ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। আমেরিকার ইতিহাসে অন্যতম সফল প্রেসিডেন্ট। ক্লিনটন এ্যডমিনিস্ট্রেশনের সময় আমেরিকা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছিল। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে একটানা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ২২ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান যা কিনা কোন একক রাষ্ট্রপতির আমলে সর্বোচ্চ, সর্ব কালের সর্বোচ্চ বাড়ী বিক্রয় হার, আমেরিকার ইতিহাসের সর্বনিম্ন বেকারত্বের হার, শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সহ আরো ডজন ডজন সাফল্য গাঁথা ছিল ক্লিনটন এ্যডমিনিস্ট্রেশনের। কিন্তু তারপরও ক্লিনটনের পর কোন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেনি। ক্লিনটনের স্থলাভিষিক্ত হলেন রিপাবলিকান জর্জ বুশ (জুনিয়র)/ এই জুনিয়র বুশের আট বছরে আমেরিকা কোথা থেকে কোথায় গেছে তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু আমার সবচাইতে অবাক লাগত এই ভেবে যে কিভাবে আমেরিকার মানুষ ক্লিনটনের উত্তরসূরি হিসাবে বুশ কে নির্বাচিত করল?
জুনিয়র বুশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কারণ হিসাবে অনেকেই বলেন ফ্লোরিডার ভোটের রেজাল্ট ছিনতাইয়ের কথা। হয়ত ফ্লোরিডায় রেজাল্ট ছিনতাই হয়েছে কিন্তু ফ্লোরিডা তে জেতায় বুশ পেয়েছিলেন ২৫ টি ইলেক্টরাল ভোট। প্রশ্ন হল বাকি ২৪৫ টি ইলেক্টরাল ভোট তো বুশ কে পেতে হয়েছে। কিভাবে সম্ভব এটা যেখানে বুশের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রতিদ্বন্দ্বী আল গোর ছিলেন ক্লিনটনের ভাইস প্রেসিডেন্ট, এক অর্থে ক্লিনটনের অভূতপূর্ব সাফল্যের এক কান্ডারী ও অংশীদার। বিষয়টি আসলেও ভেবে দেখার মত। ব্যাপারটার গভীরতা বুঝতে আরো সাহায্য করবে একটি তথ্য। আল গোরের নিজের স্টেট টেনেসি। এখানে ১৯৭৬ সালে ৯৪% ভোট পেয়ে আল গোর কংগ্রেস সদস্য পদে জিতেছিলেন এবং এরপর টানা দুইবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।। শুধু তাই না, যখন আল গোর সিনেট ইলেকশনে দাঁড়ালেন তখন টেনেসির ইতিহাসে প্রথমবারের মত কেউ ৯৫ টার মধ্যে সবকটি কাউন্টিতে জয়ী হয়েছিলেন। এরপর তো ক্লিনটনের-গোর জুটি ১৯৯২ আর ১৯৯৬ দুই বারই টেনেসি থেকে জিতে আসল। অথচ সেই টেনেসিতেই ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট ইলেকশানে হেরে গেলেন আল গোর। ক্লিনটন এ্যডমিনিস্ট্রেশানের এত চমৎকার উন্নয়ন গাঁথার ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার পরও নিজের স্টেট টেনেসি তে প্রেসিডেন্ট ইলেকশানে আল গোর হেরে যাবেন তা ছিল কল্পনার অতীত। কি এমন ঘটল টেনেসি বা সারা ইউএসএ জুড়ে যে মানুষ ডেমক্রেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল? কিভাবে জিতে আসতে পারল রিপাব্লিকান বুশ-চেনী জুটি?
