছর বদল-ক্ষণে,
সবার মুখেই হাসির আভায়
দুঃখ আড়াল খোঁজে-
সবাই জানে সুখের মানে,
তাই মাতে বেশ প্রাণের গানে,
অন্তবিহীন আনন্দে মন
আশার বাণী বোঝে।
মন ছুটে যায় বটমূলে,
প্রাণ মাতানো গানের কূল...
আকাশ কালো হয়ে আছে মেঘে, একটু আগেও বেশ হাওয়া দিচ্ছিলো, এখন পুরোপুরি বন্ধ। সবকিছু কেমন থম মেরে আছে। বাতাসে উড়তে থাকা ধুলোর গন্ধ। কে বলবে কিছু আগেও চারদিক আলো করে সূয্যিমশাই বেশ আড়ম্বরেই আকাশে ঝুলছিলো!
দেখতে দেখতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। বড় বড় ফোঁটা সরাসরি মাটিতে পড়ে ছিটকে পড়ছে, আবার কোনাকুনি উড়ে আসছে ছোট ছোট পানির কনা। বারান্দা ভিজে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। লোমশ শরীরটায় হাওয়ার ঝাপটা এতোক...
ইচ্ছে করে চুপটি করে
সকল কথা বলতে,
ইচ্ছে করে উদাস মনে
অচিন পথে চলতে।
ইচ্ছে করে আকাশ থেকে
বৃষ্টি পেড়ে আনতে,
ইচ্ছে করে অদ্ভূতুড়ে
সকল কিছু মানতে।
ইচ্ছে করে ভুবন ভুলে
নিজের মনে ভাসতে,
ইচ্ছে করে ইচ্ছেমতন
একটুখানি হাসতে।
ইচ্ছে করে সবাই মিলে
কোথাও গিয়ে ঘুরতে,
ইচ্ছে করে পাখনা মেলে
গগনজুড়ে উড়তে।
ইচ্ছে করে সমন ভুলে
যখন তখন রাগতে,
ইচ্ছে করে সবার সাথে
আড্ডাতে রাত জাগতে।
ইচ্ছে করে চি...
[পর্ব ১, ২, ৩ আর ৪ ও সাথেই রইলো। আলাদা আলাদা পর্ব- কাজেই পড়লেও চলবে,না পড়লেও।]
ডাইনিং রুমের টেবিলটার আশেপাশে মিঁয়াও পায়চারি করছে বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেলো। টেবিল নিয়ে ওর এতো মাথাব্যথা নেই, কিন্তু টেবিলের ওপরে যে প্যাকেটটা রাখা হয়েছে কিছুক্ষণ আগে সেটা তাকে চিন্তায় ফেলেছে- সমস্যা হলো দুশ্চিন্তা সুরাহা করার উ...
[পূর্বলেখঃ
কবিতা বুঝিনা। তাই পড়িনা, লেখার তো প্রশ্নই আসেনা। তবে পদ্য লেখা অতি পছন্দের কাজ, সেগুলো মুঠোফোনের বার্তা হিসাবে পাঠানোর কাজটা আরো পছন্দের।
হঠাত্ কী হলো, একদিন দেখি পাশা উল্টে গেছে! আমাকেই একজন বার্তা পাঠিয়েছে, আধুনিক কবিতা!
উত্তর না দেয়ার অভদ্রতা করার তো প্রশ্নই আসেনা। সাহস করে লিখে ফেললাম ক'লাইন, পাঠিয়েও দিলাম। চললো কদিন এভাবে। নিজের সাফল্যে নিজেই চমত্কৃত।
ক'দ...
কত্ত দিনের
কত্ত কথা
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
নানানরকম স্বর্ণস্মৃতি,
একটু হাসি, একটু প্রীতি,
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
হাজার রকম কাজের ভীড়ে,
গল্প কতো, দেখছি ফিরে;
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
ভবিষ্যতের নানান আশা,
'যাচ্ছি' ভেবে সেই হতাশা,
পড়ছে মনে, যাবার ক্ষণে।
যাই যেখানেই স্রোতের টানে,
মন তোমাদের বন্ধু জানে,
মানছি মনে, যাবার ক্ষণে।
রইবে সবাই মনের মাঝে,
উঠবে জেগে নানান কাজে,
ভাবছি মন...
না-ই হলো আজ কালবোশেখী ঝড়,
না-ই এলো আজ
হালকা দারুণ হাওয়া,
গরম কিছু না-ই গেলো আজ কমে,
না-ই হলো আজ
বাইরে কোথাও যাওয়া।
চারদিকে তা-ও
খুশীর আমেজ মাখা,
হয়তো কোথাও বাজছে তবু শাঁখ-
জৈষ্ঠ, শ্রাবণ,
আষাঢ়, ফাগুন ঘুরে
ফিরলো আবার পহেলা বৈশাখ।
শুভ নববর্ষ!!
[মিঁয়াও এর গল্পগুলো আলাদা আলাদা, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই। তবে পড়তে চাইলেও দোষ নেই কোন, মিঁয়াও খুশীই হবে। চাইলে দেখে নেয়া যেতে পারে পর্ব ১, পর্ব ২ আর পর্ব ৩]
১.
সন্ধ্যার পর পর বাসার অবস্থা সবসময়ই জমজমাট থাকে।
ছোড়দা তার নিত্যকার আড্ডা সেরে বাড়ী ফিরে মা র বিছানার রাজত্ব নিয়ে বসে জোরেশোরে হাঁক দেয়, ওরে আমার কিন্তু চা চাইনে! অনি জানে এর মানে হলো - এক্ষুণি চা চাই!
দেখতে দেখতে বড়ভাইজানও ফেরে, কোন্ এক কোম্পানীর বেচা বিক্রি নিয়ে ভেবে মাথা আউলা করে ফেলছে, তাও ভালো সকাল সকাল ফিরতে পারে বাসায়- সূয্যি ডোবার পরেই।
বাবা ফেরে আর একটু আগে, কাছেই আপিস...