ধুত্তুরি ছাই! ভাল লাগেনা!
কিচ্ছু করার কাল লাগেনা!
ফালতু কথার জাল লাগেনা,
চিলেকোঠায় চাল লাগেনা,
নৌকাতে আর পাল লাগেনা,
তিলের পিছে তাল লাগেনা,
কথায় কোন গাল লাগেনা,
আড্ডাতে আর হাল লাগেনা,
নদীর বুকে খাল লাগেনা,
ভাতের সাথে ডাল লাগেনা,
পিঠের 'পরে ছাল লাগেনা,
লাল মরিচে ঝাল লাগেনা,
লড়াই করার ঢাল লাগেনা,
চিলমচি আর থাল লাগেনা,
দোকানভরা মাল লাগেনা,
ইতিহাসের সাল লাগেনা।
কোন এক অজানা কারণে সেই পিচ্চিকাল থেকেই চোখের দ্বিতীয় জোড়া মানে চশমার দিকে আমার দুর্নিবার ঝোঁক।
পূর্বলেখ:
নানান সময়ে নানান উপলক্ষে কাছের মানুষগুলোকে মুঠোবার্তায় বিদ্ধ করেছি। এগুলো থেকে প্রকাশযোগ্যগুলো সবার সামনে নিয়ে আসার চিন্তা ছিলো। কেনো জানি মনে হচ্ছে চিন্তাটা এখানে বাস্তবে রূপ দেয়ার একটা চেষ্টা করা যেতে পারে। পাঠকের ভালো লাগছে ফের চেষ্টা করা যাবে, নচেত্ শুরুতেই শেষ হোক যাত্রা।
এইবারের কিস্তি:
"নবীন মায়ের নরম কোলে
সদ্য আসা শিশু,
বিমল সুখের এমন ছবি
ঘাড়ের চামড়া ধরে ঝুলিয়ে রাখতে দেখলে মনে হয় অতি ব্যথা লাগছে বুঝি, কথাটা আধা সত্য আবার আধা মিথ্যা। যুত্সই করে না ধরলে ঘাড়, গলা আর পিঠের চামড়ায় টান পড়ে বেহাল হয়ে ইয়া নফসি ইয়া নফসি জপ করা ছাড়া গতি থাকেনা। কিন্তু বেড়ালমাত্রই জানে অমন আরামের চলাফেরা আর নাই।
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি,
তোমায় খুঁজি বাস্তবে;
পাইনা ঢাকায়, বি বাড়িয়ায়,
কোথায় তোমার বাস তবে!?
কোথায় তুমি লুকিয়ে আছো?
দেখতে কেন পাচ্ছিনে?
এই খোঁচা দাও, আবার পালাও,
এমনতো আর চাচ্ছিনে!
কোথায় তোমায় খুঁজবো বলো?
কথায়, কাজে, অন্তরে?
সবুজ মাঠে, খেলার হাটে,
কিংবা নদীবন্দরে?
এত্তো দূরে আর থেকোনা,
এরচে মনের মরণ দাও,
ভক্ত হয়ে ভিক্ষে মাগি,
এই আমাদের শরণ নাও।
যেইখানেতে যাই করে যাই
মাঝে মাঝে বিপদে পড়লে খাটের তলাটা খুব কাজে দেয় এটা ঠিক। কিন্তু এমনিতে খাটের উপরটাই মিঁয়াওয়ের পছন্দ।
সুখ- হাসি- গান- আড্ডা- তালের ফাঁকে
দিন কেটে যায় দারুণ রুটিন ধরে-
মধুর সময় মুখ তুলে চায় শুধু
মুখর প্রাণে নবীন উছাস ভরে!
হঠাত্ কী হয় একলা কোন ক্ষণে
মন উদাসীন স্মৃতির মালা গাঁথে,
মুক্তো হাতে আনমনা মন ভাবে,
কারণ ছাড়াই হারায় স্মৃতির সাথে।
বুকের লুকোন্ দুঃখগুলো বুঝি
আবার জাগে গহীন ঘুমের শেষে,
আমরা পুতুল, মনের সুতোয় নাচি,
অতীত ঘাঁটি ধুলোয় মলিন বেশে।
গুমরে মরি কোন অজানা শোকে,
ছোট্ট সফেদ বেড়ালছানা
সতেজ, নবীন প্রাণ-
মিহি গলায় 'মিউ' আবাহন,
আনন্দে তার ত্রাণ।
লেঁজ উচিয়ে লম্ফ দেয়া,
কিংবা হুটোপুটি-
নরম থাবার আলতো আঁচড়,
নেইকো খেলায় ত্রুটি।
যাই দেখে তাই শুঁকতে ছোটে,
শব্দে খাড়া কানে-
পিটপিটে চোখ, ল্যাজের দোলায়
খেলায় আমোদ আনে।
খেলায় চলে বাঁচতে শেখা,
রক্ষাকবচ চেনা,
বিপদ এলে আড়াল খোঁজা,
কিংবা আদর কেনা!
ছোট্ট পায়ে ভর করে তার
উত্সাহী পথ হাঁটা-
মিঁয়াও যে জায়গাটায় বসে আছে এখন সেটা তার খুব একটা পছন্দের না,তবে অস্বীকার করার উপায় নাই যে হঠাত্ আসা বিপদে আত্মরক্ষার সময় জায়গাটা খুব কাজে দেয়।
মামদো ভূতে ঘুমের ঘোরে
ঘুরছে যে ঢ্যাং ঢ্যাং,
সুযোগ বুঝে ওরাং ওটাং
মারছে তারে ল্যাং!
বাঁদরগুলো রব ভুলে বেশ
করছে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ,
জিরাফ নাকি জল খাবেনা
চাইছে গরম ট্যাং!
ভীমরুলেরা দল বেঁধেছে,
খুলবে বিরাট গ্যাং,
চিংড়ি হঠাত্ গুমড়ে বলে,
"ডাকবি আমায় চ্যাং!!"
শেয়ালমামার মনটা খারাপ,
চিন্তা যে তার হ্যাং,
তাই না দেখে হুতুম প্যাঁচক
বেশ সেজেছে ঝ্যাং।
আজগুবী সব কান্ড দেখে
পটল তোলে ব্যাঙ,
ভূত...