২০০০ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশান জেতার জন্যে রিপাবলিকান রা এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছিল। কার্ল রোভ নামে এক জন ইলেকশান এক্সপার্ট কে নিয়োগ দিয়েছিলেন জর্জ বুশ কে জিতিয়ে আনার জন্যে। কার্ল রোভ কখনও প্রকাশ্যে বলেন নি কি কৌশল তিনি অবলম্বন করেছিলেন কিন্তু এখন এই ১৩ বছর পরে পিছন ফিরে তাকালে বিষয়টি বেশ স্পষ্ট ভাবেই চোখে পড়ে। যে কাজ টি তখন করা হয়েছিল তা হল ক্লিনটন এ্যডমিনিস্ট্রেশনের "অবিশ্বাস্য" সাফল্য কে জনগনের কাছে "অ-বিশ্বাস্য" করে উপস্থাপন করা অর্থাৎ জনগনের মনে "কিন্তু" ভাব তৈরী করে দেয়া প্রতিটি সাফল্যের ব্যাপারে যাতে সাফল্য থাকা সত্ত্বেও তার সুফলটি উন্নয়নকারী ভোগ করতে না পারে। বারংবার বলে যাওয়া যে ক্লিনটন যেগুলোকে তার সাফল্য বলছেন সেগুলো আসলে শুভঙ্করের ফাঁকি, এগুলোকে আপাত দৃষ্টিতে উন্নয়ন বলে মনে হলেও আসলে এতে দেশের অমঙ্গল ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় নিহিত; বিজ্ঞানের যে সাফল্যের কথা ক্লিনটন এ্যডমিনিস্ট্রেশান বলছে তাতে ধর্মের ও ধর্মভীরু মানুষদের অস্তিত্ব বিপন্ন...ইত্যাদি। অন্যদিকে চালু ছিল রিপাবলিকান মণভাবাপন্ন কলাম লেখকদের আল গোরের বিষয়ে একের পর এক তাছিল্য মূলক আর্টিকেল প্রকাশ যার অধিকাংশই ছিল অত্যন্ত তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে লিখা। এই সব কলাম প্রকাশ থেকে বাদ যায় নি নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ইত্যাদি প্রথম সারির পত্রিকাও। একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি পরিষ্কার হবে। সত্তরের দশকে ইন্টারনেটের প্রসারের রিসার্চের জন্যে কংগ্রেসের থেকে এই খাতে টাকা বরাদ্দে আল গোর মুখ্য ভূমিকা পালন করে। আল গোর ক্যাম্প তাদের বিজ্ঞান সহায়ক ভুমিকা তুলে ধরার জন্যে এই ব্যাপারটিকে প্রচার করেছিল। রিপাবলিকান প্রপাগান্ডা মেশিন এই তথ্য টিকে উলটে দিয়ে তাচ্ছিল্য ভরে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিল যে আল গোর দাবী করেছে সে "ফাদার অফ ইন্টারনেট"...এই নিয়ে হাসাহাসি, জোকস, টক শো আলোড়ন থেকে শুরু করে পত্রিকার প্রধান শিরোনাম সবই করা হয়েছিল। এবং এতে পুরোপুরি আড়ালে চলে গিয়েছিল ইন্টারনেট বিস্তার তথা বিজ্ঞানমুখী গবেষণা বিস্তারে ডেমোক্রেটদের সাফল্য গাঁথাটি। এই ধরনের আরো ডজন ডজন উদাহরন আছে। এরকম প্রোপাগান্ডার উদ্দেশ্য ছিল দুটোঃ এক, আল গোরের ব্যাপারে আমেরিকানদের মনে সংশয় তৈরী করে দেয়া; দুই, আল গোর কেও বুশের পর্যায়ে নামিয়ে আনা যেন নেগেটিভ ভোটের বেনিফিট পাওয়া যায়। যেহেতু বুশের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রায় একশ ভাগ নিশ্চিত সুতরাং এক্ষেত্রে এই নেগেটিভ খেলা আর প্রোপাগান্ডার রিস্ক নিয়ে রিপাবলিকানদের হারানোর ছিল না কিছুই কিন্তু পাওয়ার ছিল অনেক কিছুই। যা তারা পেয়েওছিল।
সুতরাং ইলেকশানে জিতার খেলায় প্রোপাগান্ডা কে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নাই। ভালোর পাল্লা বিচারে যখন হেরে যাওয়া সুনিশ্চিত তখন প্রতিপক্ষ সম্পর্কে মানুষের মন বিষিয়ে দিয়ে খারাপের পাল্লায় তাকে নিজের সমতায় নিয়ে আসা...এই হল একবিংশ শতাব্দীর ইলেকশান ইলেকশান খেলায় জেতার মূল রেসিপি। আর এই রেসিপি মোতাবেক ইলেকশান রান্নার জন্যে তো এখন শুধু কার্ল রোভের মত ব্যাক্তি নয় আছে আন্তর্জাতিক এ্যডভাইজিং ফার্ম যারা মোটা টাকার বিনিময়ে ওয়ার্ল্ড মিডিয়া কে পর্যন্ত হাতের মুঠায় এনে ফেলতে পারে।
মন্তব্য
আমাদের দেশেও তো জামাতের হারানোর কিছু নেই...
কিন্তু একই ভাবে পাওয়ার অনেক কিছু নেই তো সামনে??
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কথাটি খুবই সত্যি। কিন্তু দুঃখ জনক হলো ব্যাপার হল যে দেশের অন্যতম প্রধান ও দায়িত্ব শীল রাজনৈতিক দলও যখন জামাতের প্রোপাগান্ডা কে সাপোর্ট করে।
এইটা মনে হয় সফলতা না। এই কম্মের জের তারা এখনো টানে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার মন্তব্যের কারনে আরেকটু পড়াশুনা করলাম। ক্লিনটনের সময়ে বাড়ী বিক্রি কে উতসাহিত করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু লোন দেয়ার সময় যথেষ্ট সতর্কতা রেখেই লোন আপ্রুভ করা হত। কিন্তু বুশের সময়ে তিনটা ঘটনা ঘটেঃ ১/ বাড়ি বিক্রির হার যাতে কমে না যায় তাই যথেচ্ছা লোন দেয়া হয়েছিল ২/ যুদ্ধের কারনে দেশে অর্থনৈতিক মন্দার কারনে চাকুরী চলে যাওয়ায় ক্লিন্টনের সময়ে বাড়ী কেনা অনেক কেই ডিফল্টার হতে হয় ৩/ সাব প্রাইম লোন সহ আরো উদ্ভট সব নিয়মে (আসলে নিয়ম বহির্ভুত) মানুষকে বাড়ী কেনায় উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। এসবের কারনে হাউসিং মার্কেটে এই মহা বিপর্যয় ঘটে। বুশ ক্যাম্পেইন খুব সফল ভাবেই হাউসিং মার্কেট ক্রাশের দায় ক্লিনটন ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছিল ২০০৮ এর ওবামা ইলেকশানের সময়।
ক্লিন্টন যুগের সাফল্য-অসাফল্য নিয়ে আরো গভীরআলোচনা করাই যায়। কিন্তু এই লেখার মূল প্রতিপাদ্য-র সাথে পুর্ণ সহমত।
- একলহমা
ধন্যবাদ
দারুণ বিশ্লেষণ। ৫ তারা।
সাম্প্রতিক অনেক কিছু নতুন করে ভাবতে সাহায্য করলো আপনার এই লেখা। বাংলাদেশের কথাই বলছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ। আপনার প্রশংসা আরো লিখতে উৎসাহিত করবে।
আগেরবার বিজেপি তথা এনডিএ এমন কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের প্রপাগান্ডার কাজে লাগিয়েছিল বলে শুনেছি, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রপাগান্ডা স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে বেশ কাজে দেয়। জাতীয় নির্বাচনে কিছু প্রার্থীকে জেতানো/হারানোর ক্ষেত্রেও কাজে দেয়। তবে জাতীয় নির্বাচনে সরকার গঠন করে ফেলতে পারবে এমন ঘটনা প্রপাগান্ডা দিয়ে সম্ভব না।
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় একটা কথা বলি। প্রচুর ভারতীয় কোম্পানী বাংলাদেশকে পশ্চিমবঙ্গের অনুরূপ মনে করে পশ্চিমবঙ্গে খাটানো মার্কেটিং-সেলস-ডিস্ট্রিবিউশন পলিসি বাংলাদেশে প্রয়োগ করে শেষে চাট্টিবাট্টি গোল করে চলে গেছে। সুতরাং কোন পলিসি খাটানোর আগে দেখে নিতে হবে সেটা 'অ্যাপ্রোপ্রিয়েট' কিনা। নয়তো যতো বিখ্যাত কোম্পানী হোক, তার প্রপাগান্ডা মেশিন ফেইল করতে বাধ্য।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কিন্তু প্রোপাগাণ্ডা তো বাংলাদেশের নির্বাচনে কাজ করতেছে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেই দেখা গেলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন তো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সেখানে প্রপাগান্ডা কাজে দেয় সেটা তো আমিও বলেছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হুমম্। দেখা যাক জাতীয় নির্বাচনে কি হয়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে। ভারতীয় কোম্পানী গুলোর বাংলাদেশকে পশ্চিমবঙ্গ মনে করা, এ্যপ্রপ্রিয়েট পলিসি না খাটানো আর প্রোপাগান্ডার ব্যাবহার এই তিনটি বিষয়ের এক্টির সাথে আরেকটির যোগাযোগ টা পরিষ্কার হল না। আরেকটু খুলে বললে আমার জন্যে বুঝতে সুবিধা হত।
ভারতীয় কোম্পানীর বাংলাদেশকে পশ্চিমবঙ্গের অনুরূপ মনে করা মানে হচ্ছে পলিসি যেখানে খাটানো হচ্ছে সেই জায়গা ও তার মানুষদের চরিত্র-কালচার ইত্যাদি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হওয়া। আর তখন সেখানে পলিসিটাকে অপরিবর্তিত রাখলেই সেটা আর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট থাকলো না।
বাংলাদেশে প্রপাগান্ডার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচনের চরিত্র ও সেখানে একই ভোটারের আচরণ ভিন্ন প্রকৃতির। সুতরাং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে প্রপাগান্ডা কাজে দেবে সেটা জাতীয় নির্বাচনে কাজে দেবে না। মানে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ প্রপঞ্চটার মতো ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট হবে।
তারচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমেরিকাতে জাতীয় পর্যায়ে প্রপাগান্ডা হয়তো কাজ করে, বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে সেটা কাজ করবে বলে মনে করি না। সেটা আমার মন্তব্যেও বলেছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খারাপের পাল্লার নিজের সমতায় নিয়ে আসার ব্যাপারটি এদেশেও চলছে এবং পরবর্তী নির্বাচনে চলবে ।
আপনার বিশ্লেষনের এ দিকটি ভাল লেগেছে
যদিও অপ্রাসংগিক তাও বলি ,গাজীপুরের নির্বাচনটা আমাকে এখনো ভাবায়। আজমত এর মত প্রার্থী মান্নানের মত লোকের কাছে হেরে গেল কেন ?
গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে আসলেই ভাবা দরকার। মানুষ কেন মান্নানের মত একজন দুর্নীতির রেকর্ড ধারীকে পছন্দ করল। এর জন্যে আসলে ভোটার দের বাড়ী বাড়ী যেয়ে নিরপেক্ষ ভাবে মতামত জানতে হবে যে কি কারনে তারা আযমতের উপর বিরক্ত ছিল (বা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে রায় দিল)।
আমি শুনেছি, গাজীপুর নির্বাচনে নানা রকম বানানো ছবি নিয়ে ৫ই মে মতিঝিলে গণহত্যা হয়েছে এমনটা ভোটারদেরকে বোঝানো হয়েছে। এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজটা করা হয়েছে। ভোটারদেরকে বলা হয়েছে, "এখন আপনিই ঠিক করুন মুসলমানকে ভোট দিবেন নাকি নিরীহ আলেমদের খুনীকে ভোট দিবেন"।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধর্মের লেবাসে আর কতদিন তারা স্বার্থহাসিল করবে , আমরা কবে সজাগ হব !
যতদিন না মানুষ (জনগণ) নিজে তার ধর্ম পালন ও সততা কে নিজে ধারণ ও প্র্যাকটিস না করবে ততদিন এই ধর্ম কার্ডের ব্যাবহার রাজনীতিক রা করতেই থাকবে। যার মধ্যে যত ভন্ডামী সে ততবড় পীরের মুরিদ।
আমি নিজেও অনেক কিছুই শুনেছি। তবে এই সব প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে সরকার একা কিছুই করতে পারবে না...শিক্ষিত ও সচেতন মানুষদের নিজ উদ্যোগে এই সব অপ্রচারের কথা পরিবারের সবাইকে বোঝাতে হবে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হত না যদি না রুমি, আযাদ সহ লাখো জনতা নিজ উদ্যোগে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ত। শেখ মুজিব বা তার মুজিব নগর সরকার কিছুই করতে পারত না যদি না মানুষ নিজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হত।
ইন্টারেস্টিং। পড়েছিলাম যদিও আগে এই নিয়ে, আরও লিখুন
facebook
ধন্যবাদ। উৎসাহ সব সময়েই অনুপ্রেরণা।
প্রপাগন্ডা অবশ্যই দেশ, কাল বিবেচনায় হতে হবে, না হলে সেই সৌদি আরবের বিজ্ঞাপনটার মত হয়ে যাবে।
প্রপাগন্ডা নিয়ে আরো লেখা আসলে ভালো লাগবে। খুব ইন্টারেস্টিং লাগলো এই পর্যন্ত।
ইনশা-আল্লাহ লিখব। অনুপ্রেরণার জন্যে ধন্যবাদ।
আমেরিকার মত দেশ যেখানে প্রপাগান্ডায় কাইত, সেখানে আমরা তো কোন ছাড়। গনতন্ত্রের এই এক দুর্বলতা।
আব্দুল্লাহ এ এম
প্রথম প্রথম আমেরিকা এই প্রোপাগান্ডায় ধরা খেয়েছে বটে কিন্তু তারপর কিন্তু ২০০৮ আর ২০১২ তে ঠিকই যথাযথ জবাব দিয়েছে। একই কায়দায় জঙ্গন কে আর কত বোকা বানানো যায়?
প্রপাগান্ডা অবশ্যই ছিলো। কিন্তু শুধু প্রপাগান্ডা দিয়ে এত বড় ইলেকশন জেতা সম্ভব না। ভুলে গেলে চলবে না মনিকা লিউন্সকি স্ক্যান্ডালে ক্লিন্টনকে দ্বিতীয় দফায় কংগ্রেসে ইমপিচ করা হয়েছিলো। এই স্ক্যান্ডাল ও ইমপিচমেন্ট বুশের ক্যাম্পেইনে অনেক সাহায্য করেছিলো। এছাড়া গোরের রানিং মেট ছিলো লিবারম্যান- এটাও গোরের একটা ঘাটতি ছিলো। শুধু প্রপাগান্ডায় যদি কাজই হতো তবে এবার ওবামা না জিতে মিট রমনিই ইলেকশনে জিতত।
আপনার অবজারভেসনের পরিপ্রেক্ষিতে আমার ফেসবুক থেকা লেখা মন্তব্যটি খুব প্রাসংগিক মনে হচ্ছে। তাই এখানে আবার তুলে ধরছিঃ
প্রোপাগান্ডার সাথে কিভাবে লড়াই করতে হয়, তা সুনিপুন ভাবে দেখিয়েছে ওবামা তার ২টি ইলেকশনে, বিশেষ করে ২য় ইলেকশান - যেটি ছিল রমনির বিরুদ্ধে।
রমনি ক্যাম্প অত্যন্ত আশাবাদি ছিল যে তারা জিতবেই। ওবামার হেলথ কেয়ার বিল (ওবামাকেয়ার)-কে তারা সমগ্র জাতির সামনে প্রচার করেছিল চরম ব্যবসায়ী অবান্ধব আর উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে। ওবামার কারনে সবার ট্যাক্স বেড়ে যাবে তা ছিল আরেকটি প্রচারনা। প্রপাগান্ডার মধ্যে আরো ছিল যে সে আমেরিকার নাগরিক নয়। রেড নেক অনেক আমেরিকান এখনো মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে 'সে আরব' অথবা 'মুসলিম'/ বিশ্বের কাছে ওবামা আমেরিকাকে খাট করেছে, দূর্বল অবস্থান প্রকাশ করেছে, মিশরে গিয়ে মাপ চেয়েছে - এগুলো ছিল রমনির অন্যতম আক্রমন।
এত কিছুর মাঝে ছিল চরম অর্থনৈতিক মন্দা আর ঊচ্চ বেকারত্বের হার। ২০১২-এর আগে এত উচ্চ বেকারত্বের হার নিযে কোন সিটিং প্রেসিডেন্ট আমেরিকার ইতিহাসে কখনো জিতে আসতে পারেনি।
তাহলে ওবামা জিতল কিভাবে?
মূলত ২টি কাজ করেঃ
১/ তার Base ভোটারদের ভীষনভাবে উজ্জীবিত করে। এবং
২/ ক্রমাগত মানুষদের মনে করিয়ে দিয়ে যে, রমনি হচ্ছে বুশের উত্তরসূরি, তার পলিসি সব বুশের পলিসির পূনুর্বাস্তবায়ন - যা আমেরিকাকে জ্ঞান বিজ্ঞানে আবার পেছনে ফেলে দিবে আর কিছু অস্ত্র আর তেল ব্যবসায়ির পকেট ভারী করবে। বড়লোক আরো বড়লোক হবে - গরীব আরো গরীব হবে।
প্রথম কাজটি সে করতে পেরেছিল তার unprecedented level of grass-root organization এর কারনে। রমনি ক্যম্প কল্পনাও করতে পারেনি যে এই হারে কালো, হিস্পানিক অ্যার ড্যমোক্রেট সাপোর্টাররা ভোট কেন্দ্রে যাবে। যারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মুভ করেছিল, তারা গাটের পয়সা খরচ অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ঊড়ে গিয়েছে ভোট দেবার জন্য। কিন্তু কোন ভাবেই যেন বুশ পলিসির অন্য এক রিপাব্লিকান হোয়াইট হাউসে আসতে না পারে।
সুতরাং প্রপাগান্ডাকে মোকাবেলা করার উপায় আছে, কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন গুরুত্বপূর্ন কিছু পরিকল্পনা আর সুচারু বাস্তবায়ন। তবে প্রপাগান্ডাকে গুরুত্ব না দিলে, কিছু না করে বসে থাকলে, আল গোরের মত পরিনতি স্বীকার করার জন্য তৈরি থাকতে হবে।
একমত। এর সাথে রিপাবলিকানদের বাইবেল-বেল্ট ভোট ছিল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ঠিকই বলেছেন। ধর্ম কার্ড আমেরিকাতেও অনেকে ভাল খায়।
আপনার অবজারভেসনের পরিপ্রেক্ষিতে আমার ফেসবুক থেকা লেখা মন্তব্যটি খুব প্রাসংগিক মনে হচ্ছে। তাই এখানে আবার তুলে ধরছিঃ
প্রোপাগান্ডার সাথে কিভাবে লড়াই করতে হয়, তা সুনিপুন ভাবে দেখিয়েছে ওবামা তার ২টি ইলেকশনে, বিশেষ করে ২য় ইলেকশান - যেটি ছিল রমনির বিরুদ্ধে।
রমনি ক্যাম্প অত্যন্ত আশাবাদি ছিল যে তারা জিতবেই। ওবামার হেলথ কেয়ার বিল (ওবামাকেয়ার)-কে তারা সমগ্র জাতির সামনে প্রচার করেছিল চরম ব্যবসায়ী অবান্ধব আর উন্নয়নের অন্তরায় হিসেবে। ওবামার কারনে সবার ট্যাক্স বেড়ে যাবে তা ছিল আরেকটি প্রচারনা। প্রপাগান্ডার মধ্যে আরো ছিল যে সে আমেরিকার নাগরিক নয়। রেড নেক অনেক আমেরিকান এখনো মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে 'সে আরব' অথবা 'মুসলিম'/ বিশ্বের কাছে ওবামা আমেরিকাকে খাট করেছে, দূর্বল অবস্থান প্রকাশ করেছে, মিশরে গিয়ে মাপ চেয়েছে - এগুলো ছিল রমনির অন্যতম আক্রমন।
এত কিছুর মাঝে ছিল চরম অর্থনৈতিক মন্দা আর ঊচ্চ বেকারত্বের হার। ২০১২-এর আগে এত উচ্চ বেকারত্বের হার নিযে কোন সিটিং প্রেসিডেন্ট আমেরিকার ইতিহাসে কখনো জিতে আসতে পারেনি।
তাহলে ওবামা জিতল কিভাবে?
মূলত ২টি কাজ করেঃ
১/ তার Base ভোটারদের ভীষনভাবে উজ্জীবিত করে। এবং
২/ ক্রমাগত মানুষদের মনে করিয়ে দিয়ে যে, রমনি হচ্ছে বুশের উত্তরসূরি, তার পলিসি সব বুশের পলিসির পূনুর্বাস্তবায়ন - যা আমেরিকাকে জ্ঞান বিজ্ঞানে আবার পেছনে ফেলে দিবে আর কিছু অস্ত্র আর তেল ব্যবসায়ির পকেট ভারী করবে। বড়লোক আরো বড়লোক হবে - গরীব আরো গরীব হবে।
প্রথম কাজটি সে করতে পেরেছিল তার unprecedented level of grass-root organization এর কারনে। রমনি ক্যম্প কল্পনাও করতে পারেনি যে এই হারে কালো, হিস্পানিক অ্যার ড্যমোক্রেট সাপোর্টাররা ভোট কেন্দ্রে যাবে। যারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মুভ করেছিল, তারা গাটের পয়সা খরচ অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ঊড়ে গিয়েছে ভোট দেবার জন্য। কিন্তু কোন ভাবেই যেন বুশ পলিসির অন্য এক রিপাব্লিকান হোয়াইট হাউসে আসতে না পারে।
সুতরাং প্রপাগান্ডাকে মোকাবেলা করার উপায় আছে, কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন গুরুত্বপূর্ন কিছু পরিকল্পনা আর সুচারু বাস্তবায়ন। তবে প্রপাগান্ডাকে গুরুত্ব না দিলে, কিছু না করে বসে থাকলে, আল গোরের মত পরিনতি স্বীকার করার জন্য তৈরি থাকতে হবে।
দ্বিতীয় কারণ যেটা লিকেছেন সেটাই তো একটা প্রোপাগান্ডা
না প্রোপাগান্ডা ছিল না। কারন আসলেই বুশ আর ম্যাক্কেইনের পলিসির মধ্যে কোন ফারাক ছিল না.....কথার মারপ্যাচে একই ফরমূলা নতুন করে জনগনের সামনে এনেছিল ম্যাক্কেইন। এটাই ওবামা ক্যাম্প চোখে আঙ্গুল দিয়ে মিডল ক্লাস আর স্ট্রাগ্লিং আমেরিকান দের ধরিয়ে দিয়েছিল।
উনি (Bangla২০০০) দ্বিতীয় কারণ রমনি এর কথা বলেছেন। আর আপনি উত্তর দিচ্ছেন ম্যাক্কেইনের পলিসির উদ্বৃত্তি দিয়ে।
শুধু উন্নয়ন দিয়ে ভোটের রাজনীতিতে জয়লাভ করা যায়না এটা আমি খুব ভালোভাবে বিশ্বাস করি।তাই ভালোর পাল্লা বিচারে যখন হেরে যাওয়া সুনিশ্চিত তখন প্রতিপক্ষ সম্পর্কে মানুষের মন বিষিয়ে দিয়ে খারাপের পাল্লায় তাকে নিজের সমতায় নিয়ে আসা...এই হল একবিংশ শতাব্দীর ইলেকশান ইলেকশান খেলায় জেতার মূল রেসিপি।এই কথাটা এখন চরম সত্য বাংলাদেশের নির্বাচনে।
আমি Bangla2000.com এর সাথে সহমত।প্রোপাগান্ডার সাথে কিভাবে লড়াই করতে হয় সেটা জানতে হয়,শুধু নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকলে আর যায়ই করুক নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায়না।সঠিক কৌশল আর কর্ম পরিকল্পনার অভাবেই আজমত উল্লার মতো নেতা একজন দুর্নিতিবান মান্নান এর কাছে হেরে যান।আর বার বার পুরোনো কৌশল দিয়ে মানুষের মনকে জয় করা যায়না।কৌশল না বদলাতে পারলে আওয়ামিলীগের আরেকটা বড় পরাজয় অপেক্ষা করছে সামনে।
মাসুদ সজীব
সহমত
সহমত। ধন্যবাদ আপনার অভিমতের জন্যে।
কিছু মনে করবেন না , আপনার অনুমতি ছাড়া লেখাটা ফেসবুকে শেয়ার দিলাম
কিছু তেমন মনে করি নাই। কিন্তু কার্টেসি হিসাবে লেখকের নাম টা উল্লেখ করলে মনে হয় এথিকালী এপ্রপ্রিয়েট হত। বাট ব্যাপার না।
শুধু লিংকটা দিয়েছি , যাদের পড়ার ইচ্ছা হবে সরাসরি সচলে এসেই পড়বে
আমি আসলে আপনাকে অন্য আরেকজন, যার নামও আপনার সাথে মিলে যায়, তার সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলাম। এজন্যে দুঃখিত।
মাসুদ সজীব
আপনার বিশ্লেষণ চমৎকার। কিন্তু বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে প্রোপাগাণ্ডার ব্যাপারটা অনেক বেশী গৌন মনে হয়। এখানে সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র নিজেদের হাতেই তৈরী, তা হলো বিদ্যমান সরকারের আর্থিক ও সামাজিক অপকর্মসমূহ। নির্বাচনের অনেক আগেই জনমত সরকারের বিপক্ষে চলে গেছে সেটার জন্য বিরোধী দলের কোন কৃতিত্ব নাই, বরং সরকারের মন্ত্রী এমপিদেরকে সফলভাবে অপকর্ম সম্পন্ন করার জন্য কৃতিত্ব দেয়া যায়। জয়ের কাছে যতই খবর থাকুক, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হারবে, এটা কমনসেন্স।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বাংলাদেশে প্রোপাগান্ডা না খাটলেই ভালো। আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। আরেকটা কথা... কমন সেন্স খুব কমন একটা বিষয় নয়...এর অর্থ হল "Good sense and sound judgment in practical matters"। তাই কমন সেন্স কমনলি থাকবে বলে আশা করা হয় কিন্তু কমন মানুষের মধ্যে এটা কমনলি এ্যবসেন্ট থাকে। তাই কমন সেন্স কি বলে তার বিচারে না যাওয়াই শ্রেয়।
আমরা এলিট শ্রেণী মনে করি দেশের মানুষ গর্দভ। সেই জন্য কিছু বিজ্ঞ লেখক স্লো poisoning করার ধান্দায় আর্টিকেল লেখে আর আমরা লাফাই আর লাইক দেই।
মনে করি, আমি BNP করি। তো বলবো--- "এই লেখক BAL এর এজেন্ট। আমাদের সময় যে এতো এতো অর্জন করলাম (দুইবার), প্রত্যেকবারই BAL সরযন্ত্র করে election পার পাইছে।"
এখন মনে করি আমি BAL করি। তো বলবো -- "এই লেখক খুবই সঠিক কথা বলেছেন। আমাদের সময় যে এতো এতো অর্জন করলাম (দুইবার), প্রত্যেকবারই BNP প্রোপাগান্ডা করে election পার পাইছে।"
আসলে দেশের মানুষ অতো বোকা না, বোকা যদি কেও হই সেটা আমরা যারা নিজেদের খুবই পড়াশোনা জানা বিজ্ঞ আতেল আর এলিট ভাবি। দেশের মানুষ প্রত্যেকবারই তাদের আওয়ায সঠিক ভাবেই দিয়েছে। এই লেখক যদি মনে করেন ৫ সিটি নির্বাচনএ সুধু প্রপাগান্ডার কারণে BAL হেরেছে আর BAL এর কর্ম বিল ক্লিন্টনের কর্মের সাথে তুলনীয়, তো তিনি অবশ্যই অন্য দুনিয়াতে বাস করেন।
জনগন চালাক না। কিছু রাজনীতিবিদ জনগন কে তোষামোদির খাতিরে তাদের কে চালাক বলে। এই বোকা জনগণকে দিক নির্দেশনা দিতে তাই দরকার হয় "লিডারের"/ আর যে লিডার যত সফল ভাবে পলিসি নির্ধারনের মাধ্যমে দেশ ও জনগণকে এগিয়ে নিতে পারে সে তত "গ্রেট" লিডার হয়। ২০০০ সালে আমেরিকার জাতীয় ইলেকশানে যদি বারাক ওবামা ক্যাম্প এত শক্ত হাতে প্রোপাগান্ডা মকাবেলায় এগিয়ে না আসত তা হলে "ওবামা সোশালিস্ট", "ওবামা মুসলমান", "ওবামা নন-আমেরিকান" এই সব মিথ্যা গিলিয়ে আমেরিকার জনগনের ভাগ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রন বিরোধী, স্টাইলিশ আর মাথা মোটা সারা পেইলিন জুটতো......... মাছ ধরা আর মুস শিকার করার যুগেই ফিরে যেতে হত আমেরিকা কে।
আরেকটা কথা বলতেই হচ্ছে......আপনার মন্তব্য "সেই জন্য কিছু বিজ্ঞ লেখক স্লো poisoning করার ধান্দায় আর্টিকেল লেখে আর আমরা লাফাই আর লাইক দেই"...কথা টিকে খুবি অফেন্সিভ মনে করছি। আপনি নিজেকে কি মনে করেন সেটা একান্তই আপনার নিজের ব্যাপার। কিন্তু আমার লেখা নিয়ে অযাচিত ভাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে এনে আমার ধান্দা সম্পর্কে মন্তব্য করাকে খুব একটা ভাল চোখে দেখতে পারলাম না। তবে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
২ | লিখেছেন Fallen Leaf [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৮/০৭/২০১৩ - ৮:৫৮অপরাহ্ন)
কথাটি খুবই সত্যি। কিন্তু দুঃখ জনক হলো ব্যাপার হল যে দেশের অন্যতম প্রধান ও দায়িত্ব শীল রাজনৈতিক দলও যখন জামাতের প্রোপাগান্ডা কে সাপোর্ট করে।
১০ | লিখেছেন নজরুল ইসলাম (তারিখ: রবি, ২৮/০৭/২০১৩ - ২:৪৩অপরাহ্ন)
কিন্তু প্রোপাগাণ্ডা তো বাংলাদেশের নির্বাচনে কাজ করতেছে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেই দেখা গেলো
জবাব
Fallen Leaf এর ছবি
১১ | লিখেছেন Fallen Leaf [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৮/০৭/২০১৩ - ৯:২১অপরাহ্ন)
চলুক
১৩ | লিখেছেন Fallen Leaf [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৪/০৮/২০১৩ - ১০:২০অপরাহ্ন)
হুমম্। দেখা যাক জাতীয় নির্বাচনে কি হয়।
১৮ | লিখেছেন Fallen Leaf [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৮/০৭/২০১৩ - ৯:৪২অপরাহ্ন)
গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে আসলেই ভাবা দরকার। মানুষ কেন মান্নানের মত একজন দুর্নীতির রেকর্ড ধারীকে পছন্দ করল। এর জন্যে আসলে ভোটার দের বাড়ী বাড়ী যেয়ে নিরপেক্ষ ভাবে মতামত জানতে হবে যে কি কারনে তারা আযমতের উপর বিরক্ত ছিল (বা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে রায় দিল)।
২২ | লিখেছেন Fallen Leaf [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৪/০৮/২০১৩ - ১০:৩২অপরাহ্ন)
আমি নিজেও অনেক কিছুই শুনেছি। তবে এই সব প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে সরকার একা কিছুই করতে পারবে না...শিক্ষিত ও সচেতন মানুষদের নিজ উদ্যোগে এই সব অপ্রচারের কথা পরিবারের সবাইকে বোঝাতে হবে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হত না যদি না রুমি, আযাদ সহ লাখো জনতা নিজ উদ্যোগে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ত। শেখ মুজিব বা তার মুজিব নগর সরকার কিছুই করতে পারত না যদি না মানুষ নিজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হত।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
উপরোক্ত মন্তব্য গুলো আপনার। এ থেকে মনে হয় আপনার উদ্দেস্শ কি এসময় আমেরিকার ইলেকশন নিয়ে লেখার। যেখানে আমেরিকা তে জন্ম নেয়া এবং আমেরিকার রাষ্ট্র বিজ্ঞানে বড় বড় ডিগ্রী নেয়া পলিটিকাল analyst রা ইলেকশন এ হারার কারণ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে করতে তুলোধুনো করে চ্যাপ্টার ক্লোস্ড করে ফেলেছে এবং এটা এখন কেবল হিস্ট্রি।আমার তো মনে হয়েছে যেহুতু জয় কদিন আগে বলল প্রপাগান্ডার কারণে BAL এর পরাজয়, সাথে সাথে সকল আওয়ামীলীগের রাজনীতিবিদরা শুরু করলো প্রোপাগান্ডাএর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে।
আমিতো বলেইছি, BNP এবং BAL উভয় দলই দুবার করে জিতল আর দুবার করে হারল। তো নেড়া বেল তলায় কবার যায় ? আপনি কি বলতে চান BNP দুইবার সফল আর BAL দুবার সফল প্রোপাগান্ডা করতে ? নাকি BAL দুইবার বের্থ BNP এর প্রোপাগান্ডা ঠেকাতে ? BNP কিংবা BAL কারোরই একক সন্খাগরিস্তথা নাই। সুধু সাধারণ নাগরিক যাদের অপনি বোকা বলছেন তারাই ইলেকশন এর রেসাল্ট নির্ণয় করে। এক্ষেত্রে আমি 'নীড় সন্ধানী" এর সাথে একমত।যাই হোক, সময় হলেই আমরা জানতে পারব ঢাকা সহরে কোটি টাকার billboard adds কি ফল দেয়।
আপনি বলেছেন, " আমার লেখা নিয়ে অযাচিত ভাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে এনে-------". কিন্তু লক্ষ্য করেছেন কি? আমার মন্তব্য ৪৯ নম্বর। আর আপনি উপরোক্ত অনেক গুলো কমেন্ট এই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন এবং শুদু BAL বিরোধীদের কেই attack করেছেন। যাই হোক আপনি শিকার করেছেন ই যে "জনগন চালাক না। কিছু রাজনীতিবিদ জনগন কে তোষামোদির খাতিরে তাদের কে চালাক বলে।" ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমরা সাধারণ মানুষ প্রতি যাত্রা বিরোধী দল কে সুযোগ দেব যাতে করে ওরা ক্ষমতায় এসে কিছু হলেও কিছু কিছু চোরদের শাস্তি দেবে (যেমন কোকো এযাত্রা, next টাইম মখা, জয় আর দেশপ্রেমিক আবুল). এতে করে কিছু হলেও ভন্ড রাজনীতিবিদ কমবে।
তো আপনি কি? আপনি কি তধাকথিত? -- Quoting আপনার মন্তব্য - (২২) "শিক্ষিত ও সচেতন মানুষদের নিজ উদ্যোগে এই সব অপ্রচারের কথা পরিবারের সবাইকে বোঝাতে হবে।"
ধন্যবাদ
আমি আমার মূল লেখায় কোথাও বাংলাদেশ কে নিয়ে কিছুই লিখি নি। মন্তব্য কারীদের কেউ কেউ আমার লেখা পড়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে মিল খুঁজে পেয়ে তাদের নিজেদের কিছু মন্তব্য করেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে প্রোপাগান্ডা হিসাবে যে সব বিষয় ব্যাবহৃত হচ্ছে বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে আমি আমার মতামত দিয়েছি। বাংলাদেশ বিষয় টি এসেছে মন্তব্যের সূত্র ধরে। কিন্তু আপনি আমার মন্তব্য থেকে quote করে দেখাতে খুবই আপত্তি জনক ভাষায় আমার "মূল"লেখাটি কি উদ্দেশ্যে লেখা তা নিয়ে অযাচিত ভাবে অনেক কিছুই একতরফা ভাবে বলে গেছেন। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। পাঠক হিসাবে আমার লেখা নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার আপনার অবশ্যই আছে... আমার কাছে ব্যাখ্যা চাইবার দাবীও আপনি করতে পারেন.....তবে শিষ্টাচার বজায় রেখে তা করাটাই আসল ভদ্র মানুষের কাজ। তা না হলে সেটি "তথাকথিত শিক্ষিত" মানুষের কাতারে ফেলে দেয় মন্তব্য কারী কে।
আপনার মন্তব্যের আক্রমণাত্মক দিক টি বাদ দিলে সেখানে বেশ কিছু ইম্পর্টেন্ট পয়েন্ট লক্ষ্য করার আসলেই অবকাশ আছে। সেগুলো আপনি জোরালো ভাবে তুলে ধরেছেন বলে মনে করছি। গঠনমূলক আলোচনা (বা সমালোচনা) সব সময় লেখক কে অনুপ্রাণিত করে। তাই আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